মাগরিব নামাজের পরের আমল
মাগরিব নামাজের পরের আমল
(১ বার) আয়াতুল কুরসী

আল্লাহ ছাড়া অন্য কোনো উপাস্য নেই, তিনি জীবিত, সবকিছুর ধারক। তাঁকে তন্দ্রাও স্পর্শ করতে পারে না এবং নিদ্রাও নয়। আসমান ও জমিনে যা কিছু রয়েছে, সবই তাঁর। কে আছ এমন যে সুপারিশ করবে তাঁর কাছে তাঁর অনুমতি ছাড়া? দৃষ্টির সামনে কিংবা পেছনে যা কিছু রয়েছে, সে সবই তিনি জানেন। তাঁর জ্ঞানসীমা থেকে তারা কোনো কিছুকেই পরিবেষ্টিত করতে পারে না, কিন্তু যতটুকু তিনি ইচ্ছা করেন। তাঁর কুরসি (সিংহাসন) সমস্ত আসমান ও জমিনকে পরিবেষ্টিত করে আছে। আর সেগুলোকে ধারণ করা তাঁর পক্ষে কঠিন নয়। তিনিই সর্বোচ্চ এবং সর্বাপেক্ষা মহান।
- যে ব্যক্তি প্রত্যেক ফরজ নামাজের পর একবার আয়াতুল কুরসী পড়বে, তার জান্নাতে প্রবেশের জন্য শুধু মৃত্যুই বাঁধা থাকবে।
সালাম ফিরিয়ে
৩৩ বার সুবহানাল্লাহ
৩৩ বার আলহামদুলিল্লাহ্
৩৪ বার আল্লাহু আকবার
(১ বার) লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা-শারীকা লাহু। লাহুল মুলকু ওয়া লাহুল হামদু ওয়া হুয়া আলা কুল্লি শাইয়্যিন কাদীর।
(১ বার) সাইয়্যেদুল ইস্তিগফার [ফজর ও মাগরীবের পর] (ক্ষমা চাওয়ার শ্রেষ্ঠ দোয়া)
আল্লা-হুম্মা আনতা রাব্বী লা ইলা-হা ইল্লা আনতা খালাক-তানী, ওয়া আনা আবদুকা ওয়া আনা আলা আহদিকা ওয়া ওয়া‘দিকা মাসতাতাতু। আউজুবিকা মিন শাররী মা ছানাতু। আবূউ লাকা বিনিমাতিকা আলাইয়া ওয়া আবূউ বিযাম্বী ফাগফিরলী ফাইন্নাহূ লা-ইয়াগফিরুয যুনূবা ইল্লা আনতা।
(বসা অবস্থায় ১০ বার)
আস্তাগফিরুল্লাহ
- স্থান ত্যাগ করার পূর্বেই আল্লাহ তা-য়ালা পাঠকারীর গুনাহরাশি ক্ষমা করে দিবেন যদিও তা সমূদ্রের ফেনার মত অথবা তিহামার পাহাড়গুলোর মত হয় না কেন। (নুযহাতুল মাজলিস)
(১০ বার) ফজর, আসর ও মাগরিব বাদ সালাতের পর পর পা না গুটিয়েই
লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহ দাহু লা-শারিকা লাহু, লাহুল মুলক ওয়া লাহুল হামদ, ইউহী ওয়া ইয়্যুমীত (বিয়াদিহিল খাইরু) ওয়া হুয়া আলা-কুল্লি শাইয়্যীন কাদীর।
- সর্বশ্রেষ্ঠ আমলকারী হবার যিকর
(১০ বার) ফজর ও মাগরীবের পর
দরূদে ইব্রাহীম
- কিয়ামতের দিন রাসূল (সাঃ) এর শাফায়েত পেতে
(১০ বার) ফজর ও মাগরীবের পর
লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা-শারিকা লাহু, লাহুল মুলক ওয়া লাহুল হামদ ওয়া হুয়া আলা-কুল্লি শাইয়্যীন কাদীর।
- ইসমাইল (আঃ) এর বংশের গোলাম আযাদের সমপরিমান সওয়াব পাবে।
- ১০ টি নেকি পাবে।
- ১০ টি পাপ মুছে দেয়া হবে।
- ১০টি মর্যাদা বৃদ্ধি করা হবে।
- সন্ধ্যা পর্যন্ত (মাগরীবের পর পড়লে সকাল পর্যন্ত) শয়তানের অনিষ্ট থেকে নিরাপদে থাকবে। (আবু দাউদঃ ৫০৭৭)
(১০ বার)
সূরা ইখলাস
- পাঠকারীর জন্য আল্লাহ তা-য়ালার সন্তুস্টি ও ক্ষমা ওয়াজিব হয়ে যাবে। (ইবনুন নাজ্জার, জামি-উল আহাদিস)
(১০ বার)
লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াল্লা-হু আকবর, ওয়া সুবহানাল্লাহি ওয়া বিহামদিহী ওয়া আস্তাগফিরুল্লা-হা ওয়ালা হাওলা ওয়ালা কুওয়্যাতা ইল্লা বিল্লাহিল আওয়ালু ওয়াল আখিরু ওয়ায যহিরু ওয়াল বাতিনু বিয়াদিহিল খাইরু ইউহয়ী ওয়া ইউমীতু ওয়া হুয়া আলা কুল্লি শাইয়্যিন কাদীর।
পাঠকারী ৬ টি ফজিলত লাভ করবে:- ইবলিস এবং তার বাহিনী থেকে দূরে রাখা হবে।
