সাম্প্রতিক পোষ্ট

সকল দোয়া একত্রে

 মোট দু'আ - ৬২৪ টি

  • ১. কালিমায়ে তাইয়্যিবাহ

    لَا اِلٰهَ اِلَّا اللهُ مُحَمَّدٌ رَّسُوْلُ اللهِ

    উচ্চারণঃ লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ।

    অর্থঃ আল্লাহ্‌ ব্যতীত ইবাদত বন্দেগীর উপযুক্ত আর কেহই নাই। হযরত মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আল্লাহ্‌র প্রেরিত রাসূল।

  • ২. ঈমান রক্ষার জন্য দু‘আ

    رَبَّنَا لَا تُزِغۡ قُلُوۡبَنَا بَعۡدَ اِذۡ هَدَيۡتَنَا وَهَبۡ لَنَا مِنۡ لَّدُنۡكَ رَحۡمَةً ‌ ۚ اِنَّكَ اَنۡتَ الۡوَهَّابُ

    উচ্চারণঃ রাব্বানা লা তুযিগ্ ক্বুলুবানা বা’দা ইয্ হাদায়তানা ওয়া হাব্‌লানা মিল্লা দুনকা রাহমাহ্ ইন্নাকা আংতাল ওয়াহ্‌হাব।

    অর্থঃ হে আমাদের প্রতিপালক! সরল পথ-প্রদর্শনের পর তুমি আমাদের অন্তরকে সত্য লঙ্ঘন বা বক্র করো না এবং তোমার নিকট থেকে আমাদেরকে করুণা দান কর। নিশ্চয়ই তুমি মহা দাতা।

  • ৩. শিরক থেকে বাঁচার জন্যে প্রতিদিন এই দু‘আ তিনবার পড়বে

    اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ أَنْ أُشْرِكَ بِكَ وَأَنَا أَعْلَمُ، وَأَسْتَغْفِرُكَ لِمَا لَا أَعْلَمُ

    উচ্চারণঃ আল্লাহুম্মা ইন্নি আউজুবিকা আন উশরিকা বিকা ওআনা আ’লাম ওয়া আস্তাগফিরুকা লিমা লা আ’লাম।

    অর্থঃ হে আল্লাহ! আমি আপনার কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করছি জ্ঞাতসারে আপনার সাথে কাউকে শরিক করা থেকে । আর আপনার নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করছি ঐ সকল বিষয়ে, যা আমি জানি না।

  • ৪. মুমূর্ষু ব্যক্তিকে তালকীন (পড়ে শোনানো) করবে

    لَا اِلٰهَ اِلَّا اللهُ مُحَمَّدُ رَّسُوْلُ اللهِ

    উচ্চারণঃ লাা ইলাহা ইল্লাল্লাাহু মুহাম্মাদুর রসূলুল্লাহ।

    অর্থঃ একমাত্র আল্লাহ তা’আলা ব্যতীত অন্য কোনো মাবুদ নেই এবং মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আল্লাহ তা’আলার রাসুল।

  • ৫. মুত্যু নিকটবর্তী অনুভব হলে পড়ার দু‘আ

    ٰاَللّٰهُمَّ اغْفِرْلِيْ وَارْحَمْنِيْ وَاَلْحِقْنِيْ بِالرَّفِيْقِ الْاَعْلٰى

    উচ্চারণঃ আল্লাাহুম্মাগফিরলী ওয়ার হামনী ওয়া আলহিক্বনী বিররফী-ক্বিল আ‘লাা

    অর্থঃ হে আল্লাহ! আপনি আমাকে ক্ষমা করে দিন এবং আমার উপর রহমত ও দয়া বর্ষণ করুন এবং আমাকে রফিকে আ’লা (নবী ও সালেহগণ)-এর সাথে মিলিত করে দিন।

  • ৬. রুহ্‌ বের হচ্ছে অনুভব হলে পড়বে

    اَللّٰهُمَّ اَعِنِّيْ عَلٰى غَمَرَاتِ الْمَوْتِ وَ سَكَرَاتِ الْمَوْتِ

    উচ্চারণঃ আল্লাাহুম্মা আ‘ইন্নী ‘আলাা গমারাা তিল মাউতি ওয়া সাকারাা তিল মাঊত।

    অর্থঃ হে আল্লাহ! আপনি মৃত্যুর কষ্ট ও মৃত্যুর যন্ত্রণায় আমাকে সাহায্য করুন।

  • ৭. জানাযা নামাযের দু‘আ

    اَللّٰهُمَّ اغْفِرْ لِحَيِّنَا وَمَيِّتِنَا. وَشَاهِدِنَا وَغَائِبِنَا. وَصَغِيْرِنَا وَكَبِيْرِنَا، وَذَكَرِنَا وَاُنْثَانَا اَللّٰهُمَّ مَنْ اَحْيَيْتَهٗ مِنَّا فَاَحْيِهٖ عَلَی الْاِسْلَامِ. وَمَنْ تَوَفَّيْتَهٗ مِنَّا فَتَوَفَّهٗ عَلَى الْاِيْمَانِ.

    উচ্চারণঃ আল্লাাহুম্মাগফির লিহাইয়্যিনাা ওয়া মায়্যিতিনাা ওয়া শাা হিদিনাা ওয়া গাা ইবিনাা ওয়া সগী রিনাা ওয়া কাবী রিনাা ওয়া যাকারিনাা ওয়া উনসাা নাা, আল্লাাহুম্মা মান আহইয়াইতাহূ মিন্নাা ফা আহইহী ‘আলাল ইসলাাম, ওয়া মান তাওয়াফ ফাইতাহূ মিন্নাা ফাতা ওয়াফ্ফাহূ ‘আলাল ঈ মাান।

    অর্থঃ হে আল্লাহ, আমাদের জীবিত ও মৃত, উপস্থিত ও অনুপস্থিত, ছোট ও বড় এবং পুরুষ ও নারী – সকলকে ক্ষমা করে দিন। হে আল্লাহ, আপনি আমাদের মধ্য থেকে যাঁদেরকে জীবিত রেখেছেন ইসলামের উপর জীবিত রাখেন আর যাদেরকে মৃত্যু দান করেছেন তাদেরকে ঈমানের সাথেই মৃত্যু দান করেন।

  • ৮. কবর যিয়ারতের দু‘আ

    اَلسَّلَامُ عَلَيْكُمْ يَا أَهْلَ القُبُورِ، يَغْفِرُ اللهُ لَنَا وَلَكُمْ، أَنْتُمْ سَلَفُنَا، وَنَحْنُ بِالأَثَرِ

    উচ্চারণঃ আসসালাামু ‘আলাইকুম ইয়াা আহলাল ক্বুবূরি ইয়াগফিরুল্লাাহু লানাা ওয়ালাকুম, আনতুম সালাফুনাা ওয়া নাহনু বিল আসার।

    অর্থঃ হে কবরবাসীগণ! আপনাদের প্রতি শান্তি বর্ষিত হোক। আল্লাহ তা‘আলা আমাদেরকে এবং আপনাদেরকে ক্ষমা করে দিন। আপনারা আমাদের পূর্বে গমনকারী। আমরাও আপনাদের পিছনে পিছনে আসছি।

  • ৯. লাশ যদি নাবালক ছেলে হয় তবে নিচের দু‘আ পড়তে হবে

    اَللّٰهُمَّ اجْعَلْهُ لَنَا فَرْطًا وَّاجْعَلْهُ لَنَا اَجْرًا وَّذُخْرًا وَّاجْعَلْهُ لَنَا شَافِعًا وَّمُشَفَّعًا

    উচ্চারণঃ আল্লাহুম্মাজ আলহু লানা ফারতাঁও ওয়াজ আলহু লানা আজরাও ওয়া যুখরাঁও ওয়াজ আলহু লানা শাফিয়াও ওয়া মুশাফ্ফাআন।

    অর্থঃ হে আল্লাহ! উহাকে আমাদের জন্য অগ্রগামী কর ও উহাকে আমাদের পুরস্কার ও সাহায্যের উপলক্ষ কর এবং উহাকে আমাদের সুপারিশকারী ও গ্রহনীয় সুপারিশকারী বানাও।

  • ১০. লাশ যদি নাবালেগা মেয়ে হয় তবে নিচের দু‘আ পড়তে হবে

    ًاَللّٰهُمَّ اجْعَلْهَا لَنَا فَرْطًا وَّاجْعَلْهَا لَنَا اَجْرًا وَّذُخْرًا وَّاجْعَلْهَا لَنَا شَافِعَةً وَّمُشَفَّعَة

    উচ্চারণঃ আল্লাহুম্মাজ আলহা লানা ফারতাঁও ওয়াজ আলহা লানা আজরাঁও ওয়া যুখরাঁও ওয়াজআলহা লানা শা-ফিয়াতাও ওয়া মুশাফ্ফায়াহ।

    অর্থঃ হে আল্লাহ! ইহাকে আমাদের জন্য অগ্রগামী কর ও ইহাকে আমাদের পুরস্কার ও সাহায্যের উপলক্ষ কর। এবং ইহাকে আমাদের সুপারিশকারী ও গ্রহনীয় সুপারিশকারী বানাও।

  • ১১. ঘর থেকে বা যেকোন স্থান থেকে বের হওয়ার দু‘আ-১

    بِسْمِ اللهِ تَوَكَّلْتُ عَلَى اللهِ. لَا حَوْلَ وَلَا قُوَّةَ اِلَّا بِاللهِ

    উচ্চারণঃ বিসমিল্লাাহি তাওয়াক্কালতু ‘আলাল্লাাহি, লাা হাউলা ওয়ালাা কুউওয়াতা ইল্লাা বিল্লাাহ।

    অর্থঃ আল্লাহ তা’আলার নামে বের হলাম, আমি আল্লাহ তাআলার উপর ভরসা করলাম। আল্লাহর তাওফিক ছাড়া গুনাহ থেকে বেঁচে থাকা বা কোনো নেক কাজ করা সম্ভব নয়।

  • ১২. ঘরে বা যেকোন স্থানে প্রবেশ করার দু‘আ

    اَللّٰهُمَّ اِنِّيْ اَسْاَلُكَ خَيْرَ الْمَوْلِجِ وَخَيْرَ الْمَخْرَجِ * بِسْمِ اللهِ وَلَجْنَا وَ بِسْمِ اللهِ خَرَجْنَا * وَعَلَى اللهِ رَبِّنَا تَوَكَّلْنَا

    উচ্চারণঃ আল্লাাহুম্মা ইন্নী আসআলুকা খাইরাল মাওলিজি ওয়া খাইরাল মাখরজি, বিসমিল্লাাহি ওয়ালাজনাা ওয়া বিসমিল্লাাহি খারাজনাা ওয়া ‘আলাল্লাাহি রব্বিনাা তাওয়াক্কালনাা।

    অর্থঃ হে আল্লাহ! আমি আপনার নিকট ভিতরে প্রবেশ করার এবং বের হবার মঙ্গল কামনা করছি। আমরা আল্লাহ তা’আলার নামে প্রবেশ করলাম এবং আল্লাহর নামে বের হলাম এবং আমরা আমাদের প্রতিপালক আল্লাহর উপর ভরসা করলাম।

  • ১৩. ঘর বাড়ি হেফাজতের দু’আ

    اللَّهُمَّ أَنْتَ رَبِّي، لَا إِلَهَ إِلَّا أَنْتَ، عَلَيْكَ تَوَكَّلْتُ، وَأَنْتَ رَبُّ الْعَرْشِ الْعَظِيمِ، ‌مَا ‌شَاءَ ‌اللهُ ‌كَانَ، ‌وَمَا ‌لَمْ ‌يَشَأْ ‌لَمْ ‌يَكُنْ، لَا حَوْلَ وَلَا قُوَّةَ إِلَّا بِاللَّهِ الْعَلِيِّ الْعَظِيمِ، أَعْلَمُ أَنَّ اللَّهَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ، وَأَنَّ اللَّهَ قَدْ أَحَاطَ بِكُلِّ شَيْءٍ عِلْمًا، اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنْ شَرِّ نَفْسِي، وَمِنْ شَرِّ كُلِّ دَابَّةٍ أَنْتَ آخِذٌ بِنَاصِيَتِهَا، إِنَّ رَبِّي عَلَى صِرَاطٍ مُسْتَقِيمٍ

    উচ্চারণঃ আল্লাহুম্মা আনতা রাব্বি লা ইলাহা ইল্লা আনতা আ’লাইকা তাওয়াক্কালতু ও আনতা রাব্বুল আ’রশিল আজিম, মা-শা-আল্লাহু কা’না, ওয়ামা লাম ইয়াশা’ লাম ইয়াকুন ওয়ালা হাওলা ওয়ালা কুও’ওয়াতা ইল্লা বিল্লাহিল আলিঈল আজিম, আলামু আন্নাল্লাহা আলা কুল্লি শাই ইন ক্বাদির ও আন্নাল্লাহা ক্বাদ আহাতা বিকুল্লি শাই ইন ই’লমা, আল্লাহুম্মা ইন্নি আ‘উজুবিকা মিন শাররি নাফসি ওয়ামিন শাররি কুল্লি দাব্বাতিন; আনতা আখিজুম বিনাসিয়াতিহা ইন্না রাব্বি’আলা সিরাতিম মুস্তাকিম।

    অর্থঃ হে আল্লাহ্‌ ! আপনি আমার প্রভু, আপনি ব্যতীত অন্য কোনো ইলাহ্‌ নাই, আপনার উপর ভরসা করলাম, আপনি সম্মানিত আরশের মালিক। আল্লাহ্‌ তাআ’লা যা ইচ্ছা করেন, তাই হয়; আর তিনি যা ইচ্ছা করেন না তা হয় না, আল্লাহ্‌ তা’আলার শক্তি ও সামর্থ্য ব্যতীত অন্য কোনো শক্তি বা সামর্থ নাই, জেনে রেখো যে আল্লাহ্‌ তাআ’লা সমস্ত জিনিসের উপর শক্তিশালী, ক্ষমতাবান এবং তার জ্ঞান সমস্ত জিনিসব্যাপ্ত। হে আল্লাহ্‌! আমার নফ্‌সের মন্দ হতে আপনার নিকট আশ্রয় চাই এবং প্রত্যেক প্রাণীর মন্দ হতে যার ঝুঁটি আপনি ধরে রেখেছেন; নিশ্চয়ই আমার প্রভু সরল পথে অধিষ্ঠিত আছেন।

  • ১৪. উপরে ওঠার সময় পড়বে

    اَللّٰهُ اَكْبَرْ

    উচ্চারণঃ আল্লাহু আকবার।

    অর্থঃ আল্লাহ সবচেয়ে বড়।

  • ১৫. নীচে নামার সময় পড়বে

    سُبْحَانَ اللّٰهِ

    উচ্চারণঃ সুব্‌হানাল্লাহ।

    অর্থঃ আমি আল্লাহর পবিত্রতা ও মহিমা বর্ণনা করছি।

  • ১৬. খাবার সামনে এলে পড়বে

    اَللّٰهُمَّ بَارِكْ لَنَا فِيْمَا رَزَقْتَنَا وَقِنَا عَذَابَ النَّارِ

    উচ্চারণঃ আল্লহুম্মা বারিক লানা ফি মা রযাক্বতানা ওয়াক্বিনা আজাবান্নার।

    অর্থঃ হে আল্লাহ! আপনি আমাদেরকে যে রিয্‌ক দান করেছেন তাতে বরকত দান করুন এবং আমাদেরকে জাহান্নামের শাস্তি থেকে রক্ষা করুন।

  • ১৭. খাওয়ার শুরুতে পড়বে

    بِسْمِ اللهِ وَبَرَكَةِ اللهِ

    উচ্চারণঃ বিসমিল্লাহি ওয়াবারাকাতিল্লাহ্‌

    অর্থঃ আল্লাহ তা’আলার নামে শুরু করছি, এবং আল্লাহ তা’আলার বরকতের সাথে এ খাবার গ্রহণ করছি।

  • ১৮. বিছানায় শুয়ে পড়বে

    اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِوَجْهِكَ الْكَرِيمِ، وَكَلِمَاتِكَ التَّامَّةِ، مِنْ شَرِّ مَا أَنْتَ آخِذٌ بِنَاصِيَتِهِ، اللَّهُمَّ أَنْتَ تَكْشِفُ الْمَغْرَمَ وَالْمَأْثَمَ، اللَّهُمَّ لَا يُهْزَمُ جُنْدُكَ، وَلَا يُخْلَفُ وَعْدُكَ، وَلَا يَنْفَعُ ذَا الْجَدِّ مِنْكَ الْجَدُّ سُبْحَانَكَ وَبِحَمْدِكَ

    উচ্চারণঃ আললাহুমমা ইন্নি আউযুবিকা বি ওয়াজহিকাল কারীম ওয়া কালিমাতিকাত তাম্মাতি মিন শাররী মা আনতা আখিযুম বি নাসিয়াতিহি, আললাহুমমা আনতা তাকশিফুল মাগরামা ওয়াল মা’ছামা, আললাহুমমা লা ইউহযামু জুনদুকা,ওয়া লা ইয়ুখলাফু ওয়াদুকা ওয়া লা ইয়ানফাউ যাল জাদ্দি মিনকাল জাদ্দু, সুবহানাকা ওয়া বিহামদিকা।

    অর্থঃ হে আল্লাহ। আমি আপনার সম্মানিত চেহারার অসিলায় সব কিছু থেকে পানাহ চাচ্ছি, আর আপনার পরিপূর্ণ কালিমার অসিলায় অনিষ্টকর সব কিছু থেকে নাজাত চাচ্ছি, যা আপনার নিয়ন্ত্রণে আছে। হে আল্লাহ! আপনিই করয আদায় করে থাকেন এবং গুনাহ মাফ করে দেন। হে আল্লাহ! আপনার বাহিনী পরাজিত হবার নয় এবং ওয়াদা ভঙ্গ হয় না। আর কোন বিত্তবানের বিত্ত আপনার সামনে কাজে আসবে না। আপনি পবিত্র মহান, আর সব প্রশংসা আপনারই।

  • ১৯. মেজবানকে শুনিয়ে এই দু‘আ পড়বে দাওয়াত খাওয়ার দু‘আ-২

    أَكَلَ طَعَامَكُمُ الْأَبْرَارُ، وَصَلَّتْ عَلَيْكُمُ الْمَلَائِكَةُ، وَأَفْطَرَ عِنْدَكُمُ الصَّائِمُونَ

    উচ্চারণঃ আকালা ত্বোয়ামাকুমুল আবরার ওয়াছল্লাত আলাইকুমুল মালায়িকাহ্‌ ওয়া আফ্‌ তার ইন্দাকুমুছ ছ’য়িমুন।

    অর্থঃ আল্লাহ করুন যেন (এমনভাবে) নেককার লোকেরা তোমাদের খানা খায় এবং ফেরেশ্‌তাগণ যেন তোমাদের জন্যে ক্ষমা প্রার্থনার দু‘আ করে এবং রোযাদারগণ যেন তোমাদের বাড়িতে ইফতার করে।

  • ২০. পানি পান করার পর পড়বে

    الْحَمْدُ لِلَّهِ الَّذِي سَقَانَا مَاءً عَذْبًا فُرَاتًا بِرَحْمَتِهِ، وَلَمْ يَجْعَلْهُ مِلْحًا أُجَاجًا بِذُنُوبِنَا

    উচ্চারণঃ আলহাম্‌দু লিল্লাহিল্লাজি ছাকানা আজবান ফুরতান বিরহমাতিহ্‌ ওয়ালাম ইয়াজ্‌ আ’লহু মিলহান উজাজান বিযুনুবিনা।

    অর্থঃ সকল প্রশংসা আল্লাহ তা’আলার জন্যে, যিনি আমাদেরকে স্বীয় রহমতে সুস্বাদু, সুমিষ্ট পানি পান করিয়েছেন এবং আমাদের গুনাহের কারণে তা তিক্ত ও লবণাক্ত করেননি।

 

  • ২১. দুধ পান করার সময় পড়বে

    اَللّٰهُمَّ بَارِكْ لَنَا فِيْهِ وَزِدْنَا مِنْهُ.

    উচ্চারণঃ আল্লাহুম্মা বারিক-লানা ফিহি ওয়াঝিদনা মিনহ্‌।

    অর্থঃ হে আল্লাহ! আপনি এই দুধের মধ্যে বরকত দান করুন এবং অধিক পরিমাণে দান করুন।

  • ২২. খাওয়ার শেষে পড়ার দু’আ

    اَلْحَمْدُ لِلّٰهِ الَّذِيْ اَطْعَمَنَا وَسَقَانَا وَجَعَلَنَا مُسْلِمِيْنَ.

    উচ্চারণঃ আলহামদু লিল্লাা হিল্লাযী আত্ব ‘আমানাা ওয়া সাক্বাা নাা ওয়াজা ‘আলানাা মুসলিমীন।

    অর্থঃ সকল প্রশংসা আল্লাহ তা’আলার জন্যে যিনি আমাদের পানাহার করিয়েছেন এবং আমাদেরকে মুসলমান বানিয়েছেন।

  • ২৩. দস্তরখানা উঠানোর সময়

    اَلْحَمْدُ لِلّٰهِ حَمْدًا كَثِيْرًا طَيِّبًا مُبَارَكًا فِيْهِ غَيْرَ مَكْفِىٍّ وَلَا مُوَدَّعٍ وَلَا مُسْتَغْنًى عَنْهُ رَبَّنَا.

    উচ্চারণঃ আলহামদুলিল্লাহি হামদান কাছিরান ত্বাইয়্যিবান মুবা-রাকান ফিহ গায়রা মাকফিয়্যিন ওয়ালা মুওয়াদ্দাইন অলা মুস্তাগনান আনহু রাব্বানা।

    অর্থঃ সকল প্রশংসা আল্লাহ তা’আলার জন্যে। অনেক অনেক প্রশংসা এবং পবিত্র ও বরকতপূর্ণ প্রশংসা। হে প্রভু! এ খানাকে না যথেষ্ট মনে করা যেতে পারে (যে আর প্রয়োজন হবে না), আর না একে সম্পূর্ণ বিদায় দেয়া যেতে পারে (যে আর তার সাক্ষাতের প্রয়োজন হবে না), না এ হতে অমুখাপেক্ষী হওয়া যেতে পারে।

  • ২৪. মৌসুমের নতুন ফল খাওয়ার দু’আ

    اَللّٰهُمَّ بَارِكْ لَنَا فيْ ثَمَرِنَا. وَبَارِكْ لَنَا فِيْ مَدِيْنَتِنَا. وَبَارِكْ لَنَا فِيْ صَاعِنَا. وَبَارِكْ لَنَا فِيْ مُدِّنَا.

    উচ্চারণঃ আল্লাাহুম্মা বাারিক লানা ফী সামারিনাা ওয়া বাারিক লানাা ফী মাদীনাতিনাা ওয়া বাারিক লানাা ফী সাা ’ইনাা ওয়া বাারিক লানাা ফী মুদ্দি নাা।

    অর্থঃ হে আল্লাহ, আপনি আমাদের ফল-ফলাদিতে বরকত দিন, আমাদের শহরে বরকত দিন, আমাদের সা‘ তথা বড় পরিমাপক যন্ত্রে বরকত দিন, আমাদের মুদ্দ তথা ছোট পরিমাপক যন্ত্রে বরকত দিন।

  • ২৫. মজলিস হতে উঠার সময় পড়বে

    رَبِّ اغْفِرْ لِي، وَتُبْ عَلَيَّ، إِنَّكَ أَنْتَ التَّوَّابُ الغَفُورُ

    উচ্চারণঃ রব্বিগফির লী ওয়াতুব ‘আলাইয়্যা, ইন্নাকা আনতাত্ তাউওয়া-বুল গাফূর

    অর্থঃ হে আমার রব্ব! আপনি আমাকে মাফ করুন এবং তাওবাহ কবুল করুন; নিশ্চয় আপনিই তওবা কবুলকারী ক্ষমাশীল

  • ২৬. টয়লেটে প্রবেশের পূর্বে পড়বে

    بِسْمِ اللهِ اَللّٰهُمَّ اِنِّيْ اَعُوْذُبِكَ مِنَ الْخُبُثِ وَالْخَبَائِثِ

    উচ্চারণঃ বিসমিল্লাাহি আল্লাাহুম্মা ইন্নী আ‘ঊযুবিকা মিনাল খুবুসি ওয়াল খাবাাইস।

    অর্থঃ আল্লাহ তা’আলার নামে, হে আল্লাহ! আমি আপনার নিকট ক্ষতিকারক নর ও নারী জিন শয়তান হতে আশ্রয় প্রার্থনা করছি।

  • ২৭. টয়লেট থেকে বের হওয়ার পর পড়বে

    غُفْرَانَكَ اَ لْحَمْدُ لِلّٰهِ الَّذِيْ اَذْهَبَ عَنِّيْ الْاَذٰى وَعَافَانِيْ

    উচ্চারণঃ গুফরাানাকা আলহামদু লিল্লাা হিল্লাযী আযহাবা ‘আন্নীল আযাা ওয়া ‘আা ফাা নী।

    অর্থঃ হে আল্লাহ! আমি আপনার নিকট ক্ষমা চাচ্ছি। সকল প্রশংসা সেই মহান আল্লাহর জন্যে, যিনি আমার থেকে কষ্টদায়ক বস্তু দূর করে দিয়েছেন এবং আমাকে সুস্থ রেখেছেন।

  • ২৮. ঘুমের পূর্বে পড়ার দু’আ

    اَللّٰهُمَّ بِاسْمِكَ اَمُوْتُ وَاَحْيَا

    উচ্চারণঃ আল্লাাহুম্মা বিসমিকা আমূতু ওয়া আহইয়াা।

    অর্থঃ হে আল্লাহ! আমি আপনারই নামে মৃত্যুবরণ করব, আপনার নামের সাথেই জীবিত থাকব।

  • ২৯. ঘুম না এলে এ দু‘আ পড়বে

    اَللّٰهُمَّ رَبَّ السَّمَوَاتِ السَّبْعِ وَمَا اَظَلَّتْ وَرَبَّ الْاَرَضِيْنَ وَمَا اَقَلَّتْ وَرَبَّ الشَّيَاطِيْنَ وَمَا اَضَلَّتْ كُنْ لِّيْ جَارًا مِّنْ شَرِّ خَلْقِكَ كُلِّهِمْ جَمِيْعًا اَنْ يَفْرُطَ عَلَيَّ اَحَدٌ مِّنْهُمْ اَوْ اَنْ يَّبْغِيَ عَزَّ جَارُكَ وَجَلَّ ثَنَاؤُكَ لَاۤ اِلٰهَ غَيْرُكَ لَاۤ اِلٰهَ اِلَّا اَنْتَ .

    উচ্চারণঃ আল্লাাহুম্মা রব্বাস সামাওয়াা তিস সাব‘ই ওয়ামাা আযা ল্লাত ওয়া রব্বাল আরাযীনা ওয়ামাা আক্বাল লাত ওয়া রব্বাশ শায়াা ত্বীনি ওয়ামাা আযাল লাত কুন লী জাা রন মিন শাররি খলক্বিকা কুল্লিহিম জামী‘আন আন ইয়াফরুত্বা ‘আলাইয়্যা আহাদুন মিনহুম আউ আন ইয়াবগিয়া ‘আযযা জাা রুকা ওয়া জাল্লা সানাা উকা ওয়ালাা ইলাহা গইরুকা লাা ইলাাহা ইল্লাা আনতা।

    অর্থঃ হে আল্লাহ! আপনি সপ্ত আকাশের প্রতিপালক এবং ঐ সকল বস্তুর প্রতিপালক, যার উপর সপ্তম আকাশ বিস্তার করে আছে এবং যিনি সমগ্র জমিনের প্রতিপালক এবং ঐ সকল বস্তুর প্রতিপালক যা সমগ্র জমিন বহন করে আছে এবং যিনি শয়তান ও ঐ লোকদের প্রতিপালক যাদেরকে শয়তান গোমরা করেছে। হে প্রতিপালক আল্লাহ! আপনি সমগ্র মাখলুকের অনিষ্ট হতে আমার রক্ষাকারী এবং আশ্রয়দাতা হয়ে যান। যাতে এ সকল মাখলুকের মধ্য হতে কোন মাখলুক আমার উপর অত্যাচার-অবিচার করতে না পারে। নিশ্চয়ই একমাত্র আপনার আশ্রিত ব্যক্তিই প্রভাবশালী নিরাপদ এবং একমাত্র আপনার প্রশংসাই অতি মহান। আপনি ছাড়া অপর কোন মা‘বুদ নেই। একমাত্র আপনি ইবাদতের যোগ্য।

  • ৩০. ঘুম থেকে উঠে এই দু’আ পড়বে

    اَلْحَمْدُ لِلّٰهِ الَّذِيْ اَحْيَانَا بَعْدَ مَا اَمَاتَنَا وَ اِلَيْهِ النُّشُوْرُ

    উচ্চারণঃ আলহামদু লিল্লাা হিল্লাযী আহ ইয়াানাা বা‘দা মাা আমাা তানাা ওয়া ইলাইহিন নুশূর।

    অর্থঃ সকল প্রশংসা আল্লাহ তা’আলার যিনি আমাদের মৃত্যু দানের পর পুনরায় জীবন দান করেছেন এবং মৃত্যুর পর তাঁ‍রই নিকট আমাদের প্রত্যাবর্তন করতে হবে।

  • ৩১. চিন্তামুক্ত সফরের দু’আ

    رَّبِّ  اَدْخِـلْـنِـىْ  مُـدْخَـلَ  صِـدْقٍ  وَّاَخْـرِجْـنِـىْ  مُـخْـرَجَ  صِـدْقٍ  وَّاجْـعَـلْ  لِّـىْ  مِـنْ  لَّـدُنْـكَ سُلْطَانًا نَصِيرًا

    উচ্চারণঃ রাব্বি আদ্‌খিল্‌নি মুদ্‌খালা সিদক্বিওঁ ওয়া আখ্‌রিযনি মুখ্‌রাজা সিদ্‌কিওঁ ওয়াজা’আল্লি মিল্লাদুন্‌কা সুল্‌তা-নান্ন নাসি-র।

    অর্থঃ হে আমার প্রতিপালক! আমাকে প্রবেশ করাও কল্যাণের সাথে এবং আমাকে নিষ্ক্রান্ত করাও কল্যাণের সাথে এবং তোমার নিকট হতে আমাকে দান করো সাহায্যকারী শক্তি।

  • ৩২. যানবাহনে আরোহনের দু’আ

    اَلْحَمْدُ لِلّٰهِ سُبْحَانَ الَّذِيْ سَخَّرَ لَنَا هٰذَا وَمَا كُنَّا لَهٗ مُقْرِنِيْنَ. وَاِنَّا اِلٰى رَبِّنَا لَمُنْقَلِبُوْنَ اَللّٰهُمَّ اِنَّا نَسْاَلُكَ فِىْ سَفَرِنَا هٰذَاالْبِرَّ وَالتَّقْوٰى وَمِنَ الْعَمَلِ مَا تَرْضٰى اَللّٰهُمَّ هَوِّنْ عَلَيْنَا سَفَرَنَا هٰذَا وَاطْوِ عَنَّا بُعْدَهٗ اَللّٰهُمَّ اَنْتَ الصَّاحِبُ فِىْ السَّفَرِ وَالْخَلِيْفَةُ فِى الْاَهْلِ اَللّٰهُمَّ اِنِّىْ اَعُوْذُ بِكَ مِنْ وَعْثَاءِ السَّفَرِ وَكَآبَةِ الْمَنْظَرِ وَسُوْءِ الْمُنْقَلَبِ فِى الْمَالِ وَالْاَهْلِ.

    উচ্চারণঃ আলহামদু লিল্লাাহি সুবহাানাল্লাযী সাখখরা লানাা হাা যাা ওয়ামাা কুন্নাা লাহূ মুক্ব রিনীন ওয়া ইন্নাা ইলাা রব্বিনাা লামুন ক্বলিবূন। আল্লাাহুম্মা ইন্নাা নাস আলুকা ফী সাফারিনাা হাা যাল বিররা ওয়াত তাক্বওয়াা ওয়া মিনাল ‘আমালি মাা তারযাা, আল্লাাহুম্মা হাউয়িন ‘আলাইনাা সাফারানাা হাা যাা ওয়াত বি ‘আন্নাা বু‘দাহ, আল্লাাহুম্মা আনতাস সাা হিবু ফিস সাফারি ওয়াল খলী ফাতু ফিল আহল, আল্লাাহুম্মা ইন্নী আ‘ঊযুবিকা মিন ওয়া‘সাা ইস সাফারি ওয়া কা’বাতিল মানযরি ওয়া সূ য়িল মুনক্বলাবি ফিল মাা লি ওয়াল আহল।

    অর্থঃ সকল প্রকার প্রশংসা আল্লাহ তা‘আলার জন্য। পূতঃপবিত্র সেই সত্তা, যিনি এ যানবাহনকে আমাদের নিয়ন্ত্রণে করে দিয়েছেন, অন্যথায় আমরা একে নিজেদের নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হতাম না এবং নিশ্চয়ই আমরা (মৃত্যুর পরে) আমাদের প্রতিপালকের নিকটই প্রত্যাবর্তন করব। হে আল্লাহ! আমরা আপনার নিকট এই সফরে নেকী এবং তাকওয়া চাচ্ছি এবং আপনার পছন্দনীয় আমলের তাওফীক কামনা করছি। হে আল্লাহ!আমার জন্য এ সফর সহজসাধ্য করে দিন এবং এর দূরত্বকে কমিয়ে দিন। হে আল্লাহ! আপনিই সফরে আমাদের সাথী এবং বাড়ীতে আমাদের প্রতিনিধি-(রক্ষক)।হে আল্লাহ! আমি সফরে কষ্ট-ক্লেশ এবং (সফরের মধ্যে কোন প্রকার) মর্মান্তিক দৃশ্য দেখা হতে এবং পরিবার-পরিজন এবং ধন-সম্পদের নিকট দুঃখজনক প্রত্যাবর্তন হতে আপনার নিকট আশ্রয় কামনা করছি।

  • ৩৩. নৌযান ও উড়োজাহাজে আরোহণের দু‘আ

    بِسْمِ اللهِ مَجْرٖیهَا وَمُرْسَاهَا. اِنَّ رَبِّـيْ لَغَفُوْرٌ رَّحِيْمٌ°

    وَمَا قَدَرُوْا اللهَ حَقَّ قَدْرِهٖ وَالْاَرْضُ جَمِيْعًا قَبْضَتُهٗ يَوْمَ الْقِيَامَةِ وَالسَّمٰوٰتُ مَطْوِيَّاتُٗ بِيَمِيْنِهٖ سُبْحَانَهٗ وَتَعَالٰى عَمَّا يُشْرِكُوْنَ.

    উচ্চারণঃ বিসমিল্লাাহি মাজরেহাা ওয়া মুরসাা হাা ইন্না রব্বী লা গফূরুর রহীম। ওয়ামাা ক্বদারুল্লাাহা হাক্ক ক্বদরিহী ওয়াল আরযু জামী-‘আন ক্ববযতুহূ ইয়াউমাল ক্বিয়াা মাহ, ওয়াস সামাা ওয়াাতু মাত্ববিয়্যাা তুম বিইয়ামীনিহ, সুবহাানাহু ওয়াতা ‘আালাা ‘আম্মাা ইয়ুশরিকূন।

    অর্থঃ আল্লাহ তা‘আলার নামেই এর চলা ও অবস্থান করা। নিশ্চয় আমার প্রতিপালক অত্যন্ত ক্ষমাশীল, অতিশয় দয়ালু। তারা আল্লাহর যথোচিত সম্মান করে নাই। কিয়ামতের দিন সমস্ত পৃথিবী তাঁর হাতের মুষ্টিতে থাকবে এবং আকাশমণ্ডলী থাকবে ভাঁজ করা অবস্থায় তাঁর ডান হাতে। পবিত্র ও মহান তিনি। তাদের শিরক থেকে তিনি বহু ঊর্ধ্বে।

  • ৩৪. সফর অবস্থায় কোন গ্রাম বা মহল্লায় প্রবেশকালের দু‘আ

    اَللّٰهُمَّ بَارِكْ لَنَا فِيْهَا

    অতঃপর:

    اَللّٰهُمَّ ارْزُقْنَا جَنَاهَا وَحَبِّبْنَا اِلٰی اَهْلِهَا وَحَبِّبْ صَالِحِىْ اَهْلِهَا اِلَيْنَا

    উচ্চারণঃ আল্লাাহুম্মা বাারিক লানাা ফী হাা। (এরপর পড়বে) - আল্লাাহুম্মার যুক্বনাা জানাা হাা ওয়া হাব্বিবনাা ইলাা আহলিহাা ওয়া হাব্বিব সাা লিহী আহলিহাা ইলাইনাা।

    অর্থঃ হে আল্লাহ! আপনি আমাদের জন্য এ এলাকার লাভ (কল্যাণ) দান করুন এবং তাদের অন্তরে আমাদের প্রতি মহব্বত সৃষ্টি করে দিন এবং এর নেককার অধিবাসীদের প্রতি আমাদের অন্তরে মহব্বত দান করুন।

  • ৩৫. সফর থেকে প্রত্যাবর্তনের দু‘আ

    اٰئِـبُوْنَ تَائِبُوْنَ عَا بِدُوْنَ لِرَبِّنَا حَامِدُوْنَ.

    উচ্চারণঃ আা ইবূ না তাা ইবূ না লিরব্বিনাা হাামিদূন।

    অর্থঃ আমরা এখন সফর হতে প্রত্যাবর্তন করছি। (নিজেদের গুনাহ হতে) তওবা করছি, (আল্লাহ পাকের) ইবাদতের ইরাদা করছি এবং আমাদের প্রতিপালকের প্রশংসা করছি।

  • ৩৬. পাঁচ সূরার আমল

    قُلْ يَا أَيُّهَا الْكَافِرُونَ - إِذَا جَاءَ نَصْرُ اللَّهِ وَالْفَتْحُ - قُلْ هُوَ اللَّهُ أَحَدٌ - قُلْ أَعُوذُ بِرَبِّ الْفَلَقِ - قُلْ أَعُوذُ بِرَبِّ النَّاسِ

    উচ্চারণঃ ক্বুল ইয়া আইয়্যুহাল কাফিরুন - ইযাজা আনাস রুল্লহি অল ফাতহ - ক্বুলহু অল্ল হুল আহা’দ - ক্বুল আয়ু-যু বিরব্বিল ফালাক্ব - ক্বুল আয়ু-যু বিরব্বিন নাস

    অর্থঃ হযরত জুবায়ের ইবনে মুতঈম (রাঃ) বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু তাআলা আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে বলিলেন, হে জুবায়ের ! তুমি কি উহা পছন্দ কর যে, যখন তুমি সফরে যাও তখন তোমার অবস্থা তোমার সকল সঙ্গীগন অপেক্ষা উত্তম ও তোমার পাথেয় সর্বাপেক্ষা বেশি হয়? আমি বলিলাম, জি হ্যাঁ । আমার পিতামাতা আপনার উপর কোরবান হউক ! রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু তাআলা আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিলেন, তুমি এই পাঁচটি সূরা পাঠ করিও-- قُلْ يَا أَيُّهَا الْكَافِرُونَ - إِذَا جَاءَ نَصْرُ اللَّهِ وَالْفَتْحُ - قُلْ هُوَ اللَّهُ أَحَدٌ - قُلْ أَعُوذُ بِرَبِّ الْفَلَقِ - قُلْ أَعُوذُ بِرَبِّ النَّاسِ প্রত্যেক সূরার শুরুতে বিসমিল্লাহির রহমানির রাহিম পড়িবে এবং সবশেষে বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম পড়িবে । এইভাবে পাঁচ সূরা ও ছয়বার বিসমিল্লাহ হইবে । হযরত জুবায়ের (রাযিঃ) বলেন, আমি ধনী হওয়া সত্ত্বেও পূর্বে যখন সফরে যাইতাম তখন আমার অবস্থা সর্বাপেক্ষা ভগ্নাবস্থা এবং আমার পাথেয় সর্বাপেক্ষা কম হইত । কিন্তু রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু তাআলা আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন আমাকে এই সূরাগুলি শিক্ষা দিলেন তখন হইতে আমি উহা পড়িতে আরম্ভ করিলাম, আর ইহাতে বাড়ি ফিরা পর্যন্ত সম্পূর্ন সফরে আমার অবস্থা সর্বাপেক্ষা উত্তম হইতে লাগিল এবং আমার পাথেয় সর্বাপেক্ষা বেশি হইতে লাগিল।

  • ৩৭. কোনো মুসলমানের সাথে সাক্ষাত হলে বলবে

    السَّلَامُ عَلَيْكُمْ وَرَحْمَةُ اللَّهِ وَبَرَكَاتُهُ

    উচ্চারণঃ আস্‌সালামু আলাইকুম ওয়ারাহ্‌মাতুল্লাহি ওয়াবারাকাতুহ।

    অর্থঃ আপনার উপর শান্তি ও আল্লাহ পাকের রহমত ও বরকত বর্ষিত হোক।

  • ৩৮. সালামের উত্তরে বলবে

    وَعَلَيْكُمُ السَّلَامُ وَرَحْمَةُ اللهِ وَبَرَكَاتُهٗ

    উচ্চারণঃ ওয়া আলাইকুমুস্‌ সালাম ওয়ারাহ্‌মাতুল্লাহি ওয়াবারাকাতুহ।

    অর্থঃ এবং আপনার উপরেও শান্তি ও আল্লাহ পাকের রহমত ও বরকত বর্ষিত হোক।

  • ৩৯. মুসাফাহা করার দু’আ

    يَغْفِرُ اللهُ لَنَا وَ لَكُمْ

    উচ্চারণঃ ইয়াগফিরুল্লাাহু লানাা ওয়া লাকুম।

    অর্থঃ আল্লাহ তা’আলা আমাদেরকেও ক্ষমা করুন এবং আপনাদেরকেও ক্ষমা করুন।

  • ৪০. হাই আসিলে পড়বে

    لاَحَوْلَ وَلاَقُوَّةَ اِلاّبِاللهِ الْعَلِىِّ الْعَظِيْمِ

    উচ্চারণঃ লা-হাওলা ওয়ালা-কুওয়্যাতা ইল্লা-বিল্লা-হিল্ আলিয়্যিল্ আযীম।

 

  • ৪১. হাঁচি দিলে পড়বে

    الْحَمْدُ لِلَّهِ

    উচ্চারণঃ আলহামদুলিল্লাহ্‌

    অর্থঃ সকল প্রশংসা আল্লাহর!

  • ৪২. যে ব্যক্তি শুনবে সে বলবে

    يَرْحَمُكَ اللَّهُ

    উচ্চারণঃ ইয়ার হামুকাল্লাহ

    অর্থঃ আল্লাহ আপনার প্রতি দয়া করুন।

  • ৪৩. এরপর হাঁচিদাতা বলবে

    يَهْدِيكُمُ اللَّهُ وَيُصْلِحُ بَالَكُمْ

    উচ্চারণঃ ইয়াহ্‌ দিকুমুল্লহু ওইয়ুছ লিহু বালাকুম

    অর্থঃ আল্লাহ আপনাকে হিদায়াত দান করুন। এবং আপনার অবস্থা ভালো করে দিন।

  • ৪৪. কেউ উপকার করলে তাঁর জন্যে এই বলে দু’আ করবে

    جَزَاكَ اللّٰهُ خَيْرًا

    উচ্চারণঃ জাযাকাল্লাহু খাইরান।

    অর্থঃ আল্লাহ তা’আলা আপনাকে উত্তম প্রতিদান দান করুন।

  • ৪৫. কাউকে বিদায় দেয়ার সময় পড়বে

    اَسْتَوْدِ عُ اللهَ دِيْنَكُمْ وَاَمَانَتَكُمْ وَخَوَاتِيْمَ اَعْمَالِكُمْ.

    উচ্চারণঃ আস্তাউদি‘উল্লাাহা দী নাকুম ওয়া আমাা নাতাকুম ওয়া খওয়াা তীমা আ’মাালিকুম।

    অর্থঃ তোমার দ্বীন-ঈমানকে এবং তোমার আমানতদারীকে এবং তোমার হোসনে খাতিমাকে (ঈমানের উপর মৃত্যু) আল্লাহ তা’আলার হাতে সোপর্দ করছি।

  • ৪৬. ঋণ পরিশোধের দু’আ

    اللَّهُمَّ اكْفِنِي بِحَلَالِكَ عَنْ حَرَامِكَ، وَأَغْنِنِي بِفَضْلِكَ عَمَّنْ سِوَاكَ

    উচ্চারণঃ আল্লাহুম্মাক ফিনি বিহালালিকা ’আন হারা-মিকা ওয়া আগনিনি বি ফাদলিকা আম্মান সিওয়াক।

    অর্থঃ হে আল্লাহ তুমি তোমার হারাম বস্তু হতে বাঁচিয়ে তোমার হালাল রিযিক দ্বারা আমাকে পরিতুষ্ট করে দাও ( হালাল রুজিই যেন আমার জন্য যথেষ্ট হয় ) এবং হারামের দিকে যাওয়ার প্রয়োজন এবং প্রবণতা বোধ না করি এবং তোমার অনুগ্রহ অবদান দ্বারা তুমি ভিন্ন অন্য সকল হতে আমাকে অমুখাপেক্ষী করে দাও।

  • ৪৭. দুলা ও দুলহানকে এভাবে দু’আ দেবে

    بَارَكَ اللهُ لَكَ وَبَارَكَ عَلَيْكَ وَجَمَعَ بَيْنَكُمَا فِىْ خَيْرٍ.

    উচ্চারণঃ বাারকাল্লাাহু লাকা ওয়া বাা রাকা ‘আলাইকা ওয়া জামা‘আ বাইনাকুমাা ফী খইর।

    অর্থঃ আল্লাহ পাক তোমাকে বরকতপূর্ণ করুন এবং তোমার উপর বরকত অবতীর্ণ করুন এবং তোমাদের উভয়কে মঙ্গলময় সম্পর্ক দান করুন।

  • ৪৮. স্ত্রীর সাথে প্রথম সাক্ষাতের সময় তার কপালে হাত রেখে এ দু’আ পড়বে

    اَللّٰهُمَّ اِنِّيْ اَسْئَلُكَ مِنْ خَيْرِهَا وَخَيْرِ مَا جَبَلْتَ عَلَيْهِ . وَاَعُوْذُ بِكَ مِنْ شَرِّهَا وَشَرِّ مَا جَبَلْتَ عَلَيْهِ.

    উচ্চারণঃ আল্লাাহুম্মা ইন্নী আস আলুকা মিন খইরি হাা ওয়া খইরি মাা জাবালতা ‘আলাইহি ওয়া আ‘ঊযুবিকা মিন শাররি হাা ওয়া শাররি মাা জাবালতা ‘আলাইহি।

    অর্থঃ হে আল্লাহ! আমি আপনার নিকট এ বিবির কল্যাণ এবং যে কল্যাণের উপর তাকে সৃষ্টি করেছেন, তা প্রার্থনা করছি এবং বিবির অনিষ্টতা এবং যে অনিষ্টতার উপর তাকে সৃষ্টি করেছেন তা থেকে পানাহ চাচ্ছি।

  • ৪৯. সহবাসের পূর্বে এই দু’আ পড়বে

    بِسْمِ اللّٰهِ اَللّٰهُمَّ جَنِّبْنَا الشَّيْطَانَ وَجَنِّبِ الشَّيْطَانَ مَا رَزَقْتَنَا.

    উচ্চারণঃ বিসমিল্লাাহি আল্লাাহুম্মা জান্নিবনাাশ শাইত্বাানা ওয়া জান্নিবিশ শাইত্বাানা মাা রযাক্বতানাা।

    অর্থঃ আল্লাহর নামের সাথে শুরু করছি। হে আল্লাহ! আপনি আমাদেরকে শয়তান হতে রক্ষা করুন এবং আপনি আমাদেরকে যে সন্তান দান করবেন তাকে শয়তান হতে রক্ষা করুন।

  • ৫০. বীর্যপাতের সময় (মনে মনে) এই দু’আ পড়বে

    اَللّٰهُمَّ لَا تَجْعَلْ لِلشَّيْطَانِ فِيْمَا رَزَقْتَنَا نَصِيْبًا.

    উচ্চারণঃ আল্লাাহুম্মা লাা তাজ‘আল লিশ শাইত্বাানি ফী মাা রযাক্বতানাা নাসীবাা।

    অর্থঃ হে আল্লাহ! আপনি আমাদেরকে যে সন্তান দান করবেন তাতে শয়তানের কোনো অংশ রাখবেন না।

  • ৫১. অনুগত সন্তান প্রার্থনা #১

    رَبِّ ہَبۡ لِیۡ مِنۡ لَّدُنۡکَ ذُرِّیَّۃً طَیِّبَۃً ۚ اِنَّکَ سَمِیۡعُ الدُّعَآءِ

    উচ্চারণঃ রাব্বি হাবলী মিল্লাদুনকা যুররিইয়াতান ত্বইয়্যিবাতান, ইন্নাকা সামি’উদ দু’য়া-ই।

    অর্থঃ হে, রব! আমাকে তুমি তোমার নিকট হতে নেক বংশধর দান কর। নিশ্চয়ই তুমি প্রার্থনা শ্রবণকারী।

  • ৫২. সন্তানের জন্য দু’আ

    رَبِّ اجْـعَـلْـنِـىْ مُـقِـيْـمَ الصَّـلـوةِ وَمِـنْ ذُرِّيَّـتِـىْ ق رَبَّـنَـا وَتَـقَـبَّـلْ دُعَـاءِ

    উচ্চারণঃ রাব্বিজা’আল্‌নি মুক্বীমাস সালা-তি ওয়া মিন্ যুররিয়্যাতী, রাব্বানা ওয়া তাক্বাব্বাল দু’আ।

    অর্থঃ হে আমার প্রতিপালক! আমাকে সালাত কায়েমকারী কর এবং আমার বংশধরদের মধ্য হতেও। প্রভু হে! আমার প্রার্থনা মঞ্জুর কর।

  • ৫৩. সন্তানের সংশোধনের জন্য দু’আ

    رَبِّ أَوْزِعْنِي أَنْ أَشْكُرَ نِعْمَتَكَ الَّتِي أَنْعَمْتَ عَلَيَّ وَعَلَىٰ وَالِدَيَّ وَأَنْ أَعْمَلَ صَالِحًا تَرْضَاهُ وَ اَصْـلِـحْ  لِـىْ  فِـي  ذُرِّيَّـتِـىْ  ج  اِنِّـىْ  تُـبْـتُ  اِلَـيْـكَ  وَاِنِّـىْ  مِـنَ  الْـمُـسْـلِـمِـيْـنَ

    উচ্চারণঃ রাব্বি আওঝি‘নীআন আশকুরা নি‘মাতাকাল্লাতীআন‘আমতা ‘আলাইইয়া ওয়া ‘আলা-ওয়া-লিদাইইয়া ওয়া আন আ‘মালা সা-লিহান তারদা-হু ওয়া আছলিহ্ লী ফী যুররিয়্যাতি; ইন্নী তুব্‌তু ইলাইকা ওয়া ইন্নী মিনাল্ মুসলিমীন।

    অর্থঃ হে আমার পালনকর্তা, আমাকে এরূপ ভাগ্য দান কর, যাতে আমি তোমার নেয়ামতের শোকর করি, যা তুমি দান করেছ আমাকে ও আমার পিতা-মাতাকে এবং যাতে আমি তোমার পছন্দনীয় সৎকাজ করি। আমার জন্য আমার সন্তানদের সৎকর্মপরায়ণ করে দিন; আমি অবশ্যই আপনার নিকট তওবা করছি এবং নিশ্চয়ই আমি অনুগত বান্দাদের একজন।

  • ৫৪. সন্তান লাভকারীকে অভিনন্দনে এই দু’আ করবে

    بَارَكَ اللَّهُ لَكَ فِي الْمَوْهُوبِ لَكَ، وَشَكَرْتَ الْوَاهِبَ، وَبَلَغَ أَشُدَّهُ، وَرُزِقْتَ بِرَّهُ

    উচ্চারণঃ বা-রাকাল্লা-হু লাকা ফিল মাউহুবি লাক, ওয়া শাকারতাল ওয়া-হিবা, ওয়া বালাগা আশুদ্দাহু, ওয়া রুযিক্তা বিররাহু

    অর্থঃ আল্লাহ আপনাকে যা দিয়েছেন তাতে আপনার জন্য বরকত দান করুন, সন্তান দানকারীর শুকরিয়া আদায় করুন, সন্তানটি পরিপূর্ণ বয়সে পদার্পণ করুক এবং তার সদ্ব্যবহার প্রাপ্ত হোন।

  • ৫৫. আয়না দেখার দু’আ

    اَلْحَمْدُ لِلّٰهِ اَللّٰهُمَّ كَمَا حَسَّنْتَ خَلْقِيْ فَحَسِّنْ خُلُقِيْ

    উচ্চারণঃ আলহামদু লিল্লাাহি আল্লাাহুম্মা কামাা হাসসানতা খলক্বী ফাহাসসিন খুলুক্বী।

    অর্থঃ সকল প্রশংসা আল্লাহর, হে আল্লাহ্‌! আপনি আমাকে যেরূপ সুন্দর চেহারা দান করেছেন তদ্রূপ আমার স্বভাব- চরিত্রকেও সুন্দর করে দিন।

  • ৫৬. নতুন কাপড় পরিধানের দু’আ

    ٖاَلْحَمْدُ لِلّٰهِ الَّذِيْ كَسَانِىْ مَا اُوَارِيْ بِهٖ عَوْرَتِـيْ وَاَتَجَمَّلُ بِهٖ فِيْ حَيَاتِيْ

    উচ্চারণঃ আলহামদু লিল্লাা হিল্লাযী কাসাানী মাা উ ওয়াারী বিহী ‘আউরতী ওয়া আতা জামমালু বিহী ফী হায়াাতী।

    অর্থঃ সমস্ত প্রশংসা আল্লাহ তায়ালার জন্য যিনি আমাকে কাপড় পরিধান করাইয়াছেন, এই কাপড় দ্বারা আমি আমার ছতর ঢাকি এবং আপন জিন্দেগিতে উহা দ্বারা সাজসজ্জা হাসিল করি।

  • ৫৭. কাপড় পরিধানের দু‘আ

    اَلْحَمْدُ لِلَّهِ الَّذِي كَسَانِي هَذَا الثَّوْبَ وَرَزَقَنِيهِ مِنْ غَيْرِ حَوْلٍ مِنِّي وَلا قُوَّةٍ.

    উচ্চারণঃ আলহামদু লিল্লাা হিল্লাযী কাসাানী হাাযাস সাউবা ওয়া রযা ক্বনীহি মিন গইরি হাওলিম মিন্নী ওয়ালাা কুউওয়াহ।

    অর্থঃ সমস্ত প্রশংসা সেই আল্লাহর জন্য যিনি আমাকে এই পোষাক পরিধান করাইয়াছেন এবং আমার চেষ্টা ও সামর্থ্য ছাড়া আমাকে ইহা নসীব করিয়াছেন।

  • ৫৮. সূর্য উঠার সময় পড়বে

    اَلْحَمْدُ لِلّٰهِ الَّذِىْ اَقَالَنَا يَوْمَنَا هَذَا وَلَمْ يُهْلِكْنَا بِذُنُوْبِنَا

    উচ্চারণঃ আলহামদুলিল্লাা হিল্লাযী আক্বাা লানাা ইয়াওমানাা হাযাা ওয়ালাম ইউহ লিকনাা বিযুনূ বিনাা।

    অর্থঃ সকল প্রশংসা ঐ আল্লাহ তা‘আলার জন্য যিনি আজকের দিনে আমাদেরকে ক্ষমা করে দিয়েছেন এবং গুনাহের কারণে আমাদেরকে ধ্বংস করেননি।

  • ৫৯. শয়তান হইতে হেফাজতের দু’আ

    لا الهَ اِلَّا اللّهُ وَحْدَهُ لا شَرِيْكَ لَهْ، لَهُ الْمُلْكُ وَ لَهُ الْحَمْدُ وَهُوَ عَلى كُلِّ شَئ ٍ قَدِيْرٌ

    উচ্চারণঃ লা ইলা-হা ইল্লাল্লা-হু ওয়াহদাহু লা শারীকা লাহু, লাহুল মুলকু ওয়া লাহুল হামদু ওয়া হুওয়া ’আলা কুল্লি শাইয়িন ক্বাদীর।

    অর্থঃ আল্লাহ ব্যতীত কোন উপাস্য নেই, তিনি একক, তাঁর কোন শরীক নেই। রাজত্ব তাঁরই, প্রশংসা কেবল তাঁর জন্যই। তিনি সকল বিষয়ে ক্ষমতাবান।

  • ৬০. নফসিয়্যাত থেকে বাচার দু’আ

    يَاحَىُّ يَا قَيُّوْمُ بِرَحْمَتِكَ أَسْتَغِيْثْ أَصْلِحْ لِىْ شَأْنِىْ كُلَّهُ وَلَا تَكِلْنِيْ إِلَى نَفْسِىْ طَرْفَةَ عَيْنِ

    উচ্চারণঃ ইয়া হাইয়্যু ইয়া কাইয়্যুম বি রহমাতিকা আস্তাগিস, আসলিহলি শা’নি- কুল্লাহু ওলা তাকিলনি ইলা নাফসি ত্বর ফাতা আঈ-ন

    অর্থঃ হে চিরঞ্জীব, হে জমিন আসমান ও সমস্ত মাখলুকের রক্ষাকারী, আমি আপনার রহমতের উসীলায় ফরিয়াদ করিতেছি যে, আমার সমস্ত কাজ দুরস্ত করিয়া দিন এবং আমাকে এক পলকের জন্যও আমার নফসের সোপর্দ করিবেন না ।

 

  • ৬১. চিন্তা থেকে হেফাজতের দু’আ

    حَسْبِيَ اللهُ لا إله إلا هو عَليه تَوَكّلْتُ وهو رَبُّ الْعَرشِ العَظِيْمِ

    উচ্চারণঃ হাসবিয়াল্লা-হু লা-ইলাহা ইল্লা-হুওয়া আলাইহি তাওয়াক্কালতু ওয়াহুওয়া রাব্বুল আরশিল আযীম।

    অর্থঃ আল্লাহ্ই আমার জন্য যথেষ্ট, তিনি ব্যতীত কোন মা’বুদ নেই, তাঁর প্রতি ভরসা করেছি, তিনি মহান আরশের অধিপতি।

  • ৬২. কষ্টদায়ক জিনিস হইতে হেফাজতের দু’আ

    قُلْ هُوَ اللَّهُ أَحَدٌ

    (সুরা ইখলাস)

    قُلْ أَعُوذُ بِرَبِّ الْفَلَقِ

    (সুরা ফালাক্ব)

    قُلْ أَعُوذُ بِرَبِّ النَّاسِ

    (সুরা নাস)

    উচ্চারণঃ ক্বুলহু আল্লাহু আহাদ। ক্বুল আউযু বিরাব্বিল ফালাক। ক্বুল আউযু বিরাব্বিন নাস।

  • ৬৩. বাজারে যাওয়ার পর এই দু’আ পড়বে

    لَا اِلٰهَ اِلَّااللّٰهُ وَحْدَهٗ لَا شَرِيْكَ لَهٗ . لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ. يُحْيِيْ ويُمِيْتُ وَهُوَ حَيٌّ لَا يَمُوْتُ. بِيَدِهِ الْخَيْرُ وَهُوَ عَلٰی كُلِّ شَيْءٍ قَدِيْرٌ.

    উচ্চারণঃ লাা ইলাাহা ইল্লাল্লাাহু ওয়াহ দাহু লাা শারীকালাহু লাহুল মুলকু ওয়ালাহুল হামদু ইউহয়ি ওয়া ইউমীতু ওয়া হুয়া হাইয়্যু লাা ইয়া মূতু বিয়াদিহিল খইর ওয়াহু ওয়া ’আলা কুল্লি শাইয়্যিন ক্বদীর।

    অর্থঃ এক আল্লাহ তা’আলা ব্যতীত অন্য কোনো মাবুদ নেই। তিনি এক। তাঁর কোনো শরিক নেই। সকল রাজত্ব তাঁরই জন্যে। সকল প্রশংসা তাঁরই। তিনিই জীবিত করেন, তিনিই মৃত্যু দেন। এবং তিনিই চিরঞ্জীব অমর। তিনি কখনো মৃত্যু বরণ করেন না। তাঁর হাতেই সকল কল্যাণের চাবিকাঠি। তিনিই সর্বশক্তিমান।

  • ৬৪. ক্রোধ বা রাগ দমনের জন্যে এই দু’আ পড়বে

    اَعُوْذُ بِاللهِ مِنَ الشَّيْطَانِ الرَّجِيْمِ

    উচ্চারণঃ আ‘ঊযুবিল্লাাহি মিনাশ শাইতাানির রজীম।

    অর্থঃ আমি বিতাড়িত শয়তান থেকে আল্লাহর কাছে আশ্রয় চাচ্ছি।

  • ৬৫. দুনিয়া ও আখেরাতের সার্বিক কল্যাণের জন্যে এই দু’আ পড়বে

    اللهم رَبَّـنَا آتِنَا فِي الدُّنْيَا حَسَنَةً وَفِي الآخِرَةِ حَسَنَةً وَقِنَا عَذَابَ النَّارِ

    উচ্চারণঃ আল্লাহুম্মা রব্বানা আতীনা ফিদ্দুনিয়া হাসানাতাও ওফিল আখিরাতি হাসানাতাও ওকিনা আজাবান্নার

    অর্থঃ হে আল্লাহ্‌! আমাদের প্রতিপালক! দুনিয়া ও আখেরাতে আমাদেরকে কল্যাণ দান করুন। এবং জাহান্নাম থেকে পরিত্রাণ দান করুন।

  • ৬৬. মজলিসের কাফফারার দু’আ

    سُبْحَانَ اللهِ وَبِحَمْدِه سُبْحَانَكَ اللَّهُمَّ وَبِحَمْدِكَ، أَشْهَدُ أَنْ لاَ إِلَهَ إِلاَّ أَنْتَ، أَسْتَغْفِرُكَ وَأَتُوبُ إِلَيْكَ

    উচ্চারণঃ সুবহাানাল্লাাহি ওয়া বিহামদিহী সুবহাানা কাল্লাাহুম্মা ওয়া বিহামদিকা আশহাদু আল লাা ইলাাহা ইল্লাা আনতা আস্তাগফিরুকা ওয়া আতূবু ইলাইক।

    অর্থঃ হে আল্লাহ! আমরা আপনার পবিত্রতা বর্ণনা করছি এবং প্রশংসা ব্যক্ত করছি। আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আপনি ছাড়া অন্য কোন মা‘বুদ নেই, আমি আপনার নিকট ক্ষমা চাচ্ছি এবং আপনার দিকেই ধাবিত হচ্ছি।

  • ৬৭. দু’আর আদব

    আল্লাহ তা‘আলার কাছে প্রার্থনা করার পদ্ধতি

    অর্থঃ হযরত মুয়াজ ইবনে জাবাল (রাযিঃ) বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এক ব্যাক্তির নিকট দিয়া গেলেন । সে এরূপ দু’আ করিতেছিল, আয় আল্লাহ ! আমি আপনার নিকট সবর করার তৌফিক চাহিতেছি । রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু তাআলা আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিলেন, তুমি তো আল্লাহ্‌র নিকট মুসিবত চাহিয়াছ। (কেননা সবর তো মুসিবতের উপর হইয়া থাকে।) আল্লাহ্‌ তায়ালার নিকট নিরাপদ জীবন চাও। অপর এক ব্যাক্তির নিকট দিয়া রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু তাআলা আলাইহি ওয়াসাল্লাম গেলেন। সে এই দু’আ করিতেছিল, আয় আল্লাহ্‌ ! আমি আপনার নিকট পরিপূর্ন নেয়ামত চাই। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিলেন, হে আদমের বেটা ! তুমি জান কি, পরিপূর্ন নেয়ামত কি? সে বলিল, ইয়া রাসুলুল্লাহ ! আমি এই দু’আ কল্যান কামনা করিয়া চাহিয়াছি। (আমি জানিনা পরিপূর্ন নেয়ামত কি?) তিনি বলিল পরিপূর্ন নেয়ামত হইল জাহান্নাম হইতে নাজাত পাওয়া ও জান্নাতে প্রবেশ করা। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু তাআলা আলাইহি ওয়াসাল্লাম অপর এক ব্যক্তির নিকট দিয়া গেলেন। সে এরূপ বলতেছিল-- يَا ذَا الْجَلاَلِ واْلإِكْرَامِ তিনি বলিলেন, তোমার দু’আ কবুল হওয়া নিশ্চিত হইয়া গিয়াছে, তুমি চাও। (কানয,) ‍

  • ৬৮. আকাশ মেঘাচ্ছন্ন দেখলে পড়বে-

    اَللّٰهُمَّ اِنَّا نَعُوْذُبِكَ مِنْ شَرِّمَا اُرْسِلَ بِهٖ.

    উচ্চারণঃ আল্লাাহুম্মা ইন্নাা না‘ঊযুবিকা মিন শাররি মাা উরসিলা বিহ।

    অর্থঃ অর্থঃ হে আল্লাহ! আমরা আপনার নিকট ঐ সকল অনিষ্ট হতে পানাহ চাচ্ছি, যাকে এ মেঘ বহন করে এনেছে।

  • ৬৯. কারো থেকে অত্যাচারের আশংকা হলে পড়বে-

    اَللّٰهُمَّ اِنَّا نَجْعَلُكَ فِيْ نُحُوْرِهِمْ وَنَعُوْذُ بِكَ مِنْ شُرُوْرِهِمْ.

    উচ্চারণঃ আল্লাাহুম্মা ইন্নাা নাজ‘আলুকা ফী নুহূ রিহিম ওয়া না‘ঊযুবিকা মিন শুরূ রিহিম।

    অর্থঃ অর্থঃ হে আল্লাহ! আমি আপনাকে এদের মুকাবেলায় (নিজের) ঢাল বানিয়েছি এবং তাদের অনিষ্ট হতে আপনার আশ্রয় গ্রহণ করছি।

  • ৭০. কুনুত-ই-নাযেলা

    "اَللَّهُمَّ اهْدِنِيْ فِيْمَنْ هَدَيْتَ، وَعَافِنِيْ فِيْمَنْ عَافَيْتَ، وَتَوَلَّنِيْ فِيْمَنْ تَوَلَّيْتَ، وَبَارِكْ لِيْ فِيْمَا أَعْطَيْتَ، وَقِنِيْ شَرَّمَا قْضَيْتَ؛ إِنَّكَ تَقْضِىْ وَلاَ يُقْضَى عَلَيْكَ، وَإنَّهُ لاَ يَذِلُّ مَنْ وَّالَيْتَ، وَلاَ يَعِزُّ مَنْ عَادَيْتَ، تَبَارَكْتَ رَبَّنَا وَتَعَالَيْتَ"

    উচ্চারণঃ আল্লা-হুম্মাহদিনী ফীমান হাদাইতা ওয়া ‘আ-ফিনী ফীমান ‘আ-ফাইতা ওয়া তাওয়াল্লানী ফীমান তাওয়াল্লাইতা ওয়াবা-রিক লী ফীমা আ‘ত্বাইতা ওয়াক্বিনী শাররা মা ক্বাদাইতা ফাইন্নাকা তাক্ব‌্দ্বী ওয়ালা ইউক্ব্‌দ্বা ‘আলাইকা। ওয়া ইন্নাহু লা ইয়াযিল্লু মাও ওয়া-লাইতা, ওয়ালা ইয়া‘ইয্যু মান ‘আ-দাইতা। তাবা-রক্‌তা রব্বানা ওয়া তা‘আ-লাইতা)

    অর্থঃ “হে আল্লাহ! আপনি যাদেরকে সুখদায়ক সৎ পথ প্রকৃত ইসলামের অনুগামী করেছেন, আমাকেও তাদের অন্তর্ভুক্ত করুন। আপনি যাদেরকে সুখশান্তিপূর্ণ মঙ্গলময় জীবন প্রদান করেছেন, আমাকেও তাদের অন্তর্ভুক্ত করুন। আপনি যাদেরকে সর্ব প্রকার কল্যাণ প্রদানের সহিত সাহায্য করেছেন, আমাকেও তাদের অন্তর্ভুক্ত করুন। আপনি আমাকে যে সমস্ত মঙ্গলদায়ক জিনিস প্রদান করেছেন, সেগুলিকে আমার জন্য অধিকতর মঙ্গলদায়ক করুন। আপনি যে ফয়সালা করেছেন, তার অমঙ্গল হতে আমাকে রক্ষা করুন। কেননা সব জগতের সঠিক পরিচালনার জন্য যে ফয়সালা আপনি করেছেন, সেটাই সঠিক ফয়সালা। তাই আপনার ফয়সালার উপরে আর কোনো প্রকারের সঠিক ফয়সালা নেই। আপনি যাকে ভালো বাসবেন, সে কোনো দিন অপমানিত হতে পারে না। আর আপনি যার জন্য অমঙ্গল নির্ধারণ করবেন, সে কোনো দিন শক্তিশালী হতে পারবে না। হে আমাদের প্রতিপালক! আপনি মহাকল্যাণময় এবং মহামহিমান্বিত”।

  • ৭১. দ্বীনের উপর অবিচল থাকার দু‘আ

    يَا مُقَلِّبَ الْقُلُوبِ ثَبِّتْ قَلْبِيْ عَلٰى دِيْنِكَ

    উচ্চারণঃ ইয়া মুকাল্লিবাল ক্বুলু-বি ছাব্বিত ক্বলবী আ’লা দ্বী-নিকা

    অর্থঃ হে অন্তরের পরিবর্তনকারী! আমার অন্তরকে তুমি তোমার দ্বীনের উপর প্রতিষ্ঠিত রাখ।

  • ৭২. হকের উপর অবিচল থাকার দু‘আ

    اَللّٰهُمَّ اَرِنَا الْحَقَّ حَقًّا وَّارْزُقْنَا اتِّبَاعَهٗ، وَاَرِنَا الْبَاطِلَ بَاطِلًا وَّارْزُقْنَا اجْتِنَابَهٗ.

    উচ্চারণঃ আল্লাহুম্মা আরিনাল হাক্কা হাক্কাও ওয়ারজুকনাত্তিবায়াহু ওয়া আরিনাল বাতিলা বাতিলাও ওয়ারজুকনাজতিনাবাহু

    অর্থঃ হে আল্লাহ, আপনি হককে হক হিসেবে আমাদের দেখান এবং এর অনুসরণের তাওফীক দিন, আর বাতিলকে বাতিল হিসেবে দেখান এবং এটাকে পরিত্যাগ করার তাওফীক দিন।

  • ৭৩. কোন রোগের মহামারী থেকে বেঁচে থাকার দু’আ

    اَللَّهُمَّ اِنِّىْ اَعُوْذُ بِكَ مِنَ الْبَرَصِ وَ الْجُنُوْنِ وَ الْجُذَامِ وَمِنْ سَىِّءِ الْاَسْقَامِ

    উচ্চারণঃ আল্লহুম্মা ইন্নি আউযুবিকা মিনাল বারসি ওয়াল জুনুনি ওয়াল জুযামি ওয়া মিন ছাইয়্যি ইল আসক্বম

    অর্থঃ হে আল্লাহ্‌! অবশ্যই আমি তোমার নিকট ধবল, মস্তিষ্ক বিকৃতি, কুষ্ঠরোগ এবং সকল প্রকার দূরারোগ্য ব্যধি থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করছি।

  • ৭৪. মুসিবতের সম্মুখীন হলে

    اِنَّا لِلّٰهِ وَاِنَّا اِلَيْهِ رَاجِعُوْنَ. اَللّٰهُمَّ اْجُرْنِيْ فِـيْ مُصِيْبَتِيْ. وَاَخْلِفْ لِيْ خَيْرًا مِّنْهَا.

    উচ্চারণঃ ইন্নাা লিল্লাাহি ওয়া ইন্নাা ইলাইহি রাাজি‘ঊন, আল্লাাহুম্মা’ জুরনী ফী মুসী বাতী ওয়া আখলিফলী খইরম মিনহাা।

    অর্থঃ নিঃসন্দেহে আমরা আল্লাহ তায়ালারই জন্য এবং আল্লাহ তায়ালারই দিকে ফিরিয়া যাইব। আয় আল্লাহ ! আমাকে আমার মুসিবতের উপর সওয়াব দান করুন, আর যে জিনিস আপনি আমার নিকট হইতে লইয়া গিয়াছেন উহা হইতে উত্তম জিনিস আমাকে দান করুন।

  • ৭৫. দুঃসংবাদ শুনলে এই দু’আ পড়বে

    إِنَّا لِلَّهِ وَإِنَّا إِلَيْهِ رَاجِعُونَ

    উচ্চারণঃ ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রজিউন।

    অর্থঃ আমরাতো আল্লাহরই এবং নিশ্চিতভাবে আমরা তাঁর নিকট প্রত্যাবর্তনকারী।

  • ৭৬. গুরু দায়িত্বভার থেকে মুক্তির দু’আ

    رَبَّـنَـا  وَلاَ  تُـحَـمِّـلْـنَـا  مَـا  لاَ  طَـاقَـةَ  لَـنَـا  بِـه.  وَاعْـفُ  عَـنَّـا  وَاغًـفِـرْلَـنَـا وَارْحَـمْـنَـا اَنْـتَ مَـوْلَـنَـا فَـانْـصُـرْنَـا عَـلَـى الْـقَـوْمِ الْـكـفَـرِيْـنَ

    উচ্চারণঃ রাব্বানা ওয়া লা তুহাম্মিলনা- মা-লা- ত্বা-ক্বাতা লানা- বিহ, ওয়া’ফু ’আন্না- ওয়াগ্‌ফির লানা- ওয়ারহামনা আন্তা মাওলা-না ফানসুরনা ’আলাল ক্বাওমিল কা-ফিরীন।

    অর্থঃ হে আমাদের প্রতিপালক! এমন ভার আমাদের ওপর অর্পণ করো না যা বহন করার শক্তি আমাদের নেই। আমাদের পাপমোচন কর, আমাদের ক্ষমা কর। আমাদের প্রতি রহমত নাযিল কর, তুমি আমাদের অভিভাবক-আশ্রয়দাতা। কাফিরদের প্রতিকূলে তুমি আমাদের সাহায্য কর।

  • ৭৭. কোনো সমস্যার সম্মুখীন হলে পড়বে

    يَا حَيُّ يَا قَيُّوْمُ بِرَحْمَتِكَ اَسْتَغِيْثُ

    উচ্চারণঃ ইয়া হাইয়ু ইয়া কাইয়ুম বিরাহ্‌মাতিকা আস্তাগিস।

    অর্থঃ হে চিরঞ্জীব! হে সকল বস্তুর ধারক! আমি আপনারই রহমতের প্রার্থনা করছি।

  • ৭৮. কাহারো খারাবী দেখিয়া নিরবে এই দু‘আ পড়বে

    اَلْحَمْدُ لِلّٰهِ الَّذِيْ عَافَانِيْ مِمَّا ابْتَلَاكَ بِهٖ وَفَضَّلَنِيْ عَلٰی كَثِيْرٍ مِّمَّنْ خَلَقَ تَفْضِيْلًا.

    উচ্চারণঃ আলহামদুলিল্লাা হিল্লাযী ‘আা ফাা নী মিম্মাাব তালাাকা বিহি ওয়া ফায যালানী ‘আলা কাসীরিন মিম্মান খলাক্বা তাফযীলা।

    অর্থঃ সমস্ত প্রশংসা আল্লাহ তায়ালার জন্য যিনি আমাকে সেই অবস্থা হইতে রক্ষা করিয়াছেন যাহাতে তোমাকে লিপ্ত করিয়াছেন এবং তিনি আমাকে তাহার অনেক মাখলুক হইতে সম্মান দান করিয়াছেন।

  • ৭৯. সাপের ভয় হলে এ দু‘আ পড়বে

    اِنَّا نَسْئَلُكَ بِعَهْدِ نُوْحٍ وَبِعَهْدِ سُلَيْمَانَ بْنِ دَاؤُدَ اَنْ لَا تُؤْذِيْنَا.

    উচ্চারণঃ ইন্নাা নাসআলুকা বি‘আহদি নূ হিন ওয়া বি ‘আহদি সুলাই মাানাবনি দা উদা আন লাা তু’যীনাা।

    অর্থঃ ও হে সাপ! আমরা নূহ্ আলাইহিস সালাম এবং সুলাইমান আলাইহিস সালামের অঙ্গীকারের কথা তোদের স্মরণ করিয়ে দিচ্ছি। তোরা আমাদের কোন ক্ষতি করিস না এবং আমাদের কষ্ট দিস না।

  • ৮০. বিষাক্ত প্রানী থেকে বাঁচার দু’আ

    أعُوْذُ بِكَلِمَاتِ اللهِ التَّامَّاتِ مِنْ شَرِّ مَا خَلَقَ

    উচ্চারণঃ আউযুবি কালিমাতিল্লাহিত তাম্মাতি মিনসাররি-মা-খলাক।

    অর্থঃ আমি আল্লাহ্‌ তায়ালার সমস্ত (উপকারী ও শেফাদানকারী) কলেমা দ্বারা তাহার সমস্ত মাখলুকের অনিষ্ট হইতে আশ্রয় চাহিতেছি।

 

  • ৮১. কষ্ট দূর করার দু’আ

    ﻟَﺎ ﺣَﻮْﻝَ ﻭَﻟَﺎ ﻗُﻮَّﺓَ ﺍِﻟَّﺎ ﺑِﺎﻟﻠﻪِ ﻭَﻟَﺎ ﻣَﻨْﺠَﺎَ ﻣِﻦَ ﺍﻟﻠﻪِ ﺍِﻟَّﺎ ﺍِﻟَﻴْﻪِ

    উচ্চারণঃ লা হাওলা ওয়ালা-ক্বুওয়াতা ইল্লা-বিল্লাহি ওয়ালা মানজা মিনাল্লহি ইল্লা ইলাইহি

  • ৮২. প্রচণ্ড ঝড়-বাতাস বইতে শুরু করলে এ দু’আ পড়বে

    اَللّٰهُمَّ اِنِّىْ اَسْاَ لُكَ خَيْرَهَا وَخَيْرَ مَا فِيْهَا وَخَيْرَ مَا اُرْسِلَتْ بِهٖ وَاَعُوْذُ بِكَ مِنْ شَرِّهَا وَشَرِّ مَا فِيْهَا وَشَرِّ مَا اُرْسِلَتْ بِهٖ.

    উচ্চারণঃ আল্লাাহুম্মা ইন্নী আসআলুকা খইরাহাা ওয়া খইরামাা ফী হাা ওয়া খইরামাা উরসিলতা বিহি ওয়া আ‘ঊযুবিকা মিন শাররি মাা ফী হা ওয়া শাররি মাা উরসিলাত বিহি।

    অর্থঃ হে আল্লাহ! আমি আপনার নিকট প্রার্থনা করি এর কল্যাণ, এর মধ্যকার কল্যাণ এবং যা এর সাথে প্রেরিত হয়েছে তার কল্যাণ। আর আমি আপনার আশ্রয় চাই এর অনিষ্ট থেকে, এর ভেতরে নিহিত অনিষ্ট থেকে এবং যা এর সাথে প্রেরিত হয়েছে তার অনিষ্ট থেকে।

  • ৮৩. বৃষ্টি হওয়ার সময় পড়বে

    اَللّٰهُمَّ صَيِّبًا نَافِعًا.

    উচ্চারণঃ আল্লাাহুম্মা সইয়্যিবান নাা ফি ‘আন।

    অর্থঃ হে আল্লাহ! (এ বৃষ্টিকে) কল্যাণকর, বরকতপূর্ণ এবং উপকারী বানিয়ে দিন।

  • ৮৪. বেশি বৃষ্টি হলে পড়বে

    اَللّٰهُمَّ حَوَالَيْنَا وَلَا عَلَيْنَا

    উচ্চারণঃ আল্লাাহুম্মা হাওয়াা লাইনাা ওয়ালাা ‘আলাইনাা।

    অর্থঃ হে আল্লাহ! এ বৃষ্টি আমাদের আশপাশে (যেখানে প্রয়োজন) বর্ষণ করুন এবং আমাদের উপর বর্ষণ করবেন না।

  • ৮৫. মেঘের গর্জন শুনলে পড়বে

    اَللّٰهُمَّ لاَ تَقْتُلْنَا بِغَضَبِكَ وَلَا تُهْلِكْنَا بِعَذَابِكَ وَعَافِنَا قَبْلَ ذٰلِكَ.

    উচ্চারণঃ আল্লাাহুম্মা লাা তাক্বতুলনাা বি গযাবিকা ওয়ালাা তুহলিকনাা বি ‘আযাাবিকা ওয়া ‘আাফিনাা ক্ববলা যালিক।

    অর্থঃ হে আল্লাহ! দয়া করে আপনি আমাদেরকে আপনার গযবের দ্বারা মৃত্যু দেবেন না এবং আপনার আযাব দ্বারা ধ্বংস করবেন না। বরং এর পূর্বেই আমাদেরকে শান্তি ও নিরাপত্তা দান করুন।

  • ৮৬. জুমার দিন আসরের পরের দুরূদ

    اَللّٰهُمَّ صَلِّ عَلىٰ مُحَمَّدٍن النَّبِيِّ الأمِّىِّ وَعَلَىٰ اٰلِهٖ وَسَلِّمْ تَسْلِيْمًا.

    উচ্চারণঃ আল্লাহুম্মা সাল্লি ’আলা মুহাম্মাদিনি ন্নাবিয়্যিল উম্মিয়্যি ওয়া আ’লা আ’লিহী ওয়া সাল্লিম তাস্‌লিমা।

    অর্থঃ হে আল্লাহ তুমি শান্তি ও রহমত বর্ষণ কর উম্মী নবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু তাআলা আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর ওপর ও তার পরিবার পরিবর্গের ওপর।

  • ৮৭. দুরূদে ইব্রাহিম

    اللّٰهُمَّ صَلِّ عَلٰى مُحَمَّدٍ وَّعَلٰى آلِ مُحَمَّدٍ كَمَا صَلَّيْتَ عَلٰى إِبْرَاهِيْمَ وَعَلٰى آلِ إِبْرَاهِيْمَ إِنَّكَ حَمِيْدٌ مَّجِيْدٌ .. اَللّٰهُمَّ بَارِكْ عَلٰى مُحَمَّدٍ وَّعَلٰى آلِ مُحَمَّدٍ كَمَا بَارَكْتَ عَلٰى إِبْرَاهِيْمَ وَعَلٰى آلِ إِبْرَاهِيْمَ إِنَّكَ حَمِيْدٌ مَّجِيْدٌ

    উচ্চারণঃ আল্লাহুম্মা সাল্লি আ’লা মুহাম্মাদিওঁ ওয়া আ’লা আলি মুহাম্মাদিন কামা সাল্লাইতা আ’লা ইব্‌রাহীমা ওয়া আ’লা আলি ইব্‌রাহীমা ইন্নাকা হামীদুম্ মাজীদ, আল্লাহুম্মা বারিক আ’লা মুহাম্মাদিওঁ ওয়া আ’লা আলি মুহাম্মাদিন কামা বারাক্‌তা আ’লা ইব্রাহীমা ওয়া আ’লা আলি ইব্রাহীমা ইন্নাকা হামীদুম্ মাজীদ।

    অর্থঃ হে আল্লাহ! আপনি আমাদের নবী মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু তাআলা আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও তাঁর পরিজনের প্রতি রহমত বর্ষণ করুন, যেভাবে বর্ষণ করেছেন ইব্রাহীম (আঃ) ও তাঁর এর পরিজনের প্রতি, নিশ্চই আপনি প্রশংসিত ও সম্মানিত। হে আল্লাহ! আপনি বরকত নাযিল করুন, আমাদের নবী মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু তাআলা আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও তাঁর পরিজনের প্রতি যেভাবে আপনি বরকত নাযিল করেছেন ইব্রাহীম (আঃ) ও তাঁর এর পরিজনের প্রতি, নিশ্চই আপনি প্রশংসিত ও সম্মানিত।

  • ৮৮. সংক্ষিপ্ত দুরূদ

    اللّٰهُـــمَّ صَـــلِّ عَلَــــى مُحَمَّــــد

    উচ্চারণঃ আল্লহুম্মা সল্লি আ’লা মুহাম্মাদ।

    অর্থঃ হে আল্লাহ! দয়া ও রহমত কর আমাদের সরদার ও নেতা হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু তাআলা আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর প্রতি।

  • ৮৯. অতীব গুরুত্তপূর্ন একটি দুরূদ

    اَللّٰهُمَّ صَلِّ عَلٰى مُحَمَّدٍ وَّاَنْزِلْهُ الْمَقْعَدَ الْمُقَرَّبَ عِنْدَكَ يَوْمَ الْقِيَامَةِ.

    উচ্চারণঃ আল্লহুম্মা সল্লি আ’লা মুহাম্মাদিওঁ ওয়া আনঝিল হুল মাক্ব’আদাল মুক্বার্‌রবা ই’ন্দাকা ইয়াওমাল ক্বিয়ামাহ্‌।

    অর্থঃ হে আল্লাহ! কিয়ামতের দিন তুমি তাঁকে তোমার নিকটতম স্থানে অধিষ্ঠিত কর।

  • ৯০. সাইয়্যেদুল ইস্তিগফার

    أللّٰهُمَّ أَنْتَ رَبِّي لَا إِلَهَ إِلَّا أَنْتَ خَلَقْتَنِي وَأَنَا عَبْدُكَ وَأَنَا عَلَى عَهْدِكَ وَوَعْدِكَ مَا اسْتَطَعْتُ أَعُوذُ بِكَ مِنْ شَرِّ مَا صَنَعْتُ أَبُوءُ لَكَ بِنِعْمَتِكَ عَلَيَّ وَأَبُوءُ لَكَ بِذَنْبِي فَاغْفِرْ لِي فَإِنَّهُ لَا يَغْفِرُ الذُّنُوبَ إِلَّا أَنْتَ

    উচ্চারণঃ উচ্চারণ: “আল্লাহুম্মা আনতা রব্বী লা-ইলাহা ইল্লা আনতা খালাক্কতানী ওয়া আনা আ’বদুকা ওয়া আনা আ’লা আহ্‌দিকা ওয়া ও’য়াদিকা মাসতাত’তু আ’উযুবিকা মিন শার্‌রি মা ছা’নাতু আবূউলাকা বিনি’মাতিকা আ’লাইয়্যা ওয়া আবূউলাকা বিযানবী ফাগ্‌ফির্‌লী ফাইন্নাহু লা-ইয়াগফিরুয্‌যুনূবা ইল্লা আনতা

    অর্থঃ হে আল্লাহ! তুমি আমার রব। তুমি ছাড়া আর কোনো সত্য মাবুদ নাই। তুমি আমাকে সৃষ্টি করেছ, আমি তোমার বান্দা। আমি তোমার ওয়াদা ও অঙ্গীকারের উপর সাধ্যানুযায়ী প্রতিষ্ঠিত। আমি অনিষ্টকর যা কিছু করেছি তা থেকে তোমার কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করছি। আমার উপর তোমার যে নিয়ামত আছে তার স্বীকৃতি দিচ্ছি। তোমার নিকট আমার গুনাহের স্বীকৃতি দিচ্ছি। সুতরাং তুমি আমাকে ক্ষমা করে দাও; কেননা তুমি ছাড়া আর কেউ গুনাহ ক্ষমা করতে পারে না।

  • ৯১. ইস্তিগফার

    أَسْتَغْفِرُ اللَّهَ

    উচ্চারণঃ আস্তাগ্‌ ফিরুল্লাহ

    অর্থঃ আমি আল্লাহর নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করছি।

  • ৯২. লা হাওলা

    لا حَوْلَ وَلا قُوَّةَ إِلَّا بِاللهِ

    উচ্চারণঃ লা হাওলা ওলা ক্বুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ্‌

    অর্থঃ আল্লাহর আশ্রয় ও শক্তি ছাড়া আর কারো কোনো ক্ষমতা নাই

  • ৯৩. কাজ পূর্ণ হওয়ার জন্য দু’আ

    رَبَّـنَـا  تَـقَـبَّـلْ  مِـنَّـا  ط  اِنَّـكَ  اَنْـتَ  السَّـمِـيْـعُ  الْـعَـلِـمُ  وَتُـبْ عَـلَـيْـنَـا ج اِنَّـكَ اَنْـتَ الـتَّـوَّابُ الرَّحِـيْـمُ

    উচ্চারণঃ রাব্বানা তাক্বাব্বাল মিন্না ইন্নাকা আংতাস্ সামী‘ঊল ‘আলীম। ওয়াতুব্ ‘আলাইনা, ইন্নাকা আন্তাত্ তাওয়্যা-বুর রাহিম।

    অর্থঃ হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদের এ কাজকে তুমি কবুল কর, নিশ্চয়ই তুমি সর্বশ্রোতা, সর্বজ্ঞাত; এবং আমাদের প্রতি ক্ষমাশীল হও। তুমিতো অত্যন্ত ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।

  • ৯৪. স্বামী-স্ত্রীর ও সন্তানের জন্য দু’আ

    رَبَّنَا هَبْ لَنَا مِنْ أَزْوَاجِنَا وَذُرِّيَّاتِنَا قُرَّةَ أَعْيُنٍ وَّاجْعَلْنَا لِلْمُتَّقِينَ إِمَاماً

    উচ্চারণঃ রাব্বানা হাব্ লানা মিন্ আয্ওয়াজ্বিনা ওয়া যুররিইয়্যাতিনা ক্বুরওয়াতা আ’ইউনিওঁ ওয়াজ্ব’আলঅনা লিল্ মুত্তাক্বিনা ইমামা।

    অর্থঃ হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদের জন্য এমন সাথী (স্বামী বা স্ত্রী) এবং সন্তান-সন্ততি দান কর যারা হবে আমাদের জন্য নয়নপ্রীতিকর এবং আমাদেরকে কর মুত্তাকিদের জন্য অনুসরণযোগ্য।

  • ৯৫. পিতা-মাতার জন্য দু’আ

    رَبِّ ارْحَـمْـهُـمَـا  كَـمَـا رَبَّيَانِي صَـغِـيْـرًا

    উচ্চারণঃ রব্বির হাম্‌ হুমা কামা রব্বা ইয়ানি সগিরা

    অর্থঃ হে আমাদের প্রতিপালক! তাদের উভয়ের (পিতা-মাতার) প্রতি দয়া কর যেভাবে শৈশবে তারা আমাকে প্রতিপালন করেছিলেন।

  • ৯৬. শান্তি ও সাফল্যের দু’আ

    رَبِّ هَـبْ لِـىْ حُـكْـمًـا وَّاَلْحِـقْـنِـىْ بِـالـصّٰـلِـحِـيْـنَ وَاجْـعَـلْ لِّـىْ لِـسَـانَ صِـدْقٍ فِـى الاٰخِـرِيْـنَ وَاجْـعَـلْـنِـىْ مِـنْ وَّرَثَـةِ جَـنَّـةِ الـنّـعِـيْـمِ

    উচ্চারণঃ রাব্বি হাবিলি হুক্‌মাও ওয়া আল হিক্বনি বিস্‌সালিহিন। ওয়াজা’আল্লি লিসা না সিদিকিন ফিল্ আখিরীন। ওয়াজ’আলনী মিওঁ ওয়ারাছাতি জান্নাতিন্ না’ঈম।

    অর্থঃ হে আমাদের প্রতিপালক! আমাকে জ্ঞান দান কর, এবং সৎকর্মপরায়ণদের শামিল কর। আমাকে পরবর্তীদের মধ্যে যশস্বী কর এবং আমাকে সুখময় জান্নাতের অধিকারীদের অন্তর্ভুক্ত কর।

  • ৯৭. ক্ষমার জন্য দু’আ ১

    رَبَّـنَـا  فَـاغْـفِـرْلَـنَـا  ذُنُـوْبَـنَـا  وَكَـفِّـرْ  عَـنَّـا  سَـيِّـاتِـنَـا  وَتَـوَفَّـنَـا  مَـعَ  الاَبْـرَارِ

    উচ্চারণঃ রাব্বানা ফাগ্‌ফিরলানা যুনূবানা ওয়া কাফ্‌ফির ’আন্না সাইয়্যি আ’তিনা ওয়া তাওয়াফ্‌ফানা মা’আল আব্‌রার।

    অর্থঃ হে আমাদের প্রতিপালক! তুমি আমাদের পাপ ক্ষমা কর, আমাদের মন্দ কাজগুলি দূরীভূত কর এবং আমাদেরকে সৎকর্মপরায়ণদের সহগামী করে মৃত্যু দিও।

  • ৯৮. ক্ষমার জন্য দু’আ ২

    رَبِّ  اغْـفِـرْ  وَارْحَـمْ  وَاَنْـتَ  خَـيْـرُ  الرّٰحِـمِـيْـنَ

    উচ্চারণঃ রাব্বিগ্‌ফির ওয়ারহাম ওয়া আংতা খাইরুর রাহিমিন।

    অর্থঃ হে আমার রব! মাফ কর, রহম কর, তুমি সব দয়াবানের চেয়ে অতি উত্তম দয়াবান।

  • ৯৯. মুমিনদের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা

    رَبَّـنَـا  اغْـفِـرْلِـىْ  وَلِـوَالِـدَىَّ  وَلِـلْـمُـؤْمِـنِـيْـنَ  يَـوْمَ  يَـقُـوْمُ  الْـحِـسَـابُ

    উচ্চারণঃ রাব্বানাগ্ ফিরলী ওয়া লিওয়ালিদাইয়্যা ওয়ালিল্ মু’মিনীনা ইয়াওমা ইয়াকুমুল্ হিসাব্।

    অর্থঃ হে আমার প্রতিপালক! যে দিন হিসাব অনুষ্ঠিত হবে সেই দিন আমাকে, আমার পিতা-মাতাকে এবং মু’মিনগণকে ক্ষমা করো।

  • ১০০. স্মরণশক্তি বৃদ্ধির জন্য দু’আ

    رَبِّ  زِدْنِـىْ  عِـلْـمًـا

    উচ্চারণঃ রাব্বি জিদনি ইলমা।

    অর্থঃ হে আমার প্রতিপালক! আমার জ্ঞান বৃদ্ধি করে দিন।

 

  • ১০১. পরকালের আযাব থেকে মুক্তির দু’আ

    رَبَّـنَـا  اِنَّـنَـا  اٰمَـنَّـا  فَـاغْـفِـرْلَـنَـا  ذُنُـوْبَـنَـا  وَقِـنَـا  عَـذَابَ  الـنَّـار

    উচ্চারণঃ রাব্বানা ইন্নানা আ-মান্না ফাগ্‌ফিরলানা যুনূবানা ওয়া ক্বিনা আযা-বান্ন না-র।

    অর্থঃ হে আমাদের রব, আমরা ঈমান এনেছি। তুমি আমাদের ক্ষমা কর এবং আমাদের আগুনের আযাব হতে রক্ষা কর।

  • ১০২. জাহান্নাম থেকে পরিত্রাণের দু’আ

    رَبَّنَا اصْرِفْ عَنَّا عَذَابَ جَهَنَّمَ إِنَّ عَذَابَهَا كَانَ غَرَامًا إنَّهاَ ساَءَتْ مُسْتَقَرًّ وَمُقاَماً

    উচ্চারণঃ রাব্বানাসরিফ ‘আন্না আযাবা জাহান্নামা, ইন্না আযাবাহা কানা গারামা, ইন্নাহা সাআত মুস্তাক্বার্‌রাও ওয়া মুকামা।

    অর্থঃ হে আমাদের রব! আমাদের থেকে জাহান্নামের শাস্তি হটিয়ে দাও। নিশ্চয় এর শাস্তি নিশ্চিত বিনাশ। বসবাস ও আবাসস্থল হিসেবে তা কত নিকৃষ্ট জায়গা।

  • ১০৩. শ্বেত ও কুষ্ঠ রোগ থেকে পানাহ

    اَللَّهُمَّ اِنِّىْ اَعُوْذُ بِكَ مِنَ الْبَرَصِ وَ الْجُنُوْنِ وَ الْجُذَامِ وَمِنْ سَىِّءِ الْاَسْقَامِ

    উচ্চারণঃ আল্লহুম্মা ইন্নি আউযুবিকা মিনাল বারাসি ওয়াল জুনুনি ওয়াল জুযামি ওয়া মিন ছাইয়্যি ইল আসক্বম

    অর্থঃ হে আল্লাহ! আমি তোমার কাছে আশ্রয় চাই শ্বেতকুষ্ঠ উন্মাদনা, কুষ্ঠরোগ এবং সমস্ত খারাপ রোগ হতে।

  • ১০৪. কঠিন রোগমুক্তির দু’আ

    رَبِّ  اَنِّـىْ  مَـسَّـنِـىَ  الـضُّـرُّ  وَاَنْـتَ  اَرْحَـمُ  الـرّحِـمِـيْـنَ

    উচ্চারণঃ রাব্বি আন্নি মাস্‌সানিয়াদ্দ্বুর্‌রু ওয়া আন্তা আরহামুর্‌ রাহিমিন।

    অর্থঃ আমি দুঃখ-কষ্টে পড়েছি, তুমিতো সর্বশ্রেষ্ঠ দয়ালু।

  • ১০৫. শরীরে কোথাও ব্যথা পেলে ব্যথার স্থানে হাত রেখে তিনবার বলবে "বিসমিল্লাহ" এরপর সাতবার বলবে:

    أَعُوذُ بِاللَّهِ وَقُدْرَتِهِ مِنْ شَرِّ مَا أَجِدُ وَأُحَاذِرُ

    উচ্চারণঃ আউযুবিল্লাহি ওয়া ক্বুদরতিহী মিন শাররি মা-আজিদু ওয়া উহা-যিরু।

    অর্থঃ আমি আল্লাহ ও তাঁর কুদরতের কাছে আশ্রয় নিচ্ছি আমি যা অনুভব করছি এবং ভয় করছি তার অকল্যাণ থেকে।

  • ১০৬. জ্বর হলে এ দু‘আ পড়বে-

    بِسْمِ اللّٰهِ الْكَبِيْرِ اَعُوْذُ بِاللّٰهِ الْعَظِيْمِ مِنْ شَرِّ كُلِّ عِرْقٍ نَّعَّارٍ وَمِنْ شَرِّ حَرِّ النَّارِ .

    উচ্চারণঃ বিসমিল্লাাহিল কাবীরি আ‘ঊযুবিল্লাা হিল ‘আযীমি মিন শাররি কুল্লি ‘ইরক্বিন না‘আা রিন ওয়া মিন শাররি হার রিন্নাার।

    অর্থঃ অর্থঃ মহান আল্লাহর নামের সাথে আমি মহান আল্লাহ তা‘আলার আশ্রয় গ্রহণ করছি প্রত্যেক উত্তেজিত ধমনীর অনিষ্ট হতে এবং দোযখের উত্তাপের অনিষ্ট হতে।

  • ১০৭. অসুস্থ ব্যক্তিকে দেখতে গেলে পড়বে

    لاَ بَأْسَ طَهُورٌ إِنْ شَاءَ اللَّهُ >> أَسْأَلُ اللَّهَ الْعَظِيمَ رَبَّ الْعَرْشِ الْعَظِيمِ أَنْ يَشْفِيَكَ

    উচ্চারণঃ লা বা’সা তাহুরুন ইন-শা-আল্লাহ >> আস আলুল্লাাহাল ‘আযীম রব্বাল ‘আরশিল ‘আযীম আইঁ ইয়াশ ফিয়াক। (৭ বার)

    অর্থঃ বিচলিত হওয়ার কোন কারণ নেই। (আপনি সুস্থ হয়ে যাবেন) ইনশাআল্লাহ্‌ এই রোগ (বাহ্যিক ও অভ্যন্তরীণ অপবিত্রতা হতে) পবিত্রতা সাধনকারী। + এরপরে সাতবার এই দুআ পড়বে : আমি আরশে আযীমের মালিক, মহান আল্লাহ্‌ তাআলার নিকট আপনার সুস্থতার জন্যে দু’আ করছি।

  • ১০৮. আজান এবং আজানের উত্তর

    اَللهُ اَكْبَرْ

    উত্তরে বলবে:

    اَللهُ اَكْبَرْ

    (৪ বার )

    اَشْهَدُ اَنْ لَا اِلَهَ اِلَّا الله

    উত্তরে বলবে:

    اَشْهَدُ اَنْ لَا اِلَهَ اِلَّا الله

    ( ২ বার )

    اَشْهَدُ اَنَّ مُحَمَّدًا رَّسُوْلُ اللهِ

    উত্তরে বলবে:

    اَشْهَدُ اَنَّ مُحَمَّدًا رَّسُوْلُ اللهِ

    ( ২ বার )

    حَيَّ عَلَي الصَّلوةِ

    উত্তরে বলবে:

    لَا حَوْلَ وَ لَا قُوَّةَ اِلَّا بِاللهِ

    (২ বার)

    حَيَّ عَلَي الفَلَاحِ

    উত্তরে বলবে:

    لَا حَوْلَ وَ لَا قُوَّةَ اِلَّا بِاللهِ

    (২ বার )

    (শুধুমাত্র ফজরের সময়)

    اَلصّلَوةُ خَيْرٌمِّنَ النَّوْمِ

    উত্তরে বলবে:

    صَدَقْتَ وَ بَرَرْتَ

    (২ বার)

    اَللهُ اَكْبَرْ

    উত্তরে বলবে:

    اَللهُ اَكْبَرْ

    (২ বার )

    لَا اِلَهَ اِلَّا الله

    উত্তরে বলবে:

    لَا اِلَهَ اِلَّا الله

    (১ বার )

    উচ্চারণঃ আল্লা-হু আকবর উত্তরঃ আল্লা-হু আকবর (৪ বার) আশহাদু-আল্‌ লা- ইলাহা ইল্লাল্লাহ উত্তরঃ আশহাদু-আল্‌ লা- ইলাহা ইল্লাল্লাহ (২ বার) আশহাদু-আন্না মুহাম্মাদার রাসুলুল্লাহ উত্তরঃ আশহাদু-আন্না মুহাম্মাদার রাসুলুল্লাহ (২ বার) হাইয়া আলাস সালা উত্তরঃ লা হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লাবিল্লাহ্‌ (২ বার) হাইয়া আলাল ফালা উত্তরঃ লা হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লাবিল্লাহ্‌ (২ বার) (শুধুমাত্র ফযরের আযানের জন্য) আসসালাতু খাইরুম মিনান নাউম উত্তরঃ সাদাকতা ও বারারতা (২ বার) আল্লা-হু আকবর উত্তরঃ আল্লা-হু আকবার (২ বার) লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ উত্তরঃ লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ (১ বার)

    অর্থঃ আল্লাহ সর্বশক্তিমান উত্তরঃ আল্লাহ সর্বশক্তিমান (৪ বার) আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ্ ছাড়া অন্য কোন মাবুদ নেই উত্তরঃ আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ্ ছাড়া অন্য কোন মাবুদ নেই (২ বার) আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, মুহাম্মদ (স) আল্লাহর প্রেরিত দূত উত্তরঃ আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, মুহাম্মদ (স) আল্লাহর প্রেরিত দূত (২ বার) নামাজের জন্য এসো উত্তরঃ আল্লাহর আশ্রয় ও শক্তি ছাড়া আর কারো কোন ক্ষমতা নাই (২ বার) সাফল্যের জন্য এসো উত্তরঃ আল্লাহর আশ্রয় ও শক্তি ছাড়া আর কারো কোন ক্ষমতা নাই (শুধুমাত্র ফযরের আযানের জন্য) ঘুম হতে নামাজ উত্তম উত্তরঃ সত্য বলেছেন, কল্যানের কথা বলেছেন (২ বার) আল্লাহ্ মহান উত্তরঃ আল্লাহ্ মহান (২ বার) আল্লাহ্ ছাড়া অন্য কোন উপাস্য নেই উত্তরঃ আল্লাহ্ ছাড়া অন্য কোন উপাস্য নেই (১ বার)

  • ১০৯. আজানের শেষে পড়বার দু’আ

    اَللّٰهُمَّ رَبَّ هٰذِهِ الدَّعْوَةِ التَّامَّةِ وَالصَّلَاةِ الْقَائِمَةِ اٰتِ مُحَمَّدَانِ الْوَسِيْلَةَ وَالْفَضِيْلَةَ وَابْعَثْهُ مَقَامًا مَّحْمُوْدَانِ الَّذِيْ وَعَدْتَّهٗ. اِنَّكَ لَا تُخْلِفُ الْمِيْعَادَ.

    উচ্চারণঃ আল্লাহুম্মা রাব্বাহাযিহিদ্‌ দা’ওয়াতিত্তাম্মাহ্‌ ওয়াস্‌ সালাতিল ক্বায়িমা, আতি মুহাম্মাদানিল ওয়াসিলাতা অয়াল ফাদিলা, ওয়াব ’আসহু মাক্বামাম্‌ মাহ্‌মুদানিল্‌লাযি ওয়া ’আত্তাহ, ইন্নাকা লা তুখ্‌লিফুল মিয়াদ্‌।

    অর্থঃ হে আল্লাহ! প্রভু (তুমি) এ পরিপূর্ণ আহ্বানের এবং চিরস্থায়ী নামাযের। তুমি মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু তাআলা আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে নৈকট্যের উসিলা, মহত্ত্ব এবং সর্বাপেক্ষা প্রশংসিত মার্গে (অর্থাৎ মাকামে মাহমুদে) আবির্ভূত করো তাঁকে, যার ওয়াদা তুমি তাঁকে দিয়েছো। নিশ্চয়ই তুমি কখনো ওয়াদা ভঙ্গ করো না।

  • ১১০. ওজুর দু’আ

    اَللّٰهُمَّ اجْعَلْنِيْ مِنَ التَوَّابِيْنَ. وَاجْعَلْنِـيْ مِنَ الْمُتَطَهِّرِيْنَ

    উচ্চারণঃ আল্লাহুম্মাজ্ আলনী মিনাত্ তাওয়াবীনা ওয়াজ্ আলনী মিনাল মুতাতাহ্হেরীন

    অর্থঃ হে আল্লাহ! তুমি আমায় তওবাকারীদের দলভুক্ত কর এবং পবিত্রতা অর্জনকারীদের মধ্যে গণ্য কর।

  • ১১১. ওজুর শুরুতে-১

    بِسْمِ اللهِ الرَّحْمٰنِ الرَّحِيْمِ

    উচ্চারণঃ বিসমিল্লাহির্‌ রাহ্‌মানির্‌ রাহিম।

    অর্থঃ আল্লাহর নামে শুরু করছি যিনি অসীম দয়ালু ও অত্যন্ত দাতা।

  • ১১২. ওযূর শুরুতে-২

    بِسْمِ اللهِ وَالْحَمْدُ لِلّٰهِ

    উচ্চারণঃ বিসমিল্লাহি ওয়াল হামদুলিল্লাহ।

    অর্থঃ আল্লাহ তা’আলার নামে শুরু করছি এবং প্রশংসা সবই কেবল তারই জন্যে।

  • ১১৩. ওজুর দু’আ # ২

    اَللّٰهُمَّ اغْفِرْ لِيْ ذَنبِـيْ وَوَسِّعْ لِـيْ فِيْ دَارِيْ وَبَارِكْ لِيْ فِيْ رِزْقِيْ.

