জুমা’র দিনের আমল
জুমার দিনের আমল
বৃহস্পতিবার মাগরিবের পর থেকে শুক্রবার মাগরিব পর্যন্ত বেশি বেশি দরূদ পাঠ করা।
জুম্মার দিন সকালে ৩ বার
আসতাগফিরুল্লা-হাল্লাযী লা-ইলাহা ইল্লা হুয়াল হাইয়্যুল কাইয়্যুম ওয়াতুবু ইলাইহি
- যে ব্যক্তি জুমার দিন সকালে দোয়াটি ৩ বার পড়ে, আল্লাহ তার সকল গুনাহ মাফ করে দেবেন যদিও তার গুনাহ সমূদ্রের ফেনা পরিমাণ হয়।
সারা দিনে
জুমার রাতে এবং জুমার দিন ১০০ বার দরূদ শরীফ পড়লে,
- আল্লাহ্ তাআলা ১০০টি হাজত পূরণ করবেন। ৭০টি আখিরাতের, আর ৩০টি দুনিয়ার। (তারিখে দামেশক লি ইবনে আসাকির, ৫৪ খন্ড, ৩০১ পৃষ্ঠা)
(দৈনিক ৩ বার, জুমার দিন ১০০ বার)
সলাওয়াতুল্লাহি ওয়া মালাইকাতিহী ওয়া আম্বিয়ায়িহী ওয়া রুসুলিহী ওয়া জামি’ই খালকিহী আলা সাইয়্যিদিনা মুহাম্মাদিও ওয়া আলা আলি সাইয়্যিদিনা মুহাম্মাদিও ওয়া আলাইহি ওয়া আলাইহিমুস সালামু ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ।
- পাঠকারীকে কিয়ামতের দিন রাসুল (সাঃ) এর দলে হাশর করানো হবে এবং রাসূল (সাঃ) তার হাত ধরে থাকবেন এমনকি তাকে জান্নাতে প্রবেশ করিয়ে দিবেন। (মুখতাসারু তারীখে দিমাশক)
জুমার নামাজের পূর্বে নির্জনে ২০০ বার পড়লে যেকোনো কঠিন সমস্যার সমাধান হয়।
ইয়া আল্লাহ
জুমার আযানের পর ও খুতবা শুরু হওয়ার এর আগে (৪০ বছরের গুনাহ মাফ হওয়ার দরুদ)
আল্লাহুম্মা সাল্লি-আলা সায়্যিদিনা-মুহাম্নাদি-নিন নাবিয়্যিল উম্মিয়্যি ওয়া আলা আলিহী ওয়া আস-হাবিহী ওয়া বা-রিকি ওয়া সাল্লিম।
- দরূদ শরীফটি ৪০ বার পাঠ করলে ৪০ বছরের গুণাহ মাফ হয়ে যাবে। যদি তার বয়স ততটা না হয়, তাহলে অতিরিক্ত বছরগুলো তার আমলনামায় ইবাদতরূপে লেখা হবে।
আরশবহণকারী ফেরেশতাদের দোয়া
মা-শা---আল্লাহ
- যে ব্যক্তি পূর্ণ একাগ্রতা ও প্রাণের ব্যাকুলতা নিয়ে ১০০০ বার এই ইসম শরীফ পাঠ করতে থাকবে, হজ নসীব হওয়ার আগে তার মৃত্যু হবে না। (আল্লামা-ই-জানজাবিল কৃত ‘তাওয়ারিখে মক্কা’)
জুমার নামাজের পরে ১০০ বার
ইয়া আল-গাফফার
- গুনাহ মাফের লক্ষণ পাওয়া যায়
- সকল অভাব দূর হয়
- অভাবনীয় উপায়ে রিজিক পাওয়া যায়।
৭০ বার পড়লে আয়-রোজগার বৃদ্ধি পাবে।
আল্লাহুম্মাকফিনি বিহালালিকা আন হারামিকা ওয়া আগনিনি বিফাদলিকা আম্মান সিওয়াক।
