নামাজের ছোট সূরা সমূহ
নামাজের ছোট সূরা সমূহ
১। সূরা ফাতিহা: আলহামদু লিল্লা-হি রব্বিল আ-লামীন। আর রহমা-নির রহীম। মা-লিকি ইয়াওমিদ্দীন। ইয়্যা-কা না’বুদু ওয়া ইয়্যা-কানাছতা’ঈন। ইহদিনাস সিরা-তাল মুছতাকীম। সিরা-তাল্লাযীনা আন’আমতা আলাইহিম। গাইরিল মাগদূবি’আলাইহীম ওয়ালাদ্দাল্লীন। (আমিন)
সমস্ত প্রশংসা জগতসমূহের প্রতিপালক আল্লাহর জন্যে। অনন্ত দয়াময়, অতীব দয়ালু। প্রতিফল দিবসের মালিক। আমরা শুধু আপনারই দাসত্ব করি এবং শুধু আপনারই নিকট সাহায্য কামনা করি। আমাদের সরল পথনির্দেশ দান করুন। তাদের পথে, যাদের আপনি অনুগ্রহ করেছেন। এবং তাদের পথে নয় যারা আপনার ক্রোধের শিকার ও পথভ্রষ্ট। (কবুল করুন)
২। সূরা ইখলাস: ক্বুল হু ওয়াল্লা-হু আহাদ। আল্লা-হুস সামাদ। লাম ইয়ালিদ, ওয়ালাম ইউলাদ। ওয়ালাম ইয়াকুল্লাহু কুফুওয়ান আহাদ।
বলুন, তিনি আল্লাহ একক। আল্লাহ ভরসাস্থল। তিনি জনক নন এবং জাতকও নন। আর তাঁর সমকক্ষ কেউই নেই।
৩। সূরা ফালাক্ব: কুল আঊযু বিরাব্বিল ফালাক। মিন শাররি মা-খালাক। ওয়া মিন শাররি গা-ছিকিন ইযা-ওয়াকাব। ওয়া মিন শাররিন নাফফা-ছা-তি ফিল ‘উকাদ। ওয়া মিন শাররি হা-ছিদিন ইযা-হাছাদ।
বলুন, আমি আশ্রয় প্রার্থনা করছি ঊষার প্রভুর নিকট। তিনি যা সৃষ্টি করেছেন তার অনিষ্ট হতে। এবং রাতের অনিষ্ট হতে যখন তা গভীর অন্ধকারে আচ্ছন্ন হয়। এবং গ্রন্থিতে ফুত্কারিণী (যাদুকরী)দের অনিষ্ট হতে। এবং হিংসুকের অনিষ্ট হতে যখন সে হিংসা করে।
৪। সূরা নাস: কুল আঊযু বিরাব্বিন্না-ছ। মালিকিন্না-ছ। ইলা-হিন্না-ছ। মিন শাররিল ওয়াছ ওয়া-ছিল খান্না-ছ। আল্লাযী ইউ ওয়াছবিছু ফী সুদূরিন্নাছ-। মিনাল জিন্নাতি ওয়ান্না-ছ।
বলুন, আমি আশ্রয় প্রার্থনা করছি, মানুষের প্রতিপালক, মানুষের অধীশ্বর, মানুষের উপাস্যের কাছে- তার কুমন্ত্রণার অনিষ্ট হতে, যে সুযোগমত আসে ও (কুমন্ত্রণা দিয়ে) সরে পড়ে। যে কুমন্ত্রণা দেয় মানুষের হৃদয়ে, জিন ও মানুষের মধ্য হতে।
৫। সূরা লাহাব: তাব্বাৎ ইয়াদা আবী লাহাবিঁউ অতাব্ব মা আগনা আনহু মা-লুহু অমা কাসাব। সায়্যাস্বলা না-রান যা-তা লাহাব। অমরাআতুহু হাম্মা-লাতালহাত্বাব। ফী জী দিহা হাবলুম মিম মাছাদ।
ধ্বংস হোক আবূ লাহাবের দুইহাত এবং ধ্বংস হোক সে নিজেও। তার ধন-সম্পদ ও উপর্জিত বস্তু তার কোন উপকারে আসবে না। সে প্রবেশ করবে লেলিহান শিখাবিশিষ্ট অগ্নিকুন্ডে। আর তার স্ত্রীও -যে কাঠের বোঝা বহনকারিণী। ওর গলদেশে খেজুর চোকার রশি হবে।