    উচ্চারণঃ আল্লাহুম্মাগফিরলি যাম্বি ওয়া ওয়াসসি’লি ফি দারি ওয়া বারিকলি ফি রিযকি।

    অর্থঃ হে আল্লাহ! আমার গুনাহ মাফ করে দিন। আমার ঘর প্রশস্ত করে দিন। আমার রিয্‌ক বৃদ্ধি করে দিন।

  • ১১৪. ওজুর শেষে উপরের দিকে তাকিয়ে পড়বে

    اَشْهَدُ اَنْ لَّاۤ اِلٰهَ اِلَّا اللهُ وَحْدَهٗ لَا شَرِيْكَ لَهٗ. وَاَشْهَدُ اَنَّ مُحَمَّدًا عَبْدُهٗ وَرَسُوْلُهٗ. اَللّٰهُمَّ اجْعَلْنِيْ مِنَ التَوَّابِيْنَ. وَاجْعَلْنِـيْ مِنَ الْمُتَطَهِّرِيْنَ

    উচ্চারণঃ আশাহাদু আল্ লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহ্‌দাহু লা শারিকালাহ্‌ ওয়া আশ্‌হাদু আন্না মুহাম্মাদান্‌ আ’বদুহু ওয়া রাসুলুহ্‌, আল্লাহুম্মা জা’আলনি মিনাত্তাওয়াবিনা ওয়াজা’আলনি মিনাল মুতাত্বাহ্‌হিরিন।

    অর্থঃ আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি, আল্লাহ ছাড়া কোনো মাবুদ নেই। তিনি এক, তাঁর কোনো শরিক নেই। আমি আরো সাক্ষ্য দিচ্ছি, মুহাম্মাদ ﷺ তাঁর বান্দা ও রাসুল। হে আল্লাহ! আমাকে তাওবাকারীদের ও পবিত্রতা অর্জনকারীদের অন্তর্ভুক্ত করুন।

  • ১১৫. মসজিদে প্রবেশের সময়

    بِسْمِ اللهِ. وَالصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ عَلٰى رَسُوْلِ اللهِ. اَللّٰهُمَّ افْتَحْ لِيْ اَبْوَابَ رَحْمَتِكَ

    উচ্চারণঃ বিসমিল্লাহি ওয়াস্‌সালাতু ওয়াস্‌সালামু’ আলা রাসুলিল্লাহ্‌ আল্লাহুম্মাফ্‌তাহলি আবওয়াবা রাহমাতিক্‌।

    অর্থঃ আল্লাহ তা’আলার নামে প্রবেশ করছি। আল্লাহ তা’আলার রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের প্রতি রহমত ও শান্তি বর্ষিত হোক। হে আল্লাহ! আমার জন্যে আপনার রহমতের দ্বার উন্মুক্ত করে দিন।

  • ১১৬. মসজিদ থেকে বের হওয়ার সময়

    بِسْمِ اللهِ. وَالصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ عَلٰى رَسُوْلِ اللهِ. اَللّٰهُمَّ اِنِّيْ اَسْئَلُكَ مِنْ فَضْلِكَ.

    উচ্চারণঃ বিসমিল্লাহি ওয়াস্‌সালাতু ওয়াস্‌সালামু আলা রাসুলিল্লাহ্‌ আল্লাহুমা ইন্নি আস’আলুকা মিন ফাদ্‌লিক।

    অর্থঃ আল্লাহ তা’আলার নামে শুরু করছি। আল্লাহ তা’আলার রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের প্রতি দরুদ, রহমত ও শান্তি বর্ষিত হোক। হে আল্লাহ! আমি আপনার নিকট হালাল রুজির প্রার্থনা করছি।

  • ১১৭. তাকবিরে তাহ্‌রিমা

    الله أكبر

    উচ্চারণঃ আল্লা-হু আকবার

    অর্থঃ আল্লাহ্‌ মহান

  • ১১৮. সানা

    سُبْحَانَكَ اللَّهُمَّ وَبِحَمْدِكَ وَتَبَارَكَ اسْمُكَ وَتَعَالَى جَدُّكَ وَلَا إِلَهَ غَيْرُكَ

    উচ্চারণঃ সুবহানাকা আল্লাহুম্মা ওয়া বিহামদিকা, ওয়া তাবারাকাস্‌মুকা, ওয়া তা’আলা জাদ্দুকা ওয়া লা-ইলাহা গাইরুক।

    অর্থঃ হে আল্লাহ্! আমি তোমার পবিত্রতা বর্ণনা করছি। তুমি প্রশংসাময়, তোমার নাম বরকতময়, তোমার মর্যাদা অতি উচ্চে, আর তুমি ব্যতীত সত্যিকার কোনো মাবুদ নেই।

  • ১১৯. সংশয় ও কুমন্ত্রণা থেকে বাঁচতে

    اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنَ الشَّيْطَانِ الرَّجِيمِ

    উচ্চারণঃ আল্লাহুম্মা ইন্নি আউযুবিকা মিনাশ শাইতানির রজীম

    অর্থঃ হে আল্লাহ্! আমি অভিশপ্ত শয়তান হতে আপনার নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করছি।

  • ১২০. বিসমিল্লাহ্‌...

    بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيم

    উচ্চারণঃ বিসমিল্লাহির রাহ্‌মানির রাহিম।

    অর্থঃ পরম করুণাময় ও অসীম দয়ালু আল্লাহর নামে (শুরু করছি)

 

  • ১২১. রুকুর দু’আ

    سُبْحَانَ رَبِّيَ الْعَظِيْمِ

    উচ্চারণঃ সুবহানা রাব্বিয়াল আযীম।

    অর্থঃ মহাপবিত্র আমার প্রতিপালক যিনি মহান

  • ১২২. ক্বওমার দু’আ #১

    سَمِعَ اللَّهُ لِمَنْ حَمِدَهُ

    উচ্চারণঃ সামি‘আল্লা-হু লিমান হামিদাহ’

    অর্থঃ আল্লাহ তার কথা শোনেন, যে তার প্রশংসা করে

  • ১২৩. ক্বওমার দু’আ #২

    رَبَّنَالَكَ الْحَمْدُ

    উচ্চারণঃ রাব্বানা- লাকাল হামদ্

    অর্থঃ হে আমাদের প্রতিপালক! আপনার জন্যই সকল প্রশংসা

  • ১২৪. ক্বওমার দু’আ #৩

    حَمْدًا كَثِيرًا طَيِّبًا مُبَارَكًا فِيْهِ

    উচ্চারণঃ হামদান্ কাছী-রান্ তাইয়্যেবান মুবা-রাকান ফি-হ

    অর্থঃ হে আমাদের প্রতিপালক! আপনার জন্য অগণিত প্রশংসা, যা পবিত্র ও বরকতময়

  • ১২৫. সিজদার দু’আ

    سُبْحَانَ رَبِّيَ الْأَعْلَى

    উচ্চারণঃ সুবহানা রব্বিয়াল আ‘লা।

    অর্থঃ মহাপবিত্র আমার প্রতিপালক যিনি সর্বোচ্চ

  • ১২৬. দুই সিজদার মধ্যবর্তী বৈঠকের ’

    اَللَّهُمَّ اغْفِرْ لِيْ وَارْحَمْنِيْ وَاجْبُرْنِيْ وَاهْدِنِيْ وَعَافِنِيْ وَارْزُقْنِيْ

    উচ্চারণঃ আল্লাহুম্মাগ্‌ফিরলি ওয়ারহাম্‌নি ওয়াজ্‌বুরনি ওয়াহ্‌দিনি ওয়া ‘আফিনি ওয়ার্‌যুক্বনি।

    অর্থঃ হে আল্লাহ! আপনি আমাকে ক্ষমা করুন, আমার উপর রহম করুন, আমার অবস্থার সংশোধন করুন, আমাকে সৎপথ প্রদর্শন করুন, আমাকে সুস্থতা দান করুন ও আমাকে রুজি দান করুন।

  • ১২৭. তাশাহুদ

    اَلتَّحِيَّاتُ لِلّٰهِ وَالصَّلَوَاتُ وَالطَّيِّبَاتُ، السَّلاَمُ عَلَيْكَ أَيُّهَا النَّبِيُّ وَرَحْمَةُ اللّٰهِ وَبَرَكَاتُهٗ، السَّلاَمُ عَلَيْنَا وَعَلٰى عِبَادِ اللّٰهِ الصَّالِحِيْنَ، أَشْهَدُ أَنْ لاَّ إِلٰهَ إِلاَّ اللّٰهُ وَأَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا عَبْدُهٗ وَرَسُوْلُهٗ

    উচ্চারণঃ আত্তাহিইয়াতু লিল্‌লাহি ওয়াস্‌ সালাওয়াতু ওয়াত্ ত্বাইয়িবাত। আসসালামু ‘আলায়কা আইয়ুহান নাবিইয়ু ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ্‌। আস্‌সালামু ‘আলায়না ওয়া ‘আলা ‘ইবাদিল্লাহিস্‌ সালিহীন। আশ্‌হাদু আল লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়া আশ্‌হাদু আন্না মুহাম্মাদান ‘আব্‌দু ওয়া রাসুলুহ্‌।

    অর্থঃ যাবতীয় সম্মান, যাবতীয় উপাসনা ও যাবতীয় পবিত্র বিষয় আল্লাহর জন্য। হে নবী! আপনার উপরে শান্তি বর্ষিত হউক এবং আল্লাহর অনুগ্রহ ও সমৃদ্ধি নাযিল হউক। শান্তি বর্ষিত হউক আমাদের উপরে ও আল্লাহর সৎকর্মশীল বান্দাগণের উপরে। আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ ব্যতীত কোনো উপাস্য নেই এবং আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, মুহাম্মাদ তাঁর বান্দা ও রাসুল।

  • ১২৮. দরুদ

    اللّٰهُمَّ صَلِّ عَلٰى مُحَمَّدٍ وَّعَلٰى آلِ مُحَمَّدٍ كَمَا صَلَّيْتَ عَلٰى إِبْرَاهِيْمَ وَعَلٰى آلِ إِبْرَاهِيْمَ إِنَّكَ حَمِيْدٌ مَّجِيْدٌ .. اَللّٰهُمَّ بَارِكْ عَلٰى مُحَمَّدٍ وَّعَلٰى آلِ مُحَمَّدٍ كَمَا بَارَكْتَ عَلٰى إِبْرَاهِيْمَ وَعَلٰى آلِ إِبْرَاهِيْمَ إِنَّكَ حَمِيْدٌ مَّجِيْدٌ

    উচ্চারণঃ আল্লাহুম্মা সাল্লি আ’লা মুহাম্মাদিওঁ ওয়া আ’লা আলি মুহাম্মাদিন কামা সাল্লাইতা আ’লা ইব্‌রাহীমা ওয়া আ’লা আলি ইব্‌রাহীমা ইন্নাকা হামীদুম্ মাজীদ, আল্লাহুম্মা বারিক আ’লা মুহাম্মাদিওঁ ওয়া আ’লা আলি মুহাম্মাদিন কামা বারাক্‌তা আ’লা ইব্রাহীমা ওয়া আ’লা আলি ইব্রাহীমা ইন্নাকা হামীদুম্ মাজীদ।

    অর্থঃ হে আল্লাহ! আপনি রহমত বর্ষণ করুন মুহাম্মাদ ও মুহাম্মাদের পরিবারের উপরে, যেমন আপনি রহমত বর্ষণ করেছেন ইবরাহিম ও ইবরাহিমের পরিবারের উপরে। নিশ্চয়ই আপনি প্রশংসিত ও সম্মানিত। হে আল্লাহ! আপনি বরকত নাযিল করুন মুহাম্মাদ ও মুহাম্মাদের পরিবারের উপরে, যেমন আপনি বরকত নাযিল করেছেন ইবরাহিম ও ইবরাহিমের পরিবারের উপরে। নিশ্চয়ই আপনি প্রশংসিত ও সম্মানিত।

  • ১২৯. দু’আ-ই মাসুরাহ #১

    اَللَّهُمَّ إِنِّيْ ظَلَمْتُ نَفْسِيْ ظُلْمًا كَثِيْرًا وَّلاَ يَغْفِرُ الذُّنُوْبَ إِلاَّ أَنْتَ، فَاغْفِرْ لِيْ مَغْفِرَةً مِّنْ عِنْدِكَ وَارْحَمْنِيْ إِنَّكَ أَنْتَ الْغَفُوْرُ الرَّحِيْمُ

    উচ্চারণঃ আল্লাহুম্মা ইন্নী যালামতু নাফ্‌সি যুলমান কাছীরাঁও ওয়ালা ইয়াগ্‌ফিরুয যুনূবা ইল্লা আন্ত, ফাগ্‌ফিরলি মাগফিরাতাম মিন ‘ইনদিক, ওয়ারহাম্‌নি ইন্নাকা আন্তাল গাফূরুর রহীম।

    অর্থঃ হে আল্লাহ! আমি আমার নফসের উপরে অসংখ্য জুলুম করেছি। ঐসব গুনাহ মাফ করার কেউ নেই আপনি ব্যতীত। অতএব আপনি আমাকে আপনার পক্ষ হতে বিশেষভাবে ক্ষমা করুন এবং আমার উপরে অনুগ্রহ করুন। নিশ্চয়ই আপনি ক্ষমাশীল ও দয়াবান।

  • ১৩০. সালাম

    اَلسَّلَامُ عَلَيْكُمْ وَرَحْمَةُ اللهِ

    উচ্চারণঃ আস্‌সালামু আলাইকুম ওয়া রাহ্‌মাতুল্লাহ।

    অর্থঃ আল্লাহর পক্ষ হতে আপনার উপর শান্তি ও অনুগ্রহ বর্ষিত হউক

  • ১৩১. দু’আ-ই কুনুত

    اللَّهُمَّ إِنَّا نَسْتَعِينُكَ وَنَسْتَغْفِرُكَ ، وَنُثْنِي عَلَيْكَ الْخَيْرَ ، وَلاَ نَكْفُرُكَ ، وَنَخْلَعُ وَنَتْرُكُ مَنْ يَفْجُرُكَ ، اللَّهُمَّ إِيَّاكَ نَعْبُدُ ، وَلَكَ نُصَلِّي وَنَسْجُدُ ، وَإِلَيْكَ نَسْعَى

    وَنَحْفِدُ ، نَرْجُو رَحْمَتَكَ وَنَخْشَى عَذَابَكَ ، إِنَّ عَذَابَكَ الْجِدَّ بِالْكُفَّارِ مُلْحِقٌ

    উচ্চারণঃ আল্লাহুম্মা ইন্না নাসতাঈনুকা ,ওয়া নাসতাগ্‌ফিরুকা,ওয়া নু’মিনুবিকা, ওয়া নাতাওয়াক্কালু আলাইক, ওয়ানুসনি আলাইকাল খাইর, ওয়া নাশকুরুকা , ওয়া লানাকফুরুকা, ওয়া নাখলাউ ওয়া নাতরুকু, মাই ইয়াফ জুরুকা, আল্লাহুম্মা ইয়্যাকানা’বুদু , ওয়া লাকানুছল্লি, ওয়া নাসজুদু, ওয়া ইলাইকা নাসআ, ওয়া নাহফিদু, ওয়া নারজু রহমাতাকা, ওয়া নাখশা আযাবাকা, ইন্না আযাবাকা বিলকুফ্‌ফারি মুলহিক।

    অর্থঃ হে আল্লাহ! আমরা আপনারই সাহায্যপ্রার্থী এবং একমাত্র আপনার কাছেই ক্ষমাপ্রার্থী। আপনার উপর আমরা ঈমান এনেছি এবং আপনার উপরই ভরসা করি, আপনার উত্তম প্রশংসা করি, আপনার শোকর আদায় করি, আপনার প্রতি অকৃতজ্ঞ হই না, যারা আপনার নাফরমানী করে, তাদেরকে পরিত্যাগ করি এবং তাদের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করি। হে আল্লাহ! আমরা আপনারই ইবাদাত করি, আপনার জন্যই নামাজ পড়ি এবং আপনার জন্যই সিজদা করি, আপনার দিকেই ধাবিত হই, আপনার হুকুম পালনের জন্যই প্রস্তুত থাকি, আপনার দয়ার আশা করি, এবং আমরা আপনার আযাবকে ভয় করি। নিশ্চাই আপনার প্রকৃত আযাব কাফেরদের উপর পতিত হবে।

  • ১৩২. সালাত শেষে পাঠের দুআ

    اَللَّهُمَّ أَنْتَ السَّلاَمُ، وَمِنْكَ السَّلاَمُ، تَبَارَكْتَ يَا ذَا الْجَلاَلِ وَالْإِكْرَامِ

    উচ্চারণঃ আল্লাহুম্মা আংতাস্‌ সালামু ওয়া মিন্‌কাস্ সালাম, তাবারক্‌তা ইয়া যাল জালালি ওয়াল ইকরাম।

    অর্থঃ হে আল্লাহ্‌! আপনিই শান্তিদাতা এবং আপনার থেকেই কেবল শান্তি কামনা করি। হে আল্লাহ্‌! আপনি বরকতময়, মহিমাময় ও সম্মানিত।

  • ১৩৩. পাঁচ ওয়াক্ত ফরয নামাযের পর পড়ার দু‘আ সমূহ-

    (১) নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সালাত শেষে তিনবার ইস্তেগফার করতেন, তারপর এই দু’আ ১ বার পাঠ করতেন।

    اَللَّهُمَّ أَنْتَ السَّلاَمُ، وَمِنْكَ السَّلاَمُ، تَبَارَكْتَ يَا ذَا الْجَلاَلِ وَالْإِكْرَامِ

    (মুসনাদে আহমাদ হাদীস নং-২২৩৬৫/ মুসলিম হাদীস নং-৫৯১) (মুসনাদে আহমাদ হাদীস নং-২২৪১৯/ মুসলিম হাদীস নং-১৩৬৩)

    (২) تسبيح فاطمى [ তাসবীহে ফাতেমী ] অর্থাৎ ৩৩ বার, سُبْحَانَ اللهْ [ সুবহানাল্লাহ ] ৩৩ বার اَلْحَمْدُ لِلَّهْ [ আলহামদুলিল্লাহ ] ৩৪ বার اَللهُ اَكْبَرْ [ আল্লাহু আকবর ] (মুসলিম হাদীস নং-৫৯৫)‎

    (৩) ১ বার اية الكرسى (আয়াতুল কুরসী)

    রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন: যে ব্যক্তি প্রত্যেক নামাযের পর আয়াতুল কুরসী পাঠ করবে, মৃত্যু ব্যতীত কোন কিছু তাকে জান্নাতে প্রবেশ করা থেকে বিরত রাখতে পারবে না। (সুনানে কুবরা নাসাঈ হাদীস নং-৯৯২৮/ ইবনুস্ সুন্নী হাদীস নং-১২৩)

    (৪) ১ বার

    لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ وَحْدَهُ لَا شَرِيكَ لَهُ. لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ. اللَّهُمَّ لَا مَانِعَ لِمَا أَعْطَيْتَ وَلَا مُعْطِيَ لِمَا مَنَعْتَ وَلَا يَنْفَعُ ذَا الْجَدِّ مِنْكَ الْجَدُّ .

    অর্থ: আল্লাহ ছাড়া কোন মাবুদ নেই। তিনি এক তাঁর কোন শরীক নেই। সর্বময় রাজত্ব একমাত্র তাঁর। তারই জন্য সকল প্রশংসা তিনি সব কিছুর উপর ক্ষমতাবান, হে আল্লাহ! আপনি যা দিতে চান তা কেহ রোধ করতে পারে না, আর আপনি যা রোধ করতে চান তা কেহ দিতে পারবে না এবং কোন সম্পদশালীকে তার সম্পদ আপনার থেকে রক্ষা করতে পারে না। (বুখারী হাদীস নং-৮০৪)

  • ১৩৪. মুনাজাত #১

    اللَّهُمَّ أَعِنِّي عَلَى ذِكْرِكَ وَشُكْرِكَ وَحُسْنِ عِبَادَتِكَ

    উচ্চারণঃ আল্লাহুম্মা আঈন্নী ‘আলা যিকরিকা ওয়া শুকরিকা ওয়া হুসনি ‘ইবাদাতিকা

    অর্থঃ আয় আল্লাহ্‌, আমাকে সাহায্য করুন, যেন আমি আপনার জিকির করি, আপনার শোকর করি, এবং উত্তম রুপে আপনার এবাদত করি।

  • ১৩৫. মুনাজাত #২

    اَللَّهُمَّ أَنْتَ السَّلاَمُ، وَمِنْكَ السَّلاَمُ، تَبَارَكْتَ يَا ذَا الْجَلاَلِ وَالْإِكْرَامِ

    উচ্চারণঃ আল্লা-হুম্মা আন্তাস সালা-মু ওয়া মিন্কাস্ সালা-মু, তাবা-রক্তা ইয়া যাল জালা-লি ওয়াল ইকরা-ম ।

    অর্থঃ হে আল্লাহ্‌! আপনিই শান্তিদাতা এবং আপনার থেকেই কেবল শান্তি কামনা করি। হে আল্লাহ্‌! আপনি বরকতময়, মহিমাময় ও সম্মানিত।

  • ১৩৬. মুনাজাত #৩

    اَللَّهُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ رِزْقًا طَيِّبًا , وَ عِلْمًا نَافِعًا , وَ عَمَلاً مُتَقَبَّلاً

    উচ্চারণঃ আল্লাহুম্মা ইন্নি আসআলুকা রিযক্বান ত্বইয়িবান, ওয়া ইলমান নাফি’আন, ওয়া আ’মালাম-মুতাক্বাব্বালা।

    অর্থঃ আয় আল্লাহ্‌ ! আমি আপনার নিকট পবিত্র রুজি, উপকারী এলেম ও কবুল আমলের তৌফিক চাই।

  • ১৩৭. মুনাজাত #৪

    اَللّـهُـمَّ حَـاسِـبْـنِـىْ حِـسَـابًا يَّـسِـيْـرًا

    উচ্চারণঃ আল্লাহুম্মা হাসিবিনি হিসাবাই ইয়াসীরা।

    অর্থঃ হে আল্লাহ! আমার হিসাবকে সহজ করে দিও।

  • ১৩৮. রজব ও শা’বান মাসের দু‘আ

    اَللّٰهُمَّ بَارِكْ لَناَ فِيْ رَجَبَ وَشَعْبانَ وَبَلِّغْنَا رَمَضَانْ

    উচ্চারণঃ আল্লাাহুম্মা বাারিক লানাা ফী রজাবা ওয়া শা‘বাানা ওয়া বাল্লিগনা রমাযাান।

    অর্থঃ হে আল্লাহ! আপনি আমাদেরকে রজব ও শা’বান মাসের বরকত দান করুন ও আমাদেরকে রমদান মাসে পৌছে দিন।

  • ১৩৯. ইফতারের সময় পড়বে

    يَا وَاسِعَ الْمَغْفِرَةِ اِغْفِرْ لِيْ

    উচ্চারণঃ ইয়া ওয়াছেয়াল মাগফেরাতি ইগফির্‌লি।

    অর্থঃ হে মহান ক্ষমাকারী! আমাকে ক্ষমা করুন।

  • ১৪০. ইফতারের সময় এ দু‘আ পড়বে-১

    اَللّٰهُمَّ لَكَ صُمْتُ وَعَلٰى رِزْقِكَ اَفْطَرْتُ

    উচ্চারণঃ আল্লাহুম্মা লাকা ছুমতু ওয়া আলা রিজকিকা আফত্বারত্‌

    অর্থঃ হে আল্লাহ! আমি আপনার জন্যেই রোযা রেখেছি এবং আপনার রিয্‌ক দ্বারাই ইফতার করছি।

 

  • ১৪১. শবে ক্বদরে পড়ার দু’আ

    اَللّٰهُمَّ اِنَّكَ عَفُوٌّ تُحِبُّ الْعَفْوَ فَاعْفُ عَنِّيْ

    উচ্চারণঃ আল্লাাহুম্মা ইন্নাকা ‘আফুউয়্যুন তুহিব্বুল ‘আফওয়া ফা‘ফু ‘আন্নী।

    অর্থঃ হে আল্লাহ! নিশ্চয়ই আপনি অতি ক্ষমাশীল, ক্ষমাকে পছন্দ করেন। সুতরাং আপনি আমাকে ক্ষমা করে দিন।

  • ১৪২. বাড়ি থেকে বের হবার দু‘আ #২

    اللَّهُمَّ إني أَعُوذُ بِكَ أَنْ أَضِلَّ أَوْ أُضَلَّ ، أَوْ أَزِلَّ أَوْ أُزَلَّ ، أَوْ أَظْلِمَ أَوْ أُظْلَمَ ، أَوْ أَجْهَلَ أَوْ يُجْهَلَ عَلَيَّ

    উচ্চারণঃ আল্লা-হুম্মা ইন্নী আ‘ঊযু বিকা আন আদ্বিল্লা, আও উদ্বাল্লা, আও আযিল্লা, আও উযাল্লা, আও আযলিমা, আও উযলামা, আও আজহালা, আও ইয়ুজহালা ‘আলাইয়্যা।

    অর্থঃ হে আল্লাহ! আমি আপনার নিকট আশ্রয় চাই যেন নিজেকে বা অন্যকে পথভ্রষ্ট না করি, অথবা অন্যের দ্বারা পথভ্রষ্ট না হই; আমার নিজের বা অন্যের পদস্খলন না করি, অথবা আমায় যেন পদস্খলন করানো না হয়; আমি যেন নিজের বা অন্যের উপর যুলম না করি অথবা আমার প্রতি যুলম না করা হয়; আমি যেন নিজে মুর্খতা না করি, অথবা আমার উপর মূর্খতা করা না হয়।

  • ১৪৩. সফরকারীদের জন্য বাসিন্দাদের দু‘আ #১

    [একজন পুরুষের জন্য]

    أَسْتَوْدِعُ اللهَ دِينَكَ وَأَمَانَـتَكَ ، وَخَوَاتِيمَ عَمَلِكَ

    [একজন মহিলার জন্য]

    أَسْتَوْدِعُ اللهَ دِينَكِ وَأَمَانَـتَكِ ، وَخَوَاتِيمَ عَمَلِكِ

    [একাধিক পুরুষ/মহিলার জন্য]

    أَسْتَوْدِعُ اللهَ دِينَكُمْ وَأَمَانَـتَكُمْ ، وَخَوَاتِيمَ عَمَلِكُمْ

    উচ্চারণঃ [একজন পুরুষের জন্য] আসতাওদি-উল্লাহা দিনাকা ও-আমানাতাকা, ও-খাওয়াতিমা আমালিক [একজন মহিলার জন্য] আসতাওদি-উল্লাহা দিনাকি ও-আমানাতাকি, ও-খাওয়াতিমা আমালিকি [একাধিক পুরুষ/মহিলার জন্য] আসতাওদি-উল্লাহা দিনাকুম ও-আমানাতাকুম, ও-খাওয়াতিমা আমালিকুম

    অর্থঃ আমি তোমাদের ধর্ম, বিশ্বস্ততা এবং আল্লাহর প্রতি তোমাদের অসীম-বিশ্বস্ততার(আনুগত্যপরায়ন কর্মসমূহের) প্রতি সন্তুষ্ট

  • ১৪৪. সফরকারীদের জন্য বাসিন্দাদের দু‘আ #২

    زَوَّدَكَ اللهُ التَّقْوَى ، وَغَفَرَ ذَنْبَكَ ، وَيَسَّرَ لَكَ الْخَيْرَ حَيْثُمَا كُنْتَ

    উচ্চারণঃ যাউওয়াদাকাল্লা-হুত্ তাক্বওয়া, অগাফারা যামবাকা, ওয়া ইয়াসসারা লাকাল খাইরা হাইসুমা কুন্ত্।

    অর্থঃ আল্লাহ তোমাকে তাকওয়া(সংযমশীলতার-পাথেয়) প্রদান করুন, তোমার গোনাহ মাফ করে দিন, তুমি যেখানেই থাক, আল্লাহ যেন তোমার জন্য কল্যাণ সহজ করে দেন।

  • ১৪৫. সফরকারীদের জন্য বাসিন্দাদের দু‘আ #৩

    اللهُمَّ اطْوِ لَهُ الْبُعدَ، وَهَوِّنْ عَلَيْهِ السَّفَرَ

    উচ্চারণঃ আল্লাহুম্মাত্ববি লাহুল বু’দা অহাওবিন আলাইহিস সাফার।

    অর্থঃ হে আল্লাহ! তুমি ওর পথের দূরত্ব গুটিয়ে দিয়ো এবং ওর জন্য সফর আসান ক’রে দিয়ো।

  • ১৪৬. বাসিন্দাদের জন্য সফরকারীদের দু‘আ

    [For a male]

    أَسْتَوْدِعُكَ اللهَ الَّذِي لَا تَضِيعُ وَدَائِعُهُ

    [For a female]

    أَسْتَوْدِعُكِ اللهَ الَّذِي لَا تَضِيعُ وَدَائِعُهُ

    [For a group of people]

    أَسْتَوْدِعُكُمُ اللهَ الَّذِي لَا تَضِيعُ وَدَائِعُهُ

    উচ্চারণঃ [একজন পুরুষের জন্য] আসতাওদিউক-আল্লাহ-আল্লাজি লা তাদিয়ু ওদা-ই-য়ুহ [একজন মহিলার জন্য] আসতাওদিউক-ইল্লাহ-আল্লাজি লা তাদিয়ু ওদা-ই-য়ুহ [গোষ্ঠীর লোকেদের জন্য] আসতাওদিউকুম-উল্লাহ-আল্লাজি লা তাদিয়ু ওদা-ই-য়ুহ

    অর্থঃ আল্লাহর উপর ভরসা করে তোমাকে রাখলাম। যার উপরে ভরসা করলে কখনো বিফলে যাবে না।

  • ১৪৭. সফরের দু‘আ

    اللهُ أَكْبَرُ ، اللهُ أَكْبَرُ ، اللهُ أَكْبَرُ ،

    سُبْحَانَ الَّذِي سَخَّرَ لَنَا هَذَا وَمَا كُنَّا لَهُ مُقْرِنِينَ ، وَإِنَّا إِلَى رَبِّنَا لَمُنْقَلِبُونَ ،

    اللَّهُمَّ إِنَّا نَسْأَلُكَ فِي سَفَرِنَا هَذَا الْبِرَّ وَالتَّقْوَى ، وَمِنَ الْعَمَلِ مَا تَرْضَى ،

    اللَّهُمَّ هَوِّنْ عَلَيْنَا سَفَرَنَا هَذَا وَاطْوِ عَنَّا بُعْدَهُ ، اللَّهُمَّ أَنْتَ الصَّاحِبُ فِي السَّفَرِ ، وَالْخَلِيفَةُ فِي الأَهْلِ ،

    اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنْ وَعْثَاءِ السَّفَرِ ، وَكَآبَةِ الْمَنْظَرِ ، وَسُوءِ الْمُنْقَلَبِ فِي الْمَالِ وَالأَهْلِ.

    উচ্চারণঃ আল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার। সুবহানাল্লাযী সাখ্খারা লানা হা-যা অমা কুন্না লাহু মুক্বরিনীন। অইন্না ইলা রাবিবনা লামুনক্বালিবূন। আল্লাহুম্মা ইন্না নাসআলুকা ফী সাফারিনা হা-যাল বির্রা অত্তাক্বওয়া, অমিনাল আমালি মা তারদ্বা। আল্লাহুম্মা হাওওয়িন আলাইনা সাফারানা হা-যা অত্বওয়ি আন্না বুদাহ। আল্লাহুম্মা আন্তাস সা-হিবু ফিস সাফারি অলখালীফাতু ফিল আহল। আল্লাহুম্মা ইন্নী আঊযু বিকা মিন অসাইস সাফারি, অকাআবাতিল মানযারি, অসূইল মুনক্কালাবি ফিল মা-লি ওয়াল আহলি।

    অর্থঃ আল্লাহ সর্বশক্তিমান, আল্লাহ সর্বশক্তিমান, আল্লাহ সর্বশক্তিমান। পবিত্র ও মহান যিনি একে আমাদের বশীভূত করে দিয়েছেন যদিও আমরা একে বশীভূত করতে সমর্থ ছিলাম না। অবশ্যই আমরা আমাদের প্রতিপালকের নিকট প্রত্যাবর্তনকারী। ওগো আল্লাহ! নিশ্চয় আমরা তোমার কাছে প্রার্থনা করছি আমাদের এই যাত্রায় পুণ্যকর্ম, সংযমশীলতা এবং তোমার সন্তোষজনক কার্যকলাপ। হে আল্লাহ! আমাদের এ যাত্রাকে আমাদের জন্য সহজ করে দাও। আমাদের থেকে ওর দূরত্ব গুটিয়ে নাও। হে আল্লাহ! তুমিই সফরের সঙ্গী। আর পরিবার পরিজনের জন্য (আমাদের) প্রতিনিধি। হে আল্লাহ! সফরের কষ্ট ও ক্লান্তি থেকে, ভয়ংকর দৃশ্য থেকে এবং বাড়ি ফিরে ধন-সম্পদ, পরিবার ও সন্তান-সন্ততির মধ্যে কোন অপ্রীতিকর দৃশ্য থেকে তোমার আশ্রয় প্রার্থনা করছি।

  • ১৪৮. পশু অথবা যানবাহনে আরোহনের দু‘আ

    بِسْمِ اللهِ

    الْحَمْدُ لِلهِ ، سُبْحَانَ الَّذِي سَخَّرَ لَنَا هَذَا وَمَا كُنَّا لَهُ مُقْرِنِينَ ، وَإِنَّا إِلَى رَبِّنَا لَمُنْقَلِبُونَ ،

    الْحَمْدُ لِلهِ ، الْحَمْدُ لِلهِ ، الْحَمْدُ لِلهِ ، اللهُ أَكْبَرُ ، اللهُ أَكْبَرُ ، اللهُ أَكْبَرُ ، سُبْحَانَكَ اللَّهُمَّ إِنِّي ظَلَمْتُ نَفْسِي فَاغْفِرْ لِي ، فَإِنَّهُ لَا يَغْفِرُ الذُّنُوبَ إِلَّا أَنْتَ

    উচ্চারণঃ বিসমিল্লাহ আলহামদুলিল্লাহি, সুবহানাল্লাযি সাখখারা লানা হা যা ওমা কুন্না লাহু মুক্বরিনীন, অইন্না ইলা রব্বিনা লামুনক্বলিবুন। আলহামদুলিল্লাহ, আলহামদুলিল্লাহ, আলহামদুলিল্লাহ। আল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার। সুবহানাকাল্লাহুম্মা ইন্নী যালামতু নাফসী ফাগফিরলী, ফা-ইন্নাহু লা য়্যাগফিরুয্ যুনূবা ইল্লা আন্তা।

    অর্থঃ আল্লাহর নামে শুরু করছি। সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্য, পবিত্রতা ঘোষণা করছি সেই সত্তার, যিনি এসব কিছুকে আমাদের নিয়ন্ত্রণে এনে দিয়েছেন। সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্য, সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্য, সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্য। আল্লাহ সর্বশক্তিমান, আল্লাহ সর্বশক্তিমান, আল্লাহ সর্বশক্তিমান।

  • ১৪৯. যাত্রীদের নিচের পথে নামার দু‘আ

    سَمِعَ سَامِعٌ بِحَمْدِ اللهِ وَحُسْنِ بَلائِهِ عَلَيْنَا

    رَبَّـنَا صَاحِبْنَا وَأَفْضِلْ عَلَيْنَا عَائِذًا بِاللهِ مِنَ النَّارِ

    উচ্চারণঃ ছামিয়া ছামিয়ুন বিহামদিল্লা-হি ওয়া হুসনি বা-লাইহি আলাইনা রব্বানা ছাহিবনা ওয়া আফদিল আলাইনা আ-ইদহান বিল্লাহি মিনান্নার।

    অর্থঃ সাক্ষী হিসাবে, আমাদের প্রতি তাঁর করুণা লাভে প্রতিষ্ঠাকারী হিসেবে আল্লাহই আমাদের প্রশংসা সাক্ষী হবে হে আমাদের পালনকর্তা, আমাদের রক্ষা করুন, আমাদের উপর অনুগ্রহ করুন এবং আমাদেরকে সমস্ত মন্দের হাত থেকে উদ্ধার কারুন. আমি আগুন থেকে আল্লাহর আশ্রয় প্রার্থনা করছি।

  • ১৫০. তালবিয়া

    لَبَّيْكَ اللَّهُمَّ لَبَّيْكَ ، لَبَّيْكَ لَا شَرِيكَ لَكَ لَبَّيْكَ ، إِنَّ الْحَمْدَ والنِّعْمَةَ لَكَ وَالْمُلْكُ ، لَا شَرِيكَ لَكَ

    উচ্চারণঃ লাব্বায়িকা আল্লাহুম্মা লাব্বায়িক, লাব্বায়িকা লা শারীকা লাকা লাব্বায়িক, ইন্নাল হামদা ওয়ান্ নি’মাতা লাকা ওয়াল মূলক, লা শারীকালাক

    অর্থঃ উপস্থিত, হে আল্লাহ্! আমি উপস্থিত; আমি উপস্থিত, তোমার কোন শরীক নেই, আমি উপস্থিত; নিশ্চয় সব প্রশংসা এবং অশেষ অনুগ্রহের তুমিই মালিক এবং আধিপত্যেরও (মালিক) তোমার কোন অংশীদার নেই।

  • ১৫১. শহরে প্রবেশের দু‘আ

    اللَّهُمَّ رَبَّ السَّمَوَاتِ السَّبْعِ وَمَا أَظْلَلْنَ ، وَرَبَّ الأَرَاضِينَ السَّبْعِ وَمَا أَقْلَلْنَ ، وَرَبَّ الشَّيَاطِينِ وَمَا أَضْلَلْنَ ، وَرَبَّ الرِّيَاحِ وَمَا ذَرَيْنَ ،

    أَسْأَلُكَ خَيْرَ هَذِهِ الْقَرْيَةِ وَخَيْرَ أَهْلِهَا وَخَيْرَ مَا فِيهَا ، وَأَعُوذُ بِكَ مِنْ شَرِّهَا وَشَرِّ أَهْلِهَا وَشَرِّ مَا فِيهَا

    উচ্চারণঃ আল্লাহুম্মা রব্বাস সামাওয়াতিস সাবয়ি ওমা আদলালনা, ওরব্বাল আরাদিনা-স-সাবয়ী ওমা আকলাইনা, ওরব্বাশ-শায়াতিনি ওমা আদলালনা ও রব্বার-রিয়াহি ওমা জারাইনা। আসআলুকা খাইরা হা-যিহিল-করয়াতি ও-খাইরা আহলিহা ও-খাইরা মা ফিহা ও আউজুবিকা মিন শাররিহা ও-শাররি আহলিহা ও-শাররি মা ফিহা।

    অর্থঃ হে আল্লাহ আপনি সাত আসমানের এবং তার নীচে যা কিছু আছে তার রব।সাত জমিন এবং সেগুলো যা ধারন করে তার রব। সমস্ত শয়তানগুলো এবং তারা যাদের পথভ্রষ্ট করেছে তাদের রব।বাতাসের এবং বাতাস যা উড়িয়ে নিয়ে যায় তার রব। আমি আপনার নিকট এই গ্রাম এবং এর অধিবাসীদের অকল্যান থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করছি।

  • ১৫২. হজরে আসওয়াদকে চুমু দিয়ে বা ইশারা করে তওয়াফ শুরু করার দু‘আ

    الله أكبر

    উচ্চারণঃ আল্লাহু আকবার

    অর্থঃ শুরু করছি আল্লাহর নামে, আল্লাহ সবার চেয়ে বড়

  • ১৫৩. রোকনে ইয়ামানী এবং হজরে আসওয়াদের মধ্যবর্তী স্থানে পড়ার দু‘আ

    رَبَّـنَا آتِنَا فِي الدُّنْيَا حَسَنَةً وَفِي الآخِرَةِ حَسَنَةً وَقِنَا عَذَابَ النَّارِ

    উচ্চারণঃ রাব্বানা আতিনা ফিদ্দুনিয়া হাসানাতাঁও ওয়া ফিল আখিরাতি হাসানাতাঁও ওয়া ক্কিনা আযাবান্নার।

    অর্থঃ হে রব আমাদের দুনিয়ায় শান্তি দাও এবং আখেরাতেও শান্তি দাও। আর জাহান্নামের আগুন থেকে আমাদের বাঁচাও।

  • ১৫৪. যমযমের পানি পান করার দু’আ

    اَللّٰهُمَّ اِنِّيْ اَسْئَلُكَ عِلْمًا نَافِعًا وَّرِزْقًا وَّاسِعًا وَّشِفَاءً مِّنْ كُلِّ دَاءٍ.

    উচ্চারণঃ আল্লাাহুম্মা ইন্নী আসআলুকা ‘ইলমান নাা ফি‘আা, ওয়া রিযক্বন ওয়াা সি‘আা, ওয়া শিফাা আম মিন কুল্লি দাা ইন।

    অর্থঃ হে আল্লাহ! নিশ্চয়ই আমি আপনার নিকট উপকারী ইলম এবং হালাল প্রশস্ত রিয্‌ক এবং সর্বপ্রকার রোগের শিফা চাচ্ছি।

  • ১৫৫. সাফা এবং মারওয়া পাহাড়ে আরোহনের দু‘আ

    إِنَّ الصَّفَا وَالْمَرْوَةَ مِنْ شَعَائِرِ اللهِ

    أَبْدَأُ بِمَا بَدَأَ اللهُ بِهِ

    اللهُ أَكْبَرُ ، اللهُ أَكْبَرُ ، اللهُ أَكْبَرُ

    لَا إِلَهَ إِلَّا اللهُ وَحْدَهُ لَا شَرِيكَ لَهُ ، لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ ، لَا إِلَهَ إِلَّا اللهُ وَحْدَهُ ، أَنْجَزَ وَعْدَهُ ، وَنَصَرَ عَبْدَهُ ، وَهَزَمَ الأَحْزَابَ وَحْدَهُ

    উচ্চারণঃ ইন্নাস সাফা ওয়াল মারওতা মিন শাআইরিল্লাহ। আবদাউ বিমা বাদাল্লাহু বিহী। আল্লাহু আকবর, আল্লাহু আকবর, আল্লাহু আকবর। লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু, ওহাদাহু লা শরীকালাহু, লাহুল মুলকু ওয়া লাহুল হামদু,ওয়া হুয়া আলা কুল্লি শাইন কাদির। লা ইলাহা ইল্লাহু ওহাদাহু আনজাযা ওয়াদাহু, ওয়া নাসারা আবদাহু, ওয়া হাযামাল আহযাবা ওয়াহদাহু।

    অর্থঃ নিশ্চয়ই সাফা-মারওয়া পাহাড় আল্লাহর নিদর্শানাবলীর মধ্য থেকে অন্যতম নিদশর্ন। আল্লাহ যেভাবে শুরু করেছেন, আমিও সেভাবে শুরু করছি। আল্লাহ সর্বশ্রেষ্ঠ, আল্লাহ সর্বশ্রেষ্ঠ, আল্লাহ সর্বশ্রেষ্ঠ। আল্লাহ ছাড়া কোন ইলাহ নাই। তিনি একক। তার কোন শরীক নাই।সকল ক্ষমতা তার এবং সকল প্রশংসার উপযুক্ত তিনিই।তিনি সব কিছুর উপর ক্ষমতাবান।আল্লাহ ছাড়া কোন ইলাহ নাই, তিনি একক,তিনি তার ওয়াদা পূরন করেন, তার বান্দাদের সাহায্য করেন এবং একাই সম্মিলিত দুশমন বাহিনীকে পরাজিত করেন।

  • ১৫৬. আরাফার দিনের দু‘আ

    لَا إِلَهَ إِلَّا اللهُ ، وَحْدَهُ لَا شَرِيكَ لَهُ ، لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ ، وهُوَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ

    উচ্চারণঃ লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শারিকা লাহ। লাহুল মুলকু, ওয়া লাহুল হামদু ওয়া হুয়া আলা কুল্লি শাইয়িন কাদির।

    অর্থঃ নেই কোন উপাস্য এক আল্লাহ ব্যতীত। তাঁর শরীক নেই। রাজত্ব তাঁর জন্য। প্রশংসা তাঁর জন্য। তিনি সর্ববিষয়ে ক্ষমতাবান।

  • ১৫৭. আল-মাশআর আল-হারামের সন্নিকটে দোয়া করা

    لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ وَحْدَهُ لاَ شَرِيكَ لَهُ لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَىْءٍ قَدِيرٌ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ وَحْدَهُ أَنْجَزَ وَعْدَهُ وَنَصَرَ عَبْدَهُ وَهَزَمَ الأَحْزَابَ وَحْدَهُ.

    উচ্চারণঃ লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শারিকা লাহ। লাহুল মুলকু, ওয়া লাহুল হামদু ওয়া হুয়া আলা কুল্লি শাইয়িন কাদির। লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু, আনজাযা ওয়াদাহু, ওয়া নাসারা আবদাহু, ওয়া হাযামাল আহযাবা ওয়াহদাহ।

    অর্থঃ নেই কোন উপাস্য এক আল্লাহ ব্যতীত। তাঁর শরীক নেই। রাজত্ব তাঁর জন্য। প্রশংসা তাঁর জন্য। তিনি সর্ববিষয়ে ক্ষমতাবান। নেই কোন উপাস্য এক আল্লাহ ব্যতীত। তিনি প্রতিশ্রুতি পূর্ণ করেছেন। তাঁর বান্দাকে সাহায্য করেছেন এবং তিনি একাই সকল দলকে পরাজিত করেছেন।

  • ১৫৮. জামরাতে কঙ্কর নিক্ষেপের দু‘আ

    اللهُ أَكْبَرُ

    উচ্চারণঃ আল্লাহু আকবর

    অর্থঃ আল্লাহ সর্বশ্রেষ্ঠ

  • ১৫৯. জবাই করার দু‘আ

    بِسْمِ اللهِ وَاللهُ أَكْبَرُ ، اللَّهُمَّ هَذَا مِنْكَ وَلَكَ

    উচ্চারণঃ বিসমিল্লাহি ওয়াল্লাহু আকবর, আল্লাহুম্মা হা-জা মিনকা ওয়া-লাক।

    অর্থঃ শুরু করছি আল্লাহর নামে, এবং আল্লাহ সবার চেয়ে বড়। হে আল্লাহ, আপনি থেকে (এটি) এবং আপনার জন্যে।

  • ১৬০. সালাতুল হাজতের দোয়া

    لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللهُ الْحَلِيْمُ الْكَرِيْمُ سُبْحَانَ اللهِ رَبِّ الْعَرْشِ الْعَظِيْمِ الْحَمْدُ ِللهِ رَبِّ الْعَالَمِيْنَ. اَسْأَلُكَ مُوْجِبَاتِ رَحْمَتِكَ وَعَزَائِمَ مَغْفِرَتِكَ وَالْغَنِيْمَةَ مِنْ كُلِّ بِرٍّ وَالسَّلاَمَةَ مِنْ كُلِّ إِثْمٍ لاَتَدَعْ لَنَا ذَنْبًا إِلاَّ غَفَرْتَهُ وَلاَ هَمًّا إِلاَّ فَرَّجْتَهُ وَلاَ حَاجَةً هِىَ لَكَ رِضًا إِلاَّ قَضَيْتَهَا يَا أَرْحَمَ الرَّاحِمِيْنَ‎

    উচ্চারণঃ লা ইলাহা ইল্লাল্লাহুল হালিমুল কারিম। সুবহানাল্লাহি রব্বিল আরশিল আযীম। আলহামদুলিল্লাহি রব্বিল আলামিন। আছআলুকা মু’জিবাতি রহমাতিকা অয়া আযা- ইমা মাগফিরাতিকা অয়াল গ’নিমাতা মিন কুল্লি বিররিউ অয়াস সালামাতা মিন কুল্লি ইছমিন লা তাদা’লানা- যাম্বান ইল্লা গাফারতাহু ওয়ালা হাম্মান ইল্লা ফাররাজতাহু অয়ালা হাজাতান হিয়া লাকা রিযান ইল্লা কযাইতাহা ইয়া আর হামার রাহিমিন।

    অর্থঃ আল্লাহ ছাড়া কোন ইলাহ নেই, তিনি ধৈর্যশীল ও মহামহিম। মহান আরশের মালিক আল্লাহ তা’আলা খুবই পবিত্র। সকল প্রশংসা সারা বিশ্বের প্রতিপালক আল্লাহ তা’আলার জন্য। (হে আল্লাহ!) আমি তোমার নিকট তোমার রহমত লাভের উপায়সমূহ, তোমার ক্ষমা লাভের কঠিন ওয়াদা, প্রত্যেক ভাল কাজের ঐশ্বর্য এবং সকল খারাপ কাজ হতে নিরাপত্তা চাইছি। হে মহা অনুগ্রহকারী! আমার প্রতিটি অপরাধ ক্ষমা কর, আমার প্রতিটি দুশ্চিন্তা দূর করে দাও এবং যে প্রয়োজন ও চাহিদা তোমার সন্তোষ লাভের কারণ হয় তা পরিপূর্ণ করে দাও

 

  • ১৬১. সালাতুল তাসবীহ

    سُبْحَانَ اللَّهِ وَالْحَمْدُ لِلَّهِ وَلَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ وَاللَّهُ أَكْبَرُ

    উচ্চারণঃ সুবহানাল্লাহি ওয়াল হামদুলিল্লাহি ওয়া লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াল্লাহু আকবার

    অর্থঃ আল্লাহর পবিত্রতা ঘোষণা করিতেছি, এবং সকল প্রশংসা আল্লাহর জন্য, আল্লাহ ব্যতীত কোন মা’বুদ নাই, তিনি সর্বশ্রষ্ঠ।

  • ১৬২. ইস্তেখারা

    اللّٰهُمَّ إِنِّيْ أَسْتَخِيْرُكَ بِعِلْمِكَ وَأَسْتَقْدِرُكَ بِقُدْرَتِكَ وَأَسْأَلُكَ مِنْ فَضْلِكَ الْعَظِيْمِ، فَإِنَّكَ تَقْدِرُ وَلاَ أَقْدِرُ وَتَعْلَمُ وَلاَ أَعْلَمُ وَأَنْتَ عَلاَّمُ الْغُيُوْبِ، اللّٰهُمَّ إِنْ كُنْتَ تَعْلَمُ أَنَّ هٰذَا الأَمْرَ خَيْرٌ لِيْ فِيْ دِيْنِيْ وَمَعَاشِىْ وَعَاقِبَةِ أَمْرِيْ فَاقْدُرْهُ لِيْ وَيَسِّرْهُ لِيْ ثُمَّ بَارِكْ لِيْ فِيْهِ، وَإِنْ كُنْتَ تَعْلَمُ أَنَّ هٰذَا الأَمْرَ شَرٌّ لِيْ فِيْ دِيْنِيْ وَمَعَاشِىْ وَعَاقِبَةِ أَمْرِيْ فَاصْرِفْهُ عَنّيْ وَاصْرِفْنِيْ عَنْهُ وَاقْدُرْ لِيَ الْخَيْرَ حَيْثُ كَانَ ثُمَّ أَرْضِنِيْ بِهٖ.

    উচ্চারণঃ আল্লাহুম্মা ইন্নী আসতাখিরুকা বি‘ইলমিকা ওয়া আস্তাক্বদিরুকা বিক্বুদ্‌রাতিকা ওয়া আস্আলুকা মিন ফাদ্‌লিকাল আযীম। ফা ইন্নাকা তাক্বদিরু ওয়ালা আক্বদিরু, ওয়া তা’লামু ওয়ালা আ’লামু, ওয়া আনতা ’আল্লামূল গুয়ূব। আল্লাহুম্মা ইন কুনতা তা’লামু আন্না হা-যাল আম্‌রা (মনে মনে প্রয়োজন উল্লেখ করুন) খাইরুন লী ফী দীনি ওয়া মা’আশী ওয়া ‘আ-ক্বিবাতি আমরী , ফাকদিরহু লী, ওয়া ইয়াস্‌সিরহু লী, ছুম্মা বারিক লী ফীহি। ওয়া ইন কুনতা তা’লামু আন্না হা-যাল আমরা (মনে মনে প্রয়োজন উল্লেখ করুন) শাররুন লী ফী দীনী ওয়া মা’আ-শী ওয়া ’আ-ক্বিবাতি আমরী, ফাসরিফহু ’আন্নী ওয়াসরিফনী ’আনহু, ওয়াকদুর লিয়াল-খাইর। হাইসু কা-না, সুম্মা আরদ্বিনী বিহ্।

    অর্থঃ হে আল্লাহ! আমি আপনার ইলমের উসিলায় আপনার নিকট মঙ্গল কামনা করছি এবং আপনার কুদরতের উসিলায় আপনার নিকট শক্তি কামনা করছি এবং আপনার নিকট আপনার মহান অনুগ্রহ কামনা করছি। কেননা, আপনি ক্ষমতাবান, আর আমি অক্ষম এবং আপনি সর্বজ্ঞানী আর আমি অজ্ঞ, এবং আপনি সমস্ত গোপন সম্পর্কে জ্ঞাত। হে আল্লাহ! যদি আপনার জ্ঞান অনুযায়ী এ কাজটি আমার জন্য আমার দ্বীন ও দুনিয়ার দিক দিয়ে এবং পরিণামে মঙ্গলজনক হয়, তবে তা আমার জন্য নির্ধারণ করে দিন এবং একে সহজ করে দিন। অতঃপর এর মধ্যে আমার জন্য বরকত দান করুন। আর যদি আপনার জ্ঞান অনুযায়ী এ কাজটি আমার দ্বীন ও দুনিয়ার দিক দিয়ে এবং পরিণামে আমার জন্য মঙ্গলজনক না হয়, তবে আপনি এ কাজটিকে আমার থেকে দূরে রাখুন এবং যেখানেই আমার জন্য মঙ্গল রয়েছে তা আমার জন্য নির্ধারিত করুন এবং তাতেই আমাকে সন্তুষ্ট করে দিন।

  • ১৬৩. জানাযা নামাযের দু‘আ

    اَللّٰهُمَّ اغْفِرْ لِحَيِّنَا وَمَيِّتِنَا. وَشَاهِدِنَا وَغَائِبِنَا. وَصَغِيْرِنَا وَكَبِيْرِنَا، وَذَكَرِنَا وَاُنْثَانَا اَللّٰهُمَّ مَنْ اَحْيَيْتَهٗ مِنَّا فَاَحْيِهٖ عَلَی الْاِسْلَامِ. وَمَنْ تَوَفَّيْتَهٗ مِنَّا فَتَوَفَّهٗ عَلَى الْاِيْمَانِ.

    উচ্চারণঃ আল্লাাহুম্মাগফির লিহাইয়্যিনাা ওয়া মায়্যিতিনাা ওয়া শাা হিদিনাা ওয়া গাা ইবিনাা ওয়া সগী রিনাা ওয়া কাবী রিনাা ওয়া যাকারিনাা ওয়া উনসাা নাা, আল্লাাহুম্মা মান আহইয়াইতাহু মিন্নাা ফা আহইহী ‘আলাল ইসলাাম, ওয়া মান তাওয়াফফাইতাহু মিন্নাা ফাতাওয়াফ্ফাহু ‘আলাল ঈ মাান।

    অর্থঃ হে আল্লাহ, আমাদের জীবিত ও মৃত, উপস্থিত ও অনুপস্থিত, ছোট ও বড় এবং পুরুষ ও নারী – সকলকে ক্ষমা করে দিন। হে আল্লাহ, আপনি আমাদের মধ্য থেকে যাঁদেরকে জীবিত রেখেছেন ইসলামের উপর জীবিত রাখেন আর যাদেরকে মৃত্যু দান করেছেন তাদেরকে ঈমানের সাথেই মৃত্যু দান করেন।

  • ১৬৪. সূরা আল-ফাতিহা

    بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَٰنِ الرَّحِيمِ

    الْحَمْدُ لِلَّهِ رَبِّ الْعَالَمِينَ

    الرَّحْمَٰنِ الرَّحِيمِ

    مَالِكِ يَوْمِ الدِّينِ

    إِيَّاكَ نَعْبُدُ وَإِيَّاكَ نَسْتَعِينُ

    اهْدِنَا الصِّرَاطَ الْمُسْتَقِيمَ

    صِرَاطَ الَّذِينَ أَنْعَمْتَ عَلَيْهِمْ غَيْرِ الْمَغْضُوبِ عَلَيْهِمْ وَلَا الضَّالِّينَ

    উচ্চারণঃ শুরু করছি আল্লাহর নামে যিনি পরম করুণাময়, অতি দয়ালু। যাবতীয প্রশংসা আল্লাহ তা’আলার যিনি সকল সৃষ্টি জগতের পালনকর্তা। যিনি নিতান্ত মেহেরবান ও দয়ালু। যিনি বিচার দিনের মালিক। আমরা একমাত্র তোমারই ইবাদত করি এবং শুধুমাত্র তোমারই সাহায্য প্রার্থনা করি। আমাদেরকে সরল পথ দেখাও, সে সমস্ত লোকের পথ, যাদেরকে তুমি নেয়ামত দান করেছ। তাদের পথ নয়, যাদের প্রতি তোমার গজব নাযিল হয়েছে এবং যারা পথভ্রষ্ট হয়েছে।

    অর্থঃ বিছমিল্লাহির রাহমানির রাহিম। আল হামদুলিল্লা-হি রাব্বিল ‘আ-লামীন। আররাহমা-নির রাহীম। মা-লিকি ইয়াওমিদ্দীন। ইয়্যা-কা না‘বুদুওয়া ইয়্যা-কা নাছতা‘ঈন। ইহদিনাসসিরা-তাল মুছতাকীম। সিরা-তাল্লাযীনা আন‘আমতা ‘আলাইহিম । গাইরিল মাগদূ বি ‘আলাইহিম ওয়ালাদ্দাল্লীন।

  • ১৬৫. সূরা বাকারার শেষ দুই আয়াত

    آمَنَ الرَّسُولُ بِمَا أُنزِلَ إِلَيْهِ مِن رَّبِّهِ وَالْمُؤْمِنُونَ ۚ كُلٌّ آمَنَ بِاللَّهِ وَمَلَائِكَتِهِ وَكُتُبِهِ وَرُسُلِهِ لَا نُفَرِّقُ بَيْنَ أَحَدٍ مِّن رُّسُلِهِ ۚ وَقَالُوا سَمِعْنَا وَأَطَعْنَا ۖ غُفْرَانَكَ رَبَّنَا وَإِلَيْكَ الْمَصِيرُ

    لَا يُكَلِّفُ اللَّهُ نَفْسًا إِلَّا وُسْعَهَا ۚ لَهَا مَا كَسَبَتْ وَعَلَيْهَا مَا اكْتَسَبَتْ ۗ رَبَّنَا لَا تُؤَاخِذْنَا إِن نَّسِينَا أَوْ أَخْطَأْنَا ۚ رَبَّنَا وَلَا تَحْمِلْ عَلَيْنَا إِصْرًا كَمَا حَمَلْتَهُ عَلَى الَّذِينَ مِن قَبْلِنَا ۚ رَبَّنَا وَلَا تُحَمِّلْنَا مَا لَا طَاقَةَ لَنَا بِهِ ۖ وَاعْفُ عَنَّا وَاغْفِرْ لَنَا وَارْحَمْنَا ۚ أَنتَ مَوْلَانَا فَانصُرْنَا عَلَى الْقَوْمِ الْكَافِرِينَ

    উচ্চারণঃ (১) আ-মানাররাছূলু বিমা উনঝিলা ইলাইহি মির রাব্বিহী ওয়াল মু’মিনূনা, কুল্লুন আ-মানা বিল্লাহি ওয়া মালাইকাতিহী ওয়া কুতুবিহী ওয়া রুছুলিহ, লা-নুফাররিকু বাইনা আহাদিম মির রুছুলিহ, ওয়া ক্ব-লূ ছামি‘না ওয়া আতা‘না গুফরা-নাকা রাব্বানা-ওয়া ইলাইকাল মাসীর। (২) লা-ইউকালিলফুল্লা-হু নাফছান ইল্লা-উছ‘আহা-লাহা-মা কাছাবাত ওয়া ‘আলাইহা-মাকতাছাবাত রাব্বানা-লা-তুআ-খিযনা ইন নাছীনা-আও আখতা’না-রাব্বানা ওয়ালা-তাহমিল ‘আলাইনা-ইসরান কামা-হামালতাহূ আলাল্লাযীনা মিন কাবলিনা-রাব্বানা-ওয়ালা তুহাম্মিলনা-মা-লা-ত্ব-ক্বতা লানা-বিহী ওয়া‘ফু‘আন্না-ওয়াগফিরলানা-ওয়ারহামনা-আনতা মাওলা-না-ফানসুরনা-‘আলাল কাওমিল কা-ফিরীন।

    অর্থঃ (১) রসূল বিশ্বাস রাখেন ঐ সমস্ত বিষয় সম্পর্কে যা তাঁর পালনকর্তার পক্ষ থেকে তাঁর কাছে অবতীর্ণ হয়েছে এবং মুসলমানরাও সবাই বিশ্বাস রাখে আল্লাহর প্রতি, তাঁর ফেরেশতাদের প্রতি, তাঁর গ্রন্থসমুহের প্রতি এবং তাঁর পয়গম্বরগণের প্রতি। তারা বলে আমরা তাঁর পয়গম্বরদের মধ্যে কোন তারতম্য করিনা। তারা বলে, আমরা শুনেছি এবং কবুল করেছি। আমরা তোমার ক্ষমা চাই, হে আমাদের পালনকর্তা। তোমারই দিকে প্রত্যাবর্তন করতে হবে। (২) আল্লাহ কাউকে তার সাধ্যাতীত কোন কাজের ভার দেন না, সে তাই পায় যা সে উপার্জন করে এবং তাই তার উপর বর্তায় যা সে করে। হে আমাদের পালনকর্তা, যদি আমরা ভুলে যাই কিংবা ভুল করি, তবে আমাদেরকে অপরাধী করো না। হে আমাদের পালনকর্তা! এবং আমাদের উপর এমন দায়িত্ব অর্পণ করো না, যেমন আমাদের পূর্ববর্তীদের উপর অর্পণ করেছ, হে আমাদের প্রভূ! এবং আমাদের দ্বারা ঐ বোঝা বহন করিও না, যা বহন করার শক্তি আমাদের নাই। আমাদের পাপ মোচন কর। আমাদেরকে ক্ষমা কর এবং আমাদের প্রতি দয়া কর। তুমিই আমাদের প্রভু। সুতরাং কাফের সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে আমাদের কে সাহায্যে কর।

  • ১৬৬. আয়াতুল কুরসী

    اللّٰهُ لَاۤ اِلٰهَ اِلَّا هُوَ الۡحَـىُّ الۡقَيُّوۡمُ لَا تَاۡخُذُهٗ سِنَةٌ وَّلَا نَوۡمٌ‌ؕ لَهٗ مَا فِى السَّمٰوٰتِ وَمَا فِى الۡاَرۡضِ‌ؕ مَنۡ ذَا الَّذِىۡ يَشۡفَعُ عِنۡدَهٗۤ اِلَّا بِاِذۡنِهٖ‌ؕ يَعۡلَمُ مَا بَيۡنَ اَيۡدِيۡهِمۡ وَمَا خَلۡفَهُمۡ‌ۚ وَلَا يُحِيۡطُوۡنَ بِشَىۡءٍ مِّنۡ عِلۡمِهٖۤ اِلَّا بِمَا شَآءَ ۚ وَسِعَ كُرۡسِيُّهُ السَّمٰوٰتِ وَالۡاَرۡضَ‌‌ۚ وَلَا يَـــُٔوۡدُهٗ حِفۡظُهُمَا ‌ۚ وَ هُوَ الۡعَلِىُّ الۡعَظِيۡمُ‏

    উচ্চারণঃ আল্লা-হু লাইলা-হা ইল্লা-হুওয়াল হাইয়ুল কাইয়ূম, লা-তা’খুযুহূ ছিনাতুওঁ ওয়ালা-নাওম, লাহূ মা-ফিছ ছামা-ওয়া-তি ওয়ামা-ফিল আরদ, মান যাল্লাযী ইয়াশফা‘উ ‘ইনদাহূইল্লা-বিইযনিহ, ইয়া‘লামু মা-বাইনা আইদীহিম ওয়ামা-খালফাহুম, ওয়ালা-ইউহীতূনা বিশাইইম মিন ‘ইলমিহী ইল্লা-বিমা-শাআ ওয়াছি‘আ কুরছিইয়ুহুছ ছামা-ওয়া-তি ওয়াল আরদা ওয়ালা-ইয়াঊদুহু হিফজু হুমা-ওয়া হুওয়াল ‘আলিইয়ূল ‘আজীম।

    অর্থঃ আল্লাহ ছাড়া অন্য কোনো উপাস্য নেই, তিনি জীবিত, সবকিছুর ধারক। তাঁকে তন্দ্রাও স্পর্শ করতে পারে না এবং নিদ্রাও নয়। আসমান ও যমীনে যা কিছু রয়েছে, সবই তাঁর। কে আছ এমন, যে সুপারিশ করবে তাঁর কাছে তাঁর অনুমতি ছাড়া? দৃষ্টির সামনে কিংবা পিছনে যা কিছু রয়েছে সে সবই তিনি জানেন। তাঁর জ্ঞানসীমা থেকে তারা কোনো কিছুকেই পরিবেষ্টিত করতে পারে না, কিন্তু যতটুকু তিনি ইচ্ছা করেন। তাঁর সিংহাসন সমস্ত আসমান ও যমীনকে পরিবেষ্টিত করে আছে। আর সেগুলোকে ধারণ করা তাঁর পক্ষে কঠিন নয়। তিনিই সর্বোচ্চ এবং সর্বাপেক্ষা মহান।

  • ১৬৭. সূরা আল-কাহাফ

    (প্রথম ১০ আয়াত)

    الْحَمْدُ لِلَّهِ الَّذِي أَنزَلَ عَلَىٰ عَبْدِهِ الْكِتَابَ وَلَمْ يَجْعَل لَّهُ عِوَجًا ۜ

    قَيِّمًا لِّيُنذِرَ بَأْسًا شَدِيدًا مِّن لَّدُنْهُ وَيُبَشِّرَ الْمُؤْمِنِينَ الَّذِينَ يَعْمَلُونَ الصَّالِحَاتِ أَنَّ لَهُمْ أَجْرًا حَسَنًا

    مَّاكِثِينَ فِيهِ أَبَدًا

    وَيُنذِرَ الَّذِينَ قَالُوا اتَّخَذَ اللَّهُ وَلَدًا

    مَّا لَهُم بِهِ مِنْ عِلْمٍ وَلَا لِآبَائِهِمْ ۚ كَبُرَتْ كَلِمَةً تَخْرُجُ مِنْ أَفْوَاهِهِمْ ۚ إِن يَقُولُونَ إِلَّا كَذِبًا

    فَلَعَلَّكَ بَاخِعٌ نَّفْسَكَ عَلَىٰ آثَارِهِمْ إِن لَّمْ يُؤْمِنُوا بِهَٰذَا الْحَدِيثِ أَسَفًا

    إِنَّا جَعَلْنَا مَا عَلَى الْأَرْضِ زِينَةً لَّهَا لِنَبْلُوَهُمْ أَيُّهُمْ أَحْسَنُ عَمَلًا

    وَإِنَّا لَجَاعِلُونَ مَا عَلَيْهَا صَعِيدًا جُرُزًا

    أَمْ حَسِبْتَ أَنَّ أَصْحَابَ الْكَهْفِ وَالرَّقِيمِ كَانُوا مِنْ آيَاتِنَا عَجَبًا

    ১০

    إِذْ أَوَى الْفِتْيَةُ إِلَى الْكَهْفِ فَقَالُوا رَبَّنَا آتِنَا مِن لَّدُنكَ رَحْمَةً وَهَيِّئْ لَنَا مِنْ أَمْرِنَا رَشَدًا

    (শেষ ১০ আয়াত)

    الَّذِينَ كَانَتْ أَعْيُنُهُمْ فِي غِطَاءٍ عَن ذِكْرِي وَكَانُوا لَا يَسْتَطِيعُونَ سَمْعًا

    أَفَحَسِبَ الَّذِينَ كَفَرُوا أَن يَتَّخِذُوا عِبَادِي مِن دُونِي أَوْلِيَاءَ ۚ إِنَّا أَعْتَدْنَا جَهَنَّمَ لِلْكَافِرِينَ نُزُلًا

    قُلْ هَلْ نُنَبِّئُكُم بِالْأَخْسَرِينَ أَعْمَالًا

    الَّذِينَ ضَلَّ سَعْيُهُمْ فِي الْحَيَاةِ الدُّنْيَا وَهُمْ يَحْسَبُونَ أَنَّهُمْ يُحْسِنُونَ صُنْعًا

    أُولَٰئِكَ الَّذِينَ كَفَرُوا بِآيَاتِ رَبِّهِمْ وَلِقَائِهِ فَحَبِطَتْ أَعْمَالُهُمْ فَلَا نُقِيمُ لَهُمْ يَوْمَ الْقِيَامَةِ وَزْنًا

    ذَٰلِكَ جَزَاؤُهُمْ جَهَنَّمُ بِمَا كَفَرُوا وَاتَّخَذُوا آيَاتِي وَرُسُلِي هُزُوًا

    إِنَّ الَّذِينَ آمَنُوا وَعَمِلُوا الصَّالِحَاتِ كَانَتْ لَهُمْ جَنَّاتُ الْفِرْدَوْسِ نُزُلًا

    خَالِدِينَ فِيهَا لَا يَبْغُونَ عَنْهَا حِوَلًا

    قُل لَّوْ كَانَ الْبَحْرُ مِدَادًا لِّكَلِمَاتِ رَبِّي لَنَفِدَ الْبَحْرُ قَبْلَ أَن تَنفَدَ كَلِمَاتُ رَبِّي وَلَوْ جِئْنَا بِمِثْلِهِ مَدَدًا

    ১০

    قُلْ إِنَّمَا أَنَا بَشَرٌ مِّثْلُكُمْ يُوحَىٰ إِلَيَّ أَنَّمَا إِلَٰهُكُمْ إِلَٰهٌ وَاحِدٌ ۖ فَمَن كَانَ يَرْجُو لِقَاءَ رَبِّهِ فَلْيَعْمَلْ عَمَلًا صَالِحًا وَلَا يُشْرِكْ بِعِبَادَةِ رَبِّهِ أَحَدًا

    উচ্চারণঃ (প্রথম ১০ আয়াত) ১ আলহামদু লিল্লা-হিল্লাযী আনযালা ‘আলা ‘আবদিহিল্ কিতা-বা অ লাম্ ইয়াজ্ব‘আল্ লাহূ ‘ইওয়াজ্বা-। ২ ক্বাইয়্যিমাল্ লিয়ুনযিরা বা'সান্ শাদীদাম্ মিল্লাদুনহু অ-য়ুবাশ্ শিরাল্ মুমিনীনাল্লাযীনা ইয়া’মালূনাছ্ ছোয়া-লিহা-তি আন্না লাহুম্ আজ্বরান্ হাসানা-। ৩ মা-কিছীনা ফীহি আবাদা-। ৪ অ-য়ুনযিরাল্লাযিনা ক্ব-লুত্তাখাযাল্লা-হু অলাদা-। ৫ মা-লাহুম্ বিহী মিন্ ‘ইল্মিঁও অলা- লিআ-বা-য়িহিম্; কাবুরত্ কালিমাতান্ তাখরুজু মিন্ আফ্ওয়া-হিহিম্; ইঁইয়াকু লূনা ইল্লা-কাযিবা-। ৬ ফালা‘আল্লাকা বা-খি‘উন্নাফ্সাকা ‘আলা আ-ছা-রিহিম্ ইল্ লাম্ ইয়ুমিনূ বিহা-যাল্ হাদীছি আসাফা-। ৭ ইন্না- জ্বা‘আলনা-মা- ‘আলাল্ র্আদ্বি যীনাতাল্লাহা-লিনাব্লুওয়াহুম্ আইয়্যুহুম্ আহ্সানু ‘আমালা-। ৮ অইন্না-লাজ্বা-‘ইলূনা মা-‘আলাইহা-ছোয়া‘ঈদান্ জুরুযা-। ৯ আম্ হাসিবতা আন্না আছ্হা-বাল্ ক্বহ্ফি অর্রাক্বীমি কা-নূ মিন্ আ-ইয়া-তিনা- ‘আজ্বাবা। ১০ ইয্ আওয়াল্ ফিত্ইয়াতু ইলাল্ কাহ্ফি ফাক্ব-লূ রব্বানা আ-তিনা-মিল্লাদুন্কা রাহমাতাওঁ অহাইয়ি লানা- মিন্ আম্রিনা- রশাদা-। (শেষ ১০ আয়াত) ১ আল্লাযীনা কা-নাত্ ‘আইয়ুনুহুম্ ফী গিত্বোয়া-য়িন্ ‘আন্ যিক্রী অকা-নূ লা- ইয়াস্তাত্বী ‘ঊনা সাম্‘আ-। ২ আফাহাসিবাল্ লাযীনা কাফারূ আইঁ ইয়াত্তাখিযূ ‘ইবা-দী মিন্ দূনী আওলিয়া-য়্; ইন্না ‘আ'তাদ্না-জ্বাহান্নামা লিল্ কা-ফিরীনা নুযুলা-। ৩ কুল্ হাল্ নুনাব্বিয়ুকুম্ বিল্আখ্সারীনা ‘আমা-লা-। ৪ আল্লাযীনা দ্বোয়াল্লা সা’ইয়ুহুম্ ফীল্ হা-ইয়া-তিদ্ দুন্ইয়া-অ হুম্ ইয়াহ্সাবূনা আন্নাহুম্ ইয়ুহ্সিনূনা ছুন্‘আ-। ৫ উলা-য়িকাল লাযীনা কাফারূ বিআ-ইয়া-তি রব্বিহিম্ অলিক্বা-য়িহী ফাহাবিত্বোত আ’মা-লূহুম্ ফালা-নুক্বীমু লাহুম্ ইয়াওমাল্ ক্বিয়া-মাতি অয্না-। ৬ যা-লিকা জ্বাযা-য়ুহুম্ জ্বাহান্নামু বিমা-কাফারূ অত্তাখাযূ আ-ইয়া-তী অরুসুলী হুযুওয়া-। ৭ ইন্নাল্লাযীনা আ-মানূ অ‘আমিলুছ্ ছোয়া-লিহা-তি কা-নাত্ লাহুম্ জ্বান্নাতুল্ ফিরদাউসি নুযুলা-। ৮ খা-লিদীনা ফীহা-লা-ইয়াবগূনা ‘আন্হা-হিওয়ালা-। ৯ কুল্ লাও কা-নাল্ বাহরু মিদা-দাল্ লিকালিমাতি রব্বী লানাফিদাল্ বাহরু ক্বাব্লা আন্ তান্ফাদা কালিমা-তু রব্বী অলাও জ্বিনা-বিমিছ্লিহী মাদাদা-। ১০ কুল্ ইন্নামা আনা-বাশারুম্ মিছ্লুকুম্ ইয়ূহা ইলাইয়্যা আন্নামা ইলা-হুকুম্ ইলাহুঁও ওয়া- হিদুন্ ফামান্ কা-না ইয়ারজু লিক্বা রব্বিহী ফাল্ইয়া’মাল্ ‘আমালান্ ছোয়া-লিহাঁও অলা-ইয়ুশরিকু বি ই’বা-দাতি রব্বিহী আহাদা-।

    অর্থঃ (প্রথম ১০ আয়াত) ১ সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর, যিনি তাঁর বান্দার উপর কিতাব নাযিল করেছেন এবং তাতে রাখেননি কোন বক্রতা । ২ সরলরূপে, যাতে সে তাঁর পক্ষ থেকে কঠিন আযাব সম্পর্কে সতর্ক করে এবং সুসংবাদ দেয়, সেসব মুমিনকে, যারা সৎকর্ম করে, নিশ্চয় তাদের জন্য রয়েছে উত্তম প্রতিদান। ৩ তারা তাতে অনন্তকাল অবস্থান করবে। ৪ আর যেন সতর্ক করে তাদেরকে, যারা বলে, আল্লাহ সন্তান গ্রহণ করেছেন’। ৫ এ ব্যাপারে তাদের কোন জ্ঞান নেই এবং তাদের পিতৃপুরুষদেরও না। বড় মারাত্মক কথা, যা তাদের মুখ থেকে বের হয়। মিথ্যা ছাড়া তারা কিছুই বলে না! ৬ হয়তো তুমি তাদের পেছনে পেছনে ঘুরে দুঃখে নিজকে শেষ করে দেবে, যদি তারা এই কথার প্রতি ঈমান না আনে। ৭ নিশ্চয় যমীনের উপর যা রয়েছে, তা আমি শোভা করেছি তার জন্য, যাতে তাদেরকে পরীক্ষা করি যে, কর্মে তাদের মধ্যে কে উত্তম। ৮ আর নিশ্চয় তার উপর যা রয়েছে তাকে আমি উদ্ভিদহীন শুষ্ক মাটিতে পরিণত করব। ৯ তুমি কি মনে করেছ যে, গুহা ও রাকীমের অধিবাসীরা ছিল আমার আয়াতসমূহের এক বিস্ময়? ১০ যখন যুবকরা গুহায় আশ্রয় নিল অতঃপর বলল, ‘হে আমদের রব, আমাদেরকে আপনার পক্ষ থেকে রহমত দিন এবং আমাদের জন্য আমাদের কর্মকাণ্ড সঠিক করে দিন’। (শেষ ১০ আয়াত) ১ আমার স্মরণ থেকে যাদের চোখ ছিল আবরণে ঢাকা এবং যারা শুনতেও ছিল অক্ষম। ২ যারা কুফরী করছে, তারা কি মনে করেছে যে, তারা আমার পরিবর্তে আমার বান্দাদেরকে অভিভাবকরূপে গ্রহণ করবে? নিশ্চয় আমি জাহান্নামকে কাফিরদের আপ্যায়নের জন্য প্রস্তুত করছি। ৩ বল, ‘আমি কি তোমাদেরকে এমন লোকদের কথা জানাব, যারা আমলের দিক থেকে সবচেয়ে বেশী ক্ষতিগ্রস্ত’? ৪ দুনিয়ার জীবনে যাদের চেষ্টা ব্যর্থ হয়ে গেছে, অথচ তারা মনে করছে যে, তারা ভাল কাজই করছে’! ৫ ‘তারাই সেসব লোক, যারা তাদের রবের আয়াতসমূহ এবং তাঁর সাথে সাক্ষাতকে অস্বীকার করেছে। ফলে তাদের সকল আমল নিষ্ফল হয়ে গেছে। সুতরাং আমি তাদের জন্য কিয়ামতের দিন কোন ওজনের ব্যবস্থা রাখব না’। ৬ ‘এ জন্যই তাদের প্রতিফল জাহান্নাম। কারণ তারা কুফরী করেছে এবং আমার আয়াতসমূহ ও আমার রাসূলগণকে বিদ্রুপের বিষয় বানিয়েছে’। ৭ নিশ্চয় যারা ঈমান এনেছে এবং সৎকাজ করেছে, তাদের মেহমানদারির জন্য রয়েছে জান্নাতুল ফেরদাউস। ৮ সেখানে তারা স্থায়ী হবে। তারা সেখান থেকে অন্য কোথাও স্থানান্তরিত হতে চাইবে না। ৯ বল, ‘আমার রবের কথা লেখার জন্য সমুদ্র যদি কালি হয়ে যায় তবে সমুদ্র নিঃশেষ হয়ে যাবে আমার রবের কথা শেষ হওয়ার আগেই। যদিও এর সাহায্যার্থে অনুরূপ আরো সমুদ্র নিয়ে আসি’। ১০ বল, ‘আমি তোমাদের মতই একজন মানুষ। আমার নিকট ওহী প্রেরণ করা হয় যে, তোমাদের ইলাহই এক ইলাহ। সুতরাং যে তার রবের সাক্ষাৎ কামনা করে, সে যেন সৎকর্ম করে এবং তার রবের ইবাদাতে কাউকে শরীক না করে’।

  • ১৬৮. সূরা ওয়াকিয়া

    إِذَا وَقَعَتِ الْوَاقِعَةُ

    لَيْسَ لِوَقْعَتِهَا كَاذِبَةٌ

    خَافِضَةٌ رَافِعَةٌ

    إِذَا رُجَّتِ الْأَرْضُ رَجًّا

    وَبُسَّتِ الْجِبَالُ بَسًّا

    فَكَانَتْ هَبَاءً مُنْبَثًّا

    وَكُنْتُمْ أَزْوَاجًا ثَلَاثَةً

    فَأَصْحَابُ الْمَيْمَنَةِ مَا أَصْحَابُ الْمَيْمَنَةِ

    وَأَصْحَابُ الْمَشْأَمَةِ مَا أَصْحَابُ الْمَشْأَمَةِ

    وَالسَّابِقُونَ السَّابِقُونَ

    أُولَئِكَ الْمُقَرَّبُونَ

    فِي جَنَّاتِ النَّعِيمِ

    ثُلَّةٌ مِنَ الْأَوَّلِينَ

    وَقَلِيلٌ مِنَ الْآخِرِينَ

    عَلَى سُرُرٍ مَوْضُونَةٍ

    مُتَّكِئِينَ عَلَيْهَا مُتَقَابِلِينَ

    يَطُوفُ عَلَيْهِمْ وِلْدَانٌ مُخَلَّدُونَ

    بِأَكْوَابٍ وَأَبَارِيقَ وَكَأْسٍ مِنْ مَعِينٍ

    لَا يُصَدَّعُونَ عَنْهَا وَلَا يُنْزِفُونَ

    وَفَاكِهَةٍ مِمَّا يَتَخَيَّرُونَ

    وَلَحْمِ طَيْرٍ مِمَّا يَشْتَهُونَ

    وَحُورٌ عِينٌ

    كَأَمْثَالِ اللُّؤْلُؤِ الْمَكْنُونِ

    جَزَاءً بِمَا كَانُوا يَعْمَلُونَ

    لَا يَسْمَعُونَ فِيهَا لَغْوًا وَلَا تَأْثِيمًا

    إِلَّا قِيلًا سَلَامًا سَلَامًا

    وَأَصْحَابُ الْيَمِينِ مَا أَصْحَابُ الْيَمِينِ

    فِي سِدْرٍ مَخْضُودٍ

    وَطَلْحٍ مَنْضُودٍ

    وَظِلٍّ مَمْدُودٍ

    وَمَاءٍ مَسْكُوبٍ

    وَفَاكِهَةٍ كَثِيرَةٍ

    لَا مَقْطُوعَةٍ وَلَا مَمْنُوعَةٍ

    وَفُرُشٍ مَرْفُوعَةٍ

    إِنَّا أَنْشَأْنَاهُنَّ إِنْشَاءً

    فَجَعَلْنَاهُنَّ أَبْكَارًا

    عُرُبًا أَتْرَابًا

    لِأَصْحَابِ الْيَمِينِ

    ثُلَّةٌ مِنَ الْأَوَّلِينَ

    وَثُلَّةٌ مِنَ الْآخِرِينَ

    وَأَصْحَابُ الشِّمَالِ مَا أَصْحَابُ الشِّمَالِ

    فِي سَمُومٍ وَحَمِيمٍ

    وَظِلٍّ مِنْ يَحْمُومٍ

    لَا بَارِدٍ وَلَا كَرِيمٍ

    إِنَّهُمْ كَانُوا قَبْلَ ذَلِكَ مُتْرَفِينَ

    وَكَانُوا يُصِرُّونَ عَلَى الْحِنْثِ الْعَظِيمِ

    وَكَانُوا يَقُولُونَ أَئِذَا مِتْنَا وَكُنَّا تُرَابًا وَعِظَامًا أَئِنَّا لَمَبْعُوثُونَ

    أَوَآبَاؤُنَا الْأَوَّلُونَ

    قُلْ إِنَّ الْأَوَّلِينَ وَالْآخِرِينَ

    لَمَجْمُوعُونَ إِلَى مِيقَاتِ يَوْمٍ مَعْلُومٍ

    ثُمَّ إِنَّكُمْ أَيُّهَا الضَّالُّونَ الْمُكَذِّبُونَ

    لَآكِلُونَ مِنْ شَجَرٍ مِنْ زَقُّومٍ

    فَمَالِئُونَ مِنْهَا الْبُطُونَ

    فَشَارِبُونَ عَلَيْهِ مِنَ الْحَمِيمِ

    فَشَارِبُونَ شُرْبَ الْهِيمِ

    هَذَا نُزُلُهُمْ يَوْمَ الدِّينِ

    نَحْنُ خَلَقْنَاكُمْ فَلَوْلَا تُصَدِّقُونَ

    أَفَرَأَيْتُمْ مَا تُمْنُونَ

    أَأَنْتُمْ تَخْلُقُونَهُ أَمْ نَحْنُ الْخَالِقُونَ

    نَحْنُ قَدَّرْنَا بَيْنَكُمُ الْمَوْتَ وَمَا نَحْنُ بِمَسْبُوقِينَ

    عَلَى أَنْ نُبَدِّلَ أَمْثَالَكُمْ وَنُنْشِئَكُمْ فِي مَا لَا تَعْلَمُونَ

    وَلَقَدْ عَلِمْتُمُ النَّشْأَةَ الْأُولَى فَلَوْلَا تَذَكَّرُونَ

    أَفَرَأَيْتُمْ مَا تَحْرُثُونَ

    أَأَنْتُمْ تَزْرَعُونَهُ أَمْ نَحْنُ الزَّارِعُونَ

    لَوْ نَشَاءُ لَجَعَلْنَاهُ حُطَامًا فَظَلْتُمْ تَفَكَّهُونَ

    إِنَّا لَمُغْرَمُونَ

    بَلْ نَحْنُ مَحْرُومُونَ

    أَفَرَأَيْتُمُ الْمَاءَ الَّذِي تَشْرَبُونَ

    أَأَنْتُمْ أَنْزَلْتُمُوهُ مِنَ الْمُزْنِ أَمْ نَحْنُ الْمُنْزِلُونَ

    لَوْ نَشَاءُ جَعَلْنَاهُ أُجَاجًا فَلَوْلَا تَشْكُرُونَ

    أَفَرَأَيْتُمُ النَّارَ الَّتِي تُورُونَ

    أَأَنْتُمْ أَنْشَأْتُمْ شَجَرَتَهَا أَمْ نَحْنُ الْمُنْشِئُونَ

    نَحْنُ جَعَلْنَاهَا تَذْكِرَةً وَمَتَاعًا لِلْمُقْوِينَ

    فَسَبِّحْ بِاسْمِ رَبِّكَ الْعَظِيمِ

    فَلَا أُقْسِمُ بِمَوَاقِعِ النُّجُومِ

    وَإِنَّهُ لَقَسَمٌ لَوْ تَعْلَمُونَ عَظِيمٌ

    إِنَّهُ لَقُرْآنٌ كَرِيمٌ

    فِي كِتَابٍ مَكْنُونٍ

    لَا يَمَسُّهُ إِلَّا الْمُطَهَّرُونَ

    تَنْزِيلٌ مِنْ رَبِّ الْعَالَمِينَ

    أَفَبِهَذَا الْحَدِيثِ أَنْتُمْ مُدْهِنُونَ

    وَتَجْعَلُونَ رِزْقَكُمْ أَنَّكُمْ تُكَذِّبُونَ

    فَلَوْلَا إِذَا بَلَغَتِ الْحُلْقُومَ

    وَأَنْتُمْ حِينَئِذٍ تَنْظُرُونَ

    وَنَحْنُ أَقْرَبُ إِلَيْهِ مِنْكُمْ وَلَكِنْ لَا تُبْصِرُونَ

    فَلَوْلَا إِنْ كُنْتُمْ غَيْرَ مَدِينِينَ

    تَرْجِعُونَهَا إِنْ كُنْتُمْ صَادِقِينَ

    فَأَمَّا إِنْ كَانَ مِنَ الْمُقَرَّبِينَ

    فَرَوْحٌ وَرَيْحَانٌ وَجَنَّةُ نَعِيمٍ

    وَأَمَّا إِنْ كَانَ مِنْ أَصْحَابِ الْيَمِينِ

    فَسَلَامٌ لَكَ مِنْ أَصْحَابِ الْيَمِينِ

    وَأَمَّا إِنْ كَانَ مِنَ الْمُكَذِّبِينَ الضَّالِّينَ

    فَنُزُلٌ مِنْ حَمِيمٍ

    وَتَصْلِيَةُ جَحِيمٍ

    إِنَّ هَذَا لَهُوَ حَقُّ الْيَقِينِ

    فَسَبِّحْ بِاسْمِ رَبِّكَ الْعَظِيمِ

    উচ্চারণঃ ইযা-ওয়াকা‘আতিল ওয়া-কি‘আহ। লাইছা লিওয়াক‘আতিহা-কা-যিবাহ। খা-ফিদাতুর রাফি‘আহ। ইযা-রুজ্জাতিল আরদুরাজ্জা-। ওয়া বুছছাতিল জিবা-লুবাছছা-। ফাকা-নাত হাবাআম মুমবাছছা-। ওয়া কুনতুম আঝওয়া-জান ছালা-ছাহ। ফাআসহা-বুল মাইমানাতি মাআসহা-বুল মাইমানাহ। ওয়া আসহা-বুল মাশআমাতি মাআসহা-বুল মাশআমাহ । ওয়াছছা-বিকূনাছছা-বিকূন। উলাইকাল মুকাররাবূন। ফী জান্না-তিন না‘ঈম। ছু ল্লাতুম মিনাল আওওয়ালীন। ওয়া কালীলুম মিনাল আ-খিরীন। ‘আলা-ছুরুরিমমাওদূ নাহ। মুত্তাকিঈনা ‘আলাইহা-মুতাকা-বিলীন। ইয়াতূ ফূ‘আলাইহিম বিলদা-নুমমুখাল্লাদূন। বিআকওয়া-বিওঁ ওয়া আবা-রীকা ওয়াকা’ছিম মিম্মা‘ঈন। লা-ইউসাদ্দা‘ঊনা ‘আনহা-ওয়ালা ইউনঝিফূন। ওয়া ফা-কিহাতিম মিম্মা-ইয়াতাখাইয়ারূন। ওয়া লাহমি তাইরিম মিম্মা-ইয়াশতাহূন। ওয়া হূরুন ‘ঈন। কাআমছা-লিল লু’লুয়িল মাকনূন। জাঝাআম বিমা-কা-নূইয়া‘মালূন। লা-ইয়াছমা‘ঊনা ফীহা-লাগওয়াওঁ ওয়ালা-তা’ছীমা-। ইল্লা-কীলান ছালা-মান ছালা-মা-। ওয়া আসহা-বুল ইয়ামীনি মাআসহা-বুল ইয়ামীন। ফী ছিদরিম মাখদূদ। ওয়া তালহিমমানদূ দ। ওয়া জিলিলমমামদুদ। ওয়া মাইমমাছকূব। ওয়া ফা-কিহাতিন কাছীরাহ। লা-মাকতূ‘আতিওঁ ওয়ালা-মামনূ‘আহ। ওয়া ফুরুশিমমারফূ‘আহ। ইন্নাআনশা’না-হুন্না ইনশাআ। ফাজা‘আলনা-হুন্না আবকা-রা। ‘উরুবান আতরা-বা-। লিআসহা-বিল ইয়ামীন। ছু ল্লাতুম মিনাল আওওয়ালীন। ওয়া ছুল্লাতুম মিনাল আ-খিরীন। ওয়া আসহা-বুশশিমা-লি মাআসহা-বুশ শিমা-ল। ফী ছামূমিওঁ ওয়া হামীম। ওয়া জিলিলম মিইঁ ইয়াহমূম। লা-বা-রিদিওঁ ওয়ালা-কারীম। ইন্নাহুম কা-নূকাবলা যা-লিকা মুতরাফীন। ওয়াকা-নূইউসিররূনা ‘আলাল হিনছিল ‘আজীম। ওয়া কা-নূইয়াকূলূনা আইযা-মিতনা-ওয়া কুন্না-তুরা-বাওঁ ওয়া ‘ইজা-মান আইন্নালামাব‘ঊছূন। আওয়া আ-বাউনাল আওওয়ালূন। কুল ইন্নাল আওওয়ালীনা ওয়াল আ-খিরীন। লামাজমূ‘ঊনা ইলা-মীকা-তি ইয়াওমিম মা‘লূম। ছু ম্মা ইন্নাকুম আইইয়ুহাদ্দাললূনাল মুকাযযি বূন। লাআ-কিলূনা মিন শাজারিম মিন ঝাক্কূম। ফামা-লিঊনা মিনহাল বুতূন। ফাশা-রিবূনা ‘আলাইহি মিনাল হামীম। ফাশা-রিবূনা শুরবাল হীম। হা-যা-নুঝুলুহুম ইয়াওমাদ্দীন। নাহনুখালাকনা-কুম ফালাওলা-তুসাদ্দিকূন। আফারাআইতুমমা-তুমনূন। আ আনতুম তাখলুকূনাহূআম নাহনুল খা-লিকূন। নাহনুকাদ্দারনা-বাইনাকুমুল মাওতা ওয়ামা-নাহনুবিমাছবূকীন। ‘আলাআননুবাদ্দিলা আমছা-লাকুম ওয়া নুনশিআকুম ফী মা-লা-তা‘লামূন। ওয়া লাকাদ ‘আলিমতুমুন্নাশআতাল ঊলা-ফালাওলা-তাযাক্কারূন। আফারাআইতুম মা-তাহরুছূন। আআনতুম তাঝরা‘ঊনাহূআম নাহনুঝঝা-রি‘ঊন। লাও নাশা-উ লাজা‘আলনা-হু হুতা-মান ফাজালতুম তাফাক্কাহূন। ইন্না-লামুগরামূন। বাল নাহনুমাহরূমূন। আফারাআইতুমুল মাআল্লাযী তাশরাবূন। আ আনতুম আনঝালতুমূহু মিনাল মুঝনি আম নাহনুল মুনঝিলূন। লাও নাশাউ জা‘আলনা-হু উজা-জান ফালাওলা-তাশকুরূন। আফারাআইতুমুন্না-রাল্লাতী তূরূন। আ আনতুম আনশা’তুম শাজারাতাহাআম নাহনুল মুনশিঊন। নাহনুজা‘আলনা-হা-তাযকিরাতাওঁওয়া মাতা-‘আল লিলমুকবিন। ফাছাববিহবিছমি রাব্বিকাল ‘আজীম। ফালাউকছিমুবিমাওয়া-কি‘ইননুজূম। ওয়া ইন্নাহূলাকাছামুল লাও তা‘লামূনা ‘আজীম। ইন্নাহূলাকুরআ-নুন কারীম। ফী কিতা-বিম মাকনূন। লা-ইয়ামাছছুহূইল্লাল মুতাহহারূন। তানঝীলুম মির রাব্বিল ‘আ-লামীন। আফা বিহা-যাল হাদীছিআনতুম মুদহিনূন। ওয়া তাজ‘আলূনা রিঝকাকুম আন্নাকুম তুকাযযি বূন। ফালাও লাইযা-বালাগাতিল হুলকূম। ওয়া আনতুম হীনাইযিন তানজু রূন। ওয়া নাহনুআকরাবুইলাইহি মিনকুম ওয়ালা-কিল্লা-তুবসিরূন। ফালাওলাইন কুনতুম গাইরা মাদীনিন। তার জি‘ঊনাহাইন কুনতুম সা-দিকীন। ফাআম্মাইন কা-না মিনাল মুকাররাবীন। ফারাওহুওঁ ওয়া রাই হা-নুওঁ ওয়া জান্নাতুনা‘ঈম। ওয়া আম্মাইন কা-না মিন আসহা-বিল ইয়ামীন। ফাছালা-মুল্লাকা মিন আসহা-বিল ইয়ামীন। ওয়া আম্মাইন কা-না মিনাল মুকাযযি বীনাদ্দাল্লীন। ফানুঝুলুম মিন হামীম। ওয়া তাসলিয়াতুজাহীম। ইন্না হা-যা-লাহুওয়া হাক্কুল ইয়াকীন। ফাছাব্বিহবিছমি রাব্বিকাল ‘আজীম।

    অর্থঃ যখন কিয়ামত সংঘটিত হবে। তার সংঘটনের কোনই অস্বীকারকারী থাকবে না। তা কাউকে ভূলুণ্ঠিত করবে এবং কাউকে করবে সমুন্নত। যখন যমীন প্রকম্পিত হবে প্রবল প্রকম্পনে। আর পর্বতমালা চূর্ণ-বিচূর্ণ হয়ে পড়বে। অতঃপর তা বিক্ষিপ্ত ধূলিকণায় পরিণত হবে। আর তোমরা বিভক্ত হয়ে পড়বে তিন দলে। সুতরাং ডান পার্শ্বের দল, ডান পার্শ্বের দলটি কত সৌভাগ্যবান! আর বাম পার্শ্বের দল, বাম পার্শ্বের দলটি কত হতভাগ্য! আর অগ্রগামীরাই অগ্রগামী। তারাই সান্নিধপ্রাপ্ত। তারা থাকবে নিআমতপুর্ণ জান্নাতসমূহে । বহুসংখ্যক হবে পূর্ববর্তীদের মধ্য থেকে, আর অল্পসংখ্যক হবে পরবর্তীদের মধ্য থেকে। স্বর্ণ ও দামী পাথরখচিত আসনে! তারা সেখানে হেলান দিয়ে আসীন থাকবে মুখোমুখি অবস্থায়। তাদের আশ-পাশে ঘোরাফেরা করবে চির কিশোররা, পানপাত্র, জগ ও প্রবাহিত ঝর্ণার শরাবপুর্ণ পেয়ালা নিয়ে, তা পানে না তাদের মাথা ব্যথা করবে, আর না তারা মাতাল হবে। আর (ঘোরাফেরা করবে) তাদের পছন্দমত ফল নিয়ে। আর পাখির গোশ্ত নিয়ে, যা তারা কামনা করবে। আর থাকবে ডাগরচোখা হূর, যেন তারা সুরক্ষিত মুক্তা, তারা যে আমল করত তার প্রতিদানস্বরূপ। তারা সেখানে শুনতে পাবে না কোন বেহুদা কথা, এবং না পাপের কথা; শুধু এই বাণী ছাড়া, ‘সালাম, সালাম’ আর ডান দিকের দল; কত ভাগ্যবান ডান দিকের দল! তারা থাকবে কাঁটাবিহীন কুলগাছের নিচে, আর কাঁদিপণূর্ কলাগাছের নিচে, আর বিস্তৃত ছায়ায়, আর সদা প্রবাহিত পানির পাশে, আর প্রচুর ফলমূলে, যা শেষ হবে না এবং নিষিদ্ধও হবে না। (তারা থাকবে) সুউচ্চ শয্যাসমূহে; নিশ্চয় আমি হূরদেরকে বিশেষভাবে সৃষ্টি করব। অতঃপর তাদেরকে বানাব কুমারী সোহাগিনী ও সমবয়সী। ডানদিকের লোকদের জন্য। তাদের অনেকে হবে পূর্ববর্তীদের মধ্য থেকে। আর অনেকে হবে পরবর্তীদের মধ্য থেকে। আর বাম দিকের দল, কত হতভাগ্য বাম দিকের দল! তারা থাকবে তীব্র গরম হাওয়া এবং প্রচণ্ড উত্তপ্ত পানিতে, আর প্রচণ্ড কালো ধোঁয়ার ছায়ায়, যা শীতলও নয়, সখু করও নয়। নিশ্চয় তারা ইতঃপূবের্ বিলাসিতায় মগ্ন ছিল, আর তারা জঘন্য পাপে লেগে থাকত। আর তারা বলত, ‘আমরা যখন মরে যাব এবং মাটি ও হাড়ে পরিণত হব তখনও কি আমরা পুনরুত্থিত হব?’ ‘আমাদের পূর্ববর্তী পিতৃপুরুষরাও?’ বল, ‘নিশ্চয় পূর্ববর্তীরা ও পরবর্তীরা, এক নির্ধারিত দিনের নির্দিষ্ট সময়ে অবশ্যই একত্র হবে’। তারপর হে পথভ্রষ্ট ও অস্বীকারকারীরা, তোমরা অবশ্যই যাক্কূম গাছ থেকে খাবে, অতঃপর তা দিয়ে পেট ভর্তি করবে। তদুপরি পান করবে প্রচণ্ড উত্তপ্ত পানি। অতঃপর তোমরা তা পান করবে তৃষ্ণাতুর উটের ন্যায় প্রতিফল দিবসে এই হবে তাদের মেহমানদারী, আমিই তোমাদেরকে সৃষ্টি করেছি: তাহলে কেন তোমরা তা বিশ্বাস করছ না? তোমরা কি ভেবে দেখেছ, তোমরা যে বীযর্পাত করছ সে সম্পর্কে? তা কি তোমরা সৃষ্টি কর, না আমিই তার স্রষ্টা? আমি তোমাদের মধ্যে মৃত্যু নির্ধারণ করেছি এবং আমাকে অক্ষম করা যাবে না, তোমাদের স্থানে তোমাদের বিকল্প আনয়ন করতে এবং তোমাদেরকে এমনভাবে সৃষ্টি করতে যা তোমরা জান না। আর তোমরা তো প্রথম সৃষ্টি সম্পর্কে জেনেছ, তবে কেন তোমরা উপদেশ গ্রহণ করছ না? তোমরা আমাকে বল, তোমরা যমীনে যা বপন কর সে ব্যাপারে, তোমরা তা অঙ্কুরিত কর, না আমি অঙ্কুরিত করি? আমি চাইলে তা খড়-কুটায় পরিণত করতে পারি, তখন তোমরা পরিতাপ করতে থাকবে- (এই বলে,) ‘নিশ্চয় আমরা দায়গ্রস্ত হয়ে গেলাম’। ‘বরং আমরা মাহরূম হয়েছি’। তোমরা যে পানি পান কর সে ব্যাপারে আমাকে বল বৃষ্টিভরা মেঘ থেকে তোমরা কি তা বষর্ণ কর, না আমি বৃষ্টি বষর্ণ কারী? ইচ্ছা করলে আমি তা লবণাক্ত করে দিতে পারি: তবুও কেন তোমরা কৃতজ্ঞ হও না? তোমরা যে আগুন জ্বালাও সে ব্যাপারে আমাকে বল, তোমরাই কি এর (লাকড়ির গাছ) উৎপাদন কর, না আমি করি? একে আমি করেছি এক স্মারক ও মরুবাসীর প্রয়োজনীয় বস্তু অতএব তোমার মহান রবের নামে তাসবীহ পাঠ কর। সুতরাং আমি কসম করছি নক্ষত্ররাজির অস্তাচলের, আর নিশ্চয় এটি এক মহাকসম, যদি তোমরা জানতে, নিশ্চয় এটি মহিমান্বিত কুরআন, যা আছে সুরক্ষিত কিতাবে, কেউ তা স্পর্শ করবে না পবিত্রগণ ছাড়া। তা সৃষ্টিকুলের রবের কাছ থেকে নাযিলকৃত। তবে কি তোমরা এই বাণী তুচ্ছ গণ্য করছ? আর তোমরা তোমাদের রিয্ক বানিয়ে নিয়েছ যে, তোমরা মিথ্যা আরোপ করবে। সুতরাং কেন নয়- যখন রূহ কণ্ঠদেশে পৌঁছে যায়? আর তখন তোমরা কেবল চেয়ে থাক। আর তোমাদের চাইতে আমি তার খুব কাছে; কিন্তু তোমরা দেখতে পাও না। তোমাদের যদি প্রতিফল দেয়া না হয়, তাহলে তোমরা কেন ফিরিয়ে আনছ না রূহকে, যদি তোমরা সত্যবাদী হও? অতঃপর সে যদি নৈকট্যপ্রাপ্তদের অন্যতম হয়, তবে তার জন্য থাকবে বিশ্রাম, উত্তম জীবনোপকরণ ও সুখময় জান্নাত। আর সে যদি হয় ডানদিকের একজন, তবে (তাকে বলা হবে), ‘তোমাকে সালাম, যেহেতু তুমি ডানদিকের একজন’। আর সে যদি হয় অস্বীকারকারী ও পথভ্রষ্ট, তবে তার মেহমানদারী হবে প্রচণ্ড উত্তপ্ত পানি দিয়ে, আর জ্বলন্ত আগুনে প্রজ্জ্বলনে। নিশ্চয় এটি অবধারিত সত্য। অতএব তোমার মহান রবের নামে তাসবীহ পাঠ কর।

  • ১৬৯. ৭০ হাজার ফেরেশতার দু’আ - ৩ বার “আউযুবিল্লাহিস্সামিউল আলিমি মিনাশ শাইতোয়ানির রাজিম” পাঠ করার পরহাশরের শেষ তিন আয়াত

    هُوَ اللّٰهُ الَّذِىۡ لَاۤ اِلٰهَ اِلَّا هُوَ‌ ۚ عٰلِمُ الۡغَيۡبِ وَالشَّهَادَةِ‌ ۚ هُوَ الرَّحۡمٰنُ الرَّحِيۡمُ‏ ﴿۲۲﴾ هُوَ اللّٰهُ الَّذِىۡ لَاۤ اِلٰهَ اِلَّا هُوَ‌ۚ اَلۡمَلِكُ الۡقُدُّوۡسُ السَّلٰمُ الۡمُؤۡمِنُ الۡمُهَيۡمِنُ الۡعَزِيۡزُ الۡجَـبَّارُ الۡمُتَكَبِّرُ‌ؕ سُبۡحٰنَ اللّٰهِ عَمَّا يُشۡرِكُوۡنَ‏ ﴿۲۳﴾ هُوَ اللّٰهُ الۡخَـالِـقُ الۡبَارِئُ الۡمُصَوِّرُ‌ لَـهُ الۡاَسۡمَآءُ الۡحُسۡنٰى‌ؕ يُسَبِّحُ لَهٗ مَا فِى السَّمٰوٰتِ وَالۡاَرۡضِ‌ۚ وَهُوَ الۡعَزِيۡزُ الۡحَكِيۡمُ

    উচ্চারণঃ হুওয়াল্লা-হুল্লাযী লাইলা-হা ইল্লা-হুওয়া ‘আ-লিমুল গাইবি ওয়াশশাহা-দাতি হুওয়াররাহমা-নুর রাহীম। হুওয়াল্লা-হুল্লাযী লাইলা-হা ইল্লা-হুওয়া আলমালিকুল কুদ্দূছুছ ছালা-মুল ম’মিনুল মুহাইমিনুল ‘আঝীঝুল জাব্বা-রুল মুতাকাব্বিরু ছুবহা-নাল্লা-হি ‘আম্মা-ইউশরিকূন। হুওয়াল্লা-হুল খা-লিকুল বা-রিউল মুছাওবিরু লাহুল আছমাউল হুছনা-; ইউছাব্বিহুলাহূ মা-ফিছ ছামা-ওয়া-তি ওয়াল আরদি ওয়াহুওয়াল ‘ আঝীঝুল হাকীম।

    অর্থঃ তিনিই আল্লাহ, যিনি ছাড়া কোন ইলাহ নেই; দৃশ্য- অদৃশ্যের জ্ঞাতা; তিনিই পরম করুণাময়, দয়ালু। তিনিই আল্লাহ; যিনি ছাড়া কোন ইলাহ নেই, তিনিই বাদশাহ, মহাপবিত্র, ত্রুটিমুক্ত, নিরাপত্তাদানকারী, রক্ষক, মহাপরাক্রমশালী, মহাপ্রতাপশালী, অতীব মহিমান্বিত, তারা যা শরীক করে তা হতে পবিত্র মহান। তিনিই আল্লাহ, স্রষ্টা, উদ্ভাবনকর্তা, আকৃতিদানকারী; তাঁর রয়েছে সুন্দর নামসমূহ; আসমান ও যমীনে যা আছে সবই তার মহিমা ঘোষণা করে। তিনি মহাপরাক্রমশারী, প্রজ্ঞাময়।

  • ১৭০. সূরা আল-মূলক

    تَبَارَكَ الَّذِي بِيَدِهِ الْمُلْكُ وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ

    الَّذِي خَلَقَ الْمَوْتَ وَالْحَيَاةَ لِيَبْلُوَكُمْ أَيُّكُمْ أَحْسَنُ عَمَلًا وَهُوَ الْعَزِيزُ الْغَفُورُ

    الَّذِي خَلَقَ سَبْعَ سَمَاوَاتٍ طِبَاقًا مَا تَرَى فِي خَلْقِ الرَّحْمَنِ مِنْ تَفَاوُتٍ فَارْجِعِ الْبَصَرَ هَلْ تَرَى مِنْ فُطُورٍ

    ثُمَّ ارْجِعِ الْبَصَرَ كَرَّتَيْنِ يَنْقَلِبْ إِلَيْكَ الْبَصَرُ خَاسِئًا وَهُوَ حَسِيرٌ