হে আল্লাহ, আপনি আপনার হালালের মাধ্যমে আমাকে পরিতুষ্ট করে হারাম থেকে বিরত রাখুন এবং আপনার অনুগ্রহের মাধ্যমে আপনি ছাড়া অন্য সবার থেকে আমাকে অমুখাপেক্ষী করুন। (তিরমিজি: ৩৫৬৩)
৭ বার সুরা ফাতেহা এবং ৭ বার সূরা ইখলাস
৭ বার সূরা ইখলাস, ফালাক, নাস
৭ বার ৩ কুল পড়ে গায়ে হাত বুলিয়ে ফু দিলে প্যারালাইসিস হবে না।
আছর নামাজের পর
জুমার দিন আছরের নামাজের পর নিজ স্থান থেকে ওঠার আগে ৮০ বার –
আল্লাহুম্মা সাল্লি আ-লা মুহাম্মাদিন নাবিয়্যিল উম্মিয়্যি ওয়া আ’লা আলিহি ওয়া সাল্লিম তাসলিমান।
হে আল্লাহ তুমি শান্তি ও রহমত বর্ষণ কর উম্মী নবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু তাআলা আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর ওপর ও তার পরিবার পরিবর্গের উপর।
- আছর নামাজের পর এক বসাতে পাঠ করলে ৮০ বছরের গুনাহ মাফ হবে এবং ৮০ বছর ইবাদতের সওয়াব আমলনামায় লেখা হবে।
৮০ বছরের ছগীরা গুনাহ মাফ হওয়ার দরুদ
আল্লাহুমা
ছাল্লি আ-লা মুহাম্মাদিন আবদিকা ওয়া নাবিয়্যিকা ওয়া রাসুলিকান নাবিয়্যিল উম্মিয়ি।
- আছর
নামাজের পর এক বসাতে ৮০ বার পাঠ করলে আল্লাহ পাক
৮০ বছরের ছগীরা গুনাহ মাফ করে দিবেন।
- ৪০ বার পড়লে ৪০ বছরের ছগীরা গুনাহ মাফ করে দিবেন।
আল্লাহুম্মা
সাল্লি-আলা সায়্যিদিনা-মুহাম্নাদিন নাবিয়্যিল উম্মিয়্যি ওয়া আলা আলিহী ওয়া
আস-হাবিহী ওয়া বা-রিকি ওয়া সাল্লিম।
- দরূদ শরীফটি ১০০ বার পাঠ করলে ৮০ বছরের গুণাহ মাফ হয়ে যাবে।
আল্লাহুম্মা
সাল্লি আলা মুহাম্মাদিনীন নাবিয়্যিল উম্মিয়ী ওয়া আ’লা আলিহী ওয়া সাল্লিম তাসলিমা।
- আছর
নামাজের পর এক বসাতে ৮০ বার পাঠ করলে আল্লাহ পাক
৮০ বছরের ছগীরা গুনাহ মাফ করে দিবেন।
(১০০০ বার) আল্লাহুম্মা সাল্লি আলা মুহাম্নাদিউ ওয়া আলিহী আলফা আলফা মাররাতি।
- পাঠকারী জান্নাতে স্বীয় স্থান না দেখে ইন্তেকাল করবে না। (জারিয়াতুল উসুল)
আছরের পর বেশি বেশি দোয়া, ইস্তিগফার এবং আল্লাহর কাছে কল্যাণ প্রার্থনা করা খুবই জরুরি। যেন তা কবুল হয়ে যায়।
জুমআর দিন আসর থেকে মাগরিব পর্যন্ত সময় নফল নামাজে অতিবাহিত করা উত্তম। বেশি বেশি দরূদ পড়া। বেশি বেশি ইসতেগফার করা। আর তাতেই নামাজে অতিবাহিত করার সাওয়াব মিলবে।
জুমার রাতে
রাসুলুল্লাহ (সা.) জুমার রাতে মাগরিব নামাজে সুরা কাফিরুন ও সুরা ইখলাস তিলাওয়াত করতেন। আর এশার নামাজে সুরা জুমা ও সুরা মুনাফিকুন তিলাওয়াত করতেন।