৬। সূরা নাসর: ইযা-জা-আ নাসরুল্লাহি ওয়াল ফাতহু, ওয়ারা আই তান্নাসা ইয়াদখুলুনা ফীদী নিল্লাহি আফওয়াজা৷ ফাসাব্বিহ বিহামদি রব্বিকা ওয়াস তাগফিরহু৷ ইন্নাহু কানা তাউয়্যাবা৷
যখন আসবে আল্লাহর সাহায্য ও বিজয়। তুমি দেখবে মানুষকে দলে দলে আল্লাহর দ্বীনে প্রবেশ করতে। তখন তুমি তোমার প্রতিপালকের সপ্রশংস পবিত্রতা ঘোষণা কর এবং তাঁর নিকট ক্ষমা প্রার্থনা কর। নিশ্চয় তিনি ক্ষমাশীল।
৭। সূরা কাফিরুন: কুল ইয়া আইয়ুহাল কা-ফিরূন। লা আবুদুমা-তাবুদূন। ওয়ালাআনতুম আবিদূনা মা-আবুদ। ওয়ালাআনা আ-বিদুম মা-আবাত্তুম, ওয়ালা আনতুম আ-বিদূনা মা-আবুদ। লাকুম দীনুকুম ওয়ালিয়া দীন।
বলুন, হে কাফের দল! আমি তার উপাসনা করি না, যার উপাসনা তোমরা কর। তোমরাও তাঁর উপাসক নও, যাঁর উপাসনা আমি করি। আমি তার উপাসক হ্ব না, যার উপাসনা তোমরা কর। আর তোমরাও তাঁর উপাসক নও, যাঁর উপাসনা আমি করি। তোমাদের ধর্ম তোমাদের এবং আমার ধর্ম আমার (কাছে প্রিয়)।
৮। সূরা কাওসার: ইন্না- আত্বাইনা-কাল কাওসার। ফাছাল্লি লি রব্বিকা ওয়ানহার। ইন্না- শা-নিআকা হুওয়াল আবতার।
নিঃসন্দেহে আমি তোমাকে কাউসার (হাওয) দান করেছি। সুতরাং তুমি তোমার প্রতিপালকের উদ্দেশ্যে নামায পড় এবং কুরবানী কর। নিশ্চয় তোমার শত্রুই হল নির্বংশ।
৯। সূরা মাউন (সাহায্য-সহায়তা): আরাইতাল্লাযী ইউকাজ্জিবু বিদ্দীন। ফাজালি কাল্লাযী ইয়াদুউল ইয়াতীম। ওয়ালা ইয়া হুদ্দু আলা তায়ামিল মিসকীন। ফাওয়াই লুল্লিল মুসাল্লীন। আল্লাযিনা হুম আন সালাতিহিম সাহূন। আল্লাযিনা হুম ইউরাউন। ওয়া ইয়ামনা উনাল মাউন।
তুমি কি তাকে দেখেছো৷ যে আখেরাতের পুরস্কার ও শাস্তিকে মিথ্যা বলছে। সে-ই তো এতিমকে ধাক্কা দেয় এবং মিসকিনকে খাবার দিতে উদ্বুদ্ধ করে না। তারপর সেই নামাযীদের জন্য ধবংস। যারা নিজেদের নামাযের ব্যাপারে গাফলতি করে। যারা লোক দেখানো কাজ করে। এবং মামুলি প্রয়োজনের জিনিসপাতি (লোকদেরকে) দিতে বিরত থাকে।
১০। সূরা কূরাইশ (কাবাঘর তাওয়াফ এবং যিয়ারতকারীদের সমতুল্য ছওয়াব লিখিত হয়)
লি ঈলাফি কুরাইশিন। ঈলাফিহিম রিহলাতাশ শিতাই ওয়াছ-ছাইফি। ফাল ইয়া’বুদু রাব্বাহাযাল বাইত। আল্লাযী আত’আমাহুম মিন জু-ইও ওয়া আমানাহুম মিন খাওফ৷