- ১ কিনতার পরিমাণ ছাওয়াব দেয়া হবে। (১ কিনতার=১২০ টি উহুদ পাহাড়ের সমান)
- জান্নাতে তার মর্যাদা বৃদ্ধি করা হবে।
- তাকে ক্ষমা করা হবে।
- ১২ হাজার ফেরেশতা মৃত্যুর সময় এসে তাকে জান্নাতের সুসংবাদ দেবে।
- ইব্রাহীম (আ:) এর সাথে তার হাশর হবে।
- পাঠকারী যেন তাওরাত, যাবুর, ইঞ্জিল এবং ফুরকান পাঠ করল।
- সে যেন মাকবুল হজ্ব ও ওমরা পালন করল।
- সে যদি ওইদিন মারা যায় তাহলে তাকে শহীদের মাঝে অন্তর্ভুক্ত করা হবে।
(৭ বার) (ফজর ও মাগরিবের পর)
জাহান্নাম থেকে মুক্তি ও জান্নাত লাভের দোয়া
আল্লাহুম্মা আজিরনী মিনান্নার।
(৭ বার) (ফজর ও মাগরিবের পর), অন্য ওয়াক্তসমূহের পর ১ বার করে (সূরা নং ০৯: আত তাওবা, শেষ আয়াত)
- দুশ্চিন্তা, উৎকণ্ঠা ও সমস্যা মুক্তির দোয়া
(৭ বার) (ফজর ও মাগরিবের পর), অন্য ওয়াক্তসমূহের পর ১ বার করে (সূরা নং ০৯ঃ আত তাওবা, শেষ ২ আয়াত ১২৮-১২৯)
লাকাদ জা-আকুম রাসুলুম মিন আন-ফুসিকুম আজিজুন আলাইহি মা-আনিত্তুম হারিছুন আলাইকুম বিল মুমিনীনা রাউফুর রাহীম।
ফাইন তাওয়াল্লাও ফাকুল হাসবি-আল্লাহু লা-ইলাহা ইল্লাহুয়া আলাইহি তাওয়াক্কালতু ওয়া হুয়া রাব্বুল আরশিল আজীম।
+
(৩ বার)
সাল্লাল্লাহু তা’আলা- আলাইহী ওয়া আ-লিহী- ওয়া বারাকা ইয়া সাইয়্যীদিনা মুহাম্মাদ।
১২৮- তোমাদের কাছে এসেছে তোমাদের মধ্য থেকেই একজন রসূল। তোমাদের দুঃখ-কষ্ট তার পক্ষে দুঃসহ। তিনি তোমাদের মঙ্গলকামী, মুমিনদের প্রতি স্নেহশীল, দয়াময়।
১২৯- এ সত্ত্বেও যদি তারা বিমুখ হয়ে থাকে, তবে বলে দাও, আল্লাহই আমার জন্য যথেষ্ট, তিনি ব্যতীত আর কারো বন্দেগী নেই। আমি তাঁরই ভরসা করি এবং তিনিই মহান আরশের অধিপতি।
- যে ব্যক্তি সকাল-সন্ধ্যায় ৭ বার করে পাঠ করবে আল্লাহতায়ালা তার সব কাজ সহজ করে দিবেন। (কুরতুবী)
- যে ব্যক্তি প্রত্যেক নামাযের পর আয়াত ২ টি পড়বে আল্লাহর রহমতে সে হাশরের দিন রসূলুল্লাহ (সাঃ) এর শাফায়াত পাবে।
- প্রতিদিন ৪১ বার পড়লে স্বপ্নে রাসুলাল্লাহ (সাঃ) এর সাক্ষাত লাভ করবে। (মাসআল ও মাসায়েল)
- দুশ্চিন্তা, উৎকণ্ঠা ও সমস্যা মুক্তির দোয়া।
(৭ বার) (ফজর ও মাগরিবের পর)। সূরা আল-ইমরান (২৬-২৭)
৩.২৭। আপনি রাতকে দিনের মধ্যে প্রবেশ করান এবং দিনকে রাতের মধ্যে প্রবেশ করান। আপনি জীবিতকে মৃত থেকে বের করেন এবং মৃতকে জীবিত থেকে বের করেন। আপনি যাকে ইচ্ছা অগণিত রিযিক দান করেন।
- ঋণ পরিশোধ হবে ইনশাআল্লাহ
(৭ বার) সকাল-সন্ধ্যায় [মূসা (আঃ) এর দোয়া]
আল্লাহুম্মা আন্তা খলাকতানি ওয়া আন্তা তাহদিনি ওয়া আন্তা তাত-আমানি ওয়া আন্তা তাসকিনি ওয়া আন্তা তামিতানি ওয়া আন্তা তাহ-ইয়ানি।
হে আল্লাহ! আপনিই আমাকে সৃষ্টি করেছেন, আপনিই আমাকে পথ প্রদর্শন করেন, আপনিই আমাকে খাওয়ান, আপনিই আমাকে পান করান, আপনিই আমাকে জীবন দান করেন, আপনিই আমাকে মৃত্যু দিবেন। [আল-তবরানি এর মুজাম আল-ওসত এ (হাদীস নং ১০২৮ বা ১০৩২)]
- পাঠকারী যা চাইবে, তাই পাবে। [মুজামে আউসাত্ব-১০২৮, মাজমাউয্ যাওয়ায়েদ-১০/১৬০]
(৪ বার) জাহান্নাম হতে পুরোপুরি মুক্তি লাভের দোয়া
আল্লাহুম্মা ইন্নি আমছাইতু উশহিদুকা ওয়া উশহিদু হামালাতা আরশিকা ওয়া মালায়িকাতিকা ওয়া জামিয়া খালকিকা। আন্নাকা আন্তাল্লাহু লা ইলাহা ইল্লা আন্তা ওয়া আন্না মুহাম্মাদান (সাঃ) আব্দুকা ওয়া রাসুলুক।