আল্লাহুম্মা সাল্লি আলা সাইয়্যিদিনা মুহাম্মাদিনিন নাবীয়্যীল উম্মাতিল হাবিবীল আলিয়্যিল কাদরীল আজীমিল জাহি ওয়া আলিহী ওয়া সাল্লাম।
- প্রত্যেক রাতে ১০ বার এবং জুমু'য়ার রাতে ১০০ বার নিয়মিতভাবে এই দরূদ শরীফ পাঠ করলে, মৃত্যুর পর রসূলুল্লাহ (সা:) স্বয়ং পাঠকারীকে সমাহিত করবেন। (মাজমু'য়া, সাইয়্যেদ আহমাদ দাহলান)
যে ব্যক্তি জুমার রাতে সুরা দুখান (সুরা নং- ০৪৪, আয়াত-৫৯) তিলাওয়াত করে আল্লাহ তা-আলা তাকে ক্ষমা করে দেন। (তিরমিজি, হাদিস: ২৮৮৯)
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
১) হা-মীম।
২) ওয়াল কিতা-বিল মুবীন।
৩) ইন্না আনজালনা-হূ ফী লাইলাতিম মুবা-রাকাতিন ইন্না-কুন্না-মুনযিরীন।
৪) ফী’হা ইউফরাকু কুল্লু আমরিন হাকী’ম।
৫) আমরাম মিন ইনদিনা ইন্না-কুন্না-মুরছিলীন।
৬) রাহমাতাম মির রাব্বিকা ইন্নাহূ হুওয়াছ ছামী‘উল আলীম।
৭) রাব্বিছ ছামা-ওয়া-তি ওয়াল আরদি ওয়ামা বায়নাহুমা ইন কনতুম মূকিনীন।
৮) লা-- ইলা-হা ইল্লা-হুওয়া ইউহয়ী ওয়া ইউমীতু রাব্বুকুম ওয়া রাব্বু আ-বা--ইকুমুল আওয়্যালীন।
৯) বালহুম ফী শাক্কিই ইয়্যাল আবূন।
১০) ফার তাকিব ইয়াওমা তা’তিছ ছামা--উ বি দুখানিম মুবীন।
১১) ইয়াগ শান্না-ছা হা-যা আযা-বুন আলীম।
১২) রাব্বানাক শিফ আন্নাল আযাবা ইন্না-মু’মিনূন।
১৩) আন্না-লাহুমুয যিকরা- ওয়াকদ জা--আহুম রাছূলুম মুবীন।
১৪) ছুম্মা তাওয়াল্লাও আনহু ওয়া কলূউ মু-আল্লামুম মাজনূন।
১৫) ইন্না-কা শিফুল আযাবি কলীলান ইন্নাকুম আ--ইদূন।
১৬) ইয়াওমা নাবতিশুল বাত শাতাল কুবরা- ইন্না-মুনতাকিমূন।
১৭) ওয়া লাকদ ফাতান্না- কবলাহুম কওমা ফির‘আওনা ওয়া জা--আহুম রাছূলুন কারীম।
১৮) আন আদ্দূউ-- ইলাইয়্যা ইবাদাল্লা-হি ইন্নী লাকুম রাছূলুন আমীন।
১৯) ওয়া আল্লা-তা‘লূ আলাল্লা-হী ইন্নী-- আ-তীকুম বি সুলতা-নিম মুবীন।
২০) ওয়া ইন্নী উযতু বিরাব্বি ওয়া রাব্বিকুম আন্তার জুমূন।
২১) ওয়া ইল্লাম তু’মিনূ লী ফা‘তাজিলূন।
২২) ফাদা আরাব্বা-হূ-- আন্না হা—উলা--য়ী কওমুম মুজরিমূন।
২৩) ফা আছরি বি ইবাদী লায়লান ইন্নাকুম মুত্তাবা‘ঊন।
২৪) ওয়াত রুকিল বাহরা রাহ ওয়ান ইন্নাহুম জনদুম মুগরাকূন।
২৫) কাম তারাকূমিন জান্না-তিও ওয়া উইয়্যূন।
২৬) ওয়া যুরুউ‘ইন ওয়া মাকমিম কারীম।
২৭) ওয়া না‘মাতিন কানূউ ফী’হা ফা-কিহীন।
২৮) কাযা-লিকা ওয়া আওরাছনা-হা কওমাম আ-খারীন।