যেহেতু কুরাইশের জন্য শীত ও গ্রীষ্মের সফরকে তাদের স্বভাব সুলভ করা হয়েছে, সেহেতু ওরা উপাসনা করুক এই গৃহের রক্ষকের। যিনি ক্ষুধায় ওদেরকে আহার দিয়েছেন এবং ভীতি হতে নিরাপদ করেছেন।
১১। সূরা ফীল: আলাম তারা কাইফা ফাআলা রাব্বুকা বিআসহা-বিল ফিল। আলাম ইয়াজ-আল কাইদাহুম ফি তাদলিল। ওয়া আরসালা আলাইহিম তাইরান আবা-বিল। তারমি-হিম বিহিজা-রাতিম মিন ছিজ্জিল। ফাজা আলাহুম কা আসফিম মা’কুল।
তুমি কি দেখ নি, তোমার প্রতিপালক হ্স্তীবাহিনীর সঙ্গে কি করেছিলেন? তিনি কি ওদের কৌশলকে ব্যর্থ করে দেন নি? তিনি তাদের উপর ঝাঁকে ঝাঁকে পাখি প্রেরণ করেন। যারা ওদের উপর নিক্ষেপ করে কঙ্কর। অতঃপর তিনি ওদেরকে ভক্ষিত তৃণসদৃশ করে দেন।
১৩। সূরা আদ-দোহা
ওয়াদদু হা। ওয়াল্লাইলি ইযা-ছাজা। মা-ওয়াদ্দা আকা রাব্বুকা ওয়ামা-কালা। ওয়ালাল আ-খিরাতু খাইরুল্লাকা মিনাল ঊলা। ওয়া লাছাওফা ইউতীকা রাব্বুকা ফাতারদা। আলাম ইয়াজিদকা ইয়াতীমান ফাআ-ওয়া। ওয়া ওয়াজাদাকা দাল্লান ফাহাদা। ওয়া ওয়াজাদাকা আইলান ফাআগনা। ফা-আম্মাল ইয়াতীমা ফালা-তাকহার। ওয়া আম্মাছ ছাইলা ফালা-তানহার। ওয়া আম্মা-বিনি’মাতি রাব্বিকা ফাহাদ্দিছ।
সকালের উজ্জ্বল আলোর শপথ, এবং রাতের, যখন তার অন্ধকার গভীর হয়। তোমার প্রতিপালক তোমাকে পরিত্যাগ করেননি এবং তোমার প্রতি নারাজও হননি। নিশ্চয়ই পরবর্তী সময় তোমার পক্ষে পূর্বের সময় অপেক্ষা শ্রেয়। অচিরেই তোমার প্রতিপালক তোমাকে এত দেবেন যে, তুমি খুশী হয়ে যাবে। তিনি কি তোমাকে ইয়াতীম পাননি, অতঃপর তোমাকে আশ্রয় দিয়েছেন? এবং তোমাকে পেয়েছিলেন, পথ সম্পর্কে অনবহিত; অতঃপর তোমাকে পথ দেখিয়েছেন। এবং তোমাকে নিঃস্ব পেয়েছিলেন, অতঃপর (তোমাকে) ঐশ্বর্যশালী বানিয়ে দিলেন। সুতরাং যে ইয়াতীম, তুমি তার প্রতি কঠোরতা প্রদর্শন করো না। এবং ভিক্ষুককে ধমক দিও না। আর আপনি আপনার রবের অনুগ্রহের কথা জানিয়ে দিন।
১৪। সূরা ইয়াছীন (১ম মুবীন)
ইয়াসিন। ওয়াল কোরআনিল হাকিম। ইন্নাকা লা-মিনাল মুরসালিন। আলা সিরাতিম মুসতাকিম। তানজিলাল আজিজির রাহিম। লিতুনজিরা কাওমাম্মা-উনজিরা আ-বাউহুম ফাহুম গা-ফিলুন। লাকাদ হাক্কাল কাওলু‘ আলা আকসারিহিম ফাহুম লা-ইউ’মিনুন। ইন্না- যা‘আলনা-ফি আ‘না-কিহিম আগলা-লান ফাহিয়া ইলাল আজকা-নি ফাহুম মুকমাহুন। ওয়া যা‘আল না-মিম বাইনি আইদিহিম ছাদ্দাওঁ ওয়া