সাম্প্রতিক পোষ্ট

তওবা ও ইস্তিগফার করার দোয়া

তওবা ও ইস্তিগফার করার দোয়া

§  আস্তাগফিরুল্লা হাল্লাজি লা ইলাহা ইল্লা হুয়াল হাইয়ুল কাইয়ুম, ওয়া আতুবু ইলাইহি।

এই দোয়া পাঠ করলে সমুদ্রের ফেনা পরিমাণ গুনাহ থাকলেও তা মাফ হয়ে যাবে।

§  আস্তাগফিরুল্লাহিল আজিম, আল্লাজি লা ইলাহা ইল্লা হুয়াল হাইয়্যুল কাইয়ুমু ওয়া আতুবু ইলাইহি যে ব্যক্তি দোয়াটি পাঠ করবে, সে জিহাদের ময়দান হতে পলায়নকারী হলেও তাকে ক্ষমা করা হবে।

§  রাব্বিগফিরলি ওয়া আতুব আলাইয়্যা, ইন্নাকা আনতাত তাওয়্যাবুর রাহিম

দোয়াটি হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) মসজিদে অবস্থানকালে একই বৈঠকে একশ’ বার পাঠ করেছেন।

§  আস্তগফিরুল্লাহা ওয়াআতুবু ইলাইহি

রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর চাইতে কাউকে অধিক পরিমাণে এই ইস্তিগফার বলতে শুনিনি (নাসায়ি: ১০২১৫)।

§  সুবহানাল্লাহি ওয়াবিহামদিহি, আস্তাগফিরুল্লাহা ওয়া আতুবু ইলাইহি।

রাসূলুল্লাহ (সা.) দোয়াটি খুব বেশি বেশি পড়তেন।

§  আস্তাগফিরুল্লাহাল আজিম, ইন্নাল্লাহা গাফুরুর রাহিম।

মহান আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাই, নিশ্চয় তিনি ক্ষমাশীল ও দয়ালু।

§  সাইয়েদুল ইস্তেগফার।

আল্লাহুম্মা আনতা রাব্বি, লা ইলাহা ইল্লা আনতা, খালাকতানি ওয়া আনা আবদুকা, ওয়া আনা আলা আহদিকা, ওয়া ওয়াদিকা মাসতাতাতু, আউজুবিকা মিন শাররি-মা সানাতু, আবুউ লাকা বিনিমাতিকা আলাইয়া, ওয়া আবুউ লাকা বিজাম্বি, ফাগফির লি, ফা ইন্নাহু লা ইয়াগফিরুজ জুনুবা ইল্লা আনতা।

হে আল্লাহ! আপনি আমার প্রতিপালক। আপনি ছাড়া আর কোন উপাস্য নেই। আপনি আমাকে সৃষ্টি করেছেন। আর আমি আপনার গোলাম। আমি আপনার ওয়াদা-প্রতিশ্রুতির ওপর যথাসাধ্য আছি। আমি আমার কৃতকর্মের অনিষ্টতা থেকে আশ্রয় চাচ্ছি। আমি আমার ওপর আপনার অনুগ্রহ স্বীকার করছি। আবার আমার গুনাহের কথাও স্বীকার করছি। অতএব, আমাকে ক্ষমা করে দিন। কেননা আপনি ছাড়া আর কেউ গুনাহসমূহ ক্ষমা করতে পারবে না।

§  মুস্তাজাবুদ দাওয়াহ হওয়ার আমল (যে ব্যক্তির দোয়া কবুল হয়)

আল্লাহুম্মাগ ফিরলী ওয়ালি ওয়ালি দাইয়্যা ওয়ালিল মুমিনীনা ওয়াল মুমিনাত ওয়াল মুসলিমীনা ওয়াল মুসলিমাত আল আহ’ইয়ায়ী মিনহুম ওয়াল আমওয়াত।  

হে আল্লাহ, আমাকে, আমার পিতা-মাতাকে এবং সকল (জীবিত ও মৃত) মুমিন ও মুসলিম নর-নারীকে ক্ষমা করুন।