২৯) ফামা বাকাত আলাইহিমুছ ছা-মা--উ ওয়াল আরদু ওয়ামা কানূ’উ মুনজারীন।
৩০) ওয়ালাকদ নাজ্জায়না বনী--ইছরা--ঈলা মিনাল আযাবিল মুহীন।
৩১) মিন ফিরআওনা ইন্নাহূ কানা আলিয়্যাম মিনাল মুছরিফীন।
৩২) ওয়ালা কদিখতারনা-হুম আলা-ইলমিন আলাল আ-লামীন।
৩৩) ওয়া আ-তাইনা-হুম মিনাল আ-য়া-তি মাফি’হী বালা--উম মুবী’ন।
৩৪) ইন্না হা--উলা--য়ি লায়াকূলূন।
৩৫) ইন হিয়া ইল্লা-মাওতাতুনাল উ’লা-ওয়ামা নাহনু বি মুনশারীন।
৩৬) ফা’তূ’উ বি আ-বা--ইনা--ইন কনতুম ছ-দিকীন।
৩৭) আহুম খাইরুন আম কওমু তুব্বা‘ইন ওয়াল্লাযীনা মিন কবলিহিম আহলাকনা-হুম ইন্নাহুম কানূ’উ মুজরিমীন।
৩৮) ওয়ামা খলাকনাছ ছামা-ওয়া-তি ওয়াল আরদা ওয়ামা বায়নাহুমা লা-ইবীন।
৩৯) মা খলাকনা-হুমা-- ইল্লা বিল হাক্কি ওয়ালা-কিন্না আকছারাহুম লা-ইয়া‘লামূন।
৪০) ইন্না ইয়াওমাল ফাছলি মি’কা-তুহুম আজমা‘য়ীন।
৪১) ইয়াওমা লা ইউগনী মাওলান আম্মাওলান শাইয়্যান ওয়ালা হুম ইউনছারূন।
৪২) ইল্লা মার রাহিমাল্লা-হু ইন্না-হূ হুওয়াল আজিজুর রাহীম।
৪৩) ইন্না শাজারাতাজ জাক্কূম।
৪৪) তা‘আমুল আছীম।
৪৫) কাল মুহলি ইয়াগলী ফিল বুতূন।
৪৬) কাগালয়্যীল হামীম।
৪৭) খুযূ’হু ফা‘তিলূউ হু ইলা-ছাওয়া--ইল জাহীম।
৪৮) ছুম্মা ছুব্বূউ ফাওকা রা’ছিহী- মিন আযাবিল হামীম।
৪৯) যুক ইন্নাকা আনতাল আজিজুল কারীম।
৫০) ইন্না হা-যামা কুনতুম বিহী- তামতারূন।
৫১) ইন্নাল মুত্তাকীনা ফী মাকমিন আমীন।
৫২) ফী জান্না-তিও ওয়া উইয়্যূন।
৫৩) ইয়াল বাছূনা মিন ছুন দুছিও ওয়া ইছতাবরাকিম মুতা ক-বিলীন।
৫৪) কাযা-লিকা ওয়া ঝাও ওয়াজ না-হুম বিহূ’রিন ইন।
৫৫) ইয়াদ ঊ’না ফীহা-বিকুল্লি ফাকিহাতিন আ-মিনীন।
৫৬) লা ইয়াজু’কূনা ফী’হাল মাওতা ইল্লাল মাওতাতাল উ’লা-; ওয়া ওয়া ক-হুম আযাবাল জাহীম।
৫৭) ফাদলাম মির রাব্বিকা যা-লিকা হুওয়াল ফাওজুল আজীম।
৫৮) ফা ইন্নামা ইয়াছ ছারনা-হু বিলিছানিকা লা‘আল্লাহুম ইয়া তাযাক্কারূন।
৫৯) ফারতাকিব ইন্নাহুম মুর তাকিবূন।
সূরা আদ-দুখান বাংলা অনুবাদ
১) হা-মীম।
২) শপথ সুস্পষ্ট কিতাবের।
৩) আমি একে নাযিল করেছি। এক বরকতময় রাতে, নিশ্চয় আমি সতর্ককারী।
৪) এ রাতে প্রত্যেক প্রজ্ঞাপূর্ণ বিষয় স্থিরীকৃত হয়।
৫) আমার পক্ষ থেকে আদেশক্রমে, আমিই প্রেরণকারী।
৬) আপনার পালনকর্তার পক্ষ থেকে রহমতস্বরূপ। তিনি সর্বশ্রোতা, সর্বজ্ঞ।
