সাম্প্রতিক পোষ্ট

ফজর নামাজের পরের আমল

ফজরের সুন্নাত নামাজের পরের আমল

(১ বার)

আউজুবিল্লাহিল আজিম, ওয়া বি-ওয়াজ হিহীল কারীম, ওয়া সুলতানিহীল কাদীম, মিনাশ শায়তানির রাজীম।

  • পাঠকারীর সংগে থাকা শয়তান বলে, "এ ব্যক্তি আমার থেকে নিরাপদ হয়ে গেল।" (বুসতানুল ওয়ায়েজিন)

 

(১ বার)

আল্লাহুম্মা রাব্বা জিবরীলা ওয়া মিকাঈলা ওয়া ইসরা-ফীলা আ’ইযনী মিন হাররিন না-রি ওয়া আযা-বিল কাবরি।

 

(১ বার) ১০০০ বার হজ্জ এবং ১০০০ বার কোরআন মাজীদ খতম দেয়ার সওয়াব

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম। লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহুল জালিলুল জাব্বার। লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহুল ওয়াহিদুল কাহহার। লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহুল আজিজুল গাফফার। লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহুল কারিমুস সাত্তার। লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা-শারিকালাহু ইলাহাও ওয়াহিদাও ওয়া নাহনু লাহু মুসলিমুন। লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা-শারিকালাহু ইলাহাও ওয়াহিদাও ওয়া নাহনু লাহু মুখলিসুন। লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহি ওয়া সাল্লাল্লাহু আলা খাইরি খালকিহি সাইয়্যিদিনা মুহাম্মাদিও ওয়া আলিহি ওয়া আসহাবিহী আজমাঈন। ওয়া সাল্লামা তাসলিমান কাছিরান কাছিরান, বিরাহমাতিকা ইয়া আরহামার রাহিমীন।

ছোবহে সাদেকের সময় যে ব্যক্তি এ দোয়া পাঠ করে, সে যেন –

  • ১০০০ বার হজ্জ পালন করল 
  • ১০০০ বার সমস্ত কুরআন শরীফ খতম করল 
  • ১০০০ গোলাম আল্লাহর ওয়াস্তে আজাদ করে দিল
  • ১০০০ শবে কদর এর ছাওয়াব 
  • ১০০০ দিনার আল্লাহর রাহে খরচ করল
  • রাসূল (সাঃ)- এর উপর ১০০০ দুরুদ পাঠের ছওয়াব লাভ করল
  • তার জন্য জাহান্নামের ৭ দরজা বন্ধ হয়ে যাবে
  • তার জন্য জান্নাতের ৮ টি দরজা খোলা থাকবে 

(১০ বার)

আউজুবিল্লাহি মিনাশ শয়তানির রাজীম

  • যে ব্যক্তি আল্লাহ পাকের নিকট ১০ বার শয়তান থেকে আশ্রয় চায়, আল্লাহ পাক তাকে শয়তানের হাত থেকে রক্ষা করার জন্য একজন ফেরেশতা নির্ধারিত করে দেন।

 

(১৯ বার)

বিসমিল্লাহীর রাহমানির রাহীম।

  • জাহান্নামের ১৯ প্রকার আযাব এবং ১৯ জন আযাবের ফেরেশতা থেকে মুক্তি পাবে। (জাহান্নামের ১৯টি দরজায় ১৯টি ফেরেশতা নিয়োজিত আছেন। আর ‘বিসমিল্লাহীর রাহমানির রাহীম’ কালেমায় ১৯ টি হরফ আছে।)

(২১ বার)

বিসমিল্লাহীর রাহমানির রাহীম। আল হামদু লিল্লাহী রব্বিল আলামীন।

  • দরিদ্র হলে অর্থশালি হবে।
  • ঋণগ্রস্ত হলে ঋণমুক্ত হবে।
  • দুর্বল হলে সবল হবে।
  • সকলের অনুরক্ত ও ভক্তিভাজন হবে।
  • শত্রূর চোখে ভয়ংকর ও বন্ধুর কাছে প্রিয় হবে।

নিয়মিতভাবে ৪১ বার পড়লে –

  • উদ্দেশ্য হাসিল হবে।
  • পানিতে দম করে কোনো রোগীকে পান করালে আরোগ্য লাভ হবে, ইনশাআল্লাহ।

(৪০ বার)