    وَلَقَدْ زَيَّنَّا السَّمَاءَ الدُّنْيَا بِمَصَابِيحَ وَجَعَلْنَاهَا رُجُومًا لِلشَّيَاطِينِ وَأَعْتَدْنَا لَهُمْ عَذَابَ السَّعِيرِ

    وَلِلَّذِينَ كَفَرُوا بِرَبِّهِمْ عَذَابُ جَهَنَّمَ وَبِئْسَ الْمَصِيرُ

    إِذَا أُلْقُوا فِيهَا سَمِعُوا لَهَا شَهِيقًا وَهِيَ تَفُورُ

    تَكَادُ تَمَيَّزُ مِنَ الْغَيْظِ كُلَّمَا أُلْقِيَ فِيهَا فَوْجٌ سَأَلَهُمْ خَزَنَتُهَا أَلَمْ يَأْتِكُمْ نَذِيرٌ

    قَالُوا بَلَى قَدْ جَاءَنَا نَذِيرٌ فَكَذَّبْنَا وَقُلْنَا مَا نَزَّلَ اللَّهُ مِنْ شَيْءٍ إِنْ أَنْتُمْ إِلَّا فِي ضَلَالٍ كَبِيرٍ

    وَقَالُوا لَوْ كُنَّا نَسْمَعُ أَوْ نَعْقِلُ مَا كُنَّا فِي أَصْحَابِ السَّعِيرِ

    فَاعْتَرَفُوا بِذَنْبِهِمْ فَسُحْقًا لِأَصْحَابِ السَّعِيرِ

    إِنَّ الَّذِينَ يَخْشَوْنَ رَبَّهُمْ بِالْغَيْبِ لَهُمْ مَغْفِرَةٌ وَأَجْرٌ كَبِيرٌ

    وَأَسِرُّوا قَوْلَكُمْ أَوِ اجْهَرُوا بِهِ إِنَّهُ عَلِيمٌ بِذَاتِ الصُّدُورِ

    أَلَا يَعْلَمُ مَنْ خَلَقَ وَهُوَ اللَّطِيفُ الْخَبِيرُ

    هُوَ الَّذِي جَعَلَ لَكُمُ الْأَرْضَ ذَلُولًا فَامْشُوا فِي مَنَاكِبِهَا وَكُلُوا مِنْ رِزْقِهِ وَإِلَيْهِ النُّشُورُ

    أَأَمِنْتُمْ مَنْ فِي السَّمَاءِ أَنْ يَخْسِفَ بِكُمُ الْأَرْضَ فَإِذَا هِيَ تَمُورُ

    أَمْ أَمِنْتُمْ مَنْ فِي السَّمَاءِ أَنْ يُرْسِلَ عَلَيْكُمْ حَاصِبًا فَسَتَعْلَمُونَ كَيْفَ نَذِيرِ

    وَلَقَدْ كَذَّبَ الَّذِينَ مِنْ قَبْلِهِمْ فَكَيْفَ كَانَ نَكِيرِ

    أَوَلَمْ يَرَوْا إِلَى الطَّيْرِ فَوْقَهُمْ صَافَّاتٍ وَيَقْبِضْنَ مَا يُمْسِكُهُنَّ إِلَّا الرَّحْمَنُ إِنَّهُ بِكُلِّ شَيْءٍ بَصِيرٌ

    أَمَّنْ هَذَا الَّذِي هُوَ جُنْدٌ لَكُمْ يَنْصُرُكُمْ مِنْ دُونِ الرَّحْمَنِ إِنِ الْكَافِرُونَ إِلَّا فِي غُرُورٍ

    أَمَّنْ هَذَا الَّذِي يَرْزُقُكُمْ إِنْ أَمْسَكَ رِزْقَهُ بَلْ لَجُّوا فِي عُتُوٍّ وَنُفُورٍ

    أَفَمَنْ يَمْشِي مُكِبًّا عَلَى وَجْهِهِ أَهْدَى أَمَّنْ يَمْشِي سَوِيًّا عَلَى صِرَاطٍ مُسْتَقِيمٍ

    قُلْ هُوَ الَّذِي أَنْشَأَكُمْ وَجَعَلَ لَكُمُ السَّمْعَ وَالْأَبْصَارَ وَالْأَفْئِدَةَ قَلِيلًا مَا تَشْكُرُونَ

    قُلْ هُوَ الَّذِي ذَرَأَكُمْ فِي الْأَرْضِ وَإِلَيْهِ تُحْشَرُونَ

    وَيَقُولُونَ مَتَى هَذَا الْوَعْدُ إِنْ كُنْتُمْ صَادِقِينَ

    قُلْ إِنَّمَا الْعِلْمُ عِنْدَ اللَّهِ وَإِنَّمَا أَنَا نَذِيرٌ مُبِينٌ

    فَلَمَّا رَأَوْهُ زُلْفَةً سِيئَتْ وُجُوهُ الَّذِينَ كَفَرُوا وَقِيلَ هَذَا الَّذِي كُنْتُمْ بِهِ تَدَّعُونَ

    قُلْ أَرَأَيْتُمْ إِنْ أَهْلَكَنِيَ اللَّهُ وَمَنْ مَعِيَ أَوْ رَحِمَنَا فَمَنْ يُجِيرُ الْكَافِرِينَ مِنْ عَذَابٍ أَلِيمٍ

    قُلْ هُوَ الرَّحْمَنُ آمَنَّا بِهِ وَعَلَيْهِ تَوَكَّلْنَا فَسَتَعْلَمُونَ مَنْ هُوَ فِي ضَلَالٍ مُبِينٍ

    قُلْ أَرَأَيْتُمْ إِنْ أَصْبَحَ مَاؤُكُمْ غَوْرًا فَمَنْ يَأْتِيكُمْ بِمَاءٍ مَعِينٍ

    উচ্চারণঃ তাবা-রাকাল্লাযী বিয়াদিহিল মুলকু ওয়া হুওয়া ‘আলা- কুল্লি শাইয়িন কাদীর। আল্লাযী খালাকাল মাওতা ওয়াল হায়া-তা লিইয়াবলুওয়াকুম আইয়ুকুম আহছানু‘আমালাওঁ ওয়া হুওয়াল ‘আঝীঝুল গাফূর। আল্লাযী খালাকা ছাব‘আ ছামা-ওয়া-তিন তিবা-কান মা- তারা- ফী খালকির রাহমা-নি মিন তাফা-উত ফারজি‘ইল বাসারা হাল তারা- মিন ফুতূর। ছু ম্মার জি‘ইলবাসারা কাররাতাইনি ইয়ানকালিব ইলাইকাল বাসারু খা-ছিআওঁ ওয়া হুওয়া হাছীর। ওয়া লাকাদ ঝাইয়ান্নাছ ছামাআদ্দুনইয়া- বিমাসা-বীহা ওয়াজা‘আলনা- হা- রুজূমাল লিশশায়া-তীনি ওয়া আ‘তাদনা- লাহুম ‘আযা- বাছছা‘ঈর। ওয়া লিল্লাযীনা কাফারূবিরাব্বিহিম ‘আযা- বুজাহান্নামা ওয়াবি’ছাল মাসীর। ইযাউলকূফীহা- ছামি‘উ লাহা- শাহীকাওঁ ওয়াহিয়া তাফূর। তাকা- দুতামাইয়াঝুমিনাল গাইজি কুল্লামাউলকিয়া ফীহা- ফাওজুন ছাআলাহুম খাঝানাতুহাআলাম ইয়া’তিকুম নাযীর। কা- লূবালা- কাদ জাআনা- নাযীরুন ফাকাযযাবনা- ওয়া কুলনা- মানাঝঝালাল্লা- হু মিন শাইয়িন ইন আনতুম ইল্লা- ফী দালা- লিন কাবীর। ওয়া কা-লূলাও কুন্না- নাছমা‘উ আও না‘কিলুমা- কুন্না-ফীআসহা-বিছছা‘ঈর। ফা‘তারাফূবিযামবিহিম ফাছুহকালিলআসহা-বিছ ছা‘ঈর। ইন্নাল্লাযীনা ইয়াখশাওনা রাব্বাহুম বিলগাইবি লাহুম মাগফিরাতুওঁ ওয়া আজরুন কাবীর। ওয়া আছিররূকাওলাকুম আবিজহারূবিহী ইন্নাহূ‘আলীমুম বিযা- তিসসুদূ র। আলা- ইয়া‘লামুমান খালাকা ওয়া হুওয়াল্লাতীফুল খাবীর। হুওয়াল্লাযী জা‘আলা লাকুমুল আরদা যালূলান ফামশূফী মানা-কিবিহা- ওয়া কুলূমির রিঝকিহী ওয়া ইলাইহিন নুশূর। আ আমিনতুম মান ফিছছামাই আইঁ ইয়াখছিফা বিকুমুল আরদা ফাইযা- হিয়া তামূর। আম আমিনতুম মান ফিছছামাই আইঁ ইউরছিলা ‘আলাইকুম হা-সিবান ফাছাতা‘লামূনা কাইফা নাযীর। ওয়া লাকাদ কাযযাবাল্লাযীনা মিন কাবলিহিম ফাকাইফা কা- না নাকীর। আওয়ালাম ইয়ারাও ইলাত্তাইরি ফাওকাহুম সাফফা-তিওঁ ওয়াইয়াকবিদন । মাইউমছিকুহুন্না ইল্লাররাহমা-নু ইন্নাহূবিকুল্লি শাইয়িম বাসীর। আম্মান হা-যাল্লাযী হুওয়া জুনদুল্লাকুম ইয়ানসুরুকুম মিন দূ নিররাহমা-নি ইনিল কাফিরূনা ইল্লা- ফী গুরূর। আম্মান হা- যাল্লাযী ইয়ারঝকুকুম ইন আমছাকা রিঝকাহূ বাল্লাজ্জূফী ‘উতুওবিওয়া নুফূর। আফামাইঁ ইয়ামশী মুকিব্বান ‘আলা- ওয়াজহিহী আহদা আম্মাইঁ ইয়ামশী ছাবি ইয়ান ‘আলা-সিরা-তিমমুছতাকীম। কুল হুওয়াল্লাযীআনশাআকুম ওয়া জা‘আলা লাকুমুছছাম‘আ ওয়াল আবসা-রা ওয়াল আফইদাতা কালীলাম মা-তাশকুরূন। কুল হুওয়াল্লাযী যারাআকুম ফিল আরদিওয়া ইলাইহি তুহশারূন। ওয়া ইয়াকূলূনা মাতা-হা-যাল ওয়া‘দুইন কুনতুম সা-দিকীন। কুল ইন্নামাল ‘ইলমু‘ইনদাল্লা- হি ওয়া ইন্নামাআনা নাযীরুম মুবীন। ফালাম্মা-রাআওহু ঝুলফাতান ছীআত ঊজূহুল্লাযীনা কাফারূওয়া কীলা হা-যাল্লাযী কুনতুম বিহী তাদ্দা‘ঊন। কুল আরাআইতুম ইন আহলাকানিয়াল্লা-হু ওয়া মাম্মা‘ইয়া আও রাহিমানা- ফামাইঁ ইউজীরুল কা-ফিরীনা মিন ‘আযা-বিন আলীম। কুল হুওয়াররাহমা-নুআ-মান্না-বিহী ওয়া‘আলাইহি তাওয়াক্কালনা-, ফাছাতা‘লামূনা মান হুওয়া ফী দালা-লিম মুবীন। কুল আরাআইতুম ইন আসবাহা মাউকুম গাওরান ফামাইঁ ইয়া’তীকুম বিমাইম মা‘ঈন।

    অর্থঃ বরকতময় তিনি যার হাতে সর্বময় কর্তৃত। আর তিনি সব কিছুর উপর সর্বশক্তিমান। যিনি মৃত্যু ও জীবন সৃষ্টি করেছেন যাতে তিনি তোমাদেরকে পরীক্ষা করতে পারেন যে, কে তোমাদের মধ্যে আমলের দিক থেকে উত্তম। আর তিনি মহাপরাক্রমশালী, অতিশয় ক্ষমাশীল। যিনি সাত আসমান স্তরে স্তরে সৃষ্টি করেছেন। পরম করুণাময়ের সৃষ্টিতে তুমি কোন অসামঞ্জস্য দেখতে পাবে না। তুমি আবার দৃষ্টি ফিরাও, কোন ত্রুটি দেখতে পাও কি? অতঃপর তুমি দৃষ্টি ফিরাও একের পর এক, সেই দৃষ্টি অবনমিত ও ক্লান্ত হয়ে তোমার দিকে ফিরে আসবে। আমি নিকটবর্তী আসমানকে প্রদীপপঞ্জু দ্বারা সুশোভিত করেছি এবং সেগুলোকে শয়তানদের প্রতি নিক্ষেপের বস্তু বানিয়েছি। আর তাদের জন্য প্রস্তুত করে রেখেছি জ্বলন্ত আগুনের আযাব। আর যারা তাদের রবকে অস্বীকার করে, তাদের জন্য রয়েছে জাহান্নামের আযাব। আর কতইনা নিকৃষ্ট সেই প্রত্যাবর্তনস্থল! যখন তাদেরকে তাতে নিক্ষেপ করা হবে, তখন তারা তার বিকট শব্দ শুনতে পাবে। আর তা উথলিয়ে উঠবে। ক্রোধে তা ছিন্ন ভিন্ন হবার উপক্রম হবে। যখনই তাতে কোন দলকে নিক্ষেপ করা হবে, তখন তার প্রহরীরা তাদেরকে জিজ্ঞাসা করবে, ‘তোমাদের নিকট কি কোন সতর্ককারী আসেনি’? তারা বলবে, ‘হ্যা, আমাদের নিকট সতর্ককারী এসেছিল। তখন আমরা (তাদেরকে) মিথ্যাবাদী আখ্যায়িত করেছিলাম এবং বলেছিলাম, ‘আল্লাহ কিছুই নাযিল করেননি। তোমরা তো ঘোর বিভ্রান্তিতে রয়েছ’। আর তারা বলবে, ‘যদি আমরা শুনতাম অথবা বুঝতাম, তাহলে আমরা জ্বলন্ত আগুনের অধিবাসীদের মধ্যে থাকতাম না’। অতঃপর তারা তাদের অপরাধ স্বীকার করবে। অতএব ধ্বংস জ্বলন্ত আগুনের অধিবাসীদের জন্য। নিশ্চয় যারা তাদের রবকে না দেখেই ভয় করে তাদের জন্য রয়েছে ক্ষমা ও বড় প্রতিদান। আর তোমরা তোমাদের কথা গোপন কর অথবা তা প্রকাশ কর, নিশ্চয় তিনি অন্তরসমূহে যা আছে সে বিষয়ে সম্যক অবগত। যিনি সৃষ্টি করেছেন, তিনি কি জানেন না? অথচ তিনি অতি সূক্ষদর্শী, পূর্ণ অবহিত। তিনিই তো তোমাদের জন্য যমীনকে সুগম করে দিয়েছেন, কাজেই তোমরা এর পথে-প্রান্তরে বিচরণ কর এবং তাঁর রিয্ক থেকে তোমরা আহার কর। আর তাঁর নিকটই পুনরুত্থান। যিনি আসমানে আছেন, তিনি তোমাদের সহ যমীন ধসিয়ে দেয়া থেকে কি তোমরা নিরাপদ হয়ে গেছ, অতঃপর আকস্মিকভাবে তা থর থর করে কাঁপতে থাকবে? যিনি আসমানে আছেন, তিনি তোমাদের উপর পাথর নিক্ষেপকারী ঝড়ো হাওয়া পাঠানো থেকে তোমরা কি নিরাপদ হয়ে গেছ, তখন তোমরা জানতে পারবে কেমন ছিল আমার সতর্কবাণী? আর অবশ্যই তাদের পূর্ববর্তীরাও অস্বীকার করেছিল। ফলে কেমন ছিল আমার প্রত্যাখ্যান (এর শাস্তি)? তারা কি লক্ষ্য করেনি তাদের উপরস্থ পাখিদের প্রতি, যারা ডানা বিস্তার করে ও গুটিয়ে নেয়? পরম করুণাময় ছাড়া অন্য কেউ এদেরকে স্থির রাখে না। নিশ্চয় তিনি সব কিছুর সম্যক দ্রষ্টা। পরম করুণাময় ছাড়া তোমাদের কি আর কোন সৈন্য আছে, যারা তোমাদেরকে সাহায্য করবে ? কাফিররা শুধু তো ধোঁকায় নিপতিত। অথবা এমন কে আছে, যে তোমাদেরকে রিয্ক দান করবে যদি আল্লাহ তাঁর রিয্ক বন্ধ করে দেন? বরং তারা অহমিকা ও অনীহায় নিমজ্জিত হয়ে আছে। যে ব্যক্তি উপুড় হয়ে মুখের উপর ভর দিয়ে চলে সে কি অধিক হিদায়াতপ্রাপ্ত নাকি সেই ব্যক্তি যে সোজা হয়ে সরল পথে চলে ? বল, ‘তিনিই তোমাদেরকে সৃষ্টি করেছেন এবং তোমাদের জন্য শ্রবণ ও দৃষ্টিশক্তি এবং অন্তকরণসমূহ দিয়েছেন। তোমরা খুব অল্পই শোকর কর’। বল, ‘তিনিই তোমাদেরকে যমীনে সৃষ্টি করেছেন এবং তাঁর কাছেই তোমাদেরকে সমবেত করা হবে’। আর তারা বলে, ‘সে ওয়াদা কখন বাস্তবায়িত হবে, যদি তোমরা সত্যবাদী হও’। বল, ‘এ বিষয়ের জ্ঞান আল্লাহরই নিকট। আর আমি তো স্পষ্ট সতর্ককারী মাত্র’। অতঃপর তারা যখন তা আসন্ন দেখতে পাবে, তখন কাফিরদের চেহারা মলিন হয়ে যাবে এবং বলা হবে, ‘এটাই হল তা, যা তোমরা দাবী করছিলে’। বল, ‘তোমরা ভেবে দেখেছ কি’? যদি আল্লাহ আমাকে এবং আমার সাথে যারা আছে, তাদেরকে ধ্বংস করে দেন অথবা আমাদের প্রতি দয়া করেন, তাহলে কাফিরদেরকে যন্ত্রণাদায়ক আযাব থেকে কে রক্ষা করবে’? বল, ‘তিনিই পরম করুণাময়। আমরা তাঁর প্রতি ঈমান এনেছি এবং তাঁর উপর তাওয়াক্কুল করেছি। কাজেই তোমরা অচিরেই জানতে পারবে কে স্পষ্ট বিভ্রান্তিতে রয়েছে’? বল, ‘তোমরা ভেবে দেখেছ কি, যদি তোমাদের পানি ভূগর্ভে চলে যায়, তাহলে কে তোমাদেরকে বহমান পানি এনে দিবে’ ?

  • ১৭১. সূরা আল-ফীল

    أَلَمْ تَرَ كَيْفَ فَعَلَ رَبُّكَ بِأَصْحَابِ الْفِيلِ

    أَلَمْ يَجْعَلْ كَيْدَهُمْ فِي تَضْلِيلٍ

    وَأَرْسَلَ عَلَيْهِمْ طَيْرًا أَبَابِيلَ

    تَرْمِيهِم بِحِجَارَةٍ مِّن سِجِّيلٍ

    فَجَعَلَهُمْ كَعَصْفٍ مَّأْكُولٍ

    উচ্চারণঃ আলাম তারা কাইফা ফা‘আলা রাব্বুকা বিআসহা-বিল ফীল। আলাম ইয়াজ‘আল কাইদাহুম ফী তাদলীল ওয়া আরছালা ‘আলাইহিম তাইরান আবা-বীল। তারমীহিম বিহিজা-রাতিম মিন ছিজ্জীল। ফাজা‘আলাহুম কা‘আসফিম মা’কূল।

    অর্থঃ আপনি কি দেখেননি আপনার পালনকর্তা হস্তীবাহিনীর সাথে কিরূপ ব্যবহার করেছেন? তিনি কি তাদের চক্রান্ত নস্যাৎ করে দেননি? তিনি তাদের উপর প্রেরণ করেছেন ঝাঁকে ঝাঁকে পাখী, যারা তাদের উপর পাথরের কংকর নিক্ষেপ করছিল। অতঃপর তিনি তাদেরকে ভক্ষিত তৃণসদৃশ করে দেন।

  • ১৭২. সূরা কুরাইশ

    لِإِيلَافِ قُرَيْشٍ

    إِيلَافِهِمْ رِحْلَةَ الشِّتَاءِ وَالصَّيْفِ

    فَلْيَعْبُدُوا رَبَّ هَٰذَا الْبَيْتِ

    الَّذِي أَطْعَمَهُم مِّن جُوعٍ وَآمَنَهُم مِّنْ خَوْفٍ

    উচ্চারণঃ লিঈলা-ফি কুরাইশ। ঈলা-ফিহিম রিহলাতাশশিতাই ওয়াসসাঈফ। ফালইয়া‘বুদূরাব্বা হা-যাল বাঈত।আল্লাযীআতা‘আমাহুম মিন জূ‘ইওঁ ওয়া আ-মানাহুম মিন খাওফ।

    অর্থঃ কোরাইশের আসক্তির কারণে, আসক্তির কারণে তাদের শীত ও গ্রীষ্মকালীন সফরের। অতএব তারা যেন এবাদত করে এই ঘরের পালনকর্তার, যিনি তাদেরকে ক্ষুধায় আহার দিয়েছেন এবং যুদ্ধভীতি থেকে তাদেরকে নিরাপদ করেছেন।

  • ১৭৩. সূরা আল-মাঊন

    أَرَأَيْتَ الَّذِي يُكَذِّبُ بِالدِّينِ

    فَذَٰلِكَ الَّذِي يَدُعُّ الْيَتِيمَ

    وَلَا يَحُضُّ عَلَىٰ طَعَامِ الْمِسْكِينِ

    فَوَيْلٌ لِّلْمُصَلِّينَ

    الَّذِينَ هُمْ عَن صَلَاتِهِمْ سَاهُونَ

    الَّذِينَ هُمْ يُرَاءُونَ

    وَيَمْنَعُونَ الْمَاعُونَ

    উচ্চারণঃ আরাআইতাল্লাযী ইউকাযযি বুবিদ্দীন। ফাযা-লিকাল্লাযী ইয়াদু‘‘উল ইয়াতীম। ওয়ালা-ইয়াহুদ্দু‘আলা-তা‘আ-মিল মিছকীন। ফাওয়াইঁলুলিলল মুসাল্লীন। আল্লাযীনাহুম ‘আন সালা-তিহিমি ছা-হূন। আল্লাযীনা হুম ইউরাঊনা। ওয়া ইয়ামনা‘ঊনাল মা-‘ঊন।

    অর্থঃ আপনি কি দেখেছেন তাকে, যে বিচারদিবসকে মিথ্যা বলে? সে সেই ব্যক্তি, যে এতীমকে গলা ধাক্কা দেয় এবং মিসকীনকে অন্ন দিতে উৎসাহিত করে না। অতএব দুর্ভোগ সেসব নামাযীর, যারা তাদের নামায সম্বন্ধে বে-খবর; যারা তা লোক-দেখানোর জন্য করে এবং নিত্য ব্যবহার্য্য বস্তু অন্যকে দেয় না।

  • ১৭৪. সূরা আল-কাওসার

    إِنَّا أَعْطَيْنَاكَ الْكَوْثَرَ

    فَصَلِّ لِرَبِّكَ وَانْحَرْ

    إِنَّ شَانِئَكَ هُوَ الْأَبْتَرُ

    উচ্চারণঃ ইন্নাআ‘তাইনা-কাল কাওছার। ফাসাললি লিরাব্বিকা ওয়ানহার। ইন্না শা-নিআকা হুওয়াল আবতার।

    অর্থঃ নিশ্চয় আমি আপনাকে কাওসার দান করেছি। অতএব আপনার পালনকর্তার উদ্দেশ্যে নামায পড়ুন এবং কোরবানী করুন। যে আপনার শত্রু, সেই তো লেজকাটা, নির্বংশ।

  • ১৭৫. সূরা আল-কাফিরুন

    قُلْ يَا أَيُّهَا الْكَافِرُونَ

    لَا أَعْبُدُ مَا تَعْبُدُونَ

    وَلَا أَنتُمْ عَابِدُونَ مَا أَعْبُدُ

    وَلَا أَنَا عَابِدٌ مَّا عَبَدتُّمْ

    وَلَا أَنتُمْ عَابِدُونَ مَا أَعْبُدُ

    لَكُمْ دِينُكُمْ وَلِيَ دِينِ

    উচ্চারণঃ কুল ইয়াআইয়ুহাল কা-ফিরূন। লাআ‘বুদুমা-তা‘বুদূন। ওয়ালাআনতুম ‘আ-বিদূনা মাআ‘বুদ। ওয়ালাআনা ‘আ-বিদুম মা-‘আবাত্তুম, ওয়ালাআনতুম ‘আ-বিদূনা মাআ‘বুদ। লাকুম দীনুকুম ওয়ালিয়া দীন।

    অর্থঃ বলুন, হে কাফেরকূল, আমি এবাদত করিনা, তোমরা যার এবাদত কর। এবং তোমরাও এবাদতকারী নও, যার এবাদত আমি করি এবং আমি এবাদতকারী নই, যার এবাদত তোমরা কর। তোমরা এবাদতকারী নও, যার এবাদত আমি করি। তোমাদের কর্ম ও কর্মফল তোমাদের জন্যে এবং আমার কর্ম ও কর্মফল আমার জন্যে।

  • ১৭৬. সূরা আন-নাসর

    إِذَا جَاءَ نَصْرُ اللَّهِ وَالْفَتْحُ

    وَرَأَيْتَ النَّاسَ يَدْخُلُونَ فِي دِينِ اللَّهِ أَفْوَاجًا

    فَسَبِّحْ بِحَمْدِ رَبِّكَ وَاسْتَغْفِرْهُ ۚ إِنَّهُ كَانَ تَوَّابًا

    উচ্চারণঃ ইযা-জাআ নাসরুল্লা-হি ওয়াল ফাতহ। ওয়ারাআইতান্না-ছা ইয়াদখুলূনা ফী দীনিল্লা-হি আফওয়া-জা-। ফাছাব্বিহবিহামদি রাব্বিকা ওয়াছতাগফিরহু ইন্নাহূকা-না তাওওয়া-বা-।

    অর্থঃ যখন আসবে আল্লাহর সাহায্য ও বিজয় এবং আপনি মানুষকে দলে দলে আল্লাহর দ্বীনে প্রবেশ করতে দেখবেন, তখন আপনি আপনার পালনকর্তার পবিত্রতা বর্ণনা করুন এবং তাঁর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করুন। নিশ্চয় তিনি ক্ষমাকারী।

  • ১৭৭. সূরা আল-লাহাব

    تَبَّتْ يَدَا أَبِي لَهَبٍ وَتَبّ

    مَا أَغْنَىٰ عَنْهُ مَالُهُ وَمَا كَسَبَ

    سَيَصْلَىٰ نَارًا ذَاتَ لَهَبٍ

    وَامْرَأَتُهُ حَمَّالَةَ الْحَطَبِ

    فِي جِيدِهَا حَبْلٌ مِّن مَّسَدٍ

    উচ্চারণঃ তাব্বাত ইয়াদাআবী লাহাবিওঁ ওয়া তাবব। মাআগনা-‘আনহু মা-লুহূওয়ামা-কাছাব। ছাইয়াসলা-না-রান যা-তা লাহাব।ওয়ামরাআতুহূ; হাম্মা-লাতাল হাতাব। ফী জীদিহা-হাবলুম মিম মাছাদ।

    অর্থঃ আবু লাহাবের হস্তদ্বয় ধ্বংস হোক এবং ধ্বংস হোক সে নিজে, কোন কাজে আসেনি তার ধন-সম্পদ ও যা সে উপার্জন করেছে। সত্বরই সে প্রবেশ করবে লেলিহান অগ্নিতে এবং তার স্ত্রীও-যে ইন্ধন বহন করে, তার গলদেশে খর্জুরের রশি নিয়ে।

  • ১৭৮. সূরা আল-ইখলাস

    قُلْ هُوَ اللَّهُ أَحَدٌ

    اللَّهُ الصَّمَدُ

    لَمْ يَلِدْ وَلَمْ يُولَدْ

    وَلَمْ يَكُن لَّهُ كُفُوًا أَحَدٌ

    উচ্চারণঃ কুল হুওয়াল্লা-হু আহাদ। আল্লা-হুসসামাদ। লাম ইয়ালিদ ওয়ালাম ইঊলাদ। ওয়া লাম ইয়াকুল্লাহূকুফুওয়ান আহাদ।

    অর্থঃ বলুন, তিনি আল্লাহ, এক, আল্লাহ অমুখাপেক্ষী, তিনি কাউকে জন্ম দেননি এবং কেউ তাকে জন্ম দেয়নি এবং তার সমতুল্য কেউ নেই।

  • ১৭৯. সূরা আল-ফালাক

    قُلْ أَعُوذُ بِرَبِّ الْفَلَقِ

    مِن شَرِّ مَا خَلَقَ

    وَمِن شَرِّ غَاسِقٍ إِذَا وَقَبَ

    وَمِن شَرِّ النَّفَّاثَاتِ فِي الْعُقَدِ

    وَمِن شَرِّ حَاسِدٍ إِذَا حَسَدَ

    উচ্চারণঃ কুল আ‘ঊযুবিরাব্বিল ফালাক মিন শাররি মা-খালাক। ওয়া মিন শাররি গা-ছিকিন ইযা-ওয়াকাব। ওয়া মিন শাররিন নাফফা-ছা-তি ফিল ‘উকাদ। ওয়া মিন শাররি হা-ছিদিন ইযা-হাছাদ।

    অর্থঃ বলুন, আমি আশ্রয় গ্রহণ করছি প্রভাতের পালনকর্তার, তিনি যা সৃষ্টি করেছেন, তার অনিষ্ট থেকে, অন্ধকার রাত্রির অনিষ্ট থেকে, যখন তা সমাগত হয়, গ্রন্থিতে ফুঁৎকার দিয়ে জাদুকারিনীদের অনিষ্ট থেকে এবং হিংসুকের অনিষ্ট থেকে যখন সে হিংসা করে।

  • ১৮০. সূরা নাস

    قُلْ أَعُوذُ بِرَبِّ النَّاسِ

    مَلِكِ النَّاسِ

    إِلَٰهِ النَّاسِ

    مِن شَرِّ الْوَسْوَاسِ الْخَنَّاسِ

    الَّذِي يُوَسْوِسُ فِي صُدُورِ النَّاسِ

    مِنَ الْجِنَّةِ وَالنَّاسِ

    উচ্চারণঃ কুল আ‘ঊযুবিরাব্বিন্না-ছ, মালিকিন্না-ছ, ইলা-হিন্না-ছ। মিন শাররিল ওয়াছ ওয়া-ছিল খান্না-ছ। আল্লাযী ইউওয়াছবিছুফী সুদূরিন্নাছ-। মিনাল জিন্নাতি ওয়ান্না-ছ।

    অর্থঃ বলুন, আমি আশ্রয় গ্রহণ করিতেছি মানুষের পালনকর্তার, মানুষের অধিপতির, মানষের মাবদের তার অনিষ্ট থেকে, যে কুমন্ত্রণা দেয় ও আত্নগোপন করে, যে কুমন্ত্রণা দেয় মানুষের অন্তরে জ্বিনের মধ্য থেকে অথবা মানুষের মধ্য থেকে।

 

  • ১৮১. নতুন চাঁদ দেখার দু’আ

    اَللّٰهُمَّ اَهِلَّهُ عَلَيْنَا بِالْاَمْنِ وَالْاِيْمَانِ وَالسَّلَامَةِ وَالْاِسْلَامِ رَبِّيْ وَرَبُّكَ اللّٰهُ .

    উচ্চারণঃ আল্লাাহুম্মা আহিল্লাহু ‘আলাইনাা বিল আমনি ওয়াল ইমাানি ওয়াস সালাা মাতি ওয়াল ইসলাামি রব্বী ওয়া রব্বুকাল্লাাহু।

    অর্থঃ হে আল্লাহ, এই চাঁদকে আমাদের উপর বরকত, ইমান, শান্তি ও ইসলামের সহিত উদিত করুন, হে চাঁদ, আমার ও তোমার রব আল্লাহ তা’আলা।

  • ১৮২. তাকবীরে তাশরীক

    اللهُ اَكْبَرُ – اللهُ اَكْبَرُ، لَا اِلَهَ اِلَّااللهُ وَاللهُ اَكْبَرُ – اللهُ اَكْبَرُ وَللهِ الْحَمْدُ

    উচ্চারণঃ আল্লাহু আকবর, আল্লাহু আকবর, লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াল্লাহু আকবর, আল্লাহু আকবর, ওয়ালিল্লাহিল হামদ্।

    অর্থঃ আল্লাহ মহান ! আল্লাহ মহান ! আল্লাহ ছাড়া কোন ইলাহ নেই, এবং আল্লাহ মহান, আল্লাহ মহান। এবং সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্য।

  • ১৮৩. নতুন কাপড় পরিধানের দু’আ

    اللَّهُمَّ لَكَ الْحَمْدُ أَنْتَ كَسَوْتَنِيهِ ، أَسْأَلُكَ مِنْ خَيْرِهِ وَخَيْرِ مَا صُنِعَ لَهُ ، وَأَعُوذُ بِكَ مِنْ شَرِّهِ وَشَرِّ مَا صُنِعَ لَهُ

    উচ্চারণঃ আল্লাহুম্মা লাকাল হামদু আংতা কাসাওতানিহি আস’আলুকা মিন খাইরিহি ওয়া খাইরিমা ছুনি’য়া লাহু ওয়া আঊযুবিকা মিন শাররিহি ওয়া শাররি-মা ছুনি’য়া লাহ।

    অর্থঃ হে আল্লাহ! আপনারই সকল প্রশংসা, আপনিই আমাকে এই পোশাকটি পরিধান করিয়েছেন। আমি আপনার কাছে এর কল্যাণ ও মঙ্গল প্রর্থনা করছি এরং এর উদপাদনের মধ্যে যত কল্যাণ ও মঙ্গল রয়েছে তা প্রার্থনা করছি। আর আমি আপনার আশ্রয় গ্রহণ করছি এর অকল্যাণ থেকে এবং এর উৎপাদনের মধ্যে যা কিছু অকল্যাণলকর রয়েছে তা থেকে।

  • ১৮৪. কাউকে নতুন পোশাক পরিধান করতে দেখলে #১

    تُبْلِي وَيُخْلِفُ اللهُ تَعَالَى

    উচ্চারণঃ তুবলি ওয়া ইয়ুখলিফুল্লাহু তায়ালা।

    অর্থঃ এই পোশাক তোমার দেহেই পুরাতন ও জীর্ণ হয়ে যাক এবং মহান আল্লাহ এর পরিবর্তে অন্য পোশাক তোমাকে দান করুন।

  • ১৮৫. কাউকে নতুন কাপড় পরিধান করতে দেখলে #২

    اِلْبَسْ جَدِيْدًا. وَعِشْ حَمِيْدًا. وَمُتْ شَهِيْدًا

    উচ্চারণঃ ইলবাস জাদীদান, ওয়া ‘ইশ হামী দান, ওয়া মুত শাহী দান।

    অর্থঃ তুমি নতুন কাপড় পরো, প্রশংসিত জীবন লাভ করো এবং শহীদি মৃত্যুবরণ করো। (অর্থাৎ আল্লাহ যেন তোমাকে এ সকল নেয়ামত দান করেন।

  • ১৮৬. শুভেচ্ছাজ্ঞাপন

    تَقَبَّلَ اللَّهُ مِنَّا وَمِنْكَ

    উচ্চারণঃ তাকাব্বালাল্লাহু মিন্না ও মিনকা।

    অর্থঃ আল্লাহতায়ালা আমার ও আপনার ঈদ উদযাপন কবুল করুন।

  • ১৮৭. কুরবানীর পশু যবেহ

    পশু জবাই করার পূর্বে

    إِنِّي وَجَّهْتُ وَجْهِيَ لِلَّذِي فَطَرَ السَّمَوَاتِ وَالأَرْضَ حَنِيفًا وَمَا أَنَا مِنَ الْمُشْرِكِينَ إِنَّ صَلاَتِي وَنُسُكِي وَمَحْيَاىَ وَمَمَاتِي لِلَّهِ رَبِّ الْعَالَمِينَ لاَ شَرِيكَ لَهُ وَبِذَلِكَ أُمِرْتُ وَأَنَا أَوَّلُ الْمُسْلِمِينَ اللَّهُمَّ مِنْكَ وَلَكَ

    পশু জবাই করার সময়

    بسم الله الله اكبر

    পশু জবাই করার পরে

    اَللّٰهُمَّ تَقَبَّلْهُ مِنِّىْ كَمَا تَقَبَّلْتَ مِنْ حَبِيْبِكَ سَيِّدِنَا رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَخَلِيْلِكَ سَيِّدِنَا إِبْرَاهِيْمَ عَلَيْهِ السَّلاَمِ

    উচ্চারণঃ [যবেহ করার পূর্বে] ইন্নী ওয়াজ্জাহতু ওয়াজহিয়া লিল্লাজি ফাত্বারাস সামাওয়াতি ওয়াল আরদ্বা হানিফাঁও ওয়ামা আনা মিনাল মুশরিকীন। ইন্না ছলাতী ওয়া নুসুকী ওয়া মাহ্ইয়া ইয়া ওয়া মামাতী লিল্লাহি রব্বিল আলামীন। লা শারীকালাহু ওয়া বি যালিকা উমিরতু ওয়া আনা মিনাল মুসলিমীন। আল্লাহুম্মা মিনকা ও লাকা। [যবেহ করার সময়] বিসমিল্লাহি আল্লাহু আকবর [যবেহ করার পরে] আল্লাহুম্মা তাক্বাব্বালহু মিন্নী কামা তাক্বাব্বালতা মিন হাবীবিকা সাইয়্যিদিনা রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ওয়া খলীলিকা হযরত ইবরাহীমা আলাইহিস সালাম।

  • ১৮৮. জাহান্নাম থেকে বাঁচা

    দোয়াটি হলো : (সাত বার): اللَّهُمَّ أَجِرْنِى مِنَ النَّارِ

    উচ্চারণঃ বাংলা উচ্চারণ : আল্লাহুম্মা আজিরনি মিনান নার।

    অর্থঃ বাংলা অর্থ : “হে আল্লাহ! আমাকে জাহান্নামের আগুন থেকে মুক্তি দাও

  • ১৮৯. আমলকারীকে আল্লাহ সন্তুষ্ট করবেন

    সকালে ও সন্ধ্যায় এ দু‘আ ৩ বার পাঠ করবে-

    رَضِيْتُ بِاللهِ رَبًّا وَبِالإِسْلاَمِ دِينًا وَبِمُحَمَّدٍ [صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ] نَبِيًّا

    উচ্চারণঃ র দ্বী-তু বিল্লাহি রব্বান অবিল ইসলামি দ্বীনান ও বি মুহাম্মাদীন নাবিয়্যা

    অর্থঃ অর্থঃ আমি সন্তুষ্ট আল্লাহ তা‘আলাকে রব হিসেবে, ইসলামকে দীন হিসেবে এবং মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লামকে নবী হিসেবে মেনে নিয়ে।

  • ১৯০. হঠাৎ মুসীবত থেকে হেফাজত

    এই কালেমাগুলি সকালে ও সন্ধ্যায় ৩ বার পাঠ করবে

    باسْمِ اللَّهِ الَّذِيْ لاَ يَضُرُّ مَعَ اسْمِهِ شَيْءٌ فِيْ الأرْضِ وَلا فِيْ السَّمَاءِ وَهُوَ السَّمِيْعُ العَلِيْمُ

    উচ্চারণঃ বিসম্মিল্লাহ হিল্লাযী লা ইয়া দুররু মা আসমিহী সাইয়ুন ফিল আরদি ওলা ফিস সামায়ি ও হুয়াস সামিউল আলিম

    অর্থঃ সেই আল্লাহর নামে ( আমি সকাল অথবা সন্ধ্যা করিলাম) যাহার নামের সহিত জমিন আসমানের জিনিস ক্ষতি করেনা এবং তিনি (সব কিছু) শুনেন ও জানেন।

  • ১৯১. শয়তান থেকে হেফাজতকারী

    সকালে ও সন্ধ্যায় এ দু‘আ (১০ বার) পড়বে-

    لا إلهَ إِلاَّ اللَّهُ وَحْدَهُ لا شَرِيكَ لَهُ، لَهُ المُلْكُ وَلَهُ الحَمْدُ وَهُوَ على كُلّ شَيْءٍ قَدِيرٌ.

    উচ্চারণঃ লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শারিকা লাহু। লাহুল মুলকু ওয়া লাহুল হামদু। ওয়া হুয়া আলা কুল্লি শাইয়িন কাদির।

    অর্থঃ অর্থঃ আল্লাহ তা‘আলা ব্যতীত কোন মাবুদ নেই। তিনি একক, তাঁর কোন শরীক নেই। সর্বময় রাজত্ব একমাত্র তাঁরই জন্য। তাঁরই জন্য সকল প্রশংসা। তিনি সবকিছুর উপর ক্ষমতাবান।

  • ১৯২. চিন্তা থেকে হেফাজতের দু’আ

    চিন্তা থেকে হেফাজতের দু’আ (৭বার)

    حَسْبِيَ اللَّهُ لاَ إِلَهَ إِلاَّ هُوَ عَلَيْهِ تَوَكَّلْتُ وَهُوَ رَبُّ الْعَرْشِ الْعَظِيمِ

    উচ্চারণঃ হাসবিয়্যাল্লা-হু লা-ইলাহা ইল্লা-হুওয়া আলাইহি তাওয়াক্কালতু ওয়াহুওয়া রাব্বুল আরশিল আযীম।

    অর্থঃ আল্লাহ্ই আমার জন্য যথেষ্ট, তিনি ব্যতীত কোন মা’বুদ নেই, তাঁর প্রতি ভরসা করেছি, তিনি মহান আরশের অধিপতি।

  • ১৯৩. ৭০ হাজার ফেরেশতার দু’আ

    সূরা হাশরের শেষ তিন আয়াত (২২-২৪)

    هُوَ اللّٰهُ الَّذِىۡ لَاۤ اِلٰهَ اِلَّا هُوَ‌ ۚ عٰلِمُ الۡغَيۡبِ وَالشَّهَادَةِ‌ ۚ هُوَ الرَّحۡمٰنُ الرَّحِيۡمُ‏ ﴿۲۲﴾ هُوَ اللّٰهُ الَّذِىۡ لَاۤ اِلٰهَ اِلَّا هُوَ‌ۚ اَلۡمَلِكُ الۡقُدُّوۡسُ السَّلٰمُ الۡمُؤۡمِنُ الۡمُهَيۡمِنُ الۡعَزِيۡزُ الۡجَـبَّارُ الۡمُتَكَبِّرُ‌ؕ سُبۡحٰنَ اللّٰهِ عَمَّا يُشۡرِكُوۡنَ‏ ﴿۲۳﴾ هُوَ اللّٰهُ الۡخَـالِـقُ الۡبَارِئُ الۡمُصَوِّرُ‌ لَـهُ الۡاَسۡمَآءُ الۡحُسۡنٰى‌ؕ يُسَبِّحُ لَهٗ مَا فِى السَّمٰوٰتِ وَالۡاَرۡضِ‌ۚ وَهُوَ الۡعَزِيۡزُ الۡحَكِيۡمُ

    উচ্চারণঃ হুওয়াল্লা-হুল্লাযী লাইলা-হা ইল্লা-হুওয়া ‘আ-লিমুল গাইবি ওয়াশশাহা-দাতি হুওয়াররাহমা-নুর রাহীম। হুওয়াল্লা-হুল্লাযী লাইলা-হা ইল্লা-হুওয়া আলমালিকুল কুদ্দূছুছ ছালা-মুল ম’মিনুল মুহাইমিনুল ‘আঝীঝুল জাব্বা-রুল মুতাকাব্বিরু ছুবহা-নাল্লা-হি ‘আম্মা-ইউশরিকূন। হুওয়াল্লা-হুল খা-লিকুল বা-রিউল মুছাওবিরু লাহুল আছমাউল হুছনা-; ইউছাব্বিহুলাহূ মা-ফিছ ছামা-ওয়া-তি ওয়াল আরদি ওয়াহুওয়াল ‘ আঝীঝুল হাকীম।

    অর্থঃ তিনিই আল্লাহ, যিনি ছাড়া কোন ইলাহ নেই; দৃশ্য- অদৃশ্যের জ্ঞাতা; তিনিই পরম করুণাময়, দয়ালু। তিনিই আল্লাহ; যিনি ছাড়া কোন ইলাহ নেই, তিনিই বাদশাহ, মহাপবিত্র, ত্রুটিমুক্ত, নিরাপত্তাদানকারী, রক্ষক, মহাপরাক্রমশালী, মহাপ্রতাপশালী, অতীব মহিমান্বিত, তারা যা শরীক করে তা হতে পবিত্র মহান। তিনিই আল্লাহ, স্রষ্টা, উদ্ভাবনকর্তা, আকৃতিদানকারী; তাঁর রয়েছে সুন্দর নামসমূহ; আসমান ও যমীনে যা আছে সবই তার মহিমা ঘোষণা করে। তিনি মহাপরাক্রমশারী, প্রজ্ঞাময়।

  • ১৯৪. ফজর থেকে চাশত পর্যন্ত অজিফার থেকে ভারী

    سُبْحَانَ اللَّهِ وَبِحَمْدِهِ عَدَدَ خَلْقِهِ وَرِضَا نَفْسِهِ وَزِنَةَ عَرْشِهِ وَمِدَادَ كَلِمَاتِهِ

    উচ্চারণঃ উচ্চারণ: সুবহানাল্লাহি ওয়া বিহামদিহি আদাদা খালকিহি ওয়া-রিজা নাফসিহি ওয়া জিনাতা আরশিহি ওয়া মিদাদা কালিমাতিহি।

    অর্থঃ অর্থ: আমি আল্লাহতায়ালার প্রশংসাসমেত পবিত্রতা ঘোষণা করছি। তার সৃষ্টিকুলের সংখ্যার পরিমাণ, তিনি সন্তুষ্ট হওয়া পরিমাণ, তার আরশের ওজন সমপরিমাণ, তার কথা লিপিবদ্ধ করার কালি পরিমাণ।

  • ১৯৫. নিয়মিত আমলের বদলা

    فَسُبْحَانَ اللَّهِ حِينَ تُمْسُونَ وَحِينَ تُصْبِحُونَ

    وَلَهُ الْحَمْدُ فِي السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ وَعَشِيًّا وَحِينَ تُظْهِرُونَ

    يُخْرِجُ الْحَيَّ مِنَ الْمَيِّتِ وَيُخْرِجُ الْمَيِّتَ مِنَ الْحَيِّ وَيُحْيِي الْأَرْضَ بَعْدَ مَوْتِهَا ۚ وَكَذَٰلِكَ تُخْرَجُونَ

    উচ্চারণঃ ফাসুব হা-না ল্লা-হি হীনা তুম সু-না অহী-না তুছ্ব বিহূ-ন্ অলাহুল হামদু ফিস্ সামা-ওয়া-তি অল আরদ্বি অ‘আশিয়্যান ওহীনা তুজ-হিরুন। ইয়ুখরিজুল হাইয়্যা মিনাল্ মাইয়্যিতি অ ইয়ুখরিজুল মাইয়্যিতা মিনাল হাইয়্যি অইয়ুহইল আরদ্বা বায়’দা মাওতিহা-অকাযা-লিকা তুখ রজুন

    অর্থঃ তোমরা যখন সন্ধ্যা কর এবং যখন সকাল কর তখন আল্লাহ তায়ালার পবিত্রতা বর্ননা কর এবং সমস্ত আসমান ও জমিনে তাহারই প্রশংসা হয় এবং তোমরা দিনের তৃতীয় প্রহরে এবং সময়ে তিনি জীবিতকে মৃত হইতে বাহির করেন।

  • ১৯৬. দু’আ শুরু করার নিয়ম

    দু’আ ও মুনাজাত হামদ ও সালাতের মাধ্যমে শুরু করা সুন্নাত।

    যেমন এভাবেও শুরু করা যেতে পারে-

    اَلْحَمْدُ لِلّهِ ربِّ الْعَالَمِيْنَ وَالصَّلَوةُ وَالسَّلامُ عَلَى سَيِّدِ الْمُرْسَلِيْنَ.

    উচ্চারণঃ আলহামদুলিল্লা হি রব্বিল য়া-লামিন অস সালাতু ওস সালামু য়া’লা সায়্যিদিল মুরসালিন

    অর্থঃ অর্থঃ সকল প্রশংসা আল্লাহ পাকের জন্য, যিনি সমগ্র জাহানের প্রতিপালক এবং দুরূদ ও সালাম বর্ষিত হোক সাইয়্যিদুল মুরসালীন প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর উপর।

  • ১৯৭. দু‘আ শেষ করার নিয়ম-

    দু‘আ-মুনাজাত হামদ, সালাত এবং আমীনের মাধ্যমে শেষ করা সুন্নাত। (যেমন এভাবে শেষ করা যেতে পারে-

    سُبْحَانَ رَبِّكَ رَبِّ الْعِزَّةِ عَمَّا يَصِفُوْنَ. وَسَلامٌ عَلَى الْمُرْسَلِيْنَ. وَالْحَمْدُ لِلَّهِ رَبِّ الْعَالَمِينَ- آمِيْنْ.

    উচ্চারণঃ সুবহানা রাব্বিকা রাব্বিল ইযযাতি আম্মা ইয়াসিফুন; ওয়া সালামুন আলাল মুরসালিন ; ওয়াল হামদু লিল্লাহি রাব্বিল আলামিন ।

    অর্থঃ অর্থঃ আপনার প্রতিপালক যিনি সকল ক্ষমতার অধিকারী তিনি পবিত্র ঐ সকল কথা থেকে যা কাফিররা বলে থাকে এবং নবীদের প্রতি সালাম বর্ষিত হোক এবং সমস্ত প্রশংসা বিশ্ব প্রতিপালক আল্লাহ তা‘আলার জন্য।

  • ১৯৮. খাওয়ার শেষে পড়ার দু’আ #২

    اَلْحَمْدُ لِلّٰهِ الَّذِيْ اَطْعَمَنِيْ هٰذَا الطَّعَامَ وَرَزَقَنِيْهِ مِنْ غَيْرِ حَوْلٍ مِّنِّيْ وَلَا قُوَّةٍ.

    উচ্চারণঃ আলহামদু লিল্লাা হিল্লাযী আত্ব ‘আমানী হাা যাত ত্ব‘আামা ওয়া রযাক্বনী হি মিন গইরি হাওলিম মিন্নী ওয়ালাা কুউওয়াহ।

    অর্থঃ অর্থ: সকল প্রশংসা একমাত্র আল্লাহ পাকের জন্য, যিনি আমাকে এই খানা খাওয়ালেন এবং আমার শক্তি ও সামর্থ ব্যতীতই এটা আমাকে দান করলেন।

  • ১৯৯. ইফতারের পর এ দু‘আ পড়বে-২

    ذَهَبَ الظَّمَأُ. وَابْتَلَّتِ الْعُرُوْقُ. وَثَبَتَ الْاَجْرُ اِنْ شَاءَ اللهُ

    উচ্চারণঃ জাহাবায যমাাউ ওয়াব তাল্লাতিল ‘উরূক্বু ওয়া সাবাতাল আজরু ইনশাা আল্লাাহ।

    অর্থঃ পিপাসা দূরীভূত হয়েছে, ধমনী সমূহ সতেজ হয়েছে এবং ইনশাআল্লাহ (রোযার সওয়াব) নিশ্চিত হয়েছে।

  • ২০০. অন্যের বাড়ীতে ইফতার করলে এ দু‘আ পাঠ করবে

    اَفْطَرَ عِنْدَكُمُ الصَّائِمُوْنَ وَاَكَلَ طَعَامَكُمُ الْاَ بْرَارُ وَصَلَّتْ عَلَيْكُمُ الْمَلَائِكَةُ.

    উচ্চারণঃ আফত্বরা ‘ইনদা কুমুস সাা ইমূন ওয়া আকালা ত্ব‘আা মাকুমুল আবরাার, ওয়া সল্লাত ‘আলাইকুমুল মালাা ইকাহ

    অর্থঃ আল্লাহ করুন- যেন (এমনিভাবে) রোযাদারগণ তোমাদের বাড়ীতে ইফতার করে এবং নেক লোকেরা যেন তোমাদের খানা খায় এবং ফেরেশতাগণ যেন তোমাদের উপর রহমতের দু‘আ করে।

 

  • ২০১. যে ঘুমে ভয় পায় সে এ দু‘আ পড়বে

    أَعُوذُ بِكَلِمَاتِ اللَّهِ التَّامَّةِ مِنْ غَضَبِهِ وَعِقَابِهِ وَشَرِّ عِبَادِهِ وَمِنْ هَمَزَاتِ الشَّيَاطِينِ وَأَنْ يَحْضُرُونِ ‏.

    উচ্চারণঃ আ‘ঊযু বিকালিমাা তিল্লা হিত্তাাম্মাাতি মিন গযাবিহি ওয়া ‘ইক্বাা বিহি ওয়া শাররি ‘ইবাা দিহি ওয়া মিন হামাযাা তিশ শায়াা ত্বীনি ওয়া আন ইয়াহ যুরূন।

    অর্থঃ আমি আল্লাহ তা‘আলার কালিমাতে তাম্মার উছিলা দিয়ে তাঁর ক্রোধ, শাস্তি এবং তাঁর বান্দাদের অনিষ্টতা থেকে আশ্রয় চাচ্ছি এবং শয়তানের ওয়াসওয়াসা ও তার উপস্থিতি হতে পানাহ চাচ্ছি।

  • ২০২. ঘুমানোর পূর্বে পড়বে #২

    بِاسْمِكَ رَبِّ وَضَعْتُ جَنْبِي، وَبِكَ أَرْفَعُهُ، إِنْ أَمْسَكْتَ نَفْسِي فَارْحَمْهَا، وَإِنْ أَرْسَلْتَهَا فَاحْفَظْهَا بِمَا تَحْفَظُ بِهِ عِبَادَكَ الصَّالِحِينَ

    উচ্চারণঃ বিসমিকা রব্বী ওয়া য‘তু জাম্বী ওয়াবিকা আরফা ‘উহূ, ইন আমসাকতা নাফ্সী ফারহাম হাা ওয়া ইন আরসালতাহাা ফাহ ফাযহাা বিমাা তাহ্ফাযু বিহী ‘ইবাা দাকাস সাালিহীন।

    অর্থঃ হে আমার রব! আমি আমার শরীরকে আপনার নামে বিছানায় রাখলাম (শয়ন করলাম) এবং আপনারই নামে বিছানা থেকে উঠাবো। আপনি যদি ঘুমের মধ্যে আমার নফসকে উঠিয়ে নেন তাহলে তাকে ক্ষমা করে দিবেন। আর যদি না উঠিয়ে নেন তাহলে তাকে আপনার নেক বান্দাদের মত হিফাজত করবেন।

  • ২০৩. ঘুমানোর পূর্বে পড়বে #৩

    اَللّٰهُمَّ اَسْلَمْتُ وَجْهِيْ اِلَيْكَ وَفَوَّضْتُ اَمْرِيْ اِلَيْكَ وَاَلْجَاْ تُ ظَهْرِيْ اِلَيْكَ رَغْبَةً وَرَهْبَةً اِلَيْكَ لَا مَلْجَاَ وَلَا مَنْجَاَ مِنْكَ اِلَّا اِلَيْكَ اَللّٰهُمَّ اٰمَنْتُ بِكِتَابِكَ الَّذِيْ اَ نْزَلْتَ وَبِنَبِيِّكَ الَّذِيْ اَرْسَلْتَ.

    উচ্চারণঃ আল্লাাহুম্মা আসলামতু ওয়াজ হী ইলাইকা ওয়া ফাউ ওয়াযতু আমরী ইলাইকা ওয়াআলজা’তু যাহ্‌রী ইলাইকা রাগবাতান ওয়া রাহবাতান ইলাইকা। লা মালজা’আ ওয়ালা মান্‌জা মিনকা ইল্লা ইলাইকা। আল্লাাহুম্মা আ-মানতু বিকিতা-বিকাল্লাযী আনযালতা ওয়াবিনাবিয়্যিকাল্লাযী আরসালতা।

    অর্থঃ হে আল্লাহ! আমি আমার চেহারা (আত্মাকে) আপনার নিকট সোপর্দ করলাম এবং আমার সকল কর্ম আপনার উপর সোপর্দ করলাম এবং আমি আমার পৃষ্ঠ আপনার নিকট অর্পণ করলাম আপনার রহমতের প্রত্যাশায় এবং আপনার আযাবের ভয়ে। আর আপনার রহমতের আশ্রয় ও পানাহ ছাড়া অন্য কোন আশ্রয়স্থল নাই। হে আল্লাহ! আপনার অবতীর্ণ কিতাবের উপর ঈমান আনলাম এবং আপনার প্রেরিত নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর উপর ঈমান আনলাম।

  • ২০৪. মনের চাহিদা মুতাবিক অবস্থা হলে পড়বে

    اَلْحَمْدُ لِلّٰهِ الَّذِيْ بِنِعْمَتِهٖ تَتِمُّ الصَّالِحَاتُ.

    উচ্চারণঃ আলহামদুলিল্লাা হিল্লাযী বিনিইমাতিহী তাতিম্মুস সাালিহাাত।

    অর্থঃ সকল প্রশংসা আল্লাহ পাকের জন্য, যার নেয়ামতের বদৌলতে সর্বপ্রকার পূণ্যময় কাজ সমাধা ও সম্পন্ন হয়।

  • ২০৫. মনের ব্যতিক্রম কিছু হলে পড়বে

    اَ لْحَمْدُ لِلّٰهِ عَلٰی كُلِّ حَالٍ.

    উচ্চারণঃ আলহামদুলিল্লাাহি ‘আলাা কুল্লি হাাল।

    অর্থঃ সর্বাবস্থায়ই আল্লাহ তা‘আলার প্রশংসা ও শোকর আদায় করি।

  • ২০৬. কাউকে হাসিমুখে দেখলে পড়বে

    اَضْحَكَ اللّٰهُ سِنَّكَ

    উচ্চারণঃ আয হাকাল্লাাহু সিন্নাকা।

    অর্থঃ আল্লাহ পাক আপনাকে চির হাসিমুখ রাখুন।

  • ২০৭. মনে ওয়াসওয়াসা আসলে পড়ার দু‘আ

    اٰمَنْتُ بِاللّٰهِ وَرُسُلِهٖ

    উচ্চারণঃ আামানতু বিল্লাাহি ওয়া রুসুলিহি।

    অর্থঃ আমি আল্লাহ ও তাঁর রাসূলগণের উপর ঈমান আনছি।

  • ২০৮. মাগরিবের আজানের সময় পড়বে

    اَللّٰهُمَّ هَذَا اِقْبَالُ لَيْلِكَ وَاِدْبَارُ نَهَارِكَ وَاَصْوَاتُ دُعَاتِكَ فَاغْفِرْ لِيْ

    উচ্চারণঃ আল্লাাহুম্মা হাযাা ইক্ববাা লু লাইলিকা ওয়া ইদবাা রু নাহাা রিকা ওয়াস ওয়াা তু দু‘আা তিকা ফাা ফিরলী।

    অর্থঃ হে আল্লাহ! এখন আপনার রাত্রির আগমন ও দিনের গমন এবং আপনার প্রতি আহ্বানকারী মুআযযিনের ধ্বনির (আযানের) সময়। সুতরাং আপনি আমাদেরকে ক্ষমা করে দিন।

  • ২০৯. কারো থেকে বিদায় নেয়ার সময় এ দু‘আ পড়বে

    اَسْتَوْدِعُكُمُ اللهَ الَّذِيْ لَا تَضِيْعُ وَدَائِعُهٗ

    উচ্চারণঃ আস্তাউদি‘উ কুমুল্লাা হাললাযী লাা তাযী‘উ ওয়াদাা ই ‘উহূ।

    অর্থঃ আমি তোমাকে এমন সত্তার কাছে আমানত রেখে যাচ্ছি, যিনি তার আমানত কখনও নষ্ট করেন না।

  • ২১০. সফর চলাকালে কোথাও যাত্রাবিরতির সময়ের দু‘আ

    اَعُوْذُ بِكَلِمَاتِ اللهِ التَّآمَّةِ مِنْ شَرِّ مَا خَلَقَ.

    উচ্চারণঃ আ‘ঊযু বিকালিমাা তিল্লাা হিত তাা ম্মাা তি মিন শাররি মাা খলাক্ব।

    অর্থঃ আল্লাহর পরিপূর্ণ কালিমাসমূহের মাধ্যমে তাঁর সৃষ্টির অনিষ্ট থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করছি।

  • ২১১. বদ নযর থেকে হেফাযতের দু‘আ

    اَعُوْذُ بِكَلِمَاتِ اللهِ التَّامَّةِ مِنْ كُلِّ شَيْطَانٍ وَّهَامَّةٍ وَمِنْ كُلِّ عَيْنٍ لَامَّةٍ .

    উচ্চারণঃ আ‘ঊযু বিকালিমাা তিল্লাা হিত তাা ম্মাতি মিন কুল্লি শাইত্বাা নিউ ওয়া হাা ম্মাতিন ওয়া মিন কুল্লি ‘আইনীন লাাম্মাহ।

    অর্থঃ সকল শয়তান, কীটপতঙ্গ ও বদ নযর হতে আল্লাহর পূর্ণাঙ্গ কালিমাসমূহের মাধ্যমে আশ্রয় চাচ্ছি।

  • ২১২. কারো আপনজন মারা গেলে এ দু‘আ দ্বারা সান্ত্বনা দিবে

    اِنَّ لِلّٰهِ مَا اَخَذَ وَلِلّٰهِ مَا اَعْطٰی وَكُلُّ شَيْءٍ عِنْدَهٗ بِاَجَلٍ مُّسَمًّى فَاصْبِرْ وَاحْتَسِبْ

    উচ্চারণঃ ইন্না লিল্লাাহি মাা আখযা ওয়া লিল্লাহি মাা আ‘ত্বাা ওয়া কুল্লু শাই ইন ‘ইনদাহূ বিআজালিম মুসাম্মান ফাসবির ওয়াহ তাসিব।

    অর্থঃ নিশ্চয়ই আল্লাহ পাকেরই যা তিনি নিয়ে নিয়েছেন, আর যা প্রদান করেছেন তাও আল্লাহ পাকেরই এবং আল্লাহ তা‘আলার নিকট প্রত্যেকের মৃত্যুকাল নির্ধারিত রয়েছে।সুতরাং তুমি ধৈর্যধারণ কর এবং সওয়াব-এর আশা কর।

  • ২১৩. কবরে মুর্দাকে ডান কাত করে রাখার সময় এ দু‘আ পড়বে

    بِاسْمِ اللهِ وَعَلٰى مِلَّةِ رَسُوْلِ اللهِ ﷺ

    উচ্চারণঃ বিসমিল্লাাহি ওয়া ‘আলাা মিল্লাতি রসূলিল্লাাহ।

    অর্থঃ আল্লাহ তা‘আলার নামের সাথে এবং রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর মিল্লাতের (সুন্নাতের) উপর (আমরা একে দাফন করছি)।

  • ২১৪. কবরে মাটি দেওয়ার সময়ে পড়ার দু‘আ

    কোনো মুসলমানের লাশ দাফনের সময় কবরে তিনবার মাটি দেওয়া মুস্তাহাব।

    উচ্চারণঃ প্রথমবার মাটি দেওয়ার সময় বলবে- مِنْهَا خَلَقْنَاكُمْ (মিনহাা খলাক্বনাা কুম) এ মাটি থেকেই আমি তোমাদেরকে সৃষ্টি করেছি। দ্বিতীয়বার বলবে- وَفِيْهَا نُعِيْدُكُمْ (ওয়া ফী হাা নু‘ঈ দুকুম) এ মাটির মধ্যেই তোমাদেরকে ফিরিয়ে দিব। তৃতীয়বার বলবে- وَمِنْهَا نُخْرِجُكُمْ تَارَةً اُخْرٰى (ওয়া মিনহাা নুখরিজুকুম তাা রতান উখরা) এ মাটি থেকেই আমি তোমাদেরকে পুনরায় উঠাবো (সৃষ্টি করব)।

  • ২১৫. রমযান মাসে পড়ার দু‘আ

    اَللّهُمَّ اِنَّا نَسْئَلُكَ الْجَنَّةَ وَنَعُوْذُبِكَ مِنَ النَّارَ

    উচ্চারণঃ আল্লাহুম্মা ইন্না নাসআলুকাল জান্নাতা ওয়া না‘ঊযুবিকা মিনান নাার

    অর্থঃ হে আল্লাহ আপনি আমাকে জান্নাত দান করেন এবং জাহান্নাম থেকে রক্ষা করেন।

  • ২১৬. ৯ই যিলহজ্ব এর দু‘আ (তাকবীরে তাশরীক)

    اَللهُ اَكْبَرُ اَللهُ اَكْبَرُ. لَاۤ اِلٰهَ اِلَّا اللهُ . وَللهُ اَكْبَرُ اَللهُ اَكْبَرُ. وَ لِلّٰهِ الْحَمْدُ

    উচ্চারণঃ আল্লাহু আকবার আল্লাহু আকবার, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু, ওয়াল্লাহু আকবার আল্লাহু আকবার ওয়া লিল্লাহিল হামদ

  • ২১৭. বাইতুল্লাহ থেকে বিদায় নেয়ার সময় দু‘আ

    اَللّٰهُمَّ لَا تَجْعَلْ هٰذَا اَخِرَ الْعَهْدِ بِبَيْتِكَ

    উচ্চারণঃ আল্লাহুম্মা লা তাজ‘আল হাযা আখিরাল আহদি বিবাইতিক।

  • ২১৮. নিজের প্রশংসা শুনলে বলা

    اللّٰهُمّ لاَ تُؤَاخِذْنِي بِمَا يَقُولُونَ ، وَاغْفِرْ لِي مَا لاَ يَعْلَمُونَ وَاجْعَلْنِي خَيْرًا مِمَّا يَظُنُّونَ

    উচ্চারণঃ আল্লাহুম্মা লা তু আ- খিযনি বিমা ইয়াক্বু-লু- না ওয়াগফিরলি মা লা ইয়া’লামু-না ওয়াজ’আলনি খইরম মিম্মা ইয়াযুন্নু-ন

    অর্থঃ হে আল্লাহ! তাদের কথার জন্য আমাকে পাকড়াও করো না; তারা যা জানে না, সেসব বিষয়ে আমাকে মাফ করো; আর আমাকে তাদের ধারণার চেয়ে উত্তম বানিয়ে দাও।

  • ২১৯. দৃষ্টি,শ্রবণের সুস্থতা,দারিদ্র্যমুক্তি ও নিরাপত্তার দু'আ

    اللّٰهُمَّ عَافِنِيْ فِيْ بَدَنِيْ، اللّٰهُمَّ عَافِنِيْ فِيْ سَمْعِيْ، اللّٰهُمَّ عَافِنِيْ فِيْ بَصَرِيْ، لَا إِلٰهَ إِلَّا أَنْتَ، اللّٰهُمَّ إِنِّيْ أَعُوْذُ بِكَ مِنَ الْكُفْرِ، وَالْفَقْرِ، اللّٰهُمَّ إِنِّيْ أَعُوْذُ بِكَ مِنْ عَذَابِ الْقَبْرِ، لَا إِلٰهَ إِلَّا أَنْتَ .

    উচ্চারণঃ আল্লাহুম্মা আফিনি ফি বাদানি, আল্লাহুম্মা আফিনি ফি সাময়ি, আল্লাহুম্মা আফিনি ফি বাসারি, লা ইলাহা ইল্লা আন্তা, আল্লাহুম্মা ইন্নি আউজুবিকা মিনাল কুফরি, ওয়াল ফাকরি, আল্লাহুম্মা ইন্নি আউজুবিকা মিন আজাবিল কাবরি, লা ইলাহা ইল্লা আন্তা।

    অর্থঃ হে আল্লাহ! আপনি আমাকে শারীরিক সুস্থতা ও নিরাপত্তা দান করুন। হে আল্লাহ! আমার শ্রবণে সুস্থতা ও নিরাপত্তা দান করুন। আমার দৃষ্টিতে সুস্থতা ও নিরাপত্তা দান করুন। আপনি ব্যতিত কোনো ইলাহ নেই। হে আল্লাহ! আমি আপনার আশ্রয় গ্রহণ করছি কুফুরী ও দারিদ্র্য থেকে। হে আল্লাহ! আমি আপনার কাছে পানাহ চাই কবরের আজাব থেকে। আপনি ছাড়া কোনো ইলাহ নেই।

  • ২২০. দুর্বলতা কে শক্তিকে পরিণত করা

    اللَّهُمَّ إنِّي ضَعِيفٌ فَقَوِّنِي وَإِنِّي شَدِيدٌ فَلَيِّنِي وَإِنِّي بَخِيلٌ فَسَخِّنِي

    উচ্চারণঃ আল্লাহুম্মা ইন্নি দ্ব’য়িফুন ফা ক্বওওয়িনি, ওয়া ইন্নি শাদি-দুন ফা লায়্যিনি- ওয়া ইন্নি বাখি-লুন ফা সাখখিনি

    অর্থঃ হে আল্লাহ আমি দুর্বল, অতএব আমাকে শক্তিশালী করুন। আমি রূঢ়, আমাকে নম্রতা দান করুন। আমি কৃপণ, অতএব আমাকে উদারতা দান করুন।

 

  • ২২১. শাহাদাতের মৃত্যুর জন্য দুআ

    اللَّهُمَّ ارْزُقْنِي شَهَادَةً فِي سَبِيلِكَ وَاجْعَلْ مَوْتِي فِي بَلَدِ رَسُولِكَ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ

    উচ্চারণঃ আল্লাহুম্মারযুকনি শাহাদাতান ফি সাবিলিক, ওয়ায’আল মাওতি ফি বালাদি রাসুলিকা সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম

    অর্থঃ হে আল্লাহ, আমাকে শাহাদাতের মৃত্যু দিন এবং মৃত্যু রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর শহরে দিন।

  • ২২২. মন্দভাগ্য থেকে রক্ষা পেতে

    اَللّٰهُمَّ اِنِّىْ اَعُوْذُبِكَ مِنْ جَهْدِالْبَلَاءِ وَدَرْكِ الشَّقَاءِ وَسُوْءِ الْقَضَاءِ و شَمَاتَةِ الْاَعْدَاءِ

    উচ্চারণঃ আল্লাহুম্মা ইন্নী আ‘ঊযুবিকা মিন জাহদিল বালা-য়ে ওয়া দারকিশ শাক্বা-ই ওয়া সূ-ইল ক্বদায়ি ওয়া শামাতাতিল আ’দা।

    অর্থঃ হে আল্লাহ, অবশ্যই আমি তোমার নিকট কঠিন দুরাবস্থা, দুর্ভাগ্যের নাগাল, মন্দভাগ্য এবং দুশমনের হাসি থেকে রক্ষা কামনা করছি

  • ২২৩. দারিদ্র্য ও অপরের কাছে হাতপাতা থেকে আশ্রয়

    اَللّٰهُمَّ إِنِّيْ أَعُوْذُ بِكَ مِنَ الْبُؤْسِ وَالتَّبَاؤُسِ

    উচ্চারণঃ আল্লাহুম্মা ইন্নি আউযুবিকা মিনাল বু’সি ওয়াত তাবা- উস

    অর্থঃ হে আল্লাহ! আমি দারিদ্র্য ও অপরের কাছে হাত-পাতা থেকে তোমার কাছে আশ্রয় চাই।

  • ২২৪. কুরবানির পশু জবাই করার দোয়া

    إِنِّي وَجَّهْتُ وَجْهِيَ لِلَّذِي فَطَرَ السَّمَوَاتِ وَالْأَرْضَ حَنِيفًا، وَمَا أَنَا مِنَ الْمُشْرِكِينَ، إِنَّ صَلَاتِي، وَنُسُكِي، وَمَحْيَايَ، وَمَمَاتِي لِلَّهِ رَبِّ الْعَالَمِينَ، لَا شَرِيكَ لَهُ، وَبِذَلِكَ أُمِرْتُ، وَأَنَا أَوَّلُ الْمُسْلِمِينَ، اللَّهُمَّ مِنْكَ، وَلَكَ....بِسْمِ اللهِ اَللهُ اَكْبَر

    উচ্চারণঃ ইন্নি ওয়াজ্জাহতু ওয়াজহিয়া লিল্লাজ ফাতারাস সামাওয়াতি ওয়ালআরদা হানীফাও ওয়ামা আনা মিনাল মুশরিকীন। ইন্না সালাতী ওয়ানুসুকী ওয়ামাহইয়ায়া ওয়ামামাতী লিল্লাহি রাব্বিল আলামীন। লা শারীকালাহু ওয়াবিজালিকা উমিরতু ওয়াআনা আওয়ালুল মুসলিমীন। আল্লাহুম্মা মিনকা ওয়ালাকা।...বিসমিল্লাহি আল্লাহু আকবার।

    অর্থঃ নিশ্চয়ই আমি দৃঢ়ভাবে সেই মহান সত্তার অভিমুখী হলাম, যিনি আসমান ও জমিন সৃষ্টি করেছেন। আমি মুশরিকদের অন্তর্গত নই। নিশ্চয়ই আমার নামাজ, আমার কোরবানি, আমার জীবন ও আমার মরণ—সবই বিশ্ব প্রতিপালক মহান আল্লাহর জন্য নিবেদিত। তাঁর কোনো শরিক নেই। আমি এ কাজের জন্য আদিষ্ট হয়েছি। আর আমি আত্মসমর্পণকারীদের একজন। আল্লাহর নামে, আল্লাহ সবচেয়ে মহান।

  • ২২৫. শত্রু থেকে হেফাজতের দু’আ

    اَللّٰهُمَّ وَاقِيَةً كَوَاقِيَةِ الْوَلِيْدِ

    উচ্চারণঃ আল্লাাহুম্মা ওয়াা ক্বিয়াতান কা ওয়াা ক্বিয়াতিল ওয়ালীদ

    অর্থঃ হে আল্লাহ! নবজাতককে হেফাজত করার মত (আমাদেরকে) হেফাজত করো।

  • ২২৬. কবরের আজাব, ওয়াসওয়াসা ও কাজের বিশৃঙ্খলা থেকে মুক্তির দু’আ

    اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنْ عَذَابِ الْقَبْرِ وَوَسْوَسَةِ الصَّدْرِ وَشَتَاتِ الأَمْرِ

    উচ্চারণঃ আল্লাহুম্মা ইন্নি আউজুবিকা মিন আযাবিল কাবরি ওয়া ওয়াসওয়াসাতিস সাদরি,ওয়া সাতাতিল আমরি।

    অর্থঃ হে আল্লাহ! আমি পানাহ চাই কবরের আযাব থেকে, মনের ওয়াসওয়াসা থেকে, কাজের বিশৃঙ্খলা থেকে।

  • ২২৭. ধর্ষণে উদ্যত ব্যক্তির শিকার বিপন্ন নারীর দু’আ

    اللَّهُمَّ إِنْ كُنْتُ آمَنْتُ بِكَ وَبِرَسُولِكَ فَلاَ تُسَلِّطْ عَلَىَّ الْكَافِرَ‏

    উচ্চারণঃ আললাহু্ম্মা ইন কুনতু আমানতু বিকা, ওয়া বিরাসূলিকা, ফালা তুসাল্লত্ব আলাইয়্যাল কাফির।

    অর্থঃ হে আল্লাহ, আমি যদি আপনার উপর ও আপনার রাসূলের উপর বিশ্বাস স্থাপন করে থাকি, তাহলে এই কাফিরকে আমার উপর চাপিয়ে দিবেন না।

  • ২২৮. ঈমান নবায়নের দু‘আ

    اَللّٰهُمَّ جَدِّدِ الْإِيْمَانَ فِي قُلُوْبِنَا

    উচ্চারণঃ আল্লাহুম্মা জাদ্দিদিল ঈমানা ফি কুলুবিনা

    অর্থঃ হে আল্লাহ, তুমি আমাদের হৃদয়ের ইমানকে নবায়ন করে দাও।

  • ২২৯. শিশুর জন্য দোআ

    اَللّٰهُمَّ أَلْقِهِ الْحِكْمَةَ وَالْعِلْمَ وَالْبَرَكَةْ

    উচ্চারণঃ আল্লাহুম্মা আলকিহিল হিকমাতা, অল এলমা অলবারাকাত।

    অর্থঃ হে আল্লাহ আপনি তাকে হেকমত,জ্ঞান এবং বরকত দান করুন।

  • ২৩০. রাসুল (সঃ) শিশুদের জন্য যে দোআ পড়তেন

    اَللّٰهُمَّ فَقٌِهْهُ فِيْ الدِّيْنْ وَعَلِّمْهُ التَّأْوِيْلْ

    উচ্চারণঃ আল্লাহুম্মা পাক্কিহ্হু ফিদদ্বিনী ওয়া আল্লিমহুত তা’উয়িল।

    অর্থঃ আল্লাহ তাকে দ্বীনের গবেষণা ধর্মী জ্ঞান দান করুন।

  • ২৩১. বৃদ্ধ বয়সে প্রশস্ত রিজিকের জন্য

    اللَّهُمَّ اجْعَلْ أَوْسَعَ رِزْقِكَ عَلَيَّ عِنْدَ كِبَرِ سِنِّي , وَانْقِطَاعِ عُمُرِي

    উচ্চারণঃ আল্লাহুম্মাজ’আল আওসা’আ রিজক্বিকা ’আলাইয়া ইনদা কিবারি সিন্নি, ওয়ানক্বিত্ব-ই ’উমুরি

    অর্থঃ হে আল্লাহ ! আপনার দেওয়া রিজক কে আমার বৃদ্ধ বয়সে এবং জীবনের সমাপ্তি পর্যন্ত প্রশস্ত করে দিন।

  • ২৩২. অনুগত সন্তান প্রার্থনা #২

    رَبِّ هَبْ لِي مِنَ الصَّالِحِينَ

    উচ্চারণঃ রব্বি হাবলী মিনাছ ছ-লিহিন।

    অর্থঃ হে আমার পরওয়ারদেগার! আমাকে এক নেক সন্তান দান কর।

  • ২৩৩. নিঃসন্তান হওয়া থেকে বাঁচার

    ُ رَبِّ لَا تَذَرْنِي فَرْدًا وَأَنتَ خَيْرُ الْوَارِثِينَ

    উচ্চারণঃ রব্বি লা-তাজারনি- ফারদাও ওয়া অাংতা খইরুল ওয়া-রিছি-ন।

    অর্থঃ হে আমার পালনকর্তা আমাকে একা রেখো না/ নিঃসন্তান করো না। তুমি তো উত্তম ওয়ারিশ।

  • ২৩৪. আকস্মিক পরীক্ষা ও বিপদ থেকে হিফাজত

    ‎اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنْ زَوَالِ نِعْمَتِكَ، وَتَحَوُّلِ عَافِيَتِكَ، وَفُجَاءَةِ نِقْمَتِكَ، وَجَمِيعِ سَخَطِكَ

    উচ্চারণঃ আল্লাহুম্মা ইন্নি আউজুবিকা মিন যাওয়ালি নি’মাতিকা, ওয়া তাহাওউলি আফিয়াতিকা, ওয়া ফুজাআতি নিক্বমাতিকা, ওয়া জামিয়ি সাখাত্বিকা।

    অর্থঃ হে আল্লাহ! আমি তোমার কাছে আশ্রয় চাই নেয়ামত দূর হয়ে যাওয়া থেকে, তোমার দেয়া সুস্থতা পরিবর্তন হয়ে যাওয়া থেকে। আশ্রয় চাই তোমার কাছ থেকে হঠাৎ আসা শাস্তি থেকে। তোমার সব ধরণের অসন্তুষ্টি থেকে আশ্রয় চাই, ইয়া আল্লাহ।

  • ২৩৫. চিন্তা, পেরেশানি, ঋণ, অলসতা ও কাপুরুষতার দূরীকরন

    اَللّٰهُمَّ اِنِّيْ اَعُوْذُبِكَ مِنَ الْهَمِّ وَالْحُزْنِ وَ اَعُوْذُبِكَ مِنَ الْعَجْزِ وَ الْكَسَلِ وَ اَعُوْذُبِكَ مِنَ الْجُبْنِ وَ الْبُخْلِ وَ اَعُوْذُبِكَ مِنْ غَلَبَةِ الدَّيْنِ وَ قَهْرِ الرِّجَالِ

    উচ্চারণঃ আল্লাহুম্মা ইন্নি আউযুবিকা মিনাল হাম্মি ওয়াল হুযনি ওয়া আউযুবিকা মিনাল আজযি ওয়াল কাসালি ওয়া আউযুবিকা মিনাল জুবনি ওয়াল বুখলি ওয়া আউযুবিকা মিন গালাবাতিত দাইনি ওয়া কাহরির রিজালি।

    অর্থঃ হে আল্লাহ! আমি আপনার কাছে আশ্রয় চাই চিন্তা পেরেশানি থেকে এবং আমি আপনার কাছে আশ্রয় চাই অপারগতা ও অলসতা থেকে এবং আমি আপনার কাছে আশ্রয় চাই কাপুরুষতার ও কৃপণতা থেকে এবং আমি আপনার কাছে আশ্রয় চাই ঋণের বোঝা ও মানুষের ক্ষোভ থেকে।

  • ২৩৬. হতাশ হলে এই দু'আ পড়বে

    قَدَّرَ ‌اللَّهُ ‌وَمَا ‌شَاءَ ‌فَعَلَ

    উচ্চারণঃ কাদ্দারাল্লাহু ওয়া মা-শা’আ ফাআলা

    অর্থঃ আল্লাহ যা নির্ধারণ করেছেন এবং তিনি যা চেয়েছেন তাই করেছেন

  • ২৩৭. কঠিন কাজকে সহজ করার দু‘আ

    «اَللّٰهُمَّ لَا سَهْلَ إِلَّا ‌مَا ‌جَعَلْتَهُ ‌سَهْلًا، وَأَنْتَ تَجْعَلُ الْحَزْنَ سَهْلًا إِذَا شِئْتَ»

    উচ্চারণঃ আল্লা-হুম্মা, লা- সাহলা ইল্লা- মা- জা‘আলতাহূ সাহলান। ওয়া আনতা তাজ্‘আলুল হাযনা সাহ্‌লান ইযা শি’তা।

    অর্থঃ হে আল্লাহ আপনি যা সহজ করেন তা ছাড়া কিছুই সহজ নয়। আর আপনি ইচ্ছা করলে সুকঠিনকে সহজ করেন।

  • ২৩৮. প্রশাসনের যুলুমের ভয় পেলে আত্মরক্ষার দু’আ

    "اللَّهُمَّ رَبَّ السَّمَاوَاتِ السَّبْعِ وَرَبَّ الْعَرْشِ الْعَظِيمِ، ‌كُنْ ‌لِي ‌جَارًا ‌مِنْ فُلَانِ بْنِ فُلَانٍ وَأَحْزَابِهِ مِنْ خَلَائِقِكَ؛ أَنْ يَفْرُطَ عَلَيَّ أَحَدٌ مِنْهُمْ، أَوْ يَطْغَى، عَزَّ جَارُكَ، وَجَلَّ ثَنَاؤُكَ، وَلَا إِلَهَ إلا أنت".

    উচ্চারণঃ আল্লা-হুম্মা রাব্বাস সামা-ওয়া-তিস সাব‘ই ওয়া রাব্বাল ‘আরশিল ‘আযীম, কুন লী জা-রান মিন ফুলা-ন ইবনু ফুলা- ন (সংশিলষ্ট ব্যক্তির নাম) ওয়া আ‘হযা-বিহী মিন খালা-ইক্বিকা আইঁ ইয়াফরুত্বা ‘আলাইয়্যা আ‘হাদুম মিনহুম আও ইয়াত্বগা-, ‘আযযা জা- রুকা ওয়া জাল্লা সানা-উকা, ওয়া লা- ইলা-হা ইল্লা- আনতা

    অর্থঃ হে আল্লাহ, সাত আসমানের প্রভু ও মহান আরশের প্রভু, আপনি আমাকে আশ্রয় প্রদান করেন অমুকের পুত্র অমুক (সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির নাম) থেকে এবং আপনার সৃষ্টির মধ্য থেকে যারা তার দলবলে রয়েছে তাদের থেকে, তাদের কেউ যেন আমার বিষয়ে সীমালঙ্ঘন করতে না পারে বা আমার উপর অত্যাচার বা বিদ্রোহ করতে না পারে। আপনি যাকে আশ্রয় দেন সেই সম্মানিত। আপনার প্রশংসা মহিমান্বিত। আপনি ছাড়া কোনো মা’বুদ নেই।

  • ২৩৯. শিশুদের হেফাজতের দু‘আ

    أَعُوْذُ بِكَلِمَاتِ اللهِ التَّامَّةِ مِنْ كُلِّ شَيْطَانٍ وَهَامَّةٍ وَمِنْ كُلِّ عَيْنٍ لَامَّةٍ

    উচ্চারণঃ আ‘ঊযু বিকালিমা-তিল্লা-হিত তা-ম্মাতি মিন কুল্লি শাইতানিওঁ ওয়া হা-ম্মাহ, ওয়ামিন কুল্লি আইনিল্লা-ম্মাহ্‌।

    অর্থঃ আমি আশ্রয় গ্রহণ করছি আল্লাহর পরিপূর্ণ কথাসমূহের, সকল শয়তান থেকে, সকল ক্ষতিকারক পোকামাকড় ও প্রাণী থেকে এবং সকল ক্ষতিকারক দৃষ্টি থেকে।

  • ২৪০. নামাযের মধ্যে ওয়াসওয়াসা বন্ধের যিকর

    أَعُوْذُ بِا للہِ مِنَ الشَّيْطَانِ الرَّجِيْمِ

    উচ্চারণঃ আ’ঊযু বিল্লা-হি মিনাশ শায়ত্বা-নির রজীম।

    অর্থঃ আমি অভিশপ্ত শয়তান হতে আল্লাহর আশ্রয় প্রার্থনা করছি।

 

  • ২৪১. বিছানায় শুয়ে ঘুম না আসলে এই দুআ পড়বে

    لا إِلَهَ إِلا اللَّهُ الْوَاحِدُ الْقَهَّارُ رَبُّ السَّمَوَاتِ وَالأَرْضِ وَمَا بَيْنَهُمَا الْعَزِيزُ الْغَفَّارُ

    উচ্চারণঃ লা ইলা-হা ইল্লাল্লা-হুল ওয়াহিদুল কাহহার, রাব্বুস্ সামা-ওয়া-তি অল আরযি অমা বায়নাহুমাল আযীযুল গাফফা-র

    অর্থঃ আল্লাহ ব্যতীত কোন সত্য উপাস্য নেই যিনি একক, প্রবল প্রতাপান্বিত। আকাশমন্ডলী, পৃথিবী এবং উভয়ের মধ্যবর্তী সকল বস্তুর প্রতিপালক। যিনি পরাক্রমশলী, ক্ষমাশীল।

  • ২৪২. ঘুম থেকে উঠে পড়বে #২

    لَا إِلَهَ إِلَاّ اللَّهُ وَحْدَهُ لَا شَريكَ لَهُ، لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ، وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ، سُبْحَانَ اللَّهِ، وَالْحَمْدُ للَّهِ، وَلَا إِلَهَ إِلَاّ اللَّهُ، وَاللَّهُ أَكبَرُ، وَلَا حَوْلَ وَلَا قُوَّةَ إِلَاّ بِاللَّهِ الْعَلِيِّ الْعَظِيمِ، رَبِّ اغْفرْ لِي

    উচ্চারণঃ লা ইলা-হা ইল্লাল্লা-হু ওয়াহ্‌দাহূ লা- শারীকালাহূ, লাহুল মুলকু, ওয়ালাহুল হামদু, ওয়াহুয়া ‘আলা কুল্লি শায়ইন ক্বাদীর। সুবহা-নাল্লাহি, ওয়ালহামদু লিল্লাহি, ওয়া লা ইলা-হা ইল্লাল্লা-হু, ওয়াল্লা-হু আকবার, ওয়া লা- হাওলা ওয়ালা- কুওয়াতা ইল্লা- বিল্লা-হিল ‘আলিয়্যিল ‘আযীম, রাব্বিগফির লী

    অর্থঃ “একমাত্র আল্লাহ ছাড়া কোনো হক্ব ইলাহ নেই, তাঁর কোনো শরীক নেই; রাজত্ব তাঁরই, প্রশংসাও তাঁরই; আর তিনি সকল কিছুর ওপর ক্ষমতাবান। আল্লাহ পবিত্র-মহান। সকল হামদ-প্রশংসা আল্লাহ্‌র। আল্লাহ ছাড়া কোনো হক্ব ইলাহ নেই। আল্লাহ সবচেয়ে বড়। সুউচ্চ সুমহান আল্লাহর সাহায্য ছাড়া (পাপ কাজ থেকে দূরে থাকার) কোনো উপায় এবং (সৎকাজ করার) কোনো শক্তি কারো নেই। হে রব্ব ! আমাকে ক্ষমা করুন”

  • ২৪৩. ঘুম থেকে উঠে পড়বে #৩

    «الْحَمْدُ لِلَّهِ الَّذِي عَافَانِي فِي جَسَدِي، وَرَدَّ عَلَيَّ رُوحِي، وَأَذِنَ لي بِذِكْرِهِ»

    উচ্চারণঃ আল্‌হামদু লিল্লা-হিল্লাযী ‘আ-ফা-নী ফী জাসাদী, ওয়ারদ্দা ‘আলাইয়্যা রূহী ওয়া আযিনা লী বিযিকরিহী

    অর্থঃ “সকল হামদ-প্রশংসা আল্লাহ্‌র জন্য, যিনি আমার দেহকে নিরাপদ করেছেন, আমার রূহকে আমার নিকট ফেরত দিয়েছেন এবং আমাকে তাঁর যিক্‌র করার অনুমতি (সুযোগ) দিয়েছেন”

  • ২৪৪. ঘুম থেকে উঠে পড়বে #৪

    ﴿اِنَّ فِيْ خَلْقِ السَّمٰوٰتِ وَالْاَرْضِ وَاخْتِلَافِ الَّيْلِ وَالنَّھَارِ لَاٰيٰتٍ لِّاُولِي الْاَلْبَابِ ١٩٠؁ڌالَّذِيْنَ يَذْكُرُوْنَ اللّٰهَ قِيٰمًا وَّقُعُوْدًا وَّعَلٰي جُنُوْبِھِمْ وَيَتَفَكَّرُوْنَ فِيْ خَلْقِ السَّمٰوٰتِ وَالْاَرْضِ ۚ رَبَّنَا مَا خَلَقْتَ هٰذَا بَاطِلًا ۚ سُبْحٰنَكَ فَقِنَا عَذَابَ النَّارِ ١٩١؁رَبَّنَآ اِنَّكَ مَنْ تُدْخِلِ النَّارَ فَقَدْ اَخْزَيْتَهٗ ۭ وَمَا لِلظّٰلِمِيْنَ مِنْ اَنْصَارٍ ١٩٢؁رَبَّنَآ اِنَّنَا سَمِعْنَا مُنَادِيًا يُّنَادِيْ لِلْاِيْمَانِ اَنْ اٰمِنُوْا بِرَبِّكُمْ فَاٰمَنَّاڰ رَبَّنَا فَاغْفِرْ لَنَا ذُنُوْبَنَا وَكَفِّرْ عَنَّا سَيِّاٰتِنَا وَتَوَفَّنَا مَعَ الْاَبْرَارِ ١٩٣؁ۚرَبَّنَا وَاٰتِنَا مَا وَعَدْتَّنَا عَلٰي رُسُلِكَ وَلَا تُخْزِنَا يَوْمَ الْقِيٰمَةِ ۭاِنَّكَ لَا تُخْلِفُ الْمِيْعَادَ ١٩٤؁فَاسْتَجَابَ لَھُمْ رَبُّھُمْ اَنِّىْ لَآ اُضِيْعُ عَمَلَ عَامِلٍ مِّنْكُمْ مِّنْ ذَكَرٍ اَوْ اُنْثٰى ۚ بَعْضُكُمْ مِّنْۢ بَعْضٍ ۚ فَالَّذِيْنَ ھَاجَرُوْا وَاُخْرِجُوْا مِنْ دِيَارِھِمْ وَاُوْذُوْا فِيْ سَبِيْلِيْ وَقٰتَلُوْا وَقُتِلُوْا لَاُكَفِّرَنَّ عَنْھُمْ سَيِّاٰتِھِمْ وَلَاُدْخِلَنَّھُمْ جَنّٰتٍ تَجْرِيْ مِنْ تَحْتِھَا الْاَنْھٰرُ ۚ ثَوَابًا مِّنْ عِنْدِ اللّٰهِ ۭوَاللّٰهُ عِنْدَهٗ حُسْنُ الثَّوَابِ ١٩٥؁لَا يَغُرَّنَّكَ تَقَلُّبُ الَّذِيْنَ كَفَرُوْا فِي الْبِلَادِ ١٩٦؁ۭ مَتَاعٌ قَلِيْلٌ ۣ ثُمَّ مَاْوٰىھُمْ جَهَنَّمُ ۭوَبِئْسَ الْمِھَادُ ١٩٧؁لٰكِنِ الَّذِيْنَ اتَّقَوْا رَبَّھُمْ لَھُمْ جَنّٰتٌ تَجْرِيْ مِنْ تَحْتِھَا الْاَنْھٰرُ خٰلِدِيْنَ فِيْھَا نُزُلًا مِّنْ عِنْدِ اللّٰهِ ۭ وَمَا عِنْدَ اللّٰهِ خَيْرٌ لِّلْاَبْرَارِ ١٩٨؁وَاِنَّ مِنْ اَھْلِ الْكِتٰبِ لَمَنْ يُّؤْمِنُ بِاللّٰهِ وَمَآ اُنْزِلَ اِلَيْكُمْ وَمَآ اُنْزِلَ اِلَيْھِمْ خٰشِعِيْنَ لِلّٰهِ ۙ لَا يَشْتَرُوْنَ بِاٰيٰتِ اللّٰهِ ثَـمَنًا قَلِيْلًا ۭ اُولٰۗىِٕكَ لَھُمْ اَجْرُھُمْ عِنْدَ رَبِّھِمْ ۭ اِنَّ اللّٰهَ سَرِيْعُ الْحِسَابِ ١٩٩؁يٰٓاَيُّھَا الَّذِيْنَ اٰمَنُوا اصْبِرُوْا وَصَابِرُوْا وَرَابِطُوْا ۣوَاتَّقُوا اللّٰهَ لَعَلَّكُمْ تُفْلِحُوْنَ ٢٠٠؁ۧ﴾

    উচ্চারণঃ (ইন্না ফী খলকিস্ সামাওয়াতি ওয়াল আরদি ওয়াখতিলা-ফিল লাইলি ওয়ান্নাহা-রি লাআয়া-তিল্ লিউলিল্ আলবা-ব। আল্লাযীনা ইয়াযকুরূনাল্লাহা কিয়া-মাও ওয়াকু‘উদাঁও ওয়া‘আলা জুনূবিহিম ওয়াইয়াতাফাক্কারূনা ফী খলকিস্ সামাওয়াতি ওয়াল আরদি, রববানা মা খালাকতা হাযা বা-তিলান, সুবহানাকা ফাকিনা ‘আযা-বান্ নার। রববানা ইন্নাকা মান তুদখিলিন্ না-রা ফাকাদ আখযাইতাহু, ওয়ামা লিয্যালিমীনা মিন আনসা-র। রববানা ইন্নানা সামি‘না মুনাদিইয়াইয়্যুনা-দী লিলঈমানি আন্ আ-মিনু বিরব্বিকুম ফাআ--মান্না। রব্বানা ফাগফির লানা যুনূবানা ওয়াকাফফির ‘আন্না সায়্যিআ-তিনা ওয়া তাওয়াফ্‌ফানা মা‘আল আবরা-র। রববানা ওয়া আতিনা মা ওয়া‘আদতানা ‘আলা রুসুলিকা ওয়ালা তুখযিনা ইয়াওমাল কিয়া-মাতি, ইন্নাকা লা তুখলিফুল মী‘আদ। ফাস্তাজাবা লাহুম রববুহুম আন্নী লা উদী‘উ আমালা ‘আমিলিম মিনকুম মিন যাকারিন ওয়া উনসা বা‘দুকুম মিন বা‘দ, ফাল্লাযীনা হা-জারূ ওয়া উখরিজূ মিন দিয়ারিহিম ওয়া ঊ-যূ ফী সাবীলী ওয়া কা-তালু ওয়া কু-তিলু লাউকাফফিরান্না ‘আনহুম সায়্যিআ-তিহিম ওয়ালাউদখিলান্নাহুম জান্না-তিন তাজরী মিন তাহ-তিহাল আনহারু, ছাওয়া-বাম্ মিন ‘ইনদিল্লাহি, ওয়াল্লা-হু ইনদাহু হুসনুছ ছাওয়া-ব। লা ইয়াগুররান্নাকা তাকল্লুবুল্লাযীনা কাফারূ ফিল্ বিলা-দ। মাতা‘উন কালীলুন ছুম্মা মা’ওয়াহুম জাহান্নামু ওয়া বি’সাল মিহা-দ। লা-কিনিল্লাযীনাত্তাকাও রববাহুম লাহুম জান্না-তুন তাজরী মিন তাহতিহাল আনহারু খা-লিদ্বীনা ফীহা নুযুলাম্ মিন ইনদিল্লাহি ওয়ামা ইনদাল্লাহি খাইরুল লিল্ আবরার। ওয়াইন্না মিন আহলিল কিতাবি লামইয়ূ’মিনু বিল্লাহি ওয়ামা উনযিলা ইলাইকুম ওয়ামা উনযিলা ইলাইহিম খা-শিঈনা লিল্লা-হি লা ইয়াশতারূনা বিআ-য়া-তিল্লাহি ছামানান্ কালীলা। উলা-ইকা লাহুম আজরুহুম ‘ইনদা রববিহিম। ইন্নাল্লাহা সারী‘উল হিসাব। ইয়া আয়্যুহাল্লাযীনা আমানুসবিরূ ওয়াসা-বিরূ ওয়া রা-বিতু ওয়াত্তাকুল্লাহা লা‘আল্লাকুম তুফলিহুন)।

    অর্থঃ নিশ্চয় আসমানসমূহ ও যমীনের সৃষ্টিতে, রাত ও দিনের পরিবর্তনে নিদর্শনাবলী রয়েছে বোধশক্তি সম্পন্ন লোকদের জন্য। যারা দাঁড়িয়ে, বসে ও শুয়ে আল্লাহ্‌র স্মরণ করে এবং আসমানসমূহ ও যমীনের সৃষ্টি সম্বন্ধে চিন্তা করে, আর বলে, ‘হে আমাদের রব! আপনি এগুলো অনর্থক সৃষ্টি করেননি, আপনি অত্যন্ত পবিত্র, অতএব আপনি আমাদেরকে আগুনের শাস্তি হতে রক্ষা করুন।’ ‘হে আমাদের রব! আপনি কাউকেও আগুনে নিক্ষেপ করলে তাকে তো আপনি নিশ্চয়ই হেয় করলেন এবং যালেমদের কোন সাহায্যকারী নেই।’ ‘হে আমাদের রব, আমরা এক আহ্বায়ককে ঈমানের দিকে আহ্বান করতে শুনেছি, ‘তোমরা তোমাদের রবের উপর ঈমান আন।’ কাজেই আমরা ঈমান এনেছি। হে আমাদের রব! আপনি আমাদের পাপরাশি ক্ষমা করুন, আমাদের মন্দ কাজগুলো দূরীভূত করুন এবং আমাদেরকে সৎকর্মপরায়ণদের সহগামী করে মৃত্যু দিন। ‘হে আমাদের রব! আপনার রাসূলগণের মাধ্যমে আমাদেরকে যা দিতে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তা আমাদেরকে দান করুন এবং কেয়ামতের দিন আমাদেরকে হেয় করবেন না। নিশ্চয় আপনি প্রতিশ্রুতির ব্যতিক্রম করেন না।’ তারপর তাদের রব তাদের ডাকে সাড়া দিয়ে বলেন, ‘নিশ্চয় আমি তোমাদের মধ্যে আমলকারী কোনো নর বা নারীর আমল বিফল করি না; তোমরা একে অপরের অংশ। কাজেই যারা হিজরত করেছে, নিজ ঘর থেকে উৎখাত হয়েছে, আমার পথে নির্যাতিত হয়েছে এবং যুদ্ধ করেছে ও নিহত হয়েছে আমি তাদের পাপ কাজগুলো অবশ্যই দূর করব এবং অবশ্যই তাদেরকে প্রবেশ করাব জান্নাতে, যার পাদদেশে নদী প্রবাহিত। এটা আল্লাহ্‌র কাছ থেকে পুরস্কার; আর উত্তম পুরস্কার আল্লাহ্‌রই কাছে রয়েছে। যারা কুফরী করেছে, দেশে দেশে তাদের অবাধ বিচরণ যেন কিছুতেই আপনাকে বিভ্রান্ত না করে। এ তো স্বল্পকালীন ভোগ মাত্র; তারপর জাহান্নাম তাদের আবাস; আর ওটা কত নিকৃষ্ট বিশ্রামস্থল! কিন্তু যারা তাদের রবকে ভয় করে তাদের জন্য রয়েছে জান্নাত, যার পাদদেশে নদী প্রবাহিত, সেখানে তারা স্থায়ী হবে। এ হচ্ছে আল্লাহ্‌র পক্ষ থেকে আতিথেয়তা; আর আল্লাহ্‌র কাছে যা আছে তা সৎকর্মপরায়ণদের জন্য উত্তম। আর নিশ্চয় কিতাবীদের মধ্যে এমন লোকও আছে যারা আল্লাহ্‌র প্রতি বিনয়াবনত হয়ে তাঁর প্রতি এবং তিনি যা তোমাদের ও তাদের প্রতি নাযিল করেছেন তাতে ঈমান আনে। তারা আল্লাহ্‌র আয়াত তুচ্ছ মূল্যে বিক্রি করে না। তারাই, যাদের জন্য আল্লাহ্‌র কাছে পুরস্কার রয়েছে। নিশ্চয়ই আল্লাহ্ দ্রুত হিসাব গ্রহণকারী। হে ঈমানদারগণ! তোমরা ধৈর্য ধারণ কর, ধৈর্যে প্রতিযোগিতা কর এবং সবসময় যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত থাক, আর আল্লাহ্‌র তাকওয়া অবলম্বন কর; যাতে তোমরা সফলকাম হতে পার”

  • ২৪৫. রাতের বেলায় কুকুরের ডাক শুনলে পড়বে

    أَعُوْذُ بِا للَّهِ অথবা أَعُوْذُ بِا للَّهِ مِنَ الشَّيْطَانِ الرَّجِيْمِ

    উচ্চারণঃ আ’ঊযু বিল্লাহ অথবা আ’ঊযু বিল্লা-হি মিনাশ শায়ত্বা-নির রজীম।

    অর্থঃ আমি আল্লাহর আশ্রয় প্রার্থনা করছি।

  • ২৪৬. গাধার ডাক শুনলে পড়বে

    أَعُوْذُ بِا للہِ مِنَ الشَّيْطَانِ الرَّجِيْمِ

    উচ্চারণঃ আ’ঊযু বিল্লা-হি মিনাশ শায়ত্বা-নির রজীম।

    অর্থঃ আমি অভিশপ্ত শয়তান হতে আল্লাহর আশ্রয় প্রার্থনা করছি।

  • ২৪৭. মসজিদে যাওয়ার সময়ে পড়ার দো‘আ

    «اللَّهُمَّ اجْعَلْ فِي قَلْبِي نُوراً، وَفِي لِسَانِي نُوراً، وَفِي سَمْعِي نُوراً، وَفِي بَصَرِي نُوراً، وَمِنْ فَوْقِي نُوراً، وَمِنْ تَحْتِي نُوراً، وَعَنْ يَمِينِي نُوراً، وَعَنْ شِمَالِي نُوراً، وَمِنْ أَمَامِي نُوراً، وَمِنْ خَلْفِي نُوراً، وَاجْعَلْ فِي نَفْسِي نُوراً، وَأَعْظِمْ لِي نُوراً، وَعَظِّم لِي نُوراً، وَاجْعَلْ لِي نُوراً، وَاجْعَلْنِي نُوراً، اللَّهُمَّ أَعْطِنِي نُوراً، وَاجْعَلْ فِي عَصَبِي نُوراً، وَفِي لَحْمِي نُوراً، وَفِي دَمِي نُوراً، وَفِي شَعْرِي نُوراً، وَفِي بَشَرِي نُوراً

    «[اللَّهُمَّ اجْعَلْ لِي نُوراً فِي قَبْرِي... وَنُوراً فِي عِظَامِي]» [«وَزِدْنِي نُوراً، وَزِدْنِي نُوراً، وَزِدْنِي نُوراً»] [«وَهَبْ لِي نُوراً عَلَى نُورٍ»].

    উচ্চারণঃ (আল্লা-হুম্মাজ‘আল ফী ক্বালবী নূরান, ওয়া ফী লিসানী নূরান, ওয়া ফী সাম্‘য়ী নূরান, ওয়া ফী বাসারী নূরান, ওয়া মিন ফাওকী নূরান, ওয়া মিন তাহ্‌তী নূরান, ওয়া ‘আন ইয়ামীনী নূরান, ওয়া ‘আন শিমালী নূরান, ওয়া মিন আমামী নূরান, ওয়া মিন খলফী নূরান, ওয়াজ‘আল ফী নাফ্‌সী নূরান, ওয়া আ‘যিম লী নূরান, ওয়া ‘আয্‌যিম লী নূরান, ওয়াজ‘আল্ লী নূরান, ওয়াজ‘আলনী নূরান; আল্লা-হুম্মা আ‘তিনী নূরান, ওয়াজ‘আল ফী ‘আসাবী নূরান, ওয়া ফী লাহ্‌মী নূরান, ওয়া ফী দামী নূরান, ওয়া ফী শা‘রী নূরান, ওয়া ফী বাশারী নূরান। [আল্লা-হুম্মাজ‘আল লী নূরান ফী কাবরী, ওয়া নূরান ফী ‘ইযামী] [ওয়া যিদ্‌নী নূরান, ওয়া যিদনী নূরান, ওয়া যিদনী নূরান] [ওয়া হাবলী নূরান ‘আলা নুর]

    অর্থঃ “হে আল্লাহ! আপনি আমার অন্তরে নূর (বা আলো) দান করুন, আমার যবানে নূর দান করুন, আমার শ্রবণশক্তিতে নূর দান করুন, আমার দর্শনশক্তিতে নূর দান করুন, আমার উপরে নূর দান করুন, আমার নীচে নূর দান করুন, আমার ডানে নূর দান করুন, আমার বামে নূর দান করুন, আমার সামনে নূর দান করুন, আমার পেছনে নূর দান করুন, আমার আত্মায় নূর দান করুন, আমার জন্য নূরকে বড় করে দিন, আমার জন্য নূর বাড়িয়ে দিন, আমার জন্য নূর নির্ধারণ করুন, আমাকে আলোকময় করুন। হে আল্লাহ! আমাকে নূর দান করুন, আমার পেশীতে নূর প্রদান করুন, আমার গোশ্‌তে নূর দান করুন, আমার রক্তে নূর দান করুন, আমার চুলে নূর দান করুন ও আমার চামড়ায় নূর দান করুন। [“হে আল্লাহ! আমার জন্য আমার কবরে নূর দিন, আমার হাড়সমূহেও নূর দিন”, [“আমাকে নূরে বৃদ্ধি করে দিন, আমাকে নূরে বৃদ্ধি করে দিন, আমাকে নূরে বৃদ্ধি করে দিন”], [“আমাকে নূরের উপর নূর দান করুন”]

  • ২৪৮. নতুন চাঁদ দেখে পড়ার দো‘আ

    اللَّهُ أَكْبَرُ، اللَّهُمَّ أَهِلَّهُ عَلَيْنَا بِالْأَمْنِ وَالْإِيمَانِ، وَالسَّلاَمَةِ وَالْإِسْلاَمِ، وَالتَّوْفِيقِ لِمَا تُحِبُّ رَبَّنَا وَتَرْضَى، رَبُّنَا وَرَبُّكَ اللَّهُ.