৭) যদি তোমাদের বিশ্বাস থাকে দেখতে পাবে। তিনি নভোমন্ডল, ভূমন্ডল ও এতদুভয়ের মধ্যেবর্তী সবকিছুর পালনকর্তা।
৮) তিনি ব্যতীত কোন উপাস্য নেই। তিনি জীবন দান করেন ও মৃত্যু দেন। তিনি তোমাদের পালনকর্তা এবং তোমাদের পূর্ববর্তী পিতৃ-পুরুষদেরও পালনকর্তা।
৯) এতদসত্ত্বেও এরা সন্দেহে পতিত হয়ে ক্রীড়া-কৌতুক করছে।
১০) অতএব আপনি সেই দিনের অপেক্ষা করুন, যখন আকাশ ধূয়ায় ছেয়ে যাবে।
১১) যা মানুষকে ঘিরে ফেলবে। এটা যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি।
১২) হে আমাদের পালনকর্তা আমাদের উপর থেকে শাস্তি প্রত্যাহার করুন, আমরা বিশ্বাস স্থাপন করছি।
১৩) তারা কি করে বুঝবে, অথচ তাদের কাছে এসেছিলেন স্পষ্ট বর্ণনাকারী রসূল।
১৪) অতঃপর তারা তাকে পৃষ্ঠপ্রদর্শন করে এবং বলে, সে তো উম্মাদ-শিখানো কথা বলে।
১৫) আমি তোমাদের উপর থেকে আযাব কিছুটা প্রত্যাহার করব, কিন্তু তোমরা পুনরায় পুনর্বস্থায় ফিরে যাবে।
১৬) যেদিন আমি প্রবলভাবে ধৃত করব, সেদিন পুরোপুরি প্রতিশোধ গ্রহণ করবই।
১৭) তাদের পূর্বে আমি ফেরাউনের সম্প্রদায়কে পরীক্ষা করেছি এবং তাদের কাছে আগমন করেছেন একজন সম্মানিত রসূল,
১৮) এই মর্মে যে, আল্লাহর বান্দাদেরকে আমার কাছে অর্পণ কর। আমি তোমাদের জন্য প্রেরীত বিশ্বস্ত রসূল।
১৯) আর তোমরা আল্লাহর বিরুদ্ধে ঔদ্ধত্য প্রকাশ করো না। আমি তোমাদের কাছে প্রকাশ্য প্রমাণ উপস্থিত করছি।
২০) তোমরা যাতে আমাকে প্রস্তরবর্ষণে হত্যা না কর, তজ্জন্যে আমি আমার পালনকর্তা ও তোমাদের পালনকর্তার শরনাপন্ন হয়েছি।
২১) তোমরা যদি আমার প্রতি বিশ্বাস স্থাপন না কর, তবে আমার কাছ থেকে দূরে থাক।
২২) অতঃপর সে তার পালনকর্তার কাছে দোয়া করল যে, এরা অপরাধী সম্প্রদায়।
২৩) তাহলে তুমি আমার বান্দাদেরকে নিয়ে রাত্রিবেলায় বের হয়ে পড়। নিশ্চয় তোমাদের পশ্চাদ্ধবন করা হবে।
২৪) এবং সমুদ্রকে অচল থাকতে দাও। নিশ্চয় ওরা নিমজ্জত বাহিনী।
২৫) তারা ছেড়ে গিয়েছিল কত উদ্যান ও প্রস্রবন,
২৬) কত শস্যক্ষেত্র ও সূরম্য স্থান।
২৭) কত সুখের উপকরণ, যাতে তারা খোশগল্প করত।
২৮) এমনিই হয়েছিল এবং আমি ওগুলোর মালিক করেছিলাম ভিন্ন সম্প্রদায়কে।
২৯) তাদের জন্যে ক্রন্দন করেনি আকাশ ও পৃথিবী এবং তারা অবকাশও পায়নি।
৩০) আমি বনী-ইসরাঈলকে অপমানজনক শাস্তি থেকে উদ্ধার করছি।
৩১) ফেরাউন সে ছিল সীমালংঘনকারীদের মধ্যে শীর্ষস্থানীয়।
৩২) আমি জেনেশুনে তাদেরকে বিশ্ববাসীদের উপর শ্রেষ্ঠত্ব দিয়েছিলাম।
