সাম্প্রতিক পোষ্ট

ফজিলতপূর্ণ ১০০ আয়াত

 

ফজিলতপূর্ণ ১০০ আয়াত

আয়াতুল কুরসি (বাকারার ২৫৫ নং আয়াত) = আয়াতসংখ্যা ১ (সুরা বাকারাহ কুরআনের ২ নং সুরা)

সুরা বাকারার শেষ দুই আয়াত = আয়াতসংখ্যা ২ (সুরা বাকারাহ কুরআনের ২ নং সুরা)

সুরা হাশরের শেষ তিন আয়াত = আয়াতসংখ্যা ৩ (৫৯ নং সুরা)

সুরা আস সফ (৬১ নং সুরা) = আয়াতসংখ্যা ১৪ (৬১ নং সুরা)

সুরা মুলক (৬৭ নং সুরা) = আয়াতসংখ্যা ৩০ (৬৭ নং সুরা)

সুরা কাফিরুন = আয়াতসংখ্যা ৬ (১০৯ নং সুরা)

সুরা ইখলাস (১১২ নং) , সুরা ফালাক (১১৩ নং) ও সুরা নাস (১১৪ নং সুরা): [প্রতিটি সুরা ৩ বার করে] = আয়াতসংখ্যা ৪৫                                                সর্বমোট= ১০১

 

(সুরা বাকারাঃ আয়াত-২৫৫)

০২.২৫৫। আল্লাহু লা ইলাহা ইল্লা হুওয়াল হাইয়্যুল কাইয়ুম। লা তাখুজুহু সিনাতু ওয়ালা নাউম। লাহু মা ফিস সামাওয়াতি ওয়ামা ফিল আরদ। মান জাল্লাজি ইয়াশফাউ ইনদাহু ইল্লা বিইজনিহি, ইয়া লামু মা বাইনা আইদিহিম ওয়ামা খালফাহুম, ওয়ালা ইউহিতুনা বিশাই ইম মিন ইলমিহি ইল্লা বিমা শা আ, ওয়াসিয়া কুরসিহুস সামা ওয়াতি ওয়াল আরদ, ওয়ালা ইয়াউ দুহু হিফজুহুমা ওয়া হুয়াল আলিল আজিম। 

সুরা বাকারার শেষ দুই আয়াত

০২.২৮৫ আ-মানার রাছূলু বিমা উনজিলা ইলাইহি মির রাব্বিহী ওয়াল মু’মিনূনা কুল্লুন আ-মানা বিল্লাহি ওয়া মালা ইকাতিহী ওয়া কুতুবিহী ওয়া রুছুলিহী লা-নুফার রিকু বাইনা আহাদিম মির রুছুলিহী ওয়া কা-লূ ছামিনা ওয়া আতানা গুফরা-নাকা রাব্বানা-ওয়া ইলাইকাল মাসীর।

০২.২৮৬ লা-ইউকালিল ফুল্লা-হু নাফছান ইল্লা-উছ‘আহা-লাহা-মা কাছাবাত ওয়া আলাইহা-মাকতাছাবাত রাব্বানা-লা-তুআ-খিযনা ইননা ছীনা-আও আখতা’না-রাব্বানা ওয়ালা-তাহমিল আলাইনা-ইসরান কামা-হামালতাহূ আলাল্লাযীনা মিন কাবলিনা-রাব্বানা-ওয়ালা তুহাম্মিলনা- মা-লা-তা- কাতালানা- বিহী ওয়া‘ফু‘আন্না-ওয়াগফিরলানা-ওয়ারহামনা-আনতা মাওলানা-ফানসুরনা-আলাল কাওমিল কা-ফিরীন।

(সুরা হাশর, আয়াত:২২- ২৪)

৫৯.২২হুওয়াল্লা হুল্লাযি লা ইলাহা ইল্লা হুয়া, আলিমুল গাইবি ওয়াশ শাহাদাদতি, হুওয়ার রাহমানুর রাহিম।

৫৯.২৩। হুআল্লা হুল্লাযি লা ইলাহা ইল্লা হুয়াল মালিকুল কুদ্দুসুস সালামুল মু’মিনুল মুহাইমিনুল আযিযুল জাব্বারুল মুতাকাব্বির। সুবহানাল্লাহি আম্মা ইউশরিকুন।

৫৯.২৪। হুআল্লাহুল খালিকুল বা-রিউল মুছাওয়িরু লাহুল আসমাউল হুসনা। ইউসাব্বিহু লাহু মা ফিস-সামাওয়াতি ওয়াল আরদ্; ওয়া হুয়াল আযিযুল হাকিম।  