ইয়া হাইয়্যু ইয়া কাইয়্যুম লা-ইলাহা ইল্লা আন্তা।

  • কিয়ামতের দিন পাঠকারীর কলব মারা যাবে না।

(১০০) বার সূর্যোদয়ের আগে

সুবহানাল্লাহী ওয়া বিহামদি

ফজিলতঃ পাঠকারী

  • ১০০ উট কুরবানী করার ছাওয়াব পাবে।
  • ১০০০ নেকী লাভ হবে (তিরমিযী, দায়লামী)
  • তার গুনাহ সমূদ্রের ফেনার চেয়ে বেশি হলেও ক্ষমা করা দেয়া হবে। (বুখারী ও মুসলিম শরীফ) 
  • পাঠকারী বিনা হিসাবে জান্নাতে প্রবেশ করবে। (মুজিবাতুল জান্নাহ; হাদীস নং-২৮১)
  • এটি ফেরেশতাদের তাসবীহ। রাসুল সা. বলেন, যে ব্যক্তি দৈনিক ১০০ বার তাসবিহটি পাঠ করবে তাঁর পাপগুলো মুছে ফেলা হবে, যদিও তা সমুদ্রের ফেনারাশির সমান হয়ে থাকে। (বুখারি, হাদিস: ৬৪০৫)
  • এ তাসবীহ পাঠে এত অধিক নেকী লাভ হয় যে, হাশর ময়দানে কেউ তারমত নেকী হাজির করতে পারবে না -  যে ব্যক্তি তার সমান ও তাসবীহ পড়েছে, সে ছাড়া।

(১০০ বার)

সুবহানাল্লাহি ওয়া বিহামদিহি সুবহানাল্লাহিল আজীম আস্তাগফিরুল্লাহ।

  • এ দোয়ার বরকতে ধনসম্পদ বাধ্য হয়ে লুটিয়ে পড়বে।
  • এ দোয়ার প্রতিটি শব্দের বিনিময়ে ১ জন করে ফেরেশতা সৃস্টি করা হবে যারা কিয়ামত পর্যন্ত তাসবীহ পাঠ করবে আর ঐ তাসবীহ পাঠের ছাওয়াব পাঠাকারী লাভ করবে। (কানযুল ‘উম্মাল, আল-মাওয়াহিবুল লাদুন্নিয়া, আল-খাছায়িছুল কুবরা)

 (১০০) বার সূর্যোদয়ের আগে

সুবহানাল্লাহ

ফজিলতঃ পাঠকারীকে মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীন

  • হযরত ইসমাঈল (আঃ) এর বংশের ১০০ গোলাম আযাদ
  • ১০০ উট কুরবানী
  • ১০০ নফল হজ্বের ছওয়াব দান করবেন। (নাসায়ী, তিরমিযী, তাবরানী, মেশকাত শরীফ)

(১০০) বার সূর্যোদয়ের আগে

আলহামদুলিল্লাহ

ফজিলতঃ পাঠকারীকে মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীন

  • হযরত ইসমাঈল (আঃ) এর বংশের ১০০ গোলাম আযাদ (তিরমিযী)
  • সব গুনাহ ক্ষমা করা হবে (নাসায়ী, তিরমিযী, তাবরানী)

(১০০) বার সূর্যোদয়ের আগে

লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ

ফজিলতঃ পাঠকারীকে মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীন

  • ১০০ ঘোড়া জিহাদে দান করার ছাওয়াব দিবেন। (আহমাদ)

(১০০) বার সূর্যোদয়ের আগে

আল্লাহু আকবার

ফজিলতঃ পাঠকারীকে মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীন

  • ১০০ মকবুল উট কুরবানী
  • ১০০ গোলাম আযাদের ছাওয়াব দান করা হবে। (নাসায়ী, তিরমিযী, আহমাদ)

(১০০) বার সূর্যোদয়ের আগে

লা হাওলা ওয়ালা কুয়্যাতা ইল্লা বিল্লাহ

ফজিলতঃ পাঠকারীকে

  • কখনও দারিদ্রতা স্পর্শ করবে না। (আত তারগীব ওয়াত তারহীব)

ফজরের ফরজ নামাজের পরের আমল

      

(১ বার) আল্লাহু আকবার

(৩ বার) আসতাগফিরুল্লাহ্

(১ বার) আল্লাহুম্মা আনতাস সালাম ওয়া মিনকাস সালাম তাবারকতা ইয়া যাল-জালালি ওয়াল ইকরম

 

(১ বার) আয়াতুল কুরসী  

 
বাংলা অর্থ
আল্লাহ ছাড়া অন্য কোনো উপাস্য নেই, তিনি জীবিত, সবকিছুর ধারক। তাঁকে তন্দ্রাও স্পর্শ করতে পারে না এবং নিদ্রাও নয়। আসমান ও জমিনে যা কিছু রয়েছে, সবই তাঁর। কে আছ এমন যে সুপারিশ করবে তাঁর কাছে তাঁর অনুমতি ছাড়া? দৃষ্টির সামনে কিংবা পেছনে যা কিছু রয়েছে, সে সবই তিনি জানেন। তাঁর জ্ঞানসীমা থেকে তারা কোনো কিছুকেই পরিবেষ্টিত করতে পারে না, কিন্তু যতটুকু তিনি ইচ্ছা করেন। তাঁর কুরসি (সিংহাসন) সমস্ত আসমান ও জমিনকে পরিবেষ্টিত করে আছে। আর সেগুলোকে ধারণ করা তাঁর পক্ষে কঠিন নয়। তিনিই সর্বোচ্চ এবং সর্বাপেক্ষা মহান।

  • যে ব্যক্তি প্রত্যেক ফরজ নামাজের পর একবার আয়াতুল কুরসী পড়বে, তার জান্নাতে প্রবেশের জন্য শুধু মৃত্যুই বাঁধা থাকবে।