৩৩) এবং আমি তাদেরকে এমন নিদর্শনাবলী দিয়েছিলাম যাতে ছিল স্পষ্ট সাহায্য।
৩৪) কাফেররা বলেই থাকে,
৩৫) প্রথম মৃত্যুর মাধ্যমেই আমাদের সবকিছুর অবসান হবে এবং আমরা পুনরুত্থিত হব না।
৩৬) তোমরা যদি সত্যবাদী হও, তবে আমাদের পূর্বপুরুষদেরকে নিয়ে এস।
৩৭) ওরা শ্রেষ্ঠ, না তুব্বার সম্প্রদায় ও তাদের পূর্ববর্তীরা? আমি ওদেরকে ধ্বংস করে দিয়েছি। ওরা ছিল অপরাধী।
৩৮) আমি নভোমন্ডল, ভূমন্ডল ও এতদুভয়ের মধ্যবর্তী সবকিছু ক্রীড়াচ্ছলে সৃষ্টি করিনি।
৩৯) আমি এগুলো যথাযথ উদ্দেশ্যে সৃষ্টি করেছি; কিন্তু তাদের অধিকাংশই বোঝে না।
৪০) নিশ্চয় ফয়সালার দিন তাদের সবারই নির্ধারিত সময়।
৪১) যেদিন কোন বন্ধুই কোন বন্ধুর উপকারে আসবে না এবং তারা সাহায্যপ্রাপ্তও হবে না।
৪২) তবে আল্লাহ যার প্রতি দয়া করেন, তার কথা ভিন্ন। নিশ্চয় তিনি পরাক্রমশালী দয়াময়।
৪৩) নিশ্চয় যাক্কুম বৃক্ষ
৪৪) পাপীর খাদ্য হবে;
৪৫) গলিত তাম্রের মত পেটে ফুটতে থাকবে।
৪৬) যেমন ফুটে পানি।
৪৭) একে ধর এবং টেনে নিয়ে যাও জাহান্নামের মধ্যস্থলে,
৪৮) অতঃপর তার মাথার উপর ফুটন্ত পানির আযাব ঢেলে দাও,
৪৯) স্বাদ গ্রহণ কর, তুমি তো সম্মানিত, সম্ভ্রান্ত।
৫০) এ সম্পর্কে তোমরা সন্দেহে পতিত ছিলে।
৫১) নিশ্চয় খোদাভীরুরা নিরাপদ স্থানে থাকবে-
৫২) উদ্যানরাজি ও নির্ঝরিণীসমূহে।
৫৩) তারা পরিধান করবে চিকন ও পুরু রেশমীবস্ত্র, মুখোমুখি হয়ে বসবে।
৫৪) এরূপই হবে এবং আমি তাদেরকে আনতলোচনা স্ত্রী দেব।
৫৫) তারা সেখানে শান্ত মনে বিভিন্ন ফল-মূল আনতে বলবে।
৫৬) তারা সেখানে মৃত্যু আস্বাদন করবে না, প্রথম মৃত্যু ব্যতীত এবং আপনার পালনকর্তা তাদেরকে জাহান্নামের আযাব থেকে রক্ষা করবেন।
৫৭) আপনার পালনকর্তার কৃপায় এটাই মহা সাফল্য।
৫৮) আমি আপনার ভাষায় কোরআনকে সহজ করে দিয়েছি, যাতে তারা স্মরণ রাখে।
৫৯) অতএব, আপনি অপেক্ষা করুন, তারাও অপেক্ষা করছে।
সুরা কাহফ পাঠ করা।
সুরা কাহফ কোরআনুল কারিমের ১৫তম পারার ১৮নং সুরা।
সূরাটি নাযিলের সময় ৭০ হাজার ফেরেশতা আসমান থেকে পৃথিবীতে অবতরণ করেছিল। জুমার দিনে সূরাটি পড়লে আসমান থেকে লক্ষ লক্ষ ফেরেশতা নেমে আসে এবং তেলোয়াতকারীর জন্য দোয়া করতে থাকে।
প্রথম ১০ আয়াত
(বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম)