সুরা আস সফ (৬১ নং সুরা) = আয়াতসংখ্যা ১৪ (৬১ নং সুরা)

৬১.১। ছাব্বাহা লিল্লা-হি মা-ফিছ ছামা-ওয়া-তি ওয়ামা-ফিল আরদি ওয়া হুওয়াল আযীযুল হাকীম।

৬১.২। ইয়া আইয়্যুহাল লাযীনা আ-মানূ লিমা-তাকুলূনা মা-লা-তাফ‘আলূন।

৬১.৩। কাবুরা মাকতান ইনদাল্লা-হি আন তাকুলূ মা-লা- তাফ‘আলূন।

৬১.৪। ইন্নাল্লা-হা ইউহিব্বুল্লাযীনা ইউকা-তিলূনা ফী ছাবীলিহী সাফফান কা-আন্নাহুম বুনইয়া-নুম মারসুস।

৬১.৫। ওয়া ইযকা-লা মূসা- লিকাওমিহী ইয়া-কওমি লিমা-তুযূনানী ওয়াকাত তা’লামূনা আন্নী রাসূলুল্লা-হি ইলাইকুম; ফালাম্মা-যা-গূ আযা-গাল্লা-হু কুলূবাহুম; ওয়াল্লা-হু লা-ইয়াহদিল কাওমাল ফা-ছিকীন।

৬১.৬। ওয়া ইযকা-লা ঈসাবুন মারইয়ামা ইয়া-বানী ইছরা-ঈলা ইন্নী রসূলুল্লা-হি ইলাইকুম মুসাদ্দি-কাল্লিমা-বাইনা ইয়াদাইয়্যা মিনাত-তাওরা-তি মুবাশশিরাম বিরাসূলিই ইয়াতী-মিম বাদিছমূহূ আহমাদু; ফালাম্মা-জ্বা-আহুম বিল বাইয়্যিনা-তি কা-লূহা-যা ছিহরুম মুবীন।

৬১.৭। ওয়া মান আজলামু মিমমানিফ তারা-‘আলাল্লা-হিল কাযিবা ওয়া হুওয়া ইউদ-আইলাল ইসলাম; ওয়াল্লা-হু লা-ইয়াহদিল কওমাজ জোয়া-লিমীন।

৬১.৮। ইউরীদূনা লিই উতফিউ নূরাল্লা-হি বিআফ্ওয়া-হিহিম ওয়াল্লাহু মুতিম্মু নূরিহী ওয়ালাও কারিহাল কা-ফিরূন।

৬১.৯। হুওয়াল্লাযী আরছালা রাসূলাহূ বিল হুদা ওয়া-দীনিল হাক্কি লিই-উজহিরাহূ আলাদ্দীনি কুল্লিহী ওয়ালাও কারিহাল মুশরিকূন।

৬১.১০। ইয়া আইয়্যুহাল্লাযীনা আ-মানূ হাল আদুল্লুকুম আলা- তিজ্বা-রাতিন তুনজীকুম মিন আযা-বিন আলীম।

৬১.১১। তুমিনূনা বিল্লা-হি ওয়া রাসূলিহী ওয়া তুজা-হিদূনা ফী ছাবীলিল্লা-হি বিআমওয়া-লিকুম ওয়া আনফুসিকুম; যা-লিকুম খাইরুল্লাকুম ইন কুনতুম তা’লামূন।

৬১.১২। ইয়াগফির লাকুম যুনূবাকুম ওয়া ইউদখিলকুম জান্না-তিন তাজরী মিন তাহহিতাল আনহারু ওয়া মাছা-কিনা তাইয়িবাতান ফী জান্না-তি আদনিন; যা-লিকাল ফাওযুল ‘আজীম।

৬১.১৩। উখরা-তুহিব্বূনাহা-নাছরুম মিনাল্লা-হি ওয়াফাতহুন কারীব; ওয়াবাশশিরিল মুমিনীন।

৬১.১৪। ইয়া আইয়ুহাল্লিযীনা আ-মানূ কূনূ আনছা-রাল্লা-হি কামা-কা-লা ‘ঈসাবনু মারইয়ামা লিল হাওয়া-বিয়্যীনা মান আনছা-রী ইলাল্লা-হি; কা-লাল হাওয়া-রিই উনা নাহনু আনছা-রুল্লা-হি ফাআমানাত্তাইফাতুম মিম বানী ইস্রা-ঈলা ওয়া কাফারাত তাইফাতুন ফাআই ইয়াদনাল্লিযীনা আ-মানূ আলা-আদুও বিহিম ফাআছাবাহূ জা-হিরীন।