অতীতের সব পাপ ক্ষমা হয়ে যাবে

৩৩ বার সুবহানাল্লাহ

৩৩ বার আলহামদুলিল্লাহ্

৩৪ বার আল্লাহু আকবার

(১ বার) লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা-শারীকা লাহু। লাহুল মুলকু ওয়া লাহুল হামদু ওয়া হুয়া আলা কুল্লি শাইয়্যীন কদীর।

  • অতীতের সব পাপ ক্ষমা হয়ে যাবে যদিও তা সমূদ্রের ফেনাতুল্য হয়।
  • প্রত্যেক সালাতের পর এই আমল করার দ্বারা জিহাদের সমান সওয়াব লাভ করা যায়।

(১ বার) সাইয়্যেদুল ইস্তিগফার [ফজর ও মাগরীবের পর] (ক্ষমা চাওয়ার শ্রেষ্ঠ দোয়া)

আল্লা-হুম্মা আনতা রাব্বী লা ইলা-হা ইল্লা আনতা খালাক-তানী, ওয়া আনা আবদুক ওয়া আনা আলা আহদিক ওয়া ওয়া‘দিকা মাসতাতাত। আউজুবিকা মিন শাররী মা ছানাত। আবূউ লাকা বিনিমাতিকা আলাইয়া ওয়া আবূউ বিযাম্বী ফাগফিরলী ফা-ইন্নাহূ লা-ইয়াগফিরুয যুনূবা ইল্লা আনতা।

  • যে ব্যক্তি দৃঢ় বিশ্বাসের সাথে এই দো‘আ পাঠ করবে, দিনে পাঠ করে রাতে মারা গেলে কিংবা রাতে পাঠ করে দিনে মারা গেলে, সে জান্নাতী হবে। 

(১০ বার) বসা অবস্থায়

আস্তাগফিরুল্লাহ

  • স্থান ত্যাগ করার পূর্বেই আল্লাহ তা-য়ালা পাঠকারীর গুনাহরাশি ক্ষমা করে দিবেন যদিও তা সমূদ্রের ফেনার মত অথবা তিহামার পাহাড়গুলোর মত হয় না কেন। (নুযহাতুল মাজলিস)

(১০ বার) ফজর, আসর ও মাগরিব বাদ সালাতের পর পর পা না গুটিয়েই 

লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহ দাহু লা-শারিকা লাহু লাহুল মুলক ওয়া লাহুল হামদ ইউহী ওয়া ইয়্যুমীত (বিয়াদিহিল খাইরু) ওয়া হুয়া আলা-কুল্লি শাইয়্যীন কাদীর।

  • সর্বশ্রেষ্ঠ আমলকারী হবার যিকর

(১০ বার) ফজর ও মাগরীবের পর

দরূদে ইব্রাহীম

  • কিয়ামতের দিন রাসূল (সাঃ) এর শাফায়েত পেতে

(১০ বার) ফজর ও মাগরীবের পর 

লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা-শারিকা লাহু লাহুল মুলক ওয়া লাহুল হামদ ওয়া হুয়া আলা-কুল্লি শাইয়্যীন কদীর।

  • ইসমাইল (আঃ) এর বংশের গোলাম আযাদের সমপরিমান সওয়াব পাবে।
  • ১০ টি নেকি পাবে।
  • ১০ টি পাপ মুছে দেয়া হবে।
  • ১০টি মর্যাদা বৃদ্ধি করা হবে।
  • সন্ধ্যা পর্যন্ত (মাগরীবের পর পড়লে সকাল পর্যন্ত) শয়তানের অনিষ্ট থেকে নিরাপদে থাকবে। (আবু দাউদঃ ৫০৭৭)

