জান্নাতে নবীজির সান্নিধ্য লাভের তিন আমল
জান্নাতে নবীজির সান্নিধ্য প্রতিটি মুমিনের একান্ত আকাঙ্ক্ষা। এ আকাঙ্ক্ষা পূরণে কিছু আমলের কথা বলা হয়েছে হাদিস শরিফে। যেসব আমলে জান্নাতে মুমিন ব্যক্তি নবীজির সান্নিধ্য লাভ করবেন।

জান্নাতে নবীজির সান্নিধ্য লাভের তিনটি আমল উল্লেখ করা হলো --
বেশি বেশি দরুদ পাঠ করা
হজরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) বর্ণনা করেন, নবীজি সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, শুনে রাখো, যে আমার ওপর বেশি পরিমাণে দরুদ পাঠ করবে নিশ্চয় কেয়ামতের দিন সে আমার সর্বাধিক নৈকট্যপ্রাপ্ত হবে। (মুসান্নাফে ইবনে আবি শায়বা: ৩২৪৪৭)
বেশি বেশি সেজদা করা
হজরত রাবিআহ ইবনে কাব (রা.) বলেন, আমি রসুলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সঙ্গে রাতযাপন করতাম। একদিন আমি নবীজির অজু ও ইস্তিঞ্জা করার জন্য পানি আনলাম। তখন তিনি আমাকে বললেন, তোমার কিছু চাওয়ার থাকলে চাইতে পারো। তখন আমি জিজ্ঞেস করলাম, হে আল্লাহর রসুল! আমি আপনার সঙ্গে জান্নাতে থাকতে চাই।
রসুলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ওটা ছাড়া আর কিছু চাও কি? আমি বললাম, এটাই চাই। রসুলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, তাহলে বেশি বেশি সেজদার দ্বারা তুমি এ ব্যাপারে আমাকে সাহায্য করো। (মুসলিম: ৪৮৯)
নবীজিকে ভালোবাসা
হজরত আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে আছে, এক ব্যক্তি নবীজি সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে জিজ্ঞাসা করল, কেয়ামত কখন হবে? তিনি বলেন, তুমি কেয়ামতের জন্য কী জোগাড় করেছ? সে বলল, কোনোকিছু জোগাড় করতে পারিনি, তবে আমি আল্লাহ ও তার রসুলকে ভালোবাসি। তখন তিনি বলেন, তুমি তাদের সঙ্গেই থাকবে, যাদের তুমি ভালোবাসো।
আনাস (রা.) বলেন, নবীজি সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কথার দ্বারা আমরা এত আনন্দিত হয়েছি যে অন্য কোনো কথায় এত আনন্দিত হইনি। আনাস (রা.) বলেন, আমি নবীজি সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে ভালোবাসি এবং আবু বকর, ওমর (রা.)-কেও। আশা করি তাদের প্রতি আমার ভালোবাসার কারণে তাদের সঙ্গে জান্নাতে বসবাস করতে পারব, যদিও তাদের আমলের মতো আমল আমি করতে পারিনি। (মুসলিম: ২৬৩৯)
No comments