    উচ্চারণঃ আল্লা-হু আকবার, আল্লা-হুম্মা আহিল্লাহু ‘আলাইনা বিলআমনি ওয়ালঈমানি ওয়াস্‌সালা-মাতি ওয়াল-ইসলা-মি, ওয়াত্তাওফীকি লিমা তুহিব্বু রব্বানা ওয়া তারদ্বা, রব্বুনা ওয়া রব্বুকাল্লাহ

    অর্থঃ “আল্লাহ সবচেয়ে বড়। হে আল্লাহ! এই নতুন চাঁদকে আমাদের উপর উদিত করুন নিরাপত্তা, ঈমান, শান্তি ও ইসলামের সাথে; আর হে আমাদের রব্ব! যা আপনি পছন্দ করেন এবং যাতে আপনি সন্তুষ্ট হন তার প্রতি তাওফীক লাভের সাথে। আল্লাহ আমাদের রব্ব এবং তোমার (চাঁদের) রব্ব।”

  • ২৪৯. ঋণ পরিশোধের দু’আ # ২

    «بارَكَ اللَّهُ لَكَ فِي أَهْلِكَ وَمَالِكَ، إِنَّمَا جَزَاءُ السَّلَفِ الْحَمْدُ وَالأَدَاءُ»

    উচ্চারণঃ বা-রাকাল্লা-হু লাকা ফী আহলিকা ওয়া মা-লিকা, ইন্নামা জাযা-উস সালাফে আল-হামদু ওয়াল আদা-উ

    অর্থঃ আল্লাহ আপনার পরিবারে ও সম্পদে বরকত দান করুন। ঋণের প্রতিদান তো কৃতজ্ঞতা প্রকাশ ও সঠিকভাবে তা আদায় করণ।

  • ২৫০. ভীত অবস্থায় বলবে

    لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ

    উচ্চারণঃ লা ইলা-হা ইল্লাল্লা-হু

    অর্থঃ আল্লাহ ব্যতীত কোনো হক্ব উপাস্য নেই।

  • ২৫১. মুত্যু নিকটবর্তী অনুভব হলে পড়ার দু‘আ # ২

    لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ إِنَّ لِلْمَوْتِ سَكَرَاتٍ

    উচ্চারণঃ লা ইলা-হা ইল্লাল্লা-হু, ইন্না লিল মাওতি সাকারা-তিন

    অর্থঃ আল্লাহ ব্যতীত কোনো ইলাহ নেই, নিশ্চয় মৃত্যুর রয়েছে বিভিন্ন প্রকার ভয়াবহ কষ্ট।

  • ২৫২. মুত্যু নিকটবর্তী অনুভব হলে পড়ার দু‘আ # ৩

    لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ وَاللَّهُ أَكْبَرُ، لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ وَحْدَهُ، لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ وَحْدَهُ لاَ شَرِيكَ لَهُ، لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ لَهُ المُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ، لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ وَلاَ حَوْلَ وَلاَ قُوَّةَ إِلاَّ بِاللَّهِ

    উচ্চারণঃ (লা ইলা-হা ইল্লাল্লা-হু, আল্লা-হু আকবার, লা ইলা-হা ইল্লাল্লা-হু ওয়াহদাহু, লা ইলা-হা ইল্লাল্লা-হু ওয়াহদাহু লা শারীকা লাহু, লা ইলা-হা ইল্লাল্লা-হু লাহুল মুলকু ওয়ালাহুল হামদু, লা ইলা-হা ইল্লাল্লা-হু ওয়ালা হাউলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লা-হ

    অর্থঃ আল্লাহ ব্যতীত কোনো ইলাহ নেই, আল্লাহ মহান। একমাত্র আল্লাহ ব্যতীত কোনো ইলাহ নেই। একমাত্র আল্লাহ ব্যতীত কোনো হক্ব ইলাহ নেই, তাঁর কোনো শরীক নেই। আল্লাহ ব্যতীত কোনো ইলাহ নেই, যাবতীয় রাজত্ব তাঁরই, তার জন্যই সকল প্রশংসা, আল্লাহ ব্যতীত কোনো ইলাহ নেই, আল্লাহর সাহায্য ছাড়া (পাপ কাজ থেকে দূরে থাকার) কোনো উপায় এবং (সৎকাজ করার) কোনো শক্তি নেই।

  • ২৫৩. বজ্রপাতের সময় / মেঘের গর্জন শুনলে পড়বে # ২

    سُبْحَانَ الَّذِي يُسَبِّحُ الرَّعْدُ بِحَمْدِهِ وَالْمَلاَئِكةُ مِنْ خِيفَتِهِ

    উচ্চারণঃ সুবহা-নাল্লাযী ইউসাব্বিহুর –রা‘দু বিহামদিহি ওয়াল-মালা-ইকাতু মিন খীফাতিহি

    অর্থঃ পবিত্র-মহান সেই সত্তা, রা‘দ ফেরেশ্তা যাঁর মহিমা ও পবিত্রতা ঘোষণা করে প্রশংসার সাথে, আর ফেরেশ্তাগণও তা-ই করে যাঁর ভয়ে।

  • ২৫৪. বৃষ্টি বর্ষণের পর বলবে

    مُطِرْنَا بِفَضْلِ اللهِ وَرَحْمَتِهٖ

    উচ্চারণঃ মুতিরনা বিফাদলিল্লা-হি ওয়া রহমাতিহী

    অর্থঃ আল্লাহ্‌র অনুগ্রহ ও দয়ায় আমাদের উপর বৃষ্টি বর্ষিত হয়েছে

  • ২৫৫. অতিবৃষ্টি বন্ধের জন্য দোয়া

    اللَّهُمَّ حَوَالَيْنَا وَلاَ عَلَيْنَا، اللَّهُمَّ عَلَى الآكَامِ وَالظِّرَابِ، وَبُطُونِ الْأَوْدِيَةِ، وَمَنَابِتِ الشَّجَرِ

    উচ্চারণঃ আল্লা-হুম্মা হাওয়ালাইনা ওয়ালা ‘আলাইনা। আল্লা-হুম্মা আলাল-আ-কা-মি ওয়ায্যিরা-বি ওয়াবুতূনিল আওদিয়াতি ওয়ামানা-বিতিশ শাজারি

    অর্থঃ হে আল্লাহ! আমাদের পার্শ্ববর্তী এলাকায় (বর্ষণ করুন), আমাদের উপর নয়। হে আল্লাহ! উঁচু ভূমিতে, পাহাড়ে, উপত্যকার কোলে ও বনাঞ্চলে (বর্ষণ করুন)

  • ২৫৬. খাওয়ার শুরুতে বিসমিল্লাহ ভুলে গেলে পড়বে

    بِسْمِ اللَّهِ فِي أَوَّلِهِ وَآخِرِهِ ‏

    উচ্চারণঃ বিস্‌মিল্লাহি ফী আওওয়ালিহী ওয়া আখিরিহী

    অর্থঃ এর (খানার) শুরু ও শেষ আল্লাহ তা’আলার নামে।

  • ২৫৭. খানা খাওয়ার সময় পড়বে

    اللَّهُمَّ بَارِكْ لَنَا فِيهِ وَأَطْعِمْنَا خَيْرًا مِنْهُ

    উচ্চারণঃ আল্লা-হুম্মা বারিক লানা ফীহি ওয়া আত‘ইমনা খাইরাম-মিনহু

    অর্থঃ হে আল্লাহ! আপনি আমাদেরকে এই খাদ্যে বরকত দিন এবং এর চেয়েও উত্তম খাদ্য আহার করান।

  • ২৫৮. দাওয়াত খাওয়ার দু’আ-৩

    «اللَّهُمَّ بَارِكْ لَهُمْ فِيمَا رَزَقْتَهُم، وَاغْفِرْ لَهُمْ وَارْحَمْهُمْ»

    উচ্চারণঃ আল্লা-হুম্মা বা-রিক লাহুম ফীমা রাযাকতাহুম ওয়াগফির লাহুম ওয়ারহামহুম

    অর্থঃ হে আল্লাহ! আপনি তাদেরকে যে রিযিক দান করেছেন তাতে তাদের জন্য বরকত দিন এবং তাদের গুনাহ মাফ করুন, আর তাদের প্রতি দয়া করুন

  • ২৫৯. দাওয়াত খাওয়ার দু’আ-৪

    اللَّهُمَّ أَطْعِمْ مَنْ أَطْعَمَنِي، وَاسْقِ مَنْ سَقَانِي

    উচ্চারণঃ আল্লা-হুম্মা আত্ব‘ইম মান আত্ব‘আমানী ওয়াসক্বি মান সাক্বা-নী

    অর্থঃ হে আল্লাহ! যে আমাকে আহার করাবে আপনি তাদেরকে আহার করান এবং যে আমাকে পান করাবে আপনি তাদেরকে পান করান

  • ২৬০. সুবহানাল্লাহি ওয়া বিহামদিহি সুবহানাল্লাহিল আযীম

    سُبْحَانَ اللهِ وَبِحَمْدِهٖ، سُبْحَانَ اللّٰهِ الْعَظِيْمِ

    উচ্চারণঃ সুব্‌হানাল্লা-হি ওয়া বিহামদিহী, সুব্‌হানাল্লা-হিল ‘আযীম

    অর্থঃ আল্লাহ্‌র প্রশংসাসহকারে তাঁর পবিত্রতা ও মহিমা বর্ণনা করছি। মহান আল্লাহর পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা করছি’

 

  • ২৬১. যে ব্যক্তি বলবে,‘আমি আপনাকে আল্লাহ্‌র জন্য ভালোবাসি— তার জন্য দু'আ

    أَحَبَّكَ الَّذِيْ أَحْبَبْتَنِيْ لَهٗ

    উচ্চারণঃ আহাব্বাকাল্লাযী আহ্বাবতানী লাহু

    অর্থঃ যাঁর (আল্লাহর) জন্য আপনি আমাকে ভালোবেসেছেন, তিনি আপনাকে ভালোবাসুন!

  • ২৬২. কেউ বরকতের দোয়া করলে বলবে

    وَفِيكَ بَارَكَ اللَّهُ

    উচ্চারণঃ ওয়াফীকা বা-রাকাল্লা-হু

    অর্থঃ আর আপনার মধ্যেও আল্লাহ বরকত দিন।

  • ২৬৩. কাফের / বিধর্মী কেউ সালাম দিলে জবাবে বলবে

    وَعَلَيْكُمْ

    উচ্চারণঃ ওয়া ‘আলাইকুম

    অর্থঃ আর তোমাদেরও উপর

  • ২৬৪. কাউকে গালি দিয়ে থাকলে পড়বে

    اللَّهُمَّ فَأَيُّمَا مُؤْمِنٍ سَبَبْتُهُ فَاجْعَلْ ذَلِكَ لَهُ قُرْبَةً إِلَيْكَ يَوْمَ الْقِيَامَةِ

    উচ্চারণঃ আল্লা-হুম্মা ফাআইয়্যূমা মু’মিনিন্ সাবাবতুহু ফাজ্‘আল যা-লিকা লাহু কুরবাতান ইলাইকা ইয়াউমাল ক্বিয়া-মাতি

    অর্থঃ হে আল্লাহ! যে মুমিনকেই আমি গালি দিয়েছি, তা তার জন্য কিয়ামতের দিন আপনার নৈকট্যের মাধ্যম করে দিন

  • ২৬৫. দুঃখ ও দুশ্চিন্তার সময় পড়বে

    اللَّهُمَّ إِنِّي عَبْدُكَ، ابْنُ عَبْدِكَ، ابْنُ أَمَتِكَ، نَاصِيَتِي بِيَدِكَ، مَاضٍ فِيَّ حُكْمُكَ، عَدْلٌ فِيَّ قَضَاؤُكَ، أَسْأَلُكَ بِكُــــلِّ اسْمٍ هُوَ لَكَ، سَمَّيْتَ بِهِ نَفْسَكَ، أَوْ أَنْزَلْتَهُ فِي كِتَابِكَ، أَوْ عَلَّمْتَهُ أَحَداً مِنْ خَلْقِكَ، أَوِ اسْتَأْثَرْتَ بِهِ فِي عِلْمِ الغَيْبِ عِنْدَكَ، أَنْ تَجْعَلَ القُرْآنَ رَبِيعَ قَلْبِي، وَنُورَ صَدْرِي، وَجَلاَءَ حُزْنِي، وَذَهَابَ هَمِّي

    উচ্চারণঃ আল্লা-হুম্মা ইন্নী ‘আবদুকা ইবনু ‘আবদিকা ইবনু আমাতিকা, না-সিয়াতী বিয়াদিকা, মা-দ্বিন ফিয়্যা হুকমুকা, ‘আদলুন ফিয়্যা কাদ্বা-য়ুকা, আসআলুকা বিকুল্লি ইসমিন্ হুয়া লাকা সাম্মাইতা বিহি নাফসাকা, আও আনযালতাহু ফী কিতা-বিকা আও ‘আল্লামতাহু আহাদাম্-মিন খালক্বিকা আও ইস্তা’সারতা বিহী ফী ‘ইলমিল গাইবি ‘ইনদাকা, আন্ তাজ‘আলাল কুরআ-না রবী‘আ ক্বালবী, ওয়া নূরা সাদ্‌রী, ওয়া জালা’আ হুযনী ওয়া যাহা-বা হাম্মী

    অর্থঃ হে আল্লাহ! আমি আপনার বান্দা, আপনারই এক বান্দার পুত্র এবং আপনার এক বাঁদীর পুত্র। আমার কপাল (নিয়ন্ত্রণ) আপনার হাতে; আমার উপর আপনার নির্দেশ কার্যকর; আমার ব্যাপারে আপনার ফয়সালা ন্যায়পূর্ণ। আমি আপনার কাছে প্রার্থনা করি আপনার প্রতিটি নামের উসীলায়; যে নাম আপনি নিজের জন্য নিজে রেখেছেন অথবা আপনি আপনার কিতাবে নাযিল করেছেন অথবা আপনার সৃষ্টজীবের কাউকেও শিখিয়েছেন অথবা নিজ গায়েবী জ্ঞানে নিজের জন্য সংরক্ষণ করে রেখেছেন—আপনি কুরআনকে বানিয়ে দিন আমার হৃদয়ের প্রশান্তি, আমার বক্ষের জ্যোতি, আমার দুঃখের অপসারণকারী এবং দুশ্চিন্তা দূরকারী।

  • ২৬৬. দুশ্চিন্তা বা বিপদগ্রস্তের দোয়া

    لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ الْعَظِيمُ الْحَلِيمُ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ رَبُّ الْعَرْشِ الْعَظِيمِ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ رَبُّ السَّمَاوَاتِ وَرَبُّ الأَرْضِ وَرَبُّ الْعَرْشِ الْكَرِيمِ

    উচ্চারণঃ লা- ইলা-হা ইল্লাল্লা-হুল আযীমুল হালীম, লা- ইলা-হা ইল্লাল্লা-হু রাব্বুল আরশিল আযীম, লা- ইলা-হা ইল্লাল্লা- হু রাব্বুস সামাওয়া-তি ওয়া রাব্বুল আরদি ওয়া রাব্বুল আরশিল কারীম

    অর্থঃ নেই কোনো মা’বুদ আল্লাহ ছাড়া, যিনি মহান, মহাধৈর্যময় মহা বিচক্ষণ, নেই কোনো মা’বুদ আল্লাহ ছাড়া, যিনি মহান আরশের প্রভু, নেই কোনো মা’বুদ আল্লাহ ছাড়া, যিনি আসমানসমূহের, জমিনের ও সম্মানিত আরশের প্রভু

  • ২৬৭. দুশ্চিন্তা বা বিপদগ্রস্তের দোয়া # ২

    اللَّهُ، اللَّهُ رَبِّى لاَ أُشْرِكُ بِهِ شَيْئًا، اللَّهُ اللَّهُ رَبِّى لاَ أُشْرِكُ بِهِ شَيْئًا

    উচ্চারণঃ আল্লা-হু, আল্লা-হু রাব্বী, লা- উশরিকু বিহী শাইআন। আল্লা-হু, আল্লা-হু রাব্বী, লা- উশরিকু বিহী শাইআন

    অর্থঃ “আল্লাহ, আল্লাহ, আমার রব, তার সাথে কাউকে শরীক করি না, আল্লাহ, আল্লাহ, আমার রব, তার সাথে কাউকে শরীক করি না।

  • ২৬৮. দুর্দশাগ্রস্ত ব্যক্তির দোয়া # ৩

    اللَّهُمَّ رَحْمَتَكَ أَرْجُو، فَلاَ تَكِلْنِي إِلَى نَفْسِي طَرْفَةَ عَيْنٍ، وَأَصْلِحْ لِي شَأْنِي كُلَّهُ، لاَ إِلَهَ إِلاَّ أَنْتَ

    উচ্চারণঃ আল্লা-হুম্মা রহ্‌মাতাকা আরজু ফালা তাকিলনী ইলা নাফসী ত্বারফাতা ‘আইন, ওয়া আসলিহ্ লী শা’নি কুল্লাহু, লা ইলা-হা ইল্লা আনতা

    অর্থঃ হে আল্লাহ! আমি আপনার রহমতেরই আশা করি। তাই আপনি এক নিমেষের জন্যও আমাকে আমার নিজের কাছে সোপর্দ করবেন না। আপনি আমার সার্বিক বিষয়াদি সংশোধন করে দিন। আপনি ছাড়া কোনো হক্ব ইলাহ নেই

  • ২৬৯. দুশ্চিন্তা বা বিপদগ্রস্তের দোয়া # ৪

    لاَ إِلَهَ إِلاَّ أَنْتَ سُبْحَانَكَ إِنِّي كُنْتُ مِنَ الظّالِمِينَ

    উচ্চারণঃ লা ইলাহা ইল্লা আনতা সুবহানাকা ইন্নী কুনতু মিনায-যা-লিমীন

    অর্থঃ আপনি ছাড়া কোনো ইলাহ নেই, আপনি পবিত্র-মহান, নিশ্চয় আমি যালেমদের অন্তর্ভুক্ত।

  • ২৭০. শত্রু বা যালিমের সম্মুখীন হলে পড়বে

    اللَّهُمَّ أَنْتَ عَضُدِي، وَأَنْتَ نَصِيرِي، بِكَ أَحُولُ وَبِكَ أَصُولُ، وَبِكَ أُقاتِلُ

    উচ্চারণঃ আল্লহুম্মা আনতা ‘আদ্বুদী, ওয়া আনতা নাসীরী, বিকা আহূলু, ওয়া বিকা আসূলু, ওয়া বিকা উক্বা-তিলু

    অর্থঃ হে আল্লাহ! আপনি আমার শক্তি এবং আপনি আমার সাহায্যকারী; আপনারই সাহায্যে আমি বিচরণ করি, আপনারই সাহায্যে আমি আক্রমন করি এবং আপনারই সাহায্যে আমি যুদ্ধ করি।

  • ২৭১. শত্রু বা যালিমের সম্মুখীন হলে পড়বে - ২

    حَسْبُنا اللَّهُ وَنِعْمَ الْوَكِيلُ

    উচ্চারণঃ হাসবুনাল্লা-হু ওয়া নি‘মাল ওয়াকীল

    অর্থঃ আল্লাহই আমাদের জন্য যথেষ্ট, আর তিনি কতই না উত্তম কর্মবিধায়ক

  • ২৭২. শাসকের অত্যাচারের ভয় করলে ৩ বার পড়বে

    اللَّهُ أَكْبَرُ، اللَّهُ أَعَزُّ مِنْ خَلْقِهِ جَمِيعاً، اللَّهُ أَعَزُّ مِمَّا أَخَافُ وَأَحْذَرُ، أَعُوذُ بِاللَّهِ الَّذِي لاَ إِلَهَ إِلاَّ هُوَ، الْمُمْسِكِ السَّمَوَاتِ السَّبْعِ أَنْ يَقَعْنَ عَلَى الْأَرْضِ إِلاَّ بِإِذْنِهِ، مِنْ شَرِّ عَبْدِكَ فُلاَنٍ، وَجُنُودِهِ وَأَتْبَاعِهِ وَأَشْيَاعِهِ، مِنْ الْجِنِّ وَالإِنْسِ، اللَّهُمَّ كُنْ لِي جَاراً مِنْ شَرِّهِمْ، جَلَّ ثَنَاؤُكَ وَعَزَّ جَارُكَ، وَتَبَارَكَ اسْمُكَ، وَلاَ إِلَهَ غَيْرُكَ

    উচ্চারণঃ আল্লা-হু আকবার, আল্লা-হু আ‘আয্যু মিন খালক্বিহী জামী‘আন। আল্লাহু আ‘আয্যু মিম্মা আখা-ফু ওয়া আহযারু। আউযু বিল্লা-হিল্লাযী লা ইলা-হা ইল্লা হুওয়াল মুমসিকুস্ সামা-ওয়া-তিস সাব‘ঈ, আন ইয়াকা‘না আলাল্ আরদ্বি ইল্লা বিইযনিহী, মিন শাররি ‘আবদিকা ফুলা-নিন, ওয়া জুনূদিহী ওয়া আতবা‘ইহী ওয়া আশইয়া‘ইহী মিনাল জিন্নি ওয়াল ইনসি। আল্লা-হুম্মা কুন লী জা-রান মিন শাররিহিম, জাল্লা সানা-উকা ওয়া ‘আয্যা জা-রুকা ওয়াতাবা-রকাসমুকা ওয়া লা ইলা-হা গাইরুকা

    অর্থঃ “আল্লাহ সবচেয়ে বড়, আল্লাহ তাঁর সমস্ত সৃষ্টি থেকে মহামর্যাদাবান। আমি যা থেকে ভীত ও শঙ্কিত তার চেয়ে আল্লাহ মহাপরাক্রমশালী। আমি আল্লাহ্‌র কাছে আশ্রয় চাই, যিনি ছাড়া আর কোনো হক্ব ইলাহ নেই, যিনি সাত আসমানের ধারণকারী, তার অনুমতি ব্যতীত পৃথিবীর উপর পতিত হওয়া থেকে— (আশ্রয় চাই) তাঁর অমুক বান্দা, তার সৈন্য-সামন্ত, তার অনুসারী ও তার অনুগামী জিন ও ইনসানের অনিষ্ট থেকে। হে আল্লাহ! তাদের ক্ষতি থেকে আপনি আমার জন্য আশ্রয়দানকারী হোন। আপনার গুণগান অতি মহান, আপনার আশ্রিত প্রবল শক্তিশালী, আপনার নাম অতি বরকতময়। আর আপনি ছাড়া কোনো হক্ব ইলাহ নেই।”

  • ২৭৩. শত্রুর উপর বদদোয়া

    اللَّهُمَّ مُنْزِلَ الْكِتَابِ، سَرِيعَ الْحِسَابِ، اِهْزِمِ الأَحْزَابَ، اللَّهُمَّ اهزِِمْهُمْ وَزَلْزِلْهُمْ

    উচ্চারণঃ আল্লা-হুম্মা মুনযিলাল কিতা-বি সারী‘আল হিসা-বি ইহযিমিল আহযা-ব। আল্লা-হুম্মাহযিমহুম ওয়া যালযিলহুম

    অর্থঃ হে আল্লাহ, কিতাব নাযিলকারী, দ্রুত হিসাব গ্রহণকারী! আপনি শত্রুবাহিনীকে পরাভূত করুন। হে আল্লাহ! আপনি তাদেরকে পরাজিত করুন এবং তাদের মধ্যে ত্রাস সৃষ্টি করে দিন।

  • ২৭৪. শত্রুর উপর বদদোয়া- ২

    اللَّهُمَّ مُنْزِلَ الْكِتَابِ وَمُجْرِيَ السَّحَابِ وَهَازِمَ الأَحْزَابِ اِهْزِِمْهُمْ وَانْصُرْنَا عَلَيْهِمْ

    উচ্চারণঃ আল্লা-হুম্মা মুনযিলাল কিতা-বি ওয়া মুজরিয়াছ-ছাহাবি ওয়া হাযিমাল আহযাবি ইহযিমহুম ওয়ান সুরনা আলাইহিম।

    অর্থঃ হে আল্লাহ! কিতাব অবতীর্ণকারী, মেঘমালা পরিচালনাকারী এবং শত্রুদলকে পরাস্তকারী। তুমি তাদের পরাস্ত করো এবং তাদের উপর আমাদেরকে সাহায্য করো।

  • ২৭৫. শত্রুর উপর বদদোয়া- ৩ শত্রুর ভয় পেলে পড়বে

    اَللّٰهُمَّ اكْفِنِيهِمْ بِمَا شِئْتَ

    উচ্চারণঃ আল্লা-হুম্মাকফিনীহিম বিমা শি’তা

    অর্থঃ হে আল্লাহ! আপনি যা ইচ্ছে তা দ্বারাই এদের মোকাবিলায় আমার জন্য যথেষ্ট হোন।

  • ২৭৬. মৃত ব্যক্তির চোখ বন্ধ করানোর সময় পড়বে

    اللَّهُمَّ اغْفِرْ لِفُلاَنٍ (بِاسْمِهِ) وَارْفَعْ دَرَجَتَهُ فِي الْمَهْدِيِّينَ، وَاخْلُفْهُ فِي عَقِبِهِ فِي الْغَابِرِينَ، وَاغْفِرْ لَنَا وَلَهُ يَا رَبَّ الْعَالَمِينَ، وَافْسَحْ لَهُ فِي قَبْرِهِ، وَنَوِّرْ لَهُ فِيهِ

    উচ্চারণঃ আল্লা-হুম্মাগফির লি ফুলা-নিন (মৃতের নাম বলবে) ওয়ারফা‘ দারাজাতাহু ফিল মাহদিয়্যীন, ওয়াখলুফহু ফী ‘আক্বিবিহী ফিল গা-বিরীন, ওয়াগফির লানা ওয়ালাহু ইয়া রব্বাল আ-লামীন। ওয়াফসাহ্‌ লাহু ফী ক্বাবরিহী ওয়া নাউইর লাহু ফী-হি

    অর্থঃ হে আল্লাহ! আপনি অমুককে (মৃত ব্যক্তির নাম ধরে) ক্ষমা করুন; যারা হেদায়াত লাভ করেছে, তাদের মাঝে তার মর্যাদা উঁচু করে দিন; যারা রয়ে গেছে তাদের মাঝে তার বংশধরদের ক্ষেত্রে আপনি তার প্রতিনিধি হোন। হে সৃষ্টিকুলের রব! আমাদের ও তার গুনাহ মাফ করে দিন। তার জন্য তার কবরকে প্রশস্ত করে দিন এবং তার জন্য তা আলোকময় করে দিন।

  • ২৭৭. মৃত ব্যক্তির জন্য দু‘আ #১

    اللَّهُمَّ اغْفِرْ لَهُ وَارْحَمْهُ، وَعَافِهِ، وَاعْفُ عَنْهُ، وَأَكْرِمْ نُزُلَهُ، وَوَسِّعْ مُدْخَلَهُ، وَاغْسِلْهُ بِالْمَاءِ وَالثَّلْجِ وَالْبَرَدِ، وَنَقِّهِ مِنَ الْخَطَايَا كَمَا نَقَّيْتَ الثَّوْبَ الأَبْيَضَ مِنَ الدَّنَسِ، وَأَبْدِلْهُ دَاراً خَيْراً مِنْ دَارِهِ، وَأَهْلاً خَيْراً مِنْ أَهْلِهِ، وَزَوْجَاً خَيْراً مِنْ زَوْجِهِ، وَأَدْخِلْهُ الْجَنَّةَ، وَأَعِذْهُ مِنْ عَذَابِ القَبْرِ [وَعَذَابِ النَّارِ]

    উচ্চারণঃ (আল্লা-হুম্মাগফির লাহু, ওয়ারহামহু, ওয়া ‘আ-ফিহি, ওয়া‘ফু ‘আনহু, ওয়া আকরিম নুযুলাহু, ওয়াওয়াসসি‘ মুদখালাহু, ওয়াগসিলহু বিলমা-য়ি ওয়াস্‌সালজি ওয়ালবারাদি, ওয়ানাক্বক্বিহি মিনাল খাতা-ইয়া কামা নাক্কাইতাস সাওবাল আবইয়াদা মিনাদদানাসি, ওয়া আবদিলহু দা-রান খাইরাম মিন দা-রিহি, ওয়া আহলান খাইরাম মিন আহলিহি, ওয়া যাওজান খাইরাম মিন যাওজিহি, ওয়া আদখিলহুল জান্নাতা, ওয়া আ‘য়িযহু মিন ‘আযা-বিল ক্বাবরি [ওয়া ‘আযাবিন্না-র])

    অর্থঃ “হে আল্লাহ! আপনি তাকে ক্ষমা করুন, তাকে দয়া করুন, তাকে পূর্ণ নিরাপত্তায় রাখুন, তাকে মাফ করে দিন, তার মেহমানদারীকে মর্যাদাপূর্ণ করুন, তার প্রবেশস্থান কবরকে প্রশস্ত করে দিন। আর আপনি তাকে ধৌত করুন পানি, বরফ ও শিলা দিয়ে, আপনি তাকে গুনাহ থেকে এমনভাবে পরিষ্কার করুন যেমন সাদা কাপড়কে ময়লা থেকে পরিষ্কার করেছেন। আর তাকে তার ঘরের পরিবর্তে উত্তম ঘর, তার পরিবারের বদলে উত্তম পরিবার ও তার জোড়ের (স্ত্রী/স্বামীর) চেয়ে উত্তম জোড় প্রদান করুন। আর আপনি তাকে জান্নাতে প্রবেশ করান এবং তাকে কবরের আযাব [ও জাহান্নামের আযাব] থেকে রক্ষা করুন”

  • ২৭৮. মৃত ব্যক্তির (রুহের জন্য) জন্য দোয়া #২

    اللَّهُمَّ إِنَّ فُلاَنَ بْنَ فُلاَنٍ فِي ذِمَّتِكَ، وَحَبْلِ جِوَارِكَ، فَقِهِ مِنْ فِتْنَةِ الْقَبْرِ، وَعَذَابِ النَّارِ، وَأَنْتَ أَهْلُ الْوَفَاءِ وَالْحَقِّ، فَاغْفِرْ لَهُ وَارْحَمْهُ إِنَّكَ أَنْتَ الغَفُورُ الرَّحيمُ

    উচ্চারণঃ আল্লা-হুম্মা ইন্না ফুলানাবনা ফুলা-নিন ফী যিম্মাতিকা, ওয়া হাবলি জিওয়ারিকা, ফাক্বিহি মিন ফিতনাতিল ক্বাবরি ওয়া আযা-বিন না-রি, ওয়া আনতা আহলুল ওয়াফাই ওয়াল হাক্ক, ফাগফির লাহু ওয়ারহামহু, ইন্নাকা আনতাল গাফুরুর রাহীম

    অর্থঃ হে আল্লাহ, অমুকের পুত্র অমুক আপনার যিম্মাদারীতে, আপনার প্রতিবেশিত্বের নিরাপত্তায়; সুতরাং আপনি তাকে কবরের পরীক্ষা থেকে এবং জাহান্নামের শাস্তি থেকে রক্ষা করুন। আর আপনি প্রতিশ্রুতি পূর্ণকারী এবং প্রকৃত সত্যের অধিকারী। অতএব, আপনি তাকে ক্ষমা করুন এবং তার উপর দয়া করুন। নিশ্চয় আপনি ক্ষমাশীল, দয়ালু।

  • ২৭৯. মৃত ব্যক্তির জন্য দু‘আ - ৩

    اللَّهُمَّ عَبْدُكَ وَابْنُ أَمَتِكَ اِحْتَاجَ إِلَى رَحْمَتِكَ، وَأَنْتَ غَنِيٌّ عَنْ عَذَابِهِ، إِنْ كَانَ مُحْسِناً فَزِدْ فِي حَسَنَاتِهِ، وَإِنْ كَانَ مُسِيئاً فَتَجَاوَزْ عَنْهُ

    উচ্চারণঃ আল্লা-হুম্মা ‘আবদুকা, ওয়াবনু আমাতিকা, এহতাজা ইলা রাহমাতিকা, ওয়া আনতা গানিয়্যুন ‘আন ‘আযা-বিহি, ইন কা-না মুহসিনান ফাযিদ ফী হাসানা-তিহি, ওয়া ইনকা-না মুসীআন ফা তাজা-ওয়ায ‘আনহু

    অর্থঃ হে আল্লাহ, আপনার এক দাস, আর এক দাসীর পুত্র, আপনার অনুগ্রহের মুখাপেক্ষী, আপনি তাকে শাস্তি দেওয়া থেকে অমুখাপেক্ষী। যদি সে নেককার বান্দা হয়, তবে তার সওয়াব আরও বাড়িয়ে দিন, আর যদি বদকার বান্দা হয়, তবে তার অপরাধকর্ম এড়িয়ে যান।

  • ২৮০. শোকার্তদের সান্ত্বনায় বলবে

    إِنَّ للَّهِ مَا أَخَذَ، وَلَهُ مَا أَعْطَى، وَكُلُّ شَيْءٍ عِنْدَهُ بِأَجَلٍ مُسَمَّى... فَلْتَصْبِرْ وَلْتَحْتَسِبْ

    উচ্চারণঃ ইন্না লিল্লা-হি মা আখাযা, ওয়ালাহু মা আ‘তা, ওয়া কুল্লু শাই’ইন ‘ইনদাহু বিআজালিম মুসাম্মা, ফালতাসবির ওয়াল তাহতাসিব

    অর্থঃ নিশ্চয় যা নিয়ে গেছেন আল্লাহ্‌ তা তাঁরই, আর যা কিছু প্রদান করেছেন তাও তাঁর। তাঁর কাছে সব কিছুর একটি নির্দিষ্ট সময় রয়েছে। কাজেই সবর করা এবং সওয়াবের আশা করা উচিৎ

 

  • ২৮১. শোকার্তদের সান্ত্বনায় বলবে # ২

    أَعْظَمَ اللَّهُ أَجْرَكَ، وَأَحْسَنَ عَزَاءَكَ، وَغَفَرَ لِمَيِّتِكَ

    উচ্চারণঃ আ‘যামাল্লাহু আজরাকা, ওয়া আহসানা ‘আযা-’আকা, ওয়াগাফারা লিমাইয়্যিতিকা।

    অর্থঃ আল্লাহ আপনার সওয়াব বর্ধিত করুন, আপনার (শোকার্ত মনে) সুন্দর ধৈর্য ধরার তাওফীক দিন, আর আপনার মৃতকে ক্ষমা করে দিন।

  • ২৮২. নাবালক মাইয়্যেতের জন্য দু‘আ

    اَللّٰهُمَّ أَعِذْهُ مِنْ عَذَابِ القَبْرِ

    উচ্চারণঃ আল্লা-হুম্মা আ‘য়িযহু মিন আযা-বিল ক্বাবরি

    অর্থঃ হে আল্লাহ! এ শিশুকে কবরের আযাব থেকে রক্ষা করুন।

  • ২৮৩. ঘর থেকে বের হওয়ার দু‘আ - ২

    اللَّهُمَّ سَلِّمْنِي وَسَلِّمْ مِنِّي

    উচ্চারণঃ আল্লাহুম্মা সাল্লিমনি ওয়া সাল্লিম মিন্নি

    অর্থঃ হে আল্লাহ! আমাকে নিরাপদ রাখো এবং আমার থেকে (অন্যদেরও) নিরাপদ রাখো

  • ২৮৪. প্রতি রাতে সুরা ইয়াসিন পড়ার ফযীলত

    সুরা ইয়াসিন

  • ২৮৫. বিছানায় শুয়ে পড়বে # ২

    اللَّهُمَّ إِنَّكَ خَلَقْتَ نَفْسِي وَأَنْتَ تَوَفَّاهَا، لَكَ مَمَاتُهَا وَمَحْياهَا، إِنْ أَحْيَيْتَهَا فَاحْفَظْهَا، وَإِنْ أَمَتَّهَا فَاغْفِرْ لَهَا. اللَّهُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ العَافِيَةَ

    উচ্চারণঃ আল্লা-হুম্মা ইন্নাকা খালাক্তা নাফসী ওয়া আন্তা তাওয়াফ্‌ফাহা। লাকা মামা-তুহা ওয়া মাহ্‌ইয়া-হা। ইন্ আহ্ইয়াইতাহা ফাহ্‌ফায্‌হা ওয়াইন আমাত্তাহা ফাগফির লাহা। আল্লা-হুম্মা ইন্নী আস্আলুকাল ‘আ-ফিয়াতা

    অর্থঃ হে আল্লাহ! নিশ্চয় আপনি আমার আত্মাকে সৃষ্টি করেছেন এবং আপনি তার মৃত্যু ঘটাবেন। তার মৃত্যু ও তার জীবন আপনার মালিকানায়। যদি তাকে বাঁচিয়ে রাখেন তাহলে আপনি তার হেফাযত করুন, আর যদি তার মৃত্যু ঘটান তবে তাকে মাফ করে দিন। হে আল্লাহ! আমি আপনার কাছে নিরাপত্তা চাই।

  • ২৮৬. বিছানায় শুয়ে পড়বে # ৩

    اللَّهُمَّ قِنِي عَذَابَكَ يَوْمَ تَبْعَثُ عِبَادَكَ

    উচ্চারণঃ আল্লা-হুম্মা ক্বিনী ‘আযা-বাকা ইয়াওমা তাব‘আছু ‘ইবা-দাকা

    অর্থঃ হে আল্লাহ! আমাকে আপনার আযাব থেকে রক্ষা করুন, যেদিন আপনি আপনার বান্দাদেরকে পুনর্জীবিত করবেন

  • ২৮৭. বিছানায় শুয়ে পড়বে # ৪ (তাসবীহে ফাতেমী)

    (سُبْحَانَ اللَّهِ (ثلاثاً وثلاثين) وَالْحَمْدُ لِلَّهِ (ثلاثاً وثلاثين) وَاللَّهُ أَكْبَرُ (أربعاً وثلاثينَ

    উচ্চারণঃ সুবহা-নাল্লাহ, (৩৩ বার) আলহামদুলিল্লা-হ (৩৩ বার) আল্লা-হু আকবার (৩৪ বার)

    অর্থঃ আল্লাহ অতি-পবিত্র, সকল প্রশংসা আল্লাহর জন্য, আল্লাহ অতি-মহান।

  • ২৮৮. বিছানায় শুয়ে পড়বে # ৫

    اَلْحَمْدُ لِلَّهِ الَّذِيْ أَطْعَمَنَا وَسَقَانَا، وَكَفَانَا، وَآوَانَا، فَكَمْ مِمَّنْ لاَ كَافِيَ لَهُ وَلاَ مُؤْوِيَ

    উচ্চারণঃ আলহামদু লিল্লা-হিল্লাযী আত‘আমানা, ওয়া সাক্বা-না, ওয়া কাফা-না, ওয়া আ-ওয়ানা, ফাকাম্ মিম্মান লা কা-ফিয়া লাহু, ওয়ালা মু’উইয়া

    অর্থঃ সকল প্রশংসা আল্লাহ্‌র জন্য, যিনি আমাদেরকে আহার করিয়েছেন, পান করিয়েছেন, আমাদের প্রয়োজন পূর্ণ করেছেন এবং আমাদেরকে আশ্রয় দিয়েছেন। কেননা, এমন বহু লোক আছে যাদের প্রয়োজনপূর্ণকারী কেউ নেই এবং যাদের আশ্রয়দানকারীও কেউ নেই।

  • ২৮৯. সকাল সন্ধ্যার কালেমা

    اللَّهُمَّ عَالِمَ الغَيْبِ وَالشَّهَادَةِ فَاطِرَ السَّمَوَاتِ وَالْأَرْضِ، رَبَّ كُلِّ شَيْءٍ وَمَلِيكَهُ، أَشْهَدُ أَنْ لاَ إِلَهَ إِلاَّ أَنْتَ، أَعُوذُ بِكَ مِنْ شَرِّ نَفْسِي، وَمِنْ شَرِّ الشَّيْطانِ وَشِرْكِهِ، وَأَنْ أَقْتَرِفَ عَلَى نَفْسِي سُوءاً، أَوْ أَجُرَّهُ إِلَى مُسْلِمٍ

    উচ্চারণঃ আল্লা-হুম্মা ‘আ-লিমাল গাইবি ওয়াশ শাহা-দাতি, ফা-ত্বিরাস সামা-ওয়া-তি ওয়াল আরদ্বি, রাব্বা কুল্লি শাই’ইন ওয়া মালীকাহু, আশহাদু আল্লা ইলা-হা ইল্লা আনতা, আ‘উযু বিকা মিন শাররি নাফসী, ওয়ামিন শাররিশ শাইত্বা-নী ওয়াশিরকিহী, ওয়া আন আক্বতারিফা ‘আলা নাফসী সূ’আন আউ আজুররাহু ইলা মুসলিম

    অর্থঃ হে আল্লাহ! হে গায়েব ও উপস্থিতের জ্ঞানী, হে আসমানসমূহ ও যমীনের স্রষ্টা, হে সব কিছুর রব্ব ও মালিক! আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আপনি ছাড়া আর কোনো হক্ব ইলাহ নেই। আমি আপনার কাছে আশ্রয় চাই আমার আত্মার অনিষ্ট থেকে, শয়তানের অনিষ্টতা থেকে ও তার শির্ক বা তার ফাঁদ থেকে, আমার নিজের উপর কোনো অনিষ্ট করা, অথবা কোনো মুসলিমের দিকে তা টেনে নেওয়া থেকে।

  • ২৯০. সূরা আলাম নাশরাহ

    أَلَمْ نَشْرَحْ لَكَ صَدْرَكَ (1) وَوَضَعْنَا عَنْكَ وِزْرَكَ (2) الَّذِي أَنْقَضَ ظَهْرَكَ (3) وَرَفَعْنَا لَكَ ذِكْرَكَ (4) فَإِنَّ مَعَ الْعُسْرِ يُسْرًا (5) إِنَّ مَعَ الْعُسْرِ يُسْرًا (6) فَإِذَا فَرَغْتَ فَانْصَبْ (7) وَإِلَى رَبِّكَ فَارْغَبْ (8)

    উচ্চারণঃ ১) আলাম নাশরাহলাকা সাদরাক। ২) ওয়া ওয়াদা‘না-‘আনকা বিঝরাক ৩) আল্লাযীআনকাদা জাহরাক। ৪) ওয়া রাফা‘না-লাকা যিকরাক। ৫) ফাইন্না মা‘আল ‘উছরি ইউছরা-। ৬) ইন্না মা‘আল ‘উছরি ইউছরা-। ৭) ফাইযা-ফারাগতা ফানসাব। ৮) ওয়া ইলা- রাব্বিকা ফারগাব।

    অর্থঃ ১) আমি কি আপনার বক্ষ উম্মুক্ত করে দেইনি? ২) আমি লাঘব করেছি আপনার বোঝা, ৩) যা ছিল আপনার জন্যে অতিশয় দুঃসহ। ৪) আমি আপনার আলোচনাকে সমুচ্চ করেছি। ৫) নিশ্চয় কষ্টের সাথে স্বস্তি রয়েছে। ৬) নিশ্চয় কষ্টের সাথে স্বস্তি রয়েছে। ৭) অতএব, যখন অবসর পান পরিশ্রম করুন। ৮) এবং আপনার পালনকর্তার প্রতি মনোনিবেশ করুন।

  • ২৯১. ঘরে প্রবেশ করার সময় সালাম দিবে

    اَلسَّلَامُ عَلَيْكُمْ وَرَحْمَةُ اللهِ

    উচ্চারণঃ আস্‌সালামু আলাইকুম ওয়া রাহ্‌মাতুল্লাহ।

    অর্থঃ আল্লাহর পক্ষ হতে তোমাদের উপর শান্তি ও অনুগ্রহ বর্ষিত হউক

  • ২৯২. স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধির জন্যে পড়বে

    رَبِّ زِدْنِي عِلْمًا

    উচ্চারণঃ রাব্বি যিদনি ইলমা।

    অর্থঃ মহান আল্লাহর বাণীঃ ‘‘হে আমার প্রতিপালক! আমার জ্ঞান বাড়িয়ে দাও।’’

  • ২৯৩. ইলম, দু'আ , অন্তর ও দেহ সংক্রান্ত হাদিসের দু'আ

    اَللّٰهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنْ عِلْمٍ لاَ يَنْفَعُ وَمِنْ دُعَاءٍ لاَ يُسْمَعُ وَ مِنْ قَلْبٍ لاَ يَخْشَعُ وَمِنْ نَفْسٍ لاَ تَشْبَعُ ‏"

    উচ্চারণঃ আল্লাহুম্মা ইন্নি আউজুবিকা মিন ইলমিন লা-ইয়ান ফা’, ওয়ামিন দো‘আ ইন লা-ইয়ুস মা’, ওয়ামিন ক্বলবিন লা-ইয়াখশা’, ওয়ামিন নফসীন লা-তাশবা’,

    অর্থঃ হে আল্লাহ্! আমি সেই জ্ঞান থেকে তোমার নিকট আশ্রয় চাই যা কোন উপকারে আসে না, এমন দুআ থেকে যা শোনা হয় না, সেই অন্তর থেকে যা ভীত হয় না এবং সেই দেহ থেকে যা তৃপ্ত হয় না

  • ২৯৪. স্ত্রী সন্তান পরিবারের জন্য দু'আ

    رَبَّنَا هَبْ لَنَا مِنْ أَزْوَاجِنَا وَذُرِّيَّاتِنَا قُرَّةَ أَعْيُنٍ وَّاجْعَلْنَا لِلْمُتَّقِينَ إِمَاماً

    উচ্চারণঃ রাব্বানা-হাবলানা-মিন আঝওয়া-জিনা-ওয়া যুররিইইয়া-তিনা কুররাতা আ‘ইউনিওঁ ওয়াজ‘আলনা-লিলমুত্তাকীনা ইমা-মা-

    অর্থঃ হে আমাদের রব! তুমি আমাদেরকে এমন স্ত্রী-সন্তান দান কর যাদের দর্শনে আমাদের চক্ষুশীতল হয়ে যাবে। তুমি আমাদেরকে পরহেযগার লোকদের ইমাম (অভিভাবক) বানিয়ে দাও।

  • ২৯৫. আয়াতে শেফা

    রোগ মুক্তির ৬ টি আয়াতঃ

    পবিত্র কুরআনে কারীমের ৬ টি আয়াত "আয়াতে শেফা বা রোগ মুক্তির আয়াত" নামে পরিচিত।

    এগুলো পড়ার পূর্বে সুরা ফাতিহা পড়ে নেয়া উত্তম।

    আয়াতগুলো হচ্ছে :

    ১. সুরা তাওবার ১৪ নং আয়াত, –

    وَيَشْفِ صُدُوْرَ قَوْمٍ مُّؤْمِنِينَ

    উচ্চারণ- ওয়া ইয়াশফি ছুদু-রা ক্বাওমিম মু’মিনি-ন।

    অর্থ : এবং আল্লাহ মু’মিনদের (মুসলমানদের) অন্তরসমূহ শান্ত করে দেন।

    ২. সুরা ইউনূসের ৫৭ নং আয়াত, –

    وَشِفَاۤءࣱ لِّمَا فِی ٱلصُّدُورِ وَهُدࣰى وَّرَحۡمَةࣱ لِّلۡمُؤۡمِنِینَ

    উচ্চারণ : ওয়া শিফাউ’ল লিমা- ফিচ্ছুদু-রি ওয়া হুদাও ওয়া রাহমাতুল লিল মু’মিনি-ন।

    অর্থ : এবং অন্তরের রোগের নিরাময়, হেদায়েত ও রহমত মুসলমানদের জন্য।

    ৩. ছুরা নাহলের ৬৯ নং আয়াত, –

    یَخۡرُجُ مِنۢ بُطُونِهَا شَرَابࣱ مُّخۡتَلِفٌ أَلۡوَ ٰ⁠نُهُ فِیهِ شِفَاۤءࣱ لِّلنَّاسِ

    উচ্চারণ : ইয়াখরুঝু মিমবুতু-নিহা- শারা-বুম মুখতালিফুন, আলওয়ানুহু- ফি-হি শিফা-উ লিন্না-সি।

    অর্থ : তার পেট থেকে বিভিন্ন রঙে পানীয় নির্গত হয়। তাতে মানুষের জন্যে রয়েছে রোগের প্রতিকার।

    ৪. সুরা বনী ইস্রাঈলের ৮২ নং আয়াত, –

    وَنُنَزِّلُ مِنَ ٱلۡقُرۡءَانِ مَا هُوَ شِفَاۤءࣱ وَّرَحۡمَةࣱ لِّلۡمُؤۡمِنِینَ

    উচ্চারণ : ওয়া নুনাজ্জিলু মিনাল ক্বুরআ’নি মা হুয়া শিফাউও ওয়া রাহমাতিুল লিলমু’মিনি-ন।

    অর্থ : আমি কোরআনে এমন বিষয় নাযিল করি যা রোগের সুচিকিৎসা এবং মুমিনের জন্য রহমত।

    ৫. সুরা আশ্-শোয়ারার ৮০ নং আয়াত, –

    وَإِذَا مَرِضْتُ فَهُوَ يَشْفِينِ

    উচ্চারণ : ওয়া ইজা মারিদতু ফা হুয়া ইয়াশফি-নি।

    অর্থ : এবং (যখন আমি রোগাক্রান্ত হই, তখন তিনিই আরোগ্য দান করেন)

    ৬. সুরা হা-মীম এর ৪৪ নং আয়াত –

    قُلْ هُوَ لِلَّذِينَ آمَنُوا هُدًى وَّشِفَاءٌ

    উচ্চারণ: কুল হুওয়া লিল্লাযীনা আ-মানূ হুদাওঁ ওয়া শিফাউন।

    অর্থ : (বলুন, এটা বিশ্বাসীদের জন্য হেদায়েত ও রোগের প্রতিকার)

  • ২৯৬. হাদিসে বর্ণিত দু'আ ( তাকওয়া, তাকদীর, ফেৎনা)

    اَللّٰهُمَّ بِعِلْمِكَ الْغَيْبَ وَقُدْرَتِكَ عَلَى الْخَلْقِ أَحْيِنِيْ مَا عَلِمْتَ الْحَيَاةَ خَيْرًا لِّيْ وَتَوَفَّنِيْ إِذَا عَلِمْتَ الْوَفَاةَ خَيْرًا لِّيْ. اَللّٰهُمَّ وَأَسْأَلُكَ خَشْيَتَكَ فِي الْغَيْبِ وَالشَّهَادَةِ وَأَسْأَلُكَ كَلِمَةَ الْحَقِّ فِي الرِّضَا وَالْغَضَبِ وَأَسْأَلُكَ الْقَصْدَ فِي الْفَقْرِ وَالْغِنٰى وَأَسْأَلُكَ نَعِيْمًا لَا يَنْفَدُ وَأَسْأَلُكَ قُرَّةَ عَيْنٍ لَا تَنْقَطِعُ وَأَسْأَلُكَ الرِّضَا بَعْدَ الْقَضَاءِ وَأَسْأَلُكَ بَرْدَ الْعَيْشِ بَعْدَ الْمَوْتِ وَأَسْأَلُكَ لَذَّةَ النَّظَرِ إِلٰى وَجْهِكَ وَالشَّوْقَ إِلٰى لِقَائِكَ فِيْ غَيْرِ ضَرَّاءَ مُضِرَّةٍ وَلَا فِتْنَةٍ مُضِلَّةٍ اَللّٰهُمَّ زَيِّنَّا بِزِيْنَةِ الْإِيْمَانِ وَاجْعَلْنَا هُدَاةً مُّهْتَدِيْنَ.

    উচ্চারণঃ আল্লাহুম্মা বি ইলমিকাল গইবা ও কুদরতিকা আলাল খলকি, আহয়িনী মা আলিমতাল হায়াতা, খাইরান লি, ওয়া তাওয়াফ ফানি ইজা আলিম তাল অফাতা খয়রান লি, আল্লাহুম্মা ওয়া আস আলুকা খসয়াতাকা ফিল গাইবি ওয়াশ শাহাদাতি, ওয়া আস আলুকা কালিমাতাল হাক্কি ফির রেজা ওয়াল গাজাবি। ওয়া আস আলুকাল কাসদা ফিল ফাকরি ওয়াল গেনা। ওয়া আস আলুকা নাঈমান লা-য়ানফাদু। ওয়া আস আলুকা কুররতা আইনিন লা-তানক্বতিউু। ওয়া আসআলুকার রিজা বা'দাল ক্বজা। ওয়া আসআলুকা বারদাল আইশি বা'দাল মাউতি। ওয়া আসআলুকা লাযযাতান নাজরি ইলা ওয়াজহিকা, ওয়াশ শাওকা ইলা লিক্বাইকা ফী গইরি দাররা-আ মুদিররাতিন ওয়ালা ফিতনাতিন মুজিল্লাতিন। আল্লাহুম্মা যায়্যিন না বিযীনাতিল ঈমানি ওয়াজ আলনা হুদাতাম মুহতাদীনা।

    অর্থঃ হে আল্লাহ, দৃষ্টির অন্তরালবর্তী ও দৃষ্টিগ্রাহ্য সকল বিষয়ে যেন তোমাকে ভয় করতে পারি হে আল্লাহ, যদি জীবন আমার জন্য কল্যাণকর হয়, তাহলে আমাকে জীবিত রাখ, আর যদি মৃত্যু আমার জন্য কল্যাণকর হয় তাহলে আমাকে মৃত্যু দান কর। সেই তাওফিক প্রার্থনা করি। আমি তোমার নিকট প্রার্থনা করি সত্য কথা বলার তাওফিক, খুশি ও ক্রোধ উভয় অবস্থাতেই। আমি তোমার নিকট প্রার্থনা করি মিতব্যয়িতার, সচ্ছল-অসচ্ছল উভয়াবস্থায়। প্রার্থনা করি এমন নেয়ামত যা শেষ হবার নয়। প্রার্থনা করি যা চক্ষু জুড়াবে অনিঃশেষভাবে। আমি তোমার নিকট চাই তকদিরের প্রতি সন্তুষ্টি। আমি তোমার নিকট চাই মৃত্যুর পর সুখময় জীবন। আমি তোমার নিকট কামনা করি তোমাকে দেখার তৃপ্তি, আমি কামনা করি তোমার সহিত সাক্ষাৎ লাভের আগ্রহ-ব্যাকুলতা যা লাভ করলে আমাকে স্পর্শ করবে না কোন অনিষ্ট, আর আমাকে সম্মুখীন হতে হবে না এমন কোন ফেৎনার যা আমাকে পথভ্রষ্ট করতে পারে। হে আল্লাহ, তুমি আমাদেরকে ঈমানের অলংকার দ্বারা বিভূষিত কর আর আমাদেরকে বানাও পথ প্রদর্শক ও হেদায়েতের পথিক।

  • ২৯৭. মৃত ব্যক্তির জন্য দোয়া - ৪

    اللَّهُمَّ اغْفِرْ لَهُ وَارْحَمْهُ، وَعَافِهِ، وَاعْفُ عَنْهُ، وَأَكْرِمْ نُزُلَهُ، وَوَسِّعْ مُدْخَلَهُ، وَاغْسِلْهُ بِالْمَاءِ وَالثَّلْجِ وَالْبَرَدِ، وَنَقِّهِ مِنَ الْخَطَايَا كَمَا نَقَّيْتَ الثَّوْبَ الأَبْيَضَ مِنَ الدَّنَسِ، وَأَبْدِلْهُ دَاراً خَيْراً مِنْ دَارِهِ، وَأَهْلاً خَيْراً مِنْ أَهْلِهِ، وَزَوْجَاً خَيْراً مِنْ زَوْجِهِ، وَأَدْخِلْهُ الْجَنَّةَ، وَأَعِذْهُ مِنْ عَذَابِ القَبْرِ [وَعَذَابِ النَّارِ]

    উচ্চারণঃ আল্লা-হুম্মাগফির লাহু, ওয়ারহামহু, ওয়া ‘আ-ফিহি, ওয়া‘ফু ‘আনহু, ওয়া আকরিম নুযুলাহু, ওয়াওয়াসসি‘ মুদখালাহু, ওয়াগসিলহু বিলমা-য়ি ওয়াস্‌সালজি ওয়ালবারাদি, ওয়ানাক্বক্বিহি মিনাল খাতা-ইয়া কামা নাক্কাইতাস সাওবাল আবইয়াদা মিনাদদানাসি, ওয়া আবদিলহু দা-রান খাইরাম মিন দা-রিহি, ওয়া আহলান খাইরাম মিন আহলিহি, ওয়া যাওজান খাইরাম মিন যাওজিহি, ওয়া আদখিলহুল জান্নাতা, ওয়া আ‘য়িযহু মিন ‘আযা-বিল ক্বাবরি [ওয়া ‘আযাবিন্না-র])

    অর্থঃ হে আল্লাহ! আপনি তাকে ক্ষমা করুন, তাকে দয়া করুন, তাকে পূর্ণ নিরাপত্তায় রাখুন, তাকে মাফ করে দিন, তার মেহমানদারীকে মর্যাদাপূর্ণ করুন, তার প্রবেশস্থান কবরকে প্রশস্ত করে দিন। আর আপনি তাকে ধৌত করুন পানি, বরফ ও শিলা দিয়ে, আপনি তাকে গুনাহ থেকে এমনভাবে পরিষ্কার করুন যেমন সাদা কাপড়কে ময়লা থেকে পরিষ্কার করেছেন। আর তাকে তার ঘরের পরিবর্তে উত্তম ঘর, তার পরিবারের বদলে উত্তম পরিবার ও তার জোড়ের (স্ত্রী/স্বামীর) চেয়ে উত্তম জোড় প্রদান করুন। আর আপনি তাকে জান্নাতে প্রবেশ করান এবং তাকে কবরের আযাব [ও জাহান্নামের আযাব] থেকে রক্ষা করুন”

  • ২৯৮. ইকামাত ও ইকামাতের উত্তর

    اَللهُ اَكْبَرْ

    الرد: اَللهُ اَكْبَرْ

    (৪ বার )

    اَشْهَدُ اَنْ لَا اِلَهَ اِلَّا الله

    الرد: اَشْهَدُ اَنْ لَا اِلَهَ اِلَّا الله

    ( ২ বার )

    اَشْهَدُ اَنَّ مُحَمَّدًا رَّسُوْلُ اللهِ

    الرد: اَشْهَدُ اَنَّ مُحَمَّدًا رَّسُوْلُ اللهِ

    ( ২ বার )

    حَيَّ عَلَي الصَّلوةِ

    الرد: لَا حَوْلَ وَ لَا قُوَّةَ اِلَّا بِاللهِ

    (২ বার)

    حَيَّ عَلَي الفَلَاحِ

    الرد: لَا حَوْلَ وَ لَا قُوَّةَ اِلَّا بِاللهِ

    (২ বার )

    (শুধুমাত্র ঈকামাতের সময়)

    قَدْ قَامَتِ الصَّلاَةُ

    الرد: أَقَامَهَا اللهُ وَأَدَامَهَا

    (২ বার)

    اَللهُ اَكْبَرْ

    الرد: اَللهُ اَكْبَرْ

    (২ বার )

    لَا اِلَهَ اِلَّا الله

    الرد: لَا اِلَهَ اِلَّا الله

    (১ বার )

    উচ্চারণঃ আল্লা-হু আকবর উত্তরঃ আল্লা-হু আকবর (৪ বার) আশহাদু-আল্‌ লা- ইলাহা ইল্লাল্লাহ উত্তরঃ আশহাদু-আল্‌ লা- ইলাহা ইল্লাল্লাহ (২ বার) আশহাদু-আন্না মুহাম্মাদার রাসুলুল্লাহ উত্তরঃ আশহাদু-আন্না মুহাম্মাদার রাসুলুল্লাহ (২ বার) হাইয়া আলাস সালা উত্তরঃ লা হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লাবিল্লাহ্‌ (২ বার) হাইয়া আলাল ফালা উত্তরঃ লা হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লাবিল্লাহ্‌ (২ বার) (শুধুমাত্র ঈকামাতের জন্য) কাদ কামাতিস সালাহ্ উত্তরঃ আকামাহাল্লাহু ওয়া আদমাহা। (২ বার) আল্লা-হু আকবর উত্তরঃ আল্লা-হু আকবর (২ বার) লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ উত্তরঃ লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ (১ বার)

    অর্থঃ আল্লাহ সর্বশক্তিমান উত্তরঃ আল্লাহ সর্বশক্তিমান (৪ বার) আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ্ ছাড়া অন্য কোন মাবুদ নেই উত্তরঃ আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ্ ছাড়া অন্য কোন মাবুদ নেই (২ বার) আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, মুহাম্মদ (স) আল্লাহর প্রেরিত দূত উত্তরঃ আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, মুহাম্মদ (স) আল্লাহর প্রেরিত দূত (২ বার) নামাজের জন্য এসো উত্তরঃ আল্লাহর আশ্রয় ও শক্তি ছাড়া আর কারো কোন ক্ষমতা নাই (২ বার) সাফল্যের জন্য এসো উত্তরঃ আল্লাহর আশ্রয় ও শক্তি ছাড়া আর কারো কোন ক্ষমতা নাই (২বার) (শুধুমাত্র ঈকামাতের জন্য) নামায দাঁড়িয়ে যাচ্ছে উত্তরঃ আল্লাহ নামাযকে কায়েম করার তাওফিক দিন ও সর্বদা জারি রাখেন। (২ বার) আল্লাহ্ মহান উত্তরঃ আল্লাহ্ মহান (২ বার) আল্লাহ্ ছাড়া অন্য কোন উপাস্য নেই উত্তরঃ আল্লাহ্ ছাড়া অন্য কোন উপাস্য নেই (১ বার)

  • ২৯৯. ওজুর দু’আ # ৩

    سُبْحانَكَ اللَّهُمَّ وَبِحَمْدِكَ، أَشْهَدُ أَنْ لاَ إِلَهَ إِلاَّ أَنْتَ، أَسْتَغْفِرُكَ وَأَتوبُ إِلَيْكَ

    উচ্চারণঃ সুবহানাকা আল্লা-হুম্মা ওয়া বিহামদিকা আশহাদু আল লা-ইলাহা ইল্লা আন্তা আস্তাগফিরুকা ওয়াআতূবু ইলাইকা

    অর্থঃ হে আল্লাহ! আপনার প্রশংসাসহ পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা করছি। আমি সাক্ষ্য দেই যে, আপনি ছাড়া কোনো হক্ব ইলাহ নেই, আমি আপনার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করছি এবং আপনার নিকট তওবা করছি

  • ৩০০. মসজিদে প্রবেশের সময় # ২

    ‏ أَعُوذُ بِاللهِ الْعَظِيمِ وَبِوَجْهِهِ الْكَرِيمِ وَسُلْطَانِهِ الْقَدِيمِ مِنَ الشَّيْطَانِ الرَّجِيمِ

    উচ্চারণঃ আ‘ঊযু বিল্লা-হিল ‘আযীম, ওয়া বিওয়াজহিহিল কারীম, ওয়াসুলতা-নিহিল ক্বদীম, মিনাশ শাইত্বা-নির রাজীম

    অর্থঃ আমি মহান আল্লাহর নিকট তাঁর করুণাসিক্ত জাত ও চির পরাক্রমাশালী শক্তির মাধ্যমে-অনিষ্টকারী শয়তান হতে আত্মরক্ষার জন্য সাহায্য প্রার্থনা করছি

 

  • ৩০১. কুরআনে বর্ণিত রব্বানা দুআ # ১

    رَبَّنَا تَقَبَّلْ مِنَّا ۖ إِنَّكَ أَنتَ السَّمِيعُ الْعَلِيمُ

    উচ্চারণঃ রাব্বানা-তাকাব্বাল মিন্না-ইন্নাকা আনতাছ ছামী‘উল ‘আলীম।

    অর্থঃ হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদের পক্ষ হতে (এ সেবা) কবুল করুন। নিশ্চয় আপনি এবং কেবল আপনিই সব কিছু শােনেন ও সবকিছু জানেন।

  • ৩০২. কুরআনে বর্ণিত রব্বানা দুআ # ২

    رَبَّنَا وَاجْعَلْنَا مُسْلِمَيْنِ لَكَ وَمِن ذُرِّيَّتِنَا أُمَّةً مُّسْلِمَةً لَّكَ وَأَرِنَا مَنَاسِكَنَا وَتُبْ عَلَيْنَا ۖ إِنَّكَ أَنتَ التَّوَّابُ الرَّحِيمُ

    উচ্চারণঃ রাব্বানা-ওয়াজা‘আলনা-মুছলিমাইনি লাকা ওয়ামিন যুররিইইয়াতিনা-উম্মাতাম মুছলিমাতাল্লাকা ওয়া আরিনা-মানা-ছিকানা-ওয়াতুব ‘আলাইনা-ইন্নাকা আনতাত্তাওওয়া-বুর রাহীম।

    অর্থঃ পরওয়ারদেগার! আমাদের উভয়কে তোমার আজ্ঞাবহ কর এবং আমাদের বংশধর থেকেও একটি অনুগত দল সৃষ্টি কর, আমাদের হজ্বের রীতিনীতি বলে দাও এবং আমাদের ক্ষমা কর। নিশ্চয় তুমি তওবা কবুলকারী। দয়ালু।

  • ৩০৩. কুরআনে বর্ণিত রব্বানা দুআ # ৪

    رَبَّنَا أَفْرِغْ عَلَيْنَا صَبْرًا وَثَبِّتْ أَقْدَامَنَا وَانصُرْنَا عَلَى الْقَوْمِ الْكَافِرِينَ

    উচ্চারণঃ রাব্বানা-আফরিগ আলাইনা-সাবরাওঁ ওয়া ছাব্বিত আকদা-মানা-ওয়ানসুরনা-‘আলাল কাওমিল কা-ফিরীন।

    অর্থঃ হে আমাদের পালনকর্তা, আমাদের মনে ধৈর্য্য সৃষ্টি করে দাও এবং আমাদেরকে দৃঢ়পদ রাখ-আর কাফির সম্প্রদায়ের উপর আমাদেরকে সাহায্য ও বিজয় দান কর।

  • ৩০৪. কুরআনে বর্ণিত রব্বানা দুআ # ৫,৬ ও ৭

    رَبَّنَا لَا تُؤَاخِذْنَا إِن نَّسِينَا أَوْ أَخْطَأْنَا ۚ رَبَّنَا وَلَا تَحْمِلْ عَلَيْنَا إِصْرًا كَمَا حَمَلْتَهُ عَلَى الَّذِينَ مِن قَبْلِنَا ۚ رَبَّنَا وَلَا تُحَمِّلْنَا مَا لَا طَاقَةَ لَنَا بِهِ ۖ وَاعْفُ عَنَّا وَاغْفِرْ لَنَا وَارْحَمْنَا ۚ أَنتَ مَوْلَانَا فَانصُرْنَا عَلَى الْقَوْمِ الْكَافِرِينَ

    উচ্চারণঃ রাব্বানা-লা-তুআ-খিযনা ইন নাছীনা-আও আখতা’না-রাব্বানা ওয়ালা-তাহমিল ‘আলাইনা-ইসরান কামা-হামালতাহূ আলাল্লাযীনা মিন কাবলিনা-রাব্বানা-ওয়ালা তুহাম্মিলনা-মা-লা-তা-কাতা লানা-বিহী ওয়া‘ফু‘আন্না-ওয়াগফিরলানা-ওয়ারহামনা-আনতা মাওলা-না-ফানসুরনা-‘আলাল কাওমিল কা-ফিরীন।

    অর্থঃ হে আমাদের পালনকর্তা, যদি আমরা ভুলে যাই কিংবা ভুল করি, তবে আমাদেরকে অপরাধী করো না। হে আমাদের পালনকর্তা! এবং আমাদের উপর এমন দায়িত্ব অর্পণ করো না, যেমন আমাদের পূর্ববর্তীদের উপর অর্পণ করেছ, হে আমাদের প্রভূ! এবং আমাদের দ্বারা ঐ বোঝা বহন করিও না, যা বহন করার শক্তি আমাদের নাই। আমাদের পাপ মোচন কর। আমাদেরকে ক্ষমা কর এবং আমাদের প্রতি দয়া কর। তুমিই আমাদের প্রভু। সুতরাং কাফের সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে আমাদের কে সাহায্যে কর।

  • ৩০৫. কুরআনে বর্ণিত রব্বানা দুআ # ৮

    رَبَّنَا إِنَّكَ جَامِعُ النَّاسِ لِيَوْمٍ لَّا رَيْبَ فِيهِ ۚ إِنَّ اللَّهَ لَا يُخْلِفُ الْمِيعَادَ

    উচ্চারণঃ রাব্বানা ইন্নাকা জা-মি‘উন্না-ছি লিইয়াওমিল্লা-রাইবা ফীহি ইন্নাল্লা-হা লা-ইউখলিফুল মী‘আদ।

    অর্থঃ হে আমাদের পালনকর্তা! তুমি মানুষকে একদিন অবশ্যই একত্রিত করবেঃ এতে কোনই সন্দেহ নেই। নিশ্চয় আল্লাহ তাঁর ওয়াদার অন্যথা করেন না।

  • ৩০৬. কুরআনে বর্ণিত রব্বানা দুআ # ১০

    رَبَّنَا آمَنَّا بِمَا أَنزَلْتَ وَاتَّبَعْنَا الرَّسُولَ فَاكْتُبْنَا مَعَ الشَّاهِدِينَ

    উচ্চারণঃ রাব্বানাআ-মান্নাবিমাআনঝালতা ওয়াত্তবা‘নার রাছূলা ফাকতুবনা-মা‘আশশা-হিদীন।

    অর্থঃ হে আমাদের প্রতিপালক। আপনি যা-কিছু নাযিল করেছেন আমরা তাতে ঈমান এনেছি এবং আমরা রাসুলের অনুসরণ করেছি। সুতরাং আমাদেরকে সেই সকল লোকের মধ্যে লিখে নিন, যারা (সত্যের) সাক্ষ্যদাতা।

  • ৩০৭. কুরআনে বর্ণিত রব্বানা দুআ # ১১

    رَبَّنَا اغْفِرْ لَنَا ذُنُوبَنَا وَإِسْرَافَنَا فِي أَمْرِنَا وَثَبِّتْ أَقْدَامَنَا وَانصُرْنَا عَلَى الْقَوْمِ الْكَافِرِينَ

    উচ্চারণঃ রাব্বানাগ ফিরলানা-যুনূবানা-ওয়া ইছরা-ফানা ফী আমরিনা-ওয়াছাব্বিত আকদা-মানা-ওয়ানসুরনা-‘আলাল কাওমিল কা-ফিরীন।

    অর্থঃ হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদের গুনাহসমূহ এবং আমাদের দ্বারা আমাদের কার্যাবলীতে যে সীমালংঘন ঘটে গেছে তা ক্ষমা করে দিন। আমাদেরকে দৃঢ়পদ রাখুন এবং কাফির সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে আমাদেরকে বিজয় দান করুন।

  • ৩০৮. কুরআনে বর্ণিত রব্বানা দুআ # ১২-১৭

    رَبَّنَا مَا خَلَقْتَ هٰذَا بَاطِلًا ۚ سُبْحٰنَكَ فَقِنَا عَذَابَ النَّارِ ١٩١؁رَبَّنَآ اِنَّكَ مَنْ تُدْخِلِ النَّارَ فَقَدْ اَخْزَيْتَهٗ ۭ وَمَا لِلظّٰلِمِيْنَ مِنْ اَنْصَارٍ ١٩٢؁رَبَّنَآ اِنَّنَا سَمِعْنَا مُنَادِيًا يُّنَادِيْ لِلْاِيْمَانِ اَنْ اٰمِنُوْا بِرَبِّكُمْ فَاٰمَنَّا رَبَّنَا فَاغْفِرْ لَنَا ذُنُوْبَنَا وَكَفِّرْ عَنَّا سَيِّاٰتِنَا وَتَوَفَّنَا مَعَ الْاَبْرَارِ ١٩٣؁ۚرَبَّنَا وَاٰتِنَا مَا وَعَدْتَّنَا عَلٰي رُسُلِكَ وَلَا تُخْزِنَا يَوْمَ الْقِيٰمَةِ ۭاِنَّكَ لَا تُخْلِفُ الْمِيْعَادَ

    উচ্চারণঃ রববানা মা খালাকতা হাযা বা-তিলান, সুবহানাকা ফাকিনা ‘আযা-বান্ নার। রববানা ইন্নাকা মান তুদখিলিন্ না-রা ফাকাদ আখযাইতাহু, ওয়ামা লিয্যালিমীনা মিন আনসা-র। রববানা ইন্নানা সামি‘না মুনাদিইয়াইয়্যুনা-দী লিলঈমানি আন্ আ-মিনু বিরব্বিকুম ফাআ--মান্না। রব্বানা ফাগফির লানা যুনূবানা ওয়াকাফফির ‘আন্না সায়্যিআ-তিনা ওয়া তাওয়াফ্‌ফানা মা‘আল আবরা-র। রববানা ওয়া আতিনা মা ওয়া‘আদতানা ‘আলা রুসুলিকা ওয়ালা তুখযিনা ইয়াওমাল কিয়া-মাতি, ইন্নাকা লা তুখলিফুল মী‘আদ।

    অর্থঃ ‘হে আমাদের রব! আপনি এগুলো অনর্থক সৃষ্টি করেননি, আপনি অত্যন্ত পবিত্র, অতএব আপনি আমাদেরকে আগুনের শাস্তি হতে রক্ষা করুন।’ ‘হে আমাদের রব! আপনি কাউকেও আগুনে নিক্ষেপ করলে তাকে তো আপনি নিশ্চয়ই হেয় করলেন এবং যালেমদের কোন সাহায্যকারী নেই।’ ‘হে আমাদের রব, আমরা এক আহ্বায়ককে ঈমানের দিকে আহ্বান করতে শুনেছি, ‘তোমরা তোমাদের রবের উপর ঈমান আন।’ কাজেই আমরা ঈমান এনেছি। হে আমাদের রব! আপনি আমাদের পাপরাশি ক্ষমা করুন, আমাদের মন্দ কাজগুলো দূরীভূত করুন এবং আমাদেরকে সৎকর্মপরায়ণদের সহগামী করে মৃত্যু দিন। ‘হে আমাদের রব! আপনার রাসূলগণের মাধ্যমে আমাদেরকে যা দিতে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তা আমাদেরকে দান করুন এবং কেয়ামতের দিন আমাদেরকে হেয় করবেন না। নিশ্চয় আপনি প্রতিশ্রুতির ব্যতিক্রম করেন না।’

  • ৩০৯. কুরআনে বর্ণিত রব্বানা দুআ # ১৮

    رَبَّنَا آمَنَّا فَاكْتُبْنَا مَعَ الشَّاهِدِينَ

    উচ্চারণঃ রাব্বানা আ-মান্না-ফাকতুবনা-মা‘আশ শা-হিদীন।

    অর্থঃ হে আমাদের প্রতি পালক, আমরা মুসলমান হয়ে গেলাম। অতএব, আমাদেরকেও মান্যকারীদের তালিকাভুক্ত করে নিন।

  • ৩১০. কুরআনে বর্ণিত রব্বানা দুআ # ১৯

    رَبَّنَا أَنزِلْ عَلَيْنَا مَائِدَةً مِّنَ السَّمَاءِ تَكُونُ لَنَا عِيدًا لِّأَوَّلِنَا وَآخِرِنَا وَآيَةً مِّنكَ ۖ وَارْزُقْنَا وَأَنتَ خَيْرُ الرَّازِقِينَ

    উচ্চারণঃ রাব্বানাআনঝিল ‘আলাইনা-মাইদাতাম মিনাছছামাই তাকূনুলানা-‘ঈদাল লিআওওয়ালিনা-ওয়া আ-খিরিনা-ওয়া আ-ইয়াতাম মিনকা ওয়ারঝুকনা-ওয়া আনতা খাইরুর রা-ঝিকীন।

    অর্থঃ হে আল্লাহ আমাদের পালনকর্তা আমাদের প্রতি আকাশ থেকে খাদ্যভর্তি খাঞ্চা অবতরণ করুন। তা আমাদের জন্যে অর্থাৎ, আমাদের প্রথম ও পরবর্তী সবার জন্যে আনন্দোৎসব হবে এবং আপনার পক্ষ থেকে একটি নিদর্শন হবে। আপনি আমাদের রুযী দিন। আপনিই শ্রেষ্ট রুযীদাতা।

  • ৩১১. কুরআনে বর্ণিত রব্বানা দুআ # ২১

    رَبَّنَا لَا تَجْعَلْنَا مَعَ الْقَوْمِ الظَّالِمِينَ

    উচ্চারণঃ রাব্বানা-লাতাজ‘আলনা-মা‘আল কাওমিজ্জা-লিমীন।

    অর্থঃ ‘হে আমাদের প্রতিপালক ! আমাদেরকে জালিমদের সঙ্গী কর না।’

  • ৩১২. নতুন বছরের দুআঃ

    اللَّهُمَّ أَدْخِلْهُ عَلَيْنَا بِالْأَمْنِ وَالْإِيمَانِ ، وَالسَّلَامَةِ وَالْإِسْلَامِ ، وَرِضْوَانٍ مِنَ الرَّحْمَنِ ، وَجِوَارٍ مِنَ الشَّيْطَانِ .

    উচ্চারণঃ আল্লাহুম্মা আদখিলহু আলাইনা বিল আমনি ওয়াল ঈমানি ওয়াস সালামাতি ওয়াল ইসলামি, ওয়ারিদ ওয়ানিম মিনার রাহমানি ওয়া জিওয়ারিম মিনাশ শাইত্বনি।

    অর্থঃ হে আল্লাহ! আপনি আমাদের মাঝে এ বছরের আগমন ঘটান- শান্তি ও নিরাপত্তা এবং ঈমান ও ইসলামের (উপর অবিচলতার) সাথে; শয়তান থেকে সুরক্ষা ও দয়াময় আল্লাহ্র সন্তুষ্টির সাথে।

  • ৩১৩. কুরআনে বর্ণিত রব্বানা দুআ # ২৮

    رَبَّنَا آتِنَا مِن لَّدُنكَ رَحْمَةً وَهَيِّئْ لَنَا مِنْ أَمْرِنَا رَشَدًا

    উচ্চারণঃ রাব্বানাআ-তিনা-মিল্লাদুনকা রাহমাতাওঁ ওয়া হাইয়ি’ লানা-মিন আমরিনা-রাশাদা-।

    অর্থঃ হে আমাদের পালনকর্তা, আমাদেরকে নিজের কাছ থেকে রহমত দান করুন এবং আমাদের জন্যে আমাদের কাজ সঠিকভাবে পূর্ণ করুন।

  • ৩১৪. কবরের আযাব, দাজ্জাল, মৃত ও জীবিত ব্যক্তির ফিতনা থেকে বাঁচার দোয়া

    اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنْ عَذَابِ جَهَنَّمَ، وَأَعُوذُ بِكَ مِنْ عَذَابِ الْقَبْرِ، وَأَعُوذُ بِكَ مِنْ فِتْنَةِ الْمَسِيحِ الدَّجَّالِ، وَأَعُوذُ بِكَ مِنْ فِتْنَةِ الْمَحْيَا وَالْمَمَاتِ

    উচ্চারণঃ ’আল্লাহুম্মা ইন্নি আউজুবিকা মিন আজাবি জাহান্নামা, ওয়া আউজুবিকা মিন আজাবিল কবরি, ওয়া আউজুবিকা মিন ফিতনাতিল মাসিহিদ দাজ্জালি, ওয়া আউজুবিকা মিন ফিতনাতিল মাহইয়া ওয়াল মামাতি। ’

    অর্থঃ অর্থ: হে আল্লাহ! আমি আপনার কাছে পানাহ চাই জাহান্নামের আযাব থেকে এবং আপনার কাছে পানাহ চাই কবরের আযাব থেকে এবং আপনার কাছে পানাহ চাই মাসীহ্ দাজ্জালের ফিতনা থেকে এবং আপনার কাছে পানাহ চাই জীবন ও মৃত্যুর ফিতনা থেকে।

  • ৩১৫. দু‘আ-১

    رَبَّنَاۤ اٰتِنَا فِی الدُّنْیَا حَسَنَةً وَّ فِی الْاٰخِرَةِ حَسَنَةً وَّ قِنَا عَذَابَ النَّارِ۝۲۰۱

    উচ্চারণঃ রাব্বানাআ-তিনা-ফিদ্দুনইয়া-হাছানাতাওঁ ওয়া ফিল আ-খিরাতি হাছানাতাওঁ ওয়া কিনা-‘আযা-বান্না-র।

    অর্থঃ হে আমাদের পরওয়ারদেগার! আমাদেরকে দুনিয়াতেও কল্যাণ দান করুন, আখিরাতেও কল্যাণ দান করুন। আর আমাদের রক্ষা করুন জাহান্নামের আযাব থেকে।২

  • ৩১৬. দু‘আ-২

    رَبَّنَا اَفْرِغْ عَلَیْنَا صَبْرًا وَّ ثَبِّتْ اَقْدَامَنَا وَ انْصُرْنَا عَلَی الْقَوْمِ الْكٰفِرِیْنَؕ۝۲۵۰

    উচ্চারণঃ রাব্বানা-আফরিগ আলাইনা-সাবরাওঁ ওয়া ছাব্বিত আকদা-মানা-ওয়ানসুরনা-‘আলাল কাওমিল কা-ফরীন

    অর্থঃ হে আমাদের পরওয়ারদেগার! আমাদের ধৈর্য ও দৃঢ়তা দান করুন। আমাদের কদম অবিচলিত রাখুন আর কাফির কওমের বিরুদ্ধে আমাদের বিজয়ী করুন।৩

  • ৩১৭. দু‘আ-৩

    رَبَّنَا لَا تُؤَاخِذْنَاۤ اِنْ نَّسِیْنَاۤ اَوْ اَخْطَاْنَا ۚ رَبَّنَا وَ لَا تَحْمِلْ عَلَیْنَاۤ اِصْرًا كَمَا حَمَلْتَهٗ عَلَی الَّذِیْنَ مِنْ قَبْلِنَا ۚ رَبَّنَا وَ لَا تُحَمِّلْنَا مَا لَا طَاقَةَ لَنَا بِهٖ ۚ وَ اعْفُ عَنَّا ۥ وَ اغْفِرْ لَنَا ۥ وَ ارْحَمْنَا ۥ اَنْتَ مَوْلٰىنَا فَانْصُرْنَا عَلَی الْقَوْمِ الْكٰفِرِیْنَ۠۝۲۸۶

    উচ্চারণঃ রাব্বানা-লা-তুআ-খিযনা ইন নাছীনা-আও আখতা’না-রাব্বানা ওয়ালা-তাহমিল ‘আলাইনা-ইসরান কামা-হামালতাহূ আলাল্লাযীনা মিন কাবলিনা-রাব্বানা-ওয়ালা তুহাম্মিলনা-মা-লা-তা-কাতা লানা-বিহী ওয়া‘ফু‘আন্না-ওয়াগফিরলানা-ওয়ারহামনা-আনতা মাওলা-না-ফানসুরনা-‘আলাল কাওমিল কা-ফিরীন।

    অর্থঃ হে আমাদের পরওয়ারদেগার! যদি আমরা ভুলে যাই অথবা ভুল করি, তবে আপনি আমাদের পাকড়াও কোরেন না।৪ হে আমাদের পরওয়ারদেগার! আমাদের উপর এমন কঠিন কঠিন বিধান আরোপ কোরেন না, যেমন আরোপ করেছিলেন আমাদের আগের লোকদের উপর। (তারা ছিল আমাদের চেয়ে শক্তিশালী, তাই সে কঠিন বিধান পালনে সক্ষম হয়েছিল। আমরা সবদিক থেকে দুর্বল, কঠিন বিধান পালনের সামর্থ্য আমাদের নেই। পরওয়ারদেগার! আমাদের উপর এমন (দুঃখ-কষ্টের) ভার চাপিয়ে দিয়েন না, যা আমরা সহজে বহন করতে পারব না। আমাদের ভুল-ত্রুটি উপেক্ষা করুন। আমাদের অপরাধ মার্জনা করুন এবং আমাদের প্রতি দয়া করুন। আপনিই আমাদের অভিভাবক। সুতরাং কাফির কওমের বিরুদ্ধে আমাদের বিজয়ী করুন।৫ (আমরা তো আপনারই দীনের সিপাহী। অতএব, আপনার বিদ্রোহী ও আপনার দ্বীনের বিরোধীদের মোকাবেলায় কেন আমাদের বিজয়ী করবেন না? সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী হয়ে কীভাবে আপনি নিজ বান্দাদের সাহায্য করা থেকে বিরত থাকবেন?)

  • ৩১৮. দু‘আ-৪

    رَبَّنَا لَا تُزِغْ قُلُوْبَنَا بَعْدَ اِذْ هَدَیْتَنَا وَ هَبْ لَنَا مِنْ لَّدُنْكَ رَحْمَةً ۚ اِنَّكَ اَنْتَ الْوَهَّابُ۝۸

    উচ্চারণঃ রাব্বানা-লা-তুঝিগ কুলূবানা-বা‘দা ইয হাদাইতানা -ওয়াহাবলানা-মিল্লা দুনকা রাহমাতান ইন্নাকা আনতাল ওয়াহহা-ব।

    অর্থঃ হে আমাদের রব! আপনি যে আমাদের (সত্যপথের) দিশা দিয়েছেন, এরপর আমাদের অন্তরে বক্রতা সৃষ্টি কোরেন না। আর আমাদের দান করুন আপনার তরফ থেকে (বিশেষ) রহমত। নিশ্চয়ই আপনি মহাদাতা। (যে রহমত আপনি দান করবেন, তা আপনার শান মোতাবেকই হবে)।৬

  • ৩১৯. দু‘আ-৫

    رَبَّنَاۤ اِنَّنَاۤ اٰمَنَّا فَاغْفِرْ لَنَا ذُنُوْبَنَا وَ قِنَا عَذَابَ النَّارِۚ۝۱۶

    উচ্চারণঃ রাব্বানা ইন্নানা আ-মান্না-ফাগফিরলানা-যুনূবানা-ওয়াকিনা‘আযা-বান্না-র

    অর্থঃ হে আমাদের পরওয়ারদেগার! আমরা ঈমান এনেছি, অতএব আমাদের গুনাহসমূহ মাফ করুন এবং জাহান্নামের আযাব থেকে আমাদের রক্ষা করুন।৭

  • ৩২০. দু‘আ-৬

    رَبَّنَا مَا خَلَقْتَ هٰذَا بَاطِلًا ۚ سُبْحٰنَكَ فَقِنَا عَذَابَ النَّارِ۝۱۹۱

    উচ্চারণঃ রাব্বানা-মা-খালাকতা হাযা-বা-তিলান ছুবহা-নাকা ফাকিনা-‘আযা-বান্না-র

    অর্থঃ হে আমাদের পরওয়ারদেগার! এ (বিশ্বজগত) আপনি অনর্থক সৃষ্টি করেননি। (অর্থহীন কাজ থেকে) আমরা আপনার পবিত্রতা বর্ণনা করছি। অতএব, জাহান্নামের আযাব থেকে আমাদের রক্ষা করুন।

 

  • ৩২১. দু‘আ-৭

    رَبَّنَاۤ اِنَّكَ مَنْ تُدْخِلِ النَّارَ فَقَدْ اَخْزَیْتَهٗ ؕ وَ مَا لِلظّٰلِمِیْنَ مِنْ اَنْصَارٍ۝۱۹۲

    উচ্চারণঃ রাব্বানাইন্নাকা মান তুদখিলিন্না-রা ফাকাদ আখঝাইতাহূ ওয়ামা-লিজ্জা-লিমীনা মিন আনসা-র।

    অর্থঃ হে আমাদের পরওয়ারদেগার! আপনি যাকে জাহান্নামে দাখিল করবেন, তাকে তো লাঞ্ছিতই করলেন। আর কেউ নেই এ জালিমদের মদদগার।৯

  • ৩২২. দু‘আ-৮

    رَبَّنَاۤ اِنَّنَا سَمِعْنَا مُنَادِیًا یُّنَادِیْ لِلْاِیْمَانِ اَنْ اٰمِنُوْا بِرَبِّكُمْ فَاٰمَنَّا ۖۗ رَبَّنَا فَاغْفِرْ لَنَا ذُنُوْبَنَا وَ كَفِّرْ عَنَّا سَیِّاٰتِنَا وَ تَوَفَّنَا مَعَ الْاَ بْرَارِۚ۝۱۹۳

    উচ্চারণঃ রাব্বানা-ইন্নানা-ছামি‘না-মুনা-দিআইঁ ইউনা-দী লিল ঈমা-নি আন আ-মিনূবিরাব্বিকুম ফাআমান্না-রাব্বানা-ফাগফিরলানা-যুনূবানা-ওয়াকাফফির‘আন্না-ছাইয়িআ-তিনাওয়াতাওয়াফফানা-মা‘আল আব রা-র।

    অর্থঃ হে আমাদের পরওয়ারদেগার! আমরা এক আহ্বানকারীকে ঈমানের দিকে আহ্বান করে বলতে শুনেছি, ‘ঈমান আন তোমাদের পালনকর্তার উপর’ তখন আমরা ঈমান এনেছি (এ ঈমানের প্রতিদান আমাদের দান করুন)। হে আমাদের পরওয়ারদেগার! এরপর (আবেদন এই যে) আমাদের (বড় বড়) গুনাহ মাফ করুন এবং আমাদের (ছোট ছোট) ভুল-ত্রুটিও মার্জনা করুন। আর নেককারদের সাথে আমাদের মৃত্যু নসীব করুন। (নেককারদের মতো শুভ পরিণামও একটি নেয়ামত)।১০

  • ৩২৩. দু‘আ-৯

    رَبَّنَا وَ اٰتِنَا مَا وَعَدْتَّنَا عَلٰی رُسُلِكَ وَ لَا تُخْزِنَا یَوْمَ الْقِیٰمَةِ ؕ اِنَّكَ لَا تُخْلِفُ الْمِیْعَادَ۝۱۹۴

    উচ্চারণঃ রাব্বানা-ওয়া আ-তিনা-মা-ওয়া-‘আত্তানা-‘আলা-রুছুলিকা ওয়ালা-তুখঝিনা-ইয়াওমাল কিয়া-মাতি ইন্নাকা লা-তুখলিফুল মী‘আ-দ।

    অর্থঃ হে আমাদের পরওয়ারদেগার! নিজ রাসূলগণের মাধ্যমে আপনি আমাদের যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, তা পূরণ করুন। আর কিয়ামতের দিন আমাদের লাঞ্ছিত করেন না। আপনি তো কখনো প্রতিশ্রুতির অন্যথা করেন না। (সুতরাং তাঁর পক্ষ হতে প্রতিশ্রুতি ভঙ্গের কোনো আশংকা নেই। আমরা যে বারবার এই প্রার্থনা করছি এ আমাদের অস্থিরতা ও নিরুপায় অবস্থার ফল। তাছাড়া এ-ও তো জানা নেই যে, আমরা ঐ সকল প্রতিশ্রুতির উপযুক্ত সাব্যস্ত হব কিনা)।১১

  • ৩২৪. দু‘আ-১০

    رَبَّنَا ظَلَمْنَاۤ اَنْفُسَنَا وَ اِنْ لَّمْ تَغْفِرْ لَنَا وَ تَرْحَمْنَا لَنَكُوْنَنَّ مِنَ الْخٰسِرِیْنَ۝۲۳

    উচ্চারণঃ রাব্বানা-জালামনা আনফুছানা-ওয়া ইল্লাম তাগফির লানা-ওয়া তারহামনা-লানাকূনান্না মিনাল খা-ছিরীন।

    অর্থঃ হে আমাদের রব! আমরা তো নিজেদের উপর জুলুম করেছি। আপনি যদি আমাদের মাফ না করেন এবং আমাদের উপর রহম না করেন, তাহলে নিঃসন্দেহে আমরা ক্ষতিগ্রস্তদের অন্তর্ভুক্ত হব। (কারণ, আপনি ছাড়া আর কে আমাদের লাভের মুখ দেখাতে পারে?)১২

  • ৩২৫. দু‘আ-১১

    رَبَّنَا اَفْرِغْ عَلَیْنَا صَبْرًا وَّ تَوَفَّنَا مُسْلِمِیْنَ۠۝۱۲۶

    উচ্চারণঃ রাব্বানা-আফরিগ ‘আলাইনা-সাবরাওঁ ওয়াতাওয়াফফানা-মুছলিমীন।

    অর্থঃ হে আমাদের পরওয়ারদেগার! আমাদের উপর সবর বর্ষণ করুন এবং ইসলামের উপর আমাদের মৃত্যু নসীব করুন। ১৩

  • ৩২৬. দু‘আ-১২

    اَنْتَ وَلِیُّنَا فَاغْفِرْ لَنَا وَ ارْحَمْنَا وَاَنْتَ خَیْرُ الْغٰفِرِیْنَ۝۱۵۵

    উচ্চারণঃ আনতা ওয়ালিইউনা-ফাগফিরালানাওয়ারহামনা-ওয়া আনতা খাইরুল গা-ফিরীন।

    অর্থঃ আপনিই তো আমাদের মদদকারী। আমাদের ক্ষমা করুন এবং আমাদের উপর রহম করুন। আপনি শ্রেষ্ঠ ক্ষমাকারী। (কারণ, আপনার ক্ষমাই প্রকৃত ও নিশ্চিত ক্ষমা। মাখলুকের ক্ষমা তো প্রকৃত ক্ষমা নয়, যে কিনা নিজেই আপনার ক্ষমার মুখাপেক্ষী)।১৪

  • ৩২৭. দু‘আ-১৩

    رَبَّنَا لَا تَجْعَلْنَا فِتْنَةً لِّلْقَوْمِ الظّٰلِمِیْنَۙ۝۸۵ وَ نَجِّنَا بِرَحْمَتِكَ مِنَ الْقَوْمِ الْكٰفِرِیْنَ۝۸۶

    উচ্চারণঃ রাব্বানা-লা-তাজ‘আলনা-ফিতনাতাল লিলকাওমিজ্জা-লিমীন। ওয়া নাজজিনা-বিরাহমাতিকা মিনাল কাওমিল কা-ফিরীন।

    অর্থঃ হে আমাদের পরওয়ারদেগার! আমাদেরকে জালিম কওমের জুলুমের শিকার কোরেন না এবং নিজ দয়ায় আমাদের জালিম কওমের পাঞ্জা থেকে মুক্ত করুন। (অর্থাৎ আমাদের উপর যতদিন তাদের শাসন নির্ধারিত, ততদিন যেন আমাদের উপর জুলুম করতে না পারে। এরপর তাদের শাসন থেকেই আমাদের নিষ্কৃতি দিন।)১৫

  • ৩২৮. দু‘আ-১৪

    فَاطِرَ السَّمٰوٰتِ وَ الْاَرْضِ ۫ اَنْتَ وَلِیّٖ فِی الدُّنْیَا وَ الْاٰخِرَةِ ۚ تَوَفَّنِیْ مُسْلِمًا وَّ اَلْحِقْنِیْ بِالصّٰلِحِیْنَ۝۱۰۱

    উচ্চারণঃ ফা-তিরাছছামা-ওয়া-তি ওয়াল আরদি আনতা ওয়ালিইইয়ী ফিদদুনইয়া-ওয়াল আখিরাতি তাওয়াফফানী মুছলিমাওঁ ওয়া আলহিকনী বিসসা-লিহীন।

    অর্থঃ হে আকাশ ও ভূমির স্রষ্টা! দুনিয়া-আখিরাতে আপনিই থাকুন আমার সহায়। আমাকে মৃত্যু দিয়েন ইসলামের উপর আর আমাকে যুক্ত কোরেন নেককারদের সাথে। (নেককারদের মতো শুভ পরিণাম তো এক মহা সৌভাগ্য)।১৬

  • ৩২৯. দু‘আ-১৫

    رَبِّ اجْعَلْنِیْ مُقِیْمَ الصَّلٰوةِ وَ مِنْ ذُرِّیَّتِیْ ۖۗ رَبَّنَا وَ تَقَبَّلْ دُعَآءِ۝۴۰

    উচ্চারণঃ রাব্বিজ ‘আলনী মুকীমাসসালা-তি ওয়া মিন যুররিইইয়াতী রাব্বানা-ওয়া তাকাব্বাল দু‘আই।

    অর্থঃ হে আমার পরওয়ারদেগার! আমাকে ও আমার বংশধরকে ভালো নামাযী বানান। হে আমাদের পালনকর্তা! আমার দু‘আ কবুল করুন।১৭

  • ৩৩০. দু‘আ-১৬

    رَبَّنَا اغْفِرْ لِیْ وَ لِوَالِدَیَّ وَ لِلْمُؤْمِنِیْنَ یَوْمَ یَقُوْمُ الْحِسَابُ۠۝۴۱

    উচ্চারণঃ রাব্বানাগফিরলী ওয়া লিওয়ালিদাইয়া ওয়ালিলমু’মিনীনা ইয়াওমা ইয়াকূমুল হিছা-ব।

    অর্থঃ হে আমাদের পরওয়ারদেগার! যেদিন হিসাব কায়েম হবে, সেদিন (অর্থাৎ কিয়ামতের দিন) আমাকে, আমার পিতামাতাকে ও সকল মুমিনকে মাফ করে দিয়েন।১৮

  • ৩৩১. দু‘আ-১৭

    رَبِّ ارْحَمْهُمَا كَمَا رَبَّیٰنِیْ صَغِیْرًاؕ۝۲۴

    উচ্চারণঃ রাব্বির হামহুমা-কামারাব্বাইয়া-নী সাগীরা

    অর্থঃ পরওয়ারদেগার! আমার বাবা-মাকে ঐ রকম রহম করুন যেমন তারা আমাকে শৈশবকালে (দয়ার সাথে) লালন-পালন করেছেন।১৯

  • ৩৩২. দু‘আ-১৮

    رَبِّ اَدْخِلْنِیْ مُدْخَلَ صِدْقٍ وَّ اَخْرِجْنِیْ مُخْرَجَ صِدْقٍ وَّ اجْعَلْ لِّیْ مِنْ لَّدُنْكَ سُلْطٰنًا نَّصِیْرًا۝۸۰

    উচ্চারণঃ রাব্বি আদখিলনী মুদ খালা সিদকিওঁ ওয়া আখরিজনী মুখরাজা সিদকিওঁ ওয়াজ‘আলনী মিল্লাদুনকা ছুলতা-নান নাসীরা

    অর্থঃ পরওয়ারদেগার! আমাকে দাখিল করুন যথার্থভাবে এবং বের করুন যথার্থভাবে। আর আমার জন্য নির্ধারণ করুন আপনার পক্ষ হতে এক মদদকারী শক্তি।২০

  • ৩৩৩. দু‘আ-১৯

    رَبَّنَاۤ اٰتِنَا مِنْ لَّدُنْكَ رَحْمَةً وَّ هَیِّئْ لَنَا مِنْ اَمْرِنَا رَشَدًا۝۱۰

    উচ্চারণঃ রাব্বানাআ-তিনা-মিল্লাদুনকা রাহমাতাওঁ ওয়া হাইয়ি’ লানা-মিন আমরিনা-রাশাদা-।

    অর্থঃ হে আমাদের পরওয়ারদেগার! আমাদের দান করুন আপনার নিজের পক্ষ হতে (বিশেষ) রহমত এবং ব্যবস্থা করুন আমাদের জন্য আমাদের কর্মের সফলতার।২১

  • ৩৩৪. দু‘আ-২০

    رَبِّ اشْرَحْ لِیْ صَدْرِیْۙ۝۲۵ وَ یَسِّرْ لِیْۤ اَمْرِیْۙ۝۲۶ وَ احْلُلْ عُقْدَةً مِّنْ لِّسَانِیْۙ۝۲۷ یَفْقَهُوْا قَوْلِیْ۪۝۲۸

    উচ্চারণঃ কা-লা রাব্বিশরাহলী সাদরী। ওয়া ইয়াছছিরলীআমরী। ওয়াহলুল ‘উকদাতাম মিলিলছা-নী। ইয়াফকাহূকাওলী

    অর্থঃ পরওয়ারদেগার! আমার সীনা খুলে দিন, আমার জন্য আমার কাজ সহজ করে দিন এবং আমার যবান থেকে জড়তা দূর করুন, যেন ওরা আমার কথা বোঝে।২২

  • ৩৩৫. দু‘আ-২১

    رَبِّ زِدْنِیْ عِلْمًا۝۱۱۴

    উচ্চারণঃ রাব্বি ঝিদনী ‘ইলমা-।

    অর্থঃ পরওয়ারদেগার! আমার ইলম বাড়িয়ে দিন।২৩

  • ৩৩৬. দু‘আ-২২

    اَنِّیْ مَسَّنِیَ الضُّرُّ وَ اَنْتَ اَرْحَمُ الرّٰحِمِیْنَۚۖ۝۸۳

    উচ্চারণঃ আন্নী মাছছানিয়াদদু ররু ওয়া আনতা আরহামুররা-হিমীন ।

    অর্থঃ (পরওয়ারদেগার!) আমাকে স্পর্শ করেছে কষ্ট। আর আপনি তো সব দয়ালুর বড় দয়ালু। (সুতরাং আমার প্রতি দয়া করুন)।২৪

  • ৩৩৭. দু‘আ-২৩

    رَبِّ لَا تَذَرْ نِیْ فَرْدًا وَّ اَنْتَ خَیْرُ الْوٰرِثِیْنَۚۖ۝۸۹

    উচ্চারণঃ রাব্বি লা-তাযারনী ফারদাওঁ ওয়া আনতা খাইরুল ওয়ারিছীন।

    অর্থঃ পরওয়ারদেগার! আমাকে একা (নিঃসন্তান) অবস্থায় রাখবেন না। আর আপনিই তো সকল ওয়ারিছের শ্রেষ্ঠ ওয়ারিছ।২৫

  • ৩৩৮. দু‘আ-২৪

    رَبِّ اَنْزِلْنِیْ مُنْزَلًا مُّبٰرَكًا وَّ اَنْتَ خَیْرُ الْمُنْزِلِیْنَ۝۲۹

    উচ্চারণঃ রাব্বি আনঝিলনী মুনঝালাম মুবা-রাকাওঁ ওয়া আনতা খাইরুল মুনঝিলীন

    অর্থঃ পরওয়ারদেগার! আমাকে বরকতময় জায়গায় অবতীর্ণ করুন। আপনি সর্বোত্তম অবতারণকারী।২৬

  • ৩৩৯. দু‘আ-২৫

    رَبِّ اَعُوْذُ بِكَ مِنْ هَمَزٰتِ الشَّیٰطِیْنِۙ۝۹۷ وَ اَعُوْذُ بِكَ رَبِّ اَنْ یَّحْضُرُوْنِ۝۹۸

    উচ্চারণঃ রাব্বি আ‘ঊযুবিকা মিন হামাঝা-তিশশাইয়া-তীন। ওয়া আ‘ঊযুবিকা রাব্বি আইঁ ইয়াহদু রূন।

    অর্থঃ পরওয়ারদেগার! আমি আশ্রয় নিচ্ছি শয়তানকুলের ওয়াসওয়াসা থেকে। আরো আশ্রয় নিচ্ছি, পরওয়ারদেগার! আমার কাছে তাদের উপস্থিতি থেকে।২৭

  • ৩৪০. দু‘আ-২৬

    رَبَّنَاۤ اٰمَنَّا فَاغْفِرْ لَنَا وَ ارْحَمْنَا وَ اَنْتَ خَیْرُ الرّٰحِمِیْنَۚۖ۝۱۰۹

    উচ্চারণঃ রাব্বানা আ-মান্না-ফাগফিরলানাওয়ারহামনা-ওয়াআনতা খাইরুর রা-হিমীন।

    অর্থঃ হে আমাদের পরওয়ারদেগার! আমরা ঈমান এনেছি। সুতরাং আমাদের মাফ করুন এবং আমাদের উপর রহম করুন। নিশ্চয়ই আপনি সকল দয়ালুর বড় দয়ালু। (সুতরাং নিজ দয়ায় আপনি তো আমাদের ক্ষমা করেই দিবেন; তবে আমাদের দাসত্বের দাবি অনুযায়ী আমরা আপনার কাছে মিনতি জানাতে থাকব যে, আমাদের ঈমানের বিনিময়ে মাগফিরাতের পুরস্কার আমাদের দান করুন)।

 

  • ৩৪১. দু‘আ-২৭

    رَبَّنَا اصْرِفْ عَنَّا عَذَابَ جَهَنَّمَ ۖۗ اِنَّ عَذَابَهَا كَانَ غَرَامًاۗۖ۝۶۵

    উচ্চারণঃ রাব্বানাসরিফ ‘আন্না-‘আযা-বা জাহান্নামা ইন্না ‘আযা-বাহাকা-না গারা-মা-।

    অর্থঃ হে আমাদের পরওয়ারদেগার! জাহান্নামের আযাবকে আমাদের থেকে দূরে সরিয়ে দিন। জাহান্নামের আযাব তো পূর্ণ বরবাদী। (যা আমাদের সহনক্ষমতার অতীত)।২৮

  • ৩৪২. দু‘আ-২৮

    رَبَّنَا هَبْ لَنَا مِنْ اَزْوَاجِنَا وَ ذُرِّیّٰتِنَا قُرَّةَ اَعْیُنٍ وَّ اجْعَلْنَا لِلْمُتَّقِیْنَ اِمَامًا۝۷۴

    উচ্চারণঃ রাব্বানা-হাবলানা-মিন আঝওয়া-জিনা-ওয়া যুররিইইয়া-তিনা কুররাতা আ‘ইউনিওঁ ওয়াজ‘আলনা-লিলমুত্তাকীনা ইমা-মা-।

    অর্থঃ হে আমাদের পরওয়ারদেগার! আমাদের দান করুন আমাদের স্ত্রী-সন্তানদের তরফ থেকে চোখের শীতলতা। আর আমাদের বানান মুত্তাকীদের ইমাম।২৯

  • ৩৪৩. দু‘আ-২৯

    رَبِّ اَوْزِعْنِیْۤ اَنْ اَشْكُرَ نِعْمَتَكَ الَّتِیْۤ اَنْعَمْتَ عَلَیَّ وَ عَلٰی وَالِدَیَّ وَ اَنْ اَعْمَلَ صَالِحًا تَرْضٰىهُ وَ اَدْخِلْنِیْ بِرَحْمَتِكَ فِیْ عِبَادِكَ الصّٰلِحِیْنَ۝۱۹

    উচ্চারণঃ রাব্বি আওঝি‘নীআন আশকুরা নি‘মাতাকাল্লাতীআন‘আমতা ‘আলাইইয়া ওয়া ‘আলা-ওয়া-লিদাইইয়া ওয়াআন আ‘মালা সালিহান তারদা-হু ওয়া আদখিলনী বিরাহমাতিকা ফী ‘ইবাদিকাসসা-লিহীন।

    অর্থঃ পরওয়ারদেগার! আমাকে আপনার ঐ নেয়ামতের শোকরগোযারির উপর থাকার তাওফীক দিন, যা আপনি দান করেছেন আমাকে ও আমার পিতামাতাকে এবং তাওফীক দিন ঐ নেক আমলের উপর থাকার, যা হবে আপনার পছন্দের। আর নিজ করুণায় আমাকে শামিল করুন আপনার নেককার বান্দাদের মধ্যে।৩০

  • ৩৪৪. দু‘আ-৩০

    رَبِّ اِنِّیْ لِمَاۤ اَنْزَلْتَ اِلَیَّ مِنْ خَیْرٍ فَقِیْرٌ۝۲۴

    উচ্চারণঃ রাব্বি ইন্নী লিমাআনঝালতা ইলাইইয়া মিন খাইরিন ফাকীর।

    অর্থঃ পরওয়ারদেগার! আপনি আমার জন্য যে কল্যাণ অবতীর্ণ করবেন, আমি তার মুখাপেক্ষী।৩১

  • ৩৪৫. দু‘আ-৩১

    رَبِّ انْصُرْنِیْ عَلَی الْقَوْمِ الْمُفْسِدِیْنَ۠۝۳۰

    অর্থঃ পরওয়ারদেগার! আমাকে ফাসাদকারীদের বিরুদ্ধে বিজয়ী করুন।৩২

  • ৩৪৬. দু‘আ-৩২

    رَبَّنَا وَسِعْتَ كُلَّ شَیْءٍ رَّحْمَةً وَّ عِلْمًا فَاغْفِرْ لِلَّذِیْنَ تَابُوْا وَ اتَّبَعُوْا سَبِیْلَكَ وَ قِهِمْ عَذَابَ الْجَحِیْمِ۝۷

    অর্থঃ হে আমাদের পরওয়ারদেগার! আপনার করুণা ও জ্ঞান সবকিছুকে বেষ্টন করে আছে। সুতরাং ক্ষমা করুন তাদের, যারা তাওবা করেছে এবং আপনার পথে চলেছে। আর রক্ষা করুন তাদের জাহান্নামের আযাব থেকে (তাদের তাওবা ও সত্যের অনুসরণ তো আপনার অগোচরে থাকতেই পারে না। উপরন্তু আপনি পরম করুণাময়। সুতরাং নিশ্চয়ই তারা আপনার ক্ষমা থেকে বঞ্চিত হবে না)।৩৩

  • ৩৪৭. দু‘আ-৩৩

    رَبَّنَا وَ اَدْخِلْهُمْ جَنّٰتِ عَدْنِ ِ۟الَّتِیْ وَعَدْتَّهُمْ وَ مَنْ صَلَحَ مِنْ اٰبَآىِٕهِمْ وَ اَزْوَاجِهِمْ وَ ذُرِّیّٰتِهِمْ ؕ اِنَّكَ اَنْتَ الْعَزِیْزُ الْحَكِیْمُۙ۝۸ وَ قِهِمُ السَّیِّاٰتِ ؕ وَ مَنْ تَقِ السَّیِّاٰتِ یَوْمَىِٕذٍ فَقَدْ رَحِمْتَهٗ ؕ وَ ذٰلِكَ هُوَ الْفَوْزُ الْعَظِیْمُ۠۝۹

    অর্থঃ হে আমাদের পরওয়ারদেগার! তাদের আপনি দাখিল করুন স্থায়ী আবাসের জান্নাতে, যার প্রতিশ্রুতি আপনি তাদের দিয়েছেন। (তেমনি) তাদের পিতামাতা, স্ত্রী ও সন্তানদের যারা নেককার, তাদেরও দাখিল করুন। (তাদের সাথে এবং তাদের মতো মর্তবা ও মর্যাদায়) নিঃসন্দেহে আপনিই পরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাময়। এবং তাদের রক্ষা করুন সকল অনিষ্ট থেকে। আর সেই দিন (হিসাব- দিবসে) যাকে অনিষ্ট থেকে রক্ষা করবেন, তাকে তো (বড়) রহমই করবেন। আর এ-ই হবে বড় কামিয়াবী।৩৪

  • ৩৪৮. দু‘আ-৩৪

    وَ اَصْلِحْ لِیْ فِیْ ذُرِّیَّتِیْ ؕۚ اِنِّیْ تُبْتُ اِلَیْكَ وَ اِنِّیْ مِنَ الْمُسْلِمِیْنَ۝۱۵

    অর্থঃ আর আমার জন্য আমার সন্তানদের মাঝেও (কল্যাণের) যোগ্যতা স্থাপন করুন। আমি তো আপনার দিকে রুজু করেছি এবং আমি ফরমাবরদারদের একজন।৩৫

  • ৩৪৯. দু‘আ-৩৫

    اَنِّیْ مَغْلُوْبٌ فَانْتَصِرْ۝۱۰

    অর্থঃ (পরওয়ারদেগার!) আমি পরাজিত। সুতরাং (আমার পক্ষ হতে) প্রতিশোধ নিন।৩৬

  • ৩৫০. দু‘আ-৩৬

    رَبَّنَا اغْفِرْ لَنَا وَ لِاِخْوَانِنَا الَّذِیْنَ سَبَقُوْنَا بِالْاِیْمَانِ وَ لَا تَجْعَلْ فِیْ قُلُوْبِنَا غِلًّا لِّلَّذِیْنَ اٰمَنُوْا رَبَّنَاۤ اِنَّكَ رَءُوْفٌ رَّحِیْمٌ۠۝۱۰

    অর্থঃ হে আমাদের পরওয়ারদেগার! ক্ষমা করুন আমাদেরকে এবং আমাদের ঐ ভাইদেরকে, যারা ঈমানের সাথে আমাদের আগে চলে গেছে আর আমাদের অন্তরে ঈমানদারদের প্রতি বিদ্বেষ দিয়েন না। হে আমাদের পরওয়ারদেগার! আপনি তো দয়াশীল, মেহেরবান। (আমাদের উপর আপনার দয়া ও করুণার ছায়াপাত ঘটিয়ে দিন। তাহলে আমাদের অন্তরগুলোও পরস্পর মিলিত হবে এবং পরস্পরের প্রতি কল্যাণকামিতায় পরিপূর্ণ থাকবে)।৩৭

  • ৩৫১. দু‘আ-৩৭

    رَبَّنَا عَلَیْكَ تَوَكَّلْنَا وَ اِلَیْكَ اَنَبْنَا وَ اِلَیْكَ الْمَصِیْرُ۝۴

    অর্থঃ হে আমাদের পরওয়ারদেগার! আমরা আপনারই উপর ভরসা করেছি এবং আপনারই দিক রুজু করেছি। আর আপনার কাছেই আমাদের প্রত্যাবর্তন। (অন্য কারো কাছে নয়)।৩৮

  • ৩৫২. দু‘আ-৩৮

    رَبَّنَا لَا تَجْعَلْنَا فِتْنَةً لِّلَّذِیْنَ كَفَرُوْا وَ اغْفِرْ لَنَا رَبَّنَا ۚ اِنَّكَ اَنْتَ الْعَزِیْزُ الْحَكِیْمُ۝۵

    অর্থঃ হে আমাদের পরওয়ারদেগার! যারা কুফর করেছে, তাদের জুলুমের লক্ষ্যবস্তু আমাদের কোরেন না এবং হে পরওয়ারদেগার! আপনি আমাদের মাফ করে দিন। নিশ্চয়ই আপনি পরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাময়।৩৯

  • ৩৫৩. দু‘আ-৩৯

    رَبَّنَاۤ اَتْمِمْ لَنَا نُوْرَنَا وَ اغْفِرْ لَنَا ۚ اِنَّكَ عَلٰی كُلِّ شَیْءٍ قَدِیْرٌ۝۸

    অর্থঃ হে আমাদের পরওয়ারদেগার! আমাদের জন্য আমাদের নূর কামিল করে দিন এবং আমাদের মাফ করে দিন। নিশ্চয়ই আপনি সব বিষয়ে শক্তিমান। (আপনি তো ঈমানহীন লোকদেরও ঈমানের আলো দান করতে পারেন। তাহলে যাদের আপনি ঈমানের নূর দান করেছেন, তাদের এই নূর পরিপূর্ণ করে দিন।)৪০

  • ৩৫৪. দু‘আ-৪০

    رَبِّ اغْفِرْ لِیْ وَ لِوَالِدَیَّ وَ لِمَنْ دَخَلَ بَیْتِیَ مُؤْمِنًا وَّ لِلْمُؤْمِنِیْنَ وَ الْمُؤْمِنٰتِ ۠۝۲۸

    অর্থঃ পরওয়ারদেগার! ক্ষমা করুন আমাকে ও আমার পিতামাতাকে। আর যে আমার ঘরে মুমিন হয়ে প্রবেশ করেছে তাকে এবং সকল মুমিন পুরুষ ও নারীকে।৪১

  • ৩৫৫. দু‘আ-৪১

    اَللّٰهُمَّ اغْسِلْ خَطَايَايَ بِمَآءِ الثَّلْجِ وَالْبَرَدِ، وَنَقِّ قَلْبِيْ مِنَ الْخَطَايَا كَمَا يُنَقَّى الثَّوْبُ الْأَبْيَضُ مِنَ الدَّنَسِ، وَبَاعِدْ بَيْنِيْ وَبَيْنَ خَطَايَايَ كَمَا بَاعَدْتَ بَيْنَ الْمَشْرِقِ وَالْمَغْرِبِ.