(১ বার) (ফজরের পর সূর্য উঠার আগে এবং মাগরীবের পর) সূরা নং ০৬ঃ আন-আম, আয়াত ১-৩


৬.১। সকল প্রশংসা আল্লাহরই, যিনি আকাশমণ্ডলী ও পৃথিবী সৃষ্টি করেছেন এবং সৃষ্টি করেছেন অন্ধকার ও আলো। এরপরও কাফিররা তাদের রবের সাথে অন্যদের সমকক্ষ করে।
৬.২। তিনিই তোমাদেরকে মাটি থেকে সৃষ্টি করেছেন, তারপর নির্ধারণ করেছেন এক নির্দিষ্ট সময়। আর তাঁর কাছেই রয়েছে আরেক নির্ধারিত সময়। তবুও তোমরা সন্দেহ কর। 
৬.৩। তিনিই আল্লাহ, যিনি আকাশে ও পৃথিবীতে আছেন। তিনি জানেন তোমাদের গোপন ও প্রকাশ্য বিষয় এবং তিনি জানেন যা কিছু তোমরা অর্জন কর।
  • রাসুলাল্লাহ (সাঃ) বলেছেন – যে ব্যক্তি ফজরের সালাত জামায়াতের সাথে আদায় করে স্বীয় জায়নামাজে বসে সূরা আন’আমের প্রথম ৩ আয়াত পাঠ করে, আল্লাহ তায়ালা তার জন্য ৭০ জন ফেরেশতা নিযুক্ত করেন যারা তার পক্ষে কিয়ামত পর্যন্ত তাসবীহ পাঠ করতে থাকে এবং ক্ষমা প্রার্থনা করতে থাকে। ফেরেশতাদের তাসবীহ তার আমলনামায় লেখা হবে। (দায়লামী শরীফ, ইবনুদ দুরাইস ফী ফাদাইলিল কুরআন)
  • ২৪০০০ ফেরেশতা কিয়ামত পর্যন্ত ইবাদত করতে থাকবে এবং তাদের ইবাদতের ছওয়াব পাঠকারীর আমলনামায় লিপিবদ্ধ করা হবে। 
  • ১ জন ফেরেশতা এমনভাবে নিযুক্ত করা হবে যে শয়তানের মুখে চাবুক মারবে যাতে শয়তান পাঠকারীকে কোনো ওয়াস-ওয়াসা না দিতে পারে। শয়তান ও পাঠকারীর মাঝে পর্দা পড়ে যাবে। 
  • কিয়ামতের আল্লাহ তায়ালা পাঠকারীকে ডেকে আরশের ছায়া দিবেন, জান্নাতের খাবার খাওয়াবেন, হাউজে কাউছার থেকে পানি পান করাবেন, সালসাবিল ঝর্ণার পানি দ্বারা গোসল করাবেন। [জালালাইন শরীফ (টিকা), পৃষ্ঠা ১১১]

 (১০ বার)

সূরা ইখলাস

  • পাঠকারীর জন্য আল্লাহ তা-য়ালার সন্তুস্টি ও ক্ষমা ওয়াজিব হয়ে যাবে। (ইবনুন নাজ্জার, জামি-উল আহাদিস)

(১০ বার) 

লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াল্লা-হু আকবর, ওয়া সুবহানাল্লাহি ওয়া বিহামদিহী ওয়া আস্তাগফিরুল্লা-হা ওয়ালা হাওলা ওয়ালা কুওয়্যাতা ইল্লা বিল্লাহিল আওয়ালু ওয়াল আখিরু ওয়ায যহিরু ওয়াল বাতিনু বিয়াদিহিল খাইরু ইউহয়ী ওয়া ইউমীতু ওয়া হুয়া আলা কুল্লি শাইয়্যীন কদীর 

 পাঠকারী ৬ টি ফজিলত লাভ করবে:
  • ইবলিস এবং তার বাহিনী থেকে দূরে রাখা হবে।
  • ১ কিনতার পরিমাণ ছাওয়াব দেয়া হবে। (১ কিনতার=১২০ টি উহুদ পাহাড়ের সমান)
  • জান্নাতে তার মর্যাদা বৃদ্ধি করা হবে।
  • তাকে ক্ষমা করা হবে।
  • ১২ হাজার ফেরেশতা মৃত্যুর সময় এসে তাকে জান্নাতের সুসংবাদ দেবে।
  • ইব্রাহীম (আ:) এর সাথে তার হাশর হবে।
অন্য বর্ণনায় আছে-
  • পাঠকারী যেন তাওরাত, যাবুর, ইঞ্জিল এবং ফুরকান পাঠ করল।
  • সে যেন মাকবুল হজ্ব ও ওমরা পালন করল।
  • সে যদি ওইদিন মারা যায় তাহলে তাকে শহীদের মাঝে অন্তর্ভুক্ত করা হবে।
(তিরমিযী, উকাইলি, আবূ ইয়ালা, ইবনুস সুন্নী)

(৭০ বার) সালাম ফেরানোর পর 

আস্তাগফিরুল্লাহা ওয়া আতুবু ইলাইহী

  • পাঠকারীর গুনাহসমূহ ক্ষমা করা হবে
  • জান্নাতের প্রাসাদ ও হুরগিলমান না দেখে দুনিয়া থেকে বিদায় হবে না। (দায়লামী শরীফ)

(৭০ বার)

সুবহানাল্লাহী ওয়া বিহামদিহী ওয়া আস্তাগফিরুল্লাহ

  • ফজরের ফরজ সালাতের পর ৭০ বার পাঠ করলে ৭০০ বারের সমান হবে এবং ৭০০ গুনাহ ক্ষমা করা হবে। (দৈনিক কেউ ৭০০ গুনাহ করে না)। (কানযুল ‘উম্মাল)  

(৭ বার) (ফজর ও মাগরিবের পর)
জাহান্নাম থেকে মুক্তি ও জান্নাত লাভের দোয়া

আল্লাহুম্মা আজিরনী মিনান্নার।

 

(৭ বার) (ফজর ও মাগরিবের পর), অন্য ওয়াক্তসমূহের পর ১ বার করে (সূরা নং ০৯: আত তাওবা, শেষ আয়াত)