রাসুল (সাঃ) বলেছেন, যে ব্যক্তি মুসলিম পুরুষ ও মুসলিম নারীর জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করে, মহান আল্লাহ প্রত্যেক মুসলিম পুরুষ ও মুসলিম নারীর বিপরীতে সে ব্যক্তির আমলনামায় একটি করে সওয়াব লিখে দেন। (তাবারানী ৩/২৩৪)

অন্য হাদীসে এসেছে, রাসূল (সাঃ) বলেছেন, যে ব্যক্তি প্রতিদিন ২৫-২৬ বার সকল মুসলিম নর-নারীর জন্য ইস্তেগফার পাঠ করবে, মহান আল্লাহ তাকে মুস্তাজাবুদ দাওয়াহ (যার সব দোয়া কবুল হয়) বানিয়ে দিবেন।

­­­

§  গুনাহ মাফের দোয়াঃ

লা-ইলা-হা-ইল্লাল্লাহু ওয়াল্লাহু আকবর;

লা-ইলা-হা-ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা-শারীকা লাহু;

লা-ইলা-হা-ইল্লাল্লাহু লাহুল মুলকু ওয়া লাহুল হামদু;

লা-ইলা-হা-ইল্লাল্লাহু ওয়া লা হাওলা ওয়া কুওয়্যাতা ইল্লা বিল্লা-হ।

 

§  [৩৩ বার সুবহানাল্লাহ + ৩৩ বার আলহামদুলিল্লাহ + ৩৪ বার আল্লাহু আকবার +

লা-ইলা-হা-ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা-শারীকা লাহু; লাহুল মুলকু ওয়া লাহুল হামদু; ওয়া হুওয়া আলা-কুল্লি শাইয়্যিন কাদীর। সুবহানাল্লাহ, আলহামদুলিল্লাহ, ওয়া লা ইলা-হা ইল্লাল্লাহু আল্লাহু আকবর, ওয়া লা হাওলা ওয়া কুওয়্যাতা ইল্লা বিল্লা-হ। আল্লাহুম্মাগফিরলি]

 

§  গুনাহ গাছের পাতার মতো ঝরার ৪টি আমলঃ

এক. سُبْحَانَ اللَّهِ : সুবহানাল্লাহ : আল্লাহ তাআলা অতি পবিত্র।

দুই. اَلْحَمْدَ لِلَّهِ : আলহামদুলিল্লাহ : সব প্রশংসা আল্লাহ তাআলার জন্য।

তিন. لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ : লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু : আল্লাহ তাআলা ব্যতিত সত্য কোনো মাবুদ নেই।

চার. وَاللَّهُ أَكْبَرُ : ওয়াল্লাহু আকবার : এবং তিনি অতি মহান।

 

§  ইস্তেগফার

-        আস্তাগফিরুল্লাহ হাল্লাজি লা ইলাহা ইল্লাহু ওয়াল হাইয়্যুল কাইয়্যুম ওয়া আতুবু ইলাইহি লা হাওলাওয়ালা কুয়াতা ইল্লাহ বিল্লাহিল আলিয়্যিল আযিম (২ বার)

-        সুবহানাল্লাহ! (৪ বার)

-        সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম! (৪ বার)

-        আস্তাগফিরুল্লাহ ইন্নালাহা গাফুরুর রাহিম! (৩ বার)

-        রাব্বানা যালামনা আনফুসানা ওয়া ইল্লাম তাগফিরলানা ওয়াতারহামনা লানা কুনান্না মিনাল খাসিরীন (২ বার)

-        সুবহানাল্লাহি ওয়া বিহামদিহি, সুবহানাল্লাহিল আযিম! (৩ বার)

-        ইয়া হাইয়্যু ইয়া কাইয়্যুমু, বিরাহমাতিকা আস্তাগীস (৩ বার)

-        হাসবুনাল্লাহু ওয়া নি'আমাল ওয়াকিল! (৩ বার)

-        রাব্বানা আতিনা ফিদ্দুনইয়া হাছানা ওয়া ফিল আখিরাতি হাছানা ওয়া কিনা আজাবান্নার

-        ইয়া আল্লাহ, ইয়া রহমানু, ইয়া রাহিমু, ইয়া জাব্বারু, ইয়া বাসিতু, ইয়া ওয়াদুদু, ইয়া যালযালালি ওয়াল ইকরাম, ইয়া আরহামার রহিমীন।

 

No comments