    অর্থঃ ইয়া আল্লাহ! বরফ ও শিলার পানি দ্বারা আমার গুনাহসমূহ ধুয়ে দিন এবং আমার অন্তরকে গুনাহ থেকে এমন পরিষ্কার করুন, যেমন সাদা কাপড়ের ময়লা পরিষ্কার করা হয় আর আমার ও আমার গুনাহসমূহের মাঝে এমন দূরত্ব সৃষ্টি করুন যেমন দূরত্ব আপনি সৃষ্টি করেছেন পূর্ব-পশ্চিমের মাঝে।৪২

  • ৩৫৬. দু‘আ-৪২

    اَللّٰهُمَّ اٰتِ نَفْسِيْ تَقْوَاهَا، وَزَكِّهَا، أَنْتَ خَيْرُ مَنْ زَكَّاهَا، أَنْتَ وَلِيُّهَا وَمَوْلَاهَا.

    অর্থঃ ইয়া আল্লাহ! আমার সত্তাকে পরহেযগারী দান করুন এবং তাকে পরিশুদ্ধ করুন। আপনি-ই তো এর উত্তম পরিশুদ্ধকারী। আপনিই এর মালিক ও প্রভু।৪৩

  • ৩৫৭. দু‘আ-৪৩

    اَللّٰهُمَّ إِنَّا نَسْأَلُكَ مِنْ خَيْرِ مَا سَأَلَكَ مِنْهُ نَبِيُّكَ مُحَمَّدٌ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ .

    অর্থঃ ইয়া আল্লাহ! আমরা আপনার কাছে ঐ সকল কল্যাণ প্রার্থনা করছি, যা আপনার কাছে প্রার্থনা করেছেন আপনার নবী মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া ওয়াসাল্লাম।৪৪

  • ৩৫৮. দু‘আ-৪৪

    إِنَّا نَسْأَلُكَ عَزَآئِمَ مَغْفِرَتِكَ، وَمُنْجِيَاتِ أَمْرِكَ، وَالسَّلَامَةَ مِنْ كُلِّ إِثْمٍ، وَالْغَنِيْمَةَ مِنْ كُلِّ بِرٍّ، وَالْفَوْزَ بِالْجَنَّةِ، وَالنَّجَاةَ مِنَ النَّارِ .

    অর্থঃ ইয়া আল্লাহ! আমরা আপনার কাছে চাই আপনার মাগফিরাতের উপায়সমূহ ও নাজাতদানকারী আমলসমূহ এবং (আপনার কাছে চাই) সকল গুনাহ থেকে মুক্তি ও সকল ভালো কাজের তাওফীক; আর (প্রার্থনা করি) বেহেশতে যাওয়া ও দোযখ থেকে নাজাত পাওয়া।৪৫

  • ৩৫৯. দু‘আ-৪৫

    اَسْأَلُكَ عِلْمًا نَّافِعًا.

    অর্থঃ আপনার কাছে প্রার্থনা করছি উপকারী ইলম।৪৬

  • ৩৬০. দু‘আ-৪৬

    اَللّٰهُمَّ اغْفِرْلِيْ ذُنُوْبِيْ : خَطَئِـيْ وَعَمَدِيْ.

    অর্থঃ ইয়া আল্লাহ! আমার ইচ্ছাকৃত-অনিচ্ছাকৃত সকল গুনাহ মাফ করুন।

 

  • ৩৬১. দু‘আ-৪৭

    اَللّٰهُمَّ اغْفِرْ لِيْ خَطِيْٓئَتِيْ وَجَهْلِيْ وَإِسْرَافِيْ فِيْۤ أَمْرِيْ وَمَاۤ أَنْتَ أَعْلَمُ بِه مِنِّيْ .

    অর্থঃ ইয়া আল্লাহ! আমার ভ্রান্তি ও মূর্খতা, আপন বিষয়ে আমার সীমালঙ্ঘন আর যা কিছু আপনি আমার নিজের চেয়েও অধিক অবগত, সব ক্ষমা করে দিন।৪৮

  • ৩৬২. দু‘আ-৪৮

    اَللّٰهُمَّ اغْفِرْ لِيْ جِدِّيْ وَهَزْلِىْ.

    অর্থঃ ইয়া আল্লাহ! আমার ঐ সকল গুনাহও মাফ করুন, যা আমার উদ্দেশ্য ছিল এবং ঐ গুনাহও, যা উদ্দেশ্য ছিল না।৪৯

  • ৩৬৩. দু‘আ-৪৯

    اَللّٰهُمَّ مُصَرِّفَ الْقُلُوْبِ! صَرِّفْ قُلُوْبَنَا عَلٰى طَاعَتِكَ.

    অর্থঃ ইয়া আল্লাহ! হে অন্তরের রোখ পরিবর্তনকারী! আমাদের অন্তর আপনার আনুগত্যের দিকে ঘুরিয়ে দিন।৫০

  • ৩৬৪. দু‘আ-৫০

    اَللّٰهُمَّ اهْدِنِيْ وَسَدِّدْنِىْ.

    অর্থঃ ইয়া আল্লাহ! আমাকে হেদায়েত দান করুন এবং সঠিক পথে রাখুন।৫১

  • ৩৬৫. দু‘আ-৫১

    اَللّٰهُمَّ إِنِّىْۤ أَسْأَلُكَ الْهُدٰى وَالتُّقٰى وَالْعَفَافَ وَالْغِنٰى.

    অর্থঃ ইয়া আল্লাহ! আমি আপনার কাছে চাই হেদায়েত ও পরহেযগারী; পবিত্রতা ও পরিতুষ্টি।৫২

  • ৩৬৬. দু‘আ-৫২

    اَللّٰهُمَّ أَصْلِحْ لِيْ دِينِىَ الَّذِيْ هُوَ عِصْمَةُ أَمْرِىْ، وَأَصْلِحْ لِيْ دُنْيَاىَ الَّتِيْ فِيْهَا مَعَاشِىْ، وَأَصْلِحْ لِيْ اٰخِرَتِيَ الَّتِيْ فِيْهَا مَعَادِيْ، وَاجْعَلْ الْحَيٰوةَ زِيَادَةً لِّيْ فِيْ كُلِّ خَيْرٍ، وَاجْعَلِ الْمَوْتَ رَاحَةً لِّيْ مِنْ كُلِّ شَرٍّ.

    অর্থঃ ইয়া আল্লাহ! আমার দ্বীনদারী দুরস্ত করে দিন, যা আমার সকল বিষয়ের রক্ষাকবচ। আমার দুনিয়া দুরস্ত করে দিন, যাতে আমার অবস্থান এবং আমার আখিরাত দুরস্ত করে দিন, যাতে আমার প্রত্যাবর্তন। আর আমার জীবন যেন হয় সকল কল্যাণে অগ্রসরতা আর আমার মৃত্যু যেন হয় সকল অকল্যাণ থেকে মুক্তি।৫৩

  • ৩৬৭. দু‘আ-৫৩

    اَللّٰهُمَّ اغْفِرْ لِيْ وَارْحَمْنِيْ، وَاهْدِنِيْ، وَارْزُقْنِىْ.

    অর্থঃ ইয়া আল্লাহ! আমাকে ক্ষমা করুন ও আমার উপর রহম করুন। আমাকে সুস্থতা ও নিরাপত্তা দিন আর আমাকে রিযিক দান করুন।৫৪

  • ৩৬৮. দু‘আ-৫৪

    اَللّٰهُمَّ إِنِّىْۤ أَعُوْذُ بِكَ مِنَ الْعَجْزِ وَالْكَسَلِ، وَالْجُبُنِ وَالْهَرَمِ، وَالْمَغْرَمِ وَالْمَأْثَمِ، وَمِنْ عَذَابِ النَّارِ وَفِتْنَةِ النَّارِ، وَفِتْنَةِ الْقَبْرِ وَعَذَابِ الْقَبْرِ، وَشَرِّ فِتْنَةِ الْغِنٰى وَشَرِّ فِتْنَةِ الْفَقْرِ، وَمِنْ شَرِّ فِتْنَةِ الْمَسِيْحِ الدَّجَّالِ، ومِنْ فِتْنَةِ الْمَحْيَا وَالْمَمَاتِ، وَمِنَ الْقَسْوَةِ وَالْغَفْلَةِ، وَالْعَيْلَةِ وَالذِّلَّةِ، وَالْمَسْكَنَةِ وَالْفَقْرِ، وَالْكُفْرِ وَالْفُسُوْقِ وَالشِّقَاقِ، وَالسُّمْعَةِ وَالرِّيَآءِ، وَمِنَ الصَّمَمِ وَالْبَكَمِ، وَالْجُنُوْنِ وَالْجُذَامِ وَسَيِّءِ الْأَسْقَامِ، وَضَلَعِ الدَّيْنِ، وَمِنَ الْـهَمِّ وَالْحُزْنِ، وَالْبُخْلِ وَغَلَـبَةِ الرِّجَالِ، وَمِنْ أَنْ أُرَدَّ إِلٰۤى أَرْذَلِ الْعُمُرِ، وَفِتْنَةِ الدُّنْيَا، وَمِنْ عِلْمٍ لَّا يَنْفَعُ، وَمِنْ نَّفْسٍ لَّا تَشْبَعُ، وَمِنْ قَلْبٍ لَّا يَخْشَعُ، وَمِنْ دَعْوَةٍ لَّا يُسْتَجَابُ لَهَا.

    অর্থঃ ইয়া আল্লাহ! আমি আপনার আশ্রয় নিচ্ছি অক্ষমতা ও আলস্য থেকে, ভীরুতা ও অতিবার্ধক্য থেকে এবং ঋণ ও পাপ থেকে। (আশ্রয় নিচ্ছি) দোযখের আযাব ও দোযখের ফিতনা থেকে (আশ্রয় নিচ্ছি) কবরের ফিতনা ও কবরের আযাব থেকে। (আশ্রয় নিচ্ছি) সম্পদের কুফল ও সম্পদহীনতার অনিষ্ট থেকে। (আশ্রয় নিচ্ছি) দাজ্জালের অনিষ্ট থেকে ও জীবন ও মৃত্যুর পরীক্ষা থেকে। (আশ্রয় নিচ্ছি) অন্তরের কাঠিন্য ও উদাসীনতা থেকে; নিঃস্বতা, অপদস্থতা ও মুখাপেক্ষিতা থেকে; কুফরী, ফাসেকী ও জেদাজেদি থেকে আর লোকদেখানো ও লোকশোনানোর প্রবণতা থেকে। (আশ্রয় নিচ্ছি) বধিরতা ও মূকতা থেকে, মস্তিষ্ক বিকলন, কুষ্ঠ, খারাপ রোগ-ব্যাধি ও ঋণের বোঝা থেকে। (আশ্রয় নিচ্ছি) দুঃখ-দুশ্চিন্তা থেকে, কৃপণতা ও লোকের কর্তৃত্বপরায়ণতা থেকে। (আশ্রয় নিচ্ছি) অতি বার্ধক্যে উপনীত হওয়া ও দুনিয়ার ফিতনা থেকে। (আশ্রয় নিচ্ছি) ঐ জ্ঞান থেকে, যার উপকার নেই, ঐ মন থেকে, যাতে তুষ্টি নেই, ঐ অন্তর থেকে, যাতে বিনয়-নম্রতা নেই; আর ঐ দু‘আ থেকে, যা কবুল হয় না।৫৫

  • ৩৬৯. দু‘আ-৫৫

    رَبِّ أَعِنِّيْ وَلَا تُعِنْ عَلَيَّ، وَانْصُرْنِيْ وَلَا تَنْصُرْ عَلَيَّ، وَامْكُرْ لِيْ وَلَا تَمْكُرْ عَلَيَّ، وَاهْدِنِيْ وَيَسِّرِ الْهُدٰى لِيْ، وَانْصُرْنِيْ عَلٰى مَنْ بَغٰى عَلَيَّ.رَبِّ اجْعَلْنِيْ لَكَ ذَكَّارًا، لَكَ شَكَّارًا، لَكَ رَهَّابًا، لَكَ مِطْوَاعًا، لَكَ مُطِيْعًا، لَّكَ مُخْبِتًا، إِلَيْكَ أَوَّاهًا مُّنِيْبًا. رَبِّ تَقَبَّلْ تَوْبَتِيْ، وَاغْسِلْ حُوْبَتِيْ، وَأَجِبْ دَعْوَتِيْ، وَثَبِّتْ حُجَّتِيْ، وَسَدِّدْ لِسَانِيْ، وَاهْدِ قَلْبِيْ، وَاسْلُلْ سَخِيْمَةَ صَدْرِىْ.

    অর্থঃ পরওয়ারদেগার! আমাকে মদদ দিন, আমার বিরুদ্ধে কাউকে মদদ দিয়েন না। আমাকে জয়ী করুন, আমার উপর অন্যকে জয়ী কোরেন না। আমার পক্ষে ব্যবস্থা নিন, আমার বিপক্ষে কারো ব্যবস্থা সফল কোরেন না। আমাকে হেদায়েত দিন এবং হেদায়েতকে আমার জন্য সহজ করুন। আমাকে সাহায্য করুন তার বিরুদ্ধে যে আমার উপর জুলুম করে। পরওয়ারদেগার! আপনাকে যেন বেশি বেশি স্মরণ করি। বেশি বেশি আপনার শোকরগোজারি করি। আপনাকেই যেন খুব ভয় করি। আপনার খুব ফরমাবরদারি করি। আপনার খুব অনুগত থাকি। আপনারই কাছে যেন প্রশান্তি পাই, আপনারই দরবারে যেন ফরিয়াদি হই এবং আপনারই দিকে রুজু করি। পরওয়ারদেগার! আমার তাওবা কবুল করুন। আমার পাপ ধৌত করুন। আমার প্রার্থনা মঞ্জুর করুন। আমার দ্বীনী দলিল অটল রাখুন। আমার জিহ্বাকে করুন সত্যভাষী, হৃদয়কে করুন সুপথগামী আর আমার বুক থেকে দূর করে দিন অস্বচ্ছতা, (যাতে সকল অবস্থায় দ্বীনের উপর থাকা এবং আল্লাহ ও তাঁর বান্দাদের হক আদায় করা আমার পক্ষে সহজ হয়।)৫৬

  • ৩৭০. দু‘আ-৫৬

    اللّٰهُمَّ اغْفِرْ لَنَا وَارْحَمْنَا، وَارْضَ عَنَّا، وَأَدْخِلْنَا الْجَنَّةَ وَنَجِّنَا مِنْ النَّارِ، وَأَصْلِحْ لَنَا شَأْنَنَا كُـلَّهُ.

    অর্থঃ হে আল্লাহ! আমাদের ক্ষমা করুন। আমাদের উপর রহম করুন। আমাদের প্রতি রাজি-খুশি হোন। আমাদেরকে জান্নাতে দাখিল করুন এবং জাহান্নাম থেকে নাজাত দিন। আমাদের (দুনিয়া-আখেরাতের) সবকিছু দুরস্ত করে দিন।৫৭

  • ৩৭১. দু‘আ-৫৭

    اَللّٰهُمَّ أَلِّفْ بَيْنَ قُلُوْبِنَا، وَأَصْلِحْ ذَاتَ بَيْنِنَا، وَاهْدِنَا سُبُلَ السَّلَامِ، وَنَجِّنَا مِنَ الظُّلُمَاتِ إِلَى النُّوْرِ، وَجَنِّبْنَا الْفَوَاحِشَ مَا ظَهَرَ مِنْهَا وَمَا بَطَنَ ، وَبَارِكْ لَنَا فِۤيْ أَسْمَاعِنَا، وَأَبْصَارِنَا، وَقُلُوْبِنَا، وَأَزْوَاجِنَا، وَذُرِّيَّاتِنَا، وَتُبْ عَلَيْنَاۤ إِنَّكَ أَنْتَ التَّوَّابُ الرَّحِيْمُ، وَاجْعَلْنَا شَاكِرِيْنَ لِنِعْمَتِكَ، مُثْنِيْنَ بِهَا عَلَيْكَ، قَابِلِيْهَا، وَأَتِمَّهَا عَلَيْنَا.

    অর্থঃ ইয়া আল্লাহ আমাদের অন্তরে প্রীতির সঞ্চার করুন এবং পরস্পরের সম্পর্ক সদ্ভাবপূর্ণ করুন। আমাদের সম্মুখে শান্তি ও নিরাপত্তার পথসমূহ খুলে দিন এবং সকল অন্ধকার থেকে মুক্ত করে এক আলোর দিকে পরিচালিত করুন। আমাদের দূরে রাখুন প্রকাশ্য-অপ্রকাশ্য অশ্লীলতা ও গর্হিত কর্ম থেকে এবং বরকত দান করুন আমাদের শ্রবণশক্তি ও দৃষ্টিশক্তিতে, আমাদের কলব ও হৃদয়ে, আমাদের স্ত্রী ও সন্তানদের মাঝে। আর আমাদের তাওবা কবুল করুন। নিঃসন্দেহে আপনিই তাওবা কবুলকারী, মেহেরবান। আমাদের করুন আপনার নেয়ামতের শোকরকারী, গুণ-গানকারী ও তা গ্রহণকারী। আর তা আমাদের জন্য পূর্ণ করুন।৫৮

  • ৩৭২. দু‘আ-৫৮

    اللّٰهُمَّ إِنِّيْۤ أَسْئَلُكَ الثَّبَاتَ فِي الْأَمْرِ، وَأَسْأَلُكَ عَزِيْمَةَ الرُّشْدِ، وَأَسْأَلُكَ شُكْرَ نِعْمَتِكَ وَحُسْنَ عِبَادَتِكَ، وَأَسْأَلُكَ لِسَانًا صَادِقًا وَّقَلْبًا سَلِيْمًا، وَخُلُقًا مُّسْتَقِيْمًا، وَأَسْأَلُكَ مِنْ خَيْرِ مَا تَعْلَمُ وَأَسْتَغْفِرُكَ مِمَّا تَعْلَمُ، إِنَّكَ أَنْتَ عَلَّامُ الْغُيُوْبِ.

    অর্থঃ ইয়া আল্লাহ! আমি আপনার কাছে প্রার্থনা করি দীনের বিষয়ে অবিচলতা এবং আপনার কাছে প্রার্থনা করি উন্নত যোগ্যতা এবং আপনার কাছে প্রার্থনা করি আপনার নেয়ামতের শোকরগোজারি ও বন্দেগীর সৌন্দর্য এবং আপনার কাছে প্রার্থনা করি সত্যবাদী জিহ্বা, সুস্থ হৃদয় আর সুদৃঢ় চরিত্র। আমি আপনার কাছে প্রার্থনা করি কল্যাণ, যা আপনি জানেন এবং ক্ষমা চাই ঐ সকল গুনাহ থেকে, যে সম্পর্কে আপনি অবগত। সকল অদৃশ্য বিষয় তো আপনার জানা। (সুতরাং ঐ সকল গুনাহ সম্পর্কেও আপনি অবগত, যা কোনো সৃষ্টির জানা নেই)।৫৯

  • ৩৭৩. দু‘আ-৫৯

    اَللّٰهُمَّ اغْفِرْ لِيْ مَا قَدَّمْتُ وَمَاۤ أَخَّرْتُ، وَمَاۤ أَسْرَرْتُ وَمَاۤ أَعْلَنْتُ وَمَاۤ أَ نْتَ أَعْلَمُ بِه مِنِّيْ.

    অর্থঃ আল্লাহ! আমার ঐ সকল গুনাহ ক্ষমা করুন, যা আমি আগে করেছি এবং যা পরে করেছি; যা গোপনে করেছি এবং যা প্রকাশ্যে করেছি; আর ঐ সকল গুনাহও ক্ষমা করুন যে সম্পর্কে আপনি আমার চেয়ে অধিক অবগত। (কারণ, হতে পারে, আমি তা ভুলে গেছি; কিন্তু আপনি ভুলেন না। হতে পারে, তা অবচেতনে রয়েছে; কিন্তু আপনার ক্ষেত্রে তো চেতন-অবচেতনের প্রশ্নই অবান্তর)।৬০

  • ৩৭৪. দু‘আ-৬০

    اَللّٰهُمَّ اقْسِمْ لَنَا مِنْ خَشْيَتِكَ مَا تَحُوْلُ بِه بَيْنَنَا وَبَيْنَ مَعَاصِيْكَ، وَمِنْ طَاعَتِكَ مَا تُبَلِّغُنَا بِه جَنَّتَكَ، وَمِنَ الْيَقِيْنِ مَا تُهَوِّنُ بِه عَلَيْنَا مَصَآئِبَ الدُّنْيَا، وَمَتِّعْنَا بِأَسْمَاعِنَا وَأَبْصَارِنَا وَقُوَّتِنَا مَاۤ أَحْيَيْتَنَا، وَاجْعَلْهُ الْوَارِثَ مِنَّا، وَاجْعَلْ ثَأْرَنَا عَلٰى مَنْ ظَلَمَنَا، وَانْصُرْنَا عَلٰى مَنْ عَادَانَا، وَلَا تَجْعَلْ مُصِيْبَتَنَا فِيْ دِيْنِنَا، وَلَا تَجْعَلِ الدُّنْيَاۤ أَ كْبَرَ هَمِّنَا وَلَا مَبْلَغَ عِلْمِنَا وَلَا غَايَةَ رَغْبَتِنَا، وَلَا تُسَلِّطْ عَلَيْنَا مَنْ لَّا يَرْحَمُنَا.

    অর্থঃ ইয়া আল্লাহ! আমাদের দিন আপনার এ পরিমাণ ভয়, যা দ্বারা আপনি আমাদের নাফরমানি থেকে বিরত রাখবেন এবং এ পরিমাণ আনুগত্য, যা দ্বারা আপনি আমাদের জান্নাতে দাখিল করবেন এবং এ পরিমাণ বিশ্বাস, যা দ্বারা দুনিয়ার বিপদাপদ আমাদের জন্য সহজ করে দিবেন। আর ততদিন আমাদের শ্রবণশক্তি, দৃষ্টিশক্তি ও সকল সক্ষমতা অটুট রাখেন, যতদিন আমাদের জীবিত রাখেন এবং এর কল্যাণ আমাদের পরেও জারি রাখবেন। যে আমাদের উপর জুলুম করে, তার উপর আমাদের পক্ষ হতে প্রতিশোধ নিন এবং যে আমাদের সাথে দুশমনি করে, তার বিরুদ্ধে আমাদের জয়যুক্ত করুন। দ্বীনের বিষয়ে আমাদের বিপদগ্রস্ত কোরেন না, দুনিয়াকে বানাবেন না আমাদের প্রধান মাকসুদ এবং না জ্ঞানের শেষ সীমা ও না চূড়ান্ত আগ্রহের বিষয় আর আমাদের উপর এমন কাউকে আরোপ কোরেন না, যে আমাদের প্রতি রহমদিল নয়। (কোনো জালিম শাসক বা অন্য কিছু)।৬১

  • ৩৭৫. দু‘আ-৬১

    اَللّٰهُمَّ زِدْنَا وَلَا تَنْقُصْنَا ، وَأَكْرِمْنَا وَلَا تُهِنَّا، وَأَعْطِنَا وَلَا تَحْرِمْنَا ، وَاٰثِرْنَا وَلَا تُؤْثِرْ عَلَيْنَا ، وَأَرْضِنَا وَارْضَ عَنَّا.

    অর্থঃ আয় আল্লাহ! আমাদের বৃদ্ধি করুন, হ্রাস কোরেন না। সম্মান দিন, লাঞ্ছিত কোরেন না। আমাদের দান করুন, বঞ্চিত কোরেন না। আমাদের প্রাধান্য দিন, আমাদের বিরুদ্ধে অন্যদের প্রাধান্য দিয়েন না। আমাদের রাজি-খুশি রাখুন এবং আপনিও আমাদের উপর রাজি-খুশি থাকুন।৬২

  • ৩৭৬. দু‘আ-৬২

    اَللّٰهُمَّ أَلْهِمْنِيْ رُشْدِيْ.

    অর্থঃ ইয়া আল্লাহ! আমার অন্তরে দান করুন আমার সৌভাগ্যের উপলব্ধি (যার দ্বারা স্বয়ংক্রিয়ভাবে কোনো বাধা-বিপত্তি ছাড়া সত্যের পথে চলতে থাকি)।৬৩

  • ৩৭৭. দু‘আ-৬৩

    اَللّٰهُمَّ قِنِيْ شَرَّ نَفْسِيْ ، وَاعْزِمْ لِيْ عَلٰى رُشْدِ أَمْرِيْ .

    অর্থঃ ইয়া আল্লাহ! আমাকে আমার নফসের অনিষ্ট থেকে রক্ষা করুন এবং আমাকে দান করুন আমার সবকিছু সংশোধনের শক্তি।

  • ৩৭৮. দু‘আ-৬৪

    اَسْأَلُ اللهَ الْعَافِيَةَ فِيْ الدُّنْيَا وَالْاٰخِرَةِ.

    অর্থঃ আমি আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করছি দুনিয়া ও আখিরাতে বিপদমুক্তি।৬৪

  • ৩৭৯. আল্লাহর মুহাব্বাত লাভের দু‘আ-৬৫

    اَللّٰهُمَّ إِنِّيْۤ أَسْأَلُكَ فِعْلَ الْخَيْرَاتِ وَتَرْكَ الْمُنْكَرَاتِ، وَحُبَّ الْمَسَاكِيْنِ، وَأَنْ تَغْفِرَ لِيْ وَتَرْحَمَنِيْ، وَإِذَاۤ أَرَدْتَ بِقَوْمٍ فِتْنَةً فَتَوَفَّنِيْ غَيْرَ مَفْتُوْنٍ، أَسْأَلُكَ حُبَّكَ وَحُبَّ مَنْ يُّحِبُّكَ وَحُبَّ عَمَلٍ يُّقَرِّبُ إِلٰى حُبِّكَ.

    অর্থঃ ইয়া আল্লাহ! আমি আপনার কাছে তাওফীক চাই ভালো কাজসমূহ করার এবং মন্দ কাজসমূহ ছাড়ার। তাওফীক চাই অভাবীদের ভালোবাসার। আর আমাকে ক্ষমা করুন ও আমার উপর রহম করুন। আর যখন ইচ্ছা করবেন কোনো জাতিকে বিপদগ্রস্ত করার তো আমাকে তুলে নিয়েন বিপদগ্রস্ত হওয়ার আগেই। আমি আপনার কাছে চাই আপনার ভালোবাসা এবং ঐ ব্যক্তির ভালোবাসা, যে আপনাকে ভালোবাসে। আর ঐ কাজেরও ভালোবাসা, যা আপনার ভালোবাসার নিকটবর্তী করে।৬৫

  • ৩৮০. দু‘আ-৬৬

    اللّٰهُمَّ اجْعَلْ حُبَّكَ أَحَبَّ إِلَـيَّ مِنْ نَفْسِيْ وَأَهْلِيْ وَمِنَ الْمَآءِ الْبَارِدِ .

    অর্থঃ ইয়া আল্লাহ! আপনার ভালোবাসা আমার কাম্য করুন আমার প্রাণের, পরিবারের এবং ঠাণ্ডা পানিরও অধিক।

 

  • ৩৮১. দু‘আ-৬৭

    اَللّٰهُمَّ ارْزُقْنِيْ حُبَّكَ وَحُبَّ مَنْ يَنْفَعُنِيْ حُبُّهٗ عِنْدَكَ. اَللّٰهُمَّ فَـكَمَا رَزَقْتَنِيْ مِمَّاۤ أُحِبُّ فَاجْعَلْهُ قُوَّةً لِّيْ فِيْمَا تُحِبُّ. اَللّٰهُمَّ وَمَا زَوَيْتَ عَنِّيْ مِمَّاۤ أُحِبُّ فَاجْعَلْهُ فَرَاغًا لِّيْ فِيْمَا تُحِبُّ.

    অর্থঃ ইয়া আল্লাহ! আমাকে আপনার ভালোবাসা দান করুন এবং যার ভালোবাসা আপনার কাছে আমার জন্য উপকারী হয়, তার ভালবাসাও দান করুন। আপনি যখন আমাকে আমার প্রিয় বস্তু দান করেছেন, তখন একে আমার জন্য সহায়ক করুন আপনার প্রিয় কাজে। (অর্থাৎ আমার প্রিয় ও কাম্য যা কিছু আমি লাভ করেছি, তা আপনার পছন্দের বিষয়টি অর্জনের উপায় বানিয়ে দিন।) হে আল্লাহ! আমার যেসব কাম্য বস্তু আমার থেকে দূরে রেখেছেন, সেগুলো (থেকে দূরে থাকা) আমার জন্য ঐসব বিষয়ে মশগুল হওয়ার অবকাশ বানিয়ে দিন, যা আপনার কাছে প্রিয়।৬৭ (অর্থাৎ স্বভাবগতভাবে যা কিছু আমার প্রিয়, তা থেকে যখন আপনি নিজ প্রজ্ঞায় আমাকে দূরে রাখবেন, তখন এই প্রতিক্রিয়া আমার মাঝে সৃষ্টি করুন যে, আমি শুধু এসবের স্থলে আপনার প্রিয় বিষয়গুলোকেই ভালোবাসতে শুরু করি।)

  • ৩৮২. দু‘আ-৬৮

    يَا مُقَلِّبَ الْقُلُوْبِ! ثَبِّتْ قَلْبِيْ عَلٰى دِيْنِكَ.

    অর্থঃ হে মনের গতি পরিবর্তনকারী! আমার মনকে আপনার দীনের উপর অবিচল রাখুন।৬৮

  • ৩৮৩. দু‘আ-৬৯

    اَللّٰهُمَّ إِنِّيْۤ أَسْأَلُكَ اِيْمَانًا لَّا يَرْتَدُّ، وَنَعِيْمًا لَّا يَنْفَدُ، وَمُرَافَقَةَ نَبِـيِّكَ مُحَمَّدٍ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِيْۤ أَعْلٰى دَرَجَةِ الْجَنَّةِ جَنَّةِ الْخُلْدِ.

    অর্থঃ ইয়া আল্লাহ! আমি আপনার কাছে প্রার্থনা করি অটল ঈমান, অশেষ নেয়ামত এবং জান্নাতে উচ্চতম স্থানে, জান্নাতুল খুলদে আপনার নবী মুহাম্মদের (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের) সঙ্গ।৬৯

  • ৩৮৪. দু‘আ-৭০

    اَللّٰهُمَّ اِنِّيْۤ اَسْأَلُكَ صِحَّةً فِيْۤ إِيْمَانٍ، وَ إِيْمَانًا فِيْ حُسْنِ خُلُقٍ، وَنَجَاحًا تُتْبِعُهٗ فَلَاحًا، وَرَحْمَةً مِنْكَ وَ عَافِيَةً، وَ مَغْفِرَةً مِّنْكَ وَرِضْوَانًا.

    অর্থঃ ইয়া আল্লাহ! আমি আপনার কাছে প্রার্থনা করি ঈমানের সাথে সুস্থতা এবং সুন্দর চরিত্রের সাথে ঈমানদারি এবং (দুনিয়াতে) সফলতা, যার পর আপনি আমাকে দান করবেন (আখেরাতের) কল্যাণ এবং আপনার পক্ষ থেকে করুণা ও নিরাপত্তা, আপনার পক্ষ হতে ক্ষমা ও সন্তুষ্টি।৭০

  • ৩৮৫. দু‘আ-৭১

    اَللّٰهُمَّ انْفَعْنِيْ بِمَا عَلَّمْتَنِيْ ، وَعَلِّمْنِيْ مَا يَنْفَعُنِيْ.

    অর্থঃ ইয়া আল্লাহ! আমাকে যে ইলম দান করেছেন, তার দ্বারা আমাকে উপকৃত করুন এবং আমাকে ঐ ইলম দান করুন যা আমার উপকার করে।

  • ৩৮৬. দু‘আ-৭২

    اَللّٰهُمَّ بِعِلْمِكَ الْغَيْبَ وَقُدْرَتِكَ عَلَى الْخَلْقِ، أَحْيِنِيْ مَا عَلِمْتَ الْحَيَاةَ خَيْرًا لِّيْ، وَتَوَفَّنِيْ إِذَا عَلِمْتَ الْوَفَاةَ خَيْرًا لِّيْ، وَأَسْأَلُكَ خَشْيَتَكَ فِيْ الْغَيْبِ وَالشَّهَادَةِ، وَأَسْأَ لُكَ كَلِمَةَ الْإِخْلَاصِ فِيْ الرِّضٰى وَالْغَضَبِ، وَأَسْأَ لُكَ نَعِيْمًا لَّا يَنْفَدُ، وَ قُرَّةَ عَيْنٍ لَّا تَنْقَطِـعُ، وَأَسْأَ لُكَ الرِّضَا بَعْدَ الْقَضَآءِ، وَ بَرْدَ الْعَيْشِ بَعْدَ الْمَوْتِ، ولَذَّةَ النَّظَرِ إِلٰى وَجْهِكَ، وَالشَّوْقَ إِلٰى لِقَآئِكَ، وَأَعُوْذُ بِكَ مِنْ ضَرَّآءَ مُضِرَّةٍ وَّ فِتْنَةٍ مُّضِلَّةٍ. اَللّٰهُمَّ زَيِّنَّا بِزِيْنَةِ الْإِيْمَانِ، وَاجْعَلْنَا هُدَاةً مُّهْتَدِيْنَ.

    অর্থঃ ইয়া আল্লাহ! আপনি যে আলিমুল গাইব, আপনি যে সৃষ্টির উপর ক্ষমতাবান, এ অসিলায় প্রার্থনা করি, আপনি আমাকে জীবিত রাখুন যতদিন আপনার জ্ঞানে জীবন আমার জন্য কল্যাণকর আর আমাকে উঠিয়ে নিন যখন আপনার জ্ঞানে মৃত্যু আমার জন্য উত্তম। আপনার কাছে প্রার্থনা, আপনাকে যেন ভয় করি গোপনে ও প্রকাশ্যে এবং ইখলাসের কথা বলি ক্রোধে ও আনন্দে (কারণ, এ দুই সময় হচ্ছে আবেগের তাড়নায় ভেসে যাওয়ার সময়)। প্রার্থনা করছি ঐ নেয়ামত, যা নিঃশেষ হবে না এবং ঐ আনন্দ, যার সমাপ্তি ঘটবে না। আপনার কাছে প্রার্থনা, যেন আপনার ফয়সালায় রাজি থাকি এবং মৃত্যুর পর শান্তির জীবন লাভ করি আর লাভ করি আপনার দর্শন-আনন্দ এবং আপনার সাক্ষাতের ব্যাকুলতা। আপনার কাছে আশ্রয় নিই কষ্টদায়ক বিপদ থেকে ও ভ্রষ্টকারী ফিতনা থেকে। ইয়া আল্লাহ! আমাদেরকে করুন ঈমানের শোভায় সুশোভিত এবং সুপথপ্রাপ্ত, পথের দিশারী (যেন নিজেরাও সুপথে থাকি, অন্যদেরও সুপথ প্রদর্শন করি)।৭১

  • ৩৮৭. দু‘আ-৭৩

    اَللّٰهُمَّ إِنِّيْۤ أَسْأَلُكَ مِنَ الْخَيْرِ كُـلِّهِ عَاجِلِهِ وَاٰجِلِهِ، مَا عَلِمْتُ مِنْهُ وَمَا لَمْ أَعْلَمْ.

    অর্থঃ ইয়া আল্লাহ! আপনার কাছে প্রার্থনা করছি সকল কল্যাণ, বর্তমানের ও ভবিষ্যতের; যা জানি এবং যা জানি না।৭২

  • ৩৮৮. দু‘আ-৭৪

    اَللّٰهُمَّ إِنِّيْۤ أَسْأَلُكَ مِنْ خَيْرِ مَا سَأَلَكَ عَبْدُكَ وَنَبِيُّكَ. اَللّٰهُمَّ إِنِّيْۤ أَسْأَلُكَ الْجَنَّةَ وَمَا قَرَّبَ إِلَيْهَا مِنْ قَوْلٍ أَوْ عَمَلٍ، وَأَسْأَلُكَ أَنْ تَجْعَلَ كُلَّ قَضَآءٍ تَقْضِيْهِ لِيْ خَيْرًا، وَأَسْأَلُكَ مَا قَضَيْتَ لِيْ مِنْ أَمْرٍ أَنْ تَجْعَلَ عَاقِبَتَهٗ رُشْدًا.

    অর্থঃ ইয়া আল্লাহ! আপনার কাছে ঐ কল্যাণ চাই, যা আপনার বান্দা ও নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) আপনার কাছে প্রার্থনা করেছেন। ইয়া আল্লাহ! আপনার কাছে জান্নাত চাই। আর চাই ঐ সকল কথা ও কাজের তাওফীক, যা তার কাছে নিয়ে যায়। আর প্রার্থনা করি, আপনার সকল ফয়সালা আমার জন্য কল্যাণকর করুন এবং প্রার্থনা করি, আমার বিষয়ে আপনার যা কিছু ফয়সালা তার পরিণাম শুভ করুন।৭৩

  • ৩৮৯. দু‘আ-৭৫

    اَللّٰهُمَّ أَحْسِنْ عَاقِبَتَنَا فِيْ الْأُمُوْرِ كُـلِّهَا، وَأَجِرْنَا مِنْ خِزْيِ الدُّنْيَا وَعَذَابِ الْاٰخِرَةِ.

    অর্থঃ ইয়া আল্লাহ! সকল বিষয়ে আমাদের পরিণাম সুন্দর করুন এবং দুনিয়ার লাঞ্ছনা ও আখিরাতের আযাব হতে আমাদের নিরাপদ রাখুন।৭৪

  • ৩৯০. দু‘আ-৭৬

    اَللّٰهُمَّ احْفَظْنِيْ بِالْإِسْلَامِ قَآئِمًا، وَاحْفَظْنِيْ بِالْإِسْلَامِ قَاعِدًا، وَاحْفَظْنِيْ بِالْإِسْلَامِ رَاقِدًا، وَلَا تُشْمِتْ بِيْ عَدُوًّا وَّلَا حَاسِدًا.اَللّٰهُمَّ إِنِّيْۤ أَسْأَ لُكَ مِنْ كُلِّ خَيْرٍ خَزَآئِنُهٗ بِيَدِكَ ، وَأَسْأَلُكَ مِنَ الْخَيْرِ الَّذِيْ هُـوَ بِيَدِكَ كُـلِّه.

    অর্থঃ ইয়া আল্লাহ! আমাকে ইসলামের সাথে রাখুন দাঁড়ানো অবস্থায়, ইসলামের সাথে রাখুন বসা অবস্থায়, ইসলামের সাথে রাখুন শায়িত অবস্থায়।৭৫ আর আমার বিপদে আনন্দিত হওয়ার সুযোগ দিয়েন না কোনো দুশমনকে আর না কোনো হিংসুককে। ইয়া আল্লাহ! আমি আপনার কাছে ঐ সকল কল্যাণ চাই, যার খাযানা আপনার কুদরতী হাতে এবং আপনার কাছে ঐ কল্যাণও চাই, যা সম্পূর্ণই আপনার কুদরতী হাতে।৭৬

  • ৩৯১. দু‘আ-৭৭

    اَللّٰهُمَّ لَا تَدَعْ لَـنَا ذَنْۢبًا إِلَّا غَفَرْتَهٗ، وَلَا هَمًّا إِلَّا فَرَّجْتَهٗ وَلَا دَيْنًا إِلَّا قَضَيْتَهٗ، وَلَا حَاجَةً مِّنْ حَوَآ ئِجِ الدُّنْيَا وَالْاٰخِرَةِ إِلَّا قَضَيْتَهَا يَاۤ أَرْحَمَ الرَّاحِمِيْنَ.

    অর্থঃ ইয়া আল্লাহ! আমাদের সকল গুনাহ ক্ষমা করুন, সকল দুশ্চিন্তা দূর করুন, সকল ঋণ পরিশোধ করুন আর দুনিয়া-আখিরাতের সকল প্রয়োজন পূরণ করুন। হে সব দয়ালুর বড় দয়ালু! ৭৭

  • ৩৯২. দু‘আ-৭৮

    اَللّٰهُمَّ أَعِنَّا عَلٰى ذِكْرِكَ وَ شُكْرِكَ وَحُسْنِ عِبَادَ تِكَ.

    অর্থঃ ইয়া আল্লাহ! আমাদের সাহায্য করুন আপনার স্মরণ, আপনার শোকর ও আপনার সুন্দর বন্দেগীর জন্য।৭৮

  • ৩৯৩. দু‘আ-৭৯

    اَللّٰهُمَّ قَنِّعْنِيْ بِمَا رَزَقْتَنِيْ وَبَارِكْ لِيْ فِيْهِ وَاخْلُفْ عَلٰى كُلِّ غَآئِبَةٍ لِّيْ بِخَيْرٍ.

    অর্থঃ ইয়া আল্লাহ! আপনি যা দান করেছেন তাতে আমাকে সন্তুষ্ট রাখুন এবং আমার জন্য তাতে বরকত রাখুন। আর যা আমার দৃষ্টির বাইরে তাতে কল্যাণের সাথে আমার রক্ষক হোন।৭৯

  • ৩৯৪. দু‘আ-৮০

    اَللّٰهُمَّ إِنِّۤيْ أَسْأَلُكَ عِيْشَةً نَّقِيَّةً وَّمِيْتَةً سَوِيَّةً، وَمَرَدًّا غَيْرَ مَخْزِيٍّ وَّلَا فَاضِحٍ.

    অর্থঃ ইয়া আল্লাহ! আমি আপনার কাছে প্রার্থনা করি, নির্মল জীবন, নিখুঁত মরণ এবং লজ্জা ও লাঞ্ছনামুক্ত প্রত্যাবর্তন।৮০

  • ৩৯৫. দু‘আ-৮১

    اَللّٰهُمَّ إِنِّيْ ضَعِيْفٌ فَقَوِّ فِيْ رِضَاكَ ضُعْفِيْ ، وَخُذْ إِلَى الْخَيْرِ بِنَاصِيَتِىْ، وَاجْعَلِ الْإِسْلَامَ مُنْتَهٰى رِضَآئِـيْ، وَإِنِّيْ ذَلِيْلٌ فَأَعِزَّنِىْ، وَإِنِّيْ فَقِيْرٌ فَارْزُقْنِيْ .

    অর্থঃ ইয়া আল্লাহ! আমি দুর্বল। আপনার রেযামন্দির বিষয়ে শক্তিতে পরিণত করুন আমার দুর্বলতাকে। আমাকে ঝুটি ধরে কল্যাণের দিকে আকর্ষণ করুন। ইসলামকেই আমার পরম সন্তুষ্টির বিষয় করুন। আমি তো হীন, আমাকে মর্যাদা দিন। আমি তো ভিখারী, আমাকে রিযিক দিন।৮১

  • ৩৯৬. দু‘আ-৮২

    اَللّٰهُمَّ إِنِّيْۤ أَسْأَلُكَ خَيْرَ الْمَسْأَلَةِ وَخَيْرَالدُّعَآءِ وَخَيْرَ النَّجَاحِ وَخَيْرَ الْعَمَلِ وَخَيْرَ الثَّوَابِ وَخَيْرَ الْحَيَاةِ وَخَيْرَ الْمَمَاتِ، وَثَبِّتْنِيْ وَثَقِّلْ مَوَازِيْنِيْ، وَحَقِّقْ إِيْمَانِيْ وَارْفَعْ دَرَجَتِيْ وَتَقَبَّلْ صَلٰوتِيْ، وَأَسْأَلُكَ الدَّرَجَاتِ الْعُلٰى مِنَ الْجَنَّةِ، اٰمِيْنَ. اَللّٰهُمَّ إِنِّيْۤ أَسْأَلُكَ فَوَاتِحَ الْخَيْرِوَخَوَاتِمَهٗ وَجَوَامِعَهٗ وَأَوَّلَهٗ وَاٰخِرَهٗ وَظَاهِرَهٗ وَبَاطِنَه. اَللّٰهُمَّ إِنِّيْۤ أَسْأَلُكَ خَيْرَ مَاۤ اٰتِيْ وَخَيْرَمَاۤ أَفْعَلُ ، وَخَيْرَ مَاۤ أَعْمَلُ، وَخَيْرَ مَا بَطَنَ ، وَخَيْرَ مَا ظَهَرَ.

    অর্থঃ ইয়া আল্লাহ! আমি আপনার কাছে চাই উত্তম প্রার্থনা, উত্তম দু‘আ ও শ্রেষ্ঠ সাফল্য; উৎকৃষ্ট কর্ম ও উত্তম প্রতিদান; কল্যাণপূর্ণ জীবন ও কল্যাণময় মৃত্যু। আমাকে অবিচল রাখুন ও আমার নেকির পাল্লা ভারী করুন। আমার ঈমানকে সত্য করুন ও আমার মর্তবা বুলন্দ করুন। আর কবুল করুন আমার নামায। আমি আপনার কাছে চাই জান্নাতের বুলন্দ মাকাম। আমীন।৮২ ইয়া আল্লাহ! আপনার কাছে প্রার্থনা করি কল্যাণের সূচনাসমূহ ও সমাপ্তিসমূহ এবং কল্যাণগর্ভ বিষয়সমূহ এবং প্রার্থনা করি প্রথম কল্যাণ ও শেষ কল্যাণ; প্রকাশ্য ও অপ্রকাশ্য কল্যাণ।৮৩ ইয়া আল্লাহ! আপনার কাছে সকল কাজে কল্যাণ চাই, যা আমি সম্পন্ন করি অঙ্গের দ্বারা কিংবা অন্তর দ্বারা এবং ঐ বিষয়ের কল্যাণ, যা প্রকাশিত এবং ঐ বিষয়েরও, যা অপ্রকাশিত।৮৪

  • ৩৯৭. দু‘আ-৮৩

    اَللّٰهُمَّ اجْعَلْ أَوْسَعَ رِزْقِكَ عَلَيَّ عِنْدَ كِبَرِ سِنِّيْ وَانْقِطَاعِ عُمُرِيْ .

    অর্থঃ ইয়া আল্লাহ! আমার জন্য নির্ধারিত আপনার প্রশস্ততম রিযিক আমাকে দিন বার্ধক্যে ও জীবন-সায়াহ্নে।৮৫

  • ৩৯৮. দু‘আ-৮৪

    اَللّٰهُمَّ اجْعَلْ خَيْرَ عُمُرِيْ اٰخِرَهٗ وَخَيْرَ عَمَلِيْ خَوَاتِمَهٗ، وَخَيْرَ أَيَّامِيْ يَوْمَ أَلْقَاكَ فِيْهِ، يَا وَلِيَّ الْإِسْلَامِ وَأَهْلِه ! ثَبِّتْنِيْ بِه حَتّٰى أَلْقَاكَ. أَسْأَلُكَ غِنَايَ وَغِنٰى مَوْلَايَ.

    অর্থঃ ইয়া আল্লাহ! আমার জীবনের সর্বোত্তম অংশ করুন সর্বশেষ অংশ এবং আমার সর্বোত্তম কর্ম করুন আমার শেষের কর্ম আর আমার সর্বোত্তম দিন যেন হয় ঐ দিনটি, যেদিন আপনার সাথে মিলিত হব।৮৬ হে সহায় ইসলাম ও মুসলমানের! আমাকে ইসলামের উপর অটল রাখুন আপনার সাথে মিলিত হওয়া পর্যন্ত।৮৭ আপনার কাছে প্রার্থনা করছি আমার ও আমার সংশ্লিষ্টদের তুষ্টি ও পরিতুষ্টি। (যার দ্বারা না আমি কারো মুখাপেক্ষী থাকব, না আমার সংশ্লিষ্টরা)।

  • ৩৯৯. দু‘আ-৮৫

    اَللّٰهُمَّ إِنِّيْۤ أَعُوْذُبِكَ مِنْ سُوْٓءِ الْعُمُرِ وَ فِتْنَةِ الصَّدْرِ، و َأَعُوْذُ بِعِزَّتِكَ ــ لَاۤ إِلٰهَ إِلَّاۤ أَنْتَ ــ أَنْ تُضِلَّنِيْ، وَمِنْ جَهْدِ الْبَلَآءِ وَ دَرَكِ الشَّقَآءِ، وَ سُوْٓءِ الْقَضَآءِ، وَشَمَاتَةِ الْأَعْدَآءِ، وَمِنْ شَرِّ مَاعَمِلْتُ وَمِنْ شَرِّ مَا لَمْ أَعْمَلْ، وَمِنْ شَرِّ مَاعَلِمْتُ وَمِنْ شَرِّ مَا لَمْ أَعْلَمْ، وَ مِنْ زَوَالِ نِعْمَتِكَ وَتَحَوُّلِ عَافِيَتِكَ، وَفُجَآءَةِ نِقْمَتِكَ وَجَمِيْعِ سَخَطِكَ، وَمِنْ شَرِّ سَمْعِيْ وَمِنْ شَرِّ بَصَرِيْ، وَمِنْ شَرِّ لِسَانِيْ وَمِنْ شَرِّ قَلْبِيْ، وَمِنْ شَرِّ مَنِيِّيْ، وَمِنَ الْفَاقَةِ، وَمِنْ أَنْ أَظْلِمَ أَوْ أُظْلَمَ، وَمِنَ الْهَدَمِ، وَمِنَ التَّرَدِّيْ، وَمِنَ الْغَرَقِ وَالْحَرَقِ، وَأَنْ يَّتَخَبَّطَنِيْ الشَّيْطَانُ عِنْدَ الْمَوْتِ، وَمِنْ أَنْ أَمُوْتَ فِيْ سَبِيْلِكَ مُدْبِرًا وَّ أَنْ أَمُوْتَ لَدِيْغًا.

    অর্থঃ ইয়া আল্লাহ! আপনার কাছে আশ্রয় নিচ্ছি কল্যাণহীন জীবন থেকে ও অন্তরের ফিতনা থেকে এবং আপনার প্রতাপের ছায়ায় আশ্রয় নিচ্ছি - নেই কোনো মাবুদ আপনি ছাড়া - আমাকে পথভ্রষ্ট কোরেন না। (আশ্রয় চাই) কঠিন বিপদ থেকে, দুর্ভাগ্যের শিকার হওয়া থেকে, মন্দ ভাগ্য থেকে, শত্রুকুলের তৃপ্তির হাসি থেকে, আমার কৃত ও অকৃতকর্মের অনিষ্ট থেকে, আমার জানা-অজানা বিষয়াদির অনিষ্ট থেকে, আপনার নেয়ামত উঠে যাওয়া থেকে, আপনার সুরক্ষা ঘুরে যাওয়া থেকে, আপনার অতর্কিত শাস্তি থেকে এবং আপনার সকল অসন্তুষ্টি থেকে। (আমি পানাহ চাই) আমার শ্রবণশক্তি ও দৃষ্টিশক্তির অনিষ্ট থেকে, আমার জিহ্বা ও অন্তঃকরণের অনিষ্ট থেকে এবং আমার বীর্যের অনিষ্ট থেকে। (অর্থাৎ অবৈধ যৌনাচার থেকে।) (আমি পানাহ চাই) অনাহার থেকে, জালিম বা মজলুম হওয়া থেকে, চাপা পড়া, উপর থেকে পড়ে যাওয়া, ডুবে যাওয়া ও অগ্নিদগ্ধ হওয়া থেকে। (আমি পানাহ চাই) মৃত্যুর সময় শয়তানের দ্বারা বিভ্রান্ত হওয়া থেকে, জিহাদ থেকে পলায়নরত অবস্থায় মরণ থেকে এবং দংশিত হয়ে মৃত্যুবরণ থেকে।৮৮

  • ৪০০. দু‘আ-৮৬

    اَللّٰهُمَ اجْعَلْنِيْ صَبُوْرًا وَّ اجْعَلْنِيْ شَكُوْرًا، وَاجْعَلْنِيْ فِيْ عَيْنِيْ صَغِيْرًا وَّفِيْۤ أَعْيُنِ النَّاسِ كَبِيْرًا.

    অর্থঃ ইয়া আল্লাহ! আমাকে বড় সবরকারী বানিয়ে দিন এবং শোকরকারী বানিয়ে দিন। (যেন সকল বিপদে সবর করি এবং সকল নেয়ামতের শোকর করি) আর আমাকে আমার দৃষ্টিতে ছোট ও মানুষের দৃষ্টিতে বড় বানিয়ে দিন।

 

  • ৪০১. দু‘আ-৮৭

    اَللّٰهُمَّ ضَعْ فِيْۤ أَرْضِنَا بَرَكَتَهَا وَزِيْنَتَهَا وَسَكَنَهَا، وَلَا تَحْرِمْنِيْ بَرَكَة َ مَاۤ أَعْطَيْتَنِيْ، وَلَا تَفْتِنِّيْ فِيْمَاۤ أَحْرَمْتَنِيْ.

    অর্থঃ ইয়া আল্লাহ! আমাদের মাটিতে প্রাচুর্য দিন। শোভা ও শ্যামলিমা দিন এবং শান্তি ও নিরাপত্তা দিন। যা কিছু আমাকে দান করেছেন, তার বরকত থেকে আমাকে বঞ্চিত কোরেন না। আর যা কিছু থেকে আমাকে বঞ্চিত করেছেন, তার বিষয়ে আমাকে পরীক্ষাগ্রস্ত কোরেন না।৯০

  • ৪০২. দু‘আ-৮৮

    اَللّٰهُمَّ أَحْسَنْتَ خَلْقِيْ فَأَحْسِنْ خُلُقِيْ، وَأَذْهِبْ غَيْظَ قَلْبِيْ، وَأَجِرْنِيْ مِنْ مُضِلَّاتِ الْفِتَنِ مَاۤ أَحْيَيْتَنَا.

    অর্থঃ ইয়া আল্লাহ! আপনি যেমন আমাকে সুন্দর আকৃতি দিয়েছেন, সুন্দর চরিত্রও দান করুন। আমার অন্তরের ক্ষোভ দূর করে দিন এবং যতদিন আমাদের জীবিত রাখেন পথভ্রষ্টকারী ফিতনাসমূহ থেকে আমাকে রক্ষা করুন।৯১

  • ৪০৩. দু‘আ-৮৯

    اَللّٰهُمَّ لَقِّنِّيْ حُجَّةَ الْإِيْمَانِ عِنْدَ الْمَمَاتِ .

    অর্থঃ ইয়া আল্লাহ! মওতের সময় আমাকে ঈমানের দলীল পড়িয়ে দিয়েন।৯২

  • ৪০৪. দু‘আ-৯০

    رَبِّ اَسْأَلُكَ خَيْرَ مَا فِيْ هٰذَا الْيَوْمِ وَخَيْرَ مَا بَعْدَهٗ.

    অর্থঃ পরওয়ারদেগার! আপনার কাছে প্রার্থনা করি আজকের এই দিনে যা কিছু আছে তার কল্যাণ এবং যা এর পরে আছে তারও কল্যাণ।

  • ৪০৫. দু‘আ-৯১

    اَللّٰهُمَّ إِنِّيْۤ أَسْأَلُكَ خَيْرَ هٰذَا الْيَوْمِ وَفَتْحَهٗ وَنَصْرَهٗ وَنُوْرَهٗ وَبَرَكَتَهٗ وَهُدَاهٗ .

    অর্থঃ ইয়া আল্লাহ! আপনার কাছে প্রার্থনা করি, আজকের এই দিবসের কল্যাণ, এর বিজয় ও সাহায্য, আলো ও প্রাচুর্য এবং এর সুপথপ্রাপ্তি।

  • ৪০৬. দু‘আ-৯২

    اَللّٰهُمَّ إِنِّيْۤ أَسْأَلُكَ الْعَفْوَ وَالْعَافِيَةَ فِيْ دِيْنِيْ وَدُنْيَايَ وَأَهْلِيْ وَمَالِيْ. اَللّٰهُمَّ اسْتُرْ عَوْرَاتِيْ وَاۤمِنْ رَوْعَاتِيْ. اَللّٰهُمَّ احْفَظْنِيْ مِنْۢ بَيْنِ يَدَيَّ وَمِنْ خَلْفِيْ، وَعَنْ يَّمِيْنِيْ وَعَنْ شِمَالِيْ وَمِنْ فَوْقِيْ، وَأَعُوْذُ بِعَظَمَتِكَ أَنْ أُغْتَالَ مِنْ تَحْتِيْ .

    অর্থঃ ইয়া আল্লাহ! আপনার কাছে প্রার্থনা করি ক্ষমা ও নিরাপত্তা আমার দ্বীনের জন্য, দুনিয়ার জন্য, পরিজন ও সম্পদের জন্য। ইয়া আল্লাহ! আমার দোষ আবৃত করুন এবং ভীতিকে নিরাপত্তার দ্বারা বদলে দিন। ইয়া আল্লাহ! আমাকে রক্ষা করুন আমার সামনে থেকে, পিছন থেকে, ডান থেকে, বাম থেকে এবং উপর থেকে (অর্থাৎ সম্ভাব্য সকল দিক থেকে)। আর আপনার বড়ত্বের দোহাই, আমি আশ্রয় চাই অতর্কিত নীচের দিক হতে আক্রান্ত হওয়া থেকে (অর্থাৎ দুনিয়া-আখিরাতের কোথাও যেন অতর্কিত শাস্তি ও বিপদের মুখোমুখি না হই)।৯৩

  • ৪০৭. দু‘আ-৯৩

    يَا حَيُّ! يَا قَيُّوْمُ! بِرَحْمَتِكَ أَسْتَغِيْثُ، أَصْلِحْ لِيْ شَأْنِيْ كُـلَّهٗ، ولَا تَكِلْـنِيْ إِلٰى نَفْسِيْ طَرْفَةَ عَيْنٍ.

    অর্থঃ ইয়া হাইউ! ইয়া কাইয়ূমু! আপনার রহম-করমের তোফায়েলে ফরিয়াদ, আমার জন্য দুরস্ত করে দিন আমার সকল কিছু আর আমাকে এক লমহার জন্যও ছেড়ে দিয়েন না আমার নিজের দায়িত্বে।৯৪

  • ৪০৮. দু‘আ-৯৪

    أَسْأَلُكَ بِنُوْرِ وَجْهِكَ الَّذِيْۤ أَشْرَقَتْ لَهُ السَّمٰوٰتُ وَالأَرْضُ، وَبِكُلِّ حَقٍّ هُوَ لَكَ، وَبِحَقِّ السَّآئِلِيْنَ عَلَيْكَ أَنْ تُقِيْلَنِيْ وَأَنْ تُجِيْرَنِيْ مِنَ النَّارِ بِقُدْرَتِكَ.

    অর্থঃ আপনার কাছে প্রার্থনা করছি আপনার ঐ নূরে ওয়াজহের (জ্যোতির) অসিলায়, যার দ্বারা আকাশমণ্ডলী ও পৃথিবী আলোকপ্রাপ্ত হয়েছে এবং আপনার সকল অধিকারের অসিলায়, আর আপনার উপর ভিখারীদলের যে অধিকার তার অসিলায় আমাকে ক্ষমা করুন এবং নিজ কুদরতে জাহান্নামের আগুন থেকে আমাকে রক্ষা করুন।৯৫

  • ৪০৯. দু‘আ-৯৫

    اَللّٰهُمَّ اجْعَلْ أَوَّلَ هٰذَا النَّهَارِ صَلَاحًا، وَأَوْسَطَهٗ فَلَاحًا، وَاٰخِرَهٗ نَجَاحًا. أَسْأَلُكَ خَيْرَ الدُّنْيَا وَالْاٰخِرَةِ يَاۤ أَرْحَمَ الرَّاحِمِيْنَ.

    অর্থঃ ইয়া আল্লাহ! এই দিবসের প্রথম অংশ আমার জন্য ‘পুণ্যময়’ করুন। মাঝের অংশ ‘সফল’ ও শেষের অংশ ‘সার্থক’ করুন। হে সকল দয়ালুর বড় দয়ালু! আমি আপনার কাছে প্রার্থনা করছি দুনিয়া-আখিরাত (উভয়ের) কল্যাণ।৯৬

  • ৪১০. দু‘আ-৯৬

    اَللّٰهُمَّ اغْفِرْلِيْ ذَنْۢبِيْ وَاخْسَأْ شَيْطَانِيْ وَفُكَّ رِهَانِيْ، وَثَقِّلْ مِيْزَانِيْ، وَاجْعَلْنِيْ فِيْ النَّدِيِّ الْأَعْلٰى.

    অর্থঃ ইয়া আল্লাহ! আমার গুনাহ মাফ করুন, আমার শয়তানকে বিতাড়িত করুন, আমার বন্ধন খুলে দিন, (অর্থাৎ যা কিছু আমাকে গুনাহের সাথে আবদ্ধ রেখেছে তা থেকে আমাকে মুক্ত করুন। আমার (আমলের) পাল্লা ভারী করে দিন এবং আমাকে উচ্চ মহলে (আল্লাহর মকবুল বান্দাদের) অন্তর্ভুক্ত করুন।৯৭

  • ৪১১. দু‘আ-৯৭

    اَللّٰهُمَّ قِنِيْ عَذَابَكَ يَوْمَ تَبْعَثُ عِبَادَكَ.

    অর্থঃ ইয়া আল্লাহ! যেদিন পুনরায় আপন বান্দাদের জীবিত করবেন সেদিন আমাকে আযাব থেকে রক্ষা কোরেন। (কারণ, ঐ দিনের সুরক্ষাই প্রকৃত সুরক্ষা)।

  • ৪১২. দু‘আ-৯৮

    اَللّٰهُمَّ رَبَّ السَّمٰوٰتِ السَّبْعِ وَمَاۤ أَظَلَّتْ! وَرَبَّ الْأَرَضِيْنَ وَمَاۤ أَقَلَّتْ! وَرَبَّ الشَّيَاطِيْنِ وَمَاۤ أَضَلَّتْ! كُنْ لِيْ جَارًا مِّنْ شَرِّ خَلْقِكَ أَجْمَعِيْنَ أَنْ يَّفْرُطَ عَلَيَّ أَحَدٌ مِّنْهُمْ أَوْ أَنْ يَّطْغٰى عَزَّ جَارُكَ وَتَـبَارَكَ اسْمُكَ .

    অর্থঃ ইয়া আল্লাহ! হে মালিক সপ্ত আকাশের আর তার ছায়ায় থাকা সবকিছুর! হে মালিক ভূমিসমূহের আর তার উপরে থাকা সবকিছুর! হে প্রভু শয়তানকুলের আর যাদের এরা বিপথগামী করেছে তাদের! আপনি আমার রক্ষাকারী থাকুন আপনার সকল সৃষ্টির অকল্যাণ থেকে, তাদের কারো অন্যায় বা অবিচারের শিকার হওয়া থেকে। সুরক্ষিত সে যে আপনার আশ্রিত আর প্রভূত বরকতময় আপনার নাম।৯৮

  • ৪১৩. দু‘আ-৯৯

    لَاۤ إِلٰهَ إِلَّاۤ أَنْتَ لَا شَرِيْكَ لَكَ سُبْحَانَكَ، اَللّٰهُمَّ إِنِّيْۤ أَسْتَغْفِرُكَ لِذَنْۢبِيْ وَأَسْأَلُكَ رَحْمَتَكَ .

    অর্থঃ আপনি ছাড়া কোন মাবুদ নেই, আপনার কোনো শরীক নেই, আপনি পবিত্র মহান।৯৯ ইয়া আল্লাহ! আপনার কাছে ক্ষমা চাই আমার সকল গুনাহ থেকে, আর আপনার কাছে চাই আপনার করুণা।

  • ৪১৪. দু‘আ-১০০

    اَللّٰهُمَّ اغْفِرْ لِيْ ذَنْبِيْ، وَوَسِّـعْ لِيْ فِيْ دَارِيْ وَبَارِكْ لِيْ فِيْ رِزْقِيْ .

    অর্থঃ ইয়া আল্লাহ! আমার গুনাহ মাফ করুন, আমার ঘরে প্রশস্ততা দিন, আর আমার রিযিকে বরকত দিন।১০০

  • ৪১৫. দু‘আ-১০১

    اَللّٰهُمَّ اجْعَلْنِيْ مِنَ التَّوَّابِيْنَ، وَاجْعَلْنِيْ مِنَ الْمُتَطَهِّرِيْنَ.

    অর্থঃ ইয়া আল্লাহ! আমাকে শামিল করুন বারবার তাওবাকারীদের মাঝে এবং শামিল করুন উত্তমরূপে পবিত্রতা অর্জনকারীদের মাঝে।

  • ৪১৬. দু‘আ-১০২

    اَللّٰهُمَّ اغْفِرْ لِيْ وَاهْدِنِيْ، وَارْزُقْنِيْ وَعَافِنِيْ، وَاهْدِنِيْ لِمَا اخْتُلِفَ فِيْهِ مِنَ الْحَقِّ بِإِذْنِكَ.

    অর্থঃ ইয়া আল্লাহ! আমাকে মাফ করুন, আমাকে হেদায়েত দিন, আমাকে রিযিক দিন, আমাকে আফিয়াত (সুস্থতা ও নিরাপত্তা) দিন এবং যে সত্যের বিষয়ে মতভেদ করা হয়, তাতে আমাকে আপনার দয়ায় সঠিক পথ প্রদর্শন করুন।১০১

  • ৪১৭. দু‘আ-১০৩

    اَللّٰهُمَّ اجْعَلْ فِيْ قَلْبِيْ نُوْرًا، وَفِيْ بَصَرِيْ نُوْرًا، وَفِيْ سَمْعِيْ نُوْرًا، وَعَنْ يَّمِيْنِيْ نُوْرًا، وَعَنْ شِمَالِيْ نُوْرًا، وَمِنْ خَلْفِيْ نُوْرًا، وَمِنْ أَمَامِيْ نُوْرًا، وَاجْعَلْ لِيْ نُوْرًا، وَفِيْ عَصَبِيْ نُوْرًا، وَفِيْ لَحْمِيْ نُوْرًا، وَفِيْ دَمِيْ نُوْرًا، وَفِيْ شَعْرِيْ نُوْرًا، وَفِيْ بَشَرِيْ نُوْرًا، وَفِيْ لِسَانِيْ نُوْرًا، وَاجْعَلْ فِيْ نَفْسِيْ نُوْرًا، وَأَعْظِمْ لِيْ نُوْرًا، وَاجْعَلْنِيْ نُوْرًا، وَاجْعَلْ مِنْ فَوْقِيْ نُوْرًا،

    وَ مِنْ تَحْتِيْ نُوْرًا، اَللّٰهُمَّ اَعْطِنِيْ نُوْرًا.

    অর্থঃ ইয়া আল্লাহ! আলো দিন আমার অন্তরে, আলো দিন আমার দৃষ্টিতে, আলো দিন আমার শ্রবণশক্তিতে, আলো দিন আমার ডানে, আলো দিন আমার বামে, আলো দিন আমার পিছনে, আলো দিন আমার সামনে, আলো দিন আমাকে এক বিশেষ আলো, আলো দিন আমার ধমনীতে, আলো দিন আমার গোশতে, আলো দিন আমার রক্তে, আলো দিন আমার চুলে, আলো দিন আমার চামড়ায়, আলো দিন আমার জিহ্বায়, আলো দিন আমার প্রাণে, আলো দিন আমাকে - বড় আলো, পরিণত করুন আমাকে আলোতে, আলো দিন আমার উপরে, আলো দিন আমার নীচে, ইয়া আল্লাহ! আমাকে আলো দিন।১০২

  • ৪১৮. দু‘আ-১০৪

    اَللّٰهُمَّ افْتَحْ لَنَاۤ أَبْوَابَ رَحْمَتِكَ، وَسَهِّلْ لَنَاۤ أَبْوَابَ رِزْقِكَ.

    অর্থঃ ইয়া আল্লাহ! আমাদের জন্য আপনার রহমতের দরজাসমূহ খুলে দিন আর আমাদের রিযিকের উপায়সমূহ আমাদের জন্য সহজ করে দিন।

  • ৪১৯. দু‘আ-১০৫

    اَللّٰهُمَّ اعْصِمْنِيْ مِنَ الشَّيْطَانِ.

    অর্থঃ ইয়া আল্লাহ! আমাকে শয়তান থেকে নিরাপদ রাখুন।১০৩

  • ৪২০. দু‘আ-১০৬

    اَللّٰهُمَّ إِنِّيْۤ أَسْأَ لُكَ مِنْ فَضْلِكَ.

    অর্থঃ ইয়া আল্লাহ! আমি আপনার কাছে দয়া ও দান প্রার্থনা করছি।

 

  • ৪২১. দু‘আ-১০৭

    اَللّٰهُمَّ اغْفِرْ لِيْ خَطَايَايَ وَذُنُوْبِيْ كُـلَّهَا. اَللّٰهُمَّ انْعَشْنِيْ وَأَحْيِنِيْ وَارْزُقْنِيْ، وَاهْدِنِيْ لِصَالِحِ الْأَعْمَالِ وَالْاَخْلَاقِ، إِنَّهٗ لَا يَهْدِيْ لِصَالِحِهَا وَلَا يَصْرِفُ سَيِّئَهَاۤ إِلَّا أَنْتَ.

    অর্থঃ ইয়া আল্লাহ! আমার সকল ভ্রান্তি ও পাপ ক্ষমা করুন। ইয়া আল্লাহ! আমাকে উচ্চতা দিন, আমাকে জীবিত রাখুন, আমাকে রিযিক দান করুন এবং আমাকে উত্তম কর্ম ও চরিত্রের পথনির্দেশ দান করুন। নিশ্চয়ই শুধু আপনিই দেখান উত্তম কর্ম ও চরিত্রের পথ এবং শুধু আপনিই রক্ষা করেন গর্হিত কর্ম ও চরিত্র থেকে।

  • ৪২২. দু‘আ-১০৮

    اَللّٰهُمَّ إِنِّيْۤ أَسْأَلُكَ رِزْقًا طَيِّبًا وَّعِلْمًا نَّافِعًا وَّعَمَلًا مُّتَقَبَّلًا.

    অর্থঃ ইয়া আল্লাহ! আপনার কাছে চাই পবিত্র রিযিক, উপকারী ইলম ও মাকবুল আমল।১০৫

  • ৪২৩. দু‘আ-১০৯

    اَللّٰهُمَّ إِنِّيْ عَبْدُكَ وَابْنُ عَبْدِكَ وَابْنُ أَمَتِكَ، نَاصِيَتِيْ بِيَدِكَ، مَاضٍ فِيَّ حُكْمُكَ، عَدْلٌ فِيَّ قَضَآؤُكَ، أَسْأَلُكَ بِكُلِّ اسْمٍ هُوَ لَكَ، سَمَّيْتَ بِه نَفْسَكَ أَوْ أَنْزَلْتَهٗ فِيْ كِتَابِكَ، أَوْعَلَّمْتَهٗۤ أَحَدًا مِّنْ خَلْقِكَ، أَوِ اسْتَأْثَرْتَ بِه فِيْ عِلْمِ الْغَيْبِ عِنْدَكَ، أَنْ تَجْعَلَ الْقُرْاٰنَ الْعَظِيْمَ رَبِيْعَ قَلْبِيْ وَنُوْرَ بَصَرِيْ، وَجِلَآءَ حُزْنِيْ، وَذَهَابَ هَمِّىْ.

    অর্থঃ ইয়া আল্লাহ! আমি আপনার দাস, পুত্র আপনার দাসের, পুত্র আপনার দাসীর। আমার ঝুঁটি (পূর্ণ সত্তা) আপনার কব্জায়। আমার উপর আপনার বিধানই কার্যকর। আমার সম্পর্কে আপনার ফয়সালা সম্পূর্ণ ন্যায়সঙ্গত। আমি আপনার সকল নামের তোফায়েলে যা দ্বারা নিজেকে আপনি গুণান্বিত করেছেন কিংবা আপন কিতাবে নাযিল করেছেন কিংবা নিজের কোনো সৃষ্টিকে শিক্ষা দিয়েছেন কিংবা আপনার কাছেই গোপন রেখেছেন, প্রার্থনা করছি, মহিমান্বিত কুরআনকে করুন আমার হৃদয়ের বসন্ত, আমার চোখের জ্যোতি, আমার বেদনার মলম ও আমার দুশ্চিন্তার উপশম।১০৬

  • ৪২৪. দু‘আ-১১০

    اَللّٰهُمَّ إِلٰهَ جِبْرَئِيْلَ وَمِيْكَآئِيْلَ وَإِسْرَافِيْلَ! وَإِلٰهَ إِبْرَاهِيْمَ وَإِسْمَاعِيْلَ وَإِسْحٰقَ! عَافِنِيْ وَلَا تُسَلِّطَنَّ أَحَدًا مِّنْ خَلْقِكَ عَلَيَّ بِشَيْءٍ لَّا طَاقَةَ لِيْ بِه.

    অর্থঃ ইয়া আল্লাহ! জিবরাইল, মিকাইল ও ইসরাফীলের মাবুদ! ইবরাহীম, ইসমাইল ও ইসহাকের মাবুদ! আমাকে আফিয়াত (সুস্থতা ও নিরাপত্তা) দান করুন। আপনার কোনো সৃষ্টিকে আমার উপর এমন কিছুর সাথে আরোপ কোরেন না, যা বহন করার শক্তি আমার নেই।১০৭

  • ৪২৫. দু‘আ-১১১

    اَللّٰهُمَّ اكْفِنِيْ بِحَلَالِكَ عَنْ حَرَامِكَ، وَأَغْنِنِيْ بِفَضْلِكَ عَمَّنْ سِوَاكَ.

    অর্থঃ ইয়া আল্লাহ! আপনার হালাল রিযিকের মাধ্যমে আমাকে হারাম রুযি থেকে রক্ষা করুন এবং নিজ করুণায় আপনি ছাড়া আর সবার থেকে আমাকে বেনিয়ায করুন।১০৮

  • ৪২৬. দু‘আ-১১২

    اَللّٰهُمَّ إِنَّكَ تَسْمَعُ كَـلَامِيْ، وَتَرٰى مَكَانِيْ، وَتَعْلَمُ سِرِّيْ وَعَلَانِيَتِىْ، لَا يَخْفٰى عَلَيْكَ شَيْءٌ مِّنْ أَمْرِيْ، وَأَنَا الْبَآئِسُ الْفَقِيْرُ الْمُسْتَغِيْثُ الْمُسْتَجِيْرُ الْوَجِلُ الْمُشْفِقُ الْمُقِرُّ الْمُعْتَرِفُ بِذَنْبِىْ، أَسْأَلُكَ مَسْأَلَةَ الْمِسْكِيْنِ، وَأَبْتَهِلُ إِلَيْكَ ابْتِهَالَ الْمُذْنِبِ الذَّلِيْلِ، وَأَدْعُوْكَ دُعَآءَ الْخَآئِفِ الضَّرِيْرِ، وَدُعَآءَ مَنْ خَضَعَتْ لَكَ رَقَبَتُهٗ، وَفَاضَتْ لَكَ عَبْرَتُهٗ، وَذَلَّ لَكَ جِسْمُهٗ، وَرَغِمَ لَكَ أَنْفُهٗ. اَللّٰهُمَ لَا تَجْعَلْنِيْ بِدُعَآئِكَ شَقِيًّا، وَكُنْۢ بِيْ رَؤُوْفًا رَّحِيْمًا، يَا خَيْرَ الْمَسْؤُوْلِيْنَ! وَيَا خَيْرَ الْمُعْطِيْنَ! اَللّٰهُمَّ إِلَيْكَ أَشْكُوْ ضُعْفَ قُوَّتِيْ وَقِلَّةَ حِيْلَتِيْ وَهَوَانِيْ عَلَى النَّاسِ، يَاۤ أَرْحَمَ الرَّاحِمِيْنَ، إِلٰى مَنْ تَكِلُنِيْ؟ إِلٰى عَدُوٍّ يَـتَجَهَّمُنِيْ؟ أَمْ إِلٰى قَرِيْبٍ مَّلَّكْتَهٗ أَمْرِيْ؟ إِنْ لَّمْ تَكُنْ سَاخِطًا عَلَيَّ فَلَاۤ أُبَالِيْ غَيْرَ أَنَّ عَافِيَتَكَ أَوْسَعُ لِىْ.

    অর্থঃ ইয়া আল্লাহ! আপনি আমার কথা শুনছেন, আমার জায়গা (অবস্থান) দেখছেন, আমার গোপন ও প্রকাশ্য আপনার জানা, কোনো কিছুই আপনার অগোচর নয়। আমি তো দুর্দশাগ্রস্ত, মুখাপেক্ষী, ফরিয়াদী, আশ্রয়প্রার্থী, ভীত ও সন্ত্রস্ত, কৃতপাপ স্বীকারকারী। আপনার কাছে প্রার্থনা করছি নিঃস্ব ভিখারীর প্রার্থনা; আপনার সমীপে ক্রন্দন করছি তুচ্ছ পাপীর ক্রন্দন, আর আপনাকে ডাকছি ভীত ও বিপদগ্রস্তের ডাক এবং যেভাবে ঐ লোক ডাকে, যার গর্দান আপনার সমীপে অবনত, যার অশ্রু আপনার সম্মুখে প্রবাহিত, যার দেহ আপনার সম্মুখে লাঞ্ছিত আর যার নাক আপনার সামনে ধূলি-ধূসরিত। ইয়া আল্লাহ! আপনার কাছে প্রার্থনা আমাকে দুর্ভাগা সাব্যস্ত কোরেন না, আমার প্রতি হোন পরম দয়ালু ও মেহেরবান। হে শ্রেষ্ঠ প্রার্থনাস্থল! সকল দাতার শ্রেষ্ঠ দাতা! ইয়া আল্লাহ! আমি আপনার কাছে অভিযোগ করছি নিজের দুর্বলতার, উপায়হীনতার ও লোকের চোখে মর্যাদাহীনতার। হে সকল দয়াময়ের বড় দয়াময়! কার হাতে আমাকে সমর্পণ করছেন? কোনো দুশমনের হাতে, যে আমার উপর নির্যাতন করবে? কিংবা কোনো দোস্তের ইখতিয়ারে আমার সব কিছু অর্পণ করছেন? আপনি যদি আমার প্রতি নারাজ না হয়ে থাকেন, তবে এসবের কোনো কিছুরই পরোয়া আমার নেই। তবে আপনার নিরাপত্তাই আমার জন্য অধিক প্রশস্ততাপূর্ণ।১০৯

  • ৪২৭. দু‘আ-১১৩

    اَللّٰهُمَّ إِنَّا نَسْأَلُكَ قُلُوْبًا أَوَّاهَةً مُّخْبِتَةً مُّنِيْبَةً فِيْ سَبِيْلِكَ.

    অর্থঃ ইয়া আল্লাহ! আমরা আপনার কাছে প্রার্থনা করছি এমন অন্তর, যা হয় খুব বেদনাদীর্ণ, খুবই বিনম্র, এবং আপনার পথে রুজুকারী।১১০

  • ৪২৮. দু‘আ-১১৪

    اَللّٰهُمَّ إِنِّيْۤ أَسْأَلُكَ إِيْمَانًا يُّبَاشِرُ قَلْبِيْ وَيَقِيْنًا صَادِقًا حَتّٰىۤ أَعْلَمَ أَنَّهٗ لَا يُصِيْبُنِيْۤ إِلَّا مَا كَتَبْتَ لِيْ، وَرِضًى مِّنَ الْمَعِيْشَةِ بِمَا قَسَمْتَ لِيْ.

    অর্থঃ ইয়া আল্লাহ! আমি আপনার কাছে ঐ ঈমান চাই, যা আমার অন্তরে মিশে যায়, ঐ পাকা ইয়াকীন চাই, যার দ্বারা নিশ্চিত জানব যে, আমার শুধু তা-ই হতে পারে, যা আমার জন্য লিখে রেখেছেন। আর চাই জীবিকার উপর সন্তুষ্টি, যা আপনি আমার হিস্যায় রেখেছেন।১১১

  • ৪২৯. দু‘আ-১১৫

    اَللّٰهُمَّ لَكَ الْحَمْدُ كَالَّذِيْ تَقُوْلُ وَخَيْرًا مِّمَّا نَقُوْلُ.

    অর্থঃ ইয়া আল্লাহ! আপনারই জন্য সকল প্রশংসা, (যে প্রশংসা) আপনি যেমন বলেন তেমন আর আমরা যেমন বলি তার চেয়ে উত্তম।১১২

  • ৪৩০. দু‘আ-১১৬

    اَللّٰهُمَّ إِنِّيْۤ أَعُوْذُبِكَ مِنْ مُّنْكَرَاتِ الْأَخْلَاقِ وَالْأَعْمَالِ وَالْأَهْوَآءِ وَالْأَدْوَآءِ، وَنَعُوْذُ بِكَ مِنْ شَرِّ مَا اسْتَعَاذَ مِنْهُ نَبِيُّكَ مُحَمَّدٌ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَمِنْ جَارِ السُّوْٓءِ فِيْ دَارِ الْمُقَامَةِ، فَإِنَّ جَارَ الْبَادِيَةِ يَتَحَوَّلُ، وَ غَلَبَةِ الْعَدُوِّ، وَشَمَاتَةِ الْأَعْدَآءِ، وَمِنَ الْجُوْعِ، فَإِنَّهٗ بِئْسَ الضَّجِيْعُ، وَمِنَ الْخِيَانَةِ فَبِئْسَتِ الْبِطَانَةُ، وَأَنْ نَّرْجِعَ عَلٰىۤ أَعْقَابِنَا أَوْ نُفْتَنَ عَنْ دِيْنِنَا، وَمِنَ الْفِتَنِ مَا ظَهَرَ مِنْهَا وَمَا بَطَنَ، وَمِنْ يَوْمِ السُّوْٓءِ وَمِنْ لَّيْلَةِ السُّوْٓءِ، وَمِنْ سَاعَةِ السُّوْٓءِ، وَمِنْ صَاحِبِ السُّوْٓءِ.

    অর্থঃ ইয়া আল্লাহ! আপনার আশ্রয় নিচ্ছি মন্দ চরিত্র ও মন্দ কর্ম থেকে এবং মন্দ প্রবৃত্তি ও মন্দ রোগ থেকে। আমরা আপনার আশ্রয় নিচ্ছি ঐ সকল বিষয় থেকে, যা থেকে আপনার নবী মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আশ্রয় প্রার্থনা করেছেন এবং (আশ্রয় নিচ্ছি) আবাসস্থলের অসৎ পড়শি থেকে। কারণ, সফরের সঙ্গী তো কিছু সময় পর আলাদা হয়ে যায়। এবং (আশ্রয় নিচ্ছি) দুশমনের প্রাবল্য থেকে, শত্রুর তৃপ্তির হাসি থেকে, অনাহার থেকে। কারণ, সে তো মন্দ ‘শয্যাসঙ্গী’। (প্রচণ্ড ক্ষুধার সময় ঘুম কিভাবে আসবে? এ পাশ-ওপাশ করেই তো রাত কেটে যায়। এথেকে ক্ষুধাকে আরবী ভাষায় ‘শয্যাসঙ্গী’ কল্পনা করা হয়েছে।) খিয়ানত থেকে। কারণ, সে তো নিকৃষ্ট ‘পরামর্শক’। (আশ্রয় নিচ্ছি) পশ্চাদপসরণ থেকে এবং ফিতনায় নিপতিত হয়ে দীন থেকে বিচ্যুত হওয়া থেকে এবং প্রকাশ্য-অপ্রকাশ্য সকল ফিতনা থেকে এবং মন্দ দিবস ও মন্দ রজনী থেকে এবং মন্দ মুহূর্ত থেকে ও মন্দ সঙ্গী থেকে।১১৩

  • ৪৩১. দু‘আ-১১৭

    اَللّٰهُمَّ لَكَ صَلَاتِيْ وَنُسُكِيْ وَمَحْيَايَ وَمَمَاتِيْ، وَإِلَيْكَ مَاٰبِيْ، وَلَكَ رَبِّ تُرَاثِيْ.

    অর্থঃ ইয়া আল্লাহ! আপনারই জন্য আমার নামায, আমার ইবাদত, আমার জীবন, আমার মরণ। আর আপনারই দিকে আমার প্রত্যাবর্তন এবং আমার রেখে যাওয়া সবকিছু আপনারই।১১৪

  • ৪৩২. দু‘আ-১১৮

    اَللّٰهُمَّ اِنِّيْۤ اَسْأَلُكَ مِنْ خَيْرِ مَا تَجِيْٓءُ بِهِ الرِّيَاحُ.

    অর্থঃ ইয়া আল্লাহ! আপনার কাছে ঐ সকল বিষয়ের কল্যাণ চাই, যা বায়ুসমূহ নিয়ে আসে।১১৫

  • ৪৩৩. দু‘আ-১১৯

    اَللّٰهُمَّ اجْعَلْنِيْ أُعَظِّمُ شُكْرَكَ، وَأُكْثِرُ ذِكْرَكَ، وَأَتَّبِـعُ نَصِيْحَتَكَ وَأَحْفَظُ وَصِيَّتَكَ. اَللّٰهُمَّ إِنَّ قُلُوْبَنَا وَنَوَاصِيَنَا وَجَوَارِحَنَا بِيَدِكَ، لَمْ تُمَلِّكْنَا مِنْهَا شَيْئًا، فَإِذَا فَعَلْتَ ذٰلِكَ بِنَا فَكُنْ

    أَنْتَ وَلِيَّنَا، وَاهْدِنَاۤ إِلٰى سَوَآءِ السَّبِيْلِ.

    অর্থঃ ইয়া আল্লাহ! আমাকে এমন করুন যে, আপনার বড় শোকর করি, আপনার যিকির বেশি করি, আপনার উপদেশ মেনে চলি আর আপনার আদেশ মনে রাখি। ইয়া আল্লাহ! আমাদের হৃদয়, আমাদের ঝুঁটি ও আমাদের অঙ্গসমূহ আপনারই কব্জায়। এর কোনো কিছুর উপরই আমাদের ক্ষমতা দেননি। সুতরাং আপনি যখন আমাদের সাথে এ-ই করেছেন, তখন আপনিই হোন আমাদের সাহায্যকারী এবং আমাদেরকে প্রদর্শন করুন সোজা পথ।১১৬

  • ৪৩৪. দু‘আ-১২০

    اَللّٰهُمَّ اجْعَلْ حُبَّكَ أَحَبَّ الْأَشْيَآءِ إِلَـيَّ، وَاجْعَلْ خَشْيَتَكَ أَخْوَفَ الْأَشْيَآءِ عِنْدِيْ، وَاقْطَعْ عَنِّيْ حَاجَاتِ الدُّنْيَا بِالشَّوْقِ إِلٰى لِقَآئِكَ، وَإِذَا أَقْرَرْتَ أَعْيُنَ أَهْلِ الدُّنْيَا مِنْ دُنْيَاهُمْ فَأَقْرِرْ عَيْنِيْ مِنْ عِبَادَتِكَ.

    অর্থঃ ইয়া আল্লাহ! আমার কাছে আপনার ভালোবাসাই যেন হয় সবকিছু থেকে প্রিয়। আর আপনার ভয়ই যেন হয় সকল ভয়ের বড় ভয়। আর আপনার সাথে সাক্ষাতের ব্যাকুলতার মাধ্যমে দুনিয়ার প্রয়োজনসমূহ আমার থেকে বিচ্ছিন্ন করুন আর যখন দুনিয়াওয়ালাদের চক্ষু তাদের দুনিয়া দ্বারা শীতল করেছেন, তখন আমার চোখ আপনার ইবাদত দ্বারা শীতল করুন।১১৭

  • ৪৩৫. দু‘আ-১২১

    اَللّٰهُمَّ إِنِّيْۤ أَسْأَلُكَ الصِّحَّةَ وَالْعِفَّةَ وَالْأَمَانَةَ وَحُسْنَ الْخُلُقِ، وَالرِّضٰى بِالْقَدْرِ.

    অর্থঃ ইয়া আল্লাহ! আমি আপনার কাছে প্রার্থনা করি সুস্থতা, পবিত্রতা, আমানতদারী, উত্তম চরিত্র ও তাকদীরে সন্তুষ্টি।১১৮

  • ৪৩৬. দু‘আ-১২২

    اَللّٰهُمَّ لَكَ الْحَمْدُ شُكْرًا، وَلَكَ الْمَنُّ فَضْلًا. اَللّٰهُمَّ إِنِّيْۤ أَسْأَلُكَ التَّوْفِيْقَ لِمَحَآبِّكَ مِنَ الْأَعْمَالِ، وَصِدْقَ التَّوَكُّلِ عَلَيْكَ، وَحُسْنَ الظَّنِّ بِكَ.

    অর্থঃ ইয়া আল্লাহ! কৃতজ্ঞতা প্রশংসা আপনারই প্রাপ্য। আর আপনারই দান খাঁটি দয়ার দান।১১৯ ইয়া আল্লাহ! আপনার কাছে তাওফীক চাই ঐসব আমলের, যা আপনার প্রিয় এবং তাওফীক চাই আপনার উপর সত্য ভরসা করার ও আপনার প্রতি সুধারণা পোষণ করার।

  • ৪৩৭. দু‘আ-১২৩

    اَللّٰهُمَّ افْتَحْ مَسَامِـعَ قَلْبِيْ لِذِكْرِكَ، وَارْزُقْنِيْ طَاعَتَكَ وَطَاعَةَ رَسُوْلِكَ وَعَمَلًا بِۢـكِتَابِكَ.

    অর্থঃ ইয়া আল্লাহ! আমার অন্তরের কানসমূহ খুলে দিন আপনার যিকির (উপদেশ) শোনার জন্য আর আমাকে দান করুন আপনার ফরমাবরদারী, আপনার রাসূলের ফরমাবরদারী ও আপনার কিতাবের উপর আমলের তাওফীক।

  • ৪৩৮. দু‘আ-১২৪

    اَللّٰهُمَّ اجْعَلْنِيْۤ أَخْشَاكَ كَأَنِّيْۤ أَرٰكَ أَبَدًا حَتّٰىۤ أَلْقَاكَ، وَأَسْعِدْنِيْ بِتَقْوَاكَ، وَلَا تُشْقِنِيْ بِمَعْصِيَتِكَ.

    অর্থঃ ইয়া আল্লাহ! আমাকে আপনার এমন ভয় দান করুন, যেন আপনাকে সর্বক্ষণ দেখছি।১২০ (আর এ-ই যেন হয় আমার অবস্থা) আপনার সাথে মিলিত হওয়া পর্যন্ত। আর আমাকে তাকওয়ার খোশনসীবী দান করুন এবং নাফরমানীর বদনসীবী থেকে রক্ষা করুন।১২১

  • ৪৩৯. দু‘আ-১২৫

    اَللّٰهُمَّ الْطُفْ بِيْ فِيْ تَيْسِيْرِ كُلِّ عَسِيْرٍ، فَإِنَّ تَيْسِيْرَ كُلِّ عَسِيْرٍ عَلَيْكَ يَسِيْرٌ، وَأَسْأَلُكَ الْيُسْرَ وَالْمُعَافَاةَ فِيْ الدُّنْيَا وَالْاٰخِرَةِ، اَللّٰهُمَّ اعْفُ عَنِّيْ فَاِنَّكَ عَفُوٌّ كَرِيْمٌ.

    অর্থঃ ইয়া আল্লাহ! তামাম মুশকিল আসান করে আমার উপর রহম করুন। কারণ, মুশকিল আসান করা আপনার পক্ষেই সহজ।১২২ (সুতরাং এই দরখাস্ত মঞ্জুর করা আপনার জন্য কোনো বিষয়ই নয়) আমি আপনার কাছে চাই দুনিয়া ও আখিরাতের সহজতা ও নিরাপত্তা।১২৩ ইয়া আল্লাহ! আমাকে ক্ষমা করুন। আপনি তো অতি ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।

  • ৪৪০. দু‘আ-১২৬

    اَللّٰهُمَّ طَهِّرْ قَلْبِيْ مِنَ النِّفَاقِ، وَعَمَلِيْ مِنَ الرِّيَآءِ، وَلِسَانِيْ مِنَ الْكَذِبِ، وَعَيْنِيْ مِنَ الْخِيَانَةِ، فَإِنَّكَ تَعْلَمُ خَآئِنَةَ الْأَعْيُنِ وَمَا تُخْفِي الصُّدُوْرُ.

    অর্থঃ ইয়া আল্লাহ! পবিত্র করে দিন আমার অন্তরকে নিফাক থেকে, আমার আমলকে রিয়া থেকে, আমার যবানকে মিথ্যা থেকে আর আমার চোখকে খিয়ানত থেকে। আপনার অজানা নয় চোখের পাপদৃষ্টি ও অন্তরের অভিপ্রায়।

 

  • ৪৪১. দু‘আ-১২৭

    اَللّٰهُمَّ ارْزُقْنِيْ عَيْنَيْنِ هَطَّالَتَيْنِ، تَسْقِيَانِ الْقَلْبَ بِذُرُوْفِ الدَّمْعِ مِنْ خَشْيَتِكَ، قَبْلَ أَنْ تَكُوْنَ الدُّمُوْعُ دَمًا وَّالْأَضْرَاسُ جَمْرًا.

    অর্থঃ ইয়া আল্লাহ! আমাকে দান করুন ঐ বর্ষণকারী চোখ, যা আপনার ভয়ে প্রবাহিত অশ্রুধারায় হৃদয়কে সজীব করে ঐ সময় আসার আগে যখন অশ্রু পরিণত হবে রক্তে আর মাঢ়ি পরিণত হবে অঙ্গারে।১২৫

  • ৪৪২. দু‘আ-১২৮

    اَللّٰهُمَّ عَافِنِيْ فِيْ قُدْرَتِكَ، وَأَدْخِلْنِيْ فِيْ رَحْمَتِكَ، وَاقْضِ أَجَلِىْ فِيْ طَاعَتِكَ، وَاخْتِمْ لِيْ بِخَيْرِ عَمَلِيْ، وَاجْعَلْ ثَـوَابَهُ الْجَنَّةَ.

    অর্থঃ ইয়া আল্লাহ! আমাকে আপনার কুদরত দ্বারা শান্তি ও নিরাপত্তা দিন, আমাকে আপনার রহমতের মাঝে দাখিল করুন, আমার জীবন আপনার আনুগত্যের মাঝে অতিবাহিত করুন, আমার সর্বোত্তম আমলের মাঝে আমার (জীবনের) সমাপ্তি দান করুন এবং এর বিনিময়ে আমাকে জান্নাত নসীব করুন।১২৬

  • ৪৪৩. দু‘আ-১২৯

    اَللّٰهُمَّ فَارِجَ الْهَمِّ! كَاشِفَ الْغَمِّ، مُجِيْبَ دَعْوَةِ الْمُضْطَرِّيْنَ! رَحْمٰنَ الدُّنْيَا وَرَحِيْمَهَا! أَنْتَ تَرْحَمُنِىْ، فَارْحَمْنِيْ بِرَحْمَةٍ تُغْنِيْنِيْ بِهَا عَنْ رَّحْمَةِ مَنْ سِوَاكَ.

    অর্থঃ ইয়া আল্লাহ! দুশ্চিন্তা দূরকারী! অনুতাপ বিদূরণকারী! অসহায়ের ফরিয়াদ শ্রবণকারী! দুনিয়া-আখিরাতের রহমান ও রহীম! আপনিই আমার উপর রহম করবেন। সুতরাং আমার উপর এমন রহম করুন, যার দ্বারা আমাকে অন্য সবার রহম থেকে বেনিয়ায করবেন।

  • ৪৪৪. দু‘আ-১৩০

    اَللّٰهُمَّ اِنِّيۤ أَسْأَلُكَ مِنْ فُجَآءَةِ الْخَيْرِ وَأَعُوْذُ بِكَ مِنْ فُجَآءَةِ الشَّرِّ.

    অর্থঃ ইয়া আল্লাহ! আমি আপনার কাছে অপ্রত্যাশিত কল্যাণ প্রার্থনা করি আর অতর্কিত অকল্যাণ থেকে আশ্রয় চাই।১২৭

  • ৪৪৫. দু‘আ-১৩১

    اَللّٰهُمَّ أَنْتَ السَّلَامُ، وَمِنْكَ السَّلَامُ وَإِلَيْكَ يَعُوْدُ السَّلَامُ، أَسْأَلُكَ يَا ذَا الْجَلَالِ وَالْإِكْرَامِ! أَنْ تَسْتَجِيْبَ لَنَا دَعْوَتَنَا، وَأَنْ تُعْطِيَنَا رَغْبَتَنَا، وَأَنْ تُغْنِيَنَا عَمَّنْ أَغْنَيْتَهٗ عَنَّا مِنْ خَلْقِكَ.

    অর্থঃ ইয়া আল্লাহ! আপনার নাম ‘সালাম’, আপনার নিকট থেকেই শান্তির সূচনা আর আপনার কাছেই প্রত্যাবর্তিত শান্তি ও নিরাপত্তা। হে প্রতাপ ও মর্যাদার মালিক! আপনার কাছে আবেদন, আমাদের প্রার্থনা মঞ্জুর করুন, আমাদের ইচ্ছা পূরণ করুন, আপন মাখলুকের মধ্যে যাদের আপনি আমাদের থেকে অমুখাপেক্ষী করেছেন, আমাদেরও তাদের থেকে অমুখাপেক্ষী করে দিন। (কারণ, মাখলুকের মুখাপেক্ষী হওয়ার মাঝে তো লাঞ্ছনা থাকেই।)১২৮

  • ৪৪৬. দু‘আ-১৩২

    اَللّٰهُمَّ خِرْ لِيْ وَاخْتَرْ لِيْ.

    অর্থঃ ইয়া আল্লাহ! আমার জন্য নির্বাচন করুন ও পছন্দ করুন। (আর এ তো বলাই বাহুল্য যে, আপনিই যখন নির্বাচন করবেন, তখন তো ভুলের সম্ভাবনাও থাকবে না)।

  • ৪৪৭. দু‘আ-১৩৩

    اَللّٰهُمَّ أَرْضِنِيْ بِقَضَآئِكَ، وَبَارِكْ لِيْ فِيْ مَا قُدِّرَ لِيْ، حَتّٰى لَاۤ أُحِبَّ تَعْجِيْلَ مَاۤ أَخَّرْتَ وَلَا تَأْخِيْرَ مَا عَجَّلْتَ.

    অর্থঃ ইয়া আল্লাহ! আমাকে আপনার ফয়সালায় রাজি-খুশি রাখুন আর যা কিছু আমার জন্য ধার্য হয়েছে, তাতে আমার জন্য বরকত দিন, যেন আপনি যা বিলম্বে রেখেছেন, তাতে আমি ত্বরা না করি আর যা আপনি অবিলম্বে রেখেছেন, তাতে বিলম্ব অন্বেষণ না করি।১২৯

  • ৪৪৮. দু‘আ-১৩৪

    اَللّٰهُمَّ لَاعَيْشَ إِلَّاعَيْشُ الْاٰخِرَةِ.

    অর্থঃ ইয়া আল্লাহ! আখিরাতের জীবনই তো (প্রকৃত) জীবন।১৩০

  • ৪৪৯. দু‘আ-১৩৫

    اَللّٰهُمَّ أَحْيِنِيْ مِسْكِيْنًا وَّأَمِتْنِيْ مِسْكِيْنًا، وَاحْشُرْنِيْ فِيْ زُمْرَةِ الْمَسَاكِيْنِ.

    অর্থঃ ইয়া আল্লাহ! জীবনে আমাকে ‘মিসকীন’ বানিয়ে রাখুন, মৃত্যুও আমাকে ‘মিসকীন’ অবস্থায় দিন আর ‘মিসকীনদের’ মাঝেই আমাকে পুনরায় জীবিত কোরেন।

  • ৪৫০. দু‘আ-১৩৬

    اَللّٰهُمَّ اجْعَلْنِيْ مِنَ الَّذِيْنَ إِذَاۤ أَحْسَنُوْا اسْتَبْشَرُوْا، وَإِذَا ۤ أَسَآءُوْا اسْتَغْفَرُوْا.

    অর্থঃ ইয়া আল্লাহ! আমাকে ঐ বান্দাদের মাঝে শামিল করুন, যারা ভালো কাজ করলে আনন্দিত হয় আর মন্দ কাজ করলে ইসতিগফার করে।১৩১

  • ৪৫১. দু‘আ-১৩৭

    اَللّٰهُمَّ إِنِّيْۤ أَسْأَلُكَ رَحْمَةً مِّنْ عِنْدِكَ تَهْدِيْ بِهَا قَلْبِيْ، وَتَجْمَعُ بِهَاۤ أَمْرِيْ، وَتَلُمُّ بِهَا شَعَثِيْ، وَتُصْلِحُ بِهَا دِيْنِيْ، وَتَقْضِيْ بِهَا دَيْنِيْ، وَتَحْفَظُ بِهَا غَائِـبِيْ، وَتَرْفَعُ بِهَا شَاهِدِيْ، وَتُبَيِّضُ بِهَا وَجْهِيْ، وَتُزَكِّيْ بِهَا عَمَلِيْ، وَتُلْهِمُنِيْ بِهَا رَشَدِىْ، وَتَرُدُّ بِهَا أُلْفَتِيْ، وَتَعْصِمُنِيْ بِهَا مِنْ كُلِّ سُوْٓءٍ.