  • দুশ্চিন্তা, উৎকণ্ঠা ও সমস্যা মুক্তির দোয়া

(৭ বার) (ফজর ও মাগরিবের পর), অন্য ওয়াক্তসমূহের পর ১ বার করে (সূরা নং ০৯ঃ আত তাওবা, শেষ ২ আয়াত ১২৮-১২৯)

লাকাদ জা-আকুম রাসুলুম মিন আন-ফুসিকুম আজিজুন আলাইহি মা-আনিত্তুম হারিছুন আলাইকুম বিল মুমিনীনা রাউফুর রাহীম। 

ফাইন তাওয়াল্লাও ফাকুল হাসবি-আল্লাহু লা-ইলাহা ইল্লাহুয়া আলাইহি তাওয়াক্কালতু ওয়া হুয়া রাব্বুল আরশিল আজীম।

+

(৩ বার)

সাল্লাল্লাহু তা’আলা- আলাইহী ওয়া আ-লিহী- ওয়া বারাকা ইয়া সাইয়্যীদিনা মুহাম্মাদ।

১২৮- তোমাদের কাছে এসেছে তোমাদের মধ্য থেকেই একজন রসূল। তোমাদের দুঃখ-কষ্ট তার পক্ষে দুঃসহ। তিনি তোমাদের মঙ্গলকামী, মুমিনদের প্রতি স্নেহশীল, দয়াময়।

১২৯- এ সত্ত্বেও যদি তারা বিমুখ হয়ে থাকে, তবে বলে দাও, আল্লাহই আমার জন্য যথেষ্ট, তিনি ব্যতীত আর কারো বন্দেগী নেই। আমি তাঁরই ভরসা করি এবং তিনিই মহান আরশের অধিপতি।

  • যে ব্যক্তি সকাল-সন্ধ্যায় ৭ বার করে পাঠ করবে আল্লাহতায়ালা তার সব কাজ সহজ করে দিবেন। (কুরতুবী)
  • যে ব্যক্তি প্রত্যেক নামাযের পর আয়াত ২ টি পড়বে আল্লাহর রহমতে সে হাশরের দিন রসূলুল্লাহ (সাঃ) এর শাফায়াত পাবে।
  • প্রতিদিন ৪১ বার পড়লে স্বপ্নে রাসুলাল্লাহ (সাঃ) এর সাক্ষাত লাভ করবে। (মাসআল ও মাসায়েল)
  • দুশ্চিন্তা, উৎকণ্ঠা ও সমস্যা মুক্তির দোয়া।

(৭ বার) (ফজর ও মাগরিবের পর)। সূরা আল-ইমরান (২৬-২৭)

৩.২৬। বলুন, হে আল্লাহ! আপনি রাজ্যের মালিক। আপনি যাকে ইচ্ছা রাজ্য দান করেন এবং যার কাছ থেকে ইচ্ছা রাজ্য কেড়ে নেন। আপনি যাকে ইচ্ছা সম্মানিত করেন এবং যাকে ইচ্ছা অপমানিত করেন। আপনার হাতেই রয়েছে সকল কল্যাণ। নিশ্চয়ই আপনি সব কিছুর উপর ক্ষমতাবান।
৩.২৭। আপনি রাতকে দিনের মধ্যে প্রবেশ করান এবং দিনকে রাতের মধ্যে প্রবেশ করান। আপনি জীবিতকে মৃত থেকে বের করেন এবং মৃতকে জীবিত থেকে বের করেন। আপনি যাকে ইচ্ছা অগণিত রিযিক দান করেন।
  • ঋণ পরিশোধ হবে ইনশাআল্লাহ

(৭ বার) সকাল-সন্ধ্যায় [মূসা (আঃ) এর দোয়া]

আল্লাহুম্মা আন্তা খালাকতানী, ওয়া আন্তা তাহদিনী, ওয়া আন্তা তুত’ইমুনী, ওয়া আন্তা তাসকিনি, ওয়া আন্তা তুমিতুনি, ওয়া আন্তা তুহ’ইনী।

হে আল্লাহ! আপনিই আমাকে সৃষ্টি করেছেন, আপনিই আমাকে পথ প্রদর্শন করেন, আপনিই আমাকে খাওয়ান, আপনিই আমাকে পান করান, আপনিই আমাকে জীবন দান করেন, আপনিই আমাকে মৃত্যু দিবেন। [আল-তবরানি এর মুজাম আল-ওসত এ (হাদীস নং ১০২৮ বা ১০৩২)]

  • পাঠকারী যা চাইবে, তাই পাবে। [মুজামে আউসাত্ব-১০২৮, মাজমাউয্ যাওয়ায়েদ-১০/১৬০]

(৭ বার) নেক আমল করার এবং পাপাচার থেকে দূরে থাকার জন্য

লা হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ

(৪ বার) জাহান্নাম হতে পুরোপুরি মুক্তি লাভের দোয়া

আল্লাহুম্মা ইন্নি আসবাহতু উশহিদুকা ওয়া উশহিদু হামালাতা আরশিকা ওয়া মালায়িকাতিকা ওয়া জামিয়া খালকিকা। আন্নাকা আন্তাল্লাহু লা ইলাহা ইল্লা আন্তা ওয়া আন্না মুহাম্মাদান (সাঃ) আব্দুকা ওয়া রাসুলুক।

