সাম্প্রতিক পোষ্ট

নবীজির শেষ রাতের আমল

 নবীজির শেষ রাতের আমল

মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) রাতের শেষ ভাগে তাহাজ্জুদ এবং বিতির নামাজ আদায় করতেন?। বিভিন্ন দোয়া ও কান্নাকাটি করতেন। আর এগুলোর আগে তিনি তাসবিহও পাঠ করতেন। এ সম্পর্কে একটি হাদিস, শারিক হাওযানি (রহ.) বলেন, আমি একদিন আয়েশা (রা)-এর কাছে গিয়ে তাকে জিজ্ঞেস করলাম, রাসুলুল্লাহ (সা.) যখন রাতে জাগতেন তখন কী কাজ শুরু করতেন? আয়েশা (রা.) বললেন, তিনি যখন রাতে জাগতেন ১০বার ‘আল্লাহু আকবারবলতেন, ১০বার ‘আলহামদুলিল্লাহ’ বলতেন, ১০বার ‘সুবহানাল্লাহি ওয়া বিহামদিহী বলতেন, ১০বার ‘সুবহানাল মালিকিল কুদ্দুস বলতেন, ১০বার ‘আস্তাগফিরুল্লাহ’ বলতেন, ১০বার ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ বলতেন। এরপর ১০বার বলতেন, আল্লাহুম্মা ইন্নি আউজুবিকা মিন দীকিদ দুনইয়া ওয়া দীকি ইয়াওমিল কিয়ামাতি, তারপর নামাজ শুরু করতেন। (আবু দাউদ, মেশকাত: ১১৪৮)

 

রাতের বেলা একশত আয়াত কুরআন তেলাওয়াত করা:

যারা রাতের বেলা পবিত্র কুরআন থেকে ১০০ আয়াত তিলাওয়াত করে, তাদের আমলনামায় সারা রাত তাহাজ্জুদ আদায়ের নেকী লিপিবদ্ধ করা হয়। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) ইরশাদ করেন, ‘যে ব্যক্তি রাতের বেলা একশত আয়াত তেলাওয়াত করবে, তার জন্য পুরা রাতটাই ইবাদত করা হিসাবে গণ্য হবে’। উপরন্তু কেউ যদি কোন কারণে রাতে তেলাওয়াত করতে না পারে, তাহ’লে পরের দিন সকাল বেলা তেলাওয়াতের মাধ্যমেও এই নেকী হাছিল করা যায়। ইসলামের দ্বিতীয় খলীফা ওমর ফারূক (রাঃ) বলেন, রাসূল (ছাঃ) বলেছেন, ‘কেউ রাতের কোন করণীয় কাজ না করে ঘুমিয়ে পড়লে, সে যদি ফজর ও যোহর ছালাতের মধ্যবর্তী কোন সময়ে তা আদায় করে নেয়, তাহ’লে তার আমলের নেকী এমনভাবে লেখা হয়, যেন সে রাতের বেলাই সেটা তেলাওয়াত করেছে’।

 

রাতে সূরা বাক্বারার শেষ দুই আয়াত তেলাওয়াত করা:

রাতে সূরা বাক্বারার শেষ দুই আয়াত তেলাওয়াতের মাধ্যমে ক্বিয়ামুল লায়ল বা তাহাজ্জুদের নেকী পাওয়া যায়। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘যে ব্যক্তি রাত্রিকালে সূরা বাক্বারাহর শেষের দু্ই আয়াত তেলাওয়াত করবে, তার জন্য তা যথেষ্ট হয়ে যাবে’।

 

রাতে তাহাজ্জুদের নিয়তে ঘুমিয়ে পড়া :

যারা তাহাজ্জুদের নিয়তে রাতে ঘুমিয়ে পড়ে তারা তাদের নিয়তের কারণে তাহাজ্জুদের নেকী পাবেন। রাসূল (ছাঃ) ইরশাদ করেন, ‘যে ব্যক্তি বিছানায় শয়নকালে এই নিয়ত করবে যে, সে ঘুম থেকে জেগে রাতের ছালাত (তাহাজ্জুদ) আদায় করবে, অতঃপর ঘুমের আধিক্যের কারণে যদি সকাল হয়ে যায়, তবুও সে যার নিয়ত করেছে, তার নেকী পেয়ে যাবে। আর আল্লাহর কাছে তার সেই ঘুমটা ছাদাক্বাহ হিসাবে গৃহীত হবে’।

No comments