    অর্থঃ ইয়া আল্লাহ! আমি আপনার কাছে প্রার্থনা করছি আপনার খাস রহমত, যা দ্বারা আপনি আমার অন্তরকে পথ দেখাবেন, আমার কর্মে শৃঙ্খলা দান করবেন, আমার বিক্ষিপ্ততা দূর করবেন, আমার দ্বীনদারীকে শুদ্ধতা ও সৌন্দর্য দান করবেন, আমার ঋণ পরিশোধ করবেন, আমার অপ্রকাশ্য অবস্থার সংরক্ষণ করবেন, আমার প্রকাশ্য অবস্থাকে উচ্চতা দান করবেন, আমার মুখমণ্ডল উজ্জ্বল করবেন, আমার কর্মকে পবিত্র করবেন, আমার অন্তরে হেদায়েত নাযিল করবেন, আমার পরিণত অবস্থা ফিরিয়ে দিবেন এবং ঐ রহমত দ্বারা আমাকে সকল অনিষ্ট থেকে রক্ষা করবেন।১৩২

  • ৪৫২. দু‘আ-১৩৮

    اَللّٰهُمَّ أَعْطِنِيْۤ إِيْمَانًا لَّا يَرْتَدُّ، وَيَقِيْنًا لَّيْسَ بَعْدَهٗ كُفْرٌ، وَرَحْمَةً أَنَالُ بِهَا شَرَفَ كَرَامَتِكَ فِيْ الدُّنْيَا وَالْاٰخِرَةِ.

    অর্থঃ ইয়া আল্লাহ! আমাকে এমন ঈমান দিন, যা টলবে না, এমন ইয়াকীন দিন, যার পর আর কুফর হবে না, এমন রহমত দিন, যার দ্বারা আমি দুনিয়া-আখিরাতে আপনার পক্ষ হতে মর্যাদাপ্রাপ্তির সৌভাগ্য লাভ করি।১৩৩

  • ৪৫৩. দু‘আ-১৩৯

    اَللّٰهُمَّ إِنِّيْۤ أَسْأَلُكَ الْفَوْزَ فِيْ الْقَضَآءِ، وَنُزُلَ الشُّهَدَآءِ، وَعَيْشَ السُّعَدَآءِ، وَمُرَافَقَةَ الْأَنْبِيَآءِ، وَالنَّصْرَ عَلَى الْأَعْدَآءِ، إِنَّكَ سَمِيْعُ الدُّعَآءِ.

    অর্থঃ ইয়া আল্লাহ! আপনার কাছে সাফল্য চাই ভাগ্যের ফায়সালায়, আপ্যায়ন চাই শহীদগণের। (অর্থাৎ এমন উন্নত আপ্যায়ন, যা বেহেশতে শহীদগণকে করা হবে।) জীবন চাই সৌভাগ্যবানদের। সাহচর্য চাই নবীগণের। আর চাই বিজয় শত্রুকুলের উপর। নিশ্চয়ই আপনি প্রার্থনা শ্রবণকারী।১৩৪

  • ৪৫৪. দু‘আ-১৪০

    اَللّٰهُمَّ مَا قَصُرَ عَنْهُ رَأْيِيْ وَضَعُفَ عَنْهُ عَمَلِيْ وَلَمْ تَبْلُغْهُ مُنْيَتِيْ وَ مَسْأَلَتِيْ مِنْ خَيْرٍ وَّعَدْتَهٗۤ أَحَدًا مِّنْ خَلْقِكَ، أَوْ خَيْرٍ أَنْتَ مُعْطِيْهِ أَحَدًا مِّنْ عِبَادِكَ فَإِنِّيْۤ أَرْغَبُ إِلَيْكَ فِيْهِ، وَأَسْأَلُكَ بِرَحْمَتِكَ رَبَّ الْعَالَمِيْنَ.

    অর্থঃ ইয়া আল্লাহ! এমনসব কল্যাণ, যা উপলব্ধি করতে আমার চিন্তা ব্যর্থ, যা অর্জনে আমার কর্ম অপারগ আর যা আমার আকাঙ্ক্ষা ও প্রার্থনার ঊর্ধ্বে। অথচ আপনি কোনো মাখলুককে তার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন অথবা আপনার কোনো বান্দাকে তা দান করবেন, আমি ঐ বিষয়ে আপনার কাছে আকাঙ্ক্ষা প্রকাশ করছি এবং আপনার রহমতের উসীলায় তা আপনার কাছে প্রার্থনা করছি ইয়া রাব্বাল আলামীন!১৩৫

  • ৪৫৫. দু‘আ-১৪১

    اَللّٰهُمَّ إِنِّيْۤ أُنْزِلُ بِكَ حَاجَتِيْ وَإِنْ قَصُرَ رَأْيِيْ وَضَعُفَ عَمَلِىْ، اِفْتَقَرْتُ إِلٰى رَحْمَتِكَ، فَأَسْأَلُكَ يَا قَاضِيَ الْأُمُوْرِ! وَيَا شَافِيَ الصُّدُوْرِ! كَمَا تُجِيْرُ بَيْنَ الْبُحُوْرِ أَنْ تُجِيْرَنِيْ مِنْ عَذَابِ السَّعِيْرِ وَمِنْ دَعْوَةِ الثُّبُوْرِ، وَمِنْ فِتْنَةِ الْقُبُوْرِ.

    অর্থঃ ইয়া আল্লাহ! আমি আমার প্রয়োজন আপনার কাছেই নিবেদন করছি, যদিও আমার বুদ্ধি অক্ষম, আমার কর্ম অপারগ, আমি ভিখারী আপনার রহমতের। সুতরাং হে সর্বকর্মবিধায়ক! হে সকল অন্তরের উপশমদাতা! যেভাবে আপনি সমুদ্রের মাঝে দাঁড় করিয়েছেন (অদৃশ্য) প্রাচীর, আমাকেও (ঐ রকম) জাহান্নামের আযাব থেকে, আক্ষেপ-আর্তনাদ থেকে ও কবরের ফিতনা থেকে প্রাচীর দ্বারা দূরে রাখুন। (এটাও তো আপনার পক্ষে কিছুমাত্র কঠিন নয়)।১৩৬

  • ৪৫৬. দু‘আ-১৪২

    اَللّٰهُمَّ ذَا الْحَبْلِ الشَّدِيْدِ وَالْأَمْرِالرَّشِيْدِ! أَسْأَلُكَ الْأَمْنَ يَوْمَ الْوَعِيْدِ، وَالْجَنَّةَ يَوْمَ الْخُلُوْدِ مَعَ الْمُقَرَّبِيْنَ الشُّهُوْدِ الرُّكَّعِ السُّجُوْدِ الْمُوْفِيْنَ بِالْعُهُوْدِ، إِنَّكَ رَحِيْمٌ وَّدُوْدٌ، اِنَّكَ أَنْتَ تَفْعَلُ مَا تُرِيْدُ.

    অর্থঃ ইয়া আল্লাহ! ‘দৃঢ় রজ্জু’ যাঁর, সত্য দ্বীন যাঁর, আমি আপনার কাছে হাশর দিবসে নিরাপত্তা চাই এবং আখিরাতে ঐসব মানুষের সাথে জান্নাত চাই, যারা নৈটক্যপ্রাপ্ত, নিয়মিত উপস্থিত, বেশি বেশি রুকু-সিজদাকারী এবং প্রতিশ্রুতি পূর্ণকারী। নিশ্চয়ই আপনি বড় দয়ালু, মেহেরবান এবং নিশ্চয়ই আপনি যা চান করতে পারেন।১৩৭ -কানযুল উম্মাল

  • ৪৫৭. দু‘আ-১৪৩

    اَللّٰهُمَّ اجْعَلْنَا هَادِيْنَ مُهْتَدِيْنَ، غَيْرَ ضَآلِّيْنَ وَلَا مُضِلِّيْنَ، سِلْمًا لِّأَوْلِيَآئِكَ، وَحَرْبًا لِّأَعْدَآئِكَ، نُحِبُّ بِحُبِّكَ مَنْ أَحَبَّكَ، وَنُعَادِيْ بِعَدَاوَتِكَ مَنْ خَالَفَكَ مِنْ خَلْقِكَ.

    অর্থঃ ইয়া আল্লাহ! আমাদের আপনি পথপ্রাপ্ত ও পথপ্রদর্শক করুন। বিপথগামী ও বিভ্রান্তকারী নয়। আপনার বন্ধুদের মিত্র ও আপনার দুশমনদের শত্রু বানিয়ে দিন। আমরা আপনার মাখলুকের মাঝে তাকেই ভালোবাসি, যে আপনাকে ভালোবাসে। আর তার সাথেই শত্রুতা পোষণ করি, যে আপনার বিরোধিতা করে।১৩৮

  • ৪৫৮. দু‘আ-১৪৪

    اَللّٰهُمَّ هٰذَا الدُّعَآءُ وَعَلَيْكَ الْإِجَابَةُ، وَهٰذَا الْجَهْدُ وَعَلَيْكَ التُّكْـلَانُ، اَللّٰهُمَّ لَا تَكِلْنِيْۤ إِلٰى نَفْسِيْ طَرْفَةَ عَيْنٍ، وَلَا تَنْزِعْ مِنِّيْ صَالِحَ مَاۤ أَعْطَيْتَنِىْ.

    অর্থঃ ইয়া আল্লাহ! এ-ই প্রার্থনা আর আপনারই কাজ কবুল করা। এ-ই চেষ্টা আর আপনারই উপর ভরসা। ইয়া আল্লাহ! আমাকে এক মুহূর্তের জন্যও আমার নিজের কাছে সোপর্দ কোরেন না। আর যে সকল উত্তম বস্তু আপনি আমাকে দিয়েছেন, তা আমার কাছ থেকে ফিরিয়ে নিয়েন না।১৩৯

  • ৪৫৯. দু‘আ-১৪৫

    اَللّٰهُمَّ إِنَّكَ لَسْتَ بِإِلٰهِ ۟اِسْتَحْدَثْنَاهُ، وَلَا بِرَبٍّ يَبِيْدُ ذِكْرُهُ ابْتَدَعْنَاهُ، وَلَاعَلَيْكَ شُرَكَآءُ يَقْضُوْنَ مَعَكَ، وَلَا كَانَ لَنَا قَبْلَكَ مِنْ إِلٰهٍ نَلْجَأُ إِلَيْهِ وَنَذَرُكَ، وَلَاۤ أَعَانَكَ عَلٰى خَلْقِنَا أَحَدٌ فَنُشْرِكَهٗ فِيْكَ، تَـبَارَكْتَ وَتَعَالَيْتَ، فَنَسْئَلُكَ لَاۤ إِلٰهَ إِلَّۤا أَنْتَ اغْفِرْلِيْ.

    অর্থঃ ইয়া আল্লাহ! আপনি তো এমন ইলাহ নন, যাকে আমরা উদ্ভাবন করেছি, এমন পালনকর্তা নন, যার নাম ক্ষণস্থায়ী, যাকে আমাদের কল্পনাশক্তি সৃষ্টি করেছে, না হুকুম ও ফায়সালায় আপনার কোনো সঙ্গী-শরীক আছে, না আপনার আগে আমাদের কোনো ইলাহ ছিল, যার কাছে আমরা আশ্রয় নিতে পারি আপনাকে ছেড়ে। না আমাদের সৃষ্টি করার বিষয়ে কেউ আপনাকে সাহায্য করেছে যে, তাকে আপনার শরীক মনে করতে পারি। আপনি তো বরকতময়, সুউচ্চ। সুতরাং ইয়া আল্লাহ—যিনি ছাড়া কোনো মাবুদ নেই! আপনার কাছে মিনতি, আমাকে আপনি মাফ করে দিন।১৪০

  • ৪৬০. দু‘আ-১৪৬

    اَللّٰهُمَّ أَنْتَ خَلَقْتَ نَفْسِيْ وَأَنْتَ تَوَفَّاهَا، لَكَ مَمَاتُهَا وَمَحْيَاهَا، إِنْ أَحْيَيْتَهَا فَاحْفَظْهَا بِمَا تَحْفَظُ بِه عِبَادَكَ الصَّالِحِيْنَ، وَإنْ أَمَتَّهَا فَاغْفِرْ لَهَا وَارْحَمْهَا.

    অর্থঃ ইয়া আল্লাহ! আপনিই আমার প্রাণ সৃষ্টি করেছেন আর আপনিই তাকে মৃত্যু দিবেন। আপনারই হাতে তার জীবন ও মরণ। তাকে যদি জীবিত রাখেন, তাহলে এমনভাবে রক্ষা করুন, যেভাবে আপন নেক বান্দাদের রক্ষা করে থাকেন। আর যদি মৃত্যু দেন, তাহলে তাকে ক্ষমা করুন ও রহম করুন।

 

  • ৪৬১. দু‘আ-১৪৭

    اَللّٰهُمَّ أَعِنِّيْ بِالْعِلْمِ وَزَيِّنِّيْ بِالْحِلْمِ، وَأَكْرِمْنِيْ بِالتَّقْوٰى وَجَمِّلْنِيْ بِالْعَافِيَةِ.

    অর্থঃ ইয়া আল্লাহ! আমাকে ইলম দ্বারা সাহায্য করুন এবং স্থিরতা ও সহনশীলতা দ্বারা সজ্জিত করুন। আর তাকওয়ার দ্বারা মর্যাদা দান করুন এবং সুস্থতা ও নিরাপত্তার দ্বারা শোভন করুন।১৪২

  • ৪৬২. দু‘আ-১৪৮

    اَللّٰهُمَّ لَا يُدْرِكُنِيْ زَمَانٌ وَّلَا يُدْرِكُوْا زَمَانًا لَّا يُتَّبَعُ فِيْهِ الْعَلِيْمُ، وَلَا يُسْتَحْيٰى فِيْهِ مِنَ الْحَلِيْمِ، قُلُوْبُهُمْ قُلُوْبُ الْأَعَاجِمِ، وَأَلْسِنَتُهُمْ أَلْسِنَةُ الْعَرَبِ.

    অর্থঃ ইয়া আল্লাহ! ঐ যুগ যেন আমাকে না পায় এবং এরাও যেন ঐ যুগ পর্যন্ত না পৌঁছায়, যে যুগে না ইলমওয়ালার অনুসরণ করা হবে, না ভদ্র ও সহনশীলের লেহায করা হবে। তাদের অন্তর হবে আজমীদের আর ভাষা আরবীদের।১৪৩

  • ৪৬৩. দু‘আ-১৪৯

    اَللّٰهُمَّ إِنِّيْۤ أَتَّخِذُ عِنْدَكَ عَهْدًا لَّنْ تُخْلِفَنِيْهِ، فَإِنَّمَاۤ أَنَا بَشَرٌ، فَأَيُّمَا مُؤْمِنٍ اٰذَيْتُهٗ أَوْ شَتَمْتُهٗ أَوْ جَلَدْتُّهٗ أَوْ لَعَنْتُهٗ فَاجْعَلْهَا لَهٗ صَلٰوةً وَّزَكوٰةً وَّقُرْبَةً تُقَرِّبُهٗ بِهَاۤ إِلَيْكَ.

    অর্থঃ ইয়া আল্লাহ! আপনার নিকট থেকে একটি প্রতিশ্রুতি নিচ্ছি, আপনি কখনো এর অন্যথা কোরেন না। আমি তো একজন মানবমাত্র। সুতরাং যে মুসলিমকেই আমি কষ্ট দেই বা কটু কথা বলি কিংবা প্রহার করি বা অভিশাপ দেই আপনি একে তার জন্য কোরেন আশীর্বাদ ও পবিত্রতা এবং আপনার নৈকট্যের উপায়।১৪৪

  • ৪৬৪. দু‘আ-১৫০

    اَللّٰهُمَّ إِنِّيْۤ أَعُوْذُ بِكَ مِنَ الْبَرَصِ وَمِنَ الشِّقَاقِ وَالنِّفَاقِ وَسُوْٓءِ الْأَخْلَاقِ وَمِنْ شَرِّ مَا تَعْلَمُ، أَعُوْذُ بِاللهِ مِنْ حَالِ أَهْلِ النَّارِ وَمِنَ النَّارِ وَمَا قَرَّبَ إِلَيْهَا مِنْ قَوْلٍ أَوْ عَمَلٍ، وَمِنْ شَرِّ مَاۤ أَنْتَ اٰخِذٌ بِۢنَاصِيَتِه، وَأَعُوْذُ بِكَ مِنْ شَرِّ مَا فِيْ هٰذَا الْيَوْمِ وَشَرِّ مَا بَعْدَهٗ، وَمِنْ شَرِّ نَفْسِيْ وَشَرِّ الشَّيْطَانِ وَشِرْكِه، وَأَنْ نَقْتَرِفَ عَلٰۤى أَنْفُسِنَا سُوْٓءً أَوْ نَجُرَّهٗۤ إِلٰى مُسْلِمٍ أَوْ أَكْتَسِبَ خَطِٓيْئَةً أَوْ ذَنْبًا لَّا تَغْفِرُهٗ، وَمِنْ ضِيْقِ الْمَقَامِ يَوْمَ الْقِيَامَةِ.

    অর্থঃ ইয়া আল্লাহ! আমি আপনার আশ্রয় নিচ্ছি কুষ্ঠ থেকে; জেদাজেদি, কপটতা ও কুপ্রবণতা থেকে এবং ঐ সকল বিষয়ের অনিষ্ট থেকে, যা আপনার জানা। আমি আল্লাহর আশ্রয় নিচ্ছি দোযখীদের অবস্থা (বৈশিষ্ট্য) থেকে ও দোযখ থেকে এবং ঐ সকল কথা ও কাজ থেকে, যা দোযখের নিকটবর্তী করে। আর ঐ সকল কিছুর অনিষ্ট থেকে, যা আপনার কব্জায়। আমি আপনার আশ্রয় নিচ্ছি ঐ সকল অমঙ্গল থেকে, যা আছে আজকের দিবসে এবং ঐ সকল অমঙ্গল থেকে, যা আছে তার পরে। আর আপন প্রবৃত্তির অনিষ্ট থেকে এবং শয়তানের অনিষ্ট ও শিরক থেকে। (আরো আশ্রয় চাই) নিজেদের উপর কোনো অমঙ্গল টেনে আনা থেকে বা কোনো মুসলিমকে অমঙ্গলের শিকার করা থেকে এবং (আরো আশ্রয় চাই) এমন ভুল ও পাপ করা থেকে, যা আপনি মাফ করবেন না এবং (আরো আশ্রয় নিচ্ছি) কিয়ামত দিবসের সংকট ও সংকীর্ণতা থেকে।১৪৫

  • ৪৬৫. দু‘আ-১৫১

    اَللّٰهُمَّ حَصِّنْ فَرْجِيْ وَيَسِّرْ لِيْۤ اَمْرِيْ .

    অর্থঃ ইয়া আল্লাহ! আমার লজ্জাস্থানকে সুরক্ষিত করুন এবং আমার জন্য আমার কাজ সহজ করে দিন।১৪৬

  • ৪৬৬. দু‘আ-১৫২

    اَللّٰهُمَّ إِنِّيْۤ أَسْأَلُكَ تَمَامَ الْوُضُوْٓءِ وَتَـمَامَ الصَّلٰوةِ، وَتَـمَامَ رِضْوَانِكَ وَتَمَامَ مَغْفِرَتِكَ.

    অর্থঃ ইয়া আল্লাহ! আমি আপনার কাছে প্রার্থনা করি অযুর পূর্ণতা ও নামাযের পূর্ণতা এবং প্রার্থনা করি আপনার পূর্ণ সন্তুষ্টি ও পূর্ণ ক্ষমা।১৪৭

  • ৪৬৭. দু‘আ-১৫৩

    اَللّٰهُمَّ أَعْطِنِيْ كِتَابِيْ بِيَمِيْنِيْ.

    অর্থঃ ইয়া আল্লাহ! আমার আমলনামা আমার ডান হাতে দিন। (যা মকবুলিয়াতের আলামত আর তার উপযোগী আমল আমার দ্বারা দুনিয়াতে করিয়ে নিন)।

  • ৪৬৮. দু‘আ-১৫৪

    اَللّٰهُمَّ غَشِّنِيْ بِرَحْمَتِكَ وَجَنِّبْنِيْ عَذَابَكَ.

    অর্থঃ ইয়া আল্লাহ! আমাকে আপনার রহমত দ্বারা আবৃত করুন আর আপনার আযাব থেকে আমাকে রক্ষা করুন।১৪৮

  • ৪৬৯. দু‘আ-১৫৫

    اَللّٰهُمَّ ثَبِّتْ قَدَمَيَّ يَوْمَ تَزِلُّ فِيْهِ الْأَقْدَامُ.

    অর্থঃ ইয়া আল্লাহ! ঐ দিন আমাকে দৃঢ়পদ রাখুন, যেদিন (সৃষ্টির) পা হড়কাতে থাকবে।১৪৯

  • ৪৭০. দু‘আ-১৫৬

    اَللّٰهُمَّ اجْعَلْنَا مُفْلِحِيْنَ.

    অর্থঃ ইয়া আল্লাহ! আমাদের সফলকাম করুন (দুনিয়া-আখিরাত সব জায়গায়)।১৫০

  • ৪৭১. দু‘আ-১৫৭

    اَللّٰهُمَّ افْتَحْ أَقْفَالَ قُلُوْبِنَا بِذِكْرِكَ، وَأَتْمِمْ عَلَيْنَا نِعْمَتَكَ، وَأَسْبِـغْ عَلَيْنَا مِنْ فَضْلِكَ، وَاجْعَلْنَا مِنْ عِبَادِكَ الصَّالِحِيْنَ.

    অর্থঃ ইয়া আল্লাহ! আপনার স্মরণ দ্বারা আমাদের হৃদয়ের তালাসমূহ খুলে দিন এবং আমাদের উপর আপনার দান পূর্ণ করুন। আমাদের প্রতি আপনার করুণা বর্ষণ করুন এবং আমাদেরকে আপনার নেক বান্দাদের মাঝে শামিল করুন।১৫১

  • ৪৭২. দু‘আ-১৫৮

    اَللّٰهُمَّ اٰتِنِيْۤ أَفْضَلَ مَا تُؤْتِيْ عِبَادَكَ الصَّالِحِيْنَ.

    অর্থঃ ইয়া আল্লাহ! আপন নেক বান্দাদের আপনি যা দিয়ে থাকেন, তার সর্বোত্তম বস্তু আমাকে দান করুন।১৫২

  • ৪৭৩. দু‘আ-১৫৯

    اَللّٰهُمَّ أَحْيِنِيْ مُسْلِمًا وَّأَمِتْنِيْ مُسْلِمًا.

    অর্থঃ ইয়া আল্লাহ! আমাকে মুসলিম অবস্থায় জীবিত রাখুন, মুসলিম অবস্থায় মৃত্যু দিন।১৫৩

  • ৪৭৪. দু‘আ-১৬০

    اَللّٰهُمَّ عَذِّبِ الْكَفَرَةَ، وَأَلْقِ فِيْ قُلُوْبِهِمُ الرُّعْبَ، وَخَالِفْ بَيْنَ كَلِمَتِهِمْ، وَأَنْزِلْ عَلَيْهِمْ رِجْزَكَ وَعَذَابَكَ. اَللّٰهُمَّ عَذِّبِ الْكَفَرَةَ أَهْلَ الْكِتٰبِ وَالْمُشْرِكِيْنَ الَّذِيْنَ يَجْحَدُوْنَ اٰيٰتِكَ وَيُكَذِّبُوْنَ رُسُلَكَ، وَيَصُدُّوْنَ عَنْ سَبِيْلِكَ، وَيَتَعَدَّوْنَ حُدُوْدَكَ، وَيَدْعُوْنَ مَعَكَ إِلٰهًا اٰخَرَ، لَاۤ إِلٰهَ إِلَّاۤ أَنْتَ، تَبَارَكْتَ وَتَعَالَيْتَ عَمَّا يَقُوْلُ الظَّالِمُوْنَ عُلُوًّا كَبِيْرًا .

    অর্থঃ ইয়া আল্লাহ! কাফিরদের আযাব দিন, তাদের অন্তরে ভীতি সঞ্চার করুন, তাদের মাঝে মতভেদ সৃষ্টি করুন এবং তাদের উপর আপনার আযাব-গজব নাযিল করুন। ইয়া আল্লাহ! কাফিরদের আযাব দিন তারা আহলে কিতাব হোক বা মুশরিক। (এরা তো তারা) যারা আপনার আয়াতসমূহ অস্বীকার করে, আপনার রাসূলগণকে মিথ্যাবাদী সাব্যস্ত করে, আপনার পথ থেকে (অন্যদের) নিবৃত্ত করে, আপনার নির্ধারিত সীমারেখা লঙ্ঘন করে আর আপনার সাথে অন্য মাবুদকে ডাকে; অথচ আপনি ছাড়া কোনো মাবুদ নেই। আপনি বরকতময় এবং জালিমরা যা কিছু বলে তা থেকে বহু ঊর্ধ্বে!১৫৪

  • ৪৭৫. দু‘আ-১৬১

    اَللّٰهُمَّ اغْفِرْلِيْ وَلِلْمُؤْمِنِيْنَ وَالْمُؤْمِنَاتِ وَالْمُسْلِمِيْنَ وَالْمُسْلِمَاتِ، وَأَصْلِحْهُمْ وَأَصْلِحْ ذَاتَ بَيْنِهِمْ، وَأَلِّفْ بَيْنَ قُلُوْبِهِمْ، وَاجْعَلْ فِيْ قُلُوْبِهِمِ الْإِيْمَانَ وَالْحِكْمَةَ، وَثَبِّتْهُمْ عَلٰى مِلَّةِ رَسُوْلِكَ، وَأَوْزِعْهُمْ أَنْ يَّشْكُرُوْا نِعْمَتَكَ الَّتِۤيْ أَنْعَمْتَ عَلَيْهِمْ وَأَنْ يُّوْفُوْا بِعَهْدِكَ الَّذِيْ عَاهَدْتَهُمْ عَلَيْهِ، وَانْصُرْهُمْ عَلٰى عَدُوِّكَ وَعَدُوِّهِمْ، إِلٰهَ الْحَقِّ، سُبْحَانَكَ لَاۤ إِلٰهَ غَيْرُكَ، اِغْفِرْ لِيْ ذَنْۢبِيْ وَأَصْلِحْ لِيْ عَمَلِيْ، إِنَّكَ تَغْفِرُ الذُّنُوْبَ لِمَنْ تَشَآءُ، وَأَنْتَ الْغَفُوْرُ الرَّحِيْمُ، يَا غَفَّارُ اغْفِرْ لِيْ، يَا تَوَّابُ تُبْ عَلَيَّ، يَا رَحْمٰنُ ارْحَمْنِيْ، يَا عَفُوُّ اعْفُ عَنِّيْ، يَا رَءُوْفُ ارْءُفْ بِيْ، يَا رَبِّ أَوْزِعْنِيْ أَنْ أَشْكُرَ نِعْمَتَكَ الَّتِيْۤ أَنْعَمْتَ عَلَيَّ، وَطَوِّقْنِيْ حُسْنَ عِبَادَتِكَ، يَا رَبِّ أَسْأَلُكَ مِنَ الْخَيْرِ كُـلِّه، يَا رَبِّ افْتَحْ لِيْ بِخَيْرٍ وَّاخْتِمْ لِيْ بِخَيْرٍ، وَقِنِي السَّيِّئَاتِ، وَمَنْ تَقِ السَّيِّئَاتِ يَوْمَئِذٍ فَقَدْ رَحِمْتَهٗ، وَ ذٰلِكَ هُوَ الْفَوْزُ الْعَظِيْمُ.

    অর্থঃ ইয়া আল্লাহ! আমাকে মাফ করুন এবং মাফ করুন সকল মুমিন নর-নারী ও সকল মুসলিম নারী-পুরুষকে এবং তাদেরকে সংশোধন করুন, তাদের মাঝে সৌহার্দ সৃষ্টি করুন, তাদের হৃদয়সমূহে সম্প্রীতি দান করুন, তাদের অন্তরে ঈমান ও হিকমত দান করুন, তাদেরকে আপনার রাসূলের দীনের উপর অটল রাখুন। আপনি তাদের যে নেয়ামত দিয়েছেন, তার শোকর করার তাওফীক তাদের দান করুন,১৫৫ যে অঙ্গীকার তাদের কাছ থেকে নিয়েছেন, তা পূরণ করার তাওফীক দিন আর তাদেরকে আপনার ও তাদের শত্রুর উপর বিজয়ী করুন।১৫৬ হে সত্য মাবুদ! আপনি পবিত্র, আপনি ছাড়া কোনো মাবুদ নেই। আমার গুনাহ মাফ করুন, আমার আমল শুদ্ধ করুন। নিশ্চয়ই আপনি যার গুনাহসমূহ ইচ্ছা মাফ করে থাকেন। আপনিই তো পরম ক্ষমাশীল, অতি দয়ালু। হে ক্ষমাকারী! আমায় ক্ষমা করুন। হে তাওবা কবুলকারী! আমার তাওবা কবুল করুন। হে পরম দয়ালু! আমার উপর দয়া করুন। হে ক্ষমাশীল! আমাকে ক্ষমা করুন। হে মেহেরবান! আমার প্রতি মেহেরবানী করুন। পরওয়ারদেগার! আমাকে তাওফীক দিন, যে নেয়ামত আমাকে দান করেছেন আমি যেন তার শোকর করতে পারি। আমাকে শক্তি দিন, আপনার ইবাদত যেন আমি উত্তমরূপে করতে পারি। পরওয়ারদেগার! আপনার কাছে প্রার্থনা করছি সকল কল্যাণ। পরওয়ারদেগার! আমার সূচনা কল্যাণের সাথে করুন, সমাপ্তিও কল্যাণের সাথে করুন। আর আমাকে অকল্যাণ থেকে রক্ষা করুন। ঐদিন (হিসাব-দিবসে) যাদের আপনি অকল্যাণ থেকে রক্ষা করবেন, নিশ্চয়ই তার প্রতি করুণাই করবেন। আর এ-ই তো পরম সাফল্য।১৫৭

  • ৪৭৬. দু‘আ-১৬২

    اَللّٰهُمَّ لَكَ الْحَمْدُ كُـلُّهٗ، وَلَكَ الشُّكْرُ كُـلُّهٗ، وَلَكَ الْمُلْكُ كُـلُّهٗ، وَلَكَ الْخَلْقُ كُـلُّهٗ، بِيَدِكَ الْخَيْرُ كُـلُّهٗ، وَإِلَيْكَ يَرْجِـعُ الْأَمْرُ كُـلُّهٗ، أَسْأَلُكَ الْخَيْرَ كُـلَّهٗ، وَأَعُوْذُ بِكَ مِنَ الشَّرِّ كُـلِّه.

    অর্থঃ ইয়া আল্লাহ! সমস্ত প্রশংসা আপনার, সকল কৃতজ্ঞতা আপনার, গোটা রাজত্ব আপনার, সকল সৃষ্টি আপনার। আপনারই হাতে সকল কল্যাণ আর আপনারই দিকে প্রত্যাবর্তিত সকল বিষয়। আমি আপনার কাছে সকল কল্যাণ চাই এবং আপনার কাছে সকল অকল্যাণ থেকে পানাহ চাই।১৫৮

  • ৪৭৭. দু‘আ-১৬৩

    بِسْمِ اللهِ الَّذِيْ لَاۤ إِلٰهَ غَيْرُهٗ، اَللّٰهُمَّ أَذْهِبْ عَنِّي الْهَمَّ وَ الْحُزْنَ.اَللّٰهُمَّ بِحَمْدِكَ انْصَرَفْتُ وَبِذَنْۢبِيْ اعْتَرَفْتُ.

    অর্থঃ ঐ আল্লাহর নামের (বরকতে), যিনি ছাড়া কোনো মাবুদ নেই। ইয়া আল্লাহ! আমাকে নিষ্কৃতি দিন দুঃখ ও দুশ্চিন্তা থেকে। ইয়া আল্লাহ! আপনারই প্রশংসা লয়ে ফিরি এবং আপন গুনাহ স্বীকার করি।১৫৯

  • ৪৭৮. দু‘আ-১৬৪

    اَللّٰهُمَّ اِلٰهِيْ وَإِلٰهَ إِبْرَاهِيْمَ وَإِسْحٰقَ وَيَعْقُوْبَ، وَإِلٰهَ جِبْرَئِيْلَ وَمِيْكَآئِيْلَ وَإِسْرَافِيْلَ، أَسْأَلُكَ أَنْ تَسْتَجِيْبَ دَعْوَتِيْ فَأَنا مُضْطَرٌّ، وَ تَعْصِمَنِيْ فِيْ دِيْنِيْ فَإِنِّيْ مُبْتَلًى، وَتَنَالَنِيْ بِرَحْمَتِكَ فَإِنِّيْ مُذْنِبٌ، وَتَنْفِيَ عَنِّي الْفَقْرَ فَإِنِّيْ مُتَمَسْكِنٌ.

    অর্থঃ ইয়া আল্লাহ! মাবুদ আমার! মাবুদ ইবরাহীম, ইসহাক ও ইয়াকুবের। মাবুদ জিবরাইল, মিকাইল ও ইসরাফীলের!১৬০ আপনার কাছে মিনতি, আমার ডাকে সাড়া দিন, আমি তো নিরুপায়, মজবুর। দ্বীনের বিষয়ে আমাকে রক্ষা করুন, আমি তো বিপদগ্রস্ত। আমাকে আপনার রহমত দিন, আমি তো গুনাহগার। আর আমার দরিদ্রতা দূর করুন, আমি তো অসহায়।১৬১

  • ৪৭৯. দু‘আ-১৬৫

    اَللّٰهُمَّ إِنِّيْۤ أَسْأَلُكَ بِحَقِّ السَّآئِلِيْنَ عَلَيْكَ فَإِنَّ لِلسَّآئِلِ عَلَيْكَ حَقًّا، أَيُّمَا عَبْدٍ أَوْ أَمَةٍ مِّنْ أَهْلِ الْبَرِّ وَالْبَحْرِ تَقَبَّلْتَ دَعْوَتَهُمْ وَاسْتَجَبْتَ دُعَآءَهُمْ اَنْ تُشْرِكَنَا فِيْ صَالِحِ مَا يَدْعُوْنَكَ فِيْهِ، وَأَنْ تُشْرِكَهُمْ فِيْ صَالِحِ مَا نَدْعُوْكَ فِيْهِ، وَأَنْ تُعَافِيَنَا وَإِيَّاهُمْ، وَأَنْ تَقَبَّلَ مِنَّا وَمِنْهُمْ، وَأَنْ تَجَاوَزَ عَنَّا وَعَنْهُمْ، فَإِنَّاۤ اٰمَنَّا بِمَاۤ أَنْزَلْتَ وَاتَّبَعْنَا الرَّسُوْلَ فَاكْتُبْنَا مَعَ الشّٰهِدِيْنَ.

    অর্থঃ ইয়া আল্লাহ! আমি আপনার কাছে প্রার্থনা করছি ভিখারীর অধিকারে। নিশ্চয়ই ভিখারীর আছে আপনার উপর অধিকার।১৬২ জলে-স্থলে যে দাস বা দাসীর দু‘আ আপনি কবুল করেছেন ও তাদের ডাকে সাড়া দিয়েছেন, তাদের উত্তম প্রার্থনায় আমাদের শামিল করুন আর আমাদের উত্তম দু‘আয় তাদের শামিল করুন। আপনি আমাদের ও তাদের শান্তি দিন, আমাদের ও তাদের দু‘আসমূহ কবুল করুন, আমাদের ও তাদের ক্ষমা করুন।১৬৩ নিশ্চয়ই আমরা ঈমান এনেছি ঐ সবকিছুর উপর, যা আপনি নাযিল করেছেন আর আমরা রাসূলের অনুসরণ করেছি। সুতরাং আমাদেরও সাক্ষ্যদানকারীগণের মাঝে লিপিবদ্ধ করুন।১৬৪

  • ৪৮০. দু‘আ-১৬৬

    اَللّٰهُمَّ اٰتِ مُحَمَّدًا ۟الْوَسِيْلَةَ ، وَاجْعَلْ فِيْ الْمُصْطَفَيْنَ مَحَبَّتَهٗ وَفِيْ الْأَعْلَيْنَ دَرَجَتَهٗ، وَفِيْ الْمُقَرَّبِيْنَ ذِكْرَهٗ .

    অর্থঃ ইয়া আল্লাহ! মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লামকে ‘অসিলা’র মাকাম দান করুন। নির্বাচিত মানবমণ্ডলীর মাঝে তাঁকে প্রিয়পাত্র করুন, অতিউচ্চদের মাঝে তাঁর স্থান দান করুন আর নৈকট্যপ্রাপ্তদের মাঝে তাঁর নাম-যশ প্রতিষ্ঠিত করুন।

 

  • ৪৮১. দু‘আ-১৬৭

    اَللّٰهُمَّ اهْدِنِيْ مِنْ عِنْدِكَ، وَأَفِضْ عَلَيَّ مِنْ فَضْلِكَ، وَ اَسْبِـغْ عَلَيَّ مِنْ رَّحْمَتِكَ وَأَ نْزِلْ عَلَيَّ مِنْۢ بَرَكَاتِكَ

    অর্থঃ ইয়া আল্লাহ! আমাকে আপনার পক্ষ থেকে হেদায়েত নসীব করুন।১৬৬ আমার অন্তরে আপনার দান ও করুণা বর্ষণ করুন। আমার প্রতি আপনার করুণা পূর্ণ করুন এবং আমার উপর আপনার বরকত নাযিল করুন।

  • ৪৮২. দু‘আ-১৬৮

    اَللّٰهُمَّ اغْفِرْلِيْ وَارْحَمْنِيْ وَتُبْ عَلَيَّ، إِنَّكَ أَنْتَ التَّوَّابُ الرَّحِيْمُ.

    অর্থঃ ইয়া আল্লাহ! আমাকে ক্ষমা করুন, আমার উপর রহম করুন এবং আমার তাওবা কবুল করুন। নিশ্চয়ই আপনি অতি তাওবা কবুলকারী, পরম দয়ালু।১৬৭

  • ৪৮৩. দু‘আ-১৬৯

    اَللّٰهُمَّ اِنِّيْۤ اَسْأَلُكَ تَوْفِيْقَ أَهْلِ الْهُدٰى وَأَعْمَالَ أَهْلِ الْيَقِيْنِ، وَمُنَاصَحَةَ أَهْلِ التَّوْبَةِ، وَعَزْمَ أَهْلِ الصَّبْرِ، وَجِدَّ أَهْلِ الْخَشْيَةِ، وَطَلَبَ أَهْلِ الرَّغْبَةِ، وَتَعَبُّدَ أَهْلِ الْوَرَ عِ، وَعِرْفَانَ أَهْلِ الْعِلْمِ حَتّٰىۤ أَلْقَاكَ .

    অর্থঃ ইয়া আল্লাহ! আমি আপনার কাছে তাওফীক চাই হেদায়েতপ্রাপ্তদের মতো, আমল চাই ইয়াকীনওয়ালাদের মতো; ইখলাস চাই তাওবাকারীদের মতো; মনোবল চাই ধৈর্য্যশীলদের মতো; প্রচেষ্টা চাই খোদাভীরুদের মতো আর চাই আশিকদের প্রার্থনা, পরহেজগারদের বন্দেগী ও ইলমওয়ালাদের মারিফাত আপনার সাথে মিলিত হওয়া পর্যন্ত।১৬৮

  • ৪৮৪. দু‘আ-১৭০

    اَللّٰهُمَّ إِنِّيْۤ أَسْأَلُكَ مَخَافَةً تَحْجُرُنِيْ عَن ْ مَعَاصِيْكَ، حَتّٰىۤ أَعْمَلَ بِطَاعَتِكَ عَمَلًا أَسْتَحِقُّ بِه رِضَاكَ، وَحَتّٰىۤ أُنَاصِحَكَ بِالتَّوْبَةِ خَوْفًا مِّنْكَ، وَحَتّٰىۤ أُخْلِصَ لَكَ النَّصِيْحَةَ حَيَآءً مِّنْكَ، وَحَتّٰىۤ أَتَـوَكَّلَ عَلَيْكَ فِيْ الْأُمُوْرِ كُـلِّهَا، وَ حُسْنَ ظَنٍّ بِكَ، سُبْحَانَ خَالِقِ النُّوْرِ. اَللّٰهُمَّ لَا تُهْلِكْنَا فُجَآءَةً وَّلَا تَأْخُذْنَا بَغْتَةً، وَلَا تُغْفِلْنَا عَنْ حَقٍ وَّلَا وَصِيَّةٍ.

    অর্থঃ ইয়া আল্লাহ! আপনার কাছে প্রার্থনা করি আপনার ভয়, যেন আপনার নাফরমানি থেকে বিরত থাকি। এবং ফরমাবরদারির দ্বারা আপনার রেযামন্দির হক্বদার হই এবং যেন আপনার ভয়ে আপনার সমীপে খাঁটি তাওবা করি এবং আপনার প্রতি লজ্জায় আপনার পূর্ণ একনিষ্ঠ হই এবং সকল কাজে আপনার উপর ভরসা করি।১৬৯ আরো চাই আপনার প্রতি সুধারণা। হে আলোর স্রষ্টা! আপনি পবিত্র।১৭০ ইয়া আল্লাহ! আমাদের অতর্কিত ধ্বংস কোরেন না, অকস্মাৎ পাকড়াও কোরেন না এবং কোনো হক্ব বা অসিয়ত আমাদের ভুলিয়ে দিয়েন না। (কারণ, কারো হক্ব নষ্ট করা ইসলামে কঠিন অপরাধ)।

  • ৪৮৫. দু‘আ-১৭১

    اَللّٰهُمَّ اٰنِسْ وَحْشَتِيْ فِيْ قَبْرِيْ. اَللّٰهُمَّ ارْحَمْنِيْ بِالْقُرْاٰنِ الْعَظِيْمِ، وَاجْعَلْهُ لِيْۤ إِمَامًا وَنُوْرًا وَّهُدًى وَّرَحْمَةً. اَللّٰهُمَّ ذَ كِّرْنِيْ مِنْهُ مَا نَسِيْتُ، وَعَلِّمْنِيْ مِنْهُ مَا جَهِلْتُ، وَارْزُقْنِيْ تِلَاوَتَهٗ اٰنَآءَ اللَّيْلِ وَاٰنَآءَ النَّهَارِ، وَاجْعَلْهُ لِيْ حُجَّةً يَّا رَبَّ الْعٰلَمِيْنَ.

    অর্থঃ ইয়া আল্লাহ! আমার কবরে ভীতির পরিবর্তে অন্তরঙ্গতা দিয়েন।১৭১ ইয়া আল্লাহ! কুরআন-আযীমের অসিলায় আমার উপর রহম করুন এবং তাকে আমার জন্য করুন পথপ্রদর্শক ও আলো এবং হেদায়েত ও রহমত। ইয়া আল্লাহ! আমি তার যে অংশ ভুলে গেছি, তা ইয়াদ করিয়ে দিন এবং যা জানি না তা শিখিয়ে দিন। আর দিন-রাতের মুহূর্তগুলোতে তিলাওয়াতের সৌভাগ্য দিন। হে রাব্বুল আলামীন! কুরআনকে করুন আমার পক্ষে দলিল।১৭২

  • ৪৮৬. দু‘আ-১৭২

    اَللّٰهُمَّ أَنَا عَبْدُكَ وَابْنُ عَبْدِكَ وَابْنُ أَمَتِكَ، نَاصِيَتِيْ بِيَدِكَ، أَتَقَلَّبُ فِيْ قَبْضَتِكَ، وَأُصَدِّقُ بِلِقَآئِكَ وَأُوْمِنُ بِوَعْدِكَ، أَمَرْتَنِيْ فَعَصَيْتُ وَنَهَيْتَنِيْ فَأَتَيْتُ، هٰذَا مَكَانُ الْعَآئِذِ بِكَ مِنَ النَّارِ، لَاۤ إِلٰهَ إِلَّاۤ أَنْتَ سُبْحَانَكَ، ظَلَمْتُ نَفْسِيْ فَاغْفِرْلِيْ، إِنَّهٗ لَا يَغْفِرُ الذُّنُوْبَ اِلَّۤا أَنْتَ.

    অর্থঃ ইয়া আল্লাহ! আমি আপনার দাস, পুত্র আপনার দাসের, পুত্র আপনার দাসীর। আমার পূর্ণ সত্তা আপনারই কব্জায়।১৭৩ আপনারই কব্জায় আমি চলাফেরা করি। আপনার সাক্ষাতে বিশ্বাস করি আর আপনার প্রতিশ্রুতির উপর দৃঢ় আস্থা রাখি। আপনি আমাকে আদেশ করেছেন; কিন্তু আমি তা অমান্য করেছি। আপনি আমাকে নিষেধ করেছেন; কিন্তু আমি তা লঙ্ঘন করেছি। এখন এই যে আপনার কাছে জাহান্নাম থেকে আশ্রয়প্রার্থীর অবস্থান। আপনি ছাড়া কোনো মাবুদ নেই। আপনি পবিত্র। আমি নিজের উপর জুলুম করেছি, আমাকে ক্ষমা করুন। নিশ্চয়ই আপনি ছাড়া কেউ নেই গুনাহ মাফকারী।১৭৪

  • ৪৮৭. দু‘আ-১৭৩

    اَللّٰهُمَّ لَكَ الْحَمْدُ وَإِلَيْكَ الْمُشْتَكٰى وَبِكَ الْمُسْتَغَاثُ وَأَنْتَ الْمُسْتَعَانُ، وَلَا حَوْلَ وَلَا قُوَّةَ إِلَّا بِاللهِ.

    অর্থঃ ইয়া আল্লাহ! আপনারই জন্য সমস্ত প্রশংসা, আপনারই সমীপে সকল অভিযোগ, আপনারই দরবারে সকল ফরিয়াদ আর আপনারই কাছে সাহায্য প্রার্থনা।১৭৫ (গুনাহ থেকে) বাঁচা ও (নেক আমলের) শক্তি একমাত্র আল্লাহরই হাতে।১৭৬

  • ৪৮৮. দু‘আ-১৭৪

    اَللّٰهُمَّ اِنِّيْۤ أَعُوْذُ بِرِضَاكَ مِنْ سَخَطِكَ، وَبِمُعَافَاتِكَ مِنْ عُقُوْبَتِكَ، وَأَعُوْذُ بِكَ مِنْكَ لَاۤ أُحْصِيْ ثَنَآءً عَلَيْكَ، أَنْتَ كَمَاۤ أَثْنَيْتَ عَلٰى نَفْسِكَ. اَللّٰهُمَّ إِنَّا نَعُوْذُ بِكَ مِنْ أَنْ نَزِلَّ أَوْ نُزِّلَ، أَوْ نُضِلَّ أَوْ نَظْلِمَ أَوْ يُظْلَمَ عَلَيْنَا، أَوْ نَجْهَلَ أَوْ يُجْهَلَ عَلَيْنَا، أَوْ أَضِلَّ أَوْ أُضَلَّ، أَعُوْذُ بِنُوْرِ وَجْهِكَ الْكَرِيْمِ الَّذِيْ، أَضَآءَتْ لَهُ السَّمٰوٰتُ، وَأَشْرَقَتْ لَهُ الظُّلُمَاتُ، وَصَلُحَ عَلَيْهِ أَمْرُ الدُّنْيَا وَالْاٰخِرَةِ أَنْ تُحِلَّ عَلَيَّ غَضَبَكَ وَتُنْزِلَ عَلَيَّ سَخَطَكَ، وَلَكَ الْعُتْبٰى حَتّٰى تَرْضٰى، وَ لَا حَوْلَ وَلَا قُوَّةَ إِلَّا بِكَ. اَللّٰهُمَّ وَاقِيَةً كَوَاقِيَةِ الْوَلِيْدِ. اَللّٰهُمَّ إِنِّيْۤ أَعُوْذُ بِكَ مِنْ شَرِّ الْأَعْمَيَيْنِ : السَّيْلِ وَالْبَعِيْرِ الصَّؤُوْلِ.

    অর্থঃ ইয়া আল্লাহ! আমি আশ্রয় নিচ্ছি আপনার অসন্তুষ্টি থেকে আপনার সন্তুষ্টির, আপনার শাস্তি থেকে আপনার ক্ষমা ও নিরাপত্তার এবং আশ্রয় নিচ্ছি আপনার কাছ থেকে আপনারই কাছে। আমি আপনার গুণ-গান করে শেষ করতে পারব না। আপনি তো ঐ প্রশংসারই উপযুক্ত, যা স্বয়ং নিজের সম্বন্ধে করেছেন।১৭৭ ইয়া আল্লাহ! আমরা আপনার আশ্রয় নিচ্ছি পদস্খলিত হওয়া থেকে বা পদস্খলিত করা থেকে কিংবা কাউকে পথভ্রষ্ট করা থেকে অথবা কারো উপর জুলুম করা থেকে বা কারো জুলুমের শিকার হওয়া থেকে, অজ্ঞতাসুলভ আচরণ থেকে কিংবা অজ্ঞতার শিকার হওয়া থেকে কিংবা গোমরাহ হওয়া থেকে বা কাউকে গোমরাহ করা থেকে। আমি আপনার পবিত্র সত্তার ঐ জ্যোতির আশ্রয় নিচ্ছি, যা আকাশমণ্ডলীকে আলোকিত করেছে এবং যার দ্বারা আঁধারসমূহ ঝলমল করে উঠেছে আর যার দ্বারা দুনিয়া-আখিরাতের সকল বিষয় দুরস্ত হয়েছে।১৭৮ (আশ্রয় নিচ্ছি) যেন আমার উপর আপনার গজব ও নারাজি আপতিত না হয়। আপনিই তোশামোদ পাবার হক্বদার রাজি হওয়া পর্যন্ত। আর (গুনাহ থেকে) সুরক্ষা ও (নেক আমলের) শক্তি শুধু আপনারই সাহায্যে হয়। ইয়া আল্লাহ! আমি শিশুর মতো তত্ত্বাবধান চাই।১৭৯ ইয়া আল্লাহ! আমি আপনার আশ্রয় নিচ্ছি দুই অন্ধের অনিষ্ট থেকে - (পানির) ঢল ও আক্রমণকারী উট। (আরবে অতর্কিত বিপদ বোঝাবার জন্য এ দুটি বিষয়কে দৃষ্টান্ত হিসেবে উল্লেখ করা হয়।)১৮০

  • ৪৮৯. দু‘আ-১৭৫

    اَللّٰهُمَّ إِنِّيْۤ اَسْأَلُكَ بِمُحَمَّدٍ نَّبِيِّكَ، وَإِبْرَاهِيْمَ خَلِيْلِكَ، وَمُوْسٰى نَجِيِّكَ، وَعِيْسٰى رُوْحِكَ وَكَلِمَتِكَ، وَبِكَـلَامِ مُوْسٰى، وَإِنْجِيْلِ عِيْسٰى، وَزَبُوْرِ دَاوٗدَ، وَفُرْقَانِ مُحَمَّدٍ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ.

    وَبِكُلِّ وَحْيٍ أَوْحَيْتَهٗ، أَوْ قَضَآءٍ قَضَيْتَهٗ، أَوْ سَآئِلٍ أَعْطَيْتَهٗ، أَوْ فَقِيْرٍ أَغْنَيْتَهٗ، أَوْ غَنِىٍّ أَفْقَرْتَهٗ، أَوْ ضَآلٍّ هَدَيْتَهٗ، وَأَسْأَلُكَ بِاسْمِكَ الَّذِيْ وَضَعْتَهٗ عَلَى الْأَرْضِ فَاسْتَقَرَّتْ، وَعَلَى السَّمٰوٰتِ فَاسْتَقَلَّتْ، وَعَلَى الْجِبَالِ فَرَسَتْ، وَاَسْأَلُكَ بِاسْمِكَ الَّذِيْ اسْتَقَرَّ بِه عَرْشُكَ، وَاَسْأَلُكَ بِاسْمِكَ الطَّاهِرِ الْمُطَهَّرِ الْمُنَزَّلِ فِيْ كِتَابِكَ مِنْ لَّدُنْكَ، وَبِاسْمِكَ الَّذِيْ وَضَعْتَهٗ عَلَى النَّهَارِ فَاسْتَنَارَ، وَعَلَى اللَّيْلِ فَأَظْلَمَ، وَبِعَظَمَتِكَ وَكِبْرِيَآئِكَ وَبِنُوْرِ وَجْهِكَ أَنْ تَرْزُقَنِيَ الْقُرْاٰنَ الْعَظِيْمَ، وَتُخَلِّطَهٗ بِلَحْمِيْ وَدَمِيْ وَسَمْعِيْ وَبَصَرِيْ، وَتَسْتَعْمِلَ بِه جَسَدِيْ بِحَوْلِكَ وَقُوَّتِكَ، فَإِنَّهٗ لَا حَوْلَ وَلَا قُوَّةَ إِلَّا بِكَ. اَللّٰهُمَّ لَاتُـؤْمِنَّا مَكْرَكَ، وَلَا تُنْسِنَا ذِكْرَكَ، وَلَا تَهْتِكْ عَنَّا سِتْرَكَ، وَلَا تَجْعَلْنَا مِنَ الْغَافِلِيْنَ.

    অর্থঃ ইয়া আল্লাহ! আপনার কাছে প্রার্থনা করছি মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর অসিলায়, যিনি আপনার নবী; ইবরাহীম আ.-এর অসিলায়, যিনি আপনার খলীল; মূসা আ.-এর অসিলায়, যিনি আপনার ‘কালীম’ (কথোপকথনকারী); ঈসা আ.-এর অসিলায়, যিনি আপনার ‘কালিমা’ ও ‘রূহ’ এবং মূসা আ.-এর কালামের (তাওরাত) অসিলায়, ঈসা আ.-এর ইনজীলের অসিলায়, দাউদ আ.-এর যাবুরের অসিলায়, মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কুরআনের অসিলায়। আপনার অহীর অসিলায়, যা আপনি প্রেরণ করেছেন, আপনার প্রত্যেক (জাগতিক) বিধানের অসিলায়, যা আপনি জারি করেছেন; প্রত্যেক প্রার্থনাকারীর অসিলায়, যাকে আপনি দান করেছেন; প্রত্যেক দরিদ্রের অসিলায়, যাকে আপনি ধনী করেছেন; প্রত্যেক ধনীর অসিলায়, যাকে আপনি ফকীর বানিয়েছেন; প্রত্যেক গোমরাহ ব্যক্তির অসিলায়, যাকে আপনি হেদায়েত দিয়েছেন। আপনার কাছে প্রার্থনা করছি আপনার ঐ গুণের অসিলায়, যা আপনি ভূমিতে স্থাপন করেছেন; ফলে ভূমি স্থির হয়েছে; আসমানে স্থাপন করেছেন; যাতে আসমান স্থিতি লাভ করেছে, পাহাড়-পর্বতে স্থাপন করেছেন; ফলে তা সুদৃঢ় হয়েছে; প্রার্থনা করছি আপনার ঐ নামের অসিলায়, যার দ্বারা আপনার আরশ স্থির হয়েছে।১৮১ প্রার্থনা করছি আপনার কাছে আপনার ঐ গুণের অসিলায়, যা পবিত্র ও শুচি-শুভ্র এবং আপনার পক্ষ হতে আপনার কিতাবে নাযিলকৃত; এবং আপনার গুণের অসিলায়, যা আপনি দিবসের উপর স্থাপন করেছেন; ফলে তা উজ্জ্বল হয়েছে এবং রাতের উপর রেখেছেন; ফলে তা অন্ধকার হয়েছে।১৮২ এবং আপনার বড়ত্ব ও মহত্ত্বের অসিলায় এবং আপনার সত্তার জ্যোতির অসিলায় (প্রার্থনা করছি যে) আপনি আমাকে কুরআনে আযীম দান করুন এবং তা আমার রক্ত-মাংসে, শ্রবণ ও দৃষ্টিতে মিশিয়ে দিন আর সে অনুযায়ী আমার দেহকে পরিচালিত করুন আপনার শক্তি ও ক্ষমতায়।১৮৩ নিশ্চয়ই সম্ভব নয় (গুনাহ থেকে) বাঁচা আর না (নেক আমলের) সামর্থ্য আপনার সাহায্য ছাড়া।১৮৪ ইয়া আল্লাহ! আমাদেরকে আপনার গোপন কৌশল সম্পর্কে শঙ্কাহীন কোরেন না, আপনার স্মরণ থেকে আমাদের গাফেল কোরেন না, আমাদের উপর থেকে আপনার পর্দা সরিয়ে নিয়েন না, আর আমাদের গাফিলদের অন্তর্ভুক্ত কোরেন না।১৮৫

  • ৪৯০. দু‘আ-১৭৬

    اَللّٰهُمَّ إِنِّيْۤ اَسْأَلُكَ تَعْجِيْلَ عَافِيَتِكَ وَدَفْعَ بَلَآئِكَ، وَخُرُوْجًا مِّنَ الدُّنْيَا اِلٰى رَحْمَتِكَ، يَا مَنْ يَّـكْفِيْ عَنْ كُلِّ أَحَدٍ وَّلَا يَكْفِيْ مِنْهُ أَحَدٌ، يَاۤ أَحَدَ مَنْ لَّاۤ أَحَدَ لَهٗ، وَيَا سَنَدَ مَنْ لَّا سَنَدَ لَهٗ، اِنْقَطَعَ الرَّجَآءُ إِلَّا مِنْكَ، نَجِّنِيْ مِمَّاۤ أَنَا فَيْهِ، وَ أَعِنِّيْ عَلٰى مَاۤ أَنَا عَلَيْهِ مِمَّا نَزَلَ بِيْ بِجَاهِ وَجْهِكَ الْكَرِيْمِ، وَبِحَقِّ مُحَمَّدٍ عَلَيْكَ، اٰمِيْنَ.

    অর্থঃ ইয়া আল্লাহ! আপনার কাছে চাই দুনিয়ার নিরাপত্তা, বিপদ থেকে সুরক্ষা এবং দুনিয়া থেকে আপনার রহমতের দিকে যাত্রা।১৮৬ হে ঐ সত্তা যিনি সবার স্থলে যথেষ্ট; কিন্তু তার স্থলে কেউ যথেষ্ট নয়। হে অসহায়ের সহায়, হে অবলম্বনহীনের অবলম্বন! আপনি ছাড়া আর সবার থেকে প্রত্যাশা ছিন্ন হয়েছে। আমাকে ঐ অবস্থা থেকে মুক্তি দিন, যে অবস্থায় আমি আছি আর ঐ বিপদে আমাকে সাহায্য করুন, যা আমার উপর আপতিত হয়েছে। আপনার পবিত্র সত্তার মাহাত্ম্যের অসিলায় এবং মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ঐ হকের অসিলায়, যা আপনার উপর রয়েছে। আমীন।১৮৭

  • ৪৯১. দু‘আ-১৭৭

    اَللّٰهُمَّ احْرُسْنِيْ بِعَيْنِكَ الَّتِيْ لَا تَنَامُ، وَاكْنُفْنِيْ بِرُكْنِكَ الَّذِيْ لَا يُرَامُ، وَارْحَمْنِيْ بِقُدْرَتِكَ عَلَيَّ فَلَا أَهْلِكَ، وَأَنْتَ رَجَآئِـيْ، فَـكَمْ مِّنْ نِعْمَةٍ أَنْعَمْتَ بِهَا عَلَيَّ قَلَّ لَكَ بِهَا شُكْرِيْ، وَكَمْ مِّنْۢ بَلِيَّةٍ ابْتَلَيْتَنِيْ بِهَا قَلَّ لَكَ بِهَا صَبْرِيْ، فَيَا مَنْ قَلَّ عِنْدَ نِعْمَتِه شُكْرِيْ، فَلَمْ يَحْرِمْنِيْ! وَيَا مَنْ قَلَّ عِنْدَ بَلِيَّتِه صَبْرِيْ! فَلَمْ يَخْذُلْنِيْ! وَيَا مَنْ رَّاٰنِيْ عَلَى الْخَطَايَا فَلَمْ يَفْضَحْنِيْ.

    অর্থঃ ইয়া আল্লাহ! আপনার অতন্দ্র দৃষ্টির দ্বারা আমায় সুরক্ষিত করুন, আপনার অপ্রতিদ্বন্দ্বী মহাশক্তির আশ্রয়ে আমায় গ্রহণ করুন আর আমার উপর আপনার যে ক্ষমতা তার দ্বারা আমাকে দয়া করুন, যেন আমি ধ্বংস না হই। আপনিই আমার প্রত্যাশার স্থল। কত নেয়ামত আমায় দিয়েছেন যার শোকরগোজারি আমার পক্ষ থেকে সর্বদাই ছিল কম! কত বিপদ দ্বারা আমায় পরীক্ষা করেছেন, যাতে আমার সবর ছিল সর্বদাই অল্প।১৮৮ হে (মহান), যাঁর নেয়ামতের শোকরগোজারি কম হওয়া সত্ত্বেও আমাকে তিনি বঞ্চিত করেননি! হে (মহান), যাঁর পরীক্ষায় বে-সবর হওয়া সত্ত্বেও তিনি আমাকে ত্যাগ করেননি! হে (মহান), যিনি আমাকে পাপে লিপ্ত দেখেও লাঞ্ছিত করেননি! (হে মহামহিম! ভবিষ্যতে আমি এমন দয়া ও করুণারই আশাবাদী।)

  • ৪৯২. দু‘আ-১৭৮

    يَا ذَا الْمَعْرُوْفِ الَّذِيْ لَا يَنْقَضِيْ أَبَدًا! وَيَا ذَا النَّعْمَآءِ الَّتِيْ لَا تُحْصٰىۤ أَبَدًا! أَسْأَلُكَ أَنْ تُصَلِّيَ عَلٰى مُحَمَّدٍ وَّعَلٰۤى اٰلِ مُحَمَّدٍ، وَبِكَ أَدْرَأُ فِيْ نُحُوْرِ الْأَعْدَآءِ وَالْجَبَابِرَةِ.

    অর্থঃ হে দাতা অনিঃশেষ করুণার, অগণিত দানের! আমি আপনার কাছে প্রার্থনা করছি যে, (হযরত) মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর উপর ও তাঁর পরিবারের উপর কামেল রহমত নাযিল করুন। আমি আপনারই শক্তিতে আঘাত হানি শত্রু ও শক্তিমানদের বক্ষে।১৮৯

  • ৪৯৩. দু‘আ-১৭৯

    اَللّٰهُمَّ أَعِنِّيْ عَلٰى دِيْنِيْ بِالدُّنْيَا، وَعَلٰۤى اٰخِرَتِيْ بِالتَّقْوٰى، وَاحْفَظْنِيْ فِيْمَا غِبْتُ عَنْهُ، وَلَا تَكِلْنِيْ اِلٰى نَفْسِيْ فِيْمَا حَضَرْتُهٗ. يَا مَنْ لَّا تَضُرُّهُ الذُّنُوْبُ وَلَا تَنْقُصُهُ الْمَغْفِرَةُ، هَبْ لِيْ مَا لَا يَنْقُصُكَ، وَاغْفِرْلِيْ مَا لَا يَضُرُّكَ، إِنَّكَ أَنْتَ الْوَهَّابُ. أَسْأَلُكَ فَرَجًا قَرِيْبًا وَّصَبْرًا جَمِيْلًا، وَرِزْقًا وَّاسِعًا، وَالْعَافِيَةَ مِنْ جَمِيْعِ الْبَلَآءِ. وَاَسْأَلُكَ تَـمَامَ الْعَافِيَةِ، وَاَسْأَلُكُ دَوَامَ الْعَافِيَةِ، وَاَسْأَلُكَ الشُّكْرَ عَلَى الْعَافِيَةِ، وَاَسْأَلُكَ الْغِنٰى عَنِ النَّاسِ، وَلَا حَوْلَ وَلَا قُوَّةَ إِلَّا بِاللهِ الْعَلِّيِّ الْعَظِيْمِ.

    অর্থঃ ইয়া আল্লাহ! দুনিয়াকে আমার দ্বীনের জন্য সহায়ক করুন এবং তাকওয়াকে আমার আখিরাতের জন্য।১৯০ আমার দৃষ্টির অগোচরের সকল বিষয়ে আপনি হোন আমার রক্ষাকর্তা। আর যা কিছু আমার দৃষ্টির সম্মুখে তাতেও আমাকে নিজের উপর অর্পণ কোরেন না। হে ঐ সত্তা, গোনাহ যাঁর কোনোই ক্ষতি করতে পারে না আর ক্ষমা যাঁর কোনো কিছু হ্রাস করে না।১৯১ আমাকে ঐ জিনিস দান করুন, যা আপনার কিছুই হ্রাস করবে না। আমাকে মাফ করে দিন, যা আপনার কোনো ক্ষতি করবে না। আপনিই তো বড় দাতা।১৯২ আমি আপনার কাছে চাই আশু মুক্তি ও সুন্দর ধৈর্য,১৯৩ প্রশস্ত রিযিক ও সকল বিপদ থেকে নিরাপত্তা। আমি আপনার কাছে চাই পূর্ণ নিরাপত্তা, চাই স্থায়ী নিরাপত্তা।১৯৪ আর চাই এই শান্তি ও নিরাপত্তার উপর শোকরগোজারির তাওফীক। আমি আপনার কাছে প্রার্থনা করি মাখলুকের তরফ থেকে অমুখাপেক্ষিতা। আর সমুচ্চ সুমহান আল্লাহর সাহায্য ছাড়া আমার না আছে (গুনাহ থেকে) বেঁচে থাকার ক্ষমতা, না আছে (নেক আমল) সম্পাদনের শক্তি।

  • ৪৯৪. দু‘আ-১৮০

    اَللّٰهُمَّ اجْعَلْ سَرِيْرَتِيْ خَيْرًا مِّنْ عَلَانِيَتِيْ وَاجْعَلْ عَلَانِيَتِيْ صَالِحَةً. اَللّٰهُمَّ إِنِّۤيْ أَسْأَلُكَ مِنْ صَالِحِ مَا تُؤْتِيْ النَّاسَ مِنَ الْمَالِ وَالْأَهْلِ وَالْوَلَدِ غَيْرَ ضَآلٍّ وَّلَا مُضِلٍّ.

    অর্থঃ ইয়া আল্লাহ! আমার ভিতরকে করুন বাহির থেকে উত্তম। আর বাহিরকেও করুন সুস্থ-সুন্দর। ইয়া আল্লাহ! আমি আপনার কাছে ঐ সকল উত্তম বস্তু প্রার্থনা করি, যা আপনি মানুষকে দান করে থাকেন। যেমন- সম্পদ, সন্তান, পরিবার। আর আমি যেন না হই গোমরাহ বা গোমরাহকারী।১৯৫

  • ৪৯৫. দু‘আ-১৮১

    اَللّٰهُمَّ اجْعَلْنَا مِنْ عِبَادِكَ الْمُنْتَخَبِيْنَ الْغُرِّ الْمُحَجَّلِيْنَ الْوَفْدِ الْمُتَقَبَّلِيْنَ. اَللّٰهُمَّ إِنِّيْۤ اَسْأَلُكَ نَفْسًا ۢبِكَ مُطْمَئِنَّةً تُؤْمِنُ بِلِقَآئِكَ، وَتَرْضٰى بِقَضَآئِكَ، وَتَقْنَعُ بِعَطَآئِك.

    অর্থঃ ইয়া আল্লাহ! আমাদেরকে আপনার নির্বাচিত বান্দাদের মাঝে শামিল করুন, যাদের হাত-পা ও মুখমণ্ডল হবে উজ্জ্বল এবং যারা হবেন বরণীয় মেহমান। ইয়া আল্লাহ! আপনার কাছে চাই এমন হৃদয়, যা আপনার মাধ্যমে নিশ্চিন্ত থাকে, যে আপনার সাথে সাক্ষাতের ইয়াকীন রাখে, যে আপনার ইচ্ছায় রাজি থাকে এবং আপনার দানে সন্তুষ্ট থাকে।১৯৬

  • ৪৯৬. দু‘আ-১৮২

    اَللّٰهُمَّ لَكَ الْحَمْدُ حَمْدًا دَآئِمًا مَّعَ دَوَامِكَ، وَلَكَ الْحَمْدُ حَمْدًا خَالِدًا مَّعَ خُلُوْدِكَ، وَلَكَ الْحَمْدُ حَمْدًا لَّا مُنْتَهٰى لَهٗ دُوْنَ مَشِيْئَتِكَ، وَلَكَ الْحَمْدُ حَمْدًا لَّا يُرِيْدُ قَآئِلُهٗ إِلَّا رِضَاكَ، وَلَكَ الْحَمْدُ حَمْدًا عِنْدَ كُلِّ طَرْفَةِ عَيْنٍ وَتَنَفُّسِ كُلِّ نَفَسٍ. اَللّٰهُمَّ اَقْبِلْ بِقَلْبِيْ اِلٰى دِيْنِكَ، وَاحْفَظْ مِنْ وَّرَآئِنَا بِرَحْمَتِكَ. اَللّٰهُمَّ ثَبِّتْنِيْ أَنْ أَزِلَّ وَاهْدِنِيْ أَنْ أَضِلَّ.

    অর্থঃ ইয়া আল্লাহ! আপনারই জন্য স্থায়ী প্রশংসা যেমন আপনি স্থায়ী। আপনারই জন্য চিরন্তন প্রশংসা যেমন আপনি চিরন্তন। আপনারই জন্য ঐ গুণগান, যার বিস্তৃতির সীমা নেই আপনার ইচ্ছার আগে। (অর্থাৎ আপনার ইচ্ছার মতোই বিস্তৃত ও অসীম) আপনারই জন্য ঐ গুণগান যে গুণগানকারীর আর কোনো উদ্দেশ্য নেই আপনার সন্তুষ্টি ছাড়া। আপনারই প্রশংসা প্রতি শ্বাসে, প্রতি পলকে। ইয়া আল্লাহ! আমার অন্তরকে আপনার দ্বীনের দিকে ধাবিত করুন এবং নিজ রহমতে আমাদের সর্বদিক থেকে রক্ষা করুন। ইয়া আল্লাহ! আমাকে দৃঢ়পদ রাখুন, যেন পিছলে না যাই। আমাকে হেদায়েত দিন, যেন গোমরাহ না হই।

  • ৪৯৭. দু‘আ-১৮৩

    اَللّٰهُمَّ كَمَا حُلْتَ بَيْنِيْ وَبَيْنَ قَلْبِيْ فَحُلْ بَيْنِيْ وبَيْنَ الشَّيْطَانِ وَعَمَلِه. اَللّٰهُمَّ ارْزُقْنَا مِنْ فَضْلِكَ وَلَا تَحْرِمْنَا رِزْقَكَ، وَبَارِكْ لَنَا فِيْمَا رَزَقْتَنَا، وَاجْعَلْ غِنَانَا فِيْ أَنْفُسِنَا، وَاجْعَلْ رَغْبَتَنَا فِيْمَا عِنْدَكَ.

    অর্থঃ ইয়া আল্লাহ! যেভাবে আপনি আমার ও আমার অন্তরের মাঝে পর্দা হয়েছেন, সেভাবেই আমার ও শয়তানের মাঝে, তার কর্মের মাঝে পর্দা হয়ে থাকুন।১৯৭ ইয়া আল্লাহ! আমাদেরকে আপনার অনুগ্রহ দান করুন, আমাদেরকে আপনার রিযিক থেকে বঞ্চিত কোরেন না। আর যে রিযিক আমাদের দান করেছেন, তাতে বরকত দিন। আমাদের অন্তরসমূহকে (মানুষের কাছে যা আছে তা থেকে) অমুখাপেক্ষী করুন আর আপনার কাছে যা আছে সে বিষয়ে লালায়িত করুন।১৯৮

  • ৪৯৮. দু‘আ-১৮৪

    اَللّٰهُمَّ اجْعَلْنِيْ مِمَّنْ تَـوَكَّلَ عَلَيْكَ فَـكَفَيْتَهٗ، وَاسْتَهْدَاكَ فَهَدَيْتَهٗ، وَاسْتَنْصَرَكَ فَنَصَرْتَهٗ.

    অর্থঃ ইয়া আল্লাহ! আমাকে ঐসব মানুষের মাঝে শামিল করুন, যারা আপনার উপর ভরসা করেছে আর আপনি তাদের জন্য যথেষ্ট হয়েছেন; যারা আপনার কাছে হেদায়েত চেয়েছে আর আপনি তাদের হেদায়েত দিয়েছেন; যারা আপনার সাহায্য প্রার্থনা করেছে আর আপনি তাদের সাহায্য করেছেন।১৯৯

  • ৪৯৯. দু‘আ-১৮৫

    اَللّٰهُمَّ اجْعَلْ وَسَاوِسَ قَلْبِيْ خَشْيَتَكَ وَذِكْرَكَ، وَاجْعَلْ هِمَّتِيْ وَهَوَايَ فِيْمَا تُحِبُّ وَتَرْضٰى. اَللّٰهُمَّ وَمَا ابْتَلَيْتَنِيْ بِه مِنْ رَّخَآءٍ وَّشِدَّةٍ فَمَسِّكْنِيْ بِسُنَّةِ الْحَقِّ وَشَرِيْعَةِ الْإِسْلَامِ.

    অর্থঃ ইয়া আল্লাহ! আমার অন্তরের ওয়াসওয়াসা যেন হয় আপনার ভয় ও স্মরণ।২০০ (অর্থাৎ আপনার প্রতি এমন মগ্নতা নসীব করুন যেন মনে কোনো ওয়াসওয়াসা এলে তাও হয় ভয় ও স্মরণের।) আর আমার আকর্ষণ ও আগ্রহ যেন হয় ঐ বিষয়ের, যাতে আপনি রাজী ও খুশী। ইয়া আল্লাহ! সহজতা ও কাঠিন্য যা দ্বারাই আমাকে পরীক্ষা করুন সর্বাবস্থায় সত্য পথ ও ইসলামী শরীয়তের উপর আমাকে অটল রাখুন।২০১

  • ৫০০. দু‘আ-১৮৬

    اَللّٰهُمَّ إِنِّيْۤ أَسْئألُكَ تَمَامَ النِّعْمَةِ فِيْ الْأَشْيَآءِ كُلِّهَا، وَالشُّكْرَ لَكَ عَلَيْهَا حَتّٰى تَرْضٰى وَبَعْدَ الرِّضٰى، وَالْخِيَرَةَ فِيْ جَمِيْعِ مَا تَـكُوْنُ فِيْهِ الْخِيَرَةُ، وَلِجَمِيْعِ مَيْسُوْرِ الْأُمُوْرِ كُـلِّهَا لَا بِمَعْسُوْرِهَا يَا كَرِيْمُ.

    অর্থঃ ইয়া আল্লাহ! আপনার কাছে সকল কিছুর পূর্ণ নেয়ামত প্রার্থনা করি এবং আপনি খুশি হওয়া পর্যন্ত ও খুশি হওয়ার পরও শোকরগোজারির তাওফীক প্রার্থনা করি। আর যেসব বিষয়ে বাছাই হতে পারে সেখানে আমার জন্য বাছাই করুন। আর বাছাই করুন২০২ শুধু সহজ-সহজ বিষয়; কঠিন বিষয় নয় হে দয়াময়!

 

  • ৫০১. দু‘আ-১৮৭

    اَللّٰهُمَّ فَالِقَ الْإِصْبَاحِ وَجَاعِلَ اللَّيْلِ سَكَنًا وَّالشَّمْسَ وَالْقَمَرَ حُسْبَانًا! قَوِّنِيْ عَلَى الْجِهَادِ فِيْ سَبِيْلِكَ.

    অর্থঃ ইয়া আল্লাহ! যিনি প্রভাতের উন্মেষ ঘটান, যিনি রাতকে করেছেন আরামের সময় এবং চন্দ্র-সূর্যকে করেছেন সময়নির্ধারক! আমাকে আপনার রাহে জিহাদের শক্তি দিন।২০৩

  • ৫০২. দু‘আ-১৮৮

    اَللّٰهُمَّ لَكَ الْحَمْدُ فِيْ بَلَآئِكَ وَصَنِيْعِكَ إِلٰى خَلْقِكَ، وَلَكَ الْحَمْدُ فِيْ بَلَآئِكَ وَصَنِيْعِكَ إِلٰۤى أَهْلِ بُيُوْتِنَا، وَلَكَ الْحَمْدُ فِيْ بَلَآئِكَ وَصَنِيْعِكَ إِلٰۤى أَنْفُسِنَا خَآصَّةً، وَلَكَ الْحَمْدُ بِمَا هَدَيْتَنَا، وَلَكَ الْحَمْدُ بِمَاۤ أَكْرَمْتَنَا، وَلَكَ الْحَمْدُ بِمَا سَتَرْتَنَا، وَلَكَ الْحَمْدُ بِالْقُرْاٰن، وَلَكَ الْحَمْدُ بِالْأَهْلِ وَالْمَالِ، وَلَكَ الْحَمْدُ بِالْمُعَافَاةِ وَلَكَ الْحَمْدُ حَتّٰى تَرْضٰى، وَلَكَ الْحَمْدُ إِذَا رَضِيْتَ يَاۤ أَهْلَ التَّقْوٰى وَ أَهْلَ الْمَغْفِرَةِ.

    অর্থঃ ইয়া আল্লাহ! আপনারই প্রশংসা আপনার পরীক্ষা ও আপন সৃষ্টির প্রতি আপনার আচরণে, আপনারই প্রশংসা আপনার পরীক্ষা ও আমাদের ঘরওয়ালাদের প্রতি আপনার আচরণে,২০৪ আপনারই প্রশংসা আপনার পরীক্ষা ও বিশেষভাবে আমাদের প্রাণের বিষয়ে আপনার আচরণে, আপনারই প্রশংসা আমাদের হেদায়েত দেয়ার কারণে, আপনারই প্রশংসা আমাদের সম্মান দেয়ার কারণে, আপনারই প্রশংসা আমাদের দোষ-ত্রুটি গোপন রাখার কারণে, আপনারই প্রশংসা কুরআনের কারণে, আপনারই প্রশংসা পরিবার ও সম্পদের কারণে,২০৫ আপনারই প্রশংসা ক্ষমার কারণে, আপনারই প্রশংসা আপনি খুশি হওয়া পর্যন্ত, আপনারই প্রশংসা যখন আপনি খুশি হন। হে ঐ সত্তা, যিনি উপযুক্ত ভয় পাওয়ার এবং হে ঐ সত্তা, যিনি একমাত্র ক্ষমাকারী।২০৬

  • ৫০৩. দু‘আ-১৮৯

    اَللّٰهُمَّ وَفِّقْنِيْ لِمَا تُحِبُّ وَتَرْضٰى مِنَ الْقَوْلِ وَالْعَمَلِ وَالْفِعْلِ وَالنِّيَّةِ وَالْهَدْىِ إِنَّكَ عَلٰى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيْرٌ.

    অর্থঃ ইয়া আল্লাহ! আমাকে ঐ কথা ও কাজ এবং ইচ্ছা ও চরিত্রের তাওফীক দিন, যা আপনার পছন্দের। নিশ্চয়ই আপনি সকল বিষয়ে শক্তিমান।২০৭

  • ৫০৪. দু‘আ-১৯০

    اَللّٰهُمَّ إِنِّيْۤ أَعُوْذُ بِكَ مِنْ خَلِيْلٍ مَّاكِرٍ عَيْنَاهُ تَرَيَانِيْ وَقَلْبُهٗ يَرْعَانِيْ، إِنْ رَاٰى حَسَنَةً دَفَنَهَا وَاِنْ رَاٰى سَيِّئَةً أَذَاعَهَا.

    اَللّٰهُمَّ إِنِّيْۤ أَعُوْذُ بِكَ مِنَ الْبُؤْسِ وَالتَّبَآؤُسِ. اَللّٰهُمَّ إِنِّيْۤ أَعُوْذُ بِكَ مِنْ إِبْلِيْسَ وَجُنُوْدِه. اَللّٰهُمَّ إِنِّۤيْ أَعُوْذُ بِكَ مِنْ فِتْنَةِ النِّسَآءِ. اَللّٰهُمَّ إِنِّۤيْ أَعُوْذُ بِكَ مِنْ أَنْ تَصُدَّ عَنِّيْ وَجْهَكَ يَوْمَ الْقِيَامَةِ. اَللّٰهُمَّ إِنِّيْۤ أَعُوْذُ بِكَ مِنْ كُلِّ عَمَلٍ يُّخْزِيْنِيْ، وَأَعُوْذُ بِكَ مِنْ كُلِّ صَاحِبٍ يُّؤْذِيْنِىْ، وَأَعُوْذُ بِكَ مِنْ كُلِّ أَمَلٍ يُّلْهِيْنِىْ، وَأَعُوْذُ بِكَ مِنْ كُلِّ فَقْرٍ يُّنْسِيْنِىْ، وَ أَعُوْذُ بِكَ مِنْ كُلِّ غِنًى يُّطْغِيْنِىْ. اَللّٰهُمَّ إِنِّۤيْ أَعُوْذُ بِكَ مِنْ مَوْتِ الْهَمِّ، وَاَعُوْذُ بِكَ مِنْ مَوْتِ الْغَمِّ.

    অর্থঃ ইয়া আল্লাহ! আমি আপনার আশ্রয় নিচ্ছি কুচক্রী বন্ধু থেকে, যার চোখ আমাকে দেখে আর অন্তর বিমুখ থাকে। গুণ দেখলে তা সমাহিত করে আর দোষ দেখলে প্রচার করে।২০৮ আমি আপনার আশ্রয় নিচ্ছি ইবলীস ও তার বাহিনী থেকে । ইয়া আল্লাহ! আমি আপনার আশ্রয় নিচ্ছি চরম দারিদ্র্য ও অতি মুখাপেক্ষিতা থেকে।২০৯ ইয়া আল্লাহ! আমি আশ্রয় নিচ্ছি নারীদের ফিতনা থেকে।২১০ ইয়া আল্লাহ! আমি আপনার আশ্রয় নিচ্ছি কিয়ামতের দিন আমার দিক থেকে আপনার মুখ ফিরিয়ে নেয়া হতে। ইয়া আল্লাহ! আমি আপনার আশ্রয় নিচ্ছি লাঞ্ছনাকারী কর্ম থেকে। আপনার কাছে আশ্রয় নিচ্ছি কষ্ট দানকারী সঙ্গী থেকে। আপনার কাছে আশ্রয় নিচ্ছি গাফিলকারী দীর্ঘ আশা হতে, আপনার আশ্রয় নিচ্ছি বিহ্বলকারী দারিদ্র্য থেকে। আপনার আশ্রয় নিচ্ছি উদ্ধতকারী ধনাঢ্যতা থেকে।২১১ ইয়া আল্লাহ! আমি আপনার আশ্রয় নিচ্ছি দুশ্চিন্তার মৃত্যু থেকে। আপনার আশ্রয় নিচ্ছি মনস্তাপের মরণ থেকে।২১২

  • ৫০৫. দু‘আ-১৯১

    يَا رَبِّ! يَا رَبِّ! يَا رَبِّ! اَللّٰهُمَّ يَا كَبِيْرُ! يَا سَمِيْعُ! يَا بَصِيْرُ! يَا مَنْ لَّا شَرِيْكَ لَهٗ وَلَا وَزِيْرَ لَهٗ! وَيَا خَالِقَ الشَّمْسِ وَالْقَمَرِ الْمُنِيْرِ! وَيَا عِصْمَةَ الْبَآئِسِ الْخَآئِفِ الْمُسْتَجِيْرِ! وَيَا رَازِقَ الطِّفْلِ الصَّغِيْرِ! وَيَا جَابِرَ الْعَظْمِ الْكَسِيْرِ! أَدْعُوْكَ دُعَآءَ الْبَائِسِ الْفَقِيْرِ كَدُعَآءِ الْمُضْطَرِّ الضَّرِيْرِ، أَسْأَلُكَ بِمَعَاقِدِ الْعِزِّ مِنْ عَرْشِكَ وَبِمَفَاتِيْحِ الرَّحْمَةِ مِنْ كِتَابِكَ أَنْ تَجْعَلَ الْقُرْاٰنَ رَبِيْعَ قَلْبِيْ وَجِلَآءَ حُزْنِيْ.

    অর্থঃ ইয়া রব! ইয়া রব! ইয়া রব!২১৩ ইয়া আল্লাহ! ইয়া কাবীর (বড়)! ইয়া সামী (সর্বশ্রোতা)! ইয়া বাসীর (সর্বদ্রষ্টা)! হে ঐ সত্তা, যাঁর কোনো শরীক নেই, কোনো পরামর্শদাতা নেই! হে আলোকিত সূর্য ও চন্দ্রের স্রষ্টা! হে ভীত-বিপদগ্রস্ত আশ্রয়প্রার্থীর আশ্রয়! হে ছোট শিশুর রিযিকদাতা।২১৪ হে বিচূর্ণ হাড়ে জোড়াদানকারী! আমি আপনার কাছে আবেদন করছি বিপদগ্রস্ত মুখাপেক্ষীর আবেদন, অস্থির বিপদগ্রস্তের নিবেদন! আপনার কাছে প্রার্থনা করছি আপনার আরশের উচ্চমর্যাদার গ্রন্থিসমূহের অসিলায় এবং আপনার কিতাবের রহমতের চাবিসমূহের অসিলায় প্রার্থনা করছি, কুরআনকে আমার হৃদয়ের বসন্ত ও বেদনাহারক বানিয়ে দিন।২১৫

  • ৫০৬. দু‘আ-১৯২

    رَبَّنَاۤ اٰتِنَا فِى الدُّنْيَا كَذَا وَ كَذَا، يَا مُؤْنِسَ كُلِّ وَحِيْدٍ! وَيَا صَاحِبَ كُلِّ فَرِيْدٍ! وَيَا قَرِيْبًا غَيْرَ بَعِيْدٍ! وَيَا شَاهِدًا غَيْرَ غَآئِبٍ! وَيَا غَالِبًا غَيْرَ مَغْلُوْبٍ! يَا حَيُّ يَا قَيُّوْمُ! يَا ذَا الْجَلَالِ وَالْإِكْرَامِ! يَا نُوْرَ السَّمٰوٰتِ وَالْأَرْضِ! وَيَا زَيْنَ السَّمٰوٰتِ وَالْأَرْضِ! يَا جَبَّارَ السَّمٰوٰتِ وَالْأَرْضِ! يَا عِمَادَ السَّمٰوٰتِ وَ الْأَرْضِ! يَا بَدِيْعَ السَّمٰوٰتِ وَ الْأَرْضِ، يَا قَيَّامَ السَّمٰوٰتِ وَالْأَرْضِ! يَا ذَاالْجَلَالِ وَالْإِكْرَامِ! يَا صَرِيْخَ الْمُسْتَصْرِخِيْنَ! وَمُنْتَهَى الْعَآئِذِيْنَ! وَالْمُفَرِّجُ عَنِ الْمَكْرُوْبِيْنَ! وَالْمُرَوِّحُ عَنِ الْمَغْمُوْمِيْنَ! وَمُجِيْبَ دُعَآءِ الْمُضْطَرِّيْنَ! وَيَا كَاشِفَ الْمَكْرُوْبِ! يَاۤ إِلٰهَ الْعَالَمِيْنَ، وَيَاۤ أَرْحَمَ الرَّاحِمِيْنَ! مَنْزُوْلٌ بِۢكَ كُلُّ حَاجَةٍ.

    অর্থঃ হে আমাদের পরওয়ারদেগার! আমাদেরকে দুনিয়াতে অমুক অমুক বিষয় দান করুন। (অমুক-অমুক বিষয় স্থলে দু‘আ পাঠকারী যেকোনো জায়েয দুনিয়াবী মাকসাদ চিন্তা করবে।)২১৬ হে প্রত্যেক নির্জনের স্বজন; প্রত্যেক নিঃসঙ্গের সঙ্গী! হে নিকটবর্তী, যে দূরে নয়, হে উপস্থিত, যে অনুপস্থিত নয়! হে বিজয়ী, যে পরাজিত নয়!২১৭ হে চিরজীবী, হে রক্ষাকর্তা, হে মর্যাদা ও মাহাত্ম্যের মালিক! হে আকাশমণ্ডলী ও ভূমির জ্যোতি! হে আকাশমণ্ডলী ও ভূমির শোভা! হে আকাশমণ্ডলী ও ভূমির প্রতাপান্বিত প্রভু! হে আকাশমণ্ডলী ও ভূমি ধারণকারী! হে আকাশমণ্ডলী ও জমির অস্তিত্বদানকারী! হে আকাশমণ্ডলী ও ভূমির অস্তিত্ব রক্ষাকারী! হে মর্যাদা ও মাহাত্ম্যের অধিকারী! হে ফরিয়াদীদের ফরিয়াদস্থল! শরণার্থীর শেষ আশ্রয়, অস্থিরজনের শান্তিদাতা! চিন্তাগ্রস্তের প্রশান্তিদাতা ও অপারগের প্রার্থনা মঞ্জুরকারী! হে দুর্দশাগ্রস্তের দুর্দশা দূরকারী! হে সর্বজগতের মাবুদ! হে সকল দয়ালুর বড় দয়ালু! আপনারই সমীপে সকল প্রয়োজন।২১৮ (আপনিই তো ছোট-বড় সকল প্রয়োজন পূরণকারী)।

  • ৫০৭. দু‘আ-১৯৩

    اَللّٰهُمَّ إِنَّكَ خَلَّاقٌ عَظِيْمٌ، إِنَّكَ سَمِيْعٌ عَلِيْمٌ، إِنَّكَ غَفُوْرٌ رَّحِيْمٌ، إِنَّكَ رَبُّ الْعَرْشِ الْعَظِيْمِ. اَللّٰهُمَّ إِنَّكَ أَنْتَ الْبَرُّ الْجَوَادُ الْكَرِيْمُ، فَاغْفِرْ لِيْ وَارْحَمْنِيْ، وَعَافِنِيْ وَارْزُقْنِيْ، وَاسْتُرْنِيْ وَاجْبُرْنِيْ، وَارْفَعْنِيْ، وَاهْدِنِيْ وَلَا تُضِلَّنِيْ، وَأَدْخِلْنِيَ الْجَنَّةَ بِرَحْمَتِكَ يَاۤ أَرْحَمَ الرَّاحِمِيْنَ. إِلَيْكَ رَبِّ فَحَبِّبْنِيْ، وَفِيْ نَفْسِيْ لَكَ فَذَلِّلْنِيْ، وَفِۤيْ أَعْيُنِ النَّاسِ فَعَظِّمْنِيْ، وَمِنْ سَيِّئِ الْأَخْلَاقِ فَجَنِّبْنِىْ. اَللّٰهُمَّ إِنَّكَ سَأَلْتَنَا مِنْ أَنْفُسِنَا مَا لَا نَمْلِكُهٗۤ إِلَّا بِكَ، فَأَعْطِنَا مِنْهَا مَا يُرْضِيْكَ عَنَّا.

    অর্থঃ ইয়া আল্লাহ! নিশ্চয়ই আপনি মহিমান্বিত স্রষ্টা। নিশ্চয়ই আপনি সর্বশ্রোতা, সর্বজ্ঞানী। নিশ্চয়ই আপনি পরম ক্ষমাশীল, অতি মেহেরবান! মহান আরশের অধিপতি। ইয়া আল্লাহ! আপনি তো মহান, দয়ালু, দাতা, আমাকে ক্ষমা করুন, করুণা করুন। আমাকে ‘আফিয়াত’ (সুস্থতা ও বিপদমুক্তি) দিন, রুযী দিন, আমার দোষ ঢেকে রাখুন, আমার ত্রুটি দূর করুন, আমাকে উচ্চতা দিন, হেদায়েত দিন, আমাকে গোমরাহ কোরেন না। আর হে সকল দয়ালুর বড় দয়ালু! নিজ দয়ায় আমাকে জান্নাতে দাখেল করুন। পরওয়ারদেগার! আমাকে আপন করে নিন। আমার অন্তরে আপনার প্রতি আমাকে নত করুন আর মানুষের চোখে আমাকে আপনি সম্মানিত করুন। আর কুস্বভাব থেকে আমাকে দূরে রাখুন। ইয়া আল্লাহ! আপনি আমাদের কাছে ঐ সব আমল চেয়েছেন, যার কোনো সাধ্য আমাদের নেই আপনার তাওফীক ছাড়া। সুতরাং আপনিই আমাদের ঐ সকল কাজের তাওফীক দিন, যা আমাদের প্রতি আপনাকে সন্তুষ্ট করবে।২১৯

  • ৫০৮. দু‘আ-১৯৪

    اَللّٰهُمَّ إِنِّيْۤ أَسْأَلُكَ إِِيْمَانًا دَآئِمًا، وَأَسْأَلُكَ قَلْبًا خَاشِعًا، وأَسْأَلُكَ عِلْمًا نَّافِعًا، وَأَسْأَلُكَ يَقِيْنًا صَادِقًا، وَأَسْأَلُكَ دِيْنًا قَيِّمًا، وَأَسْأَلُكَ الْعَافِيَةَ مِنْ كُلِّ بَلِيَّةٍ، وَأَسْأَلُكَ تَمَامَ الْعَافِيَةِ، وَأَسْأَلُكَ دَوَامَ الْعَافِيَةِ، وَأَسْأَلُكَ الشُّكْرَ عَلَى الْعَافِيَةِ، وَأَسْأَلُكَ الْغِنٰى عَنِ النَّاسِ. اَللّٰهُمَّ إِنِّيْۤ أَسْتَغْفِرُكَ لِمَا تُبْتُ إِلَيْكَ مِنْهُ ثُمَّ عُدْتُّ فِيْهِ، وَأَسْتَغْفِرُكَ لِمَاۤ أَعْطَيْتُكَ مِنْ نَّفْسِيْ ثُمَّ لَمْ أُوْفِ لَكَ بِه، وَأَسْتَغْفِرُكَ لِلنِّعَمِ الَّتِيْ تَقَوَّيْتُ بِهَا عَلٰى مَعَاصِيْكَ، وَأَسْتَغْفِرُكَ لِكُلِّ خَيْرٍ أَرَدْتُّ بِه وَجْهَكَ فَخَالَطَنِيْ فِيْهِ مَا لَيْسَ لَكَ. اَللّٰهُمَّ لَا تُخْزِنِيْ فَإِنَّكَ بِيْ عَالِمٌ، وَلَا تُعَذِّبْنِيْ فَاِنَّكَ عَلَيَّ قَادِرٌ.

    অর্থঃ ইয়া আল্লাহ! আমি আপনার কাছে চাই স্থায়ী ঈমান ও বিনয়ী হৃদয়। আপনার কাছে চাই উপকারী ইলম, আর আপনার কাছে প্রার্থনা করছি, সত্য ইয়াকীন (বিশ্বাস)। প্রার্থনা করছি সঠিক দ্বীনদারী। প্রার্থনা করছি সকল বিপদ থেকে মুক্তি। আপনার কাছে চাই সর্বদা সুস্থতা ও নিরাপত্তা। আপনার কাছে চাই সুস্থতা ও নিরাপত্তার উপর শোকরগোজারীর তাওফীক। আর আপনার কাছে চাই মাখলুক থেকে অমুখাপেক্ষিতা।২২০ ইয়া আল্লাহ! আমি আপনার কাছে ঐ গুনাহ থেকে ক্ষমা চাই, যা থেকে তাওবা করে পুনরায় তাতে লিপ্ত হয়েছি। ক্ষমা চাই ঐ অঙ্গীকার সম্পর্কে, যা আপনার সাথে করার পর ভঙ্গ করেছি।২২১ ক্ষমা চাই আপনার ঐ সকল নেয়ামতের, যা দ্বারা শক্তি অর্জন করে আপনার নাফরমানীতে লিপ্ত হয়েছি। আর আপনার কাছে ক্ষমা চাই ঐ সকল নেক কাজের বিষয়ে, যা শুধু আপনারই জন্য করতে চাওয়ার পর তাতে অন্যকিছু (যেমন, খ্যাতি ও মর্যাদার লোভ, লৌকিকতা ইত্যাদি।) মিশ্রিত করেছি।২২২ ইয়া আল্লাহ! আমাকে অপদস্থ কোরেন না, নিশ্চয়ই আপনি আমার সম্পর্কে অবগত। আমাকে আঘাত দিয়েন না, নিশ্চয়ই আপনি আমার উপর সর্বদিক থেকে ক্ষমতাবান।২২৩

  • ৫০৯. দু‘আ-১৯৫

    اَللّٰهُمَّ رَبَّ السَّمٰوٰتِ السَّبْعِ وَرَبَّ الْعَرْشِ الْعَظِيْمِ، اَللّٰهُمَّ اكْفِنِيْ كُلَّ مُهِمٍّ مِنْ حَيْثُ شِئْتَ، وَ مِنْ أَيْنَ شِئْتَ. حَسْبِيَ اللهُ لِدِيْنِىْ،حَسْبِىَ اللهُ لِدُنْيَايَ، حَسْبِيَ اللهُ لِمَا أَهَمَّنِيْ، حَسْبِيَ اللهُ لِمَنْ بَغٰى عَلَيَّ، حَسْبِيَ اللهُ لِمَنْ حَسَدَنِيْ، حَسْبِيَ اللهُ لِمَنْ كَادَنِيْ بِسُوْٓءٍ، حَسْبِيَ اللهُ عِنْدَ الْمَوْتِ، حَسْبِيَ اللهُ عِنْدَ الْمَسْأَلَةِ فِيْ الْقَبْرِ، حَسْبِيَ اللهُ عِنْدَ الْمِيْزَانِ، حَسْبِيَ اللهُ عِنْدَ الصِّرَاطِ، حَسْبِيَ اللهُ لَاۤ إِلٰهَ إِلَّا هُوَ عَلَيْهِ تَوَكَّـلْتُ وَهُوَ رَبُّ الْعَرْشِ الْعَظِيْمِ.

    অর্থঃ ইয়া আল্লাহ! সাত আসমানের মালিক! আরশে আযীমের মালিক! ইয়া আল্লাহ, আমার সকল প্রয়োজনে আপনি যথেষ্ট হোন, যেভাবে আপনি চান, যেখান থেকে চান তা পূরণ করুন।২২৪ (আমি পুরোপুরি আপনারই ইচ্ছায় সমর্পিত।) আল্লাহই আমার জন্য যথেষ্ট আমার দ্বীনের বিষয়ে। আল্লাহই আমার জন্য যথেষ্ট আমার দুনিয়ার বিষয়ে। আল্লাহই আমার জন্য যথেষ্ট আমার সকল মাথাব্যথায়। আল্লাহই আমার জন্য যথেষ্ট ঐ লোকের ব্যাপারে, যে আমার প্রতি জুলুম করে। আল্লাহই আমার জন্য যথেষ্ট ঐ লোকের ব্যাপারে যে আমাকে হিংসা করে। আল্লাহই আমার জন্য যথেষ্ট ঐ লোকের ব্যাপারে, যে আমার অনিষ্ট সাধনের চক্রান্ত করে। আল্লাহই আমার জন্য যথেষ্ট মৃত্যুর সময়। আল্লাহই আমার জন্য যথেষ্ট কবরের সওয়ালের সময়। আল্লাহই আমার জন্য যথেষ্ট মীযানের (পাল্লার) কাছে। আল্লাহই আমার জন্য যথেষ্ট পুলসিরাতে।২২৫ আল্লাহই আমার জন্য যথেষ্ট যিনি ছাড়া কোনো মাবুদ নেই। তারই উপর আমার ভরসা। আর তিনিই মালিক মহান আরশের।২২৬

  • ৫১০. দু‘আ-১৯৬

    اَللّٰهُمَّ إِنِّيْۤ أَسْأَلُكَ ثَـوَابَ الشَّاكِرِيْنَ وَنُزُلَ الْمُقَرَّبِيْنَ، وَمُرَافَقَةَ النَّبِيِّيْنَ وَيَقِيْنَ الصِّدِّيْقِيْنَ، وَذِلَّةَ الْمُتَّقِيْنَ، وَإِخْبَاتَ الْمُوْقِنِيْنَ حَتّٰى تَوَفّٰنِيْ عَلٰى ذٰلِكَ يَاۤ أَرْحَمَ الرَّاحِمِيْنَ.

    অর্থঃ ইয়া আল্লাহ! আমি আপনার কাছে প্রার্থনা করছি শোকরগোজার (বান্দাদের) মতো ছওয়াব এবং নৈকট্যপ্রাপ্তদের মতো মেহমানদারী আর নবীগণের সাহচর্য। প্রার্থনা করছি সিদ্দীকগণের ইয়াকীন, মুত্তাকীদের বিনয় ও বিশ্বাসীদের নম্রতা। এরপর এ অবস্থায় আপনি আমাকে উঠিয়ে নিন হে সকল দয়ালুর বড় দয়ালু!২২৭

  • ৫১১. দু‘আ-১৯৭

    اَللّٰهُمَّ إِنِّيْۤ أَسْأَلُكَ بِنِعْمَتِكَ السَّابِقَةِ عَلَيَّ وَبَلَآئِكَ الْحَسَنِ الَّذِيْ ابْتَلَيْتَنِيْ بِه، وَفَضْلِكَ الَّذِيْ فَضَّلْتَ عَلَيَّ أَنْ تُدْخِلَنِيَ الْجَنَّةَ بِمَنِّكَ وَفَضْلِكَ وَرَحْمَتِكَ.

    অর্থঃ ইয়া আল্লাহ! আমাকে প্রদত্ত আপনার নেয়ামতের অসিলায়, (প্রত্যেক জীবিত মানবের প্রতিটি লোমকূপ জীবনের প্রতি মুহূর্তে যার সাক্ষ্য দেয়) আমার নিকট থেকে গৃহীত আপনার উত্তম পরীক্ষার অসিলায়২২৮ এবং আমার উপর কৃত আপনার অনুগ্রহের অসিলায় আপনার কাছে প্রার্থনা করছি, আপন দান ও করুণায় আমাকে আপনি জান্নাতে দাখিল করুন।২২৯

  • ৫১২. দু‘আ-১৯৮

    اَللّٰهُمَّ إِنِّيْۤ أَسْأَلُكَ إِيْمَانًا دَآئِمًا وَّهَدْيًا قَيِّمًا وَّعِلْمًا نَّافِعًا.

    অর্থঃ ইয়া আল্লাহ! আমি আপনার কাছে চাই স্থায়ী ঈমান, যথার্থ ও চাল-চলন ও উপকারী ইলম।২৩০

  • ৫১৩. দু‘আ-১৯৯

    اَللّٰهُمَّ لَا تَجْعَلْ لِفَاجِرٍ عِنْدِيْ نِعْمَةً أُكَافِيْهِ بِهَا فِيْ الدُّنْيَا وَالْاٰخِرَةِ.

    অর্থঃ ইয়া আল্লাহ! আমার উপর যেন না থাকে কোনো বদকারের অনুগ্রহ, যার প্রতিদান আমাকে দিতে হয় দুনিয়া-আখিরাতে।২৩১

  • ৫১৪. দু‘আ-২০০

    اَللّٰهُمَّ اغْفِرْ لِيْ ذَنْۢبِيْ وَوَسِّعْ لِيْ خُلُقِيْ، وَطَيِّبْ لِيْ كَسْبِيْ، وَقَنِّعْنِيْ بِمَا رَزَقْتَنِيْ، وَلَا تُذْهِبْ طَلَبِيْ إِلٰى شَيْءٍ صَرَفْتَهٗ عَنِّيْ.

    অর্থঃ ইয়া আল্লাহ! আমার গুনাহ মাফ করুন, আমাকে প্রশস্ত আখলাকের অধিকারী করুন, আমাকে হালাল উপার্জন দান করুন, আপনার প্রদত্ত রুজিতে আমাকে সন্তুষ্ট রাখুন আর যা আমার কাছ থেকে সরিয়ে নিয়েছেন তার দিকে আমাকে আগ্রহী কোরেন না।২৩২

  • ৫১৫. দু‘আ-২০১

    اَللّٰهُمَّ إِنِّيْۤ أَسْتَجِيْرُكَ مِنْ جَمِيْعِ كُلِّ شَيْءٍ خَلَقْتَ، وَأَحْتَرِسُ بِكَ مِنْهُنَّ، وَاجْعَلْ لِيْ عِنْدَكَ وَلِيْجَةً، وَاجْعَلْ لِيْ عِنْدَكَ زُلْفٰى وَحُسْنَ مَاٰبٍ، وَاجْعَلْنِيْ مِمَّنْ يَّخَافُ مَقَامَكَ وَوَعِيْدَكَ وَيَرْجُوْ لِقَآءَكَ، وَاجْعَلْنِيْ مِمَّنْ يَّتُوْبُ إِلَيْكَ تَوْبَةً نَّصُوْحًا، وَأَسْأَلُكَ عَمَلًا مُتَقَبَّلًا وَّعِلْمًا نَجِيْحًا، وَسَعْيًا مَّشْكُوْرًا وَّتِجَارَةً لَّنْ تَبُوْرَ.

    অর্থঃ ইয়া আল্লাহ! আমি আপনার আমান চাই আপনার সকল সৃষ্টি থেকে আর আপনারই সুরক্ষা গ্রহণ করি তাদের অনিষ্ট থেকে। আপনার কাছে যেন আমার স্থান হয় এবং আপনার কাছে যেন আমার নৈকট্য ও উত্তম প্রত্যাবর্তন হয়। আমাকে ঐ সকল মানুষের অন্তর্ভুক্ত করুন, যারা আপনার সামনে দাঁড়ানোকে ও আপনার হুঁশিয়ারীকে ভয় করে এবং আপনার সাক্ষাতের কামনা রাখে এবং ঐ সব মানুষের অন্তর্ভুক্ত করুন, যারা সত্যই আপনার অভিমুখী হয়। আপনার কাছে প্রার্থনা করি মাকবুল আমল, সঠিক ইলম ও ঐ চেষ্টা, যার প্রতিদান পাওয়া যায় এবং ঐ ব্যবসা, যা কখনো মন্দাগ্রস্ত হবে না।২৩৩

  • ৫১৬. দু‘আ-২০২

    اَللّٰهُمَّ إِنِّيْۤ أَسْأَلُكَ فِكَاكَ رَقَبَتِيْ مِنَ النَّارِ، اَللّٰهُمَّ أَعِنِّيْ عَلٰى غَمَرَاتِ الْمَوْتِ وَ سَكَرَاتِ الْمَوْتِ .

    অর্থঃ ইয়া আল্লাহ! আমি আপনার কাছে প্রার্থনা করছি, আমাকে দোযখ থেকে মুক্তি দিন। ইয়া আল্লাহ! মৃত্যুর সময়ের জ্ঞানহীনতা ও যন্ত্রণার মুহূর্তে আমার সাহায্য কোরেন।২৩৪

  • ৫১৭. দু‘আ-২০৩

    اَللّٰهُمَّ اغْفِرْ لِيْ وَارْحَمْنِيْ وَأَلْحِقْنِيْ بِالرَّفِيْقِ الْأَعْلٰى.