হে আল্লাহ, আমার সকাল হলো আপনাকে সাক্ষী রেখে, আপনার আরশ বহণকারী ফেরেশতাদের সাক্ষী রেখে, সমস্ত ফেরেশতা ও সমগ্র সৃষ্টিকে সাক্ষী রেখে, এই ব্যাপারে যে, আপনিই আল্লাহ। আপনি ছাড়া কোনও সত্য মাবুদ নেই। আর মুহাম্মাদ (সাঃ) হলেন আপনার বান্দা ও রাসূল।

দোয়াটি সকাল-সন্ধ্যায় -

  • ১ বার পড়লে আল্লাহ তাকে চার-ভাগের এক ভাগ জাহান্নাম থেকে মুক্ত করে দেবেন।
  • ২ বার পড়লে আল্লাহ তাকে অর্ধেক জাহান্নাম থেকে মুক্ত করে দেবেন।
  • ৩ বার পড়লে আল্লাহ তাকে তিন ভাগ জাহান্নাম থেকে মুক্ত করে দেবেন।
  • ৪ বার পড়লে আল্লাহ তাকে পুরোপুরি জাহান্নাম থেকে মুক্ত করে দেবেন। (আবু দাউদ/মুনতাখাব হাদীস)

(১ বার) সূরা নং ১০৭ঃ কূরাইশ (কাবাঘর তাওয়াফ এবং যিয়ারতকারীদের সমতুল্য ছওয়াব হয়)

বাংলা অর্থ 
যেহেতু কুরাইশের লোকেরা অভ্যস্ত। অর্থাৎ তারা শীত ও গ্রীষ্মকালে (ইয়ামান ও শামে) সফর করতে অভ্যস্ত। তাই তারা যেন এই ঘরের মালিকের ইবাদত করে। যিনি তাদেরকে ক্ষুধার্ত অবস্থায় খাদ্য দিয়েছেন এবং ভয়-ভীতি হতে তাদেরকে নিরাপদ রেখেছেন। (সূরা কুরাইশ, আয়াত : ১-৪)

(৩ বার)

সূরা ইখলাস + সূরা ফালাক + সূরা নাস


(৩ বার)

আস্তাগফিরুল্লা-হাল্লাযী লা-ইলাহা ইল্লা হুয়্যাল হাইয়্যুল কাইয়্যুমু ওয়া আতুবু ইলাইহী।

  • পাঠকারীকে ক্ষমা করা হবে। যদিও তার গুনাহ সমূদ্রের ফেনারাশি ও আলিজ মরুভূমির বালুকণা এবং আকাশের তারকারাজির সমতূল্য হয়। এমনকি যুদ্ধের ময়দান থেকে পলায়ণকারী হলেও। (কানযুল উম্মাল, ইবনুস সুন্নী)

(৩ বার) আকস্মিক মুছিবত হতে হেফাজত থাকার দোয়া

বিসমিল্লা-হিল্লাযী লা-ইয়াদুর-রু মা-আসমিহি শাইয়্যুন ফিল আরদ, ওয়ালা ফিস-সামায়ি ওয়া হুয়াস-সামিউল আলিম।

  • প্রতিদিন সকাল-সন্ধ্যায় যে ব্যক্তি এ দু‘আটি তিনবার পাঠ করবে কোন কিছুই তার কোন অনিষ্ট করতে পারবে না। (তিরমিজি, হাদিস নং ৩৩৮৮; ইবনু মাজাহ, হাদিস: ৩৮৬৯)

 (৩ বার) অল্প আমলে বেশি সাওয়াব পাবার যিকর

সুবহানাল্লাহি ওয়া বিহামদিহি; আদাদা খালকিহি; ওয়া রিদা নাফসিহি; ওয়া যিনাতা আরশিহি; ওয়া মিদাদা কালিমাতিহী।

  • (অর্ধদিবস) পর্যন্ত ইবাদত - বন্দেগীতে লিপ্ত থাকার চেয়েও বেশি পরিমাণ সওয়াব লাভ করবে

(৩ বার) নবীজী (সাঃ) হাত ধরে জান্নাতে প্রবেশ করাবেন

রাদিতু বিল্লাহী রাব্বান ওয়া বিল ইসলামি দীনান ওয়াবি মুহাম্মাদিন (সাঃ) নাবিয়্যান ওয়া রাসুলান।

  • পাঠকারীকে কিয়ামতের দিন রাসুল (সা.) হাত ধরে জান্নাতে প্রবেশ করাবেন।
  • কিয়ামতের মাঠে আল্লাহপাকের উপর ওয়াজিব হইয়ে যাবে উক্ত ব্যক্তিকে সন্তুষ্ট করে দেয়া। (তিরমিজি: ৩৩৮৯)
  • তার জন্য জান্নাত ওয়াজিব হয়ে যাবে। (আবু দাউদ, নাসায়ী)