মিন খালফিহিম ছাদ্দান ফাআগশাইনা-হুম ফাহুম লা-ইউবসিরুন। ওয়া ছাওয়াউন ‘আলাইহিম আ-আনযারতাহুম আম লাম তুনজিরহুম লা-ইউ’মিনুন। ইন্নামা-তুনজিরু মানিত্তাবা আজ জিকরা ওয়া খাশিয়ার রাহমা-না বিলগাইবি ফাবাশশিরহু বিমাগফিরাতিওঁ ওয়া আজরিন কারিম। ইন্না-নাহনু-নুহয়িল মাওতা-ওয়া নাকতুবু মা-কাদ্দামু ওয়া আ-ছা-রাহুম ওয়া কুল্লা শাইয়িন আহসাইনা-হু ফি ইমা-মিম মুবিন।
ইয়াসিন। প্রজ্ঞাময় কোরআনের কসম। নিশ্চয়ই আপনি প্রেরিত রাসুলগণের একজন। সরল পথে প্রতিষ্ঠিত। কোরআন পরাক্রমশালী পরম দয়ালু আল্লাহর তরফ থেকে অবতীর্ণ, যাতে আপনি এমন এক জাতিকে সতর্ক করেন, যাদের পূর্ব-পুরুষগণকেও সতর্ক করা হয়নি। ফলে তারা গাফেল। তাদের অধিকাংশের জন্য শাস্তির বিষয় অবধারিত হয়েছে। সুতরাং তারা বিশ্বাস স্থাপন করবে না। আমি তাদের গর্দানে চিবুক পর্যন্ত বেড়ি পরিয়েছি। ফলে তাদের মস্তক ঊর্ধ্বমুখী হয়ে গেছে। আমি তাদের সামনে ও পিছনে প্রাচীর স্থাপন করেছি, অতঃপর তাদের আবৃত করে দিয়েছি, ফলে তারা দেখে না। আপনি তাদের সতর্ক করুন বা না করুন, তাদের পক্ষে দুয়েই সমান; তারা বিশ্বাস স্থাপন করবে না। আপনি কেবল তাদেরই সতর্ক করতে পারেন, যারা উপদেশ অনুসরণ করে এবং দয়াময় আল্লাহকে না দেখে ভয় করে। অতএব আপনি তাদের সুসংবাদ দিয়ে দিন ক্ষমা ও সম্মানজনক পুরস্কারের। আমিই মৃতদের জীবিত করি এবং তাদের কর্ম ও কীর্তিসমূহ লিপিবদ্ধ করি। আমি প্রত্যেক বস্তু স্পষ্ট কিতাবে সংরক্ষিত রেখেছি।
১৫। সূরা মুলক (বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম)
১. তাবা-রা-কাল্লাজি বিয়া-দিহিল মূলকু ওয়া-হুয়া আলা- কুল্লি শাইয়িন কাদির।
২. আল্লাজি খালাকাল মাওতা ওয়াল হায়াতা লিইয়াবলু ওয়াকুম আই-উকুম আহছানু আমালা ওয়া হুওয়াল আজিজুল গাফুর।
৩. আল্লাজি খালাকা ছাব‘আ ছামা ওয়াতিন তিবাকা মাতারা-ফি খালকির রাহমানি মিন তাফাউত ফারজি‘ইল বাসারা হাল তারা-মিন ফুতুর।
৪. ছুম্মার জি’ইল বাসারা কাররা-তাইনি ইয়ান-কালিব ইলাই-কাল বাসারু খা-ছিআওঁ ওয়া হুয়া হাসির।
৫. ওয়া লাকাদ জা ইয়ান্নাছ সামা আদ্দুনইয়া- বিমাসা-বিহা ওয়াযা আলনা- হা-রু জুমাল লিশ-শায়াতিনি ওয়া আ’তাদনা- লাহুম আযা- বাছছাঈর।
৬. ওয়া লিল্লা-জিনা কাফারু-বি রাব্বিহিম আযা- বু-যাহান্নাম, ওয়া-বিছাল মাসির।