হে আল্লাহ, আমার সন্ধ্যা হলো আপনাকে সাক্ষী রেখে, আপনার আরশ বহণকারী ফেরেশতাদের সাক্ষী রেখে, সমস্ত ফেরেশতা ও সমগ্র সৃষ্টিকে সাক্ষী রেখে, এই ব্যাপারে যে, আপনিই আল্লাহ। আপনি ছাড়া কোনও সত্য মাবুদ নেই। আর মুহাম্মাদ (সাঃ) হলেন আপনার বান্দা ও রাসূল।
দোয়াটি সকাল-সন্ধ্যায় -
- ১ বার পড়লে আল্লাহ তাকে চার-ভাগের এক ভাগ জাহান্নাম থেকে মুক্ত করে দেবেন।
- ২ বার পড়লে আল্লাহ তাকে অর্ধেক জাহান্নাম থেকে মুক্ত করে দেবেন।
- ৩ বার পড়লে আল্লাহ তাকে তিন ভাগ জাহান্নাম থেকে মুক্ত করে দেবেন।
- ৪ বার পড়লে আল্লাহ তাকে পুরোপুরি জাহান্নাম থেকে মুক্ত করে দেবেন। (আবু দাউদ/মুনতাখাব হাদীস)
(৩ বার)
সূরা ইখলাস, সূরা ফালাক, সূরা নাস
(৩ বার)
আস্তাগফিরুল্লা-হাল্লাযী লা-ইলাহা ইল্লা হুয়্যাল হাইয়্যুল কাইয়্যুমু ওয়া আতুবু ইলাইহী।
- পাঠকারীকে ক্ষমা করা হবে। যদিও তার গুনাহ সমূদ্রের ফেনারাশি ও আলিজ মরুভূমির বালুকণা এবং আকাশের তারকারাজির সমতূল্য হয়। এমনকি যুদ্ধের ময়দান থেকে পলায়ণকারী হলেও। (কানযুল উম্মাল, ইবনুস সুন্নী)
(৩ বার) আকস্মিক মুছিবত হতে হেফাজত থাকার দোয়া
বিসমিল্লা-হিল্লাযী লা-ইয়াদুর্রু মা-আসমিহি শাইয়্যুন ফিল আরদি ওয়ালা ফিস-সামায়ি ওয়া হুয়াস-সামিউল আলিম।
- প্রতিদিন সকাল-সন্ধ্যায় যে ব্যক্তি এ দু‘আটি তিনবার পাঠ করবে কোন কিছুই তার কোন অনিষ্ট করতে পারবে না। (তিরমিজি, হাদিস নং ৩৩৮৮; ইবনু মাজাহ, হাদিস: ৩৮৬৯)
(৩ বার) অল্প আমলে বেশি সাওয়াব পাবার যিকর
সুবহানাল্লাহি ওয়া বিহামদিহি আদাদা খালকিহি; ওয়া রিদা নাফসিহি; ওয়া যিনাতা আরশিহি; ওয়া মিদাদা কালিমাতিহি।
(অর্ধদিবস) পর্যন্ত ইবাদত - বন্দেগীতে লিপ্ত থাকার চেয়েও বেশি পরিমাণ সওয়াব লাভ করবে
(৩ বার) নবীজী (সাঃ) হাত ধরে জান্নাতে প্রবেশ করাবেন
রাদিতু বিল্লাহী রাব্বান ওয়া বিল ইসলামি দীনান ওয়াবি মুহাম্মাদিন (সাঃ) নাবিয়্যান ওয়া রাসুলান।
- পাঠকারীকে কিয়ামতের দিন রাসুল (সা.) হাত ধরে জান্নাতে
প্রবেশ করাবেন।
- কিয়ামতের মাঠে আল্লাহপাকের উপর ওয়াজিব হইয়ে যাবে উক্ত ব্যক্তিকে সন্তুষ্ট করে দেয়া। (তিরমিজি: ৩৩৮৯)
- তার জন্য জান্নাত ওয়াজিব হয়ে যাবে। (আবু দাউদ, নাসায়ী)
(১ বার) জ্ঞান, কর্ম ও রিযিক প্রার্থনা
আল্লাহুম্মা ইন্নী আস’আলুকা ইলমান না-ফি’আন, ওয়া রিজকান তাইয়্যিবান, ওয়া আমালান মুতাকাব্বালান।
(১ বার) ফজর ও মাগরীবের পর
আল্লাহুম্মা মা আসবাহা বি-মিন নিমাতিন ফা মিনকা আও-বি আহাদিন মিন খালকিকা ফা-মিনকা ওয়াহদাকা লা-শারিকা লাকা, লাকাল হামদ ওয়ালাকাশ শুকরু।
হে আল্লাহ! এই সকালে/সন্ধ্যায় আমার মাঝে যত নেয়ামত বিদ্যমান, আপনার যেকোন সৃষ্টির মাঝে, তা একমাত্র আপঅনার দান। আপনার কোনও শরীক নেই। সুতরাং সকল প্রশংসা আপনারই। (সুনানে আবু দাউদঃ ৫০৭৩)
- সকালে দোয়াটি পড়লে ওইদিনের শুকরিয়া আদায় করা হবে।
(১ বার) শয়তান, বিষধর জন্তু ও কুদৃষ্টি থেকে আশ্রয় পেতে
আউজুবি কালিমা তিল্লাহিত-তাম্মাতি মিন কুল্লি শায়তানিও-ওয়া হাম্মাতিও-ওয়া মিন কুল্লি আইনিন লাম্মাহ।
অর্থ : আমি আল্লাহর পরিপূর্ণ কলেমার দ্বারা সব শয়তান, বিষধর জন্তু ও কুদৃষ্টি থেকে আশ্রয় চাইছি। (সহীহ বুখারীঃ ৩৩৭১)
- ইবরাহীম (আঃ) ইসমাঈল ও ইসহাক (আঃ)-এর জন্য দু‘আ পড়ে পানাহ চাইতেন।
(১ বার) ফজর ও মাগরীবের পর (বাড়ি-ঘর, ধন-সম্পদ, পরিবার-পরিজনদের সকল বিপদ থেকে হেফাজতের আমল)