সূরা মুলক (বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম)

৬৭. তাবা-রা-কাল্লাজি বিয়া-দিহিল মূলকু ওয়া-হুয়া আলা- কুল্লি শাইয়িন কাদির।

৬৭.২। আল্লাজি খালাকাল মাওতা ওয়াল হায়াতা লিইয়াবলু ওয়াকুম আই-উকুম আহছানু আমালা ওয়া হুওয়াল আজিজুল গাফুর।

৬৭.৩। আল্লাজি খালাকা ছাব‘আ ছামা ওয়াতিন তিবাকা মাতারা-ফি খালকির রাহমানি মিন তাফাউত ফারজি‘ইল বাসারা হাল তারা-মিন ফুতুর।

৬৭.৪। ছুম্মার জি’ইল বাসারা কাররা-তাইনি ইয়ান-কালিব ইলাই-কাল বাসারু খা-ছিআওঁ ওয়া হুয়া হাসির।

৬৭.৫। ওয়া লাকাদ জা ইয়ান্নাছ সামা আদ্দুনইয়া- বিমাসা-বিহা ওয়াযা আলনা- হা-রু জুমাল লিশ-শায়াতিনি ওয়া আ’তাদনা- লাহুম আযা- বাছছাঈর।

৬৭.৬। ওয়া লিল্লা-জিনা কাফারু-বি রাব্বিহিম আযা- বু-যাহান্নাম, ওয়া-বিছাল মাসির।

৬৭.৭। ইজা-উলকু-ফিহা- ছামি’উ লাহা- শাহি-কাওঁ ওয়াহিয়া তাফুর।

৬৭.৮। তাকা-দু তামাইয়াজু-মিনাল গাইজ, কুল্লামা-উলকিয়া ফিহা-ফাওজুন ছাআলাহুম খাজানাতুহা-আলাম ইয়াতিকুম নাজির।

৬৭.৯। কা-লু-বালা-কাদ যাআনা-নাজিরুন ফাকাজ-যাবনা-ওয়া কুলনা-মানাজ যালাল্লা-হু মিন শাইয়িন ইন আনতুম ইল্লা-ফি দালা-লিন কাবির।

৬৭.০। ওয়া-কা-লু-লাও কুন্না- নাছমা’উ আও না কিলুমা- কুন্না-ফি-আসহা-বিছ ছা’ঈর।

৬৭.১। ফা’তারাফু-বিজাম-বিহিম ফাছুহ-কললিআসহা-বিছ ছা’ঈর।

৬৭.২। ইন্নাল্লাজিনা ইয়াখশাওনা রাব্বাহুম বিলগাইবি লাহুম মাগফিরাতিউ ওয়া আজরুন কাবির।

৬৭.৩। ওয়া আছিররু-কাওলাকুম আবিজ-হারুবিহি ইন্নাহু’আলিমুম বিজা-তিস সুদুর।

৬৭.৪। আলা- ইয়া’লামু-মান খালাক, ওয়া হুওয়াল্লা তিফুল খাবির।

৬৭.৫। হুওয়াল্লাজি যা’আলা লাকুমুল আরদা যালুলান ফামশু-ফি মানা-কিবিহা- ওয়া কুলু-মির রিজকিহি ওয়া ইলাইহিন নুশুর।

৬৭.৬। আ-আমিনতুম মান ফিছছামাই আইঁ ইয়াখ-ছিফা বিকুমুল আরদা ফাইযা- হিয়া তামুর।

৬৭.৭। আম আমিন-তুম মান ফিছছামাই আইঁ ইউরছিলা ‘আলাইকুম হা-সিবান ফাছা-তা’লামুনা কাইফা নাজির।

৬৭.৮। ওয়া লাকাদ কাজ-যাবাল্লাজিনা মিন কাবলিহিম ফাকাইফা কা-না নাকির।

৬৭.৯। আওয়ালাম ইয়ারাও ইলাত-তাইরি ফাওকাহুম সাফফা-তিওঁ ওয়া ইয়াকবিদুন। মাইউমছি কুহুন্না ইল্লার-রাহমা-নু ইন্নাহু বিকুল্লি শাইয়িম বাসির।

৬৭.২০। আম্মান হা-যাল্লাজি হুওয়া জুনদুল্লাকুম ইয়ানসুরুকুম মিন দুনির-রাহমা-ন ইনিল কাফিরুনা ইল্লা- ফি গুরুর।

৬৭.২১। আম্মান হা-যাল্লাজি ইয়ার-জুকুকুম ইন আমছাকা রিজকাহু বাল্লাজজুফি ‘উতুও-বি ওয়া নুফুর।

