সাম্প্রতিক পোষ্ট

গুরুত্বপূর্ণ দোয়াসমূহ

গুরুত্বপূর্ণ দোয়াসমূহ

আযান শুনে

আল্লাহুম্মা রাব্বানা ইন্নাকা লা তুখলিফুল মি-আদ

-       পাঠকারীর জন্য কিয়ামতের দিন জান্নাত ওয়াজিব হয়ে যায়।

 

আল্লা-হুম্মা রাব্বা হা-জিহিদ দাওয়াতিত তা-ম্মাতি ওয়াস সালা-তিল কায়িমাতি আ-তি মুহাম্মাদালিল ওয়াসীলা ওয়াল ফাদীলাত ওয়াদ্দারাজাতার রাফী-আতা ওয়াব আসহু মাকা-মাম মাহমূদানিল্লাযী ওয়া আদতাহ। ইন্নাকা তুখলিফুল মি-আদ।  

হে আল্লাহ! এই পরিপূর্ণ আহ্বান এবং প্রতিষ্ঠিত সালাতের তুমিই প্রভু! মুহাম্মদ (স.)-কে অসিলা তথা জান্নাতের একটি স্তর এবং ফজিলত তথা সকল সৃষ্টির উপর অতিরিক্ত মর্যাদা দান করুন। আর তাঁকে মাকামে মাহমূদে (প্রশংসিত স্থানে) পৌঁছে দিন, যার প্রতিশ্রুতি আপনি তাঁকে দিয়েছেন। নিশ্চয়ই আপনি ওয়াদা খেলাফ করেন না। (বুখারি: ১/২৫২, নং ৬১৪; বুখারি:১/২২২, নং: ৫৮৯)

 

প্রত্যেক ওযুর পর (কালেমা শাহাদত)

আশহাদু আল্লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা-শারীকা লাহূ ওয়া আশহাদু আন্না মুহাম্মাদান আবদুহূ ওয়া রাসূলুহূ।

-     এতে জান্নাতের ৮টি দরজার যে কোন দরজা দিয়ে প্রবেশ করতে পারবেন।

 

প্রত্যেক ওযুর পর কালেমা শাহাদত পাঠ করার পর

সুবহানাকা আল্লা-হুম্মা ওয়া বিহামদিকা আশ-হাদু আল্লা-ইলাহা ইল্লা আন্তা আস্তাগফিরুকা ওয়া আতুবু ইলাইকা।

(হে আল্লাহ! আপনার প্রশংসাসহ পবিত্রতা ঘোষণা করছি, আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আপনি ছাড়া কোনো হক ইলাহ নাই, আমি পাওনার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করছি এবং আপনার নিকট তওবা করছি।)   

-    রাসূল (সাঃ) বলেছেন, যে ব্যক্তি ওযু করার পর এই দোয়াটি পড়বে তার জন্য একটি ক্ষমাপত্র সাদা পাতায়/পাতলা চামড়ায় লিপিবদ্ধ করা হয়। অতঃপর তার উপর মোহর মারা হয়। কিয়ামতের দিন পর্যন্ত সে মোহর অক্ষত অবস্থায় (ক্ষমার হুকুম বহাল) রাখা হবে। (সিলসিলাহ সহিহাহ ২৩৩৩)

 

রুকুর দোয়া

সুবহানা-যিল জাবারুতি ওয়াল মালাকুতি ওয়াল কিবরিয়ায়ি ওয়াল আজমাতি

ক্ষমতা, রাজ্য, বড়ত্ব, মহত্ব ও বিরাটত্বের মালিকের পবিত্রতা ঘোষণা করছি। (মিশকাতুল মাসাবিহ, হাদিস-৮৮২)

 

রুকু থেকে মাথা উঠিয়ে

সামি আল্লাহু লিমান হামিদাহ বলার পর আল্লাহুম্মা রব্বানা ওয়া লাকাল হামদ বলবে এবং তারপর বা তার সাথে হামদান কাছিরান ত্বায়্যিবান মুবারাকান ফিহ্ বলবে।

-       আল্লাহপাক ৩০ জন ফেরেশতা দ্বারা সওয়াব লেখার প্রতিযোগিতা করান।

 

সিজদায়ঃ রাসূল (সাঃ) সিজদার মধ্যে বলতেন –

আল্লাহুম্মাগফিরলি জামবি কুল্লাহু; দিক্কাহু ওয়াঝিল্লাহু ওয়া আউয়ালাহু ওয়া আখিরাহু ওয়া আলা-নিয়্যাতাহু ওয়া সিররাহু।

হে আল্লাহ, আপনি ক্ষমা করুন আমার সকল পাপ, ছোট পাপ, বড় পাপ, প্রথম পাপ, শেষ পাপ, প্রকাশ্য পাপ, গোপন পাপ। (মুসলিমঃ ৪৮৩)

 

দুই সিজদার মাঝে

আল্লাহুম্মাগফিরলী, ওয়ারহামনি, ওয়াহদিনী, ওয়া জবুরনি, ওয়ারযুকনি, ওয়া আফিনি, ওয়ারফানী।

হে আল্লাহ! আপনি আমাকে ক্ষমা করুন, আমার প্রতি রহম করুন, আমাকে সঠিক পথে পরিচালিত করুন, আমার সমস্ত ক্ষয়-ক্ষতি পূরণ করে দিন, আমাকে নিরাপত্তা দান করুন, আমাকে রিজিক দান করুন এবং আমার মর্যাদা বৃদ্ধি করুন। (তিরমিজি, হাদিস: ২৮৪)

 

নামাজের শেষ বৈঠকে

আল্লাহুম্মা ইন্নি আসআলুকা বিআন্না লাকাল হামদ, লা ইলাহা ইল্লা আনতা আল মান্নানু বাদিউস সামাওয়াতি ওয়াল আরদ, ইয়া জাল জালালি ওয়াল ইকরাম, ইয়া হাইয়ু ইয়া কাইয়্যুম ইন্নি আসআলুকা।

 

নামাজের শেষ বৈঠকে তাশাহুদ শেষ করে

আল্লাহুম্মা ইন্নী আউযুবিকা মিন আযাবি জাহান্নাম, ওয়া মিন আযাবিল কাবর, ওয়া মিন ফিতনাতিল মাহ-ইয়া ওয়াল মামাতি ওয়া মিন শাররি ফিতনাতিল মাসীহিদ দাজ্জাল। 

হে আল্লাহ! আমি আপনার কাছে আশ্রয় চাই – জাহান্নামের আযাব থেকে, কবরের আযাব থেকে, জাগতিক জীবনের ও মৃত্যুর ফিতনা (পরীক্ষা ও বিপদ) থেকে এবং দাজ্জালের অমঙ্গল থেকে। (সহীহ মুসলিম-৫৮৮)

 

দোয়ায়ে মাসূরা: (নামাযের শেষ বৈঠকে তাশাহুদ এবং দরূদ এর পর এই দোয়া পড়ে সালাম ফেরাতে হয়)

আল্লাহুম্মা ইন্নি জলামতু নাফসি জুলমান কাছিরাও ওয়ালা ইয়াগফিরুজ জুনুবা ইল্লা আনতা ফাগফিরলি মাগফিরাতাম মিন ইনদিক ওয়ারহামনি ইন্নাকা আনতাল গাফুরুর রাহিম।

হে আল্লাহ্! আমি নিজের উপর অনেক জুলুম করেছি। আপনি ছাড়া সে অপরাধ ক্ষমা করার আর কেউ নেই। আপনার পক্ষ থেকে আমাকে তা ক্ষমা করে দিন এবং আমার উপর রহমত বর্ষণ করুন। নিশ্চয়ই আপনি ক্ষমাশীল ও দয়াবান।

 

দোয়া কুনুত (বিতর নামাজে)

আল্লাহুম্মাহ-দিনী ফীমান হাদাইতা; ওয়া আ-ফিনী ফীমান আ-ফাইতা; ওয়া তাওয়াল্লানী ফীমান তাওয়াল্লাইতা; ওয়া বারিক লী ফীমা আতাইতা; ওয়াকিনী শাররা মা কাদাইতা। ফাইন্নাকা তাকদী ওয়ালা ইউকদা আলাইকা। ইন্নাহু লা ইয়াযিল্লু মাও ওয়া লাইতা, ওয়ালা ইয়া ইজু মান আদাইতা তাবারকতা রব্বানা ওয়া তা আলাইতা।

হে আল্লাহ! আপনি যাদেরকে হেদায়াত করেছেন তাদের মধ্যে আমাকেও হেদায়াত দিন, আপনি যাদেরকে নিরাপত্তা প্রদান করেছেন তাদের মধ্যে আমাকেও নিরাপত্তা দিন, আপনি যাদের অভিভাবকত্ব গ্রহণ করেছেন, তাদের মধ্যে আমার অভিভাবকত্বও গ্রহণ করুন, আপনি আমাকে যা দিয়েছেন তাতে বরকত দিন। আপনি যা ফয়সালা করেছেন তার অকল্যাণ থেকে আমাকে রক্ষা করুন। কারণ আপনিই চুড়ান্ত ফয়সালা দেন, আপনার বিপরীতে ফয়সালা দেওয়া হয় না। আপনি যার সাথে বন্ধুত্ব করেছেন সে অবশ্যই অপমানিত হয় না এবং আপনি যার সাথে শত্রুতা করেছেন সে সম্মানিত হয় না। আপনি বরকতপূর্ণ হে আমাদের রব্ব! আর আপনি সুউচ্চ-সুমহান।

 

অথবা,

আল্লাহুম্মা ইন্না নাছতায়িনুকা ওয়া নাছতাগ ফিরুকা, ওয়ানু মিনুবিকা ওয়া নাতাওয়াক্কালু আলাইকা ওয়া নুছনি আলাইকাল খাইর। ওয়া নাসকুরুকা ওয়ালা নাক ফুরুকা, ওয়া নাখলাউ ওয়া নাতরুকু মাইয়্যাফজুরুকা। আল্লাহুম্মা ইয়্যা কানাবুদু ওয়া লাকা নুছল্লি, ওয়া নাসজুদু ওয়া ইলাইকা নাছ-আ, ওয়া নাহফিদু ওয়া নারজু রাহমাতাকা, ওয়া নাখশা আজাবাকা, ইন্না আজাবাকা বিল কুফফারি মুলহিক।

 

ইসমে আজম

আল্লাহুম্মা ইন্নী আস-আলুকা বিআন্না লাকাল হামদু, লা-ইলাহা ইল্লা আন্তাল মান্নান, বাদিউস সামাওয়াতি ওয়াল আরদ, ইয়া জালজালালি ওয়াল ইকরাম, ইয়া হাইয়্যু ইয়া কাইয়্যুম।

-       ইসমে আজম পড়ে দোয়া করলে সে দোয়া বিফলে যায় না।

 

মোনাজাতে

রাব্বানা আ-তিনা ফিদদুনইয়া হাসনাতাও ওয়াফিল আখিরাতি হাসনাতাও ওয়া কিনা আজাবান নার। (সুরা বাকারা-২০১) রাব্বানা জালামনা আনফুসানা ওয়া ইল্লাম তাগফিরলানা ওয়া তার-হামনা লানা কুনান্না মিনাল খাসেরীন। (সুরা আরাফ-২৩) রব্বানা তাকাববাল মিন্না ইন্নাকা আন্তাস সামিউল আলিম। ওয়াতুব আলায়না ইন্নাকা আনতাত্ তাওয়াবুর রহিম। (আল বাক্বারাহ: ১২৭-১২৮) রাব্বী, ইন্নী জালামতু নাফছী ফাগফিরলী। (সূরা কাসাস-১৬)

আমাদের প্রভু, আমাদের দুনিয়াতে যা কল্যাণকর, পরকালে যা কল্যাণকর তা দান করুন, আমাদের আগুনের আজাব থেকে রক্ষা করুন। (বাকারা-২০১) হে আল্লাহ! আমি আমরা নিজেদের ওপর অবিচার করেছি। আপনি যদি ক্ষমা ও দয়া না করেন, তবে আমরা ক্ষতিগ্রস্তদের অন্তর্ভুক্ত হব। (আরাফ- ২৩) হে আমাদের রব! আপনি আমাদের পক্ষ হতে এটি কবুল করুন। নিশ্চয় আপনি সর্বশ্রোতা ও সর্বজ্ঞ। আমাদের ক্ষমা করুন। নিশ্চয় আপনি অধিক তওবা কবুলকারী ও দয়াময়। (আল বাক্বারাহঃ ১২৭-১২৮) হে আমার রব, নিশ্চয় আমি আমার নফসের প্রতি যুলুম করেছি, সুতরাং আপনি আমাকে ক্ষমা করে দিন। (কাসাসঃ ২৮:১৬)

 

নামাজের সানা

সুবহানাকাল্লাহুম্মা ওয়াবিহামদিকা ওয়া তাবারাকাসমুকা ওয়া তা’আলা জাদ্দুকা ওয়া লা—ইলাহা গাইরুকা।

 

বাজারে প্রবেশ করে

লা ইলা-হা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শারীকা লাহু, লাহুল মুলকু ওয়া লাহুল হামদু, ইউহী ওয়াই উমিতু, ওয়া হুয়া হাইয়্যু লা ইয়ামুত, বিয়াদিহিল খাইরু, ওয়া হুয়া আলা কুল্লি শাইয়্যিন কাদীর।

আল্লাহ তায়ালা ছাড়া কোনো মাবুদ নেই, তিনি এক, তার কোনো অংশীদার নেই, সকল ক্ষমতা তারই, সমস্ত প্রশংসা তার জন্য, তিনিই জীবন ও মৃত্যু দেন, তিনি চিরঞ্জীব, কখনও মৃত্যুবরণ করবেন না, তার হাতেই মংগল এবং তিনিই সবসময় সকল কিছুর উপর ক্ষমতার অধিকারি। (তিরমিজিঃ ৩৪২৮-৩৮২৯)

-       ১০ লক্ষ পুণ্য হবে

-       ১০ লক্ষ পাপ মোচন হবে

-       ১০ লক্ষ মর্যাদা বৃদ্ধি হবে

-        জান্নাতে ১টি গৃহ নির্মাণ করা হবে।

 

ঘর থেকে শয়তান দূর করার আমল (প্রতিরাতে সূরা বাকারার শেষ ৩ আয়াত পাঠ)

২.২৮৪। লিল্লাহি মা-ফিস সামাওয়া-তি ওয়ামা ফিল আরদ, ওয়া ইন তুবদুমা ফী আনফুছিকুম আও তুখ্ফূহু ইউ হাসিব্কুম বিহিল্লাহু ফাইয়াগফিরু লি-মাইয়্যাশা-উ, ওয়া ইউ-আযযিবু মাইয়্যাশা-উ ওয়াল্লাহু আলা-কুল্লি শাইয়্যীন কাদীর।

২.২৮৫। আ-মানার রাসূলু বিমা উনঝিলা ইলাইহি মির রাব্বিহী ওয়াল মুমিনূনা কুল্লুন আ-মানা বিল্লাহি ওয়া মালা-ইকাতিহী ওয়া কুতুবিহী ওয়া রুসুলিহী লা-নুফাররিকু বাইনা আহাদিম মির রুসুলিহী, ওয়া কা-লূ সামি-না ওয়া আতা-না গুফরা-নাকা রাব্বানা ওয়া ইলাইকাল মাছীর।

২.২৮৬। লা-ইউকাল্লি ফুল্লা-হু নাফসান ইল্লা-উছ-আহা লাহা মা-কাসাবাত ওয়া আলাইহা মাকতাসাবাত, রাব্বানা লা-তু-আখিয্না ইন্নাসীনা-আও আখতানা রাব্বানা ওয়ালা তাহমিল আলাইনা ইছরান কামা হামালতাহূ আলাল্লাযীনা মিন কাবলিনা রাব্বানা ওয়ালা তুহাম্মিলনা মা-লা-তা কাতালানা বিহী ওয়াফু আন্না ওয়াগফিরলানা ওয়ারহামনা আনতা মাওলানা ফানসুরনা আলাল কাওমিল কাফিরীন।

 

৫টি সময়ে (রাতের শেষার্ধে, জোহরের পূর্ব মুহূর্তে, আযানের সময়, এক সালাতের পর অন্য সালাতের জন্য অপেক্ষা করার সময়, এবং এই যিকির করার সময়) আকাশের দরজা খোলা হয় এবং নিচের দোয়া কবুল করা হয়

আল্লাহু আকবর কাবীরা ওয়াল হামদুলিল্লাহি কাছীরা ওয়া সুবহানাল্লাহি বুকরাতাও ওয়া আসীলা।

আল্লাহ মহান, অতি মহান, আল্লাহর জন্য অনেক অনেক প্রশংসা এবং সকাল-সন্ধ্যা  পবিত্রতা বর্ণনা করি।

 

বাবা-মার জন্য দোয়া

-        রাব্বির হামহুমা কামা রাব্বায়ানি সাগীরা। (বনি ইসরাইলঃ ২৪)

-        রাব্বানাগ ফিরলী ওয়াল ওয়ালিদাইয়া ওয়ালিল মুমিনিনা ইয়াওমা ইয়াকুমুল হিছাব।

  

(দিনে ১ বার)

কুলিল্লাহুম্মা মালিকাল মুলকি তুতিল মুলকা মানতাশাউ ওয়া আনযিউল মুলকা মিম্মান তাশাউ, ওয়া তুয়িজ্জু মানতাশাউ ওয়া তুজিল্লু মানতাশাউ, বিইয়াদিকাল খাইর, ইন্নাকা আলা কুল্লি শাইয়্যিন কাদীর। তুলিজুল্লাইলা ফিন্নাহারি ওয়া তুলিজুন্নাহারা ফিল্লাইলি, ওয়া তুখরিজুল হাইয়্যা মিনাল মাইয়্যিতি ওয়া তুখরিজুল মাইয়্যিতা মিনাল হাইয়্যি ওয়া তারজুকু মানতাশাউ বিগাইরি হিসাব।

-  কারও উপর ঋণের বোঝা চেপে থাকলে এই দোয়া নিয়মিত পাঠে ইনশাআল্লাহ তার সম্পূর্ণ ঋণ পরিশোধ হয়ে যাবে।

 

রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, যে ব্যক্তি ৩ বার আল্লাহুম্মা ইন্নী আস আলুকাল জান্নাহ বলবে, জান্নাত নিজেই বলবে, হে আল্লাহ! এই ব্যক্তিকে জান্নাতে ঢুকতে দিন।

 

যতবার খুশি

o   লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ

o   লা-হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ

-       বাক্যটি জান্নাতের গুপ্তধন। (সুনানে ইবনে মাজাহ-৩৮২৬)

 

বৃষ্টির ফোটার মত রিজিকের দোয়া (প্রতিদিন ১০০ বার)

লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু আল মালিকুল হাক্কুল মুবিন, মুহাম্মাদুর রাসুলাল্লাহ, আস সাদিকুল ওয়াদিল আমিন।

 

কালেমা তাইয়িবা

লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ

-        যদি সাত আসমান এক পাল্লায় রাখা হয় আর এ কালিমা অন্য পাল্লায় রাখা হয়, তাহলে এ কালিমার পাল্লায় ভারি হবে। (হাদীস শরীফ)

-        এ কালিমার জিকির দ্বারা ঈমান সঞ্জীবিত হয়। (হিসনুল হাসীন)

-        এ কালিমা ইয়াকীন (অন্তরের পূর্ণ আস্থা)-এর সাথে পড়লে অতীত জীবনের সব গুনাহ মাফ হয়ে যায় এবং তার উপর জাহান্নাম হারাম হয়ে যায়। (সহীহ আল-বুখারী)