আল্লাহুম্মা আন্তা রাব্বী লা ইলা-হা ইল্লা আন্তা, আলাইকা তাওয়াক্কালতু ওয়া আনতা রাব্বুল আরশিল আজীম। মাশা-আল্লাহু কানা ওয়া লাম ইয়াশা লাম ইয়াকুন। লা হাওলা ওয়ালা কুয়্যাতা ইল্লা বিল্লাহীল আলিয়্যীল আন্নাল্লাহা আলা কুল্লি শাইয়্যীন কদীর, ওয়া আন্নালাহা কাদ আহাতা বিকুল্লি শাইয়্যীন ইলমান। আল্লাহুম্মা ইন্নি আউজুবিকা মিন শাররী নাফসী ওয়া মিন শাররী কুল্লি দাব্বাতিন আনতা আখিজুন বিনা সিয়াতীহা। ইন্না রাব্বি আলা সিরাতিম মুস্তাকিম।
হে আল্লাহ! আপনি আমার রব। আপনি ছাড়া কোনও উপাস্য নেই। আপনার উপরই ভরসা করলাম। আপনিই মহান আরশের অধিপতি। আল্লাহ যা চান তাই হয় এবং যা চান না, তা হয় না। মহান মর্যাদাবান আল্লাহ ছাড়া আর কারও কোনও ক্ষমতা ও শক্তি নেই। আমার বিশ্বাস যে, আল্লাহ সর্ব বিষয়ে ক্ষমতাবান এবং তিনি নিজ জ্ঞান দ্বারা সবকিছুকে বেষ্টন করে আছেন। হে আল্লাহ, আমি আপনার আশ্রয় চাই নিজের কুপ্রবৃত্তির অনিষ্ট থেকে এবং সকল প্রাণীর অনিষ্ট থেকে, নিশ্চয় আমার রব সঠিক পথ প্রদর্শনকারী। (আমালুল ইয়াওমিঃ ৫৭, ইবনুস সুন্নি)
(১ বার) (ফজরের পর সূর্য উঠার আগে এবং মাগরীবের পর) সূরা নং ০৬ঃ আন-আম, আয়াত ১-৩
৬.২। তিনিই তোমাদেরকে মাটি থেকে সৃষ্টি করেছেন, তারপর নির্ধারণ করেছেন এক নির্দিষ্ট সময়। আর তাঁর কাছেই রয়েছে আরেক নির্ধারিত সময়। তবুও তোমরা সন্দেহ কর।
৬.৩। তিনিই আল্লাহ, যিনি আকাশে ও পৃথিবীতে আছেন। তিনি জানেন তোমাদের গোপন ও প্রকাশ্য বিষয় এবং তিনি জানেন যা কিছু তোমরা অর্জন কর।
- রাসুলাল্লাহ (সাঃ) বলেছেন – যে ব্যক্তি ফজরের সালাত জামায়াতের সাথে আদায় করে স্বীয় জায়নামাজে বসে সূরা আন’আমের প্রথম ৩ আয়াত পাঠ করে, আল্লাহ তায়ালা তার জন্য ৭০ জন ফেরেশতা নিযুক্ত করেন যারা তার পক্ষে কিয়ামত পর্যন্ত তাসবীহ পাঠ করতে থাকে এবং ক্ষমা প্রার্থনা করতে থাকে। ফেরেশতাদের তাসবীহ তার আমলনামায় লেখা হবে। (দায়লামী শরীফ, ইবনুদ দুরাইস ফী ফাদাইলিল কুরআন)
- ২৪০০০ ফেরেশতা কিয়ামত পর্যন্ত ইবাদত করতে থাকবে এবং তাদের ইবাদতের ছওয়াব পাঠকারীর আমলনামায় লিপিবদ্ধ করা হবে।
- ১ জন ফেরেশতা এমনভাবে নিযুক্ত করা হবে যে শয়তানের মুখে চাবুক মারবে যাতে শয়তান পাঠকারীকে কোনো ওয়াস-ওয়াসা না দিতে পারে। শয়তান ও পাঠকারীর মাঝে পর্দা পড়ে যাবে।
- কিয়ামতের আল্লাহ তায়ালা পাঠকারীকে ডেকে আরশের ছায়া দিবেন, জান্নাতের খাবার খাওয়াবেন, হাউজে কাউছার থেকে পানি পান করাবেন, সালসাবিল ঝর্ণার পানি দ্বারা গোসল করাবেন। [জালালাইন শরীফ (টিকা), পৃষ্ঠা ১১১]
(৩ বার) ফজর ও মাগরীবের নামাজের পর
বিসমিল্লাহী আলাদিনী ওয়া নাফসি ওয়া ওয়ালাদি ওয়া আহলি ওয়া মালি।
- এই দোয়ার মাধ্যমে আল্লাহর নিকত ৫টি বস্তুর নিরাপত্তা প্রার্থনা করা হয়ঃ তা হলো - দ্বীন (ধর্ম অর্থাৎ ঈমান), নফস (আত্মা/জীবন), সন্তান-সন্ততি, পরিবার-পরিজন ও ধন-সম্পদ। ফজর ও মাগরীবের নামাজের পর ৩ বার পাঠ করলে আল্লাহ উক্ত ৫টি বস্তুর হেফাজতের দায়িত্ব নিজে গ্রহণ করবেন (ইনশা'আল্লাহ)
(৩ বার)
সুবহানাল্লাহিল আজিমী ওয়া বিহামদিহী ওয়ালা হাওলা ওয়ালা কুয়্যাতা ইল্লা বিল্লাহ।
- পাঠকারী ৩ টি বিপদ হতে নাজাত পাবে – (১) অন্ধ হবে না, (২) কুস্টহগ্রস্ত হবে না, (৩) প্যারালাইসিসগ্রস্ত হবে না।
(৩ বার সূরা নং ৬৫ঃ তালাক ২-৩) দারিদ্রতা দূর করার জন্য