৬৭.২২। আ-ফা-মাইঁ ইয়ামশি মুকিব্বান ‘আলা- ওয়াজহিহি আহদা আম্মাইঁ ইয়ামশি ছাবি ইয়ান ‘আলা-সিরা-তিম মুছতাকিম।

৬৭.২৩। কুল হুওয়াল্লাজি-আনশাআকুম ওয়া যা‘আলা লাকুমুছ-ছাম‘আ ওয়াল আবসা-রা ওয়াল আফইদা কালিলাম মা-তাশকুরুন।

৬৭.২৪। কুল হুওয়াল্লা-জি যারাআকুম ফিল আরদি-ওয়া ইলাইহি তুহশারুন।

৬৭.২৫। ওয়া-ইয়া-কুলুনা মাতা-হা-যাল ওয়া’দু- ইন কুনতুম সা-দিকিন।

৬৭.২৬। কুল ইন্নামাল ‘ইলমু’-ইনদাল্লা-হি ওয়া-ইন্নামা-আনা নাজিরুম মুবিন।

৬৭.২৭। ফালাম্মা-রা-আওহু জুলফাতান সিআত ঊজু-হুল্লাজিনা কাফারু-ওয়া কিলা হা-যাল্লাজি কুনতুম বিহি তাদ্দা’ঊন।

৬৭.২৮। কুল আরা-আইতুম ইন আহলাকা-নিয়াল্লা-হু ওয়া মাম্মা‘ইয়া আও রাহিমানা- ফামাইঁ ইউজিরুল কা-ফিরিনা মিন ‘আযা-বিন আলিম।

৬৭.২৯। কুল হুওয়ার-রাহমা-নু-আ-মান্না-বিহি ওয়া’আলাইহি তাওয়াক্কালনা-, ফাছাতা’লামুনা মান হুওয়া ফি দালা-লিম মুবিন।

৬৭.৩০। কুল আরা-আইতুম ইন আসবাহা মাউকুম গাওরান ফামাইঁ ইয়া’তিকুম বিমাইম মা’ঈন।

সূরা কাফিরুন

১০৯.১। কুল ইয়া আইয়ুহাল কা-ফিরূন।

১০৯.২। লা আবুদুমা-তাবুদূন।

১০৯.৩। ওয়ালাআনতুম আবিদূনা মা-আবুদ।

১০৯.৪। ওয়ালাআনা আ-বিদুম মা-আবাত্তুম

১০৯.৫। ওয়ালা আনতুম আ-বিদূনা মা-আবুদ।

১০৯.৬। লাকুম দীনুকুম ওয়ালিয়া দীন।

সুরা ইখলাস, ফালাক্ব ও সুরা নাস, প্রত্যেকটি ৩ বার করে

§  সূরা ইখলাস:

১১২.১। ক্বুল হু ওয়াল্লা-হু আহাদ।

১১২.২। আল্লা-হুস সামাদ।

১১২.৩। লাম ইয়ালিদ, ওয়ালাম ইউলাদ।

১১২.৪। ওয়ালাম ইয়াকুল্লাহু কুফুওয়ান আহাদ।

§  সূরা ফালাক্ব:

১১৩.১। কুল আঊযু বিরাব্বিল ফালাক।

১১৩.২। মিন শাররি মা-খালাক।

১১৩.৩। ওয়া মিন শাররি গা-ছিকিন ইযা-ওয়াকাব।

১১৩.৪। ওয়া মিন শাররিন নাফফা-ছা-তি ফিল ‘উকাদ।

১১৩.৫। ওয়া মিন শাররি হা-ছিদিন ইযা-হাছাদ।

§  সূরা নাস:

১১৪.১। কুল আঊযু বিরাব্বিন্না-ছ।

১১৪.২। মালিকিন্না-ছ।

১১৪.৩। ইলা-হিন্না-ছ।  

১১৪.৪। মিন শাররিল ওয়াছ ওয়া-ছিল খান্না-ছ।

১১৪.৫। আল্লাযী ইউ ওয়াছবিছু ফী সুদূরিন্নাছ-।

১১৪.৬। মিনাল জিন্নাতি ওয়ান্না-ছ।

(সুরা বাকারাঃ আয়াত-২৫৫)