 

কালেমা শাহাদাত

আশহাদু আল্লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা-শারীকালাহু ওয়া আশহাদু আন্না মুহাম্মাদান আবদুহু ওয়া রাসুলুহু।

-        এ কালিমা ইয়াকীন (অন্তরের পূর্ণ আস্থা)-এর সাথে পড়লে তার উপর জাহান্নাম হারাম হয়ে যায়। (হিসনুল হাসীন)

 

কালেমা তাওহীদ

লা-ইলাহা ইল্লা আন্তা ওয়াহিদাল্লা ছা-নিয়ালাকা মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহি ইমামুল মুত্তাকী-না রাসূলু রাব্বিল আলামীন।

 

কালেমা তামজীদ

লা-ইলাহা ইল্লা আন্তা নূরাই ইয়াহদিয়াল্লাহু লিনুরুহী মাইয়্যাশা-উ মুহাম্মাদুর রাসুল্লাহি ইমামুল মুরসালীন।

 

যে দোয়ার নেকি ফেরেশতারা লিখে শেষ করতে পারে না

ইয়া রাব্বি লাকাল হামদ কামা ইয়ান বাগিলি জালালি ওয়াজহিকা ওয়া আজিমি সুলতানিকা। 

-        এই দোয়ার নেকি ফেরেশতারা লিখে শেষ করতে পারে না। তাই এটাকে আমলনামায় এভাবেই লিখে রাখে। এর নেকি আল্লাহ নিজে দিবেন। (ইবনে মাজাহ – ৩৮০১)

 

দুঃশ্চিন্তাগ্রস্থ হলে রাসূল (সা:) পড়তেন –

ইয়া হাইয়্যু, ইয়া কাইয়্যুম, বিরাহমাতিকা আস্তাগিছ।

হে চিরঞ্জীব! হে চিরস্থায়ী! আমি আপনার রহমত প্রার্থনা করছি। (মিশকাতঃ ২৪৫৪)

 

প্রয়োজন মেটানোর দোয়া

আল্লাহুম্মা ইন্নি আস-আলুকা ছিহ-হাতান ফী-ইমানিন। ওয়া ইমানান ফী হুসনী খুলুকিও ওয়া নাজাতাই ইয়াতবা-উহা ফালাহুন। ওয়া রাহমাতাম মিনকা ওয়া আফিয়াতান ওয়া মাগফিরাতান ওয়া মাগফিরাতাম মিনকা ওয়া রিদওয়া-নান।

-        দিনে-রাতে যেকোনও সময় সুযোগ পেলেই দোয়াটি পাঠ করে নিজের প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করে আল্লাহ তায়ালার দরবারে দোয়া প্রার্থনা করলে আল্লাহ তায়ালা তা পূরণ করে দেবেন, ইনশাআল্লাহ।

 

৭০ টি বিপদ থেকে নাজাত পাওয়ার দোয়া

লা-হাওলা ওয়ালা কুওয়্যাতা ইল্লা বিল্লাহি লা-মালজা-আ ওয়ালা মানজা-আমিনাল্লাহি ইল্লা ইলাইহী

-        রাসূল (সাঃ) বলেছেন, যে ব্যক্তি এই কালেমাটি প্রতিদিন ৭০ বার পড়বে, তার উপর আপতিত হতে পারে এমন ৭০ টি বিপদ হতে আল্লাহ তাকে রক্ষা করবেন। তারমধ্যে সবচেয়ে ছোট বিপদ হচ্ছে দারিদ্র (আবু দাউদ শরীফ)

 

ধন-সম্পদ বৃদ্ধি পাওয়ার দোয়া

আল্লাহুম্মা সাল্লি আলা মুহাম্মাদিন আবদিকা ওয়া রাসুলিকা ওয়া আলাল মুমিনীনা ওয়াল মুমিনাতি ওয়াল মুসলিমীনা ওয়াল মুসলিমাত।

 

ভাগ্য পরিবর্তনের দোয়া

আল্লাহুম্মা ইন্নী আস-আলুকা মিন ফাজা-আতিল খাইর।

 

যা হারিয়েছে, আল্লাহ তার চেয়ে বেশি দেবেন (ইনশা-আল্লাহ)

ইন্নালিলিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন, আল্লাহুম্মা আজিরনি ফি মুসিবাতি, ওয়া আখলিফ-লি খাইরাম মিনহা।

 

দৈনিক ১০০ বার

লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহ্দাহূ লা-শারীকালাহূ লাহুল মুলকু ওয়া লাহুল হামদু ওয়া হুয়া আলা কুল্লি শাইয়িন কাদীর। পড়লে

-       ১০ জন দাস মুক্ত করার ছওয়াব পাবে

-       ১০০ নেকী পাবে

-       ১০০ টি গুণাহ মাফ করা হবে

-       সারাদিন শয়তানের ক্ষতি থেকে রক্ষা করা হবে

-       কিয়ামতের দিন সবচেয়ে বেশি নেকীর অধিকারী হবে।

 

মুস্তাজাবুদ দাওয়াহ হওয়ার আমল (যে ব্যক্তির দোয়া কবুল হয়)

আল্লাহুম্মাগ-ফিরলী ওয়ালিল মুমিনীনা ওয়াল মুমিনাত ওয়াল মুসলিমীনা ওয়াল মুসলিমাত   

-       যে ব্যক্তি মুসলিম পুরুষ ও মুসলিম নারীর জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করে, মহান আল্লাহ প্রত্যেক মুসলিম পুরুষ ও মুসলিম নারীর বিপরীতে সে ব্যক্তির আমলনামায় একটি করে সওয়াব লিখে দেন। (তাবারানী ৩/২৩৪)

-       যে ব্যক্তি প্রতিদিন ২৫-২৬ বার সকল মুসলিম নর-নারীর জন্য ইস্তেগফার পাঠ করবে, মহান আল্লাহ তাকে মুস্তাজাবুদ দাওয়াহ (যার সব দোয়া কবুল হয়) বানিয়ে দিবেন।

রাব্বিগ-ফিরলী ওয়ালিল মুমিনীনা ওয়াল মুমিনাত

রাব্বানাগ-ফিরলি ওয়ালি ওয়ালি দাইয়্যা ওয়ালিল মুমিনীনা ইয়াওমা ইয়াকুমুল হিছাব।

আল্লাহুম্মাগ-ফিরলী ওয়ালি ওয়ালি দাইয়্যা ওয়ালিল মুমিনীনা ওয়াল মুমিনাত ওয়াল মুসলিমীনা ওয়াল মুসলিমাত আল আহ-ইয়ায়ী মিনহুম ওয়াল আমওয়াত। 

 

৪০ বছরের গুনাহ মাফ হওয়ার দোয়া

লা হাওলা ওয়া কুওয়্যাতা ইল্লা বিল্লাহ।

-       শাবান মাসের ১৪ তারিখ সূর্য ডুবার সময় দোয়াটি ৪০ বার পড়লে আল্লাহ ৪০ বছরের ছগীরা গুনাহ মাফ করে দিবেন।

 

দুনিয়ার কল্যান লাভের দোয়া

সুবহানাল্লাহি ওয়াল হামদুলিল্লাহি ওয়া লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াল্লাহু আকবার।

 

৪ কোটি নেকী লাভের দোয়া

(১০ বার) আশহাদু আল্লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা-শারিকালাহু ইলাহান ওয়াহিদান আহাদান সামাদান লাম ইয়াত্তাখিজু সাহিবাতান ওয়া লা-ওয়ালাদান ওয়ালাম ইয়া কুল্লাহু কুফুওয়ান আহাদ।

-       পাঠকারী ৪ কোটি সৎকাজের ছওয়াব লাভ করবে। (তিরমিযী, আহমাদ, তারবানী)

 

(১ বার) আশহাদু আল্লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা-শারিকালাহু আহাদুন সামাদুন লাম ইয়ালিদ ওয়ালাম ইউলাদ ওয়ালাম ইয়া কুল্লাহু কুফুওয়ান আহাদ।

-       আল্লাহ তায়ালা পাঠকারীর আমলনামায় ৪ কোটি নেকী লিখে দিবেন। (ইবনু আসাকির, জামিউল আহাদীস)

 

২০ লক্ষ নেকীর দোয়াঃ (১১ বার)

লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা-শারীকালাহু আহাদান ছামাদান লাম-ইয়ালিদ ওয়ালাম ইউলাদ, ওয়ালাম ইয়া কুল্লাহু কুফুওয়ান আহাদ। 

-       ১১ বার পাঠ করলে ২০ লক্ষ সৎকাজের ছওয়াব লাভ হবে। (তাবরানী, ইবনু আসাকির, কানযুল উম্মাল)

-       ৩ বার পাঠ করলে জান্নাতে ১০০টি প্রাসাদ নির্মাণ করা হবে। (নুযহাতুল মাজালিস)

 

১ লক্ষ ২৪ হাজার নেকীর দোয়াঃ (প্রত্যহ ১০০ বার)

সুবহানাল্লাহি ওয়া বিহামদিহী

আল্লাহ তা'আলার সপ্রশংস পবিত্রতা বর্ণনা করছি।

-       এটি ফেরেশতাদের তাসবীহ।

-       রাসুল সা. বলেন, যে ব্যক্তি দৈনিক ১০০ বার তাসবিহটি পাঠ করবে তাঁর পাপগুলো মুছে ফেলা হবে, যদিও তা সমুদ্রের ফেনারাশির সমান হয়ে থাকে। (বুখারি, হাদিস: ৬৪০৫)

-       এ তাসবীহ পাঠে এত অধিক নেকী লাভ হয় যে, হাশর ময়দানে কেউ তারমত নেকী হাজির করতে পারবে না - যে ব্যক্তি তার সমান ও তাসবীহ পড়েছে, সে ছাড়া।

-       প্রত্যহ ১০০ বার পাড়লে আমলনামায় ১ লক্ষ ২৪ হাজার নেকী লেখা হয়।

 

যে দোয়ার ছওয়াব ১ হাজার দিন লেখা হয়ঃ

জাযাল্লাহু আন্না মুহাম্মাদাম মা-হুওয়া আহলুহু।

-       দোয়াটি ১ বার পড়লে ৭০ জন ফেরেশতা ১০০০ দিন পর্যন্ত তার জন্য ছওয়াব লিখতে থাকে। 

 

১০০০ আয়াত পাঠের ছওয়াবঃ

সূরা তাকাসুর (কোরআনের ১০২ নম্বর সূরা। এর আয়াত সংখ্যা আট। এটি মক্কায় অবর্তীণ সূরা এবং সূরাটি কোরআনের ৩০তম পারায় অবস্থিত।) পাঠ করলে আল্লাহ পাক ১০০০ আয়াত পাঠ করার ছওয়াব দান করবেন। (তাফসীরে মাযহারী)

১০২.১। আল-হা কুমুত-তাকাছুর।

১০২.২। হাত্তা-ঝুরতুমুল মাকা-বির।

১০২.৩। কাল্লা-ছাউফা তা’লামুন।

১০২.৪। ছুম্মা কাল্লা-ছাউফা তা’লামুন।

১০২.৫। কাল্লা-লাও তা’লামুনা ইলমাল ইয়াকীন।

১০২.৬। লা-তারা উন্নাল জাহীম।

১০২.৭। ছুম্মা লাতারা-উন্নাহা-আইনাল ইয়াকীন।

১০২.৮। ছুম্মা লাতুছ আলুন্না ইয়াওমাইযিন আনিন্না’ঈম।

প্রাচুর্যের লালসা তোমাদেরকে গাফেল রাখে, এমনকি, তোমরা কবরস্থানে পৌছে যাও। এটা কখনও উচিত নয়। তোমরা সত্ত্বরই জেনে নেবে। অতঃপর এটা কখনও উচিত নয়। তোমরা সত্ত্বরই জেনে নেবে। কখনই নয়; যদি তোমরা নিশ্চিত জানতে। তোমরা অবশ্যই জাহান্নাম দেখবে, অতঃপর তোমরা তা অবশ্যই দেখবে চাক্ষুষ প্রত্যয়ে, এরপর অবশ্যই সে দিন তোমাদেরকে নিয়ামত সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হবে (যে, তোমরা তার কী হক আদায় করেছ?)

 

১০০ নফল হজ্ব এর ছওয়াব

সকাল-সন্ধ্যায় ১০০ বার করে সুবহানাল্লাহ পড়লে

-       মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীন ১০০ নফল হজ্বের ছওয়াব দান করবেন। (মেশকাত শরীফ)

 

গুণাহ মাফ চেয়ে তওবার দোয়া

আস্তাগফিরুল্লাহা রাব্বী মিন কুল্লি যানবিও ওয়া আতুবু ইলাইহি।

 

সাগরের ফেনা পরিমান গুনাহ মাফের ইস্তিগফার

আস্তাগফিরুল্লা-হাল্লাযী লা-ইলাহা ইল্লা হুওয়াল হাইয়্যুল কাইয়্যুম ওয়া আতুবু ইলাইহি।

 

যে দোয়ায় আল্লাহ পাক বান্দার গুনাহ ক্ষমা করে দেনঃ (প্রত্যহ দিনে বা রাতে অথবা সপ্তাহে কিংবা মাসে অন্তত ১ বার) 

লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াল্লাহু আকবার, লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা-শারীকালাহু, লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু লাহুল মুলকু ওয়া লাহুল হামদু, লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়া লা-হাওলা ওয়ালা কুওয়্যাতা ইল্লাবিল্লাহ।

 

দোয়া কবুলের দোয়া

নিচের ৫-টি কালেমার সাহায্যে দোয়া করলে, আল্লাহ তা-আলা সে দোয়া অবশ্যই কবুল করবেন –

-       লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা-শারীকা লাহু

-       লাহুল মুলকু ওয়া লাহুল হামদু

-       ওয়া হুয়া আলা-কুল্লি শাইয়িন কাদীর

-       লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু

-       ওয়া লা-হাওলা ওয়ালা কুওয়্যাতা ইল্লা বিল্লাহ

 

(১ বার) আল্লাহু আকবর কাবিরা, ওয়াল হামদুলিল্লাহি হামদান কাসিরান ওয়া সুবহানাল্লাহি বুকরাতাও ওয়াসিলান।

-       এই দোয়ার জন্য আসমানের দরজাগুলো খুলে দেয়া হয়। (মুসলিম, নাসায়ী, আবু দাউদ)

 

ইসমে আজম

(বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম)

আল্লাহুম্মা ইন্নী আস-আলুকা বিআন্নাকা আন্তাল্লাহু লা-ইলাহা ইল্লা আন্তাল আহাদুস সামাদুল্লাজি লাম ইয়ালিদ ওয়ালাম ইউলাদ, ওয়ালাম ইয়া কুল্লাহু কুফুওয়ান আহাদ। আল্লাহুম্মা ইন্নি আস-আলুকা বিআন্না লাকাল হামদু লা-ইলাহা ইল্লা আন্তাল হান্নানুল মান্নানু বাদিউস সামাওয়াতি ওয়াল আরদ, ইয়া জালজালালি ওয়াল ইকরাম, ইয়া হাইয়্যু ইয়া কাইয়্যুম আস-আলুকা ওয়া ইলাহুকুম ইলাহুও ওয়াহিদ লা-ইলাহা ইল্লা হুয়ার রাহমানুর রাহীম। আলীফ লাম মীম। আল্লাহু লা-ইলাহা ইল্লা হুওয়্যাল হাইয়্যুল কাইয়্যুম, লা-ইলাহা ইল্লা আন্তা সুবহানাকা ইন্নি কুন্তু মিনাজ জোয়ালিমীন। 

-       এই ইসমে আযম পাঠ করে আল্লাহ তায়ালার কাছে কোনও কিছু দোয়া করলে ইনশাআল্লাহ সেই দোয়া আল্লাহ কবুল করবেন।

-       প্রত্যেহ পাঠকারী ব্যক্তি ইহকালীন এবং পরকালীন মংগল লাভ করে।

-       বেশি বেশি পাঠকারী ব্যক্তিকে দুনিয়ার সবাই ভক্তি-শ্রদ্ধা করবে এবং তার মান-মর্যাদা শান-শওকত বৃদ্ধি পাবে।

 

ইবাদত কবুল হবার দোয়া

রাব্বানা তাকাব্বাল মিন্না ইন্নাকা আনতাছ ছামিউল আলীম।

 

গুনাহ গাছের পাতার মতো ঝরার ৪টি আমল

সুবহানাল্লাহ – আলহামদুলিল্লাহ - লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু - ওয়াল্লাহু আকবার

 

অন্যের মুক্ষাপেক্ষীতা থেকে মুক্ত থাকার দোয়া

মধ্যরাত বা রাতের দ্বিপ্রহরের পর ১০০ বার আর-রাফিয়ু পাঠ করলে, মহান আল্লাহ তাকে তার সৃষ্টির মধ্যে মনোনীত ও অর্থশালী করেন এবং অন্যের মুক্ষাপেক্ষীতা থেকে মুক্ত রাখেন।

 

দুনিয়া ও আখিরাতের সকল পেরেশানী হতে বাচার দোয়া

হাসবি আল্লাহু লা-ইলাহা ইল্লাহু আলাইহি তাওয়াক্কালতু ওয়াহুয়া রাব্বুল আরশিল আজিম।

আল্লাহই আমার জন্য যথেষ্ট, তিনি ব্যতীত আর কারো বন্দেগী নেই। আমি তাঁরই ভরসা করি এবং তিনিই মহান আরশের অধিপতি। (সুরা তাওবা: ১২৯)

 

রাজত্ব লাভের দোয়া

সোলায়মান (আ:) এর দোয়া-

রাব্বিগ ফিরলি ওয়া হাবলী মুলকান লা-ইয়ামবাগিলি আহাদিম মিম বাদী ইন্নাকা আনতাল ওয়াহহাব।

হে আমার পালনকর্তা! আমাকে মাফ করুন এবং আমাকে এমন সাম্রাজ্য দান করুন যা আমার পরে আর কেউ পেতে পারবে না। নিশ্চয়ই আপনি মহাদাতা।

 

আল্লাহর প্রিয় হবার দোয়া

রাব্বিগ ফিরলী ওয়াতুব আলাইয়্যা ইন্নাকা আনতাত-তাওয়াবুল গাফুর।

-       নিয়মিত পাঠকারী শিশুর ন্যায় নিষ্পাপ থাকে

-       নিয়মিত পাঠকারীকে আল্লাহ অত্যন্ত ভালবাসেন। 

অথবা,

(১০০ বার) দরূদ +

(১০০ বার) আ-মানতু বিল্লাহিল আলিয়্যিল আজীম, ওয়া তাওয়াক্কালতু আলাল হাইয়্যিল কাইয়্যুম +

(১০০ বার) দরূদ

-      পাঠকারীকে আল্লাহ তায়ালা প্রিয় বলে গ্রহণ করেন এবং সোহাগ করতে থাকেন।

 

মুছিবতের সময় পড়ার দোয়া

হাসবুনাল্লাহু ওয়ানি-মাল ওয়াকীল, নি-মাল মাওলা ওয়া নি-মান নাছীর। 

(সুরা আল ইমরান: ১৭৩ এবং সুরা আনফাল: ৪০; সুরা হজ: ৭৮)

আল্লাহ তাআলাই আমাদের জন্য যথেষ্ট, তিনিই হলেন উত্তম কর্মবিধায়ক; আল্লাহ তাআলাই হচ্ছে উত্তম অভিভাবক এবং উত্তম সাহায্যকারী।