৬৫.৩। আর (হে পুরুষরা!) তোমরা তোমাদের স্ত্রীদের মধ্যে যাদের মাসিক ঋতুস্রাব বন্ধ হয়ে গেছে, তাদের ইদ্দত সম্পর্কে যদি সন্দেহ পোষণ করো, তবে তাদের ইদ্দতকাল হবে তিন মাস। আর যাদের এখনো মাসিক ঋতুস্রাব শুরু হয়নি, তাদেরও (একই ইদ্দতকাল হবে)। গর্ভবতী নারীদের ইদ্দতকাল সন্তান প্রসব করা পর্যন্ত। আর যে আল্লাহকে ভয় করে, আল্লাহ তার জন্য তার কাজকে সহজ করে দেন।
(৩ বার) (ঋণ মুক্তির দোয়া)
আল্লাহুম্মা ইন্নি আউযুবিকা মিনাল হাম্মি ওয়াল হুযনি, ওয়া আউযুবিকা মিনাল আজযি ওয়াল কাসালি ওয়া আউযুবিকা মিনাল জুবনি ওয়াল বুখলি, ওয়া আউযুবিকা মিন গালাবাতিদ-দায়নি ওয়া কাহ্রির রিজাল।
(৩ বার) ফজর ও মাগরীবের পর
আল্লাহুম্মা ইন্নি আউজুবিকা আন উশরিকা বিকা ওয়া আনা আ’লামু ওয়া আসতাগফিরুকা লিমা মা আ’লাম।
- হে আল্লাহ, আমার জানা অবস্থায় আপনার সাথে শিরক করা থেকে আপনার নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করছি, আর অজানা অবস্থায় শিরক হয়ে গেলে ক্ষমা প্রার্থনা করছি।
(কানযুল উম্মাল, ২য় খন্ড, ৮১৬ পৃষ্ঠা)
(৩ বার)
আল্লাহুম্মা সাল্লি আলা সাইয়্যিদিনা মুহাম্মাদিন ফি আও-ওয়ালি কালা মিনা ওয়া সাল্লি আলা সাইয়্যিদিনা মুহাম্মাদিন ফি আওছাতি কালা মিনা ওয়া সাল্লি আলা সাইয়্যিদিনা মুহাম্মাদিন ফি আখিরী কালা মিনা।
পাঠকারী সার্বক্ষণিক দরূদ শরীফ পাঠের ছওয়াব লাভ করবে।[জারিয়াতুল উসুল]
(৩ বার) (সূরা নং ৩৭ঃ আস সাফফাত, আয়াত ১৮০-১৮২)
সুবহানা রাব্বিকা রাব্বিল ইজ্জাতি আম্মা ইয়াসিফুন; ওয়া সালামুন আলাল মুরসালিন; ওয়াল হামদু লিল্লাহি রাব্বিল আলামিন।
পবিত্রতা আপনার রবের, মহাসম্মান রবের জন্য, তারা (রবের উপর) যা আরোপ করে তাহা হইতে । এবং শান্তি(আনুগত্য/সমর্পণ) প্রেরিতগণের (নবী, রাসুল, ওলি) উপর । এবং প্রশংসা আল্লাহর জন্য যিনি সমস্ত জগতের রব। (সূরা সাফফাত, আয়াত-১৮০-১৮২)
- পাঠকারী লিয়ামতের দিন পরিপূর্ণ পাত্রে প্রতিদান প্রাপ্ত হবে। (নুযহাতুল মাজলিস)
(১ বার) প্রতেক ওয়াক্ত ফরজ নামাজের পর
সূরা ফাতিহা +
আয়াতুল কুরসী +

৩.১৯। নিশ্চয়ই আল্লাহর নিকট একমাত্র গ্রহণযোগ্য দ্বীন (জীবনব্যবস্থা) হলো ইসলাম। আর যাদেরকে কিতাব দেওয়া হয়েছিল, তারা পরস্পরের মধ্যে বিদ্বেষবশত জ্ঞান আসার পরই মতভেদ সৃষ্টি করেছে। আর যারা আল্লাহর আয়াতসমূহ অস্বীকার করে, নিশ্চয়ই আল্লাহ তাদের হিসাব গ্রহণে দ্রুত।
সূরা আল ইমরান (আয়াতঃ ২৬-২৭)
৩.২৭। আপনি রাতকে দিনের মধ্যে প্রবেশ করান এবং দিনকে রাতের মধ্যে প্রবেশ করান। আপনি জীবিতকে মৃত থেকে বের করেন এবং মৃতকে জীবিত থেকে বের করেন। আপনি যাকে ইচ্ছা অগণিত রিযিক দান করেন।
আল্লাহ তায়ালা বলেন –
- আমি তার ঠিকানা জান্নাতে করে দেব।
- আমার কাছাকাছি স্থান দেব।
- দৈনিক ৭০ বার তার দিকে দৃস্টি দেব।
- তার ৭০ টি প্রয়োজন মিটিয়ে দেব।
- শত্রুর কবল থেকে তাকে আশ্রয় দেব এবং তাকে শত্রুর বিরুদ্ধে জয়ী করব। [মারেফুল কুরআন]
(১ বার) আল্লাহ মুগ্ধ হয়ে যান
লা ইলাহা ইল্লা আনতা, ইন্নী ক্বাদ যলামতু নাফসী, ফাগফিরলী যুনু-বী, ইন্নাহু লা ইয়াগফিরুয যুনু-বা ইল্লা আনতা।
আপনি ছাড়া কোনো সত্য উপাস্য নেই। আমি নিজের নফসের উপর জুলুম করেছি। আপনি আমার সমস্ত গুনাহ ক্ষমা করে দিন, কেননা আপনি ছাড়া কেউ গুনাহ ক্ষমা করতে পারে না।
- রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, নিশ্চয়ই আল্লাহ বান্দার উপর মুগ্ধ হয়ে যান, যখন সে এই দোয়াটি করে।
- আল্লাহ বলেন— আমার বান্দা জানে, তার একজন রব আছেন, যিনি ক্ষমাও করেন আবার শাস্তিও দেন।
[ইমাম হাকিম, আল-মুসতাদরাক: ২৪৮২; শায়খ আলবানি, সিলসিলা সহিহাহ: ১৬৫৩; হাদিসটি সহিহ]
(১ বার) কঠিন অসূখ বা রোগমুক্তির জন্য
- এই আয়াতে আল্লাহ তা'আলা বান্দাকে স্মরণ করিয়ে দেন যে, তিনিই একমাত্র কষ্ট দূর করতে পারেন এবং তিনিই একমাত্র কল্যাণ করার মালিক। সুতরাং, তাঁর প্রতি বিশ্বাস রাখা এবং তাঁর কাছেই সাহায্য চাওয়া উচিত।
(১ বার) প্রত্যেক নামাজের পর
আল্লাহুম্মাগ ফিরলি খাতাইয়্যা ওয়া জুনুবি কুল্লাহা; আল্লাহুম্মা ওয়ান আশনি ওয়াজবুরনি ওয়াহ দ্বীনি লি ছালিহীল আ'মালি ওয়াল আখলাক; লা ইয়াহদি লি ছালিহিহা ওয়ালা ইয়াস রিফু সাইয়্যী আহা ইল্লা আন্তা।
হে
আল্লাহ, আমার সমস্ত ভুল ভ্রান্তি ও গুনাহ মাফ করে দিন। হে আল্লাহ, আমাকে
উন্নতি দান করুন। আমার ত্রুটি-বিচ্যুতি দূর করে দিন, আমাকে উত্তম আমল ও
উত্তম আখলাকের তৌফিক নসীব করুন। কারণ, উত্তম আমল ও উত্তম আখলাকের প্রতি
হেদায়াত আপনি ব্যতীত আর কেউ দিতে পারে না এবং খারাপ আমল ও খারাপ আখলাক
আপনি ব্যতীত আর কেউ দূর করতে পারে না।
(১ বার) ফজর, মাগরীব ও শয়ণের পূর্বে
আল্লাহুম্মা ফাতিরাস সামাওয়াতি ওয়াল আরদি, আলিমাল গাইবি, ওয়াশ শাহাদাতি, রাব্বা কুল্লী শাইয়্যীন ওয়া মালিকাহু, আশহাদু আল্লা ইলাহা ইল্লা আনতা। আউজুবিকা মিন শাররি নাফসি, ওয়া মান শাররিশ শায়তানি ওয়া শিরকিহ।
(১ বার) (সূরা নং-৩০ঃ রোম, আয়াত ১৭-১৯)
৩০.১৯। তিনি মৃতকে জীবিত করেন এবং জীবিতকে মৃত্যু দেন। তিনি জীবিতকে মৃত থেকে বের করেন এবং মৃতকে জীবিত থেকে বের করেন। আর তিনি মৃত পৃথিবীকে জীবিত করেন। এভাবেই তোমাদেরকে (কবর থেকে) বের করা হবে।
- যে ব্যক্তি রাতে এ আয়াত ৩টি পাঠ করবে, ঐরাতে (ওয়াযীফা ও অন্যন্য আমল) যা কিছু তার ছুটে যাবে সে তার ছওয়াব প্রাপ্ত হবে। (আবু দাউদ, তাবরানী, মুসান্নাফু ইবনে আবী শায়বা, ইবনুস সুন্নী)
(১ বার) সকাল - সন্ধ্যায় [হযরত আয়েশা (রাঃ) এর দোয়া]
আল্লাহুম্মা ইন্নী আস’আলুকা মিনাল
খাইরি কুল্লিহী আজিলিহী ওয়া আজিলিহী মা আলিমতু মিনহু ওয়া মালাম আ’লাম; ওয়া আউজুবিকা মিনাশ শাররি
কুল্লিহী আজিলিহী ওয়া আজিলিহী
মা আলিমতু মিনহু ওয়া মালাম আ’লাম; ওয়া আসআলুকাল জান্নাতা ওয়ামা কার-রাবা
ইলাইহা মিন কওলিন আও আমালিন ওয়া আউজুবিকা মিনান্নার; ওয়ামা কার-রাবা ইলাইহা
মিন কওলিন
আও আমালিন; ওয়া আস আলুকা খাইরা মাছালাকা আব্দুকা ওয়া রাসুলুকা মুহাম্মাদুন
(সাঃ) ওয়া আউজুবিকা মিন শাররি মাছতা আযাবিকা আনহু আব্দুকা ওয়া রাসুলুকা
মুহাম্মাদুন (সাঃ) ওয়া আস আলুকা মা কদায়তা লী মিন আমরিন আন তাজ'আলা
আকিবাতাহু রুশদান।