১। আলহামদুলিল্লা-হিল্লাযী-- আনজালা আলা-আবদিহিল কিতা-বা ওয়ালাম ইয়াজ আল্লাহূ ই-ওয়াজা।
২। কইয়্যিমাল লিয়ুনজিরা বা’ছান শাদীদাম মিল্লাদুনহু ওয়া ইয়্যুবাশশিরাল মুমিনীনাল্লা-জিনা ইয়া’মালূনাছ ছোয়া-লিহা-তি আন্না লাহুম আজরান হাসানা।
৩। মা-কিছীনা ফীহি আবাদা।
৪। ওয়া-ইয়্যুনজিরাল্লাজিনা কলুত্তা খাজাল্লা-হু ওয়ালাদা।
৫। মা লাহুম বিহী- মিন ইলমিও ওয়ালা লি আবা--ইহিম; কাবুরাত কালিমাতান তাখরুজু মিন আফওয়া হিহিম; ইয়্যা কুলূনা ইল্লা-কাজিবা।
৬। ফালা আল্লা-কা বাখিউন্নাফ ছাকা আলা-- আ-ছারিহিম ইল্লাম ইয়্যুমিনূ বিহা-জাল হাদি’সী আছাফা।
৭। ইন্না জা’আলনা মা আলাল আরদি জীনাতাল্লাহা লিনাবলু ওয়াহুম আইয়্যুহুম আহসানু আমালা।
৮। ওয়া ইন্না লাজা-ইলূনা মা আলায়হা ছা ইদান জুরুজা।
৯। আম হাসিবতা আন্না আছহা-বাল কাহফি ওয়ার রাকীম। কানূ মিন আ-য়া-তিনা আজাবা।
১০। ইজ আওয়াল ফিত ইয়াতু ইলাল কাহফি ফাকলু রব্বানা-- আ-তিনা মিল্লাদুনকা রাহমাতাও ওয়া হাইয়্যি লানা মিন আমরিনা রাশাদা।
শেষ ১০ আয়াত
১০১। আল্লাজীনা কানাত আইয়্যুনুহুম ফী গিতা--য়ীন আন জিকরি ওয়া কানূ লা ইয়াছতাতী উনা ছাম‘আ।
১০২। আফা হাছিবাল্লাজীনা কাফারূউ ওয়া-- আইয়্যাত্তাখিযূ ইবাদী মিন দূনী--য়া আওলিয়া--আ; ইন্না—আ’তাদনা জাহান্নামা লিল কা-ফিরীনা নুজুলা।
১০৩। কুল হাল নুনাব্বিউকুম বিল আখছারীনা আমালা।
১০৪। আল্লাজীনা দাল্লা ছা’ইয়্যুহুম ফীল হায়া-তিদ দুনিয়া ওয়া হুম ইয়াহ ছাবূউনা আন্নাহুম ইয়্যুহ-ছিনূনা ছুন‘আ।
১০৫। উলা—য়িকাল্লাজীনা কাফারু বিআ-য়াতি রাব্বিহিম ওয়ালি কা--ইহী- ফাহাবিতাত আ’মালূহুম ফালা নুকীমু লাহুম ইয়াওমাল কিয়া-মাতি ওয়াজনা।
১০৬। জা-লিকা জাজা--উহুম জাহান্নামু বিমা-কাফারূ ওয়াত্তাখাযূ ওয়া—আ-য়া-তী ওয়া রুসুলী হুযুউ ওয়া।
১০৭। ইন্নাল্লাযীনা আ-মানূ ওয়া আমিলুছ ছ-লিহা-তি কানাত লাহুম জান্নাতুল ফিরদাউসী নুজুলা।
১০৮। খ-লিদীনা ফী’হা লা ইয়াবগূনা আনহা হিওয়ালা।
১০৯। কুল লাও কানাল বাহরু মিদাদাল্লি কালিমা-তি রাব্বী’ লানাফিদাল বাহরু কবলা আন তানফাদা কালিমা-তু রাব্বী’ ওয়ালাও জি’না বিমিছলিহী- মাদাদা।
১১০। কুল ইন্নামা-- আনা-বাশারুম মিছলুকুম ইয়্যুহা-- ইলাইয়্যা আন্না মা--ইলা-হুকুম ইলা-হুউ ওয়াহিদুন ফামান কানা ইয়ারজু’লিকা--আ রাব্বিহী ফাল ইয়া’মাল আমালান ছ-লিহাও ওয়ালা ইউশরিক বি ইবাদাতি রাব্বিহী-- আহাদা।
No comments