কিয়ামতের বর্ণনা শুনে সাহাবারা ভীত হলে রাসুল (সা.) পড়তে বলেন -

হাসবুনাল্লাহু ওয়া নিমাল ওয়াকিল— আলাল্লাহি তাওয়াক্কালনা। (তিরমিজি: ২৪৩১)

মহান আল্লাহই আমাদের জন্য যথেষ্ট, তিনি কতই না উত্তম কর্মবিধানকারী। আমরা আল্লাহর ওপর ভরসা করলাম।

 

(১ বার) আউজু বিল্লাহীল আজীম ওয়া বি-ওয়াজ হিহিল কারীম। ওয়া সুলতানিহিল কাদীম মিনাশ-শায়তানির রাজীম।

- পাঠকের সংগে থাকা শয়তান আফসোস করে বলে “এ ব্যক্তি আমার থেকে নিরাপদ হয়ে গেল।“(বুসতানুল ওয়ায়েজিদ)

 

(১ বার) মাশাল্লাহ আল্লাহু লা-হাওলা ওয়ালা কুওয়্যাতা ইল্লা বিল্লাহি আশহাদু আন্না আল্লাহ আলা কুল্লি শাইয়্যিন কাদীর।

-       পাঠকারীকে ওইদিনের কল্যাণ দান করা হবে এবং তার সকল অকল্যান দূর করা হবে। (ইবনুস সুন্নী)

 

(১০ বার) আল্লাহুম্মা সাল্লি আলা সাইয়্যিদিনা মুহাম্মাদিন নাবিয়্যি আদাদা মান সাল্লা আলাইহী মিন খালকিকা। ওয়া সাল্লি আলা সাইয়্যিদিনা মুহাম্মাদিন নাবিয়্যিকামা ইয়ানুবাফিলানা আন নুসাল্লী আলাইহী। ওয়া সাল্লি আলা সাইয়্যিদিনা মুহাম্মাদিন নাবিয়্যি কামা আমারতানা আন নুসাল্লী আলাইহী।

-       পাঠকারীর জন্য যমীনবাসীর আমলের ন্যায় আমল (আসমানে) উঠানো হবে। (আদদুররুল মানছুর, জামিউল আহাদীস)

 

প্রতিদিন যে দোয়া পড়লে কবিরা গুণাহ মাফ হয়ে যায় –

আলহামদুলিল্লা-হিল্লাযি কাসানি হাযা ও রাযাকা নিয়াহু মিন গাইরি হাওলিন মিন্নি ওয়ালা কুওয়্যাতিন।

এ ছাড়াও নিয়মিত জুমা আদায় করা, সদকা করা, রোগ- শোক ও বিপদে ধৈর্য ধারণ করা, পায়ে হেঁটে মসজিদে যাওয়া, অন্যের অপরাধ ক্ষমা করে দেওয়া ইত্যাদি আমলের বিনিময়ে অতীতের সকল কবিরা গুনাহ ক্ষমা হয়।

 

১০ বার আল্লাহু আকবার + ১০ বার সুবহানাল্লাহ + ১০ বার আল্লাহুম্মাগ ফিরলী

-       আল্লাহ তায়ালা নিজে এর জবাব দেন এবং বলেন, “তোমাকে ক্ষমা করে দিলাম।“

 

জাহান্নাম থেকে বাচার জন্য

সুবহানাল্লাহি ওয়ালহামদুলিল্লাহি ওয়া লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াল্লাহু আকবার।

-       রাসূল (সাঃ) বলেছেন – জাহান্নাম থেকে বাচার জন্য ঢাল নিয়ে নাও। অর্থাৎ, এই ৪টি কালেমা নিয়মিত পড়ো। এই কালেমাগুলি রোজ কেয়ামতে ডান-বাম, আগ-পিছ, উপর-নিচ – সবদিক থেকে রক্ষা করার জন্য উপস্থিত হবে। এগুলি চিরস্থায়ী নেকী।

 

(৩ বার) শাহিদাল্লাহু আন্নাহু লা-ইলাহা ইল্লাহু-ওয়াল মালাইকাতু ওয়াওলুল ইলমি কলবিমাম বিল কিসতি, লা-ইলাহা ইল্লা হুয়াল আজিজুল হাকীম।

+

ওয়া আনা আলা জালিকা লামীনাশ-শাহিদীন

-        পাঠকারীর জন্য ৭০ হাজার ফেরেশতা সৃষ্টি করা হয় যারা কিয়ামত পর্যন্ত পাঠকারীর জন্য মাগফিরাত কামনা করতে থাকে।

-       ১ বার পাঠকারীর শরীরের এক-তৃতীয়াংশ জাহান্নামের জন্য হারাম হয়ে যাবে এবং ৩ বার পাঠকারীর সমস্ত শরীর জাহান্নামের জন্য হারাম হয়ে যাবে। (নুযহাতুল মাজালিস)

 

আল্লাহ পাকের সাথে ওয়াদা

আল্লাহুম্মা রাব্বাস-সামাওয়াতি ওয়াল আরদ আলিমাল গাইবি ওয়াশ শাহাদাতি ইন্নী আহাদু ইলাইকা ফী হাযিহিল হায়াতিদ দুনইয়া ইন্নী আশহাদু আল্লা ইলাহা ইল্লা আন্তা ওয়াহদাকা লা-শারীকা লাকা ওয়া আন্না মুহাম্মাদান আবদুকা ওয়া রাসূলুকা ফাইন্নাকা ইন তাকিলনী ইলা নাফসী তুকার-রিবনী মিনাশ-শাররি ওয়া তুবা-ইদনি মিনাল খাইরি ওয়া ইন্নী ইন আছিকু ইল্লা বিরাহমাতিকা ফাজ-আল্লি ইনদাকা আহদান তুওয়াফ-ফিনীহি ইয়াওমাল কিয়ামাতি ইন্নাকা লা-তুখলিফুল মি-আদ।

-       পাঠকারীকে আল্লাহ পাক নিজ দয়ায় বেহেশতে প্রবেশ করাবেন।

 

দুরূদে নারিয়া

Description: https://www.blogger.com/img/img-grey-rectangle.png

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম। আল্লাহুম্মা সাল্লি সালাতান কামিলাতান ওয়া সাল্লিম সালামান তাম্মান আলা সাইয়্যিদিনা মুহাম্মাদি-নিল্লাযী তানহাল্লু বিহীল উকাদু ওয়া তানফারিজু বিহীল কুরাবু। ওয়া তুকদা-বিহীল হাওয়ায়িজু ওয়া তুনালু বিহীর রাগায়িবু। ওয়া হুসনুল খওয়াতিমু ওয়া ইউস্তাস-কাল গামামু বিওয়াজ-হিহিল কারীম। ওয়া আলা আলিহী ওয়া আসহাবিহী ফী কুল্লি লাহমাতিও ওয়া নাফসিম বি আ’দাদি কুল্লি মালু মিল্লাকা।

-       প্রত্যেহ ফজর ও আসর নামাজের পর ১১ বার পাঠ করলে আল্লাহর মেহেরবাণীতে তার সর্বাধিক মংগল সাধিত হবে। 

-       বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে তাহাজ্জুদ নামাজের পর দরূদে নারিয়া ২৭ বার পড়ে দোয়া করলে আল্লাহ তায়ালা দোয়া কবুল করেন।

 

                                             (বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম)

সুবহানাল্লাহি আদাদা খালকিহী সুবহানাল্লাহি রিদা নাফসিহী সুবহানাল্লাহি জিনাতা আরশিহী। ওয়াল হামদুলিল্লাহী আদাদা খালকিহী আলহামদুলিল্লাহী রিদা নাফসিহী আলহামদুলিল্লাহী জিনাতা আরশিহী। ওয়া লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু আদাদা খালকিহী লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু রিদা নাফসিহী লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু জিনাতা আরশিহী। ওয়াল্লাহু আকবার, আদাদা খালকিহী আল্লাহু আকবার রিদা নাফসিহী আল্লাহু আকবার জিনাতা আরশিহী। ওয়া লা-হাওলা ওয়ালা কুওয়্যাতা ইল্লাবিল্লাহি রিদা নাফসিহী লা-হাওলা ওয়ালা কুওয়্যাতা ইল্লা বিল্লাহী জিনাতা আরশিহী।

-       তার জন্য সারা পৃথিবীতে যা আছে তা একত্রিত করার চেয়ে উত্তম হবে।

-       ফেরেশতাগণ ধারাবাহিকভাবে অনেকদিন যাবত এর ছওয়াব লিখতে থাকবেন কিন্তু লিখে শেষ করতে পারবেন না। (ইবনু ‘আসাকির, কানযুল ‘উম্মাল)

 

দোয়ায়ে ইবলিস

                                                (বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম)

সুবহানাল্লাহিল মালিকিল জাব্বার, সুবহানাল্লাহিল ওয়াহিদিল কাহহার, সুবহানাল্লাহিল আজিজীল গাফফার, সুবহানাল্লাহিল কারিমিছ ছাত্তার, সুবহানাল্লাহিল কারীমিল মুতায়ালি, সুবহানাল্লাহিল খালিকিল্লাইলি ওয়ান্নাহার, সুবহানাল্লাহিল্লাযী কানা লাম ইয়াযাল ওয়ালা ইয়াযালু ওয়া ইয়াকুনু ওয়া হুয়া শাদীদুল মুহালি, ইয়া আল্লাহু ইয়া আল্লাহু ইয়া আল্লাহু, ওয়াল হামদুলিল্লাহি ওয়া লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াল্লাহু আকবার, ওয়া লা-হাওলা ওয়া লা-কুওয়্যাতা ইল্লাবিল্লাহিল আলিয়্যিল আজীম, বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম, আমানতু বিল্লাহি ওয়া মালা-ইকাতিহী ওয়া কুতুবিহী ওয়া রুসুলিহী ওয়াল ইয়াওমিল আখিরি ওয়াল কাদরি খাইরিহী ওয়া শাররিহী মিনাল্লাহি তায়ালা ওয়াল বাছি-বাদাল মাওত। হাক্কু লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ।

-       ইবলিস শয়তান রাসূলে করীম (সাঃ) কে বলেছে – হে আল্লাহর রাসূল (সাঃ)! আমি লওহে মাহফুজে একত দোয়া লিখিত দেখেছি এবং এর ফজিলত ও বরকত লেখা দেখেছি যে কেউ এ দোয়া জীবনে একবার পাঠ করে, তার যত বড় গুনাহই হোক না কেন তা মাফ হয়ে সে পবিত্র হয়ে যাবে। 

 

                                                (বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম)

আল্লাহুম্মা ইয়া ইলাহাল বাশারি ওয়া ইয়া আজীমাল খাতারি ওয়া ইয়া ওয়াছিয়াল মাগফিরাতি ওয়া ইয়া আযীযাল মান্নি ওয়া ইয়া মালিকি ইয়াওমিদ্দীন। বিহাক্কি ইয়্যাকানাবুদু ওয়া ইয়্যাকানাস্তাঈন, বিরাহমাতিকা ইয়া আরহামার রাহিমীন। বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম। ইয়া ইলাহাল আলামীন, ওয়া ইয়া খাইরান নাছিরীন, ওয়া ইয়া গিয়াছাল মুস্তাগিছীন, বিরাহমাতিকা ইয়া আরহামার রাহিমীন।

-       এ দোয়া পাঠ করে শয়তান কেয়ামতের আগে ক্ষমা অর্জন করে বেহেশতে যাবার বাসনা পোষণ করে। কিন্তু সে জানে না যে কেয়ামতের ১০০ বছর আগে সে এই দোয়া ভুলে যাবে এবং জাহান্নাম্বাসী হবে।

 

খোদার নূর পরশমণি দোয়া

(বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম)

আল্লাহুম্মা ইয়া নুরু তানাওয়ারতা বিন নূরি ওয়ান নূরি ফী নূরিকা ইয়া নূরু, আল্লহুম্মা বারিক আলাইনা ওয়ারফা আন্না বালায়িনা ইয়া রাউফু। লাব্বাইকা ওয়ার হাম লাব্বাইকা ওয়া আজাম লাব্বাইকা ওয়া আকরাম লাব্বাইকা। ইন্নাল্লাহা ইয়াব-ইয়াসু মানফিল কুবুরি, আল্লাহুম্মার যুকনা খায়রাদ-দীনি মা-আল কারবি ওয়াল ইখ্লাছি ওয়াল ইসতিকামাতি বিলুতফিকা, ওয়া সাল্লাল্লাহু আলা খাইরি খালকিহী মুহাম্মাদিও ওয়া আলিহী ওয়া আসহাবিহী আজমাঈন। ওয়া সাল্লামা তাসলিমান কাসীরান কাসীরা বিরাহমাতিকা ইয়া আর-হামার রাহীমিন।

কোন ব্যক্তি যদি এ দোয়া জীবনে একবার পাঠ করে আথবা লেখার দর্শন লাভ করে অথবা অন্যের মুখে শুনে! এর বরকতে সে

-       বিভিন্ন পয়গাম্বরদের (হযরত নূহ, ইব্রাহীম, ইয়াকুব, মুসা ও ঈসা (আঃ) প্রমুখ নবীদের) আজীবন অর্জিত সওয়াবের সমপরিমান সওয়াব লাভ করবে।

-       প্রধান চার ফেরেশতা হযরত জিব্রাইল, মিকাইল, ইসাফিল এবং আজরাইল (আঃ) সহ সমস্ত ফেরেশতাদের সঞ্চিত সওয়াবের সমান সওয়াব তাকে দান করা হবে

-       হযরত ইউসুফ (আ:)-এর সঞ্চিত সওয়াবের পরিমান তাকে এবং তার পিতা-মাতাকে দান করা হবে।

-       এ দোয়া যে ঘরে লেখা থাকবে তার পার্শ্ববতী এক হাজার ঘর পর্যন্ত আল্লাহর বরকত আসতে থাকবে। উক্ত ঘর সমূহ আগুন থেকে নিরাপদে থাকবে

-       এই দোয়া পাঠকারী জান্নাতুল ফেরদাউসে হযরত মুহাম্মদ (স:)-এর পাশে প্রতিবেশী হিসেবে অবস্থান করবে।

 

১০০০ বছরের কাজা নামাজ আদায় হবার দোয়া 

(বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম)

আলহামদুলিল্লাহি আলা কুল্লি নিয়ামাতিহী, আলহামদুলিল্লাহি আলা কুল্লি আলাইহী, আলহামদুলিল্লাহি কাবলা কুল্লি হালিন, ওয়া সাল্লাল্লাহু আলা খাইরি খালকিহী, মুহাম্মাদিও ওয়া আলিহী, ওয়া আছহাবিহী আজমাঈন, বিরাহমাতিকা ইয়া আরহামার রাহিমীন।

-       আমিরুল মুমিনীন হযরত ওমর (রা) বলেন যে, এ দোয়া যে ব্যক্তি শ্রদ্ধাসহকারে পাঠ করবে তার ৬০০ বৎসরের আদায় করা নামাজ এর বরকতে আল্লাহর দরবারে কবুল হয়ে যাবে । অনুরুপ হযরত ওসমান (রা) বলেছেন, ৭০০ বৎসর এবং হযরত আলী কাররাল্লাহু ওয়াজহু বলেছেন, যদি এ দোয়া পাঠকারীর ১০০০ বৎসরের নামাজ কাজা হয়ে থাকে তাও এ দোয়ার বরকতে আল্লাহ্ তা-আলার দরবারে কবুল হয়ে যাবে ।

-       হযরত রাসূলে করীম (স) এ পবিত্র দোয়ার ফযীলত বর্ণনাকালে ছাহাবীগন প্রশ্ন করলেন, হে আল্লাহর রাসূল! মানুষের এরুপ ছয়, সাতশত ও হাজার বৎসর (হায়াত) বয়স কোথায় যে এর নামাজ কবুল হবে? তখন রাসূলুল্লাহ (স) বললেন যে, এ দোয়া পাঠকারীর বাপ, দাদা, পরদাদা ও আত্মীয়স্বজন, পাড়া-প্রতিবেশীদের নাম কবুল হয়ে বৎসর পূরন করা হবে।

 

আলহামদুলিল্লাহি আলা কুল্লি না’মালা—ইহী, আলহামদুলিল্লাহি আলা কুল্লি আলাইহি, আলহামদুলিল্লাহি কাবলা কুল্লি হালীউ ওয়া সাল্লাল্লাহু আলা খাইরি খালকিহী সাইয়্যিদিনা মুহাম্মাদিও ওয়া আলিহী ওয়া আসহাবিহী আজমাইন, বিরাহমাতিকা ইয়া আর হামার রাহিমীন।

-       ৬০০ বছরের কাযা সালাতের কাফফারা আদায় হয়ে যাবে।

 

(দিনে ১ বার) কুলিল্লাহুম্মা মালিকাল মুলকি তুতিল মুলকা মানতাশাউ ওয়া আনযিউল মুলকা মিম্মান তাশাউ, ওয়া তুয়িজ্জু মানতাশাউ ওয়া তুজিল্লু মানতাশাউ, বিইয়াদিকাল খাইর, ইন্নাকা আলা কুল্লি শাইয়্যিন কাদীর। তুলিজুল্লাইলা ফিন্নাহারি ওয়া তুলিজুন্নাহারা ফিল্লাইলি, ওয়া তুখরিজুল হাইয়্যা মিনাল মাইয়্যিতি ওয়া তুখরিজুল মাইয়্যিতা মিনাল হাইয়্যি ওয়া তারজুকু মানতাশাউ বিগাইরি হিসাব।

-       কারও উপর ঋণের বোঝা চেপে থাকলে এই দোয়া নিয়মিত পাঠে ইনশাআল্লাহ তার সম্পূর্ণ ঋণ পরিশোধ হয়ে যাবে।

 

১ লক্ষ বার দরূদ শরীফ পাঠের ছওয়াবঃ (দরূদে লাখী)

(বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম)