    অর্থঃ ইয়া আল্লাহ! আমাকে মাফ করুন, আমার উপর রহম করুন এবং আমাকে উচ্চস্থানীয় বন্ধুদের সাথে মিলিত করুন।২৩৫

  • ৫১৮. দু‘আ-২০৪

    اَللّٰهُمَّ إِنِّيْۤ أَعُوْذُ بِكَ مِنْ أَنْ أُشْرِكَ بِكَ شَيْئًا وَّأَنَاۤ أَعْلَمُ، وَأَسْتَغْفِرُكَ لِمَا لَاۤ أَعْلَمُ بِه، وَأَعُوْذُ بِكَ أَنْ يَّدْعُوَ عَلَيَّ رَحِمٌ قَطَعْتُهَا. اَللّٰهُمَّ إِنِّيْۤ أَعُوْذُ بِكَ مِنْ شَرِّ مَنْ يَّمْشِيْ عَلٰى بَطْنِه، وَمِنْ شَرِّ مَنْ يَّمْشِيُ عَلٰى رِجْلَيْنِ، وَمِنْ شَرِّ مَنْ يَّمْشِيُ عَلٰۤى أَرْبَعٍ. اَللّٰهُمَّ إِنِّۤيْ أَعُوْذُ بِكَ مِنْ اِمْرَأَةٍ تُشَيِّبُنِيْ قَبْلَ الْمَشِيْبِ، وَأَعُوْذُ بِكَ مِنْ وَّلَدٍ يَّـكُوْنُ عَلَىَّ وَبَالًا، وَأَعُوْذُ بِكَ مِنْ مَالٍ يَّـكُوْنُ عَلَيَّ عَذَابًا. اَللّٰهُمَّ إِنِّيْۤ أَعُوْذُ بِكَ مِنَ الشَّكِّ فِي الْحَقِّ بَعْدَ الْيَقِيْنِ، وَ اَعُوْذُ بِكَ مِنَ الشَّيْطَانِ الرَّجِيْمِ، وَ أَعُوْذُ بِكَ مِنْ شَرِّ يَوْمِ الدِّيْنِ. اَللّٰهُمَّ إِنِّيْۤ أَعُوْذُ بِكَ مِنْ مَّوْتِ الْفُجَآءَةِ وَمِنْ لَّدْغِ الْحَيَّةِ وَمِنَ السَّبُعِ وَمِنَ الْغَرَقِ وَمِنَ الْحَرَقِ، وَمِنْ أَنْ أَخِرَّ عَلٰى شَيْءٍ وَّمِنَ الْقَتْلِ عِنْدَ فِرَارِ الزَّحْفِ.

    অর্থঃ ইয়া আল্লাহ! জেনে-শুনে আপনার সাথে কিছুমাত্র শরীক করা থেকে আপনার আশ্রয় চাই আর নিজের অজান্তের শিরক থেকে আপনার কাছে ক্ষমা চাই।২৩৬ আমি আপনার শরণ নিচ্ছি কোনো আত্মীয়ের বদ দু‘আ থেকে, যার আমি হক নষ্ট করেছি।২৩৭ ইয়া আল্লাহ! আপনার আশ্রয় নিচ্ছি বুকের উপর ভর করে চলা প্রাণীর অনিষ্ট থেকে এবং দু’পেয়ে জীব ও চতুষ্পদ জন্তুর অনিষ্ট থেকে।২৩৮ ইয়া আল্লাহ! আপনার কাছে ঐ নারী থেকে আশ্রয় নিচ্ছি, যে আমাকে বার্ধক্যের আগেই বৃদ্ধ বানিয়ে দেয়, আশ্রয় নিচ্ছি ঐ সন্তান থেকে, যে আমার জন্য বিপদ হয়, আশ্রয় নিচ্ছি ঐ সম্পদ থেকে, যা আমার জন্য আযাব হয়।২৩৯ ইয়া আল্লাহ! আমি আপনার আশ্রয় নিচ্ছি সত্য বিষয়ে বিশ্বাসের পর সন্দেহ থেকে। আশ্রয় নিচ্ছি বিতাড়িত শয়তান থেকে, আশ্রয় নিচ্ছি প্রতিদান দিবসের কাঠিন্য থেকে। ইয়া আল্লাহ! আমি আপনার আশ্রয় নিচ্ছি অকস্মাৎ মৃত্যু থেকে, সর্পদংশিত হওয়া থেকে, হিংস্র প্রাণী থেকে, ডুবে যাওয়া থেকে, অগ্নিদগ্ধ হওয়া থেকে, কোনো কিছুর উপর পড়ে যাওয়া থেকে এবং যুদ্ধক্ষেত্র থেকে পলায়নের সময় নিহত হওয়া থেকে।২৪০

  • ৫১৯. এই দু‘আগুলো সমাপ্ত হওয়ার পর বলবে,

    وَتَقَبَّلْ هٰذِهِ الدَّعَوَاتِ فِيْ حَقِّ مُحَمَّدْ أَشْرَفْ عَلِيّ، وَعَبْدِ الْوَاسِـعِ، وَمُحَمَّدْ مُصْطَفٰى، وَمُحَمَّدْ عَلِيْ، وَمُحَمَّدْ شَفِيْع، وَعَبْدِ الْمَاجِدِ، وَفِيْ حَقِّ اٰبَآئِهِمْ وَأُمَّهَاتِهِمْ وَجَمِيْعِ الْمُؤْمِنِيْنَ وَالْمُؤْمِنَاتِ.

    وَصَلَّى اللهُ تَعَالٰى عَلٰى سَيِّدِ الْكَـآئِنَاتِ وَأَكْرَمِ الْمَخْلُوْقَاتِ صَلٰوةً تَسْبِقُ الْغَايَاتِ.

    অর্থঃ এ সকল দু‘আ কবুল করুন। (হযরত মাওলানা) মুহাম্মদ আশরাফ আলী রাহ. (সংকলক), মৌলভী আবদুল ওয়াসি মরহুম (নাযিমে তরজমা), মৌলভী হাকীম মুহাম্মদ মুস্তফা মরহুম (প্রথম উর্দু অনুবাদক), মুহাম্মদ আলী মরহুম (তরজমা-সহযোগী), মাওলানা মুহাম্মদ শফী দেওবন্দী ও আবদুল মাজেদ দরিয়াবাদী (দ্বিতীয় উর্দু অনুবাদক) (এবং যাঁরা এর বাংলা অনুবাদ করেছেন এবং বর্তমান বাংলা তরজমাকার মুহাম্মদ যাকারিয়া আবদুল্লাহ) সম্পর্কেও। এবং কবুল করুন তাদের পিতা-মাতা ও সকল ঈমানদার নর-নারী সম্পর্কেও। আল্লাহ তা‘আলা কামিল রহমত নাযিল করুন সারোয়ারে কায়েনাত, সৃষ্টির সেরা মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের উপর, এমন রহমত যার কোনো সীমা-পরিসীমা নেই।

  • ৫২০. মৌলভী হাজী শাহ মুহাম্মদ শফী ছাহেব বিজনূরী লাখনৌবী (রহ.)-এর বিশেষ মামুলাতের একটি দু‘আ:

    اَللّٰهُمَّ اغْفِرْ ذُنُوْبَنَا وَاسْتُرْ عُيُوْبَنَا، وَاشْرَحْ صُدُوْرَنَا، وَاحْفَظْ قُلُوْبَنَا، وَنَوِّرْ قُلُوْبَنَا، وَيَسِّرْ أُمُوْرَنَا، وَحَصِّلْ مُرَادَنَا، وَتَمِّمْ تَقْصِيْرَنَا. اَللّٰهُمَّ نَجِّنَا مِمَّا نَخَافُ يَا حَفِيَّ الْأَلْطَافِ.

    অর্থঃ ইয়া আল্লাহ! আমাদের গুনাহ মাফ করুন, আমাদের দোষ-ত্রুটি গোপন রাখুন, আমাদের সীনা খুলে দিন, আমাদের অন্তরের হেফাযত করুন, আমাদের হৃদয় আলোকিত করুন, আমাদের কাজকর্ম সহজ করুন, আমাদের ইচ্ছাসমূহ পূরণ করুন এবং আমাদের ত্রুটিসমূহের ক্ষতিপূরণ করুন। ইয়া আল্লাহ! আমাদেরকে ঐ সকল বিষয় থেকে নাজাত দিন, যাতে আমরা ভীতি অনুভব করি। হে ঐ সত্তা, যিনি দয়া ও করুণার জন্য সদা প্রস্তুত।

 

  • ৫২১. মনযিলঃ১ সূরা আল ফাতিহা

    بِسۡمِ اللهِ الرَّحۡمٰنِ الرَّحِيۡمِ

    اَلۡحَمۡدُ لِلّٰهِ رَبِّ الۡعٰلَمِيۡنَۙ‏ ﴿۱﴾ الرَّحۡمٰنِ الرَّحِيۡمِۙ‏ ﴿۲﴾ مٰلِكِ يَوۡمِ الدِّيۡنِؕ‏ ﴿۳﴾ اِيَّاكَ نَعۡبُدُ وَاِيَّاكَ نَسۡتَعِيۡنُؕ‏ ﴿۴﴾ اِهۡدِنَا الصِّرَاطَ الۡمُسۡتَقِيۡمَۙ‏ ﴿۵﴾ صِرَاطَ الَّذِيۡنَ اَنۡعَمۡتَ عَلَيۡهِمۡ ۙ‏ ﴿۶﴾ غَيۡرِ الۡمَغۡضُوۡبِ عَلَيۡهِمۡ وَلَا الضَّآلِّيۡنَ‏ ﴿۷﴾

    উচ্চারণঃ শুরু করছি আল্লাহর নামে যিনি পরম করুণাময়, অতি দয়ালু। (১) সকল প্রশংসা জগতসমূহের প্রতিপালক আল্লাহরই, (২) যিনি দয়াময়, পরম দয়ালু, (৩) কর্মফল দিবসের মালিক। (৪) আমরা শুধু তোমারই ‘ইবাদত করি, শুধু তোমারই সাহায্য প্রার্থনা করি, (৫) আমাদেরকে সরল পথ প্রদর্শন কর, (৬) তাদের পথ, যাদেরকে তুমি অনুগ্রহ দান করেছ, (৭) তাদের পথ নয় যারা ক্রোধ-নিপতিত ও পথভ্রষ্ট।

    অর্থঃ বিছমিল্লাহির রাহমানির রাহিম। আল হামদুলিল্লা-হি রাব্বিল ‘আ-লামীন। আররাহমা-নির রাহীম। মা-লিকি ইয়াওমিদ্দীন। ইয়্যা-কা না‘বুদুওয়া ইয়্যা-কা নাছতা‘ঈন। ইহদিনাসসিরা-তাল মুছতাকীম। সিরা-তাল্লাযীনা আন‘আমতা ‘আলাইহিম । গাইরিল মাগদূ বি ‘আলাইহিম ওয়ালাদ্দাল্লীন।

  • ৫২২. মনযিলঃ২ সূরা বাকারার প্রথম ৫ আয়াত

    بِسۡمِ اللهِ الرَّحۡمٰنِ الرَّحِيۡمِ

    الٓمّٓۚ‏ ﴿۱﴾ ذٰ لِكَ الۡڪِتٰبُ لَا رَيۡبَۛۚۖ فِيۡهِۛۚ هُدًى لِّلۡمُتَّقِيۡنَۙ‏ ﴿۲﴾ الَّذِيۡنَ يُؤۡمِنُوۡنَ بِالۡغَيۡبِ وَ يُقِيۡمُوۡنَ الصَّلٰوةَ وَمِمَّا رَزَقۡنٰهُمۡ يُنۡفِقُوۡنَۙ‏ ﴿۳﴾ وَالَّذِيۡنَ يُؤۡمِنُوۡنَ بِمَۤا اُنۡزِلَ اِلَيۡكَ وَمَاۤ اُنۡزِلَ مِنۡ قَبۡلِكَۚ وَبِالۡاٰخِرَةِ هُمۡ يُوۡقِنُوۡنَؕ‏ ﴿۴﴾ اُولٰٓٮِٕكَ عَلٰى هُدًى مِّنۡ رَّبِّهِمۡ‌ وَاُولٰٓٮِٕكَ هُمُ الۡمُفۡلِحُوۡنَ‏ ﴿۵﴾

    উচ্চারণঃ বিছমিল্লাহির রাহমানির রাহিম। (১) আলিফ লাম মীম। (২) যা-লিকাল কিতা-বু লা-রাইবা ফীহি হুদাল লিলমুত্তাকীন। (৩) আল্লাযীনা ইউ’মিনূনা বিলগাইবি ওয়াইউকীমূনাসসালা-তা ওয়া মিম্মা-রাঝাকনা-হুম ইউনফিকূ ন। (৪) ওয়াল্লাযীনা ইউ’মিনূনা বিমা উনঝিলা ইলাইকা ওয়ামা উনঝিলা মিন কাবলিকা ওয়াবিল আ-খিরাতি হুম ইউকিনূন। (৫) উলা ইকা ‘আলা-হুদাম মির রাব্বিহিম ওয়া উলাইকা হুমুল মুফলিহূন।

    অর্থঃ (১) আলিফ্-লাম-মীম, (২) এই সে কিতাব; এতে কোন সন্দেহ নেই, মুত্তাকীদের জন্যে এটা পথ-নির্দেশ, (৩) যারা অদৃশ্যে ঈমান আনে, সালাত কায়েম করে ও তাদেরকে যে জীবনোপকরণ দান করেছি তা হতে ব্যয় করে, (৪) এবং তোমার প্রতি যা নাযিল হয়েছে ও তোমার পূর্বে যা নাযিল হয়েছে তাতে যারা ঈমান আনে ও আখিরাতে যারা নিশ্চিত বিশ্বাসী, (৫) তারাই তাদের প্রতিপালক-নির্দেশিত পথে আছে এবং তারাই সফলকাম।

  • ৫২৩. মনযিলঃ৩ সূরা বাকারার ১৬৩ নং আয়াত

    وَاِلٰهُكُمۡ اِلٰهٌ وَّاحِدٌ  ۚ لَآ اِلٰهَ اِلَّا هُوَ الرَّحۡمٰنُ الرَّحِيۡمُ‏ ﴿۱۶۳﴾

    উচ্চারণঃ (১৬৩) ওয়া ইলা-হুকুম ইলা-হুওঁ ওয়া-হিদুল লা ইলা-হা ইল্লা-হুওয়ার রাহমা-নূর রাহীম।

    অর্থঃ (১৬৩) আর তোমাদের ইলাহ্ এক ইলাহ্, তিনি ব্যতীত অন্য কোন ইলাহ্ নেই। তিনি দয়াময়, পরম দয়ালু।

  • ৫২৪. মনযিলঃ৪ সূরা বাকারার ২৫৫, ২৫৬ ও ২৫৭ নং আয়াত ( আয়াতুল কুরসী ও তার পরবর্তী ২ আয়াত)

    اللّٰهُ لَاۤ اِلٰهَ اِلَّا هُوَ الۡحَـىُّ الۡقَيُّوۡمُ لَا تَاۡخُذُهٗ سِنَةٌ وَّلَا نَوۡمٌ‌ؕ لَهٗ مَا فِى السَّمٰوٰتِ وَمَا فِى الۡاَرۡضِ‌ؕ مَنۡ ذَا الَّذِىۡ يَشۡفَعُ عِنۡدَهٗۤ اِلَّا بِاِذۡنِهٖ‌ؕ يَعۡلَمُ مَا بَيۡنَ اَيۡدِيۡهِمۡ وَمَا خَلۡفَهُمۡ‌ۚ وَلَا يُحِيۡطُوۡنَ بِشَىۡءٍ مِّنۡ عِلۡمِهٖۤ اِلَّا بِمَا شَآءَ ۚ وَسِعَ كُرۡسِيُّهُ السَّمٰوٰتِ وَالۡاَرۡضَ‌‌ۚ وَلَا يَـــُٔوۡدُهٗ حِفۡظُهُمَا ‌ۚ وَ هُوَ الۡعَلِىُّ الۡعَظِيۡمُ‏ ﴿۲۵۵﴾ لَاۤ اِكۡرَاهَ فِى الدِّيۡنِ‌ۙ قَد تَّبَيَّنَ الرُّشۡدُ مِنَ الۡغَىِّ‌ۚ فَمَنۡ يَّكۡفُرۡ بِالطَّاغُوۡتِ وَيُؤۡمِنۡۢ بِاللّٰهِ فَقَدِ اسۡتَمۡسَكَ بِالۡعُرۡوَةِ الۡوُثۡقٰى لَا انْفِصَامَ لَهَا‌‌ ؕ وَاللّٰهُ سَمِيۡعٌ عَلِيۡمٌ‏ ﴿۲۵۶﴾ اَللّٰهُ وَلِىُّ الَّذِيۡنَ اٰمَنُوۡا يُخۡرِجُهُمۡ مِّنَ الظُّلُمٰتِ اِلَى النُّوۡرِ‌ وَالَّذِيۡنَ كَفَرُوۡۤا اَوۡلِيٰٓـــُٔهُمُ الطَّاغُوۡتُۙ يُخۡرِجُوۡنَهُمۡ مِّنَ النُّوۡرِ اِلَى الظُّلُمٰتِ‌ؕ اُولٰٓٮِٕكَ اَصۡحٰبُ النَّارِ‌‌ۚ هُمۡ فِيۡهَا خٰلِدُوۡنَ‏ ﴿۲۵۷﴾

    উচ্চারণঃ (২৫৫) আল্লা-হু লাইলা-হা ইল্লা-হুওয়া আল হাইয়ুল কাইয়ূমু লা-তা’খুযুহূ ছিনাতুওঁ ওয়ালা-নাওমুন লাহূ মা-ফিছ ছামা-ওয়া-তি ওয়ামা-ফিল আরদি মান যাল্লাযী ইয়াশফা‘উ ‘ইনদাহূইল্লা-বিইযনিহী ইয়া‘লামুমা-বাইনা আইদীহিম ওয়ামা-খালফাহুম ওয়ালা-ইউহ ীতূনা বিশাইইম মিন ‘ইলমিহীইল্লা-বিমা-শাআ ওয়াছি‘আ কুরছিইয়ুহুছ ছামা-ওয়া-তি ওয়াল আরদা ওয়ালা-ইয়াঊদুহু হিফজু হুমা-ওয়া হুওয়াল ‘আলিইয়ূল ‘আজীম। (২৫৬) লাইকরা-হা ফিদ্দীনি কাততাবাইইয়ানার রুশদু মিনাল গাইয়ি ফামাইঁ ইয়াকফুর বিত্তা-গূতি ওয়া ইউ’মিমবিল্লা-হি ফাকাদিছ তামছাকা বিল‘উরওয়াতিল উছকা লানফিসা-মা লাহা-ওয়াল্লা-হু ছামী‘উন ‘আলীম। (২৫৭) আল্লা-হু ওয়ালিইয়ূল্লাযীনা আ-মানূ ইউখরিজুহুম মিনাজ্জু লুমা-তি ইলান নূরি ওয়াল্লাযীনা কাফারুআওলিয়াউহুমুত্তা-গুতু ইউখরিজূনাহুম মিনান নূরি ইলাজ্জুলুমা-তি উলাইকা আসহা-বুন্না-রি হুম ফীহা-খা-লিদূ ন।

    অর্থঃ (২৫৫) আল্লাহ্, তিনি ব্যতীত কোন ইলাহ্ নেই। তিনি চিরঞ্জীব, সর্বসত্তার ধারক। তাঁকে তন্দ্রা বা নিদ্রা স্পর্শ করে না। আকাশ ও পৃথিবীতে যা কিছু আছে সমস্ত তাঁরই।কে সে, যে তাঁর অনুমতি ব্যতীত তাঁর নিকট সুপারিশ করবে? তাদের সামনে ও পশ্চাতে যা কিছু আছে তা তিনি অবগত। যা তিনি ইচ্ছা করেন তা ব্যাতীত তাঁর জ্ঞানের কিছুই তারা আয়ত্ত করতে পারে না। তাঁর ‘কুরসী’ আকাশ ও পৃথিবীময় পরিব্যাপ্ত; এদের রক্ষণাবেক্ষণ তাঁকে ক্লান্ত করে না; আর তিনি মহান, শ্রেষ্ঠ। (২৫৬) দীন গ্রহণে জোর-জবরদস্তি নেই; সত্য পথ ভ্রান্ত পথ হতে সুস্পষ্ট হয়েছে। যে তাগূতকে অস্বীকার করবে এবং আল্লাহ্ র ওপর ঈমান আনবে সে এমন এক মযবূত হাতল ধরবে যা কখনও ভাঙ্গবে না। আল্লাহ্ সর্বশ্রোতা, প্রজ্ঞাময়। (২৫৭) যারা ঈমান আনে আল্লাহ্ তাদের অভিভাবক, তিনি তাদেরকে অন্ধকার হতে বের করে আলোকে নিয়ে যান। আর যারা কুফরী করে তাগূত তাদের অভিভাবক; এরা তাদেরকে আলো হতে অন্ধকারে নিয়ে যায়। এরাই অগ্নি-অধিবাসী, সেখানে তারা স্থায়ী হবে।

  • ৫২৫. মনযিলঃ৫ সূরা বাকারার শেষ ৩ আয়াত

    لِلّٰهِ مَا فِى السَّمٰوٰتِ وَمَا فِى الۡاَرۡضِ‌ؕ وَاِنۡ تُبۡدُوۡا مَا فِىۡۤ اَنۡفُسِكُمۡ اَوۡ تُخۡفُوۡهُ يُحَاسِبۡكُمۡ بِهِ اللّٰهُ‌ؕ فَيَـغۡفِرُ لِمَنۡ يَّشَآءُ وَيُعَذِّبُ مَنۡ يَّشَآءُ‌ ؕ وَاللّٰهُ عَلٰى كُلِّ شَىۡءٍ قَدِيۡرٌ‏ ﴿۲۸۴﴾ اٰمَنَ الرَّسُوۡلُ بِمَاۤ اُنۡزِلَ اِلَيۡهِ مِنۡ رَّبِّهٖ وَ الۡمُؤۡمِنُوۡنَ‌ؕ كُلٌّ اٰمَنَ بِاللّٰهِ وَمَلٰٓٮِٕكَتِهٖ وَكُتُبِهٖ وَرُسُلِهٖ لَا نُفَرِّقُ بَيۡنَ اَحَدٍ مِّنۡ رُّسُلِهٖ‌ وَقَالُوۡا سَمِعۡنَا وَاَطَعۡنَا‌ غُفۡرَانَكَ رَبَّنَا وَاِلَيۡكَ الۡمَصِيۡرُ‏ ﴿۲۸۵﴾ لَا يُكَلِّفُ اللّٰهُ نَفۡسًا اِلَّا وُسۡعَهَا ‌ؕ لَهَا مَا كَسَبَتۡ وَعَلَيۡهَا مَا اكۡتَسَبَتۡ‌ؕ رَبَّنَا لَا تُؤَاخِذۡنَاۤ اِنۡ نَّسِيۡنَاۤ اَوۡ اَخۡطَاۡنَا ‌ۚ رَبَّنَا وَلَا تَحۡمِلۡ عَلَيۡنَاۤ اِصۡرًا كَمَا حَمَلۡتَهٗ عَلَى الَّذِيۡنَ مِنۡ قَبۡلِنَا ‌‌ۚرَبَّنَا وَلَا تُحَمِّلۡنَا مَا لَا طَاقَةَ لَنَا بِهٖ‌ ۚ وَاعۡفُ عَنَّا وَاغۡفِرۡ لَنَا وَارۡحَمۡنَا اَنۡتَ مَوۡلٰٮنَا فَانۡصُرۡنَا عَلَى الۡقَوۡمِ الۡكٰفِرِيۡنَ‏ ﴿۲۸۶﴾

    উচ্চারণঃ (২৮৪) লিল্লা-হি মা ফিছ ছামা-ওয়া-তি ওয়ামা-ফিল আরদ, ওয়া ইন তুবদূ মা-ফী আনফুছিকুম আও তুখফূহু ইউহা-ছিবকুম বিহিল্লা-হু ফাইয়াগফিরু লি মাইঁ ইয়াশাউ ওয়া ইউ‘আযযিবু মাইঁ ইয়াশাউ ওয়াল্লা-হু আলা-কুল্লি শাইয়িন কাদীর। (২৮৫) আ-মানাররাছূলু বিমা উনঝিলা ইলাইহি মির রাব্বিহী ওয়াল মু’মিনূনা, কুল্লুন আ-মানা বিল্লাহি ওয়া মালাইকাতিহী ওয়া কুতুবিহী ওয়া রুছুলিহী লা-নুফাররিকু বাইনা আহাদিম মির রুছুলিহী ওয়া কা-লূ ছামি‘না ওয়াআতা‘না গুফরা-নাকা রাব্বানা-ওয়া ইলাইকাল মাসীর। (২৮৬) লা-ইউকালিলফুল্লা-হু নাফছান ইল্লা-উছ‘আহা-লাহা-মা কাছাবাত ওয়া ‘আলাইহা-মাকতাছাবাত রাব্বানা-লা-তুআ-খিযনা ইন নাছীনা-আও আখতা’না-রাব্বানা ওয়ালা-তাহমিল ‘আলাইনা-ইসরান কামা-হামালতাহূ আলাল্লাযীনা মিন কাবলিনা-রাব্বানা-ওয়ালা তুহাম্মিলনা-মা-লা-ত্ব-কাতা লানা-বিহী ওয়া‘ফু‘আন্না-ওয়াগফিরলানা-ওয়ারহামনা-আনতা মাওলা-না-ফানসুরনা-‘আলাল কাওমিল কা-ফিরীন।

    অর্থঃ (২৮৪) আসমান ও যমীনে যা কিছু আছে সমস্ত আল্লাহ্ র ই। তোমাদের মনে যা আছে, তা প্রকাশ কর বা গোপন রাখ, আল্লাহ্ এর হিসেব তোমাদের নিকট হতে গ্রহণ করবেন। এরপর যাকে ইচ্ছা তিনি ক্ষমা করবেন আর যাকে খুশি শাস্তি দিবেন। আল্লাহ্ সর্ববিষয়ে সর্বশক্তিমান। (২৮৫) রাসূল, তার প্রতি তার প্রতিপালকের পক্ষ হতে যা অবতীর্ণ হয়েছে তাতে ঈমান এনেছে এবং মু’মিনগণও। তাদের সকলে আল্লাহে, তাঁর ফিরিশতাগণে, তাঁর কিতাবসমূহে ও তাঁর রাসূলগণে ঈমান এনেছে। তারা বলে, ‘আমরা তাঁর রাসূলগণের মধ্যে কোন তারতম্য করি না’, আর তারা বলে, ‘আমরা শুনেছি এবং পালন করেছি। হে আমাদের প্রতিপালক! আমরা তোমার ক্ষমা চাই আর প্রত্যাবর্তন তোমারই নিকট।’ (২৮৬) আল্লাহ্ কারও ওপর এমন কোন কষ্টদায়ক দায়িত্ব অর্পণ করেন না যা তার সাধ্যাতীত। সে ভাল যা উপার্জন করে তার প্রতিফল তারই আর সে মন্দ যা উপার্জন করে তার প্রতিফল তারই। ‘হে আমাদের প্রতিপালক! যদি আমরা বিস্মৃত হই বা ভুল করি তবে তুমি আমাদেরকে পাকড়াও কর না। হে আমাদের প্রতিপালক ! আমাদের পূর্ববর্তিগণের ওপর যেমন গুরুদায়িত্ব অর্পণ করেছিলে আমাদের ওপর তেমন দায়িত্ব অর্পণ কর না। হে আমাদের প্রতিপালক ! এমন ভার আমাদের ওপর অর্পণ কর না যা বহন করার শক্তি আমাদের নেই। আমাদের পাপ মোচন কর, আমাদেরকে ক্ষমা কর, আমাদের প্রতি দয়া কর, তুমিই আমাদের অভিভাবক। সুতরাং কাফির সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে আমাদেরকে সাহায্য কর।’

  • ৫২৬. মনযিলঃ৬ সূরা আলে ইমরানের ১৮ নং আয়াত

    شَهِدَ اللّٰهُ اَنَّهٗ لَاۤ اِلٰهَ اِلَّا هُوَۙ وَالۡمَلٰٓٮِٕكَةُ وَاُولُوا الۡعِلۡمِ قَآٮِٕمًا ۢ بِالۡقِسۡطِ‌ؕ لَاۤ اِلٰهَ اِلَّا هُوَ الۡعَزِيۡزُ الۡحَكِيۡمُؕ‏ ﴿۱۸﴾

    উচ্চারণঃ (১৮) শাহিদাল্লা-হু আন্নাহু লা ইলা-হা ইল্লা-হুওয়া ওয়াল মালাইকাতুওয়া উলুল ‘ইলমি কাইমাম বিলকিছতিলাইল্লা-হা ইল্লা-হুওয়াল আঝীঝুল হাকীম।

    অর্থঃ (১৮) আল্লাহ্ সাক্ষ্য দেন যে, নিশ্চয়ই তিনি ব্যতীত অন্য কোন ইলাহ্ নেই, ফিরিশতাগণ এবং জ্ঞানীগণও ; আল্লাহ্ ন্যায়নীতিতে প্রতিষ্ঠিত, তিনি ব্যতীত অন্য কোন ইলাহ নেই; তিনি পরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাময়।

  • ৫২৭. মনযিলঃ৭ সূরা আলে ইমরানের ২৬ ও ২৭ নং আয়াত

    قُلِ اللّٰہُمَّ مٰلِکَ الۡمُلۡکِ تُؤۡتِی الۡمُلۡکَ مَنۡ تَشَآءُ وَتَنۡزِعُ الۡمُلۡکَ مِمَّنۡ تَشَآءُ ۫ وَتُعِزُّ مَنۡ تَشَآءُ وَتُذِلُّ مَنۡ تَشَآءُ ؕ بِیَدِکَ الۡخَیۡرُ ؕ اِنَّکَ عَلٰی کُلِّ شَیۡءٍ قَدِیۡرٌ ﴿۲۶﴾ تُوۡلِجُ الَّیۡلَ فِی النَّہَارِ وَتُوۡلِجُ النَّہَارَ فِی الَّیۡلِ ۫ وَتُخۡرِجُ الۡحَیَّ مِنَ الۡمَیِّتِ وَتُخۡرِجُ الۡمَیِّتَ مِنَ الۡحَیِّ ۫ وَتَرۡزُقُ مَنۡ تَشَآءُ بِغَیۡرِ حِسَابٍ

    ﴿۲۷﴾

    উচ্চারণঃ (২৬) কুল্লিলা-হুম্মা মা-লিকাল মুলকি তু’তিল মুলকা মান তাশাউ ওয়া তানঝি‘উল মুলকা মিম্মান তাশাউ ওয়াতু‘ইঝঝুমান তাশাউ ওয়া তুযিল্লুমান তাশাউ বিইয়াদিকাল খাইরু; ইন্নাকা ‘আলা-কুল্লি শাইয়িন কাদীর। (২৭) তূলিজুল লাইলা ফিন্নাহা-রি ওয়াতূলিজুন্নাহা-রা ফিল্লাইলি ওয়াতুখরিজুল হাইইয়া মিনাল মাইয়িতি ওয়াতুখরিজুল মাইয়িতা মিনাল হাইয়ি ওয়াতারঝুকু মান তাশাউ বিগাইরি হিছা-ব।

    অর্থঃ (২৬) বল, ‘হে সার্বভৌম শক্তির মালিক আল্লাহ! তুমি যাকে ইচ্ছা ক্ষমতা প্রদান কর আর যার নিকট হতে ইচ্ছা ক্ষমতা কেড়ে নাও; যাকে ইচ্ছা তুমি ইজ্জত দান কর, আর যাকে ইচ্ছা তুমি হীন কর। কল্যাণ তোমার হাতেই। নিশ্চয়ই তুমি সকল বিষয়ে সর্বশক্তিমান। (২৭) ‘তুমি রাত্রিকে দিবসে পরিণত আর দিবসকে রাত্রিতে পরিণত কর : তুমিই মৃত হতে জীবন্তের আবির্ভাব ঘটাও, আবার জীবন্ত হতে মৃতের আবির্ভাব ঘটাও। তুমি যাকে ইচ্ছা অপরিমিত জীবনোপকরণ দান কর।’

  • ৫২৮. মনযিলঃ৮ সূরা আরাফের ৫৪, ৫৫ ও ৫৬ নং আয়াত

    اِنَّ رَبَّكُمُ اللّٰهُ الَّذِىۡ خَلَقَ السَّمٰوٰتِ وَ الۡاَرۡضَ فِىۡ سِتَّةِ اَيَّامٍ ثُمَّ اسۡتَوٰى عَلَى الۡعَرۡشِ يُغۡشِى الَّيۡلَ النَّهَارَ يَطۡلُبُهٗ حَثِيۡثًا ۙ وَّالشَّمۡسَ وَالۡقَمَرَ وَالنُّجُوۡمَ مُسَخَّرٰتٍۢ بِاَمۡرِهٖ ؕ اَلَا لَـهُ الۡخَـلۡقُ وَالۡاَمۡرُ‌ ؕ تَبٰرَكَ اللّٰهُ رَبُّ الۡعٰلَمِيۡنَ‏ ﴿۵۴﴾ اُدۡعُوۡا رَبَّكُمۡ تَضَرُّعًا وَّخُفۡيَةً‌ ؕ اِنَّهٗ لَا يُحِبُّ الۡمُعۡتَدِيۡنَ‌ ۚ‏ ﴿۵۵﴾ وَلَا تُفۡسِدُوۡا فِى الۡاَرۡضِ بَعۡدَ اِصۡلَاحِهَا وَادۡعُوۡهُ خَوۡفًا وَّطَمَعًا‌ ؕ اِنَّ رَحۡمَتَ اللّٰهِ قَرِيۡبٌ مِّنَ الۡمُحۡسِنِيۡنَ‏ ﴿۵۶﴾

    উচ্চারণঃ (৫৪) ইন্না-রাব্বাকুমুল্লা-হুল্লাযী খালাকাছছামা-ওয়া-তি ওয়াল আরদা ফী ছিত্তাতি আইইয়া-মিন ছু ম্মাছ তাওয়া-‘আলাল ‘আরশি ইউগশিল লাইলান নাহা-রা ইয়াতলুবুহূহাছীছাওঁ ওয়াশশামছা ওয়াল কামারা ওয়ান নুজূমা মুছাখখারা-তিম বিআমরিহী আলা-লাহুল খালকুওয়াল আমরু তাবা-রাকাল্লা-হু রাব্বুল ‘আ-লামীন। (৫৫) উদ‘ঊ রাব্বাকুম তাদাররু‘আওঁ ওয়া খুফইয়াতান ইন্নাহূ লা-ইউহিব্বুল মু‘তাদীন। (৫৬) ওয়ালা-তুফছিদূ ফিল আরদি বা‘দা ইসলা-হিহা-ওয়াদ‘ঊহু খাওফাওঁ ওয়া ত্বমা‘আন ইন্না রাহমাতাল্লা-হি কারীবুম মিনাল মুহছিনীন।

    অর্থঃ (৫৪) তোমাদের প্রতিপালক আল্লাহ্ যিনি আকাশমণ্ডলী ও পৃথিবী ছয় দিনে সৃষ্টি করেন; এরপর তিনি আরশে সমাসীন হন। তিনিই দিবসকে রাত্রি দিয়ে আচ্ছাদিত করেন যাতে এদের একে অন্যকে দ্রুতগতিতে অনুসরণ করে; আর সূর্য, চাঁদ ও নক্ষত্ররাজি- যা তাঁরই আজ্ঞাধীন, তা তিনিই সৃষ্টি করেছেন। জেনে রাখ, সৃজন ও আজ্ঞা তাঁরই। মহিমময় বিশ্বজগতের প্রতিপালক আল্লাহ্। (৫৫) তোমরা বিনীতভাবে ও গোপনে তোমাদের প্রতিপালককে ডাক; তিনি সীমালংঘন-কারীদেরকে পছন্দ করেন না। (৫৬) দুনিয়ায় শান্তি স্থাপনের পর তোমরা তাতে বিপর্যয় ঘটিও না, তাঁকে ভয় ও আশার সঙ্গে ডাকবে। নিশ্চয়ই আল্লাহ্ র অনুগ্রহ সৎকর্মপরায়ণদের নিকটবর্তী।

  • ৫২৯. মনযিলঃ৯ সূরা বনী ইসরাঈলের শেষ ২ আয়াত

    قُلِ ادۡعُوا اللّٰهَ اَوِ ادۡعُوا الرَّحۡمٰنَ‌ ؕ اَ يًّا مَّا تَدۡعُوۡا فَلَهُ الۡاَسۡمَآءُ الۡحُسۡنٰى ‌ۚ وَلَا تَجۡهَرۡ بِصَلَاتِكَ وَلَا تُخَافِتۡ بِهَا وَابۡتَغِ بَيۡنَ ذٰ لِكَ سَبِيۡلًا‏ ﴿۱۱۰﴾ وَقُلِ الۡحَمۡدُ لِلّٰهِ الَّذِىۡ لَمۡ يَتَّخِذۡ وَلَدًا وَّلَمۡ يَكُنۡ لَّهٗ شَرِيۡكٌ فِى الۡمُلۡكِ وَلَمۡ يَكُنۡ لَّهٗ وَلِىٌّ مِّنَ الذُّلِّ‌ وَكَبِّرۡهُ تَكۡبِيۡرًا‏ ﴿۱۱۱﴾

    উচ্চারণঃ (১১০) কুলিদ‘উল্লা-হা আওয়ীদ ‘উর রাহমা-না আইঁ ইয়াম্মা-তাদ‘ঊ ফালাহুল আছমাঊল হুছনা-ওয়ালা-তাজহার বিসালা-তিকা ওয়ালা-তুখা-ফিত বিহা-ওয়াবতাগি বাইনা যালিকা ছাবীলা-। (১১১) ওয়া কুলিল হামদুলিল্লা-হিল্লাযী লাম ইয়াত্তাখিযওয়ালাদাওঁ ওয়া লাম ইয়াকুল্লাহূ শারীকুন ফিল মুলকি ওয়া লাম ইয়াকুল্লাহূ ওয়ালিইয়ুম মিনাযযুল্লি ওয়া কাব্বিরহু তাকবীরা-।

    অর্থঃ (১১০) বল, ‘তোমরা ‘আল্লাহ্’ নামে আহ্বান কর বা ‘রাহ্মান’ নামে আহ্বান কর, তোমরা যে নামেই আহ্বান কর সকল সুন্দর নামই তো তাঁর। তোমরা সালাতে স্বর উচ্চ কর না এবং অতিশয় ক্ষীণও কর না; এই দুইয়ের মধ্যপথ অবলম্বন কর।’ (১১১) বল, ‘প্রশংসা আল্লাহ্ র ই যিনি কোন সন্তান গ্রহণ করেন নাই, তাঁর সার্বভৌমত্বে কোন অংশী নেই এবং যিনি দুর্দশাগ্রস্ত হন না যে কারণে তাঁর অভিভাবকের প্রয়োজন হতে পারে। সুতরাং সসম্ভ্রমে তাঁর মাহাত্ম্য ঘোষণা কর।’

  • ৫৩০. মনযিলঃ ১০ সূরা মুমিনুনের শেষ ৪ আয়াত

    اَفَحَسِبۡتُمۡ اَنَّمَا خَلَقۡنٰكُمۡ عَبَثًا وَّاَنَّكُمۡ اِلَيۡنَا لَا تُرۡجَعُوۡنَ‏ ﴿۱۱۵﴾ فَتَعٰلَى اللّٰهُ الۡمَلِكُ الۡحَـقُّ‌ ۚ لَاۤ اِلٰهَ اِلَّا هُوَ‌ۚ رَبُّ الۡعَرۡشِ الۡـكَرِيۡمِ‏ ﴿۱۱۶﴾ وَمَنۡ يَّدۡعُ مَعَ اللّٰهِ اِلٰهًا اٰخَرَۙ لَا بُرۡهَانَ لَهٗ بِهٖۙ فَاِنَّمَا حِسَابُهٗ عِنۡدَ رَبِّهٖؕ اِنَّهٗ لَا يُفۡلِحُ الۡـكٰفِرُوۡنَ‏ ﴿۱۱۷﴾ وَقُلْ رَّبِّ اغۡفِرۡ وَارۡحَمۡ وَاَنۡتَ خَيۡرُ الرّٰحِمِيۡنَ‏ ﴿۱۱۸﴾

    উচ্চারণঃ (১১৫) আফাহাছিবতুম আন্নামা-খালাকনা-কুম আবাছাওঁ ওয়া আন্নাকুম ইলাইনা-লা-তুরজা‘ঊন। (১১৬) ফাতাআ-লাল্লা-হুল মালিকুল হাক্কু লাইলা-হা ইল্লা-হুওয়া, রাব্বুল ‘আরশিল কারীম। (১১৭) ওয়া মাইঁ ইয়াদ‘উ মা‘আল্লা-হি ইলা-হান আ-খারা লা-বুরহা-না লাহূবিহী ফাইন্নামাহিছা-বুহূ‘ইনদা রাব্বিহী ইন্নাহূলা-ইউফলিহুল কা-ফিরূন। (১১৮) ওয়া কুর রাব্বিগফির ওয়ারহাম ওয়া আনতা খাইরুররা-হিমীন।

    অর্থঃ (১১৫) ‘তোমরা কি মনে করেছিলে যে, আমি তোমাদেরকে অনর্থক সৃষ্টি করেছি এবং তোমরা আমার নিকট প্রত্যাবর্তিত হবে না ?’ (১১৬) মহিমান্বিত আল্লাহ্ যিনি প্রকৃত মালিক, তিনি ব্যতীত কোন ইলাহ্ নেই; সম্মানিত র্আশের তিনি অধিপতি। (১১৭) যে ব্যক্তি আল্লাহ্ র সঙ্গে ডাকে অন্য ইলাহ্কে, এই বিষয়ে তার নিকট কোন সনদ নেই; তার হিসেব তার প্রতিপালকের নিকট আছে; নিশ্চয়ই কাফিররা সফলকাম হবে না। (১১৮) বল, ‘হে আমার প্রতিপালক! ক্ষমা কর ও দয়া কর, তুমিই তো সর্বশ্রেষ্ঠ দয়ালু।’

  • ৫৩১. মনযিলঃ১১ সূরা সাফফাতের প্রথম ১১ আয়াত

    بِسۡمِ اللهِ الرَّحۡمٰنِ الرَّحِيۡمِ

    وَالصّٰٓفّٰتِ صَفًّا ۙ‏ ﴿۱﴾ فَالزّٰجِرٰتِ زَجۡرًا ۙ‏ ﴿۲﴾ فَالتّٰلِيٰتِ ذِكۡرًا ۙ‏ ﴿۳﴾ اِنَّ اِلٰهَكُمۡ لَوَاحِدٌ ؕ‏ ﴿۴﴾ رَبُّ السَّمٰوٰتِ وَالۡاَرۡضِ وَمَا بَيۡنَهُمَا وَرَبُّ الۡمَشَارِقِ ؕ‏ ﴿۵﴾ اِنَّا زَيَّنَّا السَّمَآءَ الدُّنۡيَا بِزِيۡنَةِ اۨلۡكَوَاكِبِۙ‏ ﴿۶﴾ وَحِفۡظًا مِّنۡ كُلِّ شَيۡطٰنٍ مَّارِدٍ‌ۚ‏ ﴿۷﴾ لَّا يَسَّمَّعُوۡنَ اِلَى الۡمَلَاِ الۡاَعۡلٰى وَيُقۡذَفُوۡنَ مِنۡ كُلِّ جَانِبٍۖ ‏ ﴿۸﴾ دُحُوۡرًا وَّلَهُمۡ عَذَابٌ وَّاصِبٌ  ۙ‏ ﴿۹﴾ اِلَّا مَنۡ خَطِفَ الۡخَطۡفَةَ فَاَتۡبَعَهٗ شِهَابٌ ثَاقِبٌ‏ ﴿۱۰﴾ فَاسۡتَفۡتِهِمۡ اَهُمۡ اَشَدُّ خَلۡقًا اَمۡ مَّنۡ خَلَقۡنَاؕ اِنَّا خَلَقۡنٰهُمۡ مِّنۡ طِيۡنٍ لَّازِبٍ‏ ﴿۱۱﴾

    উচ্চারণঃ (১) ওয়াসসাফফা-তি সাফফা-। (২) ফাঝঝা-জিরা-তি ঝাজরা-। (৩) ফাত্তা-লিয়া-তি যিকরা-। (৪) ইন্না ইলা-হাকুম লাওয়া-হিদ। (৫) রাব্বুছ ছামা-ওয়া-তি ওয়াল আরদিওয়ামা-বাইনাহুমা-ওয়া রাব্বুল মাশা-রিক। (৬) ইন্না-ঝাইয়ান্নাছছামাআদ্দুনইয়া-বিঝীনাতিনিল কাওয়া-কিব। (৭) ওয়া হিফজাম মিন কুল্লি শাইতা-নিম মা-রিদ। (৮) লা ইয়াছছাম্মা‘ঊনা ইলাল মালাইল আ‘লা-ওয়া ইউকযাফূনা মিন কুল্লি জা-নিব। (৯) দুহূ রাও ওয়ালাহুম ‘আযা-বুন ওয়া-সিব। (১০) ইল্লা-মান খাতিফাল খাতফাতা ফাআতবা‘আহূশিহা-বুন ছাকিব। (১১) ফাছতাফতিহিম আহুম আশাদ্দু খাল কান আম্মান খালাকনা- ইন্না-খালাকনা-হুম মিন ত্বীনিল লা-ঝিব।

    অর্থঃ (১) শপথ তাদের যারা সারিবদ্ধভাবে দণ্ডায়মান (২) ও যারা কঠোর পরিচালক (৩) এবং যারা ‘যিকির’ আবৃত্তিতে রত- (৪) নিশ্চয়ই তোমাদের ইলাহ্ এক, (৫) যিনি আকাশমণ্ডলী ও পৃথিবী এবং এদের অন্তর্বর্তী সমস্ত কিছুর প্রভু এবং প্রভু সকল উদয়স্থলের। (৬) আমি নিকটবর্তী আকাশকে নক্ষত্ররাজির সুষমা দিয়ে সুশোভিত করেছি, (৭) এবং রক্ষা করেছি প্রত্যেক বিদ্রোহী শয়তান হতে। (৮) ফলে এরা ঊর্ধ্ব জগতের কিছু শোনে করতে পারে না এবং এদের প্রতি নিক্ষিপ্ত হয় সকল দিক হতে- (৯) বিতাড়নের জন্যে এবং এদের জন্যে আছে অবিরাম শাস্তি। (১০) তবে কেউ হঠাৎ কিছু শুনে ফেলিলে জ্বলন্ত উল্কাপিণ্ড তার পশ্চাদ্ধাবন করে। (১১) এদেরকে জিজ্ঞাসা কর, এরা সৃষ্টিতে দৃঢ়তর, না আমি অন্য যা কিছু সৃষ্টি করেছি তা ? এদেরকে আমি সৃষ্টি করেছি আঠাল মৃত্তিকা হতে।

  • ৫৩২. মনযিলঃ১২ সূরা আর-রহমান এর ৩৩ থেকে ৪০ আয়াত পর্যন্ত

    يٰمَعۡشَرَ الۡجِنِّ وَالۡاِنۡسِ اِنِ اسۡتَطَعۡتُمۡ اَنۡ تَنۡفُذُوۡا مِنۡ اَقۡطَارِ السَّمٰوٰتِ وَالۡاَرۡضِ فَانْفُذُوۡا‌ؕ لَا تَنۡفُذُوۡنَ اِلَّا بِسُلۡطٰنٍ‌ۚ‏ ﴿۳۳﴾ فَبِاَىِّ اٰلَاۤءِ رَبِّكُمَا تُكَذِّبٰنِ‏ ﴿۳۴﴾ يُرۡسَلُ عَلَيۡكُمَا شُوَاظٌ مِّنۡ نَّارٍ ۙ وَّنُحَاسٌ فَلَا تَنۡتَصِرٰنِ‌ۚ‏ ﴿۳۵﴾ فَبِاَىِّ اٰلَاۤءِ رَبِّكُمَا تُكَذِّبٰنِ‏ ﴿۳۶﴾ فَاِذَا انْشَقَّتِ السَّمَآءُ فَكَانَتۡ وَرۡدَةً كَالدِّهَانِ‌ۚ‏ ﴿۳۷﴾ فَبِاَىِّ اٰلَاۤءِ رَبِّكُمَا تُكَذِّبٰنِ‏ ﴿۳۸﴾ فَيَوۡمَٮِٕذٍ لَّا يُسۡـٴَـلُ عَنۡ ذَنۡۢبِهٖۤ اِنۡسٌ وَّلَا جَآنٌّ‌ۚ‏ ﴿۳۹﴾ فَبِاَىِّ اٰلَاۤءِ رَبِّكُمَا تُكَذِّبٰنِ‏ ﴿۴۰﴾

    উচ্চারণঃ (৩৩) ইয়া-মা‘শারাল জিন্নি ওয়াল ইনছি ইনিছতাতা‘তুম আন তানফুযূ মিন আকতা-রিছ ছামাওয়া-তি ওয়াল আরদিফানফুযূ লা-তানফুযূনা ইল্লা-বিছুলতা-ন। (৩৪) ফাবিআইয়ি আ-লাই রাব্বিকুমা- তুকাযযিবা-ন । (৩৫) ইউরছালু‘আলাইকুমা-শুওয়া-জু ম মিন্না-রিওঁ ওয়া নুহা-ছুন ফালা-তানতাসিরা-ন। (৩৬) ফাবিআইয়ি আ-লাই রাব্বিকুমা- তুকাযযিবা-ন । (৩৭) ফাইযান শাককাতিছ ছামাউ ফাকা-নাত ওয়ারদাতান কাদ্দিহা-ন। (৩৮) ফাবিআইয়ি আ-লাই রাব্বিকুমা- তুকাযযিবা-ন । (৩৯) ফাইয়াওমা ইযিল্লা-ইউছআলু‘আন যামবিহী ইনছুওঁ ওয়ালা-জান। (৪০) ফাবিআইয়ি আ-লাই রাব্বিকুমা- তুকাযযিবা-ন ।

    অর্থঃ (৩৩) হে জিন ও মনুষ্য সম্প্রদায়! আকাশমণ্ডলী ও পৃথিবীর সীমা তোমরা যদি অতিক্রম করতে পার অতিক্রম কর, কিন্তু তোমরা অতিক্রম করতে পারবে না সনদ ব্যতিরেকে। (৩৪) সুতরাং তোমরা উভয়ে তোমাদের প্রতিপালকের কোন্ অনুগ্রহ অস্বীকার করবে ? (৩৫) তোমাদের প্রতি প্রেরিত হবে অগ্নিশিখা ও ধূম্রপুঞ্জ, তখন তোমরা প্রতিরোধ করতে পারবে না। (৩৬) সুতরাং তোমরা উভয়ে তোমাদের প্রতিপালকের কোন্ অনুগ্রহ অস্বীকার করবে ? (৩৭) যেদিন আকাশ বিদীর্ণ হবে সেদিন তা রক্ত-রঙ্গে রঞ্জিত চর্মের রূপ ধারণ করবে; (৩৮) সুতরাং তোমরা উভয়ে তোমাদের প্রতিপালকের কোন্ অনুগ্রহ অস্বীকার করবে ? (৩৯) সেদিন না মানুষকে তার অপরাধ সম্বন্ধে জিজ্ঞাসা করা হবে, না জিনকে। (৪০) সুতরাং তোমরা উভয়ে তোমাদের প্রতিপালকের কোন্ অনুগ্রহ অস্বীকার করবে ?

  • ৫৩৩. মনযিলঃ১৩ সূরা হাশর এর শেষ ৪ আয়াত

    لَوۡ اَنۡزَلۡنَا هٰذَا الۡقُرۡاٰنَ عَلٰى جَبَلٍ لَّرَاَيۡتَهٗ خَاشِعًا مُّتَصَدِّعًا مِّنۡ خَشۡيَةِ اللّٰهِ‌ؕ وَتِلۡكَ الۡاَمۡثَالُ نَضۡرِبُهَا لِلنَّاسِ لَعَلَّهُمۡ يَتَفَكَّرُوۡنَ‏ ﴿۲۱﴾ هُوَ اللّٰهُ الَّذِىۡ لَاۤ اِلٰهَ اِلَّا هُوَ‌ ۚ عٰلِمُ الۡغَيۡبِ وَالشَّهَادَةِ‌ ۚ هُوَ الرَّحۡمٰنُ الرَّحِيۡمُ‏ ﴿۲۲﴾ هُوَ اللّٰهُ الَّذِىۡ لَاۤ اِلٰهَ اِلَّا هُوَ‌ۚ اَلۡمَلِكُ الۡقُدُّوۡسُ السَّلٰمُ الۡمُؤۡمِنُ الۡمُهَيۡمِنُ الۡعَزِيۡزُ الۡجَـبَّارُ الۡمُتَكَبِّرُ‌ؕ سُبۡحٰنَ اللّٰهِ عَمَّا يُشۡرِكُوۡنَ‏ ﴿۲۳﴾ هُوَ اللّٰهُ الۡخَـالِـقُ الۡبَارِئُ الۡمُصَوِّرُ‌ لَـهُ الۡاَسۡمَآءُ الۡحُسۡنٰى‌ؕ يُسَبِّحُ لَهٗ مَا فِى السَّمٰوٰتِ وَالۡاَرۡضِ‌ۚ وَهُوَ الۡعَزِيۡزُ الۡحَكِيۡمُ‏ ﴿۲۴﴾

    উচ্চারণঃ (২১) লাও আনঝালনা-হা-যাল কুরআ-না ‘আলা-জাবালিল লারাআইতাহু খা-শি‘আম মুতাসাদ্দি‘ আম মিন খাশয়াতিল্লা-হি ওয়া তিলকাল আমছা-লুনাদরিবুহা-লিন্নাছি লা‘আল্লাহম ইয়াতাফাক্কারূন। (২২) হুওয়াল্লা-হুল্লাযী লাইলা-হা ইল্লা-হুওয়া ‘আ-লিমুল গাইবি ওয়াশশাহা-দাতি হুওয়াররাহমা-নুর রাহীম। (২৩) হুওয়াল্লা-হুল্লাযী লাইলা-হা ইল্লা-হুওয়া আলমালিকুল কুদ্দূছুছ ছালা-মুল ম’মিনুল মুহাইমিনুল ‘আঝীঝুল জাব্বা-রুল মুতাকাব্বিরু ছুবহা-নাল্লা-হি ‘আম্মা-ইউশরিকূন। (২৪) হুওয়াল্লা-হুল খা-লিকুল বা-রিউল মুছাওবিরু লাহুল আছমাউল হুছনা-; ইউছাব্বিহুলাহূ মা-ফিছ ছামা-ওয়া-তি ওয়াল আরদি ওয়াহুওয়াল ‘ আঝীঝুল হাকীম।

    অর্থঃ (২১) যদি আমি এই কুরআন পর্বতের ওপর অবতীর্ণ করতাম তবে তুমি একে আল্লাহ্ র ভয়ে বিনীত এবং বিদীর্ণ দেখতে। আমি এই সমস্ত দৃষ্টান্ত বর্ণনা করি মানুষের জন্যে, যাতে তারা চিন্তা করে। (২২) তিনিই আল্লাহ্, তিনি ব্যতীত কোন ইলাহ্ নেই, তিনি অদৃশ্য ও দৃশ্যের পরিজ্ঞাতা; তিনি দয়াময়, পরম দয়ালু। (২৩) তিনিই আল্লাহ্, তিনি ব্যতীত কোন ইলাহ্ নেই। তিনিই অধিপতি, তিনিই পবিত্র, তিনিই শান্তি, তিনিই নিরাপত্তা বিধায়ক, তিনিই রক্ষক, তিনিই পরাক্রমশালী, তিনিই প্রবল, তিনিই অতীব মহিমান্বিত। এরা যাকে শরীক স্থির করে আল্লাহ্ তা হতে পবিত্র, মহান। (২৪) তিনিই আল্লাহ্, সৃজনকর্তা, উদ্ভাবনকর্তা, রূপদাতা, তাঁরই সকল উত্তম নাম। আকাশমণ্ডলী ও পৃথিবীতে যা কিছু আছে, সমস্তই তাঁর পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা করে। তিনি পরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাময়।

  • ৫৩৪. মনযিলঃ১৪ সূরা জ্বিনের প্রথম ৪ আয়াত

    بِسۡمِ اللهِ الرَّحۡمٰنِ الرَّحِيۡمِ

    قُلۡ اُوۡحِىَ اِلَىَّ اَنَّهُ اسۡتَمَعَ نَفَرٌ مِّنَ الۡجِنِّ فَقَالُوۡۤا اِنَّا سَمِعۡنَا قُرۡاٰنًاعَجَبًا ۙ‏ ﴿۱﴾ يَّهۡدِىۡۤ اِلَى الرُّشۡدِ فَاٰمَنَّا بِهٖ‌ ؕ وَلَنۡ نُّشۡرِكَ بِرَبِّنَاۤ اَحَدًا ۙ‏ ﴿۲﴾ وَّاَنَّهٗ تَعٰلٰى جَدُّ رَبِّنَا مَا اتَّخَذَ صَاحِبَةً وَّلَا وَلَدًا ۙ‏ ﴿۳﴾ وَّ اَنَّهٗ كَانَ يَقُوۡلُ سَفِيۡهُنَا عَلَى اللّٰهِ شَطَطًا ۙ‏ ﴿۴﴾

    উচ্চারণঃ (১)কুল ঊহিয়া ইলাইইয়া আন্নাহুছতামা‘আ নাফারুম মিনাল জিন্নি ফাকা-লূ ইন্না-ছামি‘না কুরআ-নান ‘আজাবা- । (২)ইয়াহদীইলাররুশদি ফাআ-মান্না- বিহী ওয়া লান নুশরিকা বিরাব্বিনাআহাদা- । (৩)ওয়া আন্নাহূ তা‘আ- জাদ্দু রাব্বিনা- মাত্তাখাযা সা-হিবাতাওঁ ওয়ালা- ওয়ালাদা- । (৪)ওয়া আন্নাহূ কা-না ইয়াকূলু ছাফীহুনা- ‘আলাল্লা-হি শাতাতা- ।

    অর্থঃ (১) বল, ‘আমার প্রতি ওহী প্রেরিত হয়েছে যে, জিনদের একটি দল মনোযোগ সহকারে শ্রবণ করেছে এবং বলেছে, ‘আমরা তো এক বিস্ময়কর কুরআন শ্রবণ করেছি, (২) ‘যা সঠিক পথনির্দেশ করে; ফলে আমরা এতে বিশ্বাস স্থাপন করেছি। আমরা কখনও আমাদের প্রতিপালকের কোন শরীক স্থির করব না, (৩) ‘এবং নিশ্চয়ই সমুচ্চ আমাদের প্রতিপালকের মর্যাদা ; তিনি গ্রহণ করেন নাই কোন পত্নী এবং না কোন সন্তান। (৪) ‘এবং আরও এই যে, আমাদের মধ্যকার নির্বোধেরা আল্লাহ্ র সম্বন্ধে অতি অবাস্তব উক্তি করত।

  • ৫৩৫. মনযিলঃ১৫ সূরা কাফিরুন

    بِسۡمِ اللهِ الرَّحۡمٰنِ الرَّحِيۡمِ

    قُلۡ يٰۤاَيُّهَا الۡكٰفِرُوۡنَۙ‏ ﴿۱﴾ لَاۤ اَعۡبُدُ مَا تَعۡبُدُوۡنَۙ‏ ﴿۲﴾ وَلَاۤ اَنۡـتُمۡ عٰبِدُوۡنَ مَاۤ اَعۡبُدُ‌ ۚ‏ ﴿۳﴾ وَلَاۤ اَنَا عَابِدٌ مَّا عَبَدۡتُّمۡۙ‏ ﴿۴﴾ وَ لَاۤ اَنۡـتُمۡ عٰبِدُوۡنَ مَاۤ اَعۡبُدُ ؕ‏ ﴿۵﴾ لَـكُمۡ دِيۡنُكُمۡ وَلِىَ دِيۡنِ‏ ﴿۶﴾

    উচ্চারণঃ (১)কুল ইয়াআইয়ুহাল কা-ফিরূন। (২) লাআ‘বুদুমা-তা‘বুদূন। (৩) ওয়ালাআনতুম ‘আ-বিদূনা মাআ‘বুদ। (৪) ওয়ালাআনা ‘আ-বিদুম মা-‘আবাত্তুম, (৫) ওয়ালাআনতুম ‘আ-বিদূনা মাআ‘বুদ। (৬) লাকুম দীনুকুম ওয়ালিয়া দীন।

    অর্থঃ (১) বল, ‘হে কাফিররা! (২) ‘আমি তার ‘ইবাদত করি না যার ‘ইবাদত তোমরা কর (৩) এবং তোমরাও তাঁর ‘ইবাদতকারী নও যাঁহার ‘ইবাদত আমি করি, (৪) ‘এবং আমি ‘ইবাদতকারী নই তার যার ‘ইবাদত তোমরা করে আসছ। (৫) ‘এবং তোমরাও তাঁর ‘ইবাদতকারী নও যাঁহার ‘ইবাদত আমি করি। (৬) ‘তোমাদের দীন তোমাদের, আমার দীন আমার।’

  • ৫৩৬. মনযিলঃ১৬ সূরা ইখলাস

    بِسۡمِ اللهِ الرَّحۡمٰنِ الرَّحِيۡمِ

    قُلۡ هُوَ اللّٰهُ اَحَدٌ‌ ۚ‏ ﴿۱﴾ اَللّٰهُ الصَّمَدُ‌ ۚ‏ ﴿۲﴾ لَمۡ يَلِدۡ   ۙ وَلَمۡ يُوۡلَدۡ ۙ‏ ﴿۳﴾ وَلَمۡ يَكُنۡ لَّهٗ كُفُوًا اَحَدٌ ﴿۴﴾

    উচ্চারণঃ (১)কুল হুওয়াল্লা-হু আহাদ। (২) আল্লা-হুসসামাদ। (৩) লাম ইয়ালিদ ওয়ালাম ইঊলাদ। (৪) ওয়া লাম ইয়াকুল্লাহূকুফুওয়ান আহাদ।

    অর্থঃ (১) বল, ‘তিনিই আল্লাহ্, এক-অদ্বিতীয়, (২) ‘আল্লাহ্ কারও মুখাপেক্ষী নন, সকলেই তাঁর মুখাপেক্ষী; (৩) ‘তিনি কাউকেও জন্ম দেন নাই এবং তাঁকেও জন্ম দেয়া হয় নাই, (৪) ‘এবং তাঁর সমতুল্য কেউই নাই।’

  • ৫৩৭. মনযিলঃ১৭ সূরা ফালাক

    بِسۡمِ اللهِ الرَّحۡمٰنِ الرَّحِيۡمِ

    قُلۡ اَعُوۡذُ بِرَبِّ الۡفَلَقِۙ‏ ﴿۱﴾ مِنۡ شَرِّ مَا خَلَقَۙ‏ ﴿۲﴾ وَمِنۡ شَرِّ غَاسِقٍ اِذَا وَقَبَۙ‏ ﴿۳﴾ وَمِنۡ شَرِّ النَّفّٰثٰتِ فِى الۡعُقَدِۙ‏ ﴿۴﴾ وَمِنۡ شَرِّ حَاسِدٍ اِذَا حَسَدَ‏ ﴿۵﴾

    উচ্চারণঃ (১)কুল আ‘ঊযুবিরাব্বিল ফালাক (২) মিন শাররি মা-খালাক। (৩) ওয়া মিন শাররি গা-ছিকিন ইযা-ওয়াকাব। (৪) ওয়া মিন শাররিন নাফফা-ছা-তি ফিল ‘উকাদ। (৫) ওয়া মিন শাররি হা-ছিদিন ইযা-হাছাদ।

    অর্থঃ (১) বল, ‘আমি শরণ নিচ্ছি ঊষার স্রষ্টার (২) ‘তিনি যা সৃষ্টি করেছেন তার অনিষ্ট হতে, (৩) ‘অনিষ্ট হতে রাত্রির অন্ধকারের, যখন তা গভীর হয় (৪) ‘এবং অনিষ্ট হতে সমস্ত নারীদের, যারা গ্রন্থিতে ফুৎকার দেয় (৫) এবং অনিষ্ট হতে হিংসুকের, যখন সে হিংসা করে।’

  • ৫৩৮. মনযিলঃ১৮ সূরা নাস

    بِسۡمِ اللهِ الرَّحۡمٰنِ الرَّحِيۡمِ

    قُلۡ اَعُوۡذُ بِرَبِّ النَّاسِۙ‏ ﴿۱﴾ مَلِكِ النَّاسِۙ‏ ﴿۲﴾ اِلٰهِ النَّاسِۙ‏ ﴿۳﴾ مِنۡ شَرِّ الۡوَسۡوَاسِ  ۙ الۡخَـنَّاسِ ۙ‏ ﴿۴﴾ الَّذِىۡ يُوَسۡوِسُ فِىۡ صُدُوۡرِ النَّاسِۙ‏ ﴿۵﴾ مِنَ الۡجِنَّةِ وَالنَّاسِ‏ ﴿۶﴾

    উচ্চারণঃ (১) কুল আ‘ঊযুবিরাব্বিন্না-ছ, (২) মালিকিন্না-ছ, (৩) ইলা-হিন্না-ছ। (৪) মিন শাররিল ওয়াছ ওয়া-ছিল খান্না-ছ। (৫) আল্লাযী ইউওয়াছবিছুফী সুদূরিন্নাছ-। (৬) মিনাল জিন্নাতি ওয়ান্না-ছ।

    অর্থঃ (১) বল, ‘আমি শরণ নিচ্ছি মানুষের প্রতিপালকের, (২) ‘মানুষের অধিপতির, (৩) ‘মানুষের ইলাহের নিকট (৪) আত্মগোপনকারী কুমন্ত্রণাদাতার অনিষ্ট হতে’ (৫) ‘যে কুমন্ত্রণা দেয় মানুষের অন্তরে, (৬) ‘জিনের মধ্য হতে এবং মানুষের মধ্য হতে।’

  • ৫৩৯. হারানো জিনিস উদ্ধারের জন্য দোয়া

    «يَا هَادِيَ الضَّالِّ، وَرَادَّ الضَّالَّةِ ارْدُدْ عَلَيَّ ضَالَّتِي بِعِزَّتِكَ وَسُلْطَانِكَ فَإِنَّهَا مِنْ عَطَائِكَ وَفَضْلِكَ»

    উচ্চারণঃ ইয়া হাদিয়াদ দ্বালাল, ওয়া রা-দ্দাদ দ্বাল্লাহ; উরদুদ আলাইয়া দ্বাল্লাতি, বিইজ্জাতিক ওয়া সুলতানিকা; ফাইন্নাহা মিন আত্বায়িকা ও ফাদ্বলিক।

    অর্থঃ আল্লাহর নামে শুরু। হে হারানো জিনিসের সন্ধানদাতা, হারানো বস্তু প্রত্যাবর্তনকারী; আপনার সম্মান ও ক্ষমতার উসিলা দিয়ে প্রার্থনা করছি, আপনি আমাকে আমার হারানো জিনিসটি ফিরিয়ে দিন। এটি আপনার দান এবং অনুগ্রহ।’

  • ৫৪০. বিছানায় শুয়ে এ দোয়া পড়া

    لَا اِلَهَ اِلَّا اللهُ وَحْدَهُ لَا شَرِيْكَ لَهُ - لَهُ الْمُلْكُ وَ لَهُ الْحَمْدُ وَ هُوَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيْرٌ - لَا حَوْلَ وَ لَا قُوَّةَ اِلَّا بِاللهِ سُبْحَانَ اللهِ وَالْحَمْدُ للهِ وَ لَا اِلَهَ اللهُ وَاللهُ اَكْبَرُ

    উচ্চারণঃ উচ্চারণ : ’লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শারিকা লাহু, লাহুল মুলকু ওয়া লাহুল হামদু ওয়া হুয়া আলা কুল্লি শাইয়িন কাদির। লা হাওলা ওয়া কুওয়্যাতা ইল্লা বিল্লাহ। সুবহানাল্লাহি ওয়ালহামদুলিল্লাহি ওয়া লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াল্লাহু আকবার।’

    অর্থঃ অর্থ : আল্লাহ ছাড়া সত্যিকারের কোনো মাবুদ নেই, তাঁর কোনো অংশীদার নেই, তাঁর জন্যই রাজত্ব এবং তাঁর জন্যই সব প্রশংসা। তিনি সব কিছুর উপর ক্ষমতাবান। আল্লাহ ছাড়া কোনো উপায় ও সামর্থ্য নেই। আল্লাহ পবিত্র এবং তাঁর জন্য সব প্রশংসা। আল্লাহ ছাড়া কোনো সত্যিকারের ইলাহ নেই এবং আল্লাহ সবার চেয়ে মহান।’

 

  • ৫৪১. বিছানায় শুয়ে এ দোয়া পড়া

    لَا اِلَهَ اِلَّا اللهُ وَحْدَهُ لَا شَرِيْكَ لَهُ - لَهُ الْمُلْكُ وَ لَهُ الْحَمْدُ وَ هُوَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيْرٌ - لَا حَوْلَ وَ لَا قُوَّةَ اِلَّا بِاللهِ سُبْحَانَ اللهِ وَالْحَمْدُ للهِ وَ لَا اِلَهَ اللهُ وَاللهُ اَكْبَرُ

    উচ্চারণঃ উচ্চারণ : ’লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শারিকা লাহু, লাহুল মুলকু ওয়া লাহুল হামদু ওয়া হুয়া আলা কুল্লি শাইয়িন কাদির। লা হাওলা ওয়া কুওয়্যাতা ইল্লা বিল্লাহ। সুবহানাল্লাহি ওয়ালহামদুলিল্লাহি ওয়া লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াল্লাহু আকবার।’

    অর্থঃ অর্থ : আল্লাহ ছাড়া সত্যিকারের কোনো মাবুদ নেই, তাঁর কোনো অংশীদার নেই, তাঁর জন্যই রাজত্ব এবং তাঁর জন্যই সব প্রশংসা। তিনি সব কিছুর উপর ক্ষমতাবান। আল্লাহ ছাড়া কোনো উপায় ও সামর্থ্য নেই। আল্লাহ পবিত্র এবং তাঁর জন্য সব প্রশংসা। আল্লাহ ছাড়া কোনো সত্যিকারের ইলাহ নেই এবং আল্লাহ সবার চেয়ে মহান।’

  • ৫৪২. বিছানায় শুয়ে এ দোয়া পড়া

    لَا اِلَهَ اِلَّا اللهُ وَحْدَهُ لَا شَرِيْكَ لَهُ - لَهُ الْمُلْكُ وَ لَهُ الْحَمْدُ وَ هُوَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيْرٌ - لَا حَوْلَ وَ لَا قُوَّةَ اِلَّا بِاللهِ سُبْحَانَ اللهِ وَالْحَمْدُ للهِ وَ لَا اِلَهَ اللهُ وَاللهُ اَكْبَرُ

    উচ্চারণঃ উচ্চারণ : ’লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শারিকা লাহু, লাহুল মুলকু ওয়া লাহুল হামদু ওয়া হুয়া আলা কুল্লি শাইয়িন কাদির। লা হাওলা ওয়া কুওয়্যাতা ইল্লা বিল্লাহ। সুবহানাল্লাহি ওয়ালহামদুলিল্লাহি ওয়া লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াল্লাহু আকবার।’

    অর্থঃ অর্থ : আল্লাহ ছাড়া সত্যিকারের কোনো মাবুদ নেই, তাঁর কোনো অংশীদার নেই, তাঁর জন্যই রাজত্ব এবং তাঁর জন্যই সব প্রশংসা। তিনি সব কিছুর উপর ক্ষমতাবান। আল্লাহ ছাড়া কোনো উপায় ও সামর্থ্য নেই। আল্লাহ পবিত্র এবং তাঁর জন্য সব প্রশংসা। আল্লাহ ছাড়া কোনো সত্যিকারের ইলাহ নেই এবং আল্লাহ সবার চেয়ে মহান।’

  • ৫৪৩. বিছানায় শুয়ে এ দোয়া পড়া

    لَا اِلَهَ اِلَّا اللهُ وَحْدَهُ لَا شَرِيْكَ لَهُ - لَهُ الْمُلْكُ وَ لَهُ الْحَمْدُ وَ هُوَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيْرٌ - لَا حَوْلَ وَ لَا قُوَّةَ اِلَّا بِاللهِ سُبْحَانَ اللهِ وَالْحَمْدُ للهِ وَ لَا اِلَهَ اللهُ وَاللهُ اَكْبَرُ

    উচ্চারণঃ উচ্চারণ : ’লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শারিকা লাহু, লাহুল মুলকু ওয়া লাহুল হামদু ওয়া হুয়া আলা কুল্লি শাইয়িন কাদির। লা হাওলা ওয়া কুওয়্যাতা ইল্লা বিল্লাহ। সুবহানাল্লাহি ওয়ালহামদুলিল্লাহি ওয়া লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াল্লাহু আকবার।’

    অর্থঃ অর্থ : আল্লাহ ছাড়া সত্যিকারের কোনো মাবুদ নেই, তাঁর কোনো অংশীদার নেই, তাঁর জন্যই রাজত্ব এবং তাঁর জন্যই সব প্রশংসা। তিনি সব কিছুর উপর ক্ষমতাবান। আল্লাহ ছাড়া কোনো উপায় ও সামর্থ্য নেই। আল্লাহ পবিত্র এবং তাঁর জন্য সব প্রশংসা। আল্লাহ ছাড়া কোনো সত্যিকারের ইলাহ নেই এবং আল্লাহ সবার চেয়ে মহান।’

  • ৫৪৪. বিছানায় শুয়ে এ দোয়া পড়া

    لَا اِلَهَ اِلَّا اللهُ وَحْدَهُ لَا شَرِيْكَ لَهُ - لَهُ الْمُلْكُ وَ لَهُ الْحَمْدُ وَ هُوَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيْرٌ - لَا حَوْلَ وَ لَا قُوَّةَ اِلَّا بِاللهِ سُبْحَانَ اللهِ وَالْحَمْدُ للهِ وَ لَا اِلَهَ اللهُ وَاللهُ اَكْبَرُ

    উচ্চারণঃ উচ্চারণ : ’লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শারিকা লাহু, লাহুল মুলকু ওয়া লাহুল হামদু ওয়া হুয়া আলা কুল্লি শাইয়িন কাদির। লা হাওলা ওয়া কুওয়্যাতা ইল্লা বিল্লাহ। সুবহানাল্লাহি ওয়ালহামদুলিল্লাহি ওয়া লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াল্লাহু আকবার।’

    অর্থঃ অর্থ : আল্লাহ ছাড়া সত্যিকারের কোনো মাবুদ নেই, তাঁর কোনো অংশীদার নেই, তাঁর জন্যই রাজত্ব এবং তাঁর জন্যই সব প্রশংসা। তিনি সব কিছুর উপর ক্ষমতাবান। আল্লাহ ছাড়া কোনো উপায় ও সামর্থ্য নেই। আল্লাহ পবিত্র এবং তাঁর জন্য সব প্রশংসা। আল্লাহ ছাড়া কোনো সত্যিকারের ইলাহ নেই এবং আল্লাহ সবার চেয়ে মহান।’

  • ৫৪৫. বিছানায় শুয়ে এ দোয়া পড়া

    لَا اِلَهَ اِلَّا اللهُ وَحْدَهُ لَا شَرِيْكَ لَهُ - لَهُ الْمُلْكُ وَ لَهُ الْحَمْدُ وَ هُوَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيْرٌ - لَا حَوْلَ وَ لَا قُوَّةَ اِلَّا بِاللهِ سُبْحَانَ اللهِ وَالْحَمْدُ للهِ وَ لَا اِلَهَ اللهُ وَاللهُ اَكْبَرُ

    উচ্চারণঃ উচ্চারণ : ’লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শারিকা লাহু, লাহুল মুলকু ওয়া লাহুল হামদু ওয়া হুয়া আলা কুল্লি শাইয়িন কাদির। লা হাওলা ওয়া কুওয়্যাতা ইল্লা বিল্লাহ। সুবহানাল্লাহি ওয়ালহামদুলিল্লাহি ওয়া লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াল্লাহু আকবার।’

    অর্থঃ অর্থ : আল্লাহ ছাড়া সত্যিকারের কোনো মাবুদ নেই, তাঁর কোনো অংশীদার নেই, তাঁর জন্যই রাজত্ব এবং তাঁর জন্যই সব প্রশংসা। তিনি সব কিছুর উপর ক্ষমতাবান। আল্লাহ ছাড়া কোনো উপায় ও সামর্থ্য নেই। আল্লাহ পবিত্র এবং তাঁর জন্য সব প্রশংসা। আল্লাহ ছাড়া কোনো সত্যিকারের ইলাহ নেই এবং আল্লাহ সবার চেয়ে মহান।’

  • ৫৪৬. বিছানায় শুয়ে এ দোয়া পড়া

    لَا اِلَهَ اِلَّا اللهُ وَحْدَهُ لَا شَرِيْكَ لَهُ - لَهُ الْمُلْكُ وَ لَهُ الْحَمْدُ وَ هُوَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيْرٌ - لَا حَوْلَ وَ لَا قُوَّةَ اِلَّا بِاللهِ سُبْحَانَ اللهِ وَالْحَمْدُ للهِ وَ لَا اِلَهَ اللهُ وَاللهُ اَكْبَرُ

    উচ্চারণঃ উচ্চারণ : ’লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শারিকা লাহু, লাহুল মুলকু ওয়া লাহুল হামদু ওয়া হুয়া আলা কুল্লি শাইয়িন কাদির। লা হাওলা ওয়া কুওয়্যাতা ইল্লা বিল্লাহ। সুবহানাল্লাহি ওয়ালহামদুলিল্লাহি ওয়া লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াল্লাহু আকবার।’

    অর্থঃ অর্থ : আল্লাহ ছাড়া সত্যিকারের কোনো মাবুদ নেই, তাঁর কোনো অংশীদার নেই, তাঁর জন্যই রাজত্ব এবং তাঁর জন্যই সব প্রশংসা। তিনি সব কিছুর উপর ক্ষমতাবান। আল্লাহ ছাড়া কোনো উপায় ও সামর্থ্য নেই। আল্লাহ পবিত্র এবং তাঁর জন্য সব প্রশংসা। আল্লাহ ছাড়া কোনো সত্যিকারের ইলাহ নেই এবং আল্লাহ সবার চেয়ে মহান।’

  • ৫৪৭. বিছানায় শুয়ে এ দোয়া পড়া

    لَا اِلَهَ اِلَّا اللهُ وَحْدَهُ لَا شَرِيْكَ لَهُ - لَهُ الْمُلْكُ وَ لَهُ الْحَمْدُ وَ هُوَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيْرٌ - لَا حَوْلَ وَ لَا قُوَّةَ اِلَّا بِاللهِ سُبْحَانَ اللهِ وَالْحَمْدُ للهِ وَ لَا اِلَهَ اللهُ وَاللهُ اَكْبَرُ

    উচ্চারণঃ উচ্চারণ : ’লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শারিকা লাহু, লাহুল মুলকু ওয়া লাহুল হামদু ওয়া হুয়া আলা কুল্লি শাইয়িন কাদির। লা হাওলা ওয়া কুওয়্যাতা ইল্লা বিল্লাহ। সুবহানাল্লাহি ওয়ালহামদুলিল্লাহি ওয়া লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াল্লাহু আকবার।’

    অর্থঃ অর্থ : আল্লাহ ছাড়া সত্যিকারের কোনো মাবুদ নেই, তাঁর কোনো অংশীদার নেই, তাঁর জন্যই রাজত্ব এবং তাঁর জন্যই সব প্রশংসা। তিনি সব কিছুর উপর ক্ষমতাবান। আল্লাহ ছাড়া কোনো উপায় ও সামর্থ্য নেই। আল্লাহ পবিত্র এবং তাঁর জন্য সব প্রশংসা। আল্লাহ ছাড়া কোনো সত্যিকারের ইলাহ নেই এবং আল্লাহ সবার চেয়ে মহান।’

  • ৫৪৮. বিছানায় শুয়ে এ দোয়া পড়া

    لَا اِلَهَ اِلَّا اللهُ وَحْدَهُ لَا شَرِيْكَ لَهُ - لَهُ الْمُلْكُ وَ لَهُ الْحَمْدُ وَ هُوَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيْرٌ - لَا حَوْلَ وَ لَا قُوَّةَ اِلَّا بِاللهِ سُبْحَانَ اللهِ وَالْحَمْدُ للهِ وَ لَا اِلَهَ اللهُ وَاللهُ اَكْبَرُ

    উচ্চারণঃ উচ্চারণ : ’লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শারিকা লাহু, লাহুল মুলকু ওয়া লাহুল হামদু ওয়া হুয়া আলা কুল্লি শাইয়িন কাদির। লা হাওলা ওয়া কুওয়্যাতা ইল্লা বিল্লাহ। সুবহানাল্লাহি ওয়ালহামদুলিল্লাহি ওয়া লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াল্লাহু আকবার।’

    অর্থঃ অর্থ : আল্লাহ ছাড়া সত্যিকারের কোনো মাবুদ নেই, তাঁর কোনো অংশীদার নেই, তাঁর জন্যই রাজত্ব এবং তাঁর জন্যই সব প্রশংসা। তিনি সব কিছুর উপর ক্ষমতাবান। আল্লাহ ছাড়া কোনো উপায় ও সামর্থ্য নেই। আল্লাহ পবিত্র এবং তাঁর জন্য সব প্রশংসা। আল্লাহ ছাড়া কোনো সত্যিকারের ইলাহ নেই এবং আল্লাহ সবার চেয়ে মহান।’

  • ৫৪৯. বিছানায় শুয়ে এ দোয়া পড়া

    لَا اِلَهَ اِلَّا اللهُ وَحْدَهُ لَا شَرِيْكَ لَهُ - لَهُ الْمُلْكُ وَ لَهُ الْحَمْدُ وَ هُوَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيْرٌ - لَا حَوْلَ وَ لَا قُوَّةَ اِلَّا بِاللهِ سُبْحَانَ اللهِ وَالْحَمْدُ للهِ وَ لَا اِلَهَ اللهُ وَاللهُ اَكْبَرُ

    উচ্চারণঃ উচ্চারণ : ’লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শারিকা লাহু, লাহুল মুলকু ওয়া লাহুল হামদু ওয়া হুয়া আলা কুল্লি শাইয়িন কাদির। লা হাওলা ওয়া কুওয়্যাতা ইল্লা বিল্লাহ। সুবহানাল্লাহি ওয়ালহামদুলিল্লাহি ওয়া লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াল্লাহু আকবার।’

    অর্থঃ অর্থ : আল্লাহ ছাড়া সত্যিকারের কোনো মাবুদ নেই, তাঁর কোনো অংশীদার নেই, তাঁর জন্যই রাজত্ব এবং তাঁর জন্যই সব প্রশংসা। তিনি সব কিছুর উপর ক্ষমতাবান। আল্লাহ ছাড়া কোনো উপায় ও সামর্থ্য নেই। আল্লাহ পবিত্র এবং তাঁর জন্য সব প্রশংসা। আল্লাহ ছাড়া কোনো সত্যিকারের ইলাহ নেই এবং আল্লাহ সবার চেয়ে মহান।’

  • ৫৫০. বিছানায় শুয়ে এ দোয়া পড়া

    لَا اِلَهَ اِلَّا اللهُ وَحْدَهُ لَا شَرِيْكَ لَهُ - لَهُ الْمُلْكُ وَ لَهُ الْحَمْدُ وَ هُوَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيْرٌ - لَا حَوْلَ وَ لَا قُوَّةَ اِلَّا بِاللهِ سُبْحَانَ اللهِ وَالْحَمْدُ للهِ وَ لَا اِلَهَ اللهُ وَاللهُ اَكْبَرُ

    উচ্চারণঃ উচ্চারণ : ’লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শারিকা লাহু, লাহুল মুলকু ওয়া লাহুল হামদু ওয়া হুয়া আলা কুল্লি শাইয়িন কাদির। লা হাওলা ওয়া কুওয়্যাতা ইল্লা বিল্লাহ। সুবহানাল্লাহি ওয়ালহামদুলিল্লাহি ওয়া লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াল্লাহু আকবার।’

    অর্থঃ অর্থ : আল্লাহ ছাড়া সত্যিকারের কোনো মাবুদ নেই, তাঁর কোনো অংশীদার নেই, তাঁর জন্যই রাজত্ব এবং তাঁর জন্যই সব প্রশংসা। তিনি সব কিছুর উপর ক্ষমতাবান। আল্লাহ ছাড়া কোনো উপায় ও সামর্থ্য নেই। আল্লাহ পবিত্র এবং তাঁর জন্য সব প্রশংসা। আল্লাহ ছাড়া কোনো সত্যিকারের ইলাহ নেই এবং আল্লাহ সবার চেয়ে মহান।’

  • ৫৫১. বিছানায় শুয়ে এ দোয়া পড়া

    لَا اِلَهَ اِلَّا اللهُ وَحْدَهُ لَا شَرِيْكَ لَهُ - لَهُ الْمُلْكُ وَ لَهُ الْحَمْدُ وَ هُوَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيْرٌ - لَا حَوْلَ وَ لَا قُوَّةَ اِلَّا بِاللهِ سُبْحَانَ اللهِ وَالْحَمْدُ للهِ وَ لَا اِلَهَ اللهُ وَاللهُ اَكْبَرُ

    উচ্চারণঃ উচ্চারণ : ’লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শারিকা লাহু, লাহুল মুলকু ওয়া লাহুল হামদু ওয়া হুয়া আলা কুল্লি শাইয়িন কাদির। লা হাওলা ওয়া কুওয়্যাতা ইল্লা বিল্লাহ। সুবহানাল্লাহি ওয়ালহামদুলিল্লাহি ওয়া লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াল্লাহু আকবার।’

    অর্থঃ অর্থ : আল্লাহ ছাড়া সত্যিকারের কোনো মাবুদ নেই, তাঁর কোনো অংশীদার নেই, তাঁর জন্যই রাজত্ব এবং তাঁর জন্যই সব প্রশংসা। তিনি সব কিছুর উপর ক্ষমতাবান। আল্লাহ ছাড়া কোনো উপায় ও সামর্থ্য নেই। আল্লাহ পবিত্র এবং তাঁর জন্য সব প্রশংসা। আল্লাহ ছাড়া কোনো সত্যিকারের ইলাহ নেই এবং আল্লাহ সবার চেয়ে মহান।’

  • ৫৫২. সকল প্রকার ফিতনা থেকে বেঁচে থাকার দুআ :

    اللَّهُمَّ إنِّي أعوذُ بكَ من الفِتَنِ، ما ظهَرَ مِنْهَا، وما بطَنَ

    উচ্চারণঃ আল্লাহুম্মা ইন্নী আউজুবিকা মিনাল ফিতানি মা যাহারা মিনহা ওয়ামা বাতান।

    অর্থঃ অর্থঃ হে আল্লাহ। আমি আপনার কাছে প্রকাশ্য অপ্রকাশ্য সব ধরনের ফিতনা থেকে আশ্রয় চাই।

  • ৫৫৩. সকল প্রকার ফিতনা থেকে বেঁচে থাকার দুআ :

    اللَّهُمَّ إنِّي أعوذُ بكَ من الفِتَنِ، ما ظهَرَ مِنْهَا، وما بطَنَ

    উচ্চারণঃ আল্লাহুম্মা ইন্নী আউজুবিকা মিনাল ফিতানি মা যাহারা মিনহা ওয়ামা বাতান।

    অর্থঃ অর্থঃ হে আল্লাহ। আমি আপনার কাছে প্রকাশ্য অপ্রকাশ্য সব ধরনের ফিতনা থেকে আশ্রয় চাই।

  • ৫৫৪. বদনজরের দোয়া # ১

    ৩ বার পড়ুনঃ

    بِسْمِ اللّٰهِ أَرْقِيْكَ مِنْ كُلِّ شَىْءٍ يُؤْذِيكَ مِنْ شَرِّ كُلِّ نَفْسٍ أَوْ عَيْنِ حَاسِدٍ اللَّهُ يَشْفِيكَ بِاسْمِ اللَّهِ

    أَرْقِيكَ

    অর্থঃ আমি আল্লাহর নামে আপনাকে রুকইয়াহ করছি, সেই সব জিনিস থেকে, যা আপনাকে কষ্ট দিচ্ছে। সব প্রাণের অনিষ্ট কিংবা হিংসুকের বদ নজর থেকে আল্লাহ আপনাকে আরোগ্য দিক; আমি আল্লাহর নামে রুকইয়াহ করছি।

  • ৫৫৫. সূরা বাকারা ( আয়াত নং ১-৫ )

    بِسْمِ اللّٰهِ الرَّحْمٰنِ الرَّحِیْمِ

    الٓـمّٓ ﴿۱﴾ ذٰلِكَ الْكِتٰبُ لَا رَیْبَ ۚۖۛ فِیْهِ ۚۛ هُدًی لِّلْمُتَّقِیْنَ ﴿۲﴾ الَّذِیْنَ یُؤْمِنُوْنَ بِالْغَیْبِ وَیُقِیْمُوْنَ الصَّلٰوۃَ وَمِمَّا رَزَقْنٰهُمْ یُنْفِقُوْنَ ﴿۳﴾ وَالَّذِیْنَ یُؤْمِنُوْنَ بِمَاۤ اُنْزِلَ اِلَیْكَ وَمَاۤ اُنْزِلَ مِنْ قَبْلِكَ ۚوَ بِالْاٰخِرَۃِ هُمْ یُوْقِنُوْنَ ﴿۴﴾ اُولٰٓئِكَ عَلٰی هُدًی مِّنْ رَّبِّهِمْ ٭ وَ اُولٰٓئِكَ هُمُ الْمُفْلِحُوْنَ ﴿۵﴾

    উচ্চারণঃ আলিফ-লাম-মীম যা-লিকাল কিতা-বুলা-রাইবা ফীহি হুদাল লিলমুত্তাকীন। আল্লাযীনা ইউ’মিনূনা বিলগাইবি ওয়াইউকীমূনাসসালা-তা ওয়া মিম্মা-রাঝাকনা-হুমইউনফিকূ ন। ওয়াল্লাযীনা ইউ’মিনূনা বিমাউনঝিলা ইলাইকা ওয়ামাদ উনঝিলা মিন কাবলিকা ওয়াবিল আ-খিরাতি হুম ইউকিনূন। উলাইকা ‘আলা-হুদাম মিররাব্বিহিম ওয়া উলাইকা হুমুল মুফলিহূন।

    অর্থঃ (1) আলিফ লাম মীম [এর প্রকৃত তাৎপর্য আল্লাহ ছাড়া কেউ জানে না]। (2) এই তো কিতাব, যাতে কোন সন্দেহ নেই, আছে মোত্তাকীদের (অন্যায় পরিহারকারী, আল্লাহভীরু, সৎকর্মশীল ও ধর্মপরায়ণ ব্যক্তিদের) জন্য পথনির্দেশ; (3) যারা অদৃশ্য সত্যকে বিশ্বাস করে, নামায আদায় করে, আর আমি তাদেরকে যা দান করেছি তা থেকে (সৎকাজে) ব্যয় করে; (4) যারা তোমার কাছে যা নাযিল করা হয়েছে এবং তোমার পূর্বে (অন্য নবীদের কাছে) যা নাযিল করা হয়েছিল তা বিশ্বাস করে; আর পরকালের প্রতি তারা দৃঢ় বিশ্বাস রাখে। (5) এ ধরনের লোকেরাই তাদের প্রভুর সঠিক পথে আছে এবং এরাই সফলকাম।

  • ৫৫৬. সূরা বাকারা ( আয়াত নং - ১০২ )

    وَاتَّبَعُوْا مَا تَتْلُوا الشَّیٰطِیْنُ عَلٰی مُلْكِ سُلَیْمٰنَ ۚ وَمَا کَفَرَ سُلَیْمٰنُ وَلٰكِنَّ الشَّیٰطِیْنَ کَفَرُوْا یُعَلِّمُوْنَ النَّاسَ السِّحْرَ ٭ وَمَاۤ اُنْزِلَ عَلَی الْمَلَکَیْنِ بِبَابِلَ هَارُوْتَ وَمَارُوْتَ ؕ وَمَا یُعَلِّمٰنِ مِنْ اَحَدٍ حَتّٰی یَقُوْلَاۤ اِنَّمَا نَحْنُ فِتْنَۃٌ فَلَا تَكْفُرْ ؕ فَیَتَعَلَّمُوْنَ مِنْهُمَا مَا یُفَرِّقُوْنَ بِہٖ بَیْنَ الْمَرْءِ وَزَوْجِہٖ ؕ وَمَا هُمْ بِضَآرِّیْنَ بِہٖ مِنْ اَحَدٍ اِلَّا بِاِذْنِ اللّٰه ؕ وَیَتَعَلَّمُوْنَ مَا یَضُرُّهُمْ وَلَا یَنْفَعُهُمْ ؕ وَلَقَدْ عَلِمُوْا لَمَنِ اشْتَرٰىهُ مَا لَہٗ فِی الْاٰخِرَۃِ مِنْ خَلَاقٍ ۟ؕ وَلَبِئْسَ مَا شَرَوْا بِہٖۤ اَنْفُسَهُمْ ؕ لَوْ کَانُوْا یَعْلَمُوْنَ ﴿۱۰۲﴾

    উচ্চারণঃ ওয়াত্তাবা‘উ মা-তাতলুশশাইয়া-তীনু‘আলা- মুলকি ছুলাইমা-না ওয়ামা-কাফারা ছুলাইমা-নু ওয়ালা- কিন্নাশশাইয়া-তীনা কাফারূ ইউ‘আলিলমূনান্না-ছাছছিহরা ওয়ামা উনঝিলা ‘আলাল মালাকাইনি ব্বিা-বিলা হা-রূতা ওয়ামা-রূতা ওয়ামা- ইউ‘আলিলমা-নি মিন আহাদিন হাত্তা-ইয়াকূলা ইন্নামা-নাহনুফিতনাতুন ফালা-তাকফুর ফাইয়াতা‘আল্লামূনা মিনহুমা- মা-ইউফাররিকূনা বিহী বাইনাল মারই ওয়াঝাওজিহী ওয়ামা-হুম বিদাররীনা বিহী মিন আহাদিন ইল্লা- বিইযনিল্লা-হি ওয়াইয়াতা‘আল্লামূনা মা-ইয়াদুররুহুম ওয়ালাইয়ানফা‘উহুম ওয়ালাকাদ ‘আলিমূলামানিশতারা-হু মা-লাহূফিল আ-খিরাতি মিন খালাকিওঁ ওয়ালাবি’ছা মা-শারাও বিহী আনফুছাহুম লাও কা-নূইয়া‘লামূন।

    অর্থঃ আর সুলায়মানের রাজত্বে শয়তানরা যা আবৃত্তি করত তারা তা অনুসরণ করত। সুলায়মান কুফরী করে নাই, বরং শয়তানরাই কুফরী করেছিল। তারা মানুষকে জাদু শিক্ষা দিত এবং যা বাবিল শহরে হারূত ও মারূত ফেরেশতাদ্বয়ের ওপর অবতীর্ণ হয়েছিল। তারা কাউকেও শিক্ষা দিত না এ কথা না বলে যে, ‘আমরা পরীক্ষাস্বরূপ; সুতরাং তুমি কুফরী কর না।’ তারা উভয়ের নিকট হতে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে যা বিচ্ছেদ সৃষ্টি করে তা শিক্ষা করত, অথচ আল্লাহ্ র নির্দেশ ব্যতীত তারা কারও কোন ক্ষতি সাধন করতে পারত না। তারা যা শিক্ষা করত তা তাদের ক্ষতি সাধন করত এবং কোন উপকারে আসত না; আর তারা নিশ্চিতভাবে জানত যে, যে কেউ তা ক্রয় করে পরকালে তার কোন অংশ নেই। এটা কত নিকৃষ্ট, যার বিনিময়ে তারা স্বীয় আত্মাকে বিক্রয় করেছে, যদি তারা জানত!

  • ৫৫৭. সূরা আল বাকারা ( আয়াত নং ১৬৩-৬৪ )

    وَ اِلٰـهُكُمْ اِلٰہٌ وَّاحِدٌ ۚلَاۤ اِلٰهَ اِلَّا هُوَ الرَّحْمٰنُ الرَّحِیْمُ ﴿۱۶۳﴾ اِنَّ فِیْ خَلْقِ السَّمٰوٰتِ وَالْاَرْضِ وَاخْتِلَافِ الَّیْلِ وَالنَّهَارِ وَالْفُلْكِ الَّتِیْ تَجْرِیْ فِی الْبَحْرِ بِمَا یَنْفَعُ النَّاسَ وَمَاۤ اَنْزَلَ اللّٰهُ مِنَ السَّمَآءِ مِنْ مَّآءٍ فَاَحْیَا بِهِ الْاَرْضَ بَعْدَ مَوْتِهَا وَبَثَّ فِیْهَا مِنْ كُلِّ دَآبَّةٍ ۪ وَّتَصْرِیْفِ الرِّیٰحِ وَالسَّحَابِ الْمُسَخَّرِ بَیْنَ السَّمَآءِ وَالْاَرْضِ لَاٰیٰتٍ لِّقَوْمٍ یَّعْقِلُوْنَ ﴿۱۶۴﴾

    উচ্চারণঃ ওয়া ইলা-হুকুম ইলা-হুওঁ ওয়া-হিদুল লা ইলা-হা ইল্লা-হুওয়ার রাহমা-নূর রাহীম। ইন্না ফী খালকিছছামা-ওয়াতি ওয়াল আর দিওয়াখতিলা-ফিল্লাইলি ওয়ান্নাহা-রি ওয়াল ফুলকিল্লাতী তাজরী ফিল বাহরি বিমা-ইয়ানফা‘উন্না-ছা ওয়ামাআনঝালাল্লা-হু মিনাছছামাই মিম্মাইন ফাআহইয়া-বিহিল আরদা বা‘দা মাওতিহা ওয়া বাছছা ফীহামিন কুল্লি দাব্বাতিওঁ ওয়া তাসরীফির রিয়া-হিওয়াছছাহা-বিল মুছাখখারি বাইনাছ ছামাই ওয়াল আরদিলাআ-য়া-তিল লিকাওমিইঁ ইয়া‘কিলূন।

    অর্থঃ আর তোমাদের ইলাহ্ এক ইলাহ্, তিনি ব্যতীত অন্য কোন ইলাহ্ নেই। তিনি দয়াময়, পরম দয়ালু। নিশ্চয়ই আকাশমণ্ডল ও পৃথিবীর সৃষ্টিতে, রাত্রি ও দিবসের পরিবর্তনে, যা মানুষের হিত সাধন করে তাসহ সমুদ্রে বিচরণশীল নৌযানসমূহে, আল্লাহ্ আকাশ হতে যে বারিবর্ষণ এর মাধ্যমে ধরিত্রীকে তার মৃত্যুর পর পুনর্জীবিত করেন তাতে আর তার মধ্যে যাবতীয় জীবজন্তুর বিস্তারণে, বায়ুর দিক পরিবর্তনে, আকাশ ও পৃথিবীর মধ্যে নিয়ন্ত্রিত মেঘমালাতে জ্ঞানবান জাতির জন্যে নিদর্শন রয়েছে।

  • ৫৫৮. আয়াতুল কুরসী বাকারা ২৫৫

    اَللّٰهُ لَاۤ اِلٰهَ اِلَّا هُوَ ۚاَلْحَیُّ الْقَیُّوْمُ ۚ لَا تَاْخُذُہٗ سِنَةٌ وَّلَا نَوْمٌ ؕ لَہٗ مَا فِی السَّمٰوٰتِ وَمَا فِی الْاَرْضِ ؕ مَنْ ذَا الَّذِیْ یَشْفَعُ عِنْدَہٗۤ اِلَّا بِاِذْنِہٖ ؕ یَعْلَمُ مَا بَیْنَ اَیْدِیْهِمْ وَمَا خَلْفَهُمْ ۚوَلَا یُحِیْطُوْنَ بِشَیْءٍ مِّنْ عِلْمِہٖۤ اِلَّا بِمَاشَآءَ ۚوَسِعَ كُرْسِیُّهُ السَّمٰوٰتِ وَالْاَرْضَ ۚوَلَا یَـُٔوْدُہٗ حِفْظُهُمَا ۚوَهُوَ الْعَلِیُّ الْعَظِیْمُ ﴿۲۵۵﴾

    অর্থঃ আল্লাহ (এমন এক সত্তা যে), তিনি ছাড়া কোন মাবুদ নেই। (তিনি) চিরঞ্জীব ও অবিনশ্বর। তাঁকে তন্দ্রায় কিংবা নিদ্রায় ধরে না। আসমানে ও জমিনে যা কিছু আছে তা (সব) তাঁরই। এমন কে আছে যে তাঁর অনুমতি ছাড়া তাঁর কাছে সুপারিশ করতে পারে? যা কিছু তাদের সামনে আছে ও যা কিছু তাদের পেছনে আছে তিনি তা (সব) জানেন। তিনি যতটুকু চান তা ছাড়া তাঁর জ্ঞানের কিছুই তারা আয়ত্ত করতে পারে না। তাঁর কুরসী আসমান ও জমিন পরিব্যাপ্ত করে আছে। এ দুইয়ের সংরক্ষণে তাঁর কোন কষ্ট হয় না। তিনি সর্বোচ্চ, মহামহিম।

  • ৫৫৯. সূরা আ-লু ইমরান ( আয়াত নং ১৮-১৯ )

    شَهِدَ اللّٰهُ اَنَّہٗ لَاۤ اِلٰهَ اِلَّا هُوَ ۙوَالْمَلٰٓئِکَۃُ وَ اُولُوا الْعِلْمِ قَآئِمًۢا بِالْقِسْطِ ؕ لَاۤ اِلٰهَ اِلَّا هُوَ الْعَزِیْزُ الْحَكِیْمُ ﴿۱۸﴾ اِنَّ الدِّیْنَ عِنْدَ اللّٰهِ الْاِسْلَامُ ۟ وَمَا اخْتَلَفَ الَّذِیْنَ اُوْتُوا الْكِتٰبَ اِلَّا مِنْۢ بَعْدِ مَا جَآءَهُمُ الْعِلْمُ بَغْیًۢا بَیْنَهُمْ ؕ وَمَنْ یَّكْفُرْ بِاٰیٰتِ اللّٰهِ فَاِنَّ اللّٰهَ سَرِیْعُ الْحِسَابِ ﴿۱۹﴾

    উচ্চারণঃ শাহিদাল্লা-হু আন্নাহু লা ইলা-হা ইল্লা-হুওয়া ওয়াল মালাইকাতুওয়া উলুল ‘ইলমি কাইমাম বিলকিছতিলাইল্লা-হা ইল্লা-হুওয়াল আঝীঝুল হাকীম। ইন্নাদ্দীনা ‘ইনদাল্লা-হিল ইছলা-মু ওয়ামাখতালাফাল্লাযীনা ঊতুল কিতা-বা ইল্লা-মিম বা‘দি মা-জাআহুমুল ‘ইলমুবাগইয়াম বাইনাহুম ওয়ামাইঁ ইয়াকফুর বিআ-য়া-তিল্লা-হি ফাইন্নাল্লা-হা ছারী‘উল হিছা-ব।

    অর্থঃ (18) আল্লাহ সাক্ষ্য দেন যে, তিনি ছাড়া কোন উপাস্য নেই; ফেরেশতারা ও জ্ঞানী ব্যক্তিরাও (একই সাক্ষ্য দেয়); (আল্লাহর এই সাক্ষ্য) ন্যায় প্রতিষ্ঠাকারী হিসাবে। তিনি ছাড়া কোন উপাস্য নেই। তিনি পরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাবান। (19) আল্লাহর কাছে ধর্ম হচ্ছে ইসলাম। আর যাদেরকে কিতাব দেওয়া হয়েছে তারা (ইহুদি ও খ্রিষ্টানরা) তাদের কাছে জ্ঞান আসার পরও কেবল পারস্পরিক বিদ্বেষবশত মতবিরোধ করেছে। যারা আল্লাহর নিদর্শনসমূহ অবিশ্বাস করে তাদের জানা উচিত যে, আল্লাহ দ্রুত হিসাব গ্রহণকারী।

  • ৫৬০. সূরা আল আ'রাফ ( আয়াত নং ৫৪ - ৫৬ )

    اِنَّ رَبَّكُمُ اللّٰهُ الَّذِیْ خَلَقَ السَّمٰوٰتِ وَالْاَرْضَ فِیْ سِتَّةِ اَیَّامٍ ثُمَّ اسْتَوٰی عَلَی الْعَرْشِ ۟ یُغْشِی الَّیْلَ النَّهَارَ یَطْلُبُہٗ حَثِیْثًا ۙوَّ الشَّمْسَ وَ الْقَمَرَ وَالنُّجُوْمَ مُسَخَّرٰتٍۭ بِاَمْرِہٖ ؕ اَلَا لَهُ الْخَلْقُ وَ الْاَمْرُ ؕ تَبٰرَكَ اللّٰهُ رَبُّ الْعٰلَمِیْنَ ﴿۵۴﴾ اُدْعُوْا رَبَّكُمْ تَضَرُّعًا وَّخُفْیَۃً ؕ اِنَّہٗ لَا یُحِبُّ الْمُعْتَدِیْنَ ﴿۵۵﴾ وَ لَا تُفْسِدُوْا فِی الْاَرْضِ بَعْدَ اِصْلَاحِهَا وَادْعُوْهُ خَوْفًا وَّطَمَعًا ؕ اِنَّ رَحْمَتَ اللّٰهِ قَرِیْبٌ مِّنَ الْمُحْسِنِیْنَ ﴿۵۶﴾

    উচ্চারণঃ ইন্না-রাব্বাকুমুল্লা-হুল্লাযী খালাকাছছামা-ওয়া-তি ওয়াল আরদা ফী ছিত্তাতি আইইয়া-মিন ছু ম্মাছ তাওয়া-‘আলাল ‘আরশি ইউগশিল লাইলান নাহা-রা ইয়াতলুবুহূহাছীছাওঁ ওয়াশশামছা ওয়াল কামারা ওয়ান নুজূমা মুছাখখারা-তিম বিআমরিহী আলা-লাহুল খালকুওয়াল আমরু তাবা-রাকাল্লা-হু রাব্বুল ‘আ-লামীন। উদ‘ঊ রাব্বাকুম তাদাররু‘আওঁ ওয়া খুফইয়াতান ইন্নাহূলা-ইউহিব্বুল মু‘তাদীন। ওয়ালা-তুফছিদূফিল আরদিবা‘দা ইসলা-হিহা-ওয়াদ‘ঊহু খাওফাওঁ ওয়া তামা‘আন ইন্না রাহমাতাল্লা-হি কারীবুম মিনাল মুহছিনীন।

    অর্থঃ (54) নিশ্চয়ই তোমাদের প্রভু আল্লাহ, যিনি ছয়দিনে আসমান ও জমিন সৃষ্টি করেছেন; অতঃপর আরশে সমাসীন হয়েছেন। তিনি রাত দিয়ে দিনকে ঢেকে দেন; (এদের) একটি আরেকটির পেছনে দ্রুত ছুটছে। আরো সৃষ্টি করেছেন তাঁর আজ্ঞানুবর্তী সূর্য, চনদ্র ও নক্ষত্ররাজি। জেনে রাখ, সৃষ্টি ও আদেশ তাঁরই। আল্লাহ মহিমান্বিত, যিনি সারাবিশ্তের প্রভু। (55) তোমরা মিনতিভরে ও সংগোপনে তোমাদের প্রভুকে ডাক। তিনি তো সীমালংঘন-কারীদের ভালবাসেন না। (56) দুনিয়ায় শান্তি স্থাপনের পর তোমরা তাতে বিপর্যয় ঘটিও না, তাঁকে ভয় ও আশার সঙ্গে ডাকবে। নিশ্চয়ই আল্লাহ্ র অনুগ্রহ সৎকর্মপরায়ণদের নিকটবর্তী।

 

  • ৫৬১. সূরা আল আ'রাফ ( আয়াত নং ১১৭ - ১২২ )

    وَ اَوْحَیْنَاۤ اِلٰی مُوْسٰۤی اَنْ اَلْقِ عَصَاكَ ۚفَاِذَا هِیَ تَلْقَفُ مَا یَاْفِكُوْن﴿۱۱۷﴾ فَوَقَعَ الْحَقُّ وَبَطَلَ مَا کَانُوْا یَعْمَلُوْنَ ﴿۱۱۸﴾ فَغُلِبُوْا هُنَالِكَ وَانْقَلَبُوْا صٰغِرِیْنَ ﴿۱۱۹﴾ وَ اُلْقِیَ السَّحَرَةُ سٰجِدِیْنَ ﴿۱۲۰﴾ قَالُوْۤا اٰمَنَّا بِرَبِّ الْعٰلَمِیْنَ ﴿۱۲۱﴾ رَبِّ مُوْسٰی وَهٰرُوْنَ ﴿۱۲۲﴾

    উচ্চারণঃ ওয়া আওহাইনাইলা-মূছাআন আলকি‘আসা-কা ফাইযা-হিয়া তালকাফুমাইয়া’ফিকূন। ফাওয়াকা‘আল হাক্কুওয়া বাতালা মা-কা-নূইয়া‘মালূন। ফাগুলিবূহুনা-লিকা ওয়ান কালাবূসা-গিরীন। ওয়া উলকিয়াছছাহারাতুছা-জিদীন। কা-লূআ-মান্না-বিরাব্বিল ‘আ-লামীন। রাব্বি মূছা-ওয়া হা-রূন।

    অর্থঃ (117) তখন আমি মূসাকে আদেশ দিলাম যে, তুমি তোমার লাঠিখানা নিক্ষেপ করো; আর অমনি তা তাদের বানানো বস্তুগুলোকে গিলে ফেলতে লাগল। (118) ফলে সত্য প্রমাণিত হল আর তাদের কর্মকাণ্ড অকার্যকর হয়ে গেল। (119) এভাবে তারা সেখানে পরাভূত হল এবং লাঞ্ছিত হয়ে ফিরে গেল। (120) যাদুকরেরা সেজদায় পড়ে গেল। (121) তারা বলল, “আমরা বিশ্বপ্রভুর প্রতি ঈমান এনেছি; (122) যিনি মূসা ও হারূনের প্রভু।”

  • ৫৬২. সূরা ইউনুস ( আয়াত নং ৮১-৮২ )

    {(80) فَلَمَّا أَلْقَوْا قَالَ مُوسَى مَا جِئْتُمْ بِهِ السِّحْرُ إِنَّ اللَّهَ سَيُبْطِلُهُ إِنَّ اللَّهَ لَا يُصْلِحُ عَمَلَ الْمُفْسِدِينَ (81) وَيُحِقُّ اللَّهُ الْحَقَّ بِكَلِمَاتِهِ وَلَوْ كَرِهَ الْمُجْرِمُونَ (82)} [يونس: 80 - 82]

    উচ্চারণঃ ফালাম্মাআলকাও কা-লা মূছা- মা-জি’তুম বিহিছছিহরু ইন্নাল্লা-হা ছাইউবতিলুহূ ইন্নাল্লা-হা লা-ইউসলিহু‘আমালাল মুফছিদীন। ওয়া ইউহিক্কুল্লা-হুল হাক্কা বিকালিমা-তিহী ওয়ালাও কারিহাল মুজরিমূন।

    অর্থঃ (81) অতঃপর যখন তারা নিক্ষেপ করল তখন মূসা বলল, “তোমরা যা এনেছো তা যাদু। অচিরেই আল্লাহ তা নস্যাৎ করে দেবেন। আল্লাহ তো অনর্থ সৃষ্টিকারীদের কর্ম ঠিক রাখেন না। (82) এবং অপরাধীরা পছন্দ না করলেও আল্লাহ তাঁর বাণী দ্বারা সত্যকে প্রতিষ্ঠিত করে থাকেন।”

  • ৫৬৩. সূরা ত্বা-হা ( আয়াত নং - ৬৯ )

    وَ اَلْقِ مَا فِیْ یَمِیْنِكَ تَلْقَفْ مَا صَنَعُوْا ؕ اِنَّمَا صَنَعُوْا کَیْدُ سٰحِرٍ ؕ وَ لَا یُفْلِحُ السَّاحِرُ حَیْثُ اَتٰی ﴿۶۹﴾

    উচ্চারণঃ ওয়া আল কিমা-ফী ইয়ামীনিকা তালকাফ মা-সানা‘ঊ ইন্নামা-সানা‘ঊ কাইদুছাহিরিওঁ ওয়ালা-ইউফলিহুছছা-হিরু হাইছুআতা-।

    অর্থঃ তুমি তোমার ডান হাতে যা আছে তা নিক্ষেপ করো, (দেখবে) তারা যা কিছু তৈরী করেছে এটা তা সব গিলে ফেলবে। তারা যা তৈরী করেছে তা তো কেবল যাদুকরের কৌশল। যাদুকর যেখানেই আসুক (যাদুবিদ্যায় যতই পারদর্শী হোক), সফল হয় না।”

  • ৫৬৪. সূরা আল আহ্‌ক্বাফ ( আয়াত নং ২৯ - ৩২ )

    {وَإِذْ صَرَفْنَا إِلَيْكَ نَفَرًا مِنَ الْجِنِّ يَسْتَمِعُونَ الْقُرْآنَ فَلَمَّا حَضَرُوهُ قَالُوا أَنْصِتُوا فَلَمَّا قُضِيَ وَلَّوْا إِلَى قَوْمِهِمْ مُنْذِرِينَ (29) قَالُوا يَاقَوْمَنَا إِنَّا سَمِعْنَا كِتَابًا أُنْزِلَ مِنْ بَعْدِ مُوسَى مُصَدِّقًا لِمَا بَيْنَ يَدَيْهِ يَهْدِي إِلَى الْحَقِّ وَإِلَى طَرِيقٍ مُسْتَقِيمٍ (30) يَاقَوْمَنَا أَجِيبُوا دَاعِيَ اللَّهِ وَآمِنُوا بِهِ يَغْفِرْ لَكُمْ مِنْ ذُنُوبِكُمْ وَيُجِرْكُمْ مِنْ عَذَابٍ أَلِيمٍ (31) وَمَنْ لَا يُجِبْ دَاعِيَ اللَّهِ فَلَيْسَ بِمُعْجِزٍ فِي الْأَرْضِ وَلَيْسَ لَهُ مِنْ دُونِهِ أَوْلِيَاءُ أُولَئِكَ فِي ضَلَالٍ مُبِينٍ (32)} [الأحقاف: 29 - 32]

    উচ্চারণঃ ওয়া ইযসারাফনাইলাকা নাফারাম মিনাল জিন্নি ইয়াছতামি‘ঊনাল কুরআ-না ফালাম্মাহাদারূহু কা-লূআনছিতূ ফালাম্মা-কুদিয়া ওয়াল্লাও ইলা-কাওমিহিম মুনযিরীন। কা-লূইয়া-কাওমানাইন্না-ছামি‘না-কিতা-বান উনঝিলা মিম বা‘দি মূছা-মুসাদ্দিকালিলমাবাইনা ইয়াদাইহি ইয়াহদীইলাল হাক্কিওয়া ইলা-তারীকিম মুছতাকীম। ইয়া-কাওমানাআজীবূদা-‘ইয়াল্লা-হি ওয়াআ-মিনূবিহী ইয়াগফিরলাকুম মিন যুনূবিকুম ওয়া ইউজিরকুম মিন ‘আযা-বিন আলীম। ওয়া মাল লা-ইউজিব দা-‘ইয়াল্লা-হি ফালাইছা বিমু‘জিঝিন ফিল আরদিওয়া লাইছা লাহূমিন দূ নিহীআওলিূআউ উলাইকা ফী দালা-লিমমুবীন।

    অর্থঃ স্মরণ কর, আমি তোমার প্রতি আকৃষ্ট করেছিলাম একদল জিনকে, যারা কুরআন পাঠ শুনতেছিল। যখন এরা তার নিকট উপস্থিত হল, এরা বলল, ‘চুপ করে শোনে কর।’ যখন কুরআন পাঠ সমাপ্ত হল এরা এদের সম্প্রদায়ের নিকট ফিরে গেল সতর্ককারীরূপে। তারা বলেছিল, ‘হে আমাদের সম্প্রদায়! আমরা এমন এক কিতাবের পাঠ শুনেছি যা অবতীর্ণ হয়েছে মূসার পরে, এটা এর পূর্ববর্তী কিতাবকে প্রত্যয়ন করে এবং সত্য ও সরল পথের দিকে পরিচালিত করে। ‘হে আমাদের সম্প্রদায় ! আল্লাহ্ র দিকে আহ্বানকারীর প্রতি সাড়া দাও এবং তার প্রতি বিশ্বাস স্থাপন কর, আল্লাহ্ তোমাদের পাপ ক্ষমা করবেন এবং মর্মন্তুদ শাস্তি হতে তোমাদেরকে রক্ষা করবেন।’ কেউ যদি আল্লাহ্ র দিকে আহ্বানকারীর প্রতি সাড়া না দেয় তবে সে পৃথিবীতে আল্লাহ্ র অভিপ্রায় ব্যর্থ করতে পারবে না এবং আল্লাহ্ ব্যতীত তাদের কোন সাহায্যকারী থাকবে না। এরাই সুস্পষ্ট বিভ্রান্তিতে রয়েছে।

  • ৫৬৫. সূরা আর রহমান ( আয়াত নং ৩৩ - ৩৬ )

    یٰمَعْشَرَ الْجِنِّ وَ الْاِنْسِ اِنِ اسْتَطَعْتُمْ اَنْ تَنْفُذُوْا مِنْ اَقْطَارِ السَّمٰوٰتِ وَ الْاَرْضِ فَانْفُذُوْا ؕ لَا تَنْفُذُوْنَ اِلَّا بِسُلْطٰنٍ ﴿۳۳﴾ فَبِاَیِّ اٰلَآءِ رَبِّكُمَا تُکَذِّبٰنِ ﴿۳۴﴾ یُرْسَلُ عَلَیْكُمَا شُوَاظٌ مِّنْ نَّارٍ ۬ۙوَّ نُحَاسٌ فَلَا تَنْتَصِرٰنِ ﴿۳۵﴾ فَبِاَیِّ اٰلَآءِ رَبِّكُمَا تُکَذِّبٰنِ ﴿۳۶﴾

    উচ্চারণঃ (৩৩) ইয়া-মা‘শারাল জিন্নি ওয়াল ইনছি ইনিছতাতা‘তুম আন তানফুযূমিন আকতা-রিছ ছামাওয়া-তি ওয়াল আরদিফানফুযূ লা-তানফুযূনা ইল্লা-বিছুলতা-ন। (৩৪) ফাবিআইয়ি আ-লাই রাব্বিকুমা- তুকাযযিবা-ন । (৩৫) ইউরছালু‘আলাইকুমা-শুওয়া-জু ম মিন্না-রিওঁ ওয়া নুহা-ছুন ফালা-তানতাসিরা-ন। (৩৬) ফাবিআইয়ি আ-লাই রাব্বিকুমা- তুকাযযিবা-ন ।

    অর্থঃ (৩৩) হে জিন ও মানবকূল, নভোমন্ডল ও ভূমন্ডলের প্রান্ত অতিক্রম করা যদি তোমাদের সাধ্যে কুলায়, তবে অতিক্রম কর। কিন্তু ছাড়পত্র ব্যতীত তোমরা তা অতিক্রম করতে পারবে না। (৩৪) অতএব, তোমরা উভয়ে তোমাদের পালনকর্তার কোন কোন অবদানকে অস্বীকার করবে? (৩৫) ছাড়া হবে তোমাদের প্রতি অগ্নিস্ফুলিঙ্গ ও ধুম্রকুঞ্জ তখন তোমরা সেসব প্রতিহত করতে পারবে না। (৩৬) অতএব, তোমরা উভয়ে তোমাদের পালনকর্তার কোন কোন অবদানকে অস্বীকার করবে?