হে আল্লাহ, আমি আপনার কাছে সম্পূর্ণ কল্যাণ প্রার্থনা করছি বর্তমানের ও ভবিষ্যতের এবং আমি যা জানি ও যা জানি না। আমি আপনার কাছে আশ্রয় চাই সকল অনিষ্ট থেকে বর্তমানের ও ভবিষ্যতের এবং আমি যা জানি ও যা জানি না । আমি আপনার কাছে জান্নাত প্রার্থনা করছি এবং এমন কথা ও কাজ প্রার্থনা করছি, যা আমাকে জান্নাতের নিকটবর্তী করে দেবে । আমি আপনার কাছে জাহান্নাম থেকে আশ্রয় চাই, এবং এমন কথা ও কাজ থেকে আশ্রয় চাই, যা আমাকে জাহান্নামের নিকটবর্তা করে দেবে । আমি আপনার নিকট সেই বিষয় প্রার্থনা করছি, যা আপনার বান্দা ও রাসূল মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম প্রার্থনা করেছেন । আমি আপনার কাছে সেই বিষয় থেকে আশ্রয় চাই যা থেকে আশ্রয় চেয়েছেন আপনার বান্দা ও রাসূল মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম । আমার প্রার্থনা, আমার জন্যে যে বিষয়ের ফয়সালা করেন, তার পরিণাম আমার জন্যে শুভ করে দিন । [এহইয়াউ উলুমিদ্দীন, দোয়াটি মুস্তাদরাকে হাকেমেও বর্ণিত হয়েছে]
(১ বার) সকাল - সন্ধ্যায় [হযরত ফাতেমা (রাঃ) এর দোয়া]
ইয়া হাইয়্যু ইয়া কাইয়্যুম বিরাহমাতিকা আস্তাগীসু, আসলিহ লী শানী কুল্লাহু ওয়ালা তাকিলনী ইলা- নাফসী তারফাতা আইন।
- আল্লাহর সাহায্য লাভের দোয়া
আরশবহণকারী ফেরেশতাদের দোয়া
(১ বার)
আল্লাহুম্মা ইয়া রাব্বা মুহাম্মাদিন সাল্লি আলা মুহাম্মাদিন আলি মুহাম্মাদিন ওয়াজ্জি মুহাম্মাদান সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামা মা হুয়া আহলুহু।
- পাঠকারীর জন্য ৭০ হাজার ফিরিশতা ১০০০ দিবস পর্যন্ত উহার ছাওয়াব লিখতে লিখতে কান্ত হয়ে পড়ে।
- নবী করীম (সা:) এর সকল হক আদায় হয়ে যাবে।
- তার মা বাবাকে ক্ষমা করা হবে।
- নবী করীম (সা:) এবং তাঁর পরিবারের সাথে তার হাশর হবে। (আল হাবী লিলফাতাওয়া লিসসুয়ুত্বী)
(১ বার)
আল্লাহুম্মা ইন্নী আউযুবিকা মিন আযাবি জাহান্নাম, ওয়া মিন আযাবিল কাবর, ওয়া মিন ফিতনাতিল মাহ’ইয়া ওয়াল মামাতি ওয়া মিন শাররি ফিতনাতিল মাসীহিদ দাজ্জাল।
(১ বার) (প্রত্যেক নামাজের পর)
আল্লাহুম্মা ইন্নী আউজুবিকা মিনাল জুবনি, ওয়া আউজুবিকা মিনাল বুখলি, ওয়া আউজুবিকা মিন আন আরাদ্দা ইলা- আরযালিল উমুরি, ওয়া আউজুবিকা মিন ফিতনাতিদ দুনিয়া, ওয়া আউজুবিকা মিন আযাবিল কাবরি।
- কৃপণতা, কাপুরুষতা, অপমানকর বার্ধক্য, ফিতনা থেকে আশ্রয় পাবার দোয়া
(১ বার)
আল্লাহুম্মা, ইন্নী আস’আলুকাল আফওয়া ওয়াল আফিয়্যাতা ফিদ দুনিয়া ওয়াল আখিরাহ। আল্লাহুম্মা, ইন্নী আস’আলুকাল আফওয়া ওয়াল আফিয়্যাতা ফী দীনি ওয়া দুনিয়াইয়্যা, ওয়া আহলী ওয়া মা-লী। আল্লাহুম্মাস-তুর আউরাতী ওয়া আ-মিন রাউ’আতী। আল্লাহুম্মা ফাযনী মিম বাইনি ইয়াদাইয়্যা ওয়া মিন খালফী, ওয়া আন ইয়ামীনী ওয়া আন শিমালী, ওয়া মিন ফাউকী। ওয়া আউযু বি’আযামাতিকা আন উগতা-লা মিন তাহতী।
(১ বার) (ফজর ও মাগরীবের পর)
সূরা ফাতিহা
+
কুল্লিহী আল্লাহুম্মা ইন্নী উকাদ্দীমু ইলাইকা জালিকা
+
আয়াতুল কুরসী
- কিয়ামত পর্যন্ত পাঠকারীর পক্ষে প্রতি ঘন্টায় ৭ কোটি সৎকাজ উত্তোলন করা হবে
- এবং ফেরেশতারা (সৎকাজ লেখায়) ব্যস্ত থাকবে। (কানযুল ‘উম্মুল)
(১০০ বার)
হুয়াল গাফুরুর রাহীম
(১০০) বার সূর্যোদয়ের আগে
সুবহানাল্লাহ
ফজিলতঃ পাঠকারীকে মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীন
- হযরত ইসমাঈল (আঃ) এর বংশের ১০০ গোলাম আযাদ
- ১০০ উট কুরবানী
- ১০০ নফল হজ্বের ছওয়াব দান করবেন। (নাসায়ী, তিরমিযী, তাবরানী, মেশকাত শরীফ)
§ (১০০) বার সূর্যোদয়ের আগে
আলহামদুলিল্লাহ
ফজিলতঃ পাঠকারীকে মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীন
- হযরত ইসমাঈল (আঃ) এর বংশের ১০০ গোলাম আযাদ (তিরমিযী)
- সব গুনাহ ক্ষমা করা হবে (নাসায়ী, তিরমিযী, তাবরানী)