আল্লাহুম্মা সাল্লি ওয়া সাল্লিম আলা সাইয়্যিদিনা ওয়া মাওলানা মুহাম্মাদিও ওয়া আলা আলি সাইয়্যিদিনা মুহাম্মাদিন বি-আদাদি রাহমাতিল্লাহি, আল্লাহুম্মা সাল্লি ওয়া সাল্লিম আলা সাইয়্যিদিনা ওয়া মাওলানা মুহাম্মাদিও ওয়া আলা আলি সাইয়্যিদিনা মুহাম্মাদিম বি-আদাদি ফাদলিল্লাহি, আল্লাহুম্মা সাল্লি ওয়া সাল্লিম আলা সাইয়্যিদিনা ওয়া মাওলানা মুহাম্মাদিও ওয়া আলা আলি সাইয়্যিদিনা মুহাম্মাদিম বি-আদাদি খালকিল্লাহ, আল্লাহুম্মা সাল্লি ওয়া সাল্লিম আলা সাইয়্যিদিনা ওয়া মাওলানা মুহাম্মাদিও ওয়া আলা আলি সাইয়্যিদিনা মুহাম্মাদিন বি-আদাদি ইলমিল্লাহ, আল্লাহুম্মা সাল্লি ওয়া সাল্লিম আলা সাইয়্যিদিনা ওয়া মাওলানা মুহাম্মাদিও ওয়া আলা আলি সাইয়্যিদিনা মুহাম্মাদিন বি-আদাদি কালিমাতিল্লাহ, আল্লাহুম্মা সাল্লি ওয়া সাল্লিম আলা সাইয়্যিদিনা ওয়া মাওলানা মুহাম্মাদিও ওয়া আলা আলি সাইয়্যিদিনা মুহাম্মাদিন বি-আদাদি কারামিল্লাহ, আল্লাহুম্মা সাল্লি ওয়া সাল্লিম আলা সাইয়্যিদিনা ওয়া মাওলানা মুহাম্মাদিও ওয়া আলা আলি সাইয়্যিদিনা মুহাম্মাদিন বি-আদাদি হুরূফি কালামিল্লাহ, আল্লাহুম্মা সাল্লি ওয়া সাল্লিম আলা সাইয়্যিদিনা ওয়া মাওলানা মুহাম্মাদিও ওয়া আলা আলি সাইয়্যিদিনা মুহাম্মাদিন বি-আদাদি কাতারাতিল আমতারি, আল্লাহুম্মা সাল্লি ওয়া সাল্লিম আলা সাইয়্যিদিনা ওয়া মাওলানা মুহাম্মাদিও ওয়া আলা আলি সাইয়্যিদিনা মুহাম্মাদিন বি-আদাদি আওরাকিল আশজারি, আল্লাহুম্মা সাল্লি ওয়া সাল্লিম আলা সাইয়্যিদিনা ওয়া মাওলানা মুহাম্মাদিও ওয়া আলা আলি সাইয়্যিদিনা মুহাম্মাদিন বি-আদাদি রমরিল কিফারি, আল্লাহুম্মা সাল্লি ওয়া সাল্লিম আলা সাইয়্যিদিনা ওয়া মাওলানা মুহাম্মাদিও ওয়া আলা আলি সাইয়্যিদিনা মুহাম্মাদিন বি-আদাদি মা খুলিকা ফিল বিহারি, আল্লাহুম্মা সাল্লি ওয়া সাল্লিম আলা সাইয়্যিদিনা ওয়া মাওলানা মুহাম্মাদিও ওয়া আলা আলি সাইয়্যিদিনা মুহাম্মাদিন বি-আদাদিল হুবুবি ওয়াছ ছিমারি, আল্লাহুম্মা সাল্লি ওয়া সাল্লিম আলা সাইয়্যিদিনা ওয়া মাওলানা মুহাম্মাদিও ওয়া আলা আলি সাইয়্যিদিনা মুহাম্মাদিন বি-আদাদিল লাইলি ওয়ান নাহারি, সাইয়্যিদিনা ওয়া মাওলানা মুহাম্মাদিও ওয়া আলা আলিহী ওয়া আসহাবিহী ওয়া আজ-ওয়াজিহী ওয়া জুররিয়্যাতিহী ওয়া আহলি বাইতিহী ওয়া আহলি তা-আতিকা আজমাঈনা মিন আহলিস সামাওয়াতি ওয়াল আরদীনা বিরাহমাতিকা ইয়া আরহামার রাহিমীন, ওয়া ইয়া আকরামাল আকরামীনা ওয়া সাল্লাল্লাহু তা-আলা আলা সায়্যিদিনা মুহাম্মাদিও ওয়া আলিহী ওয়া আসহাবিহী আজমাঈন, ওয়া সাল্লামা তাসলিমান দাইমান আবাদান কাছীরাও ওয়াল হামদুলিল্লাহি রাব্বিল আলামীন।  

-       দৈনিক ফজর নামাজের পর মাত্র ১ বার পড়লে ১ লক্ষ বার দরূদ শরীফ পাঠ করার ছওয়াব হবে।

-       নিয়মিত পাঠাকারী ব্যক্তি কিয়ামতের ময়দানে সকল প্রকার অস্থিরতা থেকে রক্ষা পাবে। 

 

§  দোয়ায়ে গঞ্জল আরশ

§  দোয়ায়ে জামীলা

§  দোয়ায়ে হাবীবি

§  দোয়ায়ে আহাদনামা

§  দরূদে আকবর

§  দরূদে হাজারী

 

দরূদে মাগফেরাত

আল্লাহুম্মা সাল্লি আলা সাইয়্যিদিনা ওয়া মাওলানা মুহাম্মাদিও ওয়া আলা আলিহী ওয়া সাল্লিম।

-       পাঠ করলে পাঠকারী বসা অবস্থায় থাকলে দাঁড়ানোর পূর্বে আর দাঁড়ানো অবস্থায় থাকলে বসার পূর্বে তার গুনাহসমূহ মাফ করে দেয়া হয়।

 

সারাদিন-রাত দরূদ শরীফ পাঠের ছওয়াব

আল্লাহুম্মা সাল্লি আলা সাইয়্যিদিনা মুহাম্মাদিন ফী আউওয়ালি কালা-মিনা। আল্লাহুম্মা সাল্লি আলা সাইয়্যিদিনা মুহাম্মাদিন ফী আওসাতি কালা-মিনা। আল্লাহুম্মা সাল্লি আলা সাইয়্যিদিনা মুহাম্মাদিন ফী আখিরি কালামিনা।

-       প্রত্যেহ দিনে ৩ বার এবং রাতে ৩ বার এ দরূদ শরীফ পাঠ করলে সমস্ত দিন-রাত দরূদ শরীফ পাঠের ছওয়াব মিলে।

 

দরূদে সর্ব সৃষ্টির আমলের ছওয়াব

আল্লাহুম্মা সাল্লি আলা মুহাম্মাদিনীন নাবিয়্যি আদাদী মান সাল্লা আলাইহি মিন খালকিকা, ওয়া সাল্লি আলা মুহাম্মাদিনীন নাবিয়্যি কামা ইয়ামবাগী লানা আন নুছাল্লি আলাইহি, ওয়া সাল্লি আলা মুহাম্মাদিনীন নাবিয়্যি কামা আমারতানা আন নুছাল্লি আলাইহি।

-       প্রতিদিন সকালে ১০ বার পাঠ করলে সমস্ত সৃষ্টির আমলের সমতূল্য ছওয়াব অর্জিত হয়।

 

দরূদে ১০০০ দিন দরূদ পাঠের ছওয়াব

জাঝাল্লাহু আন্না সায়্যিদানা ওয়া মাওলানা মুহাম্মাদিন সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মা-হুয়া আহলুহু।

-       পাঠকারীর জন্য ৭০ জন ফেরেশতা ১০০০ দিন পর্যন্ত ছওয়াব লিখতে থাকেন।

 

দরূদে ১১ হাজার দরূদ পাঠের ছওয়াব

আল্লাহুম্মা সাল্লি আলা সাইয়্যিদিনা মুহাম্মাদিও ওয়া আলা-আলিহী সালাতান আনতা লাহা-আহলুন ওয়া হুয়া লাহা-আহলুন।

-       ১ বার পড়লে ১১ হাজার দরূদ শরীফ পাঠের ছওয়াব অর্জিত হয়। (ইমাম সুয়ুত্বী)

 

দরূদে ১৪ হাজার দরূদ পাঠের ছওয়াব

আল্লাহুম্মা সাল্লি ওয়া সাল্লাম ওয়া বারিক আ’লা সাইয়্যিদিনা মুহাম্মাদিও ওয়া আলা-আলিহী আদাদা কামালিল্লাহি ওয়া কামা ইয়ালিকু বিকামালিহী।

-       ১ বার পড়লে ১৪ হাজার দরূদ শরীফ পাঠের ছওয়াব অর্জিত হয়। (আফজালুস সালাত আলা সাইয়্যিদিস সাদাত)

 

দরূদে ১ লক্ষ দরূদ পাঠের ছওয়াব

আল্লাহুম্মা সাল্লি আলা সাইয়্যিদিনা মুহাম্মাদিন নুরীজ্জাতিচ্ছারি ফি জামিয়্যীল আশারি ওয়াল আসমায়ী ওয়াস সিফাতি ওয়া আ’লা আলিহী ওয়া সাবিহী ওয়া সাল্লাম।

-       ১ লক্ষ দরূদ শরীফের ছওয়াব হবে। (ইমাম শাজেলী)

 

আল্লাহুম্মা সাল্লি আলা মুহাম্মাদিনীন নূরিয-যাতিস-সারি ফী জামি-ইল আছারি ওয়াল আসমায়ী ওয়াছ-ছিফাতি ওয়া আলা আলিহী ওয়া আছ-হাবিহী ওয়া সাল্লিম।

-       ১ বার পড়লে ১ লক্ষ বার দরূদ পাঠের ছওয়াব অর্জিত হয়।

-       ৫০০ বার পড়লে যেকোন নেক হাজত পূর্ণ হয়।

 

দরূদে ৬ লক্ষ দরূদ পাঠের ছওয়াব

আল্লাহুম্মা সাল্লি আলা সাইয়্যিদিনা ওয়া মাওলানা মুহাম্মাদিন আদাদা মা-ফী ইলমিল্লাহি ছলাতান দায়িমাতান বিদাওয়ামি মুলকিল্লাহ।

-       ১ বার পড়লে ৬ লক্ষ বার দরূদ পাঠের ছওয়াব অর্জিত হয়।

 

আল্লাহুম্মা সাল্লি আলা সাইয়্যিদিনা মুহাম্মাদিন আদাদা মা’ফি ইলমিল্লাহি সালাতান দায়িমাতাম বিদা ওয়ামি মুলকিল্লাহ।

-       ১ বার পড়লে ৬ লক্ষ বার দরূদ পাঠের ছওয়াব অর্জিত হয়। (মুহাব্বাতুর রসুল বাইনাল ইত্তেবা ওয়াল ইবদিতা)

 

আল্লাহুম্মা সাল্লি ওয়া সাল্লিম ওয়া বারিক আ'লা সাইয়্যিদীনা মুহাম্মাদিনিল ফাতিহী লিমা উগলিকাল খাতিমী লিমা সাবাকা ওয়ান্নাছিরিল হাক্কি বিল হাক্কি ওয়াল হাদি-উ ইলা ছিরাতিকাল মুস্তাকিম, সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আ'লা আলিহী ওয়া আসহাবিহী হাক্কা কাদরিহী ওয়া মিকদারিহীল আজীম।

- পাঠকারী দোযখে যাবে না।

- ৬ লক্ষ দরূফ শরীফ পাঠের ছওয়াব পাবে। (শারহে দ্বারদী-আহমাদ ছাবী)

 

২০ বছরের মকবুল ইবাদতের ছওয়াব

 

সূরা ফালাক:

Description: https://www.blogger.com/img/img-grey-rectangle.png

(বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম)

কুল আউযু বিরাব্বিল ফালাক। মিন শাররি মা-খালাক। ওয়া মিন শাররি গা-ছিকিন ইযা-ওয়াকাব। ওয়া মিন শাররিন নাফফা-ছা-তি ফিল উকাদ। ওয়া মিন শাররি হা-ছিদিন ইযা-হাছাদ।

 

সূরা নাস:

Description: https://www.blogger.com/img/img-grey-rectangle.png

(বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম)

কুল আউযু বিরাব্বিন্না-ছ। মালিকিন্না-ছ। ইলা-হিন্না-ছ। মিন শাররিল ওয়াছ ওয়া-ছিল খান্নাছ। আল্লাযী ইউ ওয়াছবিছু ফী সুদূরিন্নাছ। মিনাল জিন্নাতি ওয়ান্না-ছ।

-       রাসূল (সাঃ) বলেছেন, যে ব্যক্তি এই সূরা দুইটি পাঠ করবে, তার আমলনামায় ২০ বছরের মকবুল ইবাদতের ছওয়াব লেখা হবে।

-       এই সূরা দুইটি পাঠকারীকে সকল সিদ্দীক ও মুমিন বান্দাগণের সমতূল্য ছওয়াব দান করা হবে।

-       যে ব্যক্তি দৃঢ়তার সাথে এই সূরা দুইটি পাঠ করবে, তার আমলনামায় সমস্ত কুরআন শরীফ খতমের ছওয়াব লেখা হবে।

 

কাবা গৃহ তাওয়াফ এবং যিয়ারতকারীদের সমতুল্য ছওয়াব

 

সূরা কুরাইশ (সূরা নং ১০৬)

Description: https://www.blogger.com/img/img-grey-rectangle.png

(বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম)

লি ঈলা-ফি কুরাইশিন। ঈলা-ফিহিম রিহলাতাশ শিতা-ই ওয়াছ-ছাইফ। ফাল ইয়াবুদু রাব্বা হা-যাল বাঈত। আল্লাযী---আত আমাহুম মিন জু-ইও ওয়া আ-মানাহুম মিন খাও-ফ।

-       রাসূল (সাঃ) বলেছেন, যে ব্যক্তি পাক-পবিত্র অবস্থায় গভীর মনোযগের সাথে সূরা কুরাইশ পাঠা করবে, তার আমল নামায় কাবা গৃহ তাওয়াফ এবং যিয়ারতকারীদের সমতুল্য ছওয়াব লেখা হবে।

 

ইয়া রাজাই ইয়া মানাই ইয়া দাওয়াই ইয়া শাফাই ইয়া কাফাই কাফী আন্নি ইয়া গাফুরু ইয়া গাফুরু ইয়া গাফুরু, ইগফিরলি খাতিয়াতি ইয়াওমা ইয়াবআছুন। ইয়া আল্লাহু ইয়া আল্লাহু ইয়া আল্লাহু, ইয়া রাহমানু ইয়া রাহমানু ইয়া রাহমানু, ইয়া রাহীমু ইয়া রাহীমু ইয়া রাহীমু, ইয়া গাফফারু ইয়া গাফফারু ইয়া গাফফারু, ইয়া কারীমু ইয়া কারীমু ইয়া কারীমু, ওয়া সাল্লাল্লাহু আলা খাইরি খালকিহী ওয়া নুরি আরশিহী, মুহাম্মাদিও ওয়া আলিহী ওয়া আছহাবিহী আজমাঈন, বিরাহমাতিকা ইয়া আরহামার রাহিমীন।

-       যে ব্যক্তি এই দোয়া ভক্তি সহকারে পাঠ করবে বা লিখে সাথে রাখবে আল্লাহ তায়ালার কাছে যা চাইবে মহান আল্লাহ তায়ালা এই দোয়ার বরকতে তাকে তাই দিবেন।

-       পাঠকারী গরীব থাকলে ধনী হবে, মূর্খ থাকলে জ্ঞানী হবে, রুগ্ন থাকলে স্বাস্থ্যবান হবে, চিন্তাযুক্ত থাকলে চিন্তামুক্ত হবে।

-       যদি সফরে গম্ন করে আল্লাহর ইচ্ছায় সুখ শান্তিতে ও নিরাপদে ফিরে আসবে।

 

আলহামদুলিল্লাহি রাব্বিস সামাওয়াতি ওয়া রাব্বিল আলামীন, ওয়া লাহুল কিবরিয়াউ ফিস সামাওয়াতি ওয়াল আরদ, ওয়া হুয়াল আজীজুল হাকীম। আলহামদুলিল্লাহি রাব্বিস সামাওয়াতি ওয়া রাব্বিল আরদ ওয়া রাব্বিল আলামীন। ওয়া হুয়াল আযমাতু ফিস সামাওয়াতি ওয়াল আরদ, ওয়া হুয়াল আজীজুল হাকীম। লিল্লাহিল হামদু রাব্বিস সামাওয়াতি ওয়াল আরদ ওয়া রাব্বিল আলামীন। ওয়া লাহুন নুরু ফিস সামাওয়াতি ওয়াল আরদ ওয়া হুয়াল আজীজুল হাকীম।

-       একবার পাঠ করলে আল্লাহ তায়ালা পাঠকারীকে তার মাতা-পিতার হক আদায় করার সমান ছওয়াব দিবেন।

 

কঠিন রোগব্যাধি থেকে রক্ষার জন্যঃ

আল্লাহুম্মা ইন্নি আউযুবিকা মিনাল বারাসি, ওয়াল জুনুনি, ওয়াল জুযামি, ওয়া মিন সাইয়্যিইল আসকাম।

 

শারীরিক সুস্থ্যতার জন্য দোয়া

আল্লাহুম্মা আ-ফিনি ফি বাদানি, আল্লাহুম্মা আ-ফিনি ফি সাম-ই, আল্লাহুম্মা আ-ফিনি ফি বাসারি, লা ইলাহা ইল্লা আন্তা।

হে আল্লাহ! আমার দেহ সুস্থ্য রাখুন। হে আল্লাহ! আমাকে আমাকে সুস্থ্য রাখুন আমার শ্রবণ ইন্দ্রিয়ে। হে আল্লাহ! আমাকে সুস্থ্য রাখুন আমার দৃস্টিশক্তিতে। আপনি ছাড়া কোনো উপাস্য নাই। (আবু দাউদ-৫০৯০)

 

মাগরীবের পরে ৬ রাকাত নামাজ

-       যে ব্যক্তি মাগরীবের পরে ৬ রাকাত নামাজ পড়বে এবং এর মাঝে কোন প্রকার কথা বলবেনা, সে যেন ১২ বছরের সমপরিমাণ এবাদত করল। (তিরমিজি শরীফ, হাদিস নং ৪৩৫)

-       মাগরীবের পরে ৬ রাকাত নামাজ পড়বে তার সকল গোনাহ্ মাফ করা হবে যদিও সাগর পরিমাণ হয়।

 

কেয়ামত পর্যন্ত নেক আমল জারী রাখার দোয়া

সুবহানাকাল্লাহুম্মা ওয়া বিহামদিকা, আশহাদু আল্লা-ইলাহা ইল্লা আন্তা আসতাগফিরুকা ওয়া আতুবু ইলাইকা।

রাসুল (সাঃ) কোনও কাজের শেষে বা সালাত, কুরআন তেমোয়াত অথবা কোনো মজলিশ শেষে এটি পাঠ করতেন। এরফলে কল্যানমূলক ওই কাজ কেয়ামত পর্যন্ত তার অনুগামী হবে।

 

রাব্বি ইন্নী লিমা আনযালতা ইলাইয়্যা মিন খইরিন ফাকির।

 

(৭ বার) লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ

-       পাঠকারীকে জান্নাতের মাঝে ২০ দুনিয়ার সমান জায়গা দেয়া হবে। (নুযহাতুল মাজালিস)

 

(১ বার) লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ

-       পাঠকারীর মুখ থেকে নূরের ১টি পিলার বের হবে। ঐ পিলার আল্লাহ তায়ালার সামনে দন্ডায়মান হবে। আল্লাহ তায়ালা পিলারকে বলবেন, তুমি আমার আরশের দিকে যাও। পিলার বলবে, আপনার ইজ্জতের কসম আমি তয়তক্ষণ যাব না যতক্ষণ না আপনি আমার পাঠকারীকে ক্ষমা করবেন। তখন আল্লাহ তায়ালা বলবেন, আমার ইজ্জত এবং মহত্বের কসম, নিশ্চয়ই আমি তাকে ক্ষমা না করে তোমার তার মুখে জারী করিনি। (নুযহাতুল মাজালিস)

 

(১০০০ বার) লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা-শারীকা লাহু, লাহুল মুলকু ওয়া লাহুল হামদু, বিয়াদিহিল খাইরু হুয়া আলা কুল্লি শাইয়্যিন কাদীর।

-       কিয়ামতের দিন পাঠকারীর আমল নবীর আমল ছাড়া সবার চেয়ে বেশী হবে।

-       প্রতিবার পাঠে ১০জন গোলাম আযাদের সওয়াব লাভ হবে।

-       পূর্ণ আস্থা ও ইয়াকীনের সাথে ১ বার পাঠ করলে প্রতিবারের জন্য ১ বছরের গুনাহ ক্ষমা করা আল্লাহর জন্য দায়িত্ব হয়ে যায়। (কানযুল উম্মাল)