৭. ইজা-উলকু-ফিহা- ছামি’উ লাহা- শাহি-কাওঁ ওয়াহিয়া তাফুর।
৮. তাকা-দু তামাইয়াজু-মিনাল গাইজ, কুল্লামা-উলকিয়া ফিহা-ফাওজুন ছাআলাহুম খাজানাতুহা-আলাম ইয়াতিকুম নাজির।
৯. কা-লু-বালা-কাদ যাআনা-নাজিরুন ফাকাজ-যাবনা-ওয়া কুলনা-মানাজ যালাল্লা-হু মিন শাইয়িন ইন আনতুম ইল্লা-ফি দালা-লিন কাবির।
১০. ওয়া-কা-লু-লাও কুন্না- নাছমা’উ আও না কিলুমা- কুন্না-ফি-আসহা-বিছ ছা’ঈর।
১১. ফা’তারাফু-বিজাম-বিহিম ফাছুহ-ক্বললিআসহা-বিছ ছা’ঈর।
১২. ইন্নাল্লাজিনা ইয়াখশাওনা রাব্বাহুম বিলগাইবি লাহুম মাগফিরাতিউ ওয়া আজরুন কাবির।
১৩. ওয়া আছিররু-কাওলাকুম আবিজ-হারুবিহি ইন্নাহু’আলিমুম বিজা-তিস সুদুর।
১৪. আলা- ইয়া’লামু-মান খালাক, ওয়া হুওয়াল্লা তিফুল খাবির।
১৫. হুওয়াল্লাজি যা’আলা লাকুমুল আরদা যালুলান ফামশু-ফি মানা-কিবিহা- ওয়া কুলু-মির রিজকিহি ওয়া ইলাইহিন নুশুর।
১৬. আ-আমিনতুম মান ফিছছামাই আইঁ ইয়াখ-ছিফা বিকুমুল আরদা ফাইযা- হিয়া তামুর।
১৭. আম আমিন-তুম মান ফিছছামাই আইঁ ইউরছিলা ‘আলাইকুম হা-সিবান ফাছা-তা’লামুনা কাইফা নাজির।
১৮. ওয়া লাকাদ কাজ-যাবাল্লাজিনা মিন কাবলিহিম ফাকাইফা কা-না নাকির।
১৯. আওয়ালাম ইয়ারাও ইলাত-তাইরি ফাওকাহুম সাফফা-তিওঁ ওয়া ইয়াকবিদুন। মাইউমছি কুহুন্না ইল্লার-রাহমা-নু ইন্নাহু বিকুল্লি শাইয়িম বাসির।
২০. আম্মান হা-যাল্লাজি হুওয়া জুনদুল্লাকুম ইয়ানসুরুকুম মিন দুনির-রাহমা-ন ইনিল কাফিরুনা ইল্লা- ফি গুরুর।
২১. আম্মান হা-যাল্লাজি ইয়ার-জুকুকুম ইন আমছাকা রিজকাহু বাল্লাজজুফি ‘উতুও-বি ওয়া নুফুর।
২২. আ-ফা-মাইঁ ইয়ামশি মুকিব্বান ‘আলা- ওয়াজহিহি আহদা আম্মাইঁ ইয়ামশি ছাবি ইয়ান ‘আলা-সিরা-তিম মুছতাকিম।
২৩. কুল হুওয়াল্লাজি-আনশাআকুম ওয়া যা‘আলা লাকুমুছ-ছাম‘আ ওয়াল আবসা-রা ওয়াল আফইদা কালিলাম মা-তাশকুরুন।
২৪. কুল হুওয়াল্লা-জি যারাআকুম ফিল আরদি-ওয়া ইলাইহি তুহশারুন।
২৫. ওয়া-ইয়া-কুলুনা মাতা-হা-যাল ওয়া’দু- ইন কুনতুম সা-দিকিন।
২৬. কুল ইন্নামাল ‘ইলমু’-ইনদাল্লা-হি ওয়া-ইন্নামা-আনা নাজিরুম মুবিন।
২৭. ফালাম্মা-রা-আওহু জুলফাতান সিআত ঊজু-হুল্লাজিনা কাফারু-ওয়া কিলা হা-যাল্লাজি কুনতুম বিহি তাদ্দা’ঊন।
২৮. কুল আরা-আইতুম ইন আহলাকা-নিয়াল্লা-হু ওয়া মাম্মা‘ইয়া আও রাহিমানা- ফামাইঁ ইউজিরুল কা-ফিরিনা মিন ‘আযা-বিন আলিম।