  • ৫৬৬. সূরা আল জ্বিন ( আয়াত নং ১ - ৯ )

    بِسْمِ اللّٰهِ الرَّحْمٰنِ الرَّحِیْمِ

    قُلْ اُوْحِیَ اِلَیَّ اَنَّهُ اسْتَمَعَ نَفَرٌ مِّنَ الْجِنِّ فَقَالُوْۤا اِنَّا سَمِعْنَا قُرْاٰنًا عَجَبًا ﴿۱﴾ یَّہْدِیْۤ اِلَی الرُّشْدِ فَاٰمَنَّا بِہٖ ؕ وَ لَنْ نُّشْرِكَ بِرَبِّنَاۤ اَحَدًا ﴿۲﴾ وَّ اَنَّہٗ تَعٰلٰی جَدُّ رَبِّنَا مَا اتَّخَذَ صَاحِبَةً وَّ لَا وَلَدًا ﴿۳﴾ وَّ اَنَّہٗ کَانَ یَقُوْلُ سَفِیْهُنَا عَلَی اللّٰهِ شَطَطًا ﴿۴﴾ وَّ اَنَّا ظَنَنَّاۤ اَنْ لَّنْ تَقُوْلَ الْاِنْسُ وَ الْجِنُّ عَلَی اللّٰهِ کَذِبًا ﴿۵﴾ وَّ اَنَّہٗ کَانَ رِجَالٌ مِّنَ الْاِنْسِ یَعُوْذُوْنَ بِرِجَالٍ مِّنَ الْجِنِّ فَزَادُوْهُمْ رَهَقًا ﴿۶﴾ وَّ اَنَّهُمْ ظَنُّوْا کَمَا ظَنَنْتُمْ اَنْ لَّنْ یَّبْعَثَ اللّٰهُ اَحَدًا ﴿۷﴾ وَّ اَنَّا لَمَسْنَا السَّمَآءَ فَوَجَدْنٰهَا مُلِئَتْ حَرَسًا شَدِیْدًا وَّ شُهُبًا ﴿۸﴾ وَّ اَنَّا كُنَّا نَقْعُدُ مِنْهَا مَقَاعِدَ لِلسَّمْعِ ؕ فَمَنْ یَّسْتَمِعِ الْاٰنَ یَجِدْ لَہٗ شِهَابًا رَّصَدًا﴿۹﴾

    উচ্চারণঃ (১)কুলঊহিয়া ইলাইইয়া আন্নাহুছতামা‘আ নাফারুম মিনাল জিন্নি ফাকা-লূইন্না-ছামি‘নাকুরআ-নান ‘আজাবা- । (২)ইয়াহদীইলাররুশদি ফাআ-মান্না- বিহী ওয়া লান নুশরিকা বিরাব্বিনাআহাদা- । (৩)ওয়া আন্নাহূতা‘আ- জাদ্দুরাব্বিনা- মাত্তাখাযা সা-হিবাতাওঁ ওয়ালা- ওয়ালাদা- । (৪)ওয়া আন্নাহূকা-না ইয়াকূলুছাফীহুনা- ‘আলাল্লা-হি শাতাতা- । (৫) ওয়া আন্না- জানান্নাআল্লান তাকূলাল ইনছুওয়াল জিন্নু‘আলাল্লা-হি কাযিবা- । (৬) ওয়া আন্নাহূকা-না রিজা-লুম মিনাল ইনছি ইয়া‘ঊযূনা বিরিজা-লিম মিনাল জিন্নি ফাঝা-দূহুম রাহাকা- । (৭) ওয়া আন্নাহুম জান্নুকামা-জানানতুম আল্লাইঁ ইয়াব‘আছাল্লা- হু আহাদা- । (৮) ওয়া আন্না-লামাছনাছছামাআ ফাওয়াজাদনা-হা- মুলিইয়াত হারাছান শাদীদাওঁ ওয়া শুহুবা-। (৯) ওয়া আন্না- কুন্না- নাক‘উদুমিনহা- মাকা-‘ইদা লিছছামা‘ই ফামাইঁ ইয়াছতামি‘ইল আনা ইয়াজিদ লাহূশিহা-বাররাসাদা-।

    অর্থঃ (1) বল, “আমাকে ওহীর মাধ্যমে জানানো হয়েছে যে, একদল জ্বিন কান পেতে (কোরআন) শুনেছে আর বলেছে, “আমরা এক বিস্ময়কর কোরআন শুনেছি, (2) যা (সকলকে) সৎপথ প্রদর্শন করে; তাই আমরা তা বিশ্বাস করেছি। আমরা আমাদের প্রভুর সাথে কাউকে শরীক করব না। (3) উচ্চ হোক আমাদের প্রভুর মর্যাদা! তিনি কোন সঙ্গিনী কিংবা কোন সন্তান গ্রহণ করেন নি।” (4) “আমাদের নির্বোধেরা আল্লাহ সম্পর্কে অসংযত মিথ্যা বলত; (5) অথচ আমরা মনে করেছিলাম যে, মানুষ ও জ্বিন আল্লাহ সম্পর্কে মিথ্যা বলবে না।” (6) “কতক মানুষ ছিল, যারা কতক জ্বিনের কাছে আশ্রয় নিত; ফলে এই জ্বিনেরা ঐ মানুষগুলোর পাপ ও অন্যায় আরো বাড়িয়ে দিয়েছিল। (7) তারা মনে করেছিল, যেমন তোমরাও মনে করো যে, আল্লাহ কাউকে পুনরুত্থিত করবেন না।” (8) “আমরা আসমানে গিয়ে তার (আসমানের) তথ্য সংগ্রহ করতে চেয়েছিলাম, কিন্তু তাকে কঠোর প্রহরা ও উল্কায় পরিপূর্ণ দেখতে পেয়েছি। (9) আমরা আসমানের বিভিন্ন স্থানে (সেখানকার কথাবার্তা) শোনার জন্য বসতাম, কিন্তু এখন কেউ (তা) শুনতে চাইলে সে তার জন্য প্রস্তুত-রাখা উল্কা দেখতে পাবে।”

  • ৫৬৭. সুরা ইখলাস

    بِسْمِ اللّٰهِ الرَّحْمٰنِ الرَّحِیْمِ

    قُلْ هُوَ اللّٰهُ اَحَدٌ ﴿۱﴾ اللّٰهُ الصَّمَدُ ﴿۲﴾ لَمْ یَلِدْ ۙوَ لَمْ یُوْلَدْ ﴿۳﴾ وَ لَمْ یَكُنْ لَّہٗ كُفُوًا اَحَدٌ ﴿۴﴾

    অর্থঃ (1) বল, “আল্লাহ এক ও একমাত্র। (2) আল্লাহ চিরন্তন ও স্বয়ংসম্পূর্ণ। (3) তিনি কাউকে জন্ম দেননি এবং তাঁকেও কেউ জন্ম দেয়নি। (4) আর তাঁর সমকক্ষ কেউ নেই।”

  • ৫৬৮. সুরা ফালাক্ব

    بِسْمِ اللّٰهِ الرَّحْمٰنِ الرَّحِیْمِ

    قُلْ اَعُوْذُ بِرَبِّ الْفَلَقِ ﴿۱﴾ مِنْ شَرِّ مَا خَلَقَ ﴿۲﴾ وَ مِنْ شَرِّ غَاسِقٍ اِذَا وَقَبَ ﴿۳﴾ وَ مِنْ شَرِّ النَّفّٰثٰتِ فِی الْعُقَدِ ﴿۴﴾ وَ مِنْ شَرِّ حَاسِدٍ اِذَا حَسَدَ ﴿۵﴾

    অর্থঃ (1) বল, “আমি প্রভাতের প্রভুর আশ্রয় চাই (2) তাঁর সকল সৃষ্টির অনিষ্ট থেকে, (3) অন্ধকার রাতের অনিষ্ট থেকে, যখন তা নেমে আসে, (4) সেই রমণীদের অনিষ্ট থেকে যারা (যাদু করার জন্য) গ্রন্থিতে ফুঁ দেয়, (5) এবং হিংসুকের অনিষ্ট থেকে যখন সে হিংসা করে।”

  • ৫৬৯. সুরা নাস

    بِسْمِ اللّٰهِ الرَّحْمٰنِ الرَّحِیْمِ

    قُلْ اَعُوْذُ بِرَبِّ النَّاسِ ﴿۱﴾ مَلِكِ النَّاسِ ﴿۲﴾ اِلٰهِ النَّاسِ ﴿۳﴾ مِنْ شَرِّ الْوَسْوَاسِ ۙالْخَنَّاسِ ﴿۴﴾ الَّذِیْ یُوَسْوِسُ فِیْ صُدُوْرِ النَّاسِ ﴿۵﴾ مِنَ الْجِنَّةِ وَ النَّاسِ ﴿۶﴾

    অর্থঃ (1) বল, “আমি আশ্রয় চাই মানুষের প্রভুর, (2) মানুষের অধিপতির, (3) মানুষের উপাস্যের; (4) আত্মগোপনকারী কুমন্ত্রণাদাতার অনিষ্ট থেকে, (5) যে মানুষের মনে কুমন্ত্রণা দেয়, (6) (এই কুমন্ত্রণাদাতা হতে পারে) জ্বিন ও মানুষের মধ্য থেকে।”

  • ৫৭০. রুকইয়ার দোয়া # ১

    اَللّٰهُ اَكْبَرُ كَبِيْرًا وَالْحَمْدُ لِلّٰهِ كَثِيْرًا وَسُبْحَانَ اللّٰهِ بُكْرَةً وَّأَصِيْلًا (৩ বার)

    أَعُوذُ بِاللَّهِ مِنَ الشَّيْطَانِ مِنْ نَفْخِهِ وَنَفْثِهِ وَهَمْزِهِ

    উচ্চারণঃ আল্লাহু আকবার কাবীরান, আল্লাহু আকবার কাবীরান, আল্লাহু আকবার কাবীরান, আলহামদুলিল্লাহি কাছীরান, আলহামদুলিল্লাহি কাছীরান ওয়া সুব্হানাল্লাহে বুকরাতাও ওয়া আসীলা (তিনবার বলেন), আউযু বিল্লাহি মিনাশ–শায়তানির রাজীমি মিন নাফাখিহি ওয়া নাফাসিহি ওয়া হামাযিহ।

  • ৫৭১. রুকইয়ার দোয়া # ২

    بِسْمِ اللّٰه ِالَّذِيْ لَا يَضُرُّ مَعَ اسْمِهٖ شَيْءٌ فِي الْأَرْضِ وَلَا فِي السَّمَاءِ وَهُوَ السَّمِيْعُ العَلِيْمُ (৩বার)

    অর্থঃ আল্লাহ্‌র নামে; যাঁর নামের সাথে আসমান ও যমীনে কোনো কিছুই ক্ষতি করতে পারে না। আর তিনি সর্বশ্রোতা, মহাজ্ঞানী।”

  • ৫৭২. বদনজরের দোয়া # ২

    بِاسْمِ اللّٰهِ يُبْرِيْكَ، وَمِنْ كُلِّ دَاءٍ يَّشْفِيْكَ، وَمِنْ شَرِّ حَاسِدٍ إِذَا حَسَدَ، وَشَرِّ كُلِّ ذِيْ عَيْنٍ

    উচ্চারণঃ বিসমিল্লাহি ইয়ুবরিকা, ওয়ামিন কুল্লি দাঈন য়াশফীকা, ওয়ামিন শাররি হাসিদিন ইযা হাসাদা, ওয়া শাররি কুল্লি যি আইনিন।

    অর্থঃ আল্লাহর নামে, তিনি আপনাকে (রোগ) মুক্ত করুন, সব রোগ হতে আপনাকে নিরাময় করুন, আর হিংসুকের অনিষ্ট হাত-যখন সে হিংসা করে আর সব বদ নযরওয়ালার অনিষ্ট হতে।

  • ৫৭৩. রুকইয়ার দোয়া # ৪

    اَللّٰهُمَّ رَبَّ النَّاسِ أَذْهِبِ الْبَاسَ اِشْفِ وَأَنْتَ الشَّافِيْ لَا شِفَاءَ إِلَّا شِفَاؤُكَ شِفَاءً لَّا يُغَادِرُ سَقَمًا (৩বার)

    অর্থঃ হে আল্লাহ! মানুষের পালনকর্তা, যন্ত্রণা নিবারণ করুন, সুস্থতা দান করুন, আপনিই সুস্থতা প্রদানকারী, আপনার দেয়া সুস্থতাই প্রকৃত সুস্থতা, এমন সুস্থতা দান করুন যাতে কোন রোগই বাকি না থাকে।

  • ৫৭৪. রুকইয়া # ৮

    أَعُوْذُ بِاللّٰهِ السَّمِيْعِ الْعَلِيْمِ مِنَ الشَّيْطَانِ الرَّجِيْمِ مِنْ هَمْزِهٖ وَنَفْخِهٖ وَنَفْثِهٖ

    উচ্চারণঃ “আউযুবিল্লাহিস সামীইল–আযীম মীনাস শাইতানের রাজীম মিন হামযিহি ওয়া নাফখিহি ওয়া নাফছিহি”

    অর্থঃ আমি পানাহ চাই আল্লাহর যিনি সর্বশ্রোতা ও সর্বজ্ঞ অভিশপ্ত শয়তান ও তাঁর ওয়াসওয়াসা, দম্ভ ও যাদু টোনা থেকে।

  • ৫৭৫. রুকইয়া # ৭

    أَعُوْذُ بِكَلِمَاتِ اللّٰهِ التَّامَّاتِ الَّتِيْ لَا يُجَاوِزُهُنَّ بَرٌّ وَلَا فَاجِرٌ ، مِنْ شَرِّ مَا خَلَقَ وَذَرَأَ وَبَرَأَ ، وَمِنْ شَرِّ مَا يَنْزِلُ مِنَ السَّمَاءِ وَمِنْ شَرِّ مَا يَعْرُجُ فِيْهَا ، وَمِنْ شَرِّ مَا ذَرَأَ فِى الْأَرْضِ ، وَمِنْ شَرِّ مَا يَخْرُجُ مِنْهَا ، وَمِنْ فِتَنِ اللَّيْلِ وَالنَّهَارِ، وَمِنْ طَوَارِقِ اللَّيْلِ وَالنَّهَارِ، إِلَّا طَارِقًا يَطْرُقُ بِخَيْرٍ يَا رَحْمٰنُ

    অর্থঃ আমি আল্লাহ্‌র ঐ সকল পরিপূর্ণ বাণীসমূহের সাহায্যে আশ্রয় চাই যা কোনো সৎলোক বা অসৎলোক অতিক্রম করতে পারে না— আল্লাহ যা সৃষ্টি করেছেন, অস্তিত্বে এনেছেন এবং তৈরি করেছেন তার অনিষ্ট থেকে, আসমান থেকে যা নেমে আসে তার অনিষ্ট থেকে, যা আকাশে উঠে তার অনিষ্ট থেকে, যা পৃথিবীতে তিনি সৃষ্টি করেছেন তার অনিষ্ট থেকে, যা পৃথিবী থেকে বেরিয়ে আসে তার অনিষ্ট থেকে, দিনে-রাতে সংঘটিত ফেতনার অনিষ্ট থেকে, আর রাত্রিবেলা হঠাৎ করে আগত অনিষ্ট থেকে, তবে রাতে আগত যে বিষয় কল্যাণ নিয়ে আসে তা ব্যতীত; হে দয়াময়!

  • ৫৭৬. রুকইয়ার দোয়া # ৫

    اَللّٰهُمَّ اشْفِ عَبْدَكَ يَنْكَأُ لَكَ عَدُوًّا ، أَوْ يَمْشِيْ لَكَ إِلٰى صَلَاةٍ

    অর্থঃ ইয়া আল্লাহ! আপনি আপনার বান্দাকে রোগমুক্ত করুন, যে আপনার দুশমনকে যখম করবে এবং আপনার সন্তুষ্টি লাভের জন্য কোন (মৃতের) জানাযার সাথে চলবে।

  • ৫৭৭. #বিভিন্ন মুসিবত হতে নিরাপত্তার দো'আ #অপমৃত্যু হতে বাচাঁর দো'আ

    اَللّٰهُمَّ إِنِّيْ أَسْأَلُكَ الْعَفْوَ وَالْعَافِيَةَ وَالْمُعَافَاةَ فِى الدُّنْيَا وَالآخِرَةِ ، اَللّٰهُمَّ إِنِّيْ أَسْأَلُكَ الْعَفْوَ وَالْعَافِيَةَ وَالْمُعَافَاةَ فِيْ دِيْنِيْ وَدُنْيَايَ وَأَهْلِيْ وَمَالِيْ ، اَللّٰهُمَ اسْتُرْ عَوْرَتِيْ ، وَآمِنْ رَوْعَتِيْ ، وَاحْفَظْنِيْ مِنْ بَيْنِ يَدَيَّ وَمِنْ خَلْفِيْ ، وَعَنْ يَّمِيْنِيْ وَعَنْ شِمَالِيْ وَمِنْ فَوْقِيْ ، وَأَعُوْذُ بِعَظَمَتِكَ أَنْ أُغْتَالَ مِنْ تَحْتِيْ

    অর্থঃ হে আল্লাহ! আমি আপনার নিকট দুনিয়া ও আখেরাতে ক্ষমা ও নিরাপত্তা প্রার্থনা করছি। হে আল্লাহ! আমি আপনার নিকট ক্ষমা এবং নিরাপত্তা চাচ্ছি আমার দ্বীন, দুনিয়া, পরিবার ও অর্থ-সম্পদের। হে আল্লাহ! আপনি আমার গোপন ত্রুটিসমূহ ঢেকে রাখুন, আমার উদ্বিগ্নতাকে রূপান্তরিত করুন নিরাপত্তায়। হে আল্লাহ! আপনি আমাকে হেফাযত করুন আমার সামনের দিক থেকে, আমার পিছনের দিক থেকে, আমার ডান দিক থেকে, আমার বাম দিক থেকে এবং আমার উপরের দিক থেকে। আর আপনার মহত্ত্বের অসিলায় আশ্রয় চাই আমার নীচ থেকে হঠাৎ আক্রান্ত হওয়া থেকে

  • ৫৭৮. রুকইয়ার দোয়া # ৩

    رَبُّنَا اللّٰهُ الَّذِيْ فِي السَّمَاءِ تَقَدَّسَ اسْمُكَ، أَمْرُكَ فِي السَّمَاءِ وَالْأَرْضِ، كَمَا رَحْمَتُكَ فِي السَّمَاءِ فَاجْعَلْ رَحمَتَكَ فِي الْأَرْضِ، وَاغْفِرْ لَنَا حُوْبَنَا وَخَطَايَانَا، أَنْتَ رَبُّ الطَّيِّبِيْنَ أَنْزِلْ رَحْمَةً مِّنْ رَحْمَتِكَ وَشِفَاءً مِّنْ شِفَائِكَ عَلٰى كُلِّ وَجَعٍ،

    উচ্চারণঃ “রাব্বুনাল্লাহু আল্লাজী ফিস সামায়ে তাকাদ্দাসা ইসমুকা, আমরুকা ফিস সামায়ে ওয়াল আরদে, কামা রাহমাতুকা ফিস সামায়ে, ফাজআল রাহমাতাকা ফিল আরদে ইগফির লানা হুবানা ওয়া খাতায়ানা আনতা রাব্বুত–তায়্যিবীন, আনযিল রাহমাতাম মিন রাহমাতিকা ওয়া শিফায়ান মিন শিফায়েকা আলা হাজাল ওয়াজা’ই।″

    অর্থঃ “আমাদের রব্ব আল্লাহ্ যিনি আসমানে আছেন। হে রব্বু! তোমার নাম পবিত্র। তোমার নির্দেশ আসমান যমীন উভয়ে প্রযোজ্য – যেভাবে আসমানে তোমার অশেষ রহমত রহিয়াছে, সেভাবে তুমি যমীনেও অশেষ রহমত বিস্তার কর। হে রব! তুমি ক্ষমা কর আমাদের ইচ্ছাকৃত অপরাধ ও অনিচ্ছাকৃত অপরাধসমূহ। তুমি পবিত্র লোকদের রব্ব। প্রেরণ কর তুমি তোমার রহমতসমূহ হইতে বিশেষ রহমত এবং তোমার আরোগ্যসমূহ হইতে বিশেষ আরোগ্য এই বেদনার প্রতি,”

  • ৫৭৯. বদনজরের দোয়া # ৩

    اَللّٰهُمَّ ذَا السُّلْطَانِ الْعَظِيْمِ، ذَا الْمَنِّ الْقَدِيْمِ، وَذَا الْوَجْهِ الْكَرِيْمِ ، وَلِيِّ الْكَلِمَاتِ التَّامَّاتِ وَالدَّعَوَاتِ الْمُسْتَجَابَاتِ ، عَافِنَا مِنْ أَنْفُسِ الْجِنِّ ، وَأَعْيُنِ الْإِنْسِ

    অর্থঃ হযরত আলি রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, একবার নবীজি (সা) এর পেরেশান অবস্থায় জিবরাইল আ. আসলেন। তিনি জিগ্যেস করেন হে মুহাম্মাদ! আপনি চিন্তিত কেন? আপনার চিন্তার ফুটেজ চেহারায় ভেসে উঠেছে? তিনি বলেন হাসান ও হুসাইনের বদ নজর লেগেছে। সে (জিবরাইল) বলে আপনি বদ নজর সম্পর্কে সত্য বলেছেন। কারণ নজর লাগা সত্য। জিবরাইল বলে আমি কি আপনাকে এমন কিছু কালিমা শিক্ষা দিব না? যার মাধ্যমে তাদের আরোগ্য লাভ করা সম্ভব? তিনি (সা) বললেন সেগুলো কি? সে (জিবরাইল) বলে তা হলো, اللَّهُمَّ ذَا السُّلْطَانِ الْعَظِيمِ , ذَا الْمَنِّ الْقَدِيمِ , ذَا الْوَجْهِ الْكَرِيمِ , وَلِيَ الْكَلِمَاتِ التَّامَّاتِ وَالدَّعَوَاتِ الْمُسْتَجَابَاتِ , عَافِ الْحَسَنَ وَالْحُسَيْنَ مِنْ نَفْسِ الْجِنِّ وَأَعْيُنِ الْإِنْسِ ফলে উভয়ে সুস্থ হয়ে নবীজির সামনে খেলা করেন। নবীজি সা এর মাধ্যমে উম্মতকে শিফা লাভের আদেশ দেন।

  • ৫৮০. রুকইয়ার দোয়া # ৬

    أَعُوْذُ بِوَجْهِ اللّٰهِ الْعَظِيْمِ الَّذِيْ لَا شَيْءَ أَعْظَمُ مِنْهُ ، وَبِكَلِمَاتِهِ التَّامَّاتِ الَّتِي لَا يُجَاوِزُهُنَّ بَرٌّ وَلَا فَاجِرٌ ، وَأَسْمَاءِ اللّٰهِ الْحُسْنٰى كُلِّهَا مَا عَلِمْتُ مِنْهَا وَمَا لَمْ أَعْلَمْ ، مِنْ شَرِّ مَا خَلَقَ وَذَرَأَ وَبَرَأَ ، وَمِنْ شَرِّ كُلِّ ذِيْ شَرٍّ لَا أُطِيْقُ شَرَّهُ، وَمِنْ شَرِّ كُلِّ ذِيْ شَرٍّ أَنْتَ آخِذٌ بِنَاصِيَتِهِ ، إِنَّ رَبِّيْ عَلٰى صِرَاطٍ مُّسْتَقِيْمٍ،

    অর্থঃ আমি মহান আল্লাহ তায়ালার সুমহান স্বত্বার আশ্রয় প্রার্থনা করি যার চেয়ে বড় আর কিছু নেই এবং আল্লাহ তায়ালার পবিত্র কালেমার মাধ্যমে আশ্রয় চাই যাকে কোন কল্যাণ ও অনিষ্ট অতিক্রম করে না। আর আল্লাহ তায়ালা সুন্দর নামসমূহের মাধ্যমে যা আমি জানি ও যা জানিনা। আর আশ্রয় প্রার্থনা করি সৃষ্টি জগতের সকল প্রকার অনিষ্ট থেকে যা তােমার আয়ত্বাধীন। নিশ্চয় আমার প্রভু সরল সােজা পথেই ।

 

  • ৫৮১. ঘুমের সময় পড়বে

    اَللّٰهُمَّ رَبَّ السَّمَوَاتِ السَّبْعِ وَرَبَّ الْأَرْضِ، وَرَبَّ الْعَرْشِ الْعَظِيْمِ، رَبَّنَا وَرَبَّ كُلِّ شَيْءٍ، فَالِقَ الْحَبِّ وَالنَّوَى، وَمُنْزِلَ التَّوْرَاةِ وَالْإِنْجِيْلِ وَالْفُرْقَانِ، أَعُوْذُ بِكَ مِنْ شَرِّ كُلِّ شَيْءٍ أَنْتَ آخِذٌ بِنَاصِيَتِهِ،

    অর্থঃ হে আল্লাহ! হে সপ্ত আকাশের রব্ব, যমিনের রব্ব, মহান ‘আরশের রব্ব, আমাদের রব্ব ও প্রত্যেক বস্তুর রব্ব, হে শস্য-বীজ ও আঁটি বিদীর্ণকারী, হে তাওরাত, ইনজীল ও কুরআন নাযিলকারী, আমি প্রত্যেক এমন বস্তুর অনিষ্ট থেকে আপনার নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করি, যাকে আপনি নিয়ন্ত্রণ করছেন।

  • ৫৮২. কল্যাণ চেয়ে ও অনিষ্ট থেকে পানাহ চেয়ে হাদিসের দু'আ

    اَللّٰهُمَّ إِنَّا نَسْأَلُكَ مِنْ خَيْرِ مَا سَأَلَكَ مِنْهُ نَبِيُّكَ مُحَمَّدٌ صلى الله عليه وسلم، وَنَعُوْذُ بِكَ مِنْ شَرِّ مَا اسْتَعَاذَ مِنْهُ نَبِيُّكَ مُحَمَّدٌ صلى الله عليه وسلم ، وَأَنْتَ الْمُسْتَعَانُ، وَعَلَيْكَ الْبَلَاغُ، وَلَا حَوْلَ وَلَا قُوَّةَ إِلَّا بِاللّٰهِ

    উচ্চারণঃ আল্লাহুম্মা ইন্না নাসআলুকা মিন খাইরিমা সাআলাকা মিনহু নাবিয়্যুকা মুহাম্মাদুন সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামা, ওয়া নাউজুবিকা মিন শাররি মাসতাআ’যা মিনহু নাবিয়্যুকা মুহাম্মাদুন সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামা, ওয়াআনতাল মুসতাআনু ওয়াআ’লাইকাল বালাগু ওয়ালা হাওলা ওয়ালা কুউওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ।

    অর্থঃ হে আল্লাহ! আমি তোমার কাছে সেই সব কল্যাণ প্রার্থনা করি, যে সব কল্যাণের প্রার্থনা তোমার কাছে তোমার নবী মুহাম্মাদ (ﷺ) করেছেন। আর সে সব অনিষ্ঠ থেকে পানাহ চাই, যেসব অকল্যাণ থেকে তোমার নবী মুহাম্মাদ (ﷺ) পানাহ চেয়েছেন। তুমিই তিনি যার কাছে সাহায্য পাওয়া যায়। তোমারই উপর নির্ভর যথেষ্ট। কোন ক্ষমতা নেই, কোন শক্তি নেই আল্লাহ ছাড়া।

  • ৫৮৩. বদনজরের আয়াত # ১

    بِسْمِ اللّٰہِ الرَّحۡمٰنِ الرَّحِیۡمِ

    اَمْ یَحْسُدُوۡنَ النَّاسَ عَلٰی مَاۤ اٰتٰہُمُ اللّٰہُ مِنۡ فَضْلِہٖ ۚ فَقَدْ اٰتَیۡنَاۤ اٰلَ اِبْرٰہِیۡمَ الْکِتٰبَ وَالْحِكْمَۃَ وَاٰتَیۡنٰہُمۡ مُّلْكًا عَظِیۡمًا ﴿۵۴﴾

    উচ্চারণঃ আম ইয়াহছু দূ নান না-ছা ‘আলা-মাআ-তা-হুমুল্লাহু মিন ফাদলিহী ফাকাদ আ-তাইনাআ-লা ইবরা-হীমাল কিতা-বা ওয়াল হিকমাতা ওয়া আ-তাইনা-হুম মুলকান ‘আজীমা।

    অর্থঃ বরং তারা কি লোকদেরকে হিংসা করে, আল্লাহ স্বীয় অনুগ্রহে তাদেরকে যা দিয়েছেন তার কারণে? তাহলে তো আমি ইবরাহীমের বংশধরকে কিতাব ও হিকমত দান করেছি এবং তাদেরকে দিয়েছি বিশাল রাজত্ব।

  • ৫৮৪. বদনজরের আয়াত # ২

    وَقَالَ یٰبَنِیَّ لَا تَدْخُلُوۡا مِنۡۢ بَابٍ وَّاحِدٍ وَّادْخُلُوۡا مِنْ اَبْوَابٍ مُّتَفَرِّقَۃٍ ؕ وَمَاۤ اُغْنِیۡ عَنۡكُمۡ مِّنَ اللّٰہِ مِنۡ شَیۡءٍ ؕ اِنِ الْحُكْمُ اِلَّا لِلہِ ؕ عَلَیۡہِ تَوَکَّلْتُ ۚ وَ عَلَیۡہِ فَلْیَتَوَکَّلِ الْمُتَوَکِّلُوۡنَ ﴿۶۷﴾

    উচ্চারণঃ ওয়া কা-লা ইয়া-বানিইইয়া লা-তাদখুলূমিম বা-বিওঁ ওয়া-হিদিওঁ ওয়াদখুলূমিন আবওয়াবিম মুতাফাররিকাতিওঁ ওয়ামাউগনী ‘আনকুম মিনাল্লা-হি মিন শাইইন ইনিল হুকমু ইল্লা-লিল্লা-হি ‘আলাইহি তাওয়াক্কালতু ওয়া ‘আলাইহি ফালইয়াতাওয়াক্কালিল মুতাওয়াক্কিলূন।

    অর্থঃ ইয়াকুব বললেনঃ হে আমার বৎসগণ! সবাই একই প্রবেশদ্বার দিয়ে যেয়ো না, বরং পৃথক পৃথক দরজা দিয়ে প্রবেশ করো। আল্লাহর কোন বিধান থেকে আমি তোমাদেরকে রক্ষা করতে পারি না। নির্দেশ আল্লাহরই চলে। তাঁরই উপর আমি ভরসা করি এবং তাঁরই উপর ভরসা করা উচিত ভরসাকারীদের।

  • ৫৮৫. বদনজরের আয়াত # ৩

    {وَلَوْلَا إِذْ دَخَلْتَ جَنَّتَكَ قُلْتَ مَا شَاءَ اللَّهُ لَا قُوَّةَ إِلَّا بِاللَّهِ إِنْ تَرَنِ أَنَا أَقَلَّ مِنْكَ مَالًا وَوَلَدًا (39)} [الكهف: 39]

    উচ্চারণঃ ওয়ালাওলাইযদাখালতা জান্নাতাকা কুলতা মা-শাআল্লা-হু লা-কুওওয়াতা ইল্লা-বিল্লাহি ইন তারানি আনা আকাল্লা মিনকা মা-লাওঁ ওয়া ওয়ালাদা-।

    অর্থঃ যদি তুমি আমাকে ধনে ও সন্তানে তোমার চাইতে কম দেখ, তবে যখন তুমি তোমার বাগানে প্রবেশ করলে, তখন একথা কেন বললে না; আল্লাহ যা চান, তাই হয়। আল্লাহর দেয়া ব্যতীত কোন শক্তি নেই।

  • ৫৮৬. বদনজরের আয়াত # ৫

    {الَّذِي خَلَقَ سَبْعَ سَمَاوَاتٍ طِبَاقًا مَا تَرَى فِي خَلْقِ الرَّحْمَنِ مِنْ تَفَاوُتٍ فَارْجِعِ الْبَصَرَ هَلْ تَرَى مِنْ فُطُورٍ (3) ثُمَّ ارْجِعِ الْبَصَرَ كَرَّتَيْنِ يَنْقَلِبْ إِلَيْكَ الْبَصَرُ خَاسِئًا وَهُوَ حَسِيرٌ (4)} [الملك: 3، 4]

    উচ্চারণঃ আল্লাযী খালাকা ছাব‘আ ছামা-ওয়া-তিন তিবা-কান মা- তারা- ফী খালকির রাহমা-নি মিন তাফা-উত ফারজি‘ইল বাসারা হাল তারা- মিন ফুতূর। ছু ম্মার জি‘ইলবাসারা কাররাতাইনি ইয়ানকালিব ইলাইকাল বাসারু খা-ছিআওঁ ওয়া হুওয়া হাছীর।

    অর্থঃ যিনি সাত আসমান স্তরে স্তরে সৃষ্টি করেছেন। পরম করুণাময়ের সৃষ্টিতে তুমি কোন অসামঞ্জস্য দেখতে পাবে না। তুমি আবার দৃষ্টি ফিরাও, কোন ত্রুটি দেখতে পাও কি? অতঃপর তুমি দৃষ্টি ফিরাও একের পর এক, সেই দৃষ্টি অবনমিত ও ক্লান্ত হয়ে তোমার দিকে ফিরে আসবে।

  • ৫৮৭. বদনজরের আয়াত # ৪

    {وَإِنْ يَكَادُ الَّذِينَ كَفَرُوا لَيُزْلِقُونَكَ بِأَبْصَارِهِمْ لَمَّا سَمِعُوا الذِّكْرَ وَيَقُولُونَ إِنَّهُ لَمَجْنُونٌ (51) وَمَا هُوَ إِلَّا ذِكْرٌ لِلْعَالَمِينَ (52)} [القلم: 51، 52]

    উচ্চারণঃ ওয়া ইয়ঁ ইয়াকা- দুল্লাযীনা কাফারূ লাইউঝলিকূনাকা বিআবসা-রিহিম লাম্মাছামি‘উযযিকরা ওয়া ইয়াকূলূনা ইন্নাহূলামাজনূন। ওয়ামা-হুওয়া ইল্লা- যিকরুলিলল‘আ- লামীন।

    অর্থঃ কাফিররা যখন কুরআন শ্রবণ করে তখন এরা যেন এদের তীক্ষ্ণ দৃষ্টি দিয়ে তোমাকে আছড়িয়ে ফেলিবে এবং বলে, ‘এ তো এক পাগল!’ অথচ এটা তো বিশ্বজগতের জন্য কেবলই উপদেশ।

  • ৫৮৮. তাওবাহ ১৪

    بِسْمِ اللّٰہِ الرَّحۡمٰنِ الرَّحِیۡمِ

    قَاتِلُوۡہُمْ یُعَذِّبْہُمُ اللہُ بِاَیۡدِیۡكُمْ وَیُخْزِہِمْ وَیَنۡصُرْكُمْ عَلَیۡہِمْ وَیَشْفِ صُدُوۡرَ قَوْمٍ مُّؤْمِنِیۡنَ ﴿ۙ۱۴﴾

    অর্থঃ তাদের সাথে যুদ্ধ করো; যাতে আল্লাহ তোমাদের হাতে তাদেরকে শাস্তি দিতে পারেন, তাদেরকে লাঞ্ছিত করতে পারেন, তোমাদেরকে তাদের ওপর বিজয়ী করতে পারেন, মুমিনদের বুক শান্ত করতে পারেন

  • ৫৮৯. ইউনুস ৫৭

    یٰۤاَیُّہَا النَّاسُ قَدْ جَآءَتْكُمۡ مَّوْعِظَۃٌ مِّنۡ رَّبِّكُمْ وَشِفَآءٌ لِّمَا فِی الصُّدُوۡرِ ۬ۙ وَہُدًی وَّرَحْمَۃٌ لِّلْمُؤْمِنِیۡنَ ﴿۵۷﴾

    অর্থঃ হে মানুষ! তোমাদের কাছে তোমাদের প্রভুর পক্ষ থেকে উপদেশবাণী ও অন্তরের ব্যাধির চিকিৎসা এবং মুমিনদের জন্য পথনির্দেশ ও অনুগ্রহ (কোরআন) এসেছে।

  • ৫৯০. সূরা আল বাকারা ( আয়াত নং - ২৬৬ )

    اَیَوَدُّ اَحَدُكُمْ اَنۡ تَكُوۡنَ لَہٗ جَنَّۃٌ مِّنۡ نَّخِیۡلٍ وَّاَعْنَابٍ تَجْرِیۡ مِنۡ تَحْتِہَا الۡاَنْہٰرُ ۙ لَہٗ فِیۡہَا مِنۡ كُلِّ الثَّمَرٰتِ ۙ وَاَصَابَہُ الْکِبَرُ وَلَہٗ ذُرِّیَّۃٌ ضُعَفَآءُ ۪ۖ فَاَصَابَہَاۤ اِعْصَارٌ فِیۡہِ نَارٌ فَاحْتَرَقَتْ ؕ کَذٰلِکَ یُبَیِّنُ اللہُ لَكُمُ الۡاٰیٰتِ لَعَلَّكُمْ تَتَفَکَّرُوۡنَ ﴿۲۶۶﴾

    উচ্চারণঃ আইয়াওয়াদ্দুআহাদুকুম আন তাকূনা লাহু জান্নাতুম মিন নাখীলিওঁ ওয়া আ‘না-বিন তাজরী মিন তাহতিহাল আনহা-রু লাহু ফীহা-মিন কুল্লিছছামারা-তি ওয়া আসা-বাহুল কিবারু ওয়ালাহু যুররিইইয়াতুন দু‘আফাউ ফাআসা-বাহা ই‘সা-রুন ফীহি না-রুন ফাহতারাকাত কাযা-লিকা ইউবাইয়িনুল্লা-হু লাকুমুল আ-য়া-তি ল‘আল্লাকুম তাতাফাক্কারূন।

    অর্থঃ তোমাদের মধ্যে কেউ কি এটা পছন্দ করবে যে, তার খেজুর ও আঙ্গুরের একটা বাগান থাকবে, যার পাদদেশ দিয়ে নদী-নালা প্রবাহিত থাকবে (এবং) তা থেকে আরও বিভিন্ন রকমের ফল তার অর্জিত হবে, অতঃপর সে বার্ধক্য-কবলিত হবে আর তার থাকবে দুর্বল সন্তান-সন্ততি, এ অবস্থায় অকস্মাৎ এক অগ্নিক্ষরা ঝড় এসে সে বাগানে আঘাত হানবে, ফলে গোটা বাগান ভস্মিভূত হয়ে যাবে? ২০৪ এভাবেই আল্লাহ তোমাদের জন্য স্বীয় আয়াতসমূহ পরিষ্কারভাবে বর্ণনা করেন, যাতে তোমরা চিন্তা কর।

  • ৫৯১. সূরা আ-লু ইমরান ( আয়াত নং - ১৮১ )

    لَقَدۡ سَمِعَ اللّٰہُ قَوۡلَ الَّذِیۡنَ قَالُوۡۤا اِنَّ اللّٰہَ فَقِیۡرٌ وَّنَحۡنُ اَغۡنِیَآءُ ۘ سَنَکۡتُبُ مَا قَالُوۡا وَقَتۡلَہُمُ الۡاَنۡۢبِیَآءَ بِغَیۡرِ حَقٍّ ۙ وَّنَقُوۡلُ ذُوۡقُوۡا عَذَابَ الۡحَرِیۡقِ

    উচ্চারণঃ লাকাদ ছামি‘আল্লা-হু কাওলাল্লাযীনা কালূইন্নাল্লা-হা ফাকীরুওঁ ওয়ানাহনু আগনিয়াউ । ছানাকতুবুমা-কা-লূওয়া কাতলাহুমুল আম্বিয়াআ বিগাইরি হাক্কিওঁ ওয়া নাকূলুযূকূ‘আযা-বাল হারীক।

    অর্থঃ যারা বলে, ‘আল্লাহ্ অবশ্যই অভাবগ্রস্ত আর আমরা অভাবমুক্ত’, তাদের কথা আল্লাহ্ শুনেছেন। তারা যা বলেছে তা আর নবীগণকে অন্যায়ভাবে হত্যা করার বিষয় আমি লিখে রাখব এবং বলিব, ‘তোমরা দহন-যন্ত্রণা ভোগ কর।’

  • ৫৯২. সূরা আল মায়িদাহ ( আয়াত নং - ৩৭ )

    یُرِیۡدُوۡنَ اَنۡ یَّخۡرُجُوۡا مِنَ النَّارِ وَمَا ہُمۡ بِخٰرِجِیۡنَ مِنۡہَا ۫ وَلَہُمۡ عَذَابٌ مُّقِیۡمٌ

    উচ্চারণঃ ইউরীদূ না আইঁ ইয়াখরুজুমিনান্না-রি ওয়ামা-হুম বিখা-রিজীনা মিনহা- ওয়া লাহুম ‘আযা-বুম মুকীম।

    অর্থঃ তারা দোযখের আগুন থেকে বের হয়ে আসতে চাইবে কিন্তু তা থেকে বের হতে পারবে না। তারা চিরস্থায়ী শাস্তি ভোগ করবে।

  • ৫৯৩. সূরা আল আনআম ( আয়াত নং - ১২৮ )

    وَیَوۡمَ یَحۡشُرُہُمۡ جَمِیۡعًا ۚ یٰمَعۡشَرَ الۡجِنِّ قَدِ اسۡتَکۡثَرۡتُمۡ مِّنَ الۡاِنۡسِ ۚ وَقَالَ اَوۡلِیٰٓؤُہُمۡ مِّنَ الۡاِنۡسِ رَبَّنَا اسۡتَمۡتَعَ بَعۡضُنَا بِبَعۡضٍ وَّبَلَغۡنَاۤ اَجَلَنَا الَّذِیۡۤ اَجَّلۡتَ لَنَا ؕ قَالَ النَّارُ مَثۡوٰىکُمۡ خٰلِدِیۡنَ فِیۡہَاۤ اِلَّا مَا شَآءَ اللّٰہُ ؕ اِنَّ رَبَّکَ حَکِیۡمٌ عَلِیۡمٌ

    উচ্চারণঃ ওয়া ইয়াওমা ইয়াহশুরুহুম জামী‘আন- ইয়া-মা‘শারাল জিন্নি কাদিছতাকছারতুম মিনাল ইনছি ওয়া কা-লা আওলিয়াউহুম মিনাল ইনছি রাব্বানাছ তামতা‘আ বা‘দুনা ব্বিা‘দিওঁ ওয়া বালাগনাআজালানাল্লাযীআজ্জালতা লানা- কা-লান না-রু মাছওয়াকুম খা-লিদীনা ফীহা-ইল্লা-মা-শাআল্লা-হু ইন্না রাব্বাকা হাকীমুন ‘আলীম।

    অর্থঃ যেদিন তিনি তাদের সকলকে একত্র করবেন আর বলবেন, ‘হে জিন সম্প্রদায়! তোমরা তো অনেক লোককে তোমাদের অনুগামী করেছিলে’ এবং মানব সমাজের মধ্যে তাদের বন্ধুগণ বলবে, ‘হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদের মধ্যে কতক অপরকে দিয়ে লাভবান হয়েছে আর তুমি আমাদের জন্যে যে সময় নির্ধারণ করেছিলে এখন আমরা তাতে উপনীত হয়েছি।’ সেদিন আল্লাহ্ বলবেন, ‘জাহান্নামই তোমাদের বাসস্থান, তোমরা সেখানে স্থায়ী হবে,’ যদি না আল্লাহ্ অন্য রকম ইচ্ছা করেন। তোমার প্রতিপালক অবশ্যই প্রজ্ঞাময়, সবিশেষ অবহিত।

  • ৫৯৪. সূরা আল আনফাল ( আয়াত নং - ৫০ )

    وَلَوۡ تَرٰۤی اِذۡ یَتَوَفَّی الَّذِیۡنَ کَفَرُوا ۙ الۡمَلٰٓئِکَۃُ یَضۡرِبُوۡنَ وُجُوۡہَہُمۡ وَاَدۡبَارَہُمۡ ۚ وَذُوۡقُوۡا عَذَابَ الۡحَرِیۡقِ

    উচ্চারণঃ ওয়া লাও তারা ইয ইয়াতাওয়াফফাল্লাযীনা কাফারুল মালাইকাতু ইয়াদরিবূনা উজূহাহুম ওয়া আদবা-রাহুম ওয়া যূকূ‘আযা-বাল হারীক।

    অর্থঃ আর যদি তুমি দেখ, যখন ফেরেশতারা কাফেরদের জান কবজ করে; প্রহার করে, তাদের মুখে এবং তাদের পশ্চাদদেশে আর বলে, জ্বলন্ত আযাবের স্বাদ গ্রহণ কর।

  • ৫৯৫. সূরা ইব্রাহীম ( আয়াত নং ১৫-১৭ )

    {وَاسْتَفْتَحُوا وَخَابَ كُلُّ جَبَّارٍ عَنِيدٍ (15) مِنْ وَرَائِهِ جَهَنَّمُ وَيُسْقَى مِنْ مَاءٍ صَدِيدٍ (16) يَتَجَرَّعُهُ وَلَا يَكَادُ يُسِيغُهُ وَيَأْتِيهِ الْمَوْتُ مِنْ كُلِّ مَكَانٍ وَمَا هُوَ بِمَيِّتٍ وَمِنْ وَرَائِهِ عَذَابٌ غَلِيظٌ (17)} [إبراهيم: 15 - 17]

    উচ্চারণঃ ওয়াছতাফতাহূওয়াখা-বা কুল্লুজাব্বা-রিন ‘আনীদ। মিওঁ ওয়ারাইহী জাহান্নামু ওয়া ইউছকা-মিম মাইন সাদীদ । ইয়াতাজাররা‘উহূ ওয়ালা-ইয়া-কা-দূ ইউছীগুহূ ওয়া ইয়া’তীহিল মাওতু মিন কুল্লি মাকা-নিওঁ ওয়ামা-হুওয়া বিমাইয়িতিওঁ ওয়ামিওঁ ওয়ারাইহী ‘আযা-বুন গালীজ।

    অর্থঃ এরা বিজয় কামনা করল এবং প্রত্যেক উদ্ধত স্বৈরাচারী ব্যর্থমনোরথ হল। এদের প্রত্যেকের জন্যে পরিণামে জাহান্নাম রয়েছে এবং পান করানো হবে গলিত পুঁজ; যা সে অতি কষ্টে একেক ঢোক করে গলাধঃকরণ করবে এবং তা গলাধঃকরণ করা প্রায় সহজ হবে না। সর্বদিক হতে তার নিকট আসবে মৃত্যুযন্ত্রণা, কিন্তু তার মৃত্যু ঘটবে না এবং এটার পর কঠোর শাস্তি ভোগ করতেই থাকবে।

  • ৫৯৬. সূরা ইব্রাহীম ( আয়াত নং ৪৯ - ৫০ )

    {وَتَرَى الْمُجْرِمِينَ يَوْمَئِذٍ مُقَرَّنِينَ فِي الْأَصْفَادِ (49) سَرَابِيلُهُمْ مِنْ قَطِرَانٍ وَتَغْشَى وُجُوهَهُمُ النَّارُ (50)} [إبراهيم: 49، 50]

    উচ্চারণঃ ওয়া তারাল মুজরিমীনা ইয়াওমাইযিম মুকাররানীনা ফিল আসফা-দ । ছারা-বীলুহুম মিন কাতিরা-নিওঁ ওয়া তাগশা-উজূহাহুমুন্না-র।

    অর্থঃ সেই দিন তুমি অপরাধীদেরকে দেখবে শৃংখলিত অবস্থায়, তাদের জামা হবে দাহ্য আলকাতরার এবং তাদের মুখমন্ডলকে আগুন আচ্ছন্ন করে ফেলবে।

  • ৫৯৭. সূরা মারইয়াম ( আয়াত নং - ৪ )

    قَالَ رَبِّ اِنِّیۡ وَہَنَ الۡعَظۡمُ مِنِّیۡ وَاشۡتَعَلَ الرَّاۡسُ شَیۡبًا وَّلَمۡ اَکُنۡۢ بِدُعَآئِکَ رَبِّ شَقِیًّا

    উচ্চারণঃ কা-লা রাব্বি ইন্নী ওয়াহানাল ‘আজমু মিন্নী ওয়াশতা‘আলার রা’ছু শাইবাওঁ ওয়ালাম আকুম বিদু‘আইকা রাব্বি শাকিইইয়া-।

    অর্থঃ সে বলেছিল, ‘হে আমার রব! আমার অস্থি দুর্বল হয়েছে, বার্ধক্যে আমার মস্তক শুভ্রোজ্জ্বল হয়েছে; হে আমার প্রতিপালক! তোমাকে আহ্বান করে আমি কখনও ব্যর্থকাম হই নাই।

  • ৫৯৮. সূরা ত্বা-হা ( আয়াত নং - ৯৭ )

    {قَالَ فَاذْهَبْ فَإِنَّ لَكَ فِي الْحَيَاةِ أَنْ تَقُولَ لَا مِسَاسَ وَإِنَّ لَكَ مَوْعِدًا لَنْ تُخْلَفَهُ وَانْظُرْ إِلَى إِلَهِكَ الَّذِي ظَلْتَ عَلَيْهِ عَاكِفًا لَنُحَرِّقَنَّهُ ثُمَّ لَنَنْسِفَنَّهُ فِي الْيَمِّ نَسْفًا (97)} [طه: 97]

    উচ্চারণঃ কা-লা ফাযহাব ফাইন্না লাকা ফিল হায়া-তি আন তাকূলা লা-মিছা-ছা ওয়া ইন্নালাকা মাও‘ইদাল লান তুখলাফাহূও ওয়ানজুর ইলাইলা-হিকাল্লাযী জালতা ‘আলাইহি আ-কিফাল লানুহাররিকান্নাহূছু ম্মা লানানছিফান্নাহূফিল ইয়াম্মি নাছফা-।

    অর্থঃ মূসা বললেনঃ দূর হ, তোর জন্য সারা জীবন এ শাস্তিই রইল যে, তুই বলবি; আমাকে স্পর্শ করো না, এবং তোর জন্য একটি নির্দিষ্ট ওয়াদা আছে, যার ব্যতিক্রম হবে না। তুই তোর সেই ইলাহের প্রতি লক্ষ্য কর, যাকে তুই ঘিরে থাকতি। আমরা সেটি জালিয়ে দেবই। অতঃপর একে বিক্ষিপ্ত করে সাগরে ছড়িয়ে দেবই।

  • ৫৯৯. সূরা আম্বিয়া ( আয়াত নং - ৩৫ )

    {كُلُّ نَفْسٍ ذَائِقَةُ الْمَوْتِ وَنَبْلُوكُمْ بِالشَّرِّ وَالْخَيْرِ فِتْنَةً وَإِلَيْنَا تُرْجَعُونَ (35)} [الأنبياء: 35]

    উচ্চারণঃ কুল্লুনাফছিন যা-ইকাতুল মাওতি ওয়া নাবলূকুম বিশশাররি ওয়াল খাইরি ফিতনাতাও ওয়া ইলাইনা-তুর জা‘ঊন ।

    অর্থঃ জীবমাত্রই মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করবে; আমি তোমাদেরকে মন্দ ও ভাল দিয়ে বিশেষভাবে পরীক্ষা করে থাকি এবং আমারই নিকট তোমরা প্রত্যানীত হবে।

  • ৬০০. সূরা হাজ্জ্ব ( আয়াত নং ১৯ - ২২ )

    ہٰذٰنِ خَصْمٰنِ اخْتَصَمُوۡا فِیۡ رَبِّہِمْ ۫ فَالَّذِیۡنَ کَفَرُوۡا قُطِّعَتْ لَہُمْ ثِیَابٌ مِّنۡ نَّارٍ ؕ یُصَبُّ مِنۡ فَوْقِ رُءُوۡسِہِمُ الْحَمِیۡمُ (19) يُصْهَرُ بِهِ مَا فِي بُطُونِهِمْ وَالْجُلُودُ (20) وَلَهُمْ مَقَامِعُ مِنْ حَدِيدٍ (21) كُلَّمَا أَرَادُوا أَنْ يَخْرُجُوا مِنْهَا مِنْ غَمٍّ أُعِيدُوا فِيهَا وَذُوقُوا عَذَابَ الْحَرِيقِ (22)} [الحج: 19 - 22]

    উচ্চারণঃ হা-যা-নি খাছমা-নিখ তাছামূ ফী রাব্বিহিম ফাল্লাযীনা কাফারূ কুত্তি‘আত লাহুম ছিয়া-বুম মিন্না-রিইঁ ইউসাব্বু মিন ফাওকি রুঊছিহিমুল হামীম। ইউসহারু বিহী মা-ফী বুতূনিহিম ওয়াল জুলূদ। ওয়া লাহুম মাকা-মি‘উ মিন হাদীদ। কুল্লামা আরা-দূ আইঁ ইয়াখরুজুমিনহা-মিন গাম্বিন উ‘ঈদূফীহা- ওয়া যূকূ‘আযাবাল হারীক।

    অর্থঃ এরা দুইটি বিবদমান পক্ষ, তারা তাদের প্রতিপালক সম্বন্ধে বিতর্ক করে ; যারা কুফরী করে তাদের জন্যে প্রস্তুত করা হয়েছে আগুনের পোশাক, তাদের মাথার ওপর ঢালিয়া দেওয়া হবে ফুটন্ত পানি, যা দিয়ে এদের উদরে যা আছে তা এবং এদের চর্ম বিগলিত করা হবে। এবং এদের জন্যে থাকবে লৌহমুদগর। যখনই এরা যন্ত্রণাকাতর হয়ে জাহান্নাম হতে বের হতে চাইবে তখনই তাদেরকে ফিরিয়ে দেওয়া হবে এতে; এদেরকে বলা হবে, ‘আস্বাদন কর দহন-যন্ত্রণা।’

 

  • ৬০১. সূরা আল আনকাবুত ( আয়াত নং - ২৪ )

    {فَمَا كَانَ جَوَابَ قَوْمِهِ إِلَّا أَنْ قَالُوا اقْتُلُوهُ أَوْ حَرِّقُوهُ فَأَنْجَاهُ اللَّهُ مِنَ النَّارِ إِنَّ فِي ذَلِكَ لَآيَاتٍ لِقَوْمٍ يُؤْمِنُونَ (24)} [العنكبوت: 24]

    উচ্চারণঃ ফামা-কা-না জাওয়া-বা কাওমিহী-ইল্লা-আন ক্বালুকতুলুহু আও হাররিকুহু ফাআনজা-হুল্লাহু মিনান্না-রি ইন্না ফী যা-লিকা লাআ-য়া-তিল লিকাওমিইঁ ইউ’মিনূন।

    অর্থঃ উত্তরে ইব্রাহীমের সম্প্রদায় শুধু এই বলল, ‘এটাকে হত্যা কর বা অগ্নিদগ্ধ কর।’ কিন্তু আল্লাহ্ তাকে অগ্নি হতে রক্ষা করলেন। এতে অবশ্যই নিদর্শন রয়েছে মু’মিন সম্প্রদায়ের জন্যে।

  • ৬০২. সূরা ফাত্বির ( আয়াত নং ৩৬-৩৭ )

    {وَالَّذِينَ كَفَرُوا لَهُمْ نَارُ جَهَنَّمَ لَا يُقْضَى عَلَيْهِمْ فَيَمُوتُوا وَلَا يُخَفَّفُ عَنْهُمْ مِنْ عَذَابِهَا كَذَلِكَ نَجْزِي كُلَّ كَفُورٍ (36) وَهُمْ يَصْطَرِخُونَ فِيهَا رَبَّنَا أَخْرِجْنَا نَعْمَلْ صَالِحًا غَيْرَ الَّذِي كُنَّا نَعْمَلُ أَوَلَمْ نُعَمِّرْكُمْ مَا يَتَذَكَّرُ فِيهِ مَنْ تَذَكَّرَ وَجَاءَكُمُ النَّذِيرُ فَذُوقُوا فَمَا لِلظَّالِمِينَ مِنْ نَصِيرٍ (37)} [فاطر: 36، 37]

    উচ্চারণঃ ওয়াল্লাযীনা কাফারূ লাহুম না-রু জাহান্নামা লা-ইউকদা-‘আলাইহিম ফাইয়ামূতূ ওয়ালা-ইউখাফফাফু‘আনহুম মিন ‘আযা-বিহা- কাযা-লিকা নাজঝী কুল্লা কাফূর। ওয়া হুম ইয়াসতারিখূনা ফীহা- রাব্বানাআখরিজনা-না‘মাল সা-লিহান গাইরাল্লাযী কুন্না-না‘মালু আওয়ালাম নু‘আম্মির কুম মা-ইয়াতাযাক্কারু ফীহি মান তাযাক্কারা ওয়াজাআ কুমুন নাযীরু ফাযূকূফামা-লিজ্জা-লিমীনা মিন নাসীর।

    অর্থঃ কিন্তু যারা কুফরী করে তাদের জন্যে আছে জাহান্নামের আগুন। এদের মৃত্যুর আদেশ দেওয়া হবে না যে, এরা মরিবে এবং এদের হতে জাহান্নামের শাস্তিও লাঘব করা হবে না। এইভাবে আমি প্রত্যেক অকৃতজ্ঞকে শাস্তি দিয়ে থাকি। সেখানে তারা আর্তনাদ করে বলবে, ‘হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদেরকে নিষ্কৃতি দাও, আমরা সৎকর্ম করব, পূর্বে যা করতাম তা করব না।’ আল্লাহ্ বলবেন, ‘আমি কি তোমাদেরকে এতো দীর্ঘ জীবন দান করি নাই যে, তখন কেউ সতর্ক হতে চাইলে সতর্ক হতে পারতে? তোমাদের নিকট তো সতর্ককারীও এসেছিল। সুতরাং শাস্তি আস্বাদন কর; জালিমদের কোন সাহায্যকারী নেই।’

  • ৬০৩. সূরা আছ ছাফ্‌ফাত - আয়াত নংঃ ৭-১০

    {وَحِفْظًا مِنْ كُلِّ شَيْطَانٍ مَارِدٍ (7) لَا يَسَّمَّعُونَ إِلَى الْمَلَإِ الْأَعْلَى وَيُقْذَفُونَ مِنْ كُلِّ جَانِبٍ (8) دُحُورًا وَلَهُمْ عَذَابٌ وَاصِبٌ (9) إِلَّا مَنْ خَطِفَ الْخَطْفَةَ فَأَتْبَعَهُ شِهَابٌ ثَاقِبٌ (10)} [الصافات: 7 - 10]

    উচ্চারণঃ ওয়া হিফজাম মিন কুল্লি শাইতা-নিম মা-রিদ। লা ইয়াছছাম্মা‘ঊনা ইলাল মালাইল আ‘লা-ওয়া ইউকযাফূনা মিন কুল্লি জা-নিব। দুহূ রাও ওয়ালাহুম ‘আযা-বুন ওয়া-সিব। ইল্লা-মান খাতিফাল খাতফাতা ফাআতবা‘আহূ শিহা-বুন ছাকিব।

    অর্থঃ এবং রক্ষা করেছি প্রত্যেক বিদ্রোহী শয়তান হতে। ফলে এরা ঊর্ধ্ব জগতের কিছু শোনে করতে পারে না এবং এদের প্রতি নিক্ষিপ্ত হয় সকল দিক হতে- বিতাড়নের জন্যে এবং এদের জন্যে আছে অবিরাম শাস্তি। তবে কেউ হঠাৎ কিছু শুনে ফেলিলে জ্বলন্ত উল্কাপিণ্ড তার পশ্চাদ্ধাবন করে।

  • ৬০৪. সূরা আদ-দুখান ( আয়াত নং ৪৩-৫০ )

    {إِنَّ شَجَرَتَ الزَّقُّومِ (43) طَعَامُ الْأَثِيمِ (44) كَالْمُهْلِ يَغْلِي فِي الْبُطُونِ (45) كَغَلْيِ الْحَمِيمِ (46) خُذُوهُ فَاعْتِلُوهُ إِلَى سَوَاءِ الْجَحِيمِ (47) ثُمَّ صُبُّوا فَوْقَ رَأْسِهِ مِنْ عَذَابِ الْحَمِيمِ (48) ذُقْ إِنَّكَ أَنْتَ الْعَزِيزُ الْكَرِيمُ (49) إِنَّ هَذَا مَا كُنْتُمْ بِهِ تَمْتَرُونَ (50)} [الدخان: 43 - 50]

    উচ্চারণঃ ইন্না শাজারাতাঝঝাক্কূম। তা‘আ-মুল আছীম। কালমুহলি ইয়াগলী ফিলবুতূন। কাগালইল হামীম। খুযূহু ফা‘তিলূহু ইলা-ছাওয়াইল জাহীম। ছু ম্মা সুববূফাওকা রা’ছিহী মিন ‘আযা-বিল হামীম। যুক ইন্নাকা আনতাল ‘আঝীঝুল কারীম। ইন্না হা-যা-মা-কুনতুম বিহী তামতারূন।

    অর্থঃ নিশ্চয় যাক্কুম বৃক্ষ (সূরা ছাফফাতে এসম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে) বড় পাপীর (অর্থাৎ কাফিরের) খাদ্য হবে, যা ( দৃষ্টিকটু হওয়ার ব্যাপারে) তেলের তলানির মত হবে এবং ফুটন্ত পানির মত ফুটতে থাকবে। ফেরেশতাগণকে ( আদেশ করা হবে) একে ধর এবং টেনে জাহান্নামের মধ্যস্থলে নিয়ে যাও, অতপর এর মস্তকের উপরে যন্ত্রণাদায়ক ফুটন্ত পানি ঢল। (তাকে ঠাট্টাচ্ছলে বলা হবে এবার) স্বাদ গ্রহণ কর, তুমি তো বড় সম্মানিত, সম্ভ্রান্ত। (এটা তোমার সম্মান, যেমন তুমি দুনিয়াতে নিজেকে সম্মানিত ও সম্ভ্রান্ত মনে করে আমার আদেশ পালনে লজ্জা বোধ করতে। জাহান্নামীদেরকে বলা হবে.) এ সম্পর্কে তোমরা সন্দেহ পোষণ (ও অস্বীকার করতে।

  • ৬০৫. সূরা আল ওয়াক্বিয়াহ্‌ ( আয়াত নং ৫১-৫৫ )

    ثُمَّ اِنَّكُمْ اَیُّہَا الضَّآلُّوۡنَ الْمُکَذِّبُوۡنَ ﴿ۙ۵۱﴾ لَاٰکِلُوۡنَ مِنۡ شَجَرٍ مِّنۡ زَقُّوۡمٍ ﴿ۙ۵۲﴾ فَمَالِـُٔوۡنَ مِنْہَا الْبُطُوۡنَ ﴿ۚ۵۳﴾ فَشٰرِبُوۡنَ عَلَیۡہِ مِنَ الْحَمِیۡمِ ﴿ۚ۵۴﴾ فَشٰرِبُوۡنَ شُرْبَ الْہِیۡمِ ﴿ؕ۵۵﴾

    উচ্চারণঃ ছু ম্মা ইন্নাকুম আইইয়ুহাদ্দাললূনাল মুকাযযি বূন। লাআ-কিলূনা মিন শাজারিম মিন ঝাক্কূম। ফামা-লিঊনা মিনহাল বুতূন। ফাশা-রিবূনা ‘আলাইহি মিনাল হামীম। ফাশা-রিবূনা শুরবাল হীম।

    অর্থঃ অতঃপর (অর্থাৎ একত্রিত হওয়ার পর ) হে পথভ্রষ্ট, মিথ্যা রোপকারিগণ! তোমরা অবশ্যই ভক্ষণ করবে যাক্কুম বৃক্ষ থেকে, অতঃপর তা দ্বারা উদর পূর্ণ করবে। এর উপর পান করবে ফুটন্ত পানি। তোমরা পান করবে পিপাসার্ত উটের ন্যায়। (মোটকথা) কিয়ামতের দিন এটাই হবে তাদের আপ্যায়ন।

  • ৬০৬. সূরা মুল্‌ক ( আয়াত নং ৫-৯ )

    وَ لَقَدْ زَیَّنَّا السَّمَآءَ الدُّنْیَا بِمَصَابِیۡحَ وَ جَعَلْنٰہَا رُجُوۡمًا لِّلشَّیٰطِیۡنِ وَ اَعْتَدْنَا لَہُمْ عَذَابَ السَّعِیۡرِ ﴿۵﴾ وَ لِلَّذِیۡنَ کَفَرُوۡا بِرَبِّہِمْ عَذَابُ جَہَنَّمَ ؕ وَ بِئْسَ الْمَصِیۡرُ ﴿۶﴾ اِذَاۤ اُلْقُوۡا فِیۡہَا سَمِعُوۡا لَہَا شَہِیۡقًا وَّ ہِیَ تَفُوۡرُ ۙ﴿۷﴾ تَکَادُ تَمَیَّزُ مِنَ الْغَیۡظِ ؕ كُلَّمَاۤ اُلْقِیَ فِیۡہَا فَوْجٌ سَاَلَہُمْ خَزَنَتُہَاۤ اَلَمْ یَاۡتِكُمْ نَذِیۡرٌ ﴿۸﴾ قَالُوۡا بَلٰی قَدْ جَآءَنَا نَذِیۡرٌ ۬ۙ فَکَذَّبْنَا وَ قُلْنَا مَا نَزَّلَ اللہُ مِنۡ شَیۡءٍ ۚۖ اِنْ اَنۡتُمْ اِلَّا فِیۡ ضَلٰلٍ کَبِیۡرٍ ﴿۹﴾

    উচ্চারণঃ ওয়া লাকাদ ঝাইয়ান্নাছ ছামাআদ্দুনইয়া- বিমাসা-বীহা ওয়াজা‘আলনা- হা- রুজূমাল লিশশায়া-তীনি ওয়া আ‘তাদনা- লাহুম ‘আযা- বাছছা‘ঈর। ওয়া লিল্লাযীনা কাফারূবিরাব্বিহিম ‘আযা- বুজাহান্নামা ওয়াবি’ছাল মাসীর। ইযাউলকূফীহা- ছামি‘উ লাহা- শাহীকাওঁ ওয়াহিয়া তাফূর। তাকা- দুতামাইয়াঝুমিনাল গাইজি কুল্লামাউলকিয়া ফীহা- ফাওজুন ছাআলাহুম খাঝানাতুহাআলাম ইয়া’তিকুম নাযীর। কা- লূবালা- কাদ জাআনা- নাযীরুন ফাকাযযাবনা- ওয়া কুলনা- মানাঝঝালাল্লা- হু মিন শাইয়িন ইন আনতুম ইল্লা- ফী দালা- লিন কাবীর।

    অর্থঃ আমার শক্তি-সামর্থ্যের প্রমাণ এই যে) আমি সর্বনিম্ন আকাশকে প্রদীপমালা (অর্থাৎ নক্ষত্ররাজি) দ্বারা সুশোভিত করেছি, এগুলোকে (অর্থাৎ নক্ষত্ররাজিকে ) শয়তানের জন্য ক্ষেপণাস্ত্র করেছি (সূরা হাজরে এর স্বরূপ বর্ণিত হয়েছে) এবং আমি তাঁদের (অর্থাৎ শয়তানদের) জন্য (দুনিয়ার এই ক্ষেপণাস্ত্র ছাড়া পরকালে কুফরের কারণে ) জাহান্নামের শাস্তি প্রস্তুত করে রেখেছি। যারা তাদের পালনকর্তাকে (অর্থাৎ তাঁর তওহীদ) অস্বীকার করে তাদের জন্য রয়েছে জাহান্নামের শাস্তি। সেটা কত নিকৃষ্ট স্থান। যখন তারা তথায় নিক্ষিপ্ত হবে, তখন তার উৎক্ষিপ্ত গর্জন শুনতে পাবে। ক্লোধে জাহান্নাম যেন ফেটে পড়বে। (হয় আল্লাহ্ তার মধ্যে উপলব্ধি ও ক্রোধ সৃষ্টি করে দেবেন, ফলে সে-ও কাফিরদের প্রতি ক্রোধান্বিত হবে, না হয় দৃষ্টান্তস্বরূপ এ কথা বলা হয়েছে। অর্থাৎ যেমন কেউ ক্রোধে অগ্নিশর্মা হয়ে যায়, তেমনি জাহান্নাম তীব্র উত্তেজনাবশত জোশ মারতে থাকবে)। যখনই তাতে কোন (কাফির) সম্প্রদায় নিক্ষিপ্ত হবে, তখন তাদেরকে তার রক্ষীরা জিজ্ঞাসা করবে : তোমাদের কাছে কি কোন সন্তর্ককারী (পয়গম্বর) আগমন করেনি? (যে তোমাদেরকে এই শান্তি সম্পর্কে সতর্ক করত এবং ফলে তোমরাও থেকে আত্মরক্ষার উপকরণ সংগ্রহ করতে? এই প্রশ্ন শাসানোর উদ্দেশ্যে করা হবে। অর্থাৎ পয়গম্বর তো অবশ্যই আগমন করেছিল। প্রত্যেক নবাগত সম্প্রদায়কে এই প্রশ্ন করা হবে। কেননা,কুফরভেদে কাফিরদের সব সম্প্রদায় একের পর এক জাহান্নামে যাবে)। তারা (অপরাধ স্বীকার করে ) বলবে : হ্যাঁ, আমাদের কাছে সতর্ককারী (পয়গম্বর) আগমন করেছিল। অতঃপর (দুর্ভাগ্য ক্রমে ) আমরা মিথ্যারোপ করেছিলাম এবং বলেছিলাম আল্লাহ্ (বিধি-বিধান ও কিতাব ধরনের) কোন কিছু নাযিল করেন নি। তোমরা বিভ্রান্তিতে পড়ে রয়েছ।

  • ৬০৭. সূরা আল জ্বিন ( আয়াত নং ৮-৯ )

    وَّ اَنَّا لَمَسْنَا السَّمَآءَ فَوَجَدْنٰہَا مُلِئَتْ حَرَسًا شَدِیۡدًا وَّ شُہُبًا ۙ﴿۸﴾ وَّ اَنَّا كُنَّا نَقْعُدُ مِنْہَا مَقَاعِدَ لِلسَّمْعِ ؕ فَمَنۡ یَّسْتَمِعِ الْاٰنَ یَجِدْ لَہٗ شِہَابًا رَّصَدًا ۙ﴿۹﴾

    উচ্চারণঃ ওয়া আন্না-লামাছনাছছামাআ ফাওয়াজাদনা-হা- মুলিইয়াত হারাছান শাদীদাওঁ ওয়া শুহুবা-। ওয়া আন্না- কুন্না- নাক‘উদুমিনহা- মাকা-‘ইদা লিছছামা‘ই ফামাইঁ ইয়াছতামি‘ইল আনা ইয়াজিদ লাহূশিহা-বাররাসাদা-।

    অর্থঃ ‘এবং আমরা চেয়েছিলাম আকাশের তথ্য সংগ্রহ করতে কিন্তু আমরা দেখতে পেলাম কঠোর প্রহরী ও উল্কাপিণ্ড দিয়ে আকাশ পরিপূর্ণ ; ‘আর পূর্বে আমরা আকাশের বিভিন্ন ঘাঁটিতে সংবাদ শুনবার জন্যে বসতাম কিন্তু এখন কেউ সংবাদ শুনতে চাইলে সে তার ওপর নিক্ষেপের জন্যে প্রস্তুত জ্বলন্ত উল্কাপিণ্ডের সম্মুখীন হয়।

  • ৬০৮. সূরা আল বুরুজ ( আয়াত নং - ১০ )

    اِنَّ الَّذِیۡنَ فَتَنُوا الْمُؤْمِنِیۡنَ وَ الْمُؤْمِنٰتِ ثُمَّ لَمْ یَتُوۡبُوۡا فَلَہُمْ عَذَابُ جَہنَّمَ وَ لَہُمْ عَذَابُ الْحَرِیۡقِ ﴿ؕ۱۰﴾

    উচ্চারণঃ ইন্নাল্লাযীনা ফাতানুলমু’মিনীন ওয়াল মু’মিনা-তি ছু ম্মা লাম ইয়াতূবূফালাহুম ‘আযা-বু জাহান্নামা ওয়া লাহুম ‘আযা-বুল হারীক।

    অর্থঃ যারা বিশ্বাসী নরনারীকে বিপদাপন্ন করেছে এবং পরে তওবা করে নাই তাদের জন্যে তো আছে জাহান্নামের শাস্তি, আছে দহন যন্ত্রণা।

  • ৬০৯. সূরা আল লাইল ( আয়াত নং ১৪-১৬ )

    {فَأَنْذَرْتُكُمْ نَارًا تَلَظَّى (14) لَا يَصْلَاهَا إِلَّا الْأَشْقَى (15) الَّذِي كَذَّبَ وَتَوَلَّى (16)} [الليل: 14 - 16]

    উচ্চারণঃ ফাআনযারতুকুম না-রান তালাজ্জা-। লা-ইয়াসলা-হাইল্লাল আশকা- আল্লাযী কাযযাবা ওয়া তাওয়াল্লা-।

    অর্থঃ আমি তোমাদেরকে লেলিহান অগ্নি সম্পর্কে সতর্ক করে দিয়েছি। এতে প্রবেশ করবে সে-ই, যে নিতান্ত হতভাগ্য, যে অস্বীকার করে ও মুখ ফিরিয়ে নেয়।

  • ৬১০. সূরা আল ক্বারিয়াহ্‌ ( আয়াত নং ৮ - ১১ )

    {وَأَمَّا مَنْ خَفَّتْ مَوَازِينُهُ (8) فَأُمُّهُ هَاوِيَةٌ (9) وَمَا أَدْرَاكَ مَا هِيَهْ (10) نَارٌ حَامِيَةٌ (11)} [القارعة: 8 - 11]

    উচ্চারণঃ ওয়া আম্মা-মান খাফফাত মাওয়াঝীনুহূ ফাউম্মুহূহা-বিইয়াহ। ওয়ামাআদরা-কা মা-হিয়াহ। না-রুন হা-মিয়াহ।

    অর্থঃ এবং যার (ঈমানের) পাল্লা হালকা হবে (অর্থাৎ কাফির হবে) তার ঠিকানা হবে হাবিয়া। আপনি জানেন তা (অর্থাৎ হাবিয়া) কি? (সেটা) এক প্রজ্বলিত অগ্নি।

  • ৬১১. সূরা আল হুমাযাহ ( আয়াত নং ৪ - ৯ )

    کَلَّا لَیُنۡۢبَذَنَّ فِی الْحُطَمَۃِ ۫﴿ۖ۴﴾ وَ مَاۤ اَدْرٰىکَ مَا الْحُطَمَۃُ ؕ﴿۵﴾ نَارُ اللہِ الْمُوۡقَدَۃُ ۙ﴿۶﴾ الَّتِیۡ تَطَّلِعُ عَلَی الْاَفْـِٕدَۃِ ؕ﴿۷﴾ اِنَّہَا عَلَیۡہِمۡ مُّؤْصَدَۃٌ ۙ﴿۸﴾ فِیۡ عَمَدٍ مُّمَدَّدَۃٍ ٪﴿۹﴾

    উচ্চারণঃ কাল্লা-লাইউমবাযান্না ফিল হুতামাহ। ওয়ামাআদরা-কা মাল হুতামাহ। না-রুল্লা-হিল মূকাদাহ আল্লাতী তাত্তালি‘উ আলাল আফইদাহ। ইন্নাহা-‘আলাইহিম মু’সাদাহ ফী ‘আমাদিম মুমাদ্দাদাহ ।

    অর্থঃ সে অবশ্যই নিক্ষিপ্ত হবে এমন অগ্নিতে যা সবকিছুকে পিষ্ট করে দেয়, সেটা আল্লাহর অগ্নি, যা (আল্লাহর আদেশে ) প্রজ্বলিত, (আল্লাহর অগ্নি, বলার মধ্যে ইঙ্গিত আছে যে, সেই অগ্নি অত্যন্ত কঠোর ও ভয়াবহ হবে) যা ( শরীরে লাগা মাত্রই ) হাড় পর্যন্ত পৌঁছবে। সেই অগ্নি- তাদের উপর আবদ্ধ করে দেওয়া হবে (এভাবে যে, তারা অগ্নির বড় লম্বা লম্বি স্তস্তে( পরিবেষ্টিত থাকৰে যেমন কাউকে অগ্নির সিন্দুকে পুরে দেওইয়া হয়।

  • ৬১২. শত্রুর ভয় হলে

    اللّٰهُمَّ مُنْزِلَ الْكِتَابِ، سَرِيْعَ الْحِسَابِ، اهْزِمِ الأَحْزَابَ، اللّٰهُمَّ اهزِمْهُمْ وَزَلْزِلْهُمْ * اللّٰهُمَّ اكْفِنَاهُمْ بِمَا شِئْتَ وَ كَيْفَ شِئْتَ

    অর্থঃ হে আল্লাহ, কিতাব নাযিলকারী, দ্রুত হিসাব গ্রহণকারী! আপনি শত্রুবাহিনীকে পরাভূত করুন। হে আল্লাহ! আপনি তাদেরকে পরাজিত করুন এবং তাদের মধ্যে ত্রাস সৃষ্টি করে দিন। হে আল্লাহ! আপনার যেভাবে ইচ্ছে, যা দ্বারা ইচ্ছে আপনি এদের মোকাবিলায় আমাদের জন্য যথেষ্ট হোন।

  • ৬১৩. সূরা বাকারা ( আয়াত নং - ২৪৮ )

    وَقَالَ لَہُمۡ نَبِیُّہُمۡ اِنَّ اٰیَۃَ مُلۡکِہٖۤ اَنۡ یَّاۡتِیَکُمُ التَّابُوۡتُ فِیۡہِ سَکِیۡنَۃٌ مِّنۡ رَّبِّکُمۡ وَبَقِیَّۃٌ مِّمَّا تَرَکَ اٰلُ مُوۡسٰی وَاٰلُ ہٰرُوۡنَ تَحۡمِلُہُ الۡمَلٰٓئِکَۃُ ؕ  اِنَّ فِیۡ ذٰلِکَ لَاٰیَۃً لَّکُمۡ اِنۡ کُنۡتُمۡ مُّؤۡمِنِیۡنَ ٪

    [البقرة: 248]

    উচ্চারণঃ ওয়াকা-লা লাহুম নাবিইয়ুহুম ইন্না আ-য়াতা মুলকিহী আই ইয়া’তিয়াকুমুত্তা-বূতু ফীহি ছাকীনাতুম মির রাব্বিকুম ওয়া বাকিইইয়াতুম মিম্মা-তারাকা আ-লুমূছা-ওয়া আ-লু হা-রূনা তাহমিলুহুমুল মালাইকাতু ইন্না ফী যা-লিকা লাআ-য়াতাল্লাকুম ইন কুনতুম মু’মিনীন।

    অর্থঃ আর তাদের নবী তাদের বলেছিল, ‘তার রাজত্বের নিদর্শন এই যে, তোমাদের নিকট সেই তাবূত আসবে যাতে তোমাদের প্রতিপালকের নিকট হতে চিত্ত-প্রশান্তি এবং মূসা ও হারূন-বংশীয়গণ যা পরিত্যাগ করেছে তার অবশিষ্টাংশ থাকবে; ফিরিশতাগণ তা বহন করে আনবে। তোমরা যদি মু’মিন হও তবে অবশ্যই তোমাদের জন্যে এতে নিদর্শন আছে।’

  • ৬১৪. সূরা আত তাওবাহ্ ( আয়াত নং - ২৬ )

    {ثُمَّ أَنْزَلَ اللَّهُ سَكِينَتَهُ عَلَى رَسُولِهِ وَعَلَى الْمُؤْمِنِينَ وَأَنْزَلَ جُنُودًا لَمْ تَرَوْهَا وَعَذَّبَ الَّذِينَ كَفَرُوا وَذَٰلِكَ جَزَاءُ الْكَافِرِينَ (26)} [التوبة: 26]

    উচ্চারণঃ ছু ম্মা আনঝালাল্লা-হু ছাকীনাতাহূ‘আলা-রাছূলিহী ওয়া ‘আলাল মু’মিনীনা ওয়া আনঝালা জুনূদাল লাম তারাওহা- ওয়া ‘আযযাবাল্লাযীনা কাফারূ ওয়া যা-লিকা জাঝাউল কা-ফিরীন।

    অর্থঃ অতঃপর আল্লাহ্ তাঁর নিকট হতে তাঁর রাসূল ও মু’মিনদের ওপর প্রশান্তি বর্ষণ করেন এবং এমন এক সৈন্যবাহিনী অবতীর্ণ করেন যা তোমরা দেখতে পাও নাই আর তিনি কাফিরদেরকে শাস্তি প্রদান করেন; এটাই কাফিরদের কর্মফল।

  • ৬১৫. সূরা আত তাওবাহ্ ( আয়াত নং - ৪০ )

    { إِلَّا تَنْصُرُوهُ فَقَدْ نَصَرَهُ اللَّهُ إِذْ أَخْرَجَهُ الَّذِينَ كَفَرُوا ثَانِيَ اثْنَيْنِ إِذْ هُمَا فِي الْغَارِ إِذْ يَقُولُ لِصَاحِبِهِ لَا تَحْزَنْ إِنَّ اللَّهَ مَعَنَا فَأَنْزَلَ اللَّهُ سَكِينَتَهُ عَلَيْهِ وَأَيَّدَهُ بِجُنُودٍ لَمْ تَرَوْهَا وَجَعَلَ كَلِمَةَ الَّذِينَ كَفَرُوا السُّفْلَى وَكَلِمَةُ اللَّهِ هِيَ الْعُلْيَا وَاللَّهُ عَزِيزٌ حَكِيمٌ (40) } [التوبة: 40]

    উচ্চারণঃ ইল্লা-তানসুরূহু ফাকাদ নাসারাহুল্লা-হু ইযআখরাজাহুল্লাযীনা কাফারূ ছা-নিয়াছনাইনি ইযহুমা-ফিল গা-রি ইযইয়াকূলুলিসা-হিবিহী লা-তাহঝান ইন্নাল্লা-হা মা‘আনা- ফাআনাঝাল্লা-হু ছাকীনাতাহূ‘আলাইহি ওয়া আইইয়াদাহূবিজুনূদিল লাম তারাওহা-ওয়া জা‘আলা কালিমাতাল্লাযীনা কাফারুছছুফলা- ওয়া কালিমাতুল্লা-হি হিয়াল ‘ঊলইয়া- ওয়াল্লা-হু ‘আঝীঝুন হাকীম।

    অর্থঃ যদি তোমরা তাকে সাহায্য না কর, তবে আল্লাহ্ তো তাকে সাহায্য করেছিলেন যখন কাফিররা তাকে বহিষ্কার করেছিল আর সে ছিল দুইজনের দ্বিতীয় জন, যখন তারা উভয়ে গুহার মধ্যে ছিল ; সে তখন তার সঙ্গীকে বলেছিল, ‘বিষণ্ণ হয়ো না, আল্লাহ্ তো আমাদের সঙ্গে আছেন।’ এরপর আল্লাহ্ তাঁর ওপর তাঁর প্রশান্তি বর্ষণ করেন এবং তাকে শক্তিশালী করেন এমন এক সৈন্যবাহিনী দিয়ে যা তোমরা দেখ নাই; আর তিনি কাফিরদের কথা হেয় করেন। আল্লাহ্ র কথাই সর্বোপরি এবং আল্লাহ্ পরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাময়।

  • ৬১৬. সূরা আল ফাত্‌হ ( আয়াত নং - ৪ )

    ہُوَ الَّذِیۡۤ اَنۡزَلَ السَّکِیۡنَۃَ فِیۡ قُلُوۡبِ الْمُؤْمِنِیۡنَ لِیَزْدَادُوۡۤا اِیۡمَانًا مَّعَ اِیۡمَانِہِمْ ؕ وَ لِلہِ جُنُوۡدُ السَّمٰوٰتِ وَ الْاَرْضِ ؕ وَ کَانَ اللہُ عَلِیۡمًا حَکِیۡمًا ۙ﴿۴﴾

    উচ্চারণঃ হুওয়াল্লাযীআনঝালাছ ছাকীনাতা ফী কুলূবিল মু’মিনীনা লিইয়াঝদা-দূ ঈমা-নাম মা‘আ ঈমা-নিহিম ওয়া লিল্লা-হি জনূদুছ ছামা-ওয়া-তি ওয়াল আরদি ওয়াকা-নাল্লা-হু ‘আলীমান হাকীমা-।

    অর্থঃ তিনিই মু’মিনদের অন্তরে প্রশান্তি দান করেন যেন তারা তাদের ঈমানের সঙ্গে ঈমান দৃঢ় করে নেয়, আকাশমণ্ডলী ও পৃথিবীর বাহিনীসমূহ আল্লাহ্ র ই এবং আল্লাহ্ সর্বজ্ঞ, প্রজ্ঞাময়।

  • ৬১৭. সূরা আল ফাত্‌হ ( আয়াত নং - ১৮ )

    لَقَدْ رَضِیَ اللہُ عَنِ الْمُؤْمِنِیۡنَ اِذْ یُبَایِعُوۡنَکَ تَحْتَ الشَّجَرَۃِ فَعَلِمَ مَا فِیۡ قُلُوۡبِہِمْ فَاَنۡزَلَ السَّکِیۡنَۃَ عَلَیۡہِمْ وَ اَثَابَہُمْ فَتْحًا قَرِیۡبًا ﴿ۙ۱۸﴾

    উচ্চারণঃ লাকাদ রাদিয়াল্লা-হু ‘আনিল মু’মিনীনা ইযইউবা-ই‘ঊনাকা তাহতাশশাজারাতি ফা‘আলিমা মা-ফী কুলূবিহিম ফাআনঝালাছ ছাকীনাতা ‘আলাইহিম ওয়া আছা-বাহুম ফাতহান কারীবা-।

    অর্থঃ আল্লাহ্ তো মু’মিনগণের ওপর সন্তুষ্ট হলেন যখন তারা বৃক্ষতলে তোমার নিকট বায়‘আত গ্রহণ করল, তাদের অন্তরে যা ছিল তা তিনি অবগত ছিলেন; তাদেরকে তিনি দান করলেন প্রশান্তি এবং তাদেরকে পুরস্কার দিলেন আসন্ন বিজয়

  • ৬১৮. সূরা আল ফাত্‌হ ( আয়াত নং - ২৬ )

    إِذْ جَعَلَ الَّذِينَ كَفَرُوا فِي قُلُوبِهِمُ الْحَمِيَّةَ حَمِيَّةَ الْجَاهِلِيَّةِ فَأَنْزَلَ اللَّهُ سَكِينَتَهُ عَلَى رَسُولِهِ وَعَلَى الْمُؤْمِنِينَ وَأَلْزَمَهُمْ كَلِمَةَ التَّقْوَى وَكَانُوا أَحَقَّ بِهَا وَأَهْلَهَا وَكَانَ اللَّهُ بِكُلِّ شَيْءٍ عَلِيمًا (26)

    উচ্চারণঃ ইযজা‘আলাল্লাযীনা কাফারূফী কুলূবিহিমুল হামিইইয়াতা হামিইয়াতালজা-হিলিইইয়াতি ফাআনঝালাল্লা-হু ছাকীনাতাহূ‘আলা-রাছূলিহী ওয়া আলাল মু’মিনীনা ওয়া আলঝামাহুম কালিমাতাততাকওয়া-ওয়া কা-নূআহাক্কা বিহা-ওয়া আহ লাহা- ওয়া কা-নাল্লা-হু বিকুল্লি শাইয়িন ‘আলীমা-।

    অর্থঃ যখন কাফিররা তাদের অন্তরে পোষণ করত গোত্রীয় অহমিকা-অজ্ঞতার যুগের অহমিকা, তখন আল্লাহ্ তাঁর রাসূল ও মু’মিনদেরকে স্বীয় প্রশান্তি দান করলেন ; আর তাদেরকে তাক্ওয়ার বাক্যে সুদৃঢ় করলেন, এবং তারাই ছিল এটার অধিকতর যোগ্য ও উপযুক্ত। আল্লাহ ্ সমস্ত বিষয়ে সম্যক জ্ঞান রাখেন।

  • ৬১৯. সংক্ষিপ্ত দরূদ

    ْصَلَّى اللهُ (تَعَالٰى) عَلَيْهِ وَسَلَّم

    উচ্চারণঃ সাল্লাল্লাহু (তা'আলা) আলাইহি ওয়াসাল্লাম

  • ৬২০. সাহরী খাওয়া

    সাহরী খাওয়া সুন্নত

 

  • ৬২১. হাজরে আসওয়াদ এবং মাকামে ইবরাহীমের মাঝে পঠিত দোয়া।

    اللَّهُمَ قَنِّعْنِي بِمَا رَزَقْتَنِي، وَبَارِكْ لي فِيهِ، وَاخْلُفْ عَلَيَّ كُلَّ غَائِبَةٍ لِي بِخَيْرٍ

    অর্থঃ হে প্রভু! তুমি যে রিযিক (জীবিকা) আমাকে দান করিয়াছ, তাহাতেই আমাকে তুষ্ট রাখ এবং উহাতে বরকত দান কর এবং আমার প্রতিটি অনুপস্থিত বিষয়ক তুমি মঙ্গলের সহিত রক্ষণাবেক্ষণ কর।"

  • ৬২২. রাসূল সাঃ এর রওজা পাকের সামনে দাঁড়িয়ে সালাম বলা।

    اَلسَّلَامُ عَلَيْكَ يَا رَسُولَ اللّٰهِ

    اَلسَّلَامُ عَلَيْكَ يَا حبيبَ اللّٰهِ

    اَلسَّلَامُ عَلَيْكَ يَا نَبِىَّ اللّٰهِ

    উচ্চারণঃ আস্সালামু ‘আলাইকা ইয়া রসূলাল্লাহ। আস্সালামু ‘আলাইকা ইয়া হাবীবাল্লাহ। আস্সালামু ‘আলাইকা ইয়া নাবিয়্যাল্লাহ।

    অর্থঃ হে আল্লাহর রাসূল! আপনার উপর সালাম। হে আল্লাহর হাবীব আপনার উপর সালাম। হে আল্লাহর নবী আপনার উপর সালাম

  • ৬২৩. দু’আ-ই মাসুরাহ #২

    اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنْ عَذَابِ جَهَنَّمَ وَمِنْ عَذَابِ الْقَبْرِ وَمِنْ فِتْنَةِ الْمَحْيَا وَالْمَمَاتِ وَمِنْ شَرِّ فِتْنَةِ الْمَسِيحِ الدَّجَّالِ

    অর্থঃ ″হে আল্লাহ! আমি তোমার নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করছি জাহান্নামের আযাব থেকে, কবরের আযাব থেকে, জীবন-মৃত্যুর ফিতনা থেকে এবং মাসীহ দাজ্জালের অনিষ্ট থেকে।″

  • ৬২৪. কুনুত-ই-নাযেলা#১

    االلَّهُمَّ اهْدِنَا فِيمَنْ هَدَيْتَ ، وَعَافِنَا فِيمَنْ عَافَيْتَ ، وَتَوَلَّنَا فِيمَنْ تَوَلَّيْتَ ، وَبَارِكْ لَنَا فِيمَا أَعْطَيْتَ ، وَقِنَا شَرَّ مَا قَضَيْتَ ، إِنَّكَ تَقْضِى وَلاَ يُقْضَى عَلَيْكَ ، إِنَّهُ لاَ يَذِلُّ مَنْ وَالَيْتَ تَبَارَكْتَ رَبَّنَا وَتَعَالَيْتَ

    اللَّهُمَّ اغْفِرْ لَنَا ، وَلِلْمُؤْمِنِينَ وَالْمُؤْمِنَاتِ وَالْمُسْلِمِينَ وَالْمُسْلِمَاتِ ، وَأَلِّفْ بَيْنَ قُلُوبِهِمْ ، وَأَصْلِحْ ذَاتَ بَيْنِهِمْ ، وَانْصُرْهُمْ عَلَى عَدُوِّكَ وَعَدُوِّهِمْ ، اللَّهُمَّ الْعَنْ كَفَرَةَ أَهْلِ الْكِتَابِ الَّذِينَ يَصُدُّونَ عَنْ سَبِيلِكَ ، وَيُكَذِّبُوْنَ رُسُلَكَ ، وَيُقَاتِلُونَ أَوْلِيَاءَكَ اللَّهُمَّ خَالِفْ بَيْنَ كَلِمَتِهِمَ ، وَزَلْزِلْ أَقْدَامَهُمْ ، وَأَنْزِلْ بِهِمْ بَأْسَكَ الَّذِى لاَ تَرُدُّهُ عَنِ الْقَوْمِ الْمُجْرِمِينَ بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ اللَّهُمَّ إِنَّا نَسْتَعِينُكَ وَنَسْتَغْفِرُكَ وَنُثْنِى عَلَيْكَ وَلاَ نَكْفُرُكَ ، وَنَخْلَعُ وَنَتْرُكُ مَنْ يَفْجُرُكَ بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ اللَّهُمَّ إِيَّاكَ نَعْبُدُ ، وَلَكَ نُصَلِّى وَنَسْجُدُ ، وَلَكَ نَسْعَى وَنَحْفِدُ ، نَخْشَى عَذَابَكَ الْجَدَّ ، وَنَرْجُو رَحْمَتَكَ ، إِنَّ عَذَابَكَ بِالْكَافِرِينَ مُلْحَقٌ

    অর্থঃ “হে আল্লাহ! আপনি যাদেরকে সুখদায়ক সৎ পথ প্রকৃত ইসলামের অনুগামী করেছেন, আমাকেও তাদের অন্তর্ভুক্ত করুন। আপনি যাদেরকে সুখশান্তিপূর্ণ মঙ্গলময় জীবন প্রদান করেছেন, আমাকেও তাদের অন্তর্ভুক্ত করুন। আপনি যাদেরকে সর্ব প্রকার কল্যাণ প্রদানের সহিত সাহায্য করেছেন, আমাকেও তাদের অন্তর্ভুক্ত করুন। আপনি আমাকে যে সমস্ত মঙ্গলদায়ক জিনিস প্রদান করেছেন, সেগুলিকে আমার জন্য অধিকতর মঙ্গলদায়ক করুন। আপনি যে ফয়সালা করেছেন, তার অমঙ্গল হতে আমাকে রক্ষা করুন। কেননা সব জগতের সঠিক পরিচালনার জন্য যে ফয়সালা আপনি করেছেন, সেটাই সঠিক ফয়সালা। তাই আপনার ফয়সালার উপরে আর কোনো প্রকারের সঠিক ফয়সালা নেই। আপনি যাকে ভালো বাসবেন, সে কোনো দিন অপমানিত হতে পারে না। আর আপনি যার জন্য অমঙ্গল নির্ধারণ করবেন, সে কোনো দিন শক্তিশালী হতে পারবে না। হে আমাদের প্রতিপালক! আপনি মহাকল্যাণময় এবং মহামহিমান্বিত”। হে আল্লাহ, ক্ষমা করুন আমাদেরকে, এবং মুমিন পুরুষদেরকে এবং মুমিন নারীদেরকে, এবং মুসলিম পুরুষদেরকে এবং মুসলিম নারীদেরকে, তাদের অন্তরের মধ্যে সম্প্রীতি প্রদান করুন, তাদের আভ্যন্তরীণ সম্পর্ক সুন্দর করে দিন, আপনার ও তাদের শত্রুদের উপর তাদের বিজয় প্রদান করুন। হে আল্লাহ, যে সকল আহলে কিতাব আপনার পথ থেকে মানুষদেরকে বাধা দেয়, আপনার রাসূলগণকে অবিশ্বাস করে এবং আপনার ওলীগণের সাথে যুদ্ধ করে তাদের অভিশপ্ত করুন। হে আল্লাহ! বিভেদ সৃষ্টি করে দাও তাদের কথার মাঝে এবং কম্পন সৃষ্টি করে দাও তাদের পদযুগলে আর নাজিল করো তোমার এমন শাস্তি যা তুমি অপরাধীগণ থেকে অপসারণ করো না। পরম করুনাময় অতি দয়ালু আল্লাহর নামে শুরু করছি। হে আল্লাহ আমরা আপনার কাছে সাহায্য প্রার্থনা করছি, এবং একমাত্র আপনার কাছেই ক্ষমাপ্রার্থী। এবং আপনার সকল কল্যাণের প্রশংসা করছি। এবং আমরা আপনার অনুগ্রহ অস্বীকার করি না। আমরা পৃথক চলি। এবং পরিত্যাগ করি এমন লোকদের, যারা আপনার বিরুদ্ধাচারণ করে। পরম করুনাময় অতি দয়ালু আল্লাহর নামে শুরু করছি। হে আল্লাহ! আমরা আপনারই ইবাদত করি। এবং আপনারই সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে আমরা নামাজ পড়ি ও সিজদা করি। আপনার প্রতিই আমরা ধাবিত হই, আপনার হুকুম পালনের জন্যই প্রস্তুত থাকি, আপনার কঠিন শাস্তিকে ভয় করি। এবং আমরা আপনার রহমাতের আশা করি, নিশ্চাই আপনার প্রকৃত আযাব কাফেরদের উপর পতিত হবে।

 

No comments