 

 (১০০ বার) লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহুল মালিকুল হাক্কুল মুবীন।

-       যে ব্যক্তি প্রতিদিন ১০০ বার পাঠ করবে, তার জন্য দারিদ্রতা থেকে নিরাপত্তা ও কবরের নিঃসঙ্গতা থেকে বন্ধুত্ব থাকবে।

-       সে এর মাধ্যমে প্রাচুর্য লাভ করবে এবং জান্নাতের দরজার কড়া নাড়বে। (দারূ কুতনী, দায়লামী, ইবনুন নাজ্জার)

 

(১০ বার) আয়াতুল কুরসী ও (১০ বার) সূরা ইখলাস

-       পাঠকারী আল্লাহ তায়ালার বিরাট সন্তুষ্টি আবশ্যক করে নিবে এবং সে আল্লাহর নবীগণের সাথে থাকবে।

-       তাকে শয়তান থেকে রক্ষা করা হবে। (আদদুরুল মানছুর)

 

(দৈনিক ৩ বার, জুমার দিন ১০০ বার)

সলাওয়াতুল্লাহি ওয়া মালাইকাতিহী ওয়া আম্বিয়ায়িহী ওয়া রুসুলিহী ওয়া জামি’ই খালকিহী আলা সাইয়্যিদিনা মুহাম্মাদিও ওয়া আলা আলি সাইয়্যিদিনা মুহাম্মাদিও ওয়া আলাইহি ওয়া আলাইহিমুস সালামু ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ।

-       পাঠকারীকে কিয়ামতের দিন রাসুল (সাঃ) এর দলে হাশর করানো হবে এবং রাসূল (সাঃ) তার হাত ধরে থাকবেন এমনকি তাকে জান্নাতে প্রবেশ করিয়ে দিবেন। (মুখতাসারু তারীখে দিমাশক)

 

(১০ বার) সুবহানাল খালকীল বারি’য়ী সুবহানাল্লাহীল আজিমীনোয়া বিহামদিহী।

-       পাঠাকারীকে এমন জিনিস দান করা হবে যা কোনও চোখ দেখেনি, কোনো কান শুনেনি এবং কোনও মানুষের অন্তরে কল্পনাও আসেনি। (নুযহাতুল মাজালিস)

 

(৩ বার) লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহুল হালিমুল কারীম সুবহানাল্লাহি রাব্বীস-সামাওয়াতিস সাব’য়ী ওয়া রাব্বীল আরশীল আজীম।

-       পাঠকারী যেন লাইলাতুল কদর পেল। (ইবনু আসাকির, কানযুল উম্মাল, জামিউল আহাদীস)

 

(৩ বার) লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহুল কারীমুল হালীম, সুবহানাল্লাহী রাব্বীল আরশীল আজীম, ওয়াল হামদুলিল্লাহি রাব্বীল আলামীন।

-       পাঠকারীর জন্য জাহান্নাম হারাম করা আল্লাহ তায়ালার দায়িত্ব হয়ে যায়। (কানযুল উম্মাল, দায়লামী শরীফ)

 

(১ বার) লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহুল হালিমুল কারীম সুবহানাল্লাহি রাব্বীল আরশীল আজীম, ওয়াল হামদুলিল্লাহি রাব্বীল আলামীন।

-       পাঠকারীর জন্য জাহান্নাম হারাম করা আল্লাহ তায়ালার দায়িত্ব হয়ে যায়। (নুযহাতুল মাজালিস)

 

(১ বার) আউজুবিল্লাহীস-সামিয়্যীল আলিমী-মিনাশ-শায়তানীর রাজীম, ওয়া আউজু বিল্লাহী আহ-হায়দুরুনি ইন্নাল্লাহা হুয়াস-সামিয়্যুল আলীম।

-       ইবলিস তার শুড় বনী আদমের কালবে রেখে দেয়। সে শুড় দিয়ে বিভিন্ন ওয়াস-ওয়াসা প্রদান করে থাকে। যে ব্যক্তি এই তাসবীহ পাঠ করবে, তার কালব থেকে ইবলিস আপন শুড় গুটিয়ে নেবে। (দায়লামী, আমিউল আহাদিস)

 

(১ বার) আল্লাহু আকবর কাবীরাও ওয়াল হামদুলিল্লাহি হামদান কাছীরান, তাইয়্যিবান মুবারাকান ফিহী।

-       ১২ জন ফেরেশতা এই দোয়ার ছওয়াব উঠানোর ব্যাপারে প্রতিযোগিতা করে। (আল মুজামুল কাবীর)

 

(১ বার) আলহামদুলিল্লা হিল্লাজী তাওয়াদা’আ কুল্লু শাইয়্যিন লিয়াজমাতিহী, ওয়াল হামদুলিল্লা হিল্লাজী জাল্লা কুল্লু শাইয়্যিন লি-ইজ্জাতিহী, ওয়াল হামদুলিল্লা হিল্লাজী খাদা’আ কুল্লু শাইয়্যিন লি-মুলকিহী, ওয়াল হামদুলিল্লা হিল্লাজী তাসলামা কুল্লু শাইয়্যিন লি-কুদরাতিহী।

-       পাঠকারীকে ১০০০ সৎকাজ লিখে দেয়া হবে।

-       ১০০০ ধাপ মর্যাদা বৃদ্ধি করা হবে।

-       তার সাথে ৭০,০০০ ফেরেশতা নিযুক্ত করা হবে, যারা তার জন্য কিয়ামত পর্যন্ত ক্ষমা প্রার্থনা করবে। (তাবরানী, ইবনু আসাকির)

 

(১ বার) সবহানাল্লাহী ওয়াল হামদুলিল্লাহী ওয়া লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াল্লাহু আকবর।

-       এগুলি কিয়ামতের দিন পাঠকারীর সামনে পিছনে থাকবে এবং তাকে আযাব থেকে রক্ষা করবে। (নাসায়ী, বায়হাক্কী)

-       এগুলির প্রতিটি কালিমার বিনিময়ে জান্নাতে একটি করে গাছ রোপন করা হবে। (তাবরানী)

-       এগুলি গুনাহসমূহকে ঐভাবে ঝেড়ে ফেলে যেভাবে গাছ তার পাতা ঝেড়ে ফেলে। (তিরমিযী, আহমাদ)

 

(১ বার) আল্লাহুম্মা লাকাল হামদু কামা আন্তা আহলুহু ফাছাল্লি আলা মুহাম্মাদিন কামা আন্তা আহলুহু ওয়াফ’আল বিনা মা আন্তা আহলুহু ফালিন্নাকা আহলুত-তাকওয়া ওয়া আহলুল মাগফিরাতি।

-       সৃষ্টির শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সকলের প্রশংসার ছওয়াব ও সকল ফেরেশতা এবং আসমান ও জমিনের সকল বস্তুর সম-পরিমাণ ছওয়াব লিখে দেয়া হবে।

 

(১ বার) সুবহানাল্লাহি ওয়াল হামদুলিল্লাহী ওয়া লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াল্লাহু আকবর, ওয়া লা হাওলা ওয়ালা কুউয়্যাতা ইল্লাবিল্লাহীল আলিয়্যিল আজীম, আদাদা মাফি ইলমিল্লাহি ওয়াদা ওয়ামা মুলকিল্লাহ।

-       দুনিয়া এবং দুনিয়াবাসী শেষ হয়ে যাবে কিন্তু পাঠকারীর ছওয়াব শেষ হবে না। (নুযহাতুল মাজালিস)

 

(১ বার) সুবহানাকা আল্লাহুম্মা ওয়া বিহামদিকা আশহাদু আল্লা ইলাহা আন্তা ওয়াহদাকা লা-শারিকা লাকা আমিলতু ছুউয়া আও ওয়া জালামতু নাফসী ফাগফিরলী জানবি ওয়ার হামনি ওয়াতুবু আলাইয়্যা ইন্নাকা আন্তাত-তাওয়াবুর রাহীম।

-       ১২ জন ফেরেশতা তাড়াহুড়া করে উহা লিখে রাখেন। আকাশসমূহ ভেদ করে উহাকে আরশের নিচে রেখে দেয়া হয়। (দায়লামী)

 

(১ বার) সুবহান্নাল্লাহিল আজিমী ওয়া বিহামদিহী ওয়া আদ আফা মা-ইউসাব্বিহু জামিয়্যু খালকিহী ওয়া কামা ইয়্যুহিব্বু ওয়া কামা ইয়ারদা ওয়া কামা ইয়ানবাগী।

-       আসমান এবং জমিনবাসীদের তাসবীহের সমান অথবা তার চেয়ে উত্তম তাসবীহ। (দারু কুতনী, দায়লামী)

 

(১০ বার) সুবহানা মান হুয়া ফি উলুউয়্যিহী আন্নীউ ওয়াফি দুনুয়্যিহী আল্লিউ ওয়াফি ইশরাকিহী মুছাব্বিরু ওয়াফি সুলতানিহী কাইয়্যুন।

-       ৪০,০০০ বার হজ্ব আদায় করার ছওয়াব লাভ হবে। (নুযহাতুল মাজালিস)

 

(১ বার) সুবহানা মান হুয়া মুত্তালিউন বি-ইলমি যা-ওয়ারিহিল কুলুবি সুবহানা মাহ-ইউছি আদাদাজ-জুনুবি সুবহানা মাল্লাইয়্যাখফা আলাইহি খাফিয়াতুন ফিস-সামাওয়াতি ওয়া লা-ফিল আরদি সুবহানাল্লাহির রাউফিল ওয়াদুদ।

-       পাঠকারীর জন্য ১০ লক্ষ সৎকাজ লেখা হবে।

-       ১০ লক্ষ পাপ মিটানো হবে।

-       ১০ লক্ষ ধাপ মর্যাদা বৃদ্ধি করা হবে। (নুজহাতুল মাজালিস)

 

(১ বার) সুবহানাল কাদিল আকবার, সুবহানাল খালিকীল বারিইয়্যি, সুবহানাল কাদরিল মুক্তাদির, সুবহানাল্লাহীল আজিমী ওয়া বিহামদিহী।

-       পাঠকারীকে ১০০০ ফেরেশতা সমস্ত অনিষ্ট হতে রক্ষা করবে

-       পাঠকারী যেন ১০০০ গোলাম আযাদ করল। (নুজহাতুল মাজালিস)

 

(১ বার) আল্লাহুম্মা ফারিজাল হাম্মি কাশিফাল গাম্মি মুজিবা দাওয়াকিল মুজতার-রি উনা রাহমানাদ্দুনিয়া ওয়াল আখিরাতি ওয়া রাহিমাহুমা আন্তা তার হামনি ফার হামনি রাহমাতান তুগবিনি বিহা আর রাহমাতি মান সিওয়াকা।

-       পাঠকারীর দায়িত্বে স্বর্ণের পাহাড়সম ঋণ থাকলেও সে উহা থেকে মুক্তি পাবে। (তাবরানী, জামিউল আহাদীস)

 

(১ বার) আল্লাহুম্মা ইন্নি আহমাদুকা আলা কুল্লি নিমাতিউ ওয়া আস্তাগফিরুকা মিন কুল্লি জানবিউ ওয়া আস আলুকা মিন কুল্লি খাইরিউ আস্তা-ইযু বিকা মিন কুল্লি শাররিউ ওয়া বালায়্যিউ ওয়া লা-হাওলা ওয়া লা-কুউয়্যাতা ইল্লা বিল্লাহিল আলিয়্যিল আজীম।

-       সুলুকের পথ সহজ হবে। হযরত আলী (রাঃ) এই দোয়া পাঠ করতেন।

 

(১ বার) আল্লাহুম্মা ফাতিরাস-সামাওয়াতি ওয়াল আরদ আলিমাল গাইবী ওয়াশ-শাহাদাতি ইন্নি আ’হাদু ইলাইকা ফি হাজিহীল হায়াতিদ দুনিয়া ইন্নি আশহাদু আন্না লা-ইলাহা ইল্লা আন্তা ওয়াহদাকা লা-শারিলাকা ওয়া আন্না মুহাম্মাদান আব্দুকা ওয়া রাসুলুকা ফা-ইন্নাকা ইন-তাকিলনী ইলা নাফসী তুকার-রিবনি মিন শাররি ওয়াতুবা-ইদনি মিন খাইরি
ওয়া ইন্নি লা-আশিকু ইল্লা বিরাহমাতিকা ফাজ’আল্লী ইন্দাকা আহদান তুওয়াফ-ফিনিহী ইয়াওমাল কিয়ামাতি ইন্নাকা লা-তুখলিফুল মিয়াদ।

-       কিয়ামতের দিন মহান আল্লাহ তায়ালা তার ফেরেশতাদেরকে বলবেন, “নিশ্চয়ই আমার বান্দা আমার কাছে একটি অঙ্গীকার করেছে সুতরাং তোমরা তাকে সেটা পূরণ করে দাও। “অতঃপর তাকে জান্নাতে প্রবেশ করাবেন। (মুসনাদু আহমাদ, জামিউল আহাদীস)

 

(১ বার) আল্লাহুম্মা ইন্নাকা তা’লামু শারিরাতী ফাকুবাল মাজিরাতি ওয়া তা’লামু হাজাতি ফালা’তিনী সু’লি ওয়া তা’লামু মাফি নাফসী ফাগফিরলী জানবী আল্লাহুম্মা ইন্নি আস আলুকা ইমানাউ ইউবাসসিরু কাল্বী ওয়া ইয়াকিনান ছাদিকান হাত্তা আ’লামা আন্নাহু লা-ইউছিবুনি ইল্লা মা কাতাবতা লি ওয়া রাদ্দিনী বিমা কাছামতালি।

-       পাঠকারী শয়তান থেকে নিরাপদ থাকবে

-       ব্যবসায় অধিক লাভবান হবে

-       পাঠকারী দুনিয়া না চাইলেও দুনিয়া তার কাছে অপদস্থ হয়ে আগমন করবে। (বায়হাক্কী, তাবরানী)

 

(১ বার) আল্লাহুম্মা লা-ইলাহা ইল্লা আন্তাল হালিমুল কারীম, তাবারাকতা সুবহানা রাব্বিল আরশিল আজীম।

-       সকল গুনাহ ক্ষমা করে দেয়া হবে। (কানযুল উম্মাল)

 

(৪ বার) লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াল্লু আকবার।

-       পাঠকারী জাহান্নাম থেকে মুক্ত হয়ে যাবে। (কানযুল উম্মাল, ইবনু আসাকীর)

 

(১ বার) আল্লাহু লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা-শারিকালাহু, লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহুল মালিকুল হাক্কু, লাহুল মুলকু ওয়া লাহুল হামদু, লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াল্লাহু আকবর, লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়া লা-হাওলা ওয়া লা-কুউয়্যাতা ইল্লা বিল্লাহ।

-       পাঠাকারীর জন্য জাহান্নাম হারাম হয়ে যাবে। (কানযুল উম্মাল)

 

(সিজদায় গিয়ে ৩ বার) রাব্বিগ ফিরলী

-       সিজদা থেকে মাথা উঠার পূর্বেই সমস্ত গুনাহ মাফ হয়ে যাবে। (কানযুল উম্মাল)

 

(৩ বার) লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু আদাদা খালকিহী, লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু জিনাতা আরশিসী, লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু মিল’আ ছামাওয়াতিহী, আল্লাহু আকবর আদাদা খালকিহী, আল্লাহু আকবর জিনাতা আরশিহী, আল্লাহু আকবর মিল’আ ছামাওয়াতিহী, আলহামদিলিল্লাহী আদাদা খালকিহী, আলহামদুলিল্লাহী জিনাতা আরশিহী, আলহামদুলিল্লাহী মিল’আ ছামাওয়াতিহী।

-       উক্ত তাসবীহ পাঠ করলে ১০ হাজার ফেরেশতার ছওয়াব লিখা হবে। (কানযুল উম্মাল, খন্ড-২য়, পৃষ্ঠা-২২৫)

 

(১০ বার) সুবহানা মান ফিস-সামা’য়ী আরশুহু, সুবহানা মান ফিস-সামা’য়ী মাউদাউ আশারিহী, সুবহানা মান ফিস-সামা’য়ী ছাবাকাতু রাহমাতুহু গাদাবাহু, সুবহানা মাল্লা মালজা’আ ওয়ালা মাহরাবা ইল্লা বিল্লাহ।

-       পাঠকারীকে ইবলিস ও তার বাহিনী থেকে রক্ষা করা হবে

-       তার শহিদী মৃত্যু হবে

-       তার জন্য জান্নাতে ১টি প্রাসাদ নির্মাণ করা হবে

-       তাওরাত, ইঞ্জিল, যাবুর, ফুরকান খতম করার ছওয়াব পাওয়া যাবে

-       হযরত ইসমাইল (রাঃ) এর বংশের ৮জন গোলাম আযাদ করার ছওয়াব পাওয়া যাবে

-       তার ফরজ ও নফল সালাতে অনেক ছওয়াব হবে। (কানযুল উম্মাল)

 

(১ বার) সুবহানাল্লাহিল মালিকিল জাব্বার, সুবহানাল্লাহিল আজিজীল গাফফার, সুবহানাল্লাহিল ওয়াহিদিল কাহহার, সুবহানাল্লাহিল কারিমীল মুতা’আল, সুবহানাল্লাহিল কারিমীস সাত্তার, সুবহানাল্লাহি খালিকীল লাইলী ওয়ান্নাহার, সুবহানাল্লাজি লাম ইয়াজাল ওয়ালা ইয়াজালু।

-       পাঠকারী ৪০ হাজার ফেরেশতার তাসবীহ পাঠের সমান ছওয়াব পাবে

-       পেরেশানী মুক্ত থাকবে

 

(১ বার)

আল্লাহুম্মাগফিরলী উম্মাতি মুহাম্মাদিন সাল্লাল্লাহু আলাইহিস ওয়া সাল্লাম। আল্লাহুম্মা তাজাওয়াজ আন উম্মাতি মুহাম্মাদিন সাল্লাল্লাহু আলাইহিস ওয়া সাল্লাম। আল্লাহুম্মাস তুর উম্মাতা মুহাম্মাদিন সাল্লাল্লাহু আলাইহিস ওয়া সাল্লাম। আল্লাহুম্মা জুবরু উম্মাতা মুহাম্মাদিন সাল্লাল্লাহু আলাইহিস ওয়া সাল্লাম।

সুবহানা জিল মুলকি ওয়াল মালাকুতি। (প্রথম আকাশের ফেরেশতাগণের তাসবীহ)

সুবহানা রাব্বিল ইজ্জাতি ওয়াল জাবারুতি (দ্বিতীয় আকাশের ফেরেশতাগণের তাসবীহ)

সুবহানাল হাইয়্যীল কাইয়্যুমিল্লাজী লা ইয়ামুতু (তৃতীয় আকাশের ফেরেশতাগণের তাসবীহ)

সুবহানাল মালিকিল কুদ্দুসি রাব্বিল মালায়িকাতি ওয়ার রুহি (চতুর্থ আকাশের ফেরেশতাগণের তাসবীহ)

সুবহানা মান জামা’আ বাইনাস-সালজি ওয়ান্নার (পঞ্চম আকাশের ফেরেশতাগণের তাসবীহ)

সুবহানাল কুদ্দুসি রাব্বি কুল্লি শাইয়্যীন ওয়া খালিকি কুল্লি শাইয়্যীন (ষষ্ঠ আকাশের ফেরেশতাগণের তাসবীহ)