২৫৫।  আল্লাহ ছাড়া অন্য কোনো উপাস্য নেই, তিনি জীবিত, সবকিছুর ধারক। তাঁকে তন্দ্রাও স্পর্শ করতে পারে না এবং নিদ্রাও নয়। আসমান ও জমিনে যা কিছু রয়েছে, সবই তাঁর। কে আছ এমন যে সুপারিশ করবে তাঁর কাছে তাঁর অনুমতি ছাড়া? দৃষ্টির সামনে কিংবা পেছনে যা কিছু রয়েছে, সে সবই তিনি জানেন। তাঁর জ্ঞানসীমা থেকে তারা কোনো কিছুকেই পরিবেষ্টিত করতে পারে না, কিন্তু যতটুকু তিনি ইচ্ছা করেন। তাঁর কুরসি (সিংহাসন) সমস্ত আসমান ও জমিনকে পরিবেষ্টিত করে আছে। আর সেগুলোকে ধারণ করা তাঁর পক্ষে কঠিন নয়। তিনিই সর্বোচ্চ এবং সর্বাপেক্ষা মহান।

সুরা বাকারার শেষ দুই আয়াত

২৮৫। রসুল তার কাছে তার রবের পক্ষ থেকে নাজিলকৃত বিষয়ের ওপর ইমান এনেছে, আর মুমিনগণও। প্রত্যেকে ইমান এনেছে আল্লাহর ওপর, তার ফেরেশতাকুল, কিতাবসমূহ ও তার রসুলগণের ওপর, আমরা তার রসুলগণের মধ্যে তারতম্য করি না। আর তারা বলে, আমরা শুনলাম এবং মানলাম। হে আমাদের রব, আমরা আপনারই কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করি, আর আপনার দিকেই (আমাদের) প্রত্যাবর্তনস্থল। আল্লাহ কোনো ব্যক্তিকে তার সামর্থ্যের বাইরে দায়িত্ব দেন না। সে যা ভালো করেছে তার সওয়াব পাবে এবং মন্দ কর্মের জন্য সে নিজেই নিগ্রহ ভোগ করবে। হে আমাদের রব, আমরা যদি ভুলে যাই, অথবা ভুল করি তাহলে আপনি আমাদেরকে পাকড়াও করবেন না। ২৮৬। হে আমাদের রব, আমাদের ওপর বোঝা চাপিয়ে দেবেন না, যেমন আমাদের পূর্ববর্তীদের ওপর চাপিয়ে দিয়েছেন। হে আমাদের রব, আপনি আমাদের এমন কিছু বহন করাবেন না, যার সামর্থ্য আমাদের নেই। আর আপনি আমাদের মার্জনা করুন এবং আমাদের ক্ষমা করুন, আর আমাদের ওপর দয়া করুন। আপনি আমাদের অভিভাবক। অতএব আপনি কাফির সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে আমাদেরকে সাহায্য করুন।

সুরা হাশর, আয়াত:২২- ২৪

অর্থ: তিনিই আল্লাহ তা'আলা, যিনি ব্যতিত কোনো উপাস্য নেই; তিনি দৃশ্য ও অদৃশ্যকে জানেন, তিনি পরম দয়ালু, অসীম দাতা। তিনিই আল্লাহ, তিনি ব্যতিত কোনো উপাস্য নেই। তিনিই একমাত্র মালিক, পবিত্র, শান্তি ও নিরাপত্তাদাতা, আশ্রয়দাতা, পরাক্রান্ত, প্রতাপান্বিত, মাহাত্মশীল। তারা যাকে অংশীদার করে আল্লাহ তা' আলা তা থেকে পবিত্র। তিনিই আল্লাহ তাআলা, স্রষ্টা, উদ্ভাবক, রূপদাতা, উত্তম নামগুলো তাঁরই। নভোমণ্ডল ও ভূমণ্ডলে যা কিছু আছে, সবই তাঁর পবিত্রতা ঘোষণা করে। তিনি পরাক্রান্ত প্রজ্ঞাময়।

সুরা আস সফ:

৬১.১ আসমানসমূহে যা কিছু আছে ও যমীনে যা কিছু আছে, সবই আল্লাহর তাসবীহ পাঠ করছে। আর তিনি মহাপরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাময়।  

৬১.২ হে ঈমানদারগণ, তোমরা তা কেন বল, যা তোমরা কর না।  

৬১.৩ তোমরা যা কর না, তা বলা আল্লাহর নিকট বড়ই ক্রোধের বিষয়।

৬১.৪ নিশ্চয় আল্লাহ তাদেরকে ভালবাসেন, যারা তাঁর পথে সারিবদ্ধ হয়ে যুদ্ধ করে যেন তারা সীসা ঢালা প্রাচীর।