২৯. কুল হুওয়ার-রাহমা-নু-আ-মান্না-বিহি ওয়া’আলাইহি তাওয়াক্কালনা-, ফাছাতা’লামুনা মান হুওয়া ফি দালা-লিম মুবিন।
৩০. কুল আরা-আইতুম ইন আসবাহা মাউকুম গাওরান ফামাইঁ ইয়া’তিকুম বিমাইম মা’ঈন।
(১) বরকতময় তিনি যার হাতে সর্বময় কর্তৃত। আর তিনি সব কিছুর ওপর সর্বশক্তিমান। (২) যিনি মৃত্যু ও জীবন সৃষ্টি করেছেন যাতে তিনি তোমাদের পরিক্ষা করতে পারেন যে, কে তোমাদের মধ্যে আমলের দিক থেকে উত্তম। আর তিনি মহাপরাক্রমশালি, অতিশয় ক্ষমাশীল। (৩) যিনি সাত আসমান স্তরে স্তরে সৃষ্টি করেছেন। পরম করুণাময়ের সৃষ্টিতে তুমি কোনো অসামঞ্জস্য দেখতে পাবে না। তুমি আবার দৃষ্টি ফিরাও, কোনো ত্রুটি দেখতে পাও কি? (৪) অতঃপর তুমি দৃষ্টি ফিরাও একের পর এক, সেই দৃষ্টি অবনমিত ও ক্লান্ত হয়ে তোমার দিকে ফিরে আসবে। (৫) আমি নিকটবর্তী আসমানকে প্রদীপ দ্বারা সুশোভিত করেছি এবং সেগুলোকে শয়তানদের প্রতি নিক্ষেপের বস্তু বানিয়েছি। আর তাদের জন্য প্রস্তুত করে রেখেছি জ্বলন্ত আগুনের আজাব। (৬) আর যারা তাদের রবকে অস্বীকার করে, তাদের জন্য রয়েছে যাহান্নামের আজাব। আর কতই না নিকৃষ্ট সেই প্রত্যাবর্তনস্থল! (৭) যখন তাদের তাতে নিক্ষেপ করা হবে, তখন তারা তার বিকট শব্দ শুনতে পাবে। আর তা উথলিয়ে উঠবে। (৮) ক্রোধে তা ছিন্ন ভিন্ন হওয়ার উপক্রম হবে। যখনই তাতে কোনো দলকে নিক্ষেপ করা হবে, তখন তার প্রহরিরা তাদের জিজ্ঞাসা করবে, ‘তোমাদের নিকট কি কোনো সতর্ককারি আসেনি? (৯) তারা বলবে, ‘হ্যা, আমাদের নিকট সতর্ককারি এসেছিল। তখন আমরা (তাদের) মিথ্যাবাদী আখ্যায়িত করেছিলাম এবং বলেছিলাম, ‘আল্লাহ কিছুই নাজিল করেননি। তোমরা তো ঘোর বিভ্রান্তিতে রয়েছ। (১০) আর তারা বলবে, ‘যদি আমরা শুনতাম অথবা বুঝতাম, তাহলে আমরা জ্বলন্ত আগুনের অধিবাসিদের মধ্যে থাকতাম না। (১১) অতঃপর তারা তাদের অপরাধ স্বীকার করবে। অতএব, ধ্বংস জ্বলন্ত আগুনের অধিবাসিদের জন্য। (১২) নিশ্চয়ই যারা তাদের রবকে না দেখেই ভয় করে তাদের জন্য রয়েছে ক্ষমা ও বড় প্রতিদান। (১৩) আর তোমরা তোমাদের কথা গোপন করো অথবা তা প্রকাশ করো, নিশ্চয়ই তিনি অন্তরসমূহে যা আছে সে বিষয়ে সম্যক অবগত। (১৪) যিনি সৃষ্টি করেছেন, তিনি কি যানেন না? অথচ তিনি অতি সূক্ষ্মদর্শী, পূর্ণ অবহিত। (১৫) তিনিই তো তোমাদের জন্য জমিনকে সুগম করে দিয়েছেন, কাজেই তোমরা এর পথে-প্রান্তরে বিচরণ কর এবং