সুবহানা খালিকিন্নুরী (সপ্তম আকাশের ফেরেশতাগণের তাসবীহ)

-       প্রতিটি আকাশে আল্লাহ তায়ালা কর্তৃক নিযুক্ত ফেরেশতাগণ সর্বদা তাসবীহ পাঠরত অবস্থায় আছেন, যা কিয়ামত পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে। যে ব্যক্তি উক্ত তাসবীহসমূহ ১বার পাঠ করবে, সে প্রতিটি আকাশের ফেরেশতাগণের কিয়ামত পর্যন্ত তাসবীহ পাঠের ছওয়াব লাভ করবে। (নুযহাতুল মাজালিস)

 

কিছু ফজিলতপূর্ণ দরূদ শরীফ

আল্লাহুম্মাজ আল সালাওয়াতিকা ওয়া বারাকাতিকা আলা মুহাম্মাদ্দিউ ওয়া আলা মুহাম্মাদিন কামা জা’আলতাহা আলা ইব্রাহিমা ইন্নাকা হামিদুম মাজিদ।

-       পাঠকারী যেন সমস্ত সৃষ্টির দরূদ পাঠের সমান দরূদ পাঠ করল। (আহমাদ)

 

আল্লাহুম্মা সাল্লি আলা মুহাম্মাদিন নাবীয়ী ওয়া আজ ওয়াজিহীম মাহাতিল মুমিনিনা ওয়া জুর-রিয়াতিহী ওয়া আহলি বাইতিহী কামা সাল্লাইতা আ’লা আ’লি ইব্রাহিমা ইন্নাকা হামিদুম মাজিদ।

-       পাঠকারী কিয়ামতের দিন পূর্ণমাত্রায় ছওয়াব লাভ করে সন্তুষ্ট হয়ে যাবে। (আবু দাউদ)

 

আল্লাহুম্মা সাল্লি আলা মুহাম্মাদিউ ওয়া আনজিলহুল মুক’আদাল মুকাররাবা ইন্দাকা ইয়াওমাল কিয়ামাতি।

-       পাঠকারীর জন্য রসূলুল্লাহ (সাঃ) এর শাফায়াত ওয়াজিব হয়ে যাবে। (আহমাদ)

 

জাজাল্লাহু আন্না মুহাম্মাদাম বিমা হুয়া আহলাহু, জাজাল্লাহু আন্না মুহাম্মাদান মা হুয়া আহলাহু, জাজাল্লাহু আন্না মুহাম্মাদান আন্না মা হুয়া আহলাহু।

-       পাঠকারীর জন্য ৭০ জন ফেরেশতা ১০০০ দিন পর্যন্ত ছওয়াব লিখতে লিখতে ক্লান্ত হয়ে পড়ে। (তাবরানী)

 

আল্লাহুম্মা রাব্বা মুহাম্মাদিন সাল্লি আ’লা মুহাম্মাদিন আ’লা আ’লি মুহাম্মাদিন ওয়া আজজি মুহাম্মাদান সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামা মা হুয়া আহলুহু।

-       পাঠকারীর জন্য তার আমল লেখক ফেরেশতাদ্বয় ১০০০ দিন পর্যন্ত উহার ছওয়াব লিখতে লিখতে ক্লান্ত হয়ে পড়ে। (তাবরানী ফিল কাবীর)

 

আল্লাহুম্মা সাল্লি আলা মুহাম্নাদিন বি’আদাদী কুল্লী জিকরিহী আলফা আলফা মাররাতি।

-       এই দরূদ পড়া রসুলুল্লাহ (সাঃ) এর প্রতি সমস্ত দরূদ শরীফ পড়ার সমতুল্য হবে। (জারিয়াতুল উসুল)

 

আল্লাহুম্মা সাল্লি আলা মুহাম্নাদিন মাল’আস-সামাওয়াতি ওয়া মিল’আল আরদি ওয়া মিল’আল আরশিল আজীম।

-       এই দরূদ পাঠ করলে আসমান-জমীন পরিপূর্ণ এবং আরশে আজীমের সমতুল্য ছওয়াব পাবে। (জারিয়াতুল উসুল)

 

আল্লাহুম্মা সাল্লি আলা সাইয়্যিদিনা মুহাম্মাদিনিন নাবীয়্যীল উম্মাতিল হাবিবীল আলিয়্যিল কাদরীল আজীমিল জাহি ওয়া আলিহী ওয়া সাল্লাম।

- প্রত্যেক রাতে ১০ বার এবং জুমু'য়ার রাতে ১০০ বার নিয়মিতভাবে এই দরূদ শরীফ পাঠ করলে, মৃত্যুর পর রসূলুল্লাহ (সা:) স্বয়ং পাঠকারীকে সমাহিত করবেন। (মাজমু'য়া, সাইয়্যেদ আহমাদ দাহলান)

 

আল্লাহুম্মা সাল্লি ওয়া সাল্লিম ওয়া বারিক আ'লা সাইয়্যিদীনা মুহাম্মাদিনিল ফাতিহী লিমা উগলিকাল খাতিমী লিমা সাবাকা ওয়ান্নাছিরিল হাক্কি বিল হাক্কি ওয়াল হাদি-উ ইলা ছিরাতিকাল মুস্তাকিম, সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আ'লা আলিহী ওয়া আসহাবিহী হাক্কা কাদরিহী ওয়া মিকদারিহীল আজীম।

- পাঠকারী দোযখে যাবে না।

- ৬ লক্ষ দরূফ শরীফ পাঠের ছওয়াব পাবে। (শারহে দ্বারদী-আহমাদ ছাবী)

 

কোরআনের যে সূরা যে বিপদ থেকে রক্ষা করবেঃ

সূরা ফাতিহা      - আল্লাহর গজব থেকে রক্ষা করবে।

সূরা ইয়াসিন      - কিয়ামতের দিন পিপাসার্ত হওয়া থেকে রক্ষা করবে।

সূরা ওয়াকি'আ            - দরিদ্রতা হতে রক্ষা করবে।

সূরা মূলক         - কবরের আজাব থেকে রক্ষা করবে।

সূরা কাউসার    - শত্রুর অনিষ্ট হতে রক্ষা করবে।

সূরা কাফিরুন   - মৃত্যুর সময় কুফরী হতে রক্ষা করবে।

সূরা ইখলাস      - মুনাফিকী হতে রক্ষা করবে।

সূরা ফালাক      - হিংসুকের হিংসার হতে রক্ষা করবে।

সূরা নাস           - যাবতীয় ওয়াসাওয়াসা হতে রক্ষা।

 

২০ মিনিটে ২০ খতম কুরআন তেলাওয়াতের ছওয়াবঃ

সূরা ইয়াছিন                        - ১ বার পড়লে ১০ খতমের ছওয়াব

সূরা ফালাক ও সূরা নাছ       - ১ বার পড়লে ১ খতমের ছওয়াব

সূরা যিলযাল                      - ২ বার পড়লে ১ খতমের ছওয়াব

সূরা আদিয়াত                    - ২ বার পড়লে ১ খতমের ছওয়াব

সূরা ইখলাস                        - ৩ বার পড়লে ১ খতমের ছওয়াব

সুরা ফাতেহা                        – ৩ বার পড়লে ২ খতমের ছওয়াব

সূরা নাসর                           - ৪ বার পড়লে ১ খতমের ছওয়াব

সূরা কাফিরূন                      - ৪ বার পড়লে ১ খতমের ছওয়াব

সূরা কদর                            - ৪ বার পড়লে ১ খতমের ছওয়াব

আয়াতুল কুরসী                 - ৪ বার পড়লে ১ খতমের ছওয়াব

 

 

সূরা ইয়াছিন (সূরা নং ৩৬) - ১ বার পড়লে ১০ খতমের সওয়াব

(বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম)

৩৬.১. ইয়াসিন।

৩৬.২. ওয়াল কুরআনিল হাকিম।

৩৬.৩. ইন্নাকা লা-মিনাল মুরসালিন।

৩৬.৪. আলা সিরাতিম মুসতাকিম।

৩৬.৫. তানজিলাল আজিজির রাহিম।

৩৬.৬. লিতুনজিরা কাওমাম্মা-উনজিরা আ-বা উহুম ফাহুম গা-ফিলুন।

৩৬.৭. লাকাদ হাক্কাল কাওলু আলা-আকসারিহিম ফাহুম লা-ইউ-মিনুন।

৩৬.৮. ইন্না-যা‘আলনা-ফি আ‘না-কিহিম আগলা-লান ফাহিয়া ইলাল আজকানি ফাহুম মুকমাহুন।

৩৬.৯. ওয়া যা‘আলনা-মিম বাইনি আইদিহিম ছাদ্দাও ওয়া মিন খালফিহিম ছাদ্দান ফাআগশাইনা-হুম ফাহুম লা-ইউবসিরুন।

৩৬.১০. ওয়া ছাওয়াউন আলাইহিম আ-আনযারতাহুম আম লাম তুনজিরহুম লা-ইউ-মিনুন।

৩৬.১১. ইন্নামা-তুনজিরু মানিত্তাবা আজজিকরা ওয়া খাশিয়ার রাহমানা বিলগাইবি ফাবাশশিরহু বিমাগফিরাতিও ওয়া আজরিন কারিম।

৩৬.১২. ইন্না-নাহনু-নুহয়িল মাওতা-ওয়া নাকতুবু মা-কাদ্দামু ওয়া আছা-রাহুম ওয়া কুল্লা শাইয়িন আহসাইনা-হু ফি ইমামিম মুবিন।

৩৬.১৩. ওয়াদরিব লাহুম মাছালান আসহা-বাল কারইয়াহ; ইযজা-আহাল মুরছালুন।

৩৬.১৪. ইজ আরছালনা ইলাইলি মুছনাইনি ফাকাজযাবু-হুমা-ফা‘আজঝাজনা-বিছা-লিছিন ফাকালু-ইন্না ইলাউকুম মুরছালুন।

৩৬.১৫. কা-লু-মা আনতুম ইল্লা-বাশারুম মিছলুনা-ওয়ামা আনঝালার-রাহমানু-মিন শাইয়িন ইন আনতুম ইল্লা-তাকজিবুন।

৩৬.১৬. কা-লু-রাব্বুনা-ইয়া‘লামু ইন্না-ইলাইকুম লা মুরছালুন।

৩৬.১৭. ওয়ামা-আলাইনা ইল্লাল বালাগুল মুবিন।

৩৬.১৮. কা-লু-ইন্না-তাতাইয়ারনা বিকুম লাইল্লাম তানতাহু-লানার-জুমান্নাকুম ওয়ালা-ইয়ামাছ-ছান্নাকুম মিন্না-আজবুন আলিম।

৩৬.১৯. কা-লু-তায়িরুকুম মা‘আকুম আইন যুক্কিরতুম বাল আনতুম কাওমুম মুছরিফুন।

৩৬.২০. ওয়াযা-আমিন আকসাল মাদিনাতি রাজুলুই ইয়াছ‘আকালা ইয়া-কাওমিত্তাবি‘উল মুরছালিন।

৩৬.২১. ইত্তাবি‘ঊ মাল্লা-ইয়াছ আলুকুম আজরাও ওয়া হুম মুহতাদুন।

৩৬.২২. ওয়া মা-লিয়া লা-আ-বুদুল্লাজি ফাতারানি ওয়া ইলাইহি তুরযা‘উন।

৩৬.২৩. আ-আত্তাখিজু মিন দুনিহী আলিহাতান ইয়্যুরিদনির রাহমানু বিদুররিল লা-তুগনি আন্নি শাফা-আতুহুম শাইআও ওয়ালা-ইউনকিজুন।

৩৬.২৪. ইন্নি ইযাল্লাফি দালালিম মুবিন।

৩৬.২৫. ইন্নি আ-মানতু-বিরাব্বিকুম ফাছমা‘ঊন।

৩৬.২৬. কিলাদ খুলিল জান্নাতা কা-লা ইয়া-লাইতা কাওমি ইয়া‘লামুন।

৩৬.২৭. বিমা-গাফারালি রাববি ওয়া যা‘আলানি মিনাল মুকরামিন।

৩৬.২৮. ওয়ামা-আনঝালনা আলা-কাওমিহি মিম বা‘দিহি মিন জুনদিম মিনাছ-ছামায়ী-ওয়ামা-কুন্না মুনজিলিন।

৩৬.২৯. ইন কানাত ইল্লা-সাইহাতাও ওয়া-হিদাতান ফাইযাহুম খা-মিদুন।

৩৬.৩০. ইয়া-হাছরাতান আলাল ইবাদি মা-ইয়া-তীহিম মির রাসুলিন ইল্লা-কানু বিহি ইয়াছতাহঝিউন।

৩৬.৩১. আলাম ইয়ারাও কাম আহলাক-না কাবলাহুম মিনাল কুরুনি আন্নাহুম ইলাইহিম লা-ইয়ারজি‘উন।

৩৬.৩২. ওয়া-ইন কুল্লুল-লাম্মা যামি‘উল লাদাইনা মুহদারুন।

৩৬.৩৩. ওয়া আয়াতুল্লাহুমুল আরদুল মাইতাতু আহ ইয়াইনাহা ওয়া আখরাজনা মিনহা হাব্বান ফামিনহু ইয়া কুলুন।

৩৬.৩৪. ওয়া যা-আলনা ফিহা জান্নাতিম মিন নাখিলিও ওয়া আ‘নাবিও ওয়া ফাজ্জারনা ফিহা মিনাল উইয়ুন।

৩৬.৩৫. লিয়াকুলু মিন ছামারিহি ওয়ামা আমিলাত-হু আইদিহিম আফালা ইয়াশকুরুন।

৩৬.৩৬. সুবহানাল্লাজি খালাকাল আঝ-ওয়াযা কুল্লাহা মিম্মা তুমবিতুল আরদু ওয়ামিন আনফুছিহিম ওয়া মিম্মা লা-ইয়া‘লামুন।

৩৬.৩৭. ওয়া আয়াতুল লাাহুমুল লাইলু নাছলাখু মিনহুন নাহারা ফাইযাহুম মুজলিমুন।

৩৬.৩৮. ওয়াশ-শামছু তাজরি লিমুছতাকার-রিল লাহা যালিকা তাকদিরুল আজিজিল আলিম।

৩৬.৩৯. ওয়াল কামারা কাদ্দারনাহু মানা-ঝিলা হাত্তা-আদা-কাল উরজুনিল কাদিম।

৩৬.৪০. লাশশামছু ইয়ামবাগি লাহা আন তুদরিকাল কামারা ওয়ালাল্লাইলু সাবিকুন্নাহারি ওয়া কুল্লুন ফি ফালাকিই ইয়াছবাহুন।

৩৬.৪১. ওয়া আয়াতুল্লাহুম আন্না হামালনা যুররি-আতাহুম ফিল ফুলকিল মাশহুন।

৩৬.৪২. ওয়া খালাকনা লাহুম মিম মিছলিহি মা ইয়ার-কাবুন।

৩৬.৪৩. ওয়া ইন্না-শা নুগরিকহুম ফালা ছারিখা লাহুম ওয়ালাহুম ইউনকাজুন।

৩৬.৪৪. ইল্লা রাহমাতাম মিন্না ওয়া মাতা-আন ইলাহিন।

৩৬.৪৫. ওয়াইযা কিলা লাহু মুত্তাকু মা-বাইনা আইদীকুম ওয়ামা খালফাকুম লা‘আল্লাকুম তুরহামুন।

৩৬.৪৬. ওয়ামা-তা-তিহিম মিন আয়াতিম মিন আয়াতি রাব্বিহিম ইল্লা-কানু আনহা মু‘রিদিন।

৩৬.৪৭. ওয়া ইযা-কিলা লাহুম আনফিকু মিম্মা-রাঝাকা-কুমুল্লাহু কা-লাল্লাজিনা কাফারু লিল্লাজিনা আমানু আনুত‘ইমু মাল্লাও ইয়াশা উল্লাহু আত‘আমাহু ইন আনতুম ইল্লা-ফি দালা-লিম মুবিন।

৩৬.৪৮. ওয়া ইয়াকুলুনা মাতা হা-যাল ওয়া‘দুইন কনতুম সা-দিকিন।

৩৬.৪৯. মা ইয়ানজুরুনা ইল্লা ছাইহাতাও ওয়া হিদাতান তা-খুজুহুম ইয়াখিস সিমুন।

৩৬.৫০. ফালা ইয়াছতাতি‘ঊনা তাওসিয়াতাও ওয়ালা ইলা আহলিহিম ইয়ারজিঊন।

৩৬.৫১. ওয়া নুফিখা ফিছছুরি ফাইযা-হুম মিনাল আজদা-ছি ইলা রাব্বিহিম ইয়ানসিলুন।

৩৬.৫২. কা-লু ইয়া ওয়াইলানা মাম বা‘আছানা মিম মারকাদিনা হা-যা মা ওয়া‘আদার রাহমানু ওয়া ছাদাকাল মুরছালুন।

৩৬.৫৩. ইন কা-নাত ইল্লা ছাইহাতাও ওয়া-হিদাতান ফাইযা-হুম জামী‘উল লাদাইনা মুহদারুন।

৩৬.৫৪. ফাল ইয়াওমা লা-তুজলামু নাফছুন শাইয়্যাও ওয়ালা তুজঝাওনা ইল্লা মা কুনতুম তা‘মালুন।

৩৬.৫৫. ইন্না আছহা-বাল জান্নাতিল ইয়াওমা ফি শুগুলিন ফা-কিহুন।

৩৬.৫৬. হুম ওয়া আঝওয়া-জুহুম ফি যিলা-লিন আলাল আরাইকি মুত্তাকিঊন।

৩৬.৫৭. লাহুম ফিহা ফাকিহাতুও ওয়ালাহুম মা ইয়াদ্দা‘ঊন।

৩৬.৫৮. সালা-মুন কাওলাম মির রাব্বির রাহিম।

৩৬.৫৯. ওয়াম তা-ঝুল ইয়াওমা আইয়ুহাল মুজরিমুন।

৩৬.৬০. আলাম আ‘হাদ ইলাইকুম ইয়াবানি আ-দামা আল্লা তা‘বুদুশ শাইতানা ইন্নাহু লাকুম আদুওউম মুবিন।

৩৬.৬১. ওয়া আনি‘বুদুনী হাযা-সিরাতুম মুসতাকিম।

৩৬.৬২. ওয়া-লাকাদ আদাল্লা মিনকুম জিবিল্লান কাছিরান আফালাম তাকুনু তা‘কিলুন।

৩৬.৬৩. হাযীহী জাহান্নামুল্লাতি কুনতুম তু‘আদুন।

৩৬.৬৪. ইছলাওহাল ইয়া ওমা বিমা কুনতুম তাকফুরুন।

৩৬.৬৫. আল-ইয়াওমা নাখতিমু আলা আফওয়া-হিহিম ওয়া তুকাল্লিমুনা আইদিহিম ওয়া তাশহাদু আরজুলুহুম বিমা কানু ইয়াকসিবুন।

৩৬.৬৬. ওয়ালাও নাশাউ-লাতামাছনা আলা আ-ইউনিহিম ফাছতাবাকুছ ছিরা-তা ফাআন্না ইউবসিরুন।

৩৬.৬৭. ওয়ালাও নাশাউ লামাছাখনাহুম আলা মাকা-নাতিহিম ফামাছতাতা-ঊ মুদিয়্যাও ওয়ালা ইয়ারজি-ঊন।