৬১.৫ আর মূসা যখন তার সম্প্রদায়কে বলেছিল, ‘হে আমার সম্প্রদায়, তোমরা আমাকে কেন কষ্ট দিচ্ছ, অথচ তোমরা নিশ্চয় জান যে, আমি অবশ্যই তোমাদের নিকট আল্লাহর রাসূল’। অতঃপর তারা যখন বাঁকাপথ অবলম্বন করল, তখন আল্লাহ তাদের হৃদয়গুলোকে বাঁকা করে দিলেন। আর আল্লাহ পাপাচারী সম্প্রদায়কে হিদায়াত করেন না।

৬১.৬ আর যখন মারইয়াম পুত্র ঈসা বলেছিল, ‘হে বনি ইসরাঈল, নিশ্চয় আমি তোমাদের নিকট আল্লাহর রাসূল। আমার পূর্ববর্তী তাওরাতের সত্যায়নকারী এবং একজন রাসূলের সুসংবাদদাতা যিনি আমার পরে আসবেন, যার নাম আহমদ’। অতঃপর সে যখন সুস্পষ্ট নিদর্শনসমূহ নিয়ে আগমন করল, তখন তারা বলল, ‘এটাতো স্পষ্ট যাদু ।

৬১.৭ সেই ব্যক্তির চেয়ে অধিক যালিম আর কে? যে আল্লাহ সম্পর্কে মিথ্যা রচনা করে, অথচ তাকে ইসলামের দিকে আহবান করা হয়। আর আল্লাহ যালিম সম্প্রদায়কে হিদায়াত করেন না।

৬১.৮ তারা তাদের মুখের ফুৎকারে আল্লাহর নূরকে নিভিয়ে দিতে চায়, কিন্তু আল্লাহ তাঁর নূরকে পূর্ণতাদানকারী। যদিও কাফিররা তা অপছন্দ করে।

৬১.৯ তিনিই তাঁর রাসূলকে হিদায়াত ও সত্য দ্বীন দিয়ে প্রেরণ করেছেন, যাতে তিনি সকল দ্বীনের উপর তা বিজয়ী করে দেন। যদিও মুশরিকরা তা অপছন্দ করে।

৬১.১০ হে ঈমানদারগণ, আমি কি তোমাদেরকে এমন এক ব্যবসায়ের সন্ধান দেব, যা তোমাদেরকে যন্ত্রনাদায়ক আযাব থেকে রক্ষা করবে?

৬১.১১ তোমরা আল্লাহর প্রতি ও তাঁর রাসূলের প্রতি ঈমান আনবে এবং তোমরা তোমাদের ধন-সম্পদ ও জীবন দিয়ে আল্লাহর পথে জিহাদ করবে। এটাই তোমাদের জন্য কল্যাণকর, যদি তোমরা জানতে।

৬১.১২ তিনি তোমাদের জন্য তোমাদের পাপসমূহ ক্ষমা করে দিবেন। আর তোমাদেরকে এমন জান্নাতসমূহে প্রবেশ করাবেন যার তলদেশে নহরসমূহ প্রবাহিত এবং চিরস্থায়ী জান্নাতসমূহে উত্তম আবাসগুলোতেও (প্রবেশ করবেন)। এটাই মহাসাফল্য।

৬১.১৩ এবং আরো একটি (অর্জন) যা তোমরা খুব পছন্দ কর। (অর্থাৎ) আল্লাহর পক্ষ থেকে সাহায্য ও নিকটবর্তী বিজয়। আর মুমিনদেরকে তুমি সুসংবাদ দাও।

৬১.১৪ হে মুমিনগণ, তোমরা আল্লাহর সাহায্যকারী হও। যেমন মারইয়াম পুত্র ঈসা হাওয়ারিদেরকে বলেছিল, আল্লাহর পথে কারা আমার সাহায্যকারী হবে? হাওয়ারিগণ বলল, আমরাই আল্লাহর সাহায্যকারী। তারপর বনি ঈসরাইলের মধ্য থেকে একদল ঈমান আনল এবং অপর এক দল প্রত্যাখ্যান করল। অতঃপর যারা ঈমান আনল আমি তাদেরকে তাদের শত্রুবাহিনীর ওপর শক্তিশালী করলাম। ফলে তারা বিজয়ী হল।

সূরা মুলক:

অর্থ:- (১) বরকতময় তিনি যার হাতে সর্বময় কর্তৃত। আর তিনি সব কিছুর ওপর সর্বশক্তিমান। (২) যিনি মৃত্যু ও জীবন সৃষ্টি করেছেন যাতে তিনি তোমাদের পরিক্ষা করতে পারেন যে, কে তোমাদের মধ্যে আমলের দিক থেকে উত্তম। আর তিনি মহাপরাক্রমশালি, অতিশয় ক্ষমাশীল। (৩) যিনি সাত আসমান স্তরে স্তরে সৃষ্টি করেছেন। পরম করুণাময়ের সৃষ্টিতে তুমি কোনো অসামঞ্জস্য দেখতে পাবে না। তুমি আবার দৃষ্টি ফিরাও, কোনো ত্রুটি দেখতে পাও কি? (৪) অতঃপর তুমি দৃষ্টি ফিরাও একের পর এক, সেই দৃষ্টি অবনমিত ও ক্লান্ত হয়ে তোমার দিকে ফিরে আসবে। (৫) আমি নিকটবর্তী আসমানকে প্রদীপ দ্বারা সুশোভিত করেছি এবং সেগুলোকে শয়তানদের প্রতি নিক্ষেপের বস্তু বানিয়েছি। আর তাদের জন্য প্রস্তুত করে রেখেছি জ্বলন্ত আগুনের আজাব। (৬) আর যারা তাদের রবকে অস্বীকার করে, তাদের জন্য রয়েছে যাহান্নামের আজাব। আর কতই না নিকৃষ্ট সেই প্রত্যাবর্তনস্থল! (৭) যখন তাদের তাতে নিক্ষেপ করা হবে, তখন তারা তার বিকট শব্দ শুনতে পাবে। আর তা উথলিয়ে উঠবে। (৮) ক্রোধে তা ছিন্ন ভিন্ন হওয়ার উপক্রম হবে। যখনই তাতে কোনো দলকে নিক্ষেপ করা হবে, তখন তার প্রহরিরা তাদের জিজ্ঞাসা করবে, ‘তোমাদের নিকট কি কোনো সতর্ককারি আসেনি? (৯) তারা বলবে, ‘হ্যা, আমাদের নিকট সতর্ককারি এসেছিল। তখন আমরা (তাদের) মিথ্যাবাদী আখ্যায়িত করেছিলাম এবং বলেছিলাম, ‘আল্লাহ কিছুই নাজিল করেননি। তোমরা তো ঘোর বিভ্রান্তিতে রয়েছ। (১০) আর তারা বলবে, ‘যদি আমরা শুনতাম অথবা বুঝতাম, তাহলে আমরা জ্বলন্ত আগুনের অধিবাসিদের মধ্যে থাকতাম না। (১১) অতঃপর তারা তাদের অপরাধ স্বীকার করবে। অতএব, ধ্বংস জ্বলন্ত আগুনের অধিবাসিদের জন্য। (১২) নিশ্চয়ই যারা তাদের রবকে না দেখেই ভয় করে তাদের জন্য রয়েছে ক্ষমা ও বড় প্রতিদান। (১৩) আর তোমরা তোমাদের কথা গোপন করো অথবা তা প্রকাশ করো, নিশ্চয়ই তিনি অন্তরসমূহে যা আছে সে বিষয়ে সম্যক অবগত। (১৪) যিনি সৃষ্টি করেছেন, তিনি কি যানেন না? অথচ তিনি অতি সূক্ষ্মদর্শী, পূর্ণ অবহিত। (১৫) তিনিই তো তোমাদের জন্য জমিনকে সুগম করে দিয়েছেন, কাজেই তোমরা এর পথে-প্রান্তরে বিচরণ কর এবং তাঁর রিজিক থেকে তোমরা আহার করো। আর তাঁর নিকটই পুনরুত্থান। (১৬) যিনি আসমানে আছেন, তিনি তোমাদেরসহ জমিন ধসিয়ে দেওয়া থেকে কি তোমরা নিরাপদ হয়ে গেছ, অতঃপর আকস্মিকভাবে তা থর থর করে কাঁপতে থাকবে। (১৭) যিনি আসমানে আছেন, তিনি তোমাদের ওপর পাথর নিক্ষেপকারি ঝোড়ো হাওয়া পাঠানো থেকে তোমরা কি নিরাপদ হয়ে গেছ, তখন তোমরা যানতে পারবে কেমন ছিল আমার সতর্কবাণী? (১৮) আর অবশ্যই তাদের পূর্ববর্তীরাও অস্বীকার করেছিল। ফলে কেমন ছিল আমার প্রত্যাখ্যান (এর শাস্তি)? (১৯) তারা কি লক্ষ্য করেনি তাদের উপরস্থ পাখিদের প্রতি, যারা ডানা বিস্তার করে ও গুটিয়ে নেয়? পরম করুণাময় ছাড়া অন্য কেউ এদের স্থির রাখে না। নিশ্চয়ই তিনি সব কিছুর সম্যক দ্রষ্টা। (২০) পরম করুণাময় ছাড়া তোমাদের কি আর কোনো সৈন্য আছে, যারা তোমাদের সাহায্য করবে? কাফিররা শুধু তো ধোঁকায় নিপতিত। (২১) অথবা এমন কে আছে, যে তোমাদের রিজিক দান করবে যদি আল্লাহ তাঁর রিজিক বন্ধ করে দেন? বরং তারা অহমিকা ও অনীহায় নিমজ্জিত হয়ে আছে। (২২) যে ব্যক্তি উপুড় হয়ে মুখের ওপর ভর দিয়ে চলে সে কি অধিক হেদায়াতপ্রাপ্ত না কি সেই ব্যক্তি যে সোজা হয়ে সরল পথে চলে? (২৩) বলো, ‘তিনিই তোমাদের সৃষ্টি করেছেন এবং তোমাদের জন্য শ্রবণ ও দৃষ্টিশক্তি এবং অন্তকরণসমুহ দিয়েছেন। তোমরা খুব অল্পই শোকর করো। (২৪) বলো, ‘তিনিই তোমাদের জমিনে সৃষ্টি করেছেন এবং তাঁর কাছেই তোমাদের সমবেত করা হবে। (২৫) আর তারা বলে, ‘সে ওয়াদা কখন বাস্তবায়িত হবে, যদি তোমরা সত্যবাদী হও। (২৬) বলো, ‘এ বিষয়ের জ্ঞান আল্লাহরই নিকট। আর আমি তো স্পষ্ট সতর্ককারী মাত্র। (২৭) অতঃপর তারা যখন তা আসন্ন দেখতে পাবে, তখন কাফিরদের চেহারা মলিন হয়ে যাবে এবং বলা হবে, ‘এটাই হলো তা, যা তোমরা দাবি করছিলে। (২৮) বলো, ‘তোমরা ভেবে দেখেছ কি’? যদি আল্লাহ আমাকে এবং আমার সঙ্গে যারা আছে, তাদের ধ্বংস করে দেন অথবা আমাদের প্রতি দয়া করেন, তাহলে কাফিরদের যন্ত্রণাদায়ক থেকে কে রক্ষা করবে? (২৯) বলো, ‘তিনিই পরম করুণাময়। আমরা তাঁর প্রতি ইমান এনেছি এবং তাঁর ওপর তাওয়াক্কুল করেছি। কাজেই তোমরা অচিরেই যানতে পারবে কে স্পষ্ট বিভ্রান্তিতে রয়েছে? (৩০) বলো, ‘তোমরা ভেবে দেখেছ কী, যদি তোমাদের পানি ভূগর্ভে চলে যায়, তাহলে কে তোমাদের বহমান পানি এনে দিবে?