তাঁর রিজিক থেকে তোমরা আহার করো। আর তাঁর নিকটই পুনরুত্থান। (১৬) যিনি আসমানে আছেন, তিনি তোমাদেরসহ জমিন ধসিয়ে দেওয়া থেকে কি তোমরা নিরাপদ হয়ে গেছ, অতঃপর আকস্মিকভাবে তা থর থর করে কাঁপতে থাকবে। (১৭) যিনি আসমানে আছেন, তিনি তোমাদের ওপর পাথর নিক্ষেপকারি ঝোড়ো হাওয়া পাঠানো থেকে তোমরা কি নিরাপদ হয়ে গেছ, তখন তোমরা যানতে পারবে কেমন ছিল আমার সতর্কবাণী? (১৮) আর অবশ্যই তাদের পূর্ববর্তীরাও অস্বীকার করেছিল। ফলে কেমন ছিল আমার প্রত্যাখ্যান (এর শাস্তি)? (১৯) তারা কি লক্ষ্য করেনি তাদের উপরস্থ পাখিদের প্রতি, যারা ডানা বিস্তার করে ও গুটিয়ে নেয়? পরম করুণাময় ছাড়া অন্য কেউ এদের স্থির রাখে না। নিশ্চয়ই তিনি সব কিছুর সম্যক দ্রষ্টা। (২০) পরম করুণাময় ছাড়া তোমাদের কি আর কোনো সৈন্য আছে, যারা তোমাদের সাহায্য করবে? কাফিররা শুধু তো ধোঁকায় নিপতিত। (২১) অথবা এমন কে আছে, যে তোমাদের রিজিক দান করবে যদি আল্লাহ তাঁর রিজিক বন্ধ করে দেন? বরং তারা অহমিকা ও অনীহায় নিমজ্জিত হয়ে আছে। (২২) যে ব্যক্তি উপুড় হয়ে মুখের ওপর ভর দিয়ে চলে সে কি অধিক হেদায়াতপ্রাপ্ত না কি সেই ব্যক্তি যে সোজা হয়ে সরল পথে চলে? (২৩) বলো, ‘তিনিই তোমাদের সৃষ্টি করেছেন এবং তোমাদের জন্য শ্রবণ ও দৃষ্টিশক্তি এবং অন্তকরণসমুহ দিয়েছেন। তোমরা খুব অল্পই শোকর করো। (২৪) বলো, ‘তিনিই তোমাদের জমিনে সৃষ্টি করেছেন এবং তাঁর কাছেই তোমাদের সমবেত করা হবে। (২৫) আর তারা বলে, ‘সে ওয়াদা কখন বাস্তবায়িত হবে, যদি তোমরা সত্যবাদী হও। (২৬) বলো, ‘এ বিষয়ের জ্ঞান আল্লাহরই নিকট। আর আমি তো স্পষ্ট সতর্ককারী মাত্র। (২৭) অতঃপর তারা যখন তা আসন্ন দেখতে পাবে, তখন কাফিরদের চেহারা মলিন হয়ে যাবে এবং বলা হবে, ‘এটাই হলো তা, যা তোমরা দাবি করছিলে। (২৮) বলো, ‘তোমরা ভেবে দেখেছ কি’? যদি আল্লাহ আমাকে এবং আমার সঙ্গে যারা আছে, তাদের ধ্বংস করে দেন অথবা আমাদের প্রতি দয়া করেন, তাহলে কাফিরদের যন্ত্রণাদায়ক থেকে কে রক্ষা করবে? (২৯) বলো, ‘তিনিই পরম করুণাময়। আমরা তাঁর প্রতি ইমান এনেছি এবং তাঁর ওপর তাওয়াক্কুল করেছি। কাজেই তোমরা অচিরেই যানতে পারবে কে স্পষ্ট বিভ্রান্তিতে রয়েছে? (৩০) বলো, ‘তোমরা ভেবে দেখেছ কী, যদি তোমাদের পানি ভূগর্ভে চলে যায়, তাহলে কে তোমাদের বহমান পানি এনে দিবে?
No comments