৩৬.৬৮. ওয়ামান্নু আম্মির-হু নুনাক্কিছহু ফিল খালকি আফালা ইয়া-কিলুন।

৩৬.৬৯. ওয়ামা আল্লামনা হুশশিরা ওয়ামা ইয়ামবাগী লাহু ইন হুওয়া ইল্লা যিকরুও ওয়া কুরআনুম মুবিন।

৩৬.৭০. লিয়ুনজিরা মান কা-না হাইয়্যাও ওয়া ইয়া-হিক্কাল কাওলু আলাল কাফিরীন।

৩৬.৭১. আওয়া লাম ইয়ারাও আন্না খালাকনা-লাহুম মিম্মা আমিলাত আইদিনা আন-আ-মান ফাহুম লাহা মালিকুন।

৩৬.৭২. ওয়া জাল্লালনা-হা লাহুম ফামিনহা রাকুবুহুম ওয়া মিনহা ইয়া-কুলুন।

৩৬.৭৩. ওয়া লাহুম ফিহা মানা-ফি‘উ ওয়া মাশারিবু আফালা ইয়াশকুরুন।

৩৬.৭৪. ওয়াত্তা-খাজু মিন দুনিল্লাহি আলিহাতাল লা‘আল্লাহুম ইউনসারুন।

৩৬.৭৫. লা-ইয়াছ-তাতী‘ঊনা নাসরাহুম ওয়াহুম লাহুম জুনদুম মুহদারুন।

৩৬.৭৬. ফালা ইয়াহ-ঝুনকা কাওলুহুম; ইন্না না‘লামুমা ইউছিররূনা ওয়ামা ইউ‘লিনুন।

৩৬.৭৭. আওয়ালাম ইয়ারাল ইনছানু আন্না খালাকনা-হু মিন নুতফাতিন ফাইযা হুওয়া খাসিমুম মুবিন।

৩৬.৭৮. ওয়া দারাবা লানা মাছালাও ওয়া নাছিয়া খালকাহু কালা মাই ইউহয়্যিল ইযামা ওয়া হিয়া রামীম।

৩৬.৭৯. কুল ইউহয়্যি হাল্লাজি আনশা-আহা আওয়ালা মাররাতিও ওয়া হুয়া বিকুল্লি খালকিন আলিমু।

৩৬.৮০. আল্লাজি জা‘আলা লাকুম মিনাশ শাজারিল আখদারি না-রান ফাইজা আনতুম মিনহু তুকিদুন।

৩৬.৮১. আওয়া লাইসাল্লাজি খালাকাস-সামাওয়াতি ওয়াল আরদা বিকা-দিরিন আলা আই ইয়াখলুকা মিছলাহুম বালা ওয়া হুওয়াল খাল্লাকুল আলিম।

৩৬.৮২. ইন্নামা আমরুহু ইযা আরাদা শাইআন আই ইয়াকুলা লাহু কুন ফাইয়াকুন।

৩৬.৮৩. ফাসবুহা-নাল্লাজি বিয়াদিহি মালাকুতু কুল্লি শাইয়্যিও ওয়া ইলাইহি তুরজা‘ঊন।

 

সূরা ফালাক (সূরা নং ১১৩) ও সূরা নাছ (সূরা নং ১১৪) - ১ বার পড়লে ১ খতমের সওয়াব

সূরা ফালাক: (বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম)

কুল আঊযু বিরাব্বিল ফালাক। মিন শাররি মা খালাক। ওয়া মিন শাররি গা-ছিকিন ইযা ওয়াকাব। ওয়া মিন শাররিন নাফফা-ছা-তি ফিল উকাদ। ওয়া মিন শাররি হা-ছিদিন ইযা হাছাদ।

 

সূরা নাস: (বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম)

কুল আঊযু বিরাব্বিন্নাছ। মালিকিন্নাছ। ইলা-হিন্নাছ। মিন শাররিল ওয়াছ ওয়া ছিল খান্নাছ। আল্লাযী ইউ ওয়াছবিছু ফী সুদূরিন্নাছ। মিনাল জিন্নাতি ওয়ান্নাছ।

 

সূরা যিলযাল (সূরা নং ৯৯) - ২ বার পড়লে ১ খতমের সওয়াব

(বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম)

৯৯.১. ইযা-ঝুলঝিলাতিল আরদু ঝিলঝা-লাহা। ৯৯.২. ওয়া আখরাজাতিল আরদু আছকা-লাহা। ৯৯.৩. ওয়া কা-লাল ইনছানু মা-লাহা। ৯৯.৪. ইয়াও মাইযিন তুহাদ্দিছু আখবা-রাহা। ৯৯.৫. বিআন্না রাব্বাকা আওহা-লাহা। ৯৯.৬. ইয়াও মাইযি ইয়াস-দুরুন্নাছু আশতাত্তা-ল্লিউ-রাও আ‘মা-লাহুম। ৯৯.৭. ফামাই ইয়া‘মাল মিছকা-লা যার-রাতিন খাইরাই ইয়ারাহ। ৯৯.৮. ওয়ামাই ইয়া‘মাল মিছকালা যার-রাতিন শাররাই ইয়ারাহ।

 

সূরা আদিয়াত (সূরা নং-১০০) - ২ বার পড়লে ১ খতমের সওয়াব

(বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম)

১০০.১. ওয়াল আদিয়া-তি দাবহা। ১০০.২. ফাল মূরিয়া-তি কাদহা। ১০০.৩. ফাল মুগীরা-তি সুবহা। ১০০.৪. ফাআছারনা বিহী নাক‘আ। ১০০.৫. ফাওয়া ছাতানা বিহী জাম-আ। ১০০.৬. ইন্নাল ইনছানা লিরাব্বিহী লাকানূদ। ১০০.৭. ওয়া ইন্নাহূ-আলা যালিকা লা-শাহীদ। ১০০.৮. ওয়া ইন্নাহূ-লিহুব্বিল খাইরি লা-শাদীদ। ১০০.৯. আফালা-ইয়া‘লামু-ইযা-বু‘ছিরা মা-ফিল কুবূর। ১০০.১০. ওয়া হুসসিলা মা-ফিসসুদূর। ১০০.১১. ইন্না রাব্বাহুম বিহিম ইয়াওমা-ইযিল্লা-খাবীর।

 

সূরা ইখলাস (সূরা নং ১১২) - ৩ বার পড়লে ১ খতমের সওয়াব

(বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম)

কুল হু আল্লাহু আহাদ। আল্লাহুস সামাদ। লাম ইয়ালিদ ওয়ালাম ইউলাদ। ওয়ালাম ইয়াকুল্লাহু কুফুওয়ান আহাদ।

 

সুরা ফাতেহা (সূরা নং ০০১) – ৩ বার পড়লে ২ খতমের সওয়াব

(বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম)

আলহামদুলিল্লা-হি রব্বিল আলামীন। আর রহমানির রহীম। মা-লিকি ইয়াওমিদ্দীন। ইয়্যা কানা-বুদু ওয়া ইয়্যা কানাছতা-ঈন। ইহদিনাস সিরাতাল মুছতাকীম। সিরাতাল্লাযীনা আন-আমতা আলাইহিম। গাইরিল মাগদূবি আলাইহীম ওয়ালাদ্দাল্লীন। (আমিন)

 

সূরা নাসর (সূরা নং ১১০) - ৪ বার পড়লে ১ খতমের সওয়াব

(বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম)

১১০.১. ইযা-জা-আ-নাসরুল্লাহি ওয়াল ফাতহ। ১১০.২. ওয়ারা আইতান্না-ছা ইয়াদ খুলূনা ফী দীনিল্লা-হি আফওয়াজা। ১১০.৩. ফাছাব্বিহ বিহামদি রাব্বিকা ওয়াছ তাগফিরহু ইন্নাহূ কা-না তাওওয়া-বা।

 

সূরা কাফিরূন (সূরা নং ১০৯) - ৪ বার পড়লে ১ খতমের সওয়াব

(বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম)

১০৯.১। কুল ইয়া আইয়ুহাল কা-ফিরুন। ১০৯.২। লা আ‘বুদুমা-তা‘বুদুন। ১০৯.৩। ওয়ালা আনতুম আ-বিদুনা মাআ‘বুদ। ১০৯.৪। ওয়ালা আনা আ-বিদুম মা-আবাত্তুম। ১০৯.৫। ওয়ালা আনতুম আ-বিদুনা মাআ‘বুদ। ১০৯.৬। লাকুম দ্বীনুকুম ওয়ালিয়া দ্বীন।

 

সূরা কদর (সূরা নং ৯৭) - ৪ বার পড়লে ১ খতমের সওয়াব

(বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম)

৯৭.১। ইন্না-আনঝালনাহু ফী লাইলাতিল কাদর। ৯৭.২। ওয়ামা-আদরা-কা-মা-লাইলাতুল কাদর। ৯৭.৩। লাইলাতুল কাদরি খাইরুম মিন আলফি শাহর। ৯৭.৪। তানাঝঝালুল মালাইকাতু-ওয়াররুহু ফীহা-বিইযনি রাব্বিহিম মিন কুল্লি আমর। ৯৭.৫। ছালা-মুন হিয়া হাত্তা-মাতলা‘ইল ফাজর।

 

আয়াতুল কুরসী - ৪ বার পড়লে ১ খতমের সওয়াব

আল্লাহু লা-ইলাহা ইল্লা হুয়াল হাইয়্যুল কাইয়ুম। লা-তাখুজুহু সিনাতুও ওয়ালা নাউম। লাহুমা ফিস সামাওয়াতি ওয়ামা ফিল আরদ। মান যাল্লাযী ইয়াশফাউ ইন্দাহু ইল্লা বিইযনিহী, ইয়া লামু-মা বাইনা আইদিহিম ওয়ামা খালফাহুম, ওয়ালা ইউহিতুনা বিশাইয়িম মিন ইলমিহি ইল্লা বিমা শা-আ, ওয়াসিয়া কুরসিহুস সামাওয়াতি ওয়াল আরদ, ওয়ালা ইয়াউ দুহু হিফজুহুমা ওয়া হুয়াল আলিয়্যুল আজীম।

 

সূরা তাকাসুর (সূরা নং ১০২) পাঠে করলে ১০০০ আয়াত পাঠের ছওয়াব

 (বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম)

১০২.১। আলহা কুমু-ত্তাকাছুর। ১০২.২। হাত্তা ঝুরতুমুল মাকাবির। ১০২.৩। কাল্লা ছাউফা তা-লামুন। ১০২.৪। ছুম্মা কাল্লা ছাউফা তা-লামুন। ১০২.৫। কাল্লা-লাও তা-লামুনা ইলমাল ইয়াকীন। ১০২.৬। লা-তারা উন্নাল জাহিম। ১০২.৭। ছুম্মা লাতারা উন্নাহা আইনাল ইয়াকীন। ১০২.৮। ছুম্মা লাতুছ আলুন্না ইয়াও মা-ইযিন-আনিন্না-ঈম।

 

সূরা মুলক

(বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম)

৬৭.১। তাবারাকাল্লাযী বিয়াদিহিল মূলকু ওয়া হুওয়া আলা কুল্লি শাইয়িন কাদীর।

৬৭.২। আল্লাজী খালাকাল মাওতা ওয়াল হায়াতা লি’ইয়াবলু ওয়াকুম আই’উকুম আহছানু আমালান। ওয়া হুওয়াল আজিজুল গাফুর।

৬৭.৩। আল্লাজি খালাকা ছাব‘আ ছামা’ওয়াতিন তিবাকান। মাতারা’ফি খালকির রাহমানি মিন তাফাউত। ফারজি‘ইল বাসারা হাল তারা’মিন ফুতুর।

৬৭.৪। ছুম্মার জি’ইল বাসারা কাররা’তায়নি ইয়ান কালিব ইলাইকাল বাসারু খাছিআও ওয়া হুওয়া হাছীর।

৬৭.৫। ওয়া লাকাদ জাই’ইয়ান্নাছ ছামা--আদ্দুনিয়া বিমাসা বিহা ওয়াজা আলনা’হা রুজুমাল লিশ’শায়াতিনি ওয়া আতাদনা লাহুম আযা বাছ ছায়ীর। ।

৬৭.৬। ওয়া লিল্লাযীনা কাফারু বিরাব্বিহিম আযাবু জাহান্নাম। ওয়াবি’ছাল মাছীর।

৬৭.৭। ইজা-- উলকু ফিহা ছামি’উ লাহা শাহিকাও ওয়া হিয়া তাফুর।

৬৭.৮। তাকাদু তামাইয়্যাজু মিনাল গাইজি কুল্লামা-- উলকিয়া ফিহা ফাওজুন ছা’আলাহুম খাজানাতুহা-- আলাম ইয়াতিকুম নাজীর।

৬৭.৯। কালু বালা কাদ জা—আনা নাজিরুন ফাকাজ জাবনা ওয়া কুলনা মানাজ জালাল্লাহু মিন শাইয়িন ইন আনতুম ইল্লা ফি দা’লালিন কাবীর।

৬৭.১০। ওয়া কালুউ লাও কুন্না নাছমা’উ আওনা কিলুমা কুন্না-ফি--আসহা’বিছ ছায়ীর।

৬৭.১১। ফা তারাফু বিজাম বিহিম ফাছুহক কাল্লি আসহা’বিছ ছায়ীর।

৬৭.১২। ইন্নাল্লাযীনা ইয়াখশাওনা রাব্বাহুম বিল গাইবি লাহুম মাগফিরাতুও ওয়া আজরুন কাবীর।

৬৭.১৩। ওয়া আছিররুউ কাওলাকুম আউয়্যীজ হারুবিহি ইন্নাহু আলিমুম বিজাতিস ছুদুর।

৬৭.১৪। আলা ইয়া লামু মান খালাক ওয়া হুওয়াল লাতিফুল খাবীর।

৬৭.১৫। হুওয়াল্লাযী জা’আলা লাকুমুল আরদা জালুলান ফামশু ফি মানা কিবিহা ওয়া কুলুমির রিজকিহি ওয়া ইলাইহিন নুশুর।

৬৭.১৬। আ’আমিনতুম মান ফিছ ছামা--য়ী আই ইয়াখ সিফা বিকুমুল আরদা ফা’ইযা হিয়া তামুর।

৬৭.১৭। আম আমিনতুম মান ফিছ ছামা--য়ী আই ইউরছিলা আলাইকুম হাছিবান ফাছাতা লামুনা কাইফা নাযীর।

৬৭.১৮। ওয়া লাকাদ কাজ্জাবাল্লাযীনা মিন কাবলিহিম ফাকাইফা কানা নাকীর।

৬৭.১৯। আওয়ালাম ইয়ারাও ইলাত্তাইরি ফাওকাহুম সা—ফফাতিউ ওয়া ইয়াকবিদুন। মা ইউমছি কুহুন্না ইল্লার রাহমানু ইন্নাহু বিকুল্লি শাইয়িম বাছীর।

৬৭.২০। আম্মান হাজাল্লাযী হুওয়া জুনদুল্লাকুম ইয়ান সুরুকুম মিন দুনির রাহমান। ইনিল কাফিরুনা ইল্লা ফি গুরুর।

৬৭.২১। আম্মান হাজাল্লাযী ইয়ার জুকুকুম ইন আমছাকা রিজকাহু বাল্লাজজুফি উতুউ ইউ ওয়া নুফুর।

৬৭.২২। আফামাই ইয়ামশি মুকিব্বান আলা ওয়াজহিহী—আহদা-- আম্মাই ইয়ামশি ছাউ-ইয়ান আ’লা সিরাতিম মুসতাকীম।

৬৭.২৩। কুল হুওয়াল্লাযী-- আনশাআকুম ওয়া জা‘আলা লাকুমুছ ছাম‘আ ওয়াল আবসারা ওয়াল আফ ইদাতা কালিলাম মা তাশকুরুন।

৬৭.২৪। কুল হুওয়াল্লাযী যারাআকুম ফিল আরদি ওয়া ইলাইহি তুহশারুন।

৬৭.২৫। ওয়া ইয়া কুলুনা মাতা হাযাল ওয়া দু’ইন কুনতুম সাদিকীন।

৬৭.২৬। কুল ইন্নামাল ইলমু ইনদাল্লাহি ওয়া ইন্নামা-- আনা নাজিরুম মুবীন।

৬৭.২৭। ফালাম্মা-রা আওহু জুলফাতান ছী--আত উজুউ হুল্লাযীনা কাফারু ওয়া কিলা হাযাল্লাযী কুনতুম বিহি তাদ্দাঊন।

৬৭.২৮। কুল আরা আইতুম ইন আহলাকা নিয়াল্লাহু ওয়া মাম্মা‘ইয়া আও রাহিমানা ফামাই উজিরুল কা’ফিরীনা মিন আযাবিন আলীম।

৬৭.২৯। কুল হুওয়ার রাহমানু আমান্না বিহি ওয়া আলাইহি তাওয়াক্কালনা ফাছাতা’লামুনা মান হুওয়া ফি দালালিম মুবীন।

৬৭.৩০। কুল আরা আইতুম ইন আসবাহা মা--উকুম গাওরান ফামাই ইয়াতীকুম বিমা--ইম মা’ঈন।

 

সুরা নং- ০৩২: (আলিফ-লাম-মীম) আস-সাজদাহ

(বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম)

৩২.১। আলিফ লাম মীম।

৩২.২। তানঝীলুল কিতাবি লা-রাইবা ফীহি মির রব্বিল আ-লামীন।

৩২.৩। আম ইয়াকুলূনাফ তারা-হু বাল হুওয়াল হাক্কুমির রাব্বিকা লিতুনযীরা কাওমাম মা-আতা-হুম মিন নাযীরিম মিন কাবলিকা লা‘আল্লাহুম ইয়াহতাদূন।

৩২.৪। আল্লাহুল্লাযী খালাকাস সামাওয়াতি ওয়াল আরদা ওয়ামা বাইনা হুমা-ফী ছিত্তাতি আইয়্যামিন ছুম্মাস্ তাওয়া আলাল আরশি মা-লাকুম মিন দুনিহী মিও ওয়ালিইয়্যিও ওয়ালা শাফী‘ইন আফালা-তাতাযাক্কারূন।

৩২.৫। ইউদাব্বিরুল আমরা মিনাস্ সামা-য়ি ইলাল আরদি ছুম্মা ইয়া-রুজু ইলাইহি ফী ইয়াওমিন কানা মিকদা-রুহূ আলফা ছানাতিম মিম্মা-তা‘উদ্দূন।

৩২.৬। যা-লিকা আ-লিমুল গাইবি ওয়াশ-শাহাদাতিল আজিজুর রাহীম।

৩২.৭। আল্লাযী আহছানা কুল্লা শাইয়িন খলাকাহূ ওয়া বাদা-আ খালকাল ইনছানি মিন ত্বীন।

৩২.৮। ছুম্মা জা‘আলা নাছলাহূমিন সুলা-লাতিম মিম মা-য়িম মাহীন।

৩২.৯। ছুম্মা ছাও-ওয়াহু ওয়ানাফাখ ফীহি মির রূহিহী ওয়াজা‘আলা লাকুমুস্ সাম‘আ ওয়াল আব্ছোরা ওয়াল আফ-ইদাতা কালীলাম মা-তাশকুরূন।

৩২.১০। ওয়া কালূ ইযা-দালাল্না-ফিল আরদি আইন্না-লাফী খালকিন জাদীদ বাল হুম বিলিকায়ি রাব্বিহিম কা-ফিরূন।

৩২.১১। কুল ইয়া তাওয়াফ্ফা-কুম মালাকুল মাওতিল্লাযী উক্কিলা বিকুম ছুম্মা ইলা-রাব্বিকুম তুরজা‘ঊন।