সূরা কাফিরুন:  বলুন, হে কাফের দল! আমি তার উপাসনা করি না, যার উপাসনা তোমরা কর। তোমরাও তাঁর উপাসক নও, যাঁর উপাসনা আমি করি। আমি তার উপাসক হ্‌ব না, যার উপাসনা তোমরা কর। আর তোমরাও তাঁর উপাসক নও, যাঁর উপাসনা আমি করি। তোমাদের ধর্ম তোমাদের এবং আমার ধর্ম আমার (কাছে প্রিয়)।

সূরা ইখলাসঃ বলুন, তিনি আল্লাহ একক। আল্লাহ ভরসাস্থল। তিনি জনক নন এবং জাতকও নন। আর তাঁর সমকক্ষ কেউই নেই।

সূরা ফালাক্ব: বলুন, আমি আশ্রয় প্রার্থনা করছি ঊষার প্রভুর নিকট। তিনি যা সৃষ্টি করেছেন তার অনিষ্ট হতে। এবং রাতের অনিষ্ট হতে যখন তা গভীর অন্ধকারে আচ্ছন্ন হয়। এবং গ্রন্থিতে ফুত্কারিণী (যাদুকরী)দের অনিষ্ট হতে। এবং হিংসুকের অনিষ্ট হতে যখন সে হিংসা করে।

সূরা নাস: অর্থ:- বলুন, আমি আশ্রয় প্রার্থনা করছি, মানুষের প্রতিপালক, মানুষের অধীশ্বর, মানুষের উপাস্যের কাছে- তার কুমন্ত্রণার অনিষ্ট হতে, যে সুযোগমত আসে ও (কুমন্ত্রণা দিয়ে) সরে পড়ে। যে কুমন্ত্রণা দেয় মানুষের হৃদয়ে, জিন ও মানুষের মধ্য হতে।

No comments