§ (১০০) বার সূর্যোদয়ের আগে
লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ
ফজিলতঃ পাঠকারীকে মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীন
- ১০০ ঘোড়া জিহাদে দান করার ছাওয়াব দিবেন। (আহমাদ)
§ (১০০) বার সূর্যোদয়ের আগে
আল্লাহু আকবার
ফজিলতঃ পাঠকারীকে মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীন
- ১০০ মকবুল উট কুরবানী
- ১০০ গোলাম আযাদের ছাওয়াব দান করা হবে। (নাসায়ী, তিরমিযী, আহমাদ)
§ (১০০) বার সূর্যোদয়ের আগে
লা হাওলা ওয়ালা কুয়্যাতা ইল্লা বিল্লাহ
ফজিলতঃ পাঠকারীকে
- কখনও দারিদ্রতা স্পর্শ করবে না। (আত তারগীব ওয়াত তারহীব)
§ (১০০) বার সূর্যোদয়ের আগে
সুবহানাল্লাহী ওয়া বিহামদি
ফজিলতঃ পাঠকারী
- ১০০ উট কুরবানী করার ছাওয়াব
- ১০০০ নেকী লাভ হবে (তিরমিযী, দায়লামী)
- তার গুনাহ সমূদ্রের ফেনার চেয়ে বেশি হলেও ক্ষমা করা দেয়া হবে । (বুখারী ও মুসলিম শরীফ)
- পাঠকারী বিনা হিসাবে জান্নাতে প্রবেশ করবে। (মুজিবাতুল জান্নাহ; হাদীস নং-২৮১)
- এটি ফেরেশতাদের তাসবীহ। রাসুল সা. বলেন, যে ব্যক্তি দৈনিক ১০০ বার তাসবিহটি পাঠ করবে তাঁর পাপগুলো মুছে ফেলা হবে, যদিও তা সমুদ্রের ফেনারাশির সমান হয়ে থাকে। (বুখারি, হাদিস: ৬৪০৫)
- এ তাসবীহ পাঠে এত অধিক নেকী লাভ হয় যে, হাশর ময়দানে কেউ তারমত নেকী হাজির করতে পারবে না - যে ব্যক্তি তার সমান ও তাসবীহ পড়েছে, সে ছাড়া।
(১০০ বার)
সুবহানাল্লাহিল আজিমী ওয়া বিহামদিহী
- তার ন্যায় পাঠকারী ব্যতীত অন্য সকলের চেয়ে বেশী আমল নিয়ে কিয়ামতের দিন উপস্থিত হবে। (বুখারী, মুসলিম)
(১০০ বার)
সুবহানাল্লাহি রাব্বীল আজিমী ওয়া বিহামদিহী
- সৃষ্টির মাঝে কেউই তার সমান হতে পারবে না, তার ন্যায় পাঠকারী ব্যতীত। (তাবরানী ফিল আওসাত্ব)
(১০০ বার)
লা হাওলা ওয়ালা কুয়্যাতা ইল্লা বিল্লাহ
- সন্ধ্যায় শয়তানী চক্রান্ত প্রতিহত করা হবে। (দায়লামী, জামিউল আহাদীস) (১০ বার পড়লে)
- পাঠকারীকে কখনও দারিদ্রতা স্পর্শ করবে না। (আত তারগীব ওয়াত তারহীব) (১০০ বার পড়লে)
(১০০ বার)
লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ
- হযরত ইসমাঈল (আঃ) এর বংশের ১০০ গোলাম আযাদ এর ছওয়াব হবে (তিরমিযী)
- এ তাছবীহ কোনো গুনাহ ছেড়ে দিবে না (অর্থাৎ সব গুনাহ ক্ষমা করে দিবে) এবং কোনও আমলই অগ্রবর্তী হতে পারবে না। (আহমাদ)
(১০০ বার) (মুনকার-নাকীরের প্রশ্নের জবাব দিতে আল্লাহর সাহায্য পেতে)
লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু আল মালিকুল হাক্কুল মুবীন।
- আল্লাহ তায়ালা তার রিজিকের পেরেশানি দূর করে দেবেন।
- যাহেরী বাতেনী সচ্ছলতা দান করবেন।
- জান্নাতের দরজা খুলে দেবেন।
- কবরে মুনকার নাকীরের প্রশ্নের জবাব দিতে সহায়তা করবেন। (আমালিয়াত কা ফাজায়েল)
(১০০ বার) (মাগরীব বাদ কারও সাথে কথা বলার পূর্বে)
দরূদ শরীফ
- তাকে ক্ষমা করে দেয়া হয়। (ইবনে মাজাহ)
- আল্লাহ তায়ালা তার ১০০টি প্রয়োজন পূরণ করে দেন। যার ৭০টি আখিরাতের আর ৩০টি দুনিয়ার। (ইবনুন নাজ্জার)
- পাঠকারীর দুচোখের মাঝখানে আল্লাহ তায়ালা নিফাক ও জাহান্নাম থেকে মুক্তি লিখে দেন। (তাবরানী)
- কিয়ামতের দিন পাঠকারীকে শহীদদের সাথে রাখা হবে। (তাবরানী)
- জাহান্নাম তার থেকে ৫০০ বছরের রাস্তা দূরে সরে যাবে। (বুস্তানুল ওয়ায়িযীন)
No comments