৩২.১২। ওয়া লাও তারা-ইযিল মুজরিমূনা না-কিসূ রুয়ূছিহিম ইন্দা রাব্বিহিম রাব্বানা আবছারনা-ওয়া সামি-না ফারজি-না না-মাল ছালিহান ইন্না-মূকিনূন।

৩২.১৩। ওয়ালাও শিনা-লা আ-তাইনা কুল্লা নাফ্সিন হুদা হাওয়ালা-কিন হাক্কাল কাওলু মিন্নী লাআমলা-আন্না জাহান্নামা মিনাল জিন্নাতি ওয়ান্না-সি আজ মা‘ঈন।

৩২.১৪। ফাযূকু বিমা-নাসীতুম লিকা-আ ইয়াওমিকুম হাযা-ইন্না নাসীনা-কুম ওয়া যূকু আযাবাল খুলদি বিমা-কুনতুম তা-মালূন।

৩২.১৫। ইন্নামা-ইউ মিনু বি-আয়াতিনাল্লাযীনা ইযা যুক্কিরূ বিহা খাররু সুজ্জ্বাদাও ওয়াসাব্বাহূ বিহামদি রাব্বিহিম ওয়া হুম লা-ইয়াস্তাকবিরূন।

৩২.১৬। তাতাজা-ফা-জুনূবুহুম আনিল মাদা-জি‘ই ইয়াদ‘ঊনা রাব্বাহুম খাওফাও ওয়া তামা-আও ওয়া মিম্মা-রাযাকনা-হুম ইউনফিকুন।

৩২.১৭। ফালা-তা-লামু নাফ্সুম মাউখ-ফিয়া লাহুম মিন কুররাতি আ-ইউনিন জাঝা-আম বিমা-কানূ ইয়া-মালূন।

৩২.১৮। আফামান কা-না মুমিনান কামান কা-না ফাছিকাল লা-ইয়াছ-তাউন।

৩২.১৯। আম্মাল্লাযীনা আ-মানূ ওয়া আমিলুছ ছালিহাতি ফালাহুম জান্নাতুল মাওয়া নুঝুলাম বিমা কা-নূ ইয়া-মালূন।

৩২.২০। ওয়া আম্মাল্লাযীনা ফাসা-কুফা-মাওয়া-হুমুন্নারু কুল্লামা আরাদূ আই ইয়াখরুজু মিনহা উ‘ঈদূ ফীহা- ওয়া কীলা লাহুম যূকু আযাবান্না-রিল্লাযী কুনতুম বিহী তুকাযযীবূন।

৩২.২১। ওয়া লানু যীকান্নাহুম মিনাল আযাবিল আদনা-দূনাল আযাবিল আকবারি লা‘আল্লাহুম ইয়ারজি‘ঊন।

৩২.২২। ওয়া মান আজলামু মিম্মান যুক্কিরা বি-আয়াতি রাব্বিহী ছুম্মা আরাদা আনহা-ইন্না-মিনাল মুজরিমীনা মুনতাকিমূন।

৩২.২৩। ওয়া লাকাদদ আ-তাইনা মূসাল কিতাবা ফালা-তাকুন ফী মির ইয়াতিম মিল্লিকাইহী ওয়া জা‘আল্নাহু হুদাল লিবানী ইস্রাঈল।

৩২.২৪। ওয়া জা‘আল্না-মিনহুম আ-ইম্মাতাই ইয়াহ-দুনা বি-আমরিনা লাম্মা-ছাবারূ ওয়াকা-নূ বি-আয়াতিনা ইয়ূকিনূন।

৩২.২৫। ইন্না রাব্বাকা হুওয়া ইয়াফসিলু বাইনাহুম ইয়াওমাল কিয়ামাতি ফীমা কা-নূ ফীহি ইয়াখ্তালিফূন।

৩২.২৬। আওয়ালাম ইয়াহদি লাহুম কাম আহলাকনা-মিন কাবলিহিম মিনাল কুরূনি ইয়ামশুনা ফী মাসা-কিনিহিম ইন্না ফী যা-লিকা লা-আয়াতিন আফালা ইয়াস-মাঊন।

৩২.২৭। আওয়ালাম ইয়ারাও আন্না-নাসূকুল মা-আ ইলাল আরদিল জুরুঝি ফানুখরিজু বিহী ঝার‘আন তাকুলু মিনহু আন‘আ-মুহুম ওয়া আনফুছুহুম আফালা-ইউবছিরূন।

৩২.২৮। ওয়া ইয়াকুলূনা মাতা-হাযাল ফাতহু-ইন কুনতুম ছাদিকীন।

৩২.২৯। কুল ইয়াওমাল ফাতহিলা-ইয়ানফা‘ঊল্লাযীনা কাফারূ-ঈমা-নুহুম ওয়ালা-হুম ইউনজারূন।

৩২.৩০। ফা‘আরিদ আনহুম ওয়ান তাজির ইন্নাহুম মুনতাজিরূন।

 

সূরা আত-তাগাবুন (সূরা নং ৬৪) ফজর নামাযের পরে সূর্যোদয়ের আগে

(বিসমিল্লাহীর রাহমানির রাহিম)

৬৪.১: ইউছাব্বিহু লিল্লা-হি মা-ফিছ ছামাওয়াতি ওয়ামা ফিল আরদি লাহুল মুলকু ওয়া লাহুল হামদু ওয়া হুওয়া আলা কুল্লি শাইয়িন কাদীর।

৬৪.২: হুওয়াল্লাযী খালাকাকুম ফামিনকুম কা-ফিরুও ওয়া মিনকুম মুমিনুন ওয়াল্লাহু বিমাতা-মালূনা বাছীর।

৬৪.৩: খালাকাছছামা-ওয়াতি ওয়াল আরদা বিলহাক্কি ওয়া সাও-ওয়ারাকুম ফাআহছানা সুওয়ারাকুম ওয়া ইলাইহিল মাছীর।

৬৪.৪: ইয়া‘লামুমা ফিছ ছামাওয়াতি ওয়াল আরদি ওয়া ইয়া‘লামুমা তুছিররূনা ওয়া মাতু‘লিনূনা ওয়াল্লাহু আলীমুম বিযাতিস-সুদূর।

৬৪.৫: আলাম ইয়াতিকুম নাবা-উল্লাযীনা কাফারূমিন কাবলু ফাযা-কূ ওয়া বা-লা আমরিহিম ওয়া লাহুম আযাবুন আলীম।

৬৪.৬: যা-লিকা বিআন্নাহূকা-নাত তা-তীহিম রুছুলুহুম বিলবায়্যিনাতি ফাকালূ আবাশারুই ইয়াহদূ নানা-ফাকাফারূ ওয়া তাওয়াল্লাও ওয়াছতাগনাল্লাহু ওয়াল্লাহু গানিইয়ুন হামিদ।

৬৪.৭: ঝা‘আমাল্লাযীনা কাফারূ আল্লাই ইউব‘আছূ কুল বালা-ওয়া রাববী লাতুব‘আছুন্না ছুম্মা লাতু নাব্বাউন্না বিমা-আমিলতুম ওয়া যা-লিকা আলাল্লা-হি ইয়াছীর।

৬৪.৮: ফা আমিনূবিল্লাহি ওয়া রাছূলিহী ওয়ান্নূরিল্লাযী আনঝালনা ওয়াল্লাহু বিমাতা‘মালূনা খাবীর।

৬৪.৯: ইয়াওমা ইয়াজমা‘উকুম লিইয়াওমিল জাম‘ইযা-লিকা ইয়াওমুত্তাগা-বুন ওয়া মাই ইউ-মিম বিল্লাহি ওয়া ইয়া‘মাল সা-লিহাই ইউকাফফির আনহু ছাইয়্যি আ-তিহী ওয়া ইউদখিলহু জান্নাতিন তাজরী মিন তাহতিহাল আনহারু খালিদীনা ফীহা আবাদা যালিকাল ফাওঝুল আজীম।

৬৪.১০: ওয়াল্লাযীনা কাফারূ ওয়া কাযযাবূ বি-আয়াতিনা উলাইকা আসহা-বুন্নারি খালিদীনা ফীহা ওয়া বি-ছাল মাছির।

৬৪.১১: মা আসা-বা মিম মুসীবাতিন ইল্লা-বিইযনিল্লাহি ওয়া মাই ইউ-মিম বিল্লাহি ইয়াহদি কালবাহূ ওয়াল্লাহু বিকুল্লি শাইয়িন আলীম।

৬৪.১২: ওয়া আতী‘উল্লাহা ওয়া আতী‘উর রাছূলা ফাইন তাওয়াল্লাইতুম ফাইন্নামা আলা রাছূলি-নাল বালা-গুল মুবীন।

৬৪.১৩: আল্লাহু লা ইলা-হা ইল্লা হুওয়া ওয়া আলাল্লাহি ফালইয়া তাওয়াক্কালিল মু-মিনূন।

৬৪.১৪: ইয়া আইয়ুহাল্লাযীনা আ-মানূ ইন্না মিন আঝওয়া-জিকুম ওয়া আওলা-দিকুম আদুউ-ওয়াল লাকুম ফাহ-যারূহুম ওয়া ইন তা‘ফূওয়া তাস-ফাহূওয়া তাগফিরূ ফাইন্নাল্লাহা গাফূরুর রাহীম।

৬৪.১৫: ইন্নামা আমওয়া-লুকুম ওয়া আওলা-দুকুম ফিতনাতুও ওয়াল্লাহু ইনদাহূ আজরুন আজীম।

৬৪.১৬: ফাত্তাকুল্লাহা মাছতাতা‘তুম ওয়াছমা‘উ ওয়া আতী‘ঊ ওয়া আনফিকূ খাইরাল লিআনফুছিকুম ওয়া মাই ইঊকা শুহহা নাফছিহী ফাউলাইকা হুমুল মুফলিহূন।

৬৪.১৭: ইন তুকরিদুল্লা-হা কারদান হাছানাই ইউদা-ইফহু লাকুম ওয়া ইয়াগ ফিরলাকুম ওয়াল্লাহু শাকূরুন হালীম।

৬৪.১৮: আ-লিমুল গাইবি ওয়াশশাহা-দাতিল আজীজুল হাকীম।

 

 

সূরা আর রাহমান

সূরা আর রহমান পবিত্র কোরআনের ৫৫ নম্বর সুরা। কোরআনের ২৭তম পারায় সুরাটি অবস্থিত। এর আয়াত সংখ্যা ৭৮ এবং রুকু তথা অনুচ্ছেদ সংখ্যা ৩। সুরা আর রহমান মক্কায় অবতীর্ণ হয়েছে।

 

১. আর-রাহমা-ন।

২. আল্লা-মাল কোরআন।

৩. খালাকাল ইনছা-ন।

৪. আল্লামাহুল বায়া-ন।

৫. আশ-শামছু-ওয়াল-কামারু বি-হুছবান।

৬. ওয়ান্নাজমু-ওয়াশ-শাযারু ইয়াছ জুদা-ন।

৭. ওয়াছ ছামাআ রাফা‘আহা-ওয়া ওয়াদা‘আল মিজা-ন।

৮. আল্লা-তাতাগাও ফিল মিজা-ন।

৯. ওয়া আকিমুল ওয়াজনা বিলকিছতি-ওয়ালা-তুখছিরুল মিজা-ন।

১০. ওয়াল আরদা ওয়া দা আহা-লিল-আনা-ম।

১১. ফিহা-ফা-কিহাতুওঁ ওয়ান্নাখলু-যা-তুল আকমা-ম।

১২. ওয়াল হাব্বুযুল‘আসফি ওয়ার রাইহা-ন।

১৩. ফাবিআইয়ি আ-লা ই রাব্বিকুমা- তুকাজজিবা-ন ।

১৪. খালাকাল ইনছা-না মিন সালসা-লিন কাল ফাখখা-র।

১৫. ওয়া খালাকাল জান্না মিম্মা-রিজিমমিন্না-র।

১৬. ফাবিআইয়ি আ-লা ই রাব্বিকুমা- তুকাজজিবা-ন ।

১৭. রাব্বুল মাশরিকাইনি ওয়া রাব্বুল মাগরিবাইন।

১৮. ফাবিআইয়ি আ-লা ই রাব্বিকুমা- তুকাজজিবা-ন ।

১৯. মারাজাল বাহরাইনি ইয়ালতাকিয়া-ন।

২০. বাইনাহুমা-বারঝাখুল লা-ইয়াবগিয়া-ন।

২১. ফাবিআইয়ি আ-লা ই রাব্বিকুমা- তুকাজজিবা-ন ।

২২. ইয়াখরুজুমিনহুমাল লু’লুউ ওয়াল মার যা-ন।

২৩. ফাবিআইয়ি আ-লা ই রাব্বিকুমা- তুকাজজিবা-ন ।

২৪. ওয়ালাহুল যাওয়া-রিল মুনশাআ-তুফিল বাহরি কালআ‘লা-ম।

২৫. ফাবিআইয়ি আ-লা ই রাব্বিকুমা- তুকাজজিবা-ন ।

২৬. কুল্লুমান ‘আলাইহা-ফা-নি।

২৭. ওয়া-ইয়াব-কা-ওয়াজহু রাব্বিকা জুল জালা-লি ওয়াল ইকরা-ম।

২৮. ফাবিআইয়ি আ-লা ই রাব্বিকুমা- তুকাজজিবা-ন ।

২৯. ইয়াছ-আলুহুমান ফিছ ছামা-ওয়া-তি ওয়াল আরদি কুল্লা ইয়াওমিন হুওয়া ফি শা’ন।

৩০. ফাবিআইয়ি আ-লা ই রাব্বিকুমা- তুকাজজিবা-ন ।

৩১. ছানাফরুগু লাকুম আইয়ুহাছছাকালা-ন।

৩২. ফাবিআইয়ি আ-লা ই রাব্বিকুমা- তুকাজজিবা-ন ।

৩৩. ইয়া-মা‘শারাল জিন্নি ওয়াল ইনছি ইনিছতাতা‘তুম আন তানফুজুমিন আকতা-রিছ ছামাওয়া-তি ওয়াল আরদিফানফুজু লা-তানফুজুনা ইল্লা-বিছুলতা-ন।

৩৪. ফাবিআইয়ি আ-লা ই রাব্বিকুমা- তুকাজজিবা-ন ।

৩৫. ইউরছালু‘আলাইকুমা-শুওয়া-জু ম মিন্না-রিওঁ ওয়া নুহা-ছুন ফালা-তানতাসিরা-ন।

৩৬. ফাবিআইয়ি আ-লা ই রাব্বিকুমা- তুকাজজিবা-ন ।

৩৭. ফাইজান শাককাতিছ ছামাউ ফাকা-নাত ওয়ারদাতান কাদ্দিহা-ন।

৩৮. ফাবিআইয়ি আ-লা ই রাব্বিকুমা- তুকাজজিবা-ন ।

৩৯. ফাইয়াওমা ইযিল্লা-ইউছআলু‘আন যামবিহি ইনছুওঁ ওয়ালা-যান।

৪০. ফাবিআইয়ি আ-লা ই রাব্বিকুমা- তুকাজজিবা-ন ।

৪১. ইউ‘রাফুল মুজরিমুনা বিছিমা-হুম ফাইউ’খাজুবিন্নাওয়া-ছি ওয়াল আকদা-ম।

৪২. ফাবিআইয়ি আ-লা ই রাব্বিকুমা- তুকাজজিবা-ন ।

৪৩. হা-জিহি জাহান্নামুল্লাতী ইউকাজজি বুবিহাল মুজরিমুন।

৪৪. ফাবিআইয়ি আ-লা ই রাব্বিকুমা- তুকাজজিবা-ন ।

৪৫. ফাবিআইয়ি আ-লা ই রাব্বিকুমা- তুকাজজিবা-ন ।

৪৬. ওয়া লিমান খা-ফা মাকা-মা রাব্বিহি জান্নাতা-ন।

৪৭. ফাবিআইয়ি আ-লা ই রাব্বিকুমা- তুকাজজিবা-ন ।

৪৮. যাওয়া-তা আফনা-ন।

৪৯. ফাবিআইয়ি আ-লা ই রাব্বিকুমা- তুকাজজিবা-ন ।

৫০. ফিহিমা-‘আইনা-নি তাজরিয়া-ন।

৫১. ফাবিআইয়ি আ-লা ই রাব্বিকুমা- তুকাজজিবা-ন ।

৫২. ফিহিমা-মিন কুল্লি ফা-কিহাতিন জাওযা-ন।

৫৩. ফাবিআইয়ি আ-লা ই রাব্বিকুমা- তুকাজজিবা-ন ।

৫৪. মুত্তাকিঈনা ‘আলা-ফুরুশিম বাতাইনুহা-মিন ইছতাবরাকিও ওয়া জানাল জান্নাতাইনি দা-ন।

৫৫. ফাবিআইয়ি আ-লা ই রাব্বিকুমা- তুকাজজিবা-ন ।

৫৬. ফিহিন্না কা-সিরা-তুত্তারফি লাম ইয়াতমিছহুন্না ইনছুন কাবলাহুম ওয়ালা-যান।

৫৭. ফাবিআইয়ি আ-লা ই রাব্বিকুমা- তুকাজজিবা-ন ।

৫৮. কাআন্নাহুন্নাল ইয়া‘কুতুওয়াল মারজান-ন।

৫৯. ফাবিআইয়ি আ-লা ই রাব্বিকুমা- তুকাজজিবা-ন ।

৬০. হাল জাঝাউল ইহছা-নি ইল্লাল ইহছা-ন।

৬১. ফাবিআইয়ি আ-লা ই রাব্বিকুমা- তুকাজজিবা-ন ।

৬২. ওয়া মিন দুনিহিমা-জান্নাতা-ন।

৬৩. ফাবিআইয়ি আ-লা ই রাব্বিকুমা- তুকাজজিবা-ন ।

৬৪.মুদ হুমমাতা-ন।

৬৫. ফাবিআইয়ি আ-লা ই রাব্বিকুমা- তুকাজজিবা-ন ।

৬৬. ফিহিমা-‘আইনা-নি নাদ্দাখাতা-ন।

৬৭. ফাবিআইয়ি আ-লা ই রাব্বিকুমা- তুকাজজিবা-ন ।

৬৮. ফিহিমা-ফা-কিহাতুওঁ ওয়া নাখলুওঁ ওয়ারুম্মা-ন।

৬৯. ফাবিআইয়ি আ-লা ই রাব্বিকুমা- তুকাজজিবা-ন ।

৭০. ফিহিন্না খাইরা-তুন হিছা-ন।

৭১. ফাবিআইয়ি আ-লা ই রাব্বিকুমা- তুকাজজিবা-ন ।

৭২. হুরুমমাকসুরা-তুন ফিল খিয়া-ম।

৭৩. ফাবিআইয়ি আ-লা ই রাব্বিকুমা- তুকাজজিবা-ন ।

৭৪. লাম ইয়াতমিছহুন্না ইনছুন কাবলাহুম ওয়ালা-যান।

৭৫. ফাবিআইয়ি আ-লা ই রাব্বিকুমা- তুকাজজিবা-ন ।

৭৬. মুত্তাকিঈনা ‘আলা-রাফরাফিন খুদরিওঁ ওয়া ‘আবকারিইয়িন হিছা-ন।

৭৭. ফাবিআইয়ি আ-লা ই রাব্বিকুমা- তুকাজজিবা-ন ।

৭৮. তাবা-রাকাছমুরাব্বিকা যিল যালা-লি ওয়াল ইকরা-ম।

 

No comments