(১ বার) জ্ঞান, কর্ম ও রিযিক প্রার্থনা

আল্লাহুম্মা ইন্নী আস’আলুকা ইলমান না-ফি’আন, ওয়া রিজকান তাইয়্যিবান, ওয়া আমালান মুতাকাব্বালান।

(১ বার)

আল্লাহুম্মা আ-ইন্নি আলা যিকরিকা ওয়া শুকরিকা ওয়া হুসনি ইবাদাতিকা।

(৩ বার) ফজর ও মাগরীবের পর

আল্লাহুম্মা ইন্নি আউজুবিকা আন উশরিকা বিকা ওয়া আনা আ’লামু ওয়া আসতাগফিরুকা লিমা মা আ’লাম।


হে আল্লাহ, আমার জানা অবস্থায় আপনার সাথে শিরক করা থেকে আপনার নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করছি, আর অজানা অবস্থায় শিরক হয়ে গেলে ক্ষমা প্রার্থনা করছি। (কানযুল উম্মাল, ২য় খন্ড, ৮১৬ পৃষ্ঠা) 

(৩ বার) ঋণ মুক্তির দোয়া

আল্লাহুম্মা ইন্নি আউযুবিকা মিনাল‌ হাম্মি ওয়াল হাজান, ওয়া আউযুবিকা মিনাল আজযি ওয়াল কাসালি ওয়া আউযুবিকা মিনাল জুবনি ওয়াল বুখলি, ওয়া আউযুবিকা মিন গালাবাতিদ‌-দায়নি ওয়া কাহ্‌রির রিজাল।

(৩ বার)

সুবহানাল্লাহিল আজীমি ওয়া বিহামদিহী ওয়ালা হাওলা ওয়ালা কুয়্যাতা ইল্লা বিল্লাহ।

  • পাঠকারী ৩ টি বিপদ হতে নাজাত পাবে – (১) অন্ধ হবে না, (২) কুস্টহগ্রস্ত হবে না, (৩) প্যারালাইসিসগ্রস্ত হবে না। 

(৩ বার)

সুবহানাল্লাহিল আজিমি ওয়া বিহামদি ওয়া লা-হাওলা ওয়া ওয়ালা কুউয়্যাতা ইল্লা বিল্লাহিল আলিয়্যীল আজীম।

  • পাঠকারী নিষ্পাপ অবস্থায় দাঁড়াবে (অর্থাৎ - সে চলে যাওয়ার সময় তার আর কোন গুনাহ বাকী থাকবে না)। (ইবনে সুন্নী, জামি-উল আহাদীস)

(৩ বার) সূরা নং ৬৫: তালাক ২-৩ [দারিদ্রতা দূর করার জন্য]

৬৫.২। ... আর যারা আল্লাহর সীমা লঙ্ঘন করে, তারাই জালেম। 
৬৫.৩। আর (হে পুরুষরা!) তোমরা তোমাদের স্ত্রীদের মধ্যে যাদের মাসিক ঋতুস্রাব বন্ধ হয়ে গেছে, তাদের ইদ্দত সম্পর্কে যদি সন্দেহ পোষণ করো, তবে তাদের ইদ্দতকাল হবে তিন মাস। আর যাদের এখনো মাসিক ঋতুস্রাব শুরু হয়নি, তাদেরও (একই ইদ্দতকাল হবে)। গর্ভবতী নারীদের ইদ্দতকাল সন্তান প্রসব করা পর্যন্ত। আর যে আল্লাহকে ভয় করে, আল্লাহ তার জন্য তার কাজকে সহজ করে দেন। 

(৩ বার)

আল্লাহুম্মা সাল্লি আলা সাইয়্যিদিনা মুহাম্মাদিন ফি আও-ওয়ালি কালা মিনা ওয়া সাল্লি আলা সাইয়্যিদিনা মুহাম্মাদিন ফি আওছাতি কালা মিনা ওয়া সাল্লি আলা সাইয়্যিদিনা মুহাম্মাদিন ফি আখিরী কালা মিনা।

  • পাঠকারী সার্বক্ষণিক দরূদ শরীফ পাঠের ছওয়াব লাভ করবে। [জারিয়াতুল উসুল]

(৩ বার) ফজর ও মাগরীবের নামাজের পর

বিসমিল্লাহী আলাদিনী ওয়া নাফসি ওয়া ওয়ালাদি ওয়া আহলি ওয়া মালি। 

  • এই দোয়ার মাধ্যমে আল্লাহর নিকত ৫টি বস্তুর নিরাপত্তা প্রার্থনা করা হয়ঃ তা হলো - দ্বীন (ধর্ম অর্থাৎ ঈমান), নফস (আত্মা/জীবন), সন্তান-সন্ততি, পরিবার-পরিজন ও ধন-সম্পদ। ফজর ও মাগরীবের নামাজের পর ৩ বার পাঠ করলে আল্লাহ উক্ত ৫টি বস্তুর হেফাজতের দায়িত্ব নিজে গ্রহণ করবেন (ইনশা'আল্লাহ)

(১ বার) (সূরা নং-৩০: রোম, আয়াত ১৭-১৯)

৩০.১৭। অতএব, তোমরা আল্লাহর পবিত্রতা ঘোষণা কর সন্ধ্যা বেলায় এবং সকাল বেলায়।
৩০.১৮। আর আকাশমণ্ডলী ও পৃথিবীতে তাঁরই জন্য সকল প্রশংসা, এবং বিকেলে ও যখন তোমরা দুপুরে উপনীত হও। 
৩০.১৯। তিনি মৃতকে জীবিত করেন এবং জীবিতকে মৃত্যু দেন। তিনি জীবিতকে মৃত থেকে বের করেন এবং মৃতকে জীবিত থেকে বের করেন। আর তিনি মৃত পৃথিবীকে জীবিত করেন। এভাবেই তোমাদেরকে (কবর থেকে) বের করা হবে।
  • যে ব্যক্তি রাতে এ আয়াত ৩টি পাঠ করবে, ঐরাতে (ওয়াযীফা ও অন্যন্য আমল) যা কিছু তার ছুটে যাবে সে তার ছওয়াব প্রাপ্ত হবে। (আবু দাউদ, তাবরানী, মুসান্নাফু ইবনে আবী শায়বা, ইবনুস সুন্নী)

(১ বার) ফজর ও মাগরীবের পর

আল্লাহুম্মা মা আসবাহা বি-মিন নিমাতিন ফা মিনকা আও-বি আহাদিন মিন খালকিকা ফা-মিনকা ওয়াহদাকা লা-শারিকা লাকা, লাকাল হামদ ওয়ালাকাশ শুকরু।  

হে আল্লাহ! এই সকালে/সন্ধ্যায় আমার মাঝে যত নেয়ামত বিদ্যমান, আপনার যেকোন সৃষ্টির মাঝে, তা একমাত্র আপঅনার দান। আপনার কোনও শরীক নেই। সুতরাং সকল প্রশংসা আপনারই। (সুনানে আবু দাউদঃ ৫০৭৩)

  • সকালে দোয়াটি পড়লে ওইদিনের শুকরিয়া আদায় করা হবে।

(১ বার) শয়তান, বিষধর জন্তু ও কুদৃষ্টি থেকে আশ্রয় পেতে 

আউজুবি কালিমা তিল্লাহিত-তাম্মাতি মিন কুল্লি শায়তানিও-ওয়া হাম্মাতিও-ওয়া মিন কুল্লি আইনিন লাম্মাহ। 

আমি আল্লাহর পরিপূর্ণ কলেমার দ্বারা সব শয়তান, বিষধর জন্তু ও কুদৃষ্টি থেকে আশ্রয় চাইছি। (সহীহ বুখারীঃ ৩৩৭১)

  • ইবরাহীম (আঃ) ইসমাঈল ও ইসহাক (আঃ)-এর জন্য দু‘আ পড়ে পানাহ চাইতেন।

(১ বার) ফজর ও মাগরীবের পর (বাড়ি-ঘর, ধন-সম্পদ, পরিবার-পরিজনদের সকল বিপদ থেকে হেফাজতের আমল)

আল্লাহুম্মা আন্তা রাব্বী লা ইলা-হা ইল্লা আন্তা, আলাইকা তাওয়াক্কালতু ওয়া আনতা রাব্বুল আরশিল আজীম। মাশা-আল্লাহু কানা ওয়ালাম ইয়াশালাম ইয়াকুন। লা হাওলা ওয়ালা কুয়্যাতা ইল্লা বিল্লাহীল আলিয়্যীল আন্নাল্লাহা আলাকুল্লি শাইয়্যীন কদীর, ওয়া আন্নালাহা কাদ আহাতা বিকুল্লি শাইয়্যীন ইলমান। আল্লাহুম্মা ইন্নি আউজুবিকা মিন শাররী নাফসী ওয়া মিন শাররী কুল্লি দাব্বাতিন আনতা আখিজুন বিনা সিয়াতীহা। ইন্না রাব্বি আলা সিরাতিম মুস্তাকিম।   

হে আল্লাহ! আপনি আমার রব। আপনি ছাড়া কোনও উপাস্য নেই। আপনার উপরই ভরসা করলাম। আপনিই মহান আরশের অধিপতি। আল্লাহ যা চান তাই হয় এবং যা চান না, তা হয় না। মহান মর্যাদাবান আল্লাহ ছাড়া আর কারও কোনও ক্ষমতা ও শক্তি নেই। আমার বিশ্বাস যে, আল্লাহ সর্ব বিষয়ে ক্ষমতাবান এবং তিনি নিজ জ্ঞান দ্বারা সবকিছুকে বেষ্টন করে আছেন। হে আল্লাহ, আমি আপনার আশ্রয় চাই নিজের কুপ্রবৃত্তির অনিষ্ট থেকে এবং সকল প্রাণীর অনিষ্ট থেকে, নিশ্চয় আমার রব সঠিক পথ প্রদর্শনকারী। (আমালুল ইয়াওমিঃ ৫৭, ইবনুস সুন্নি)

  • যে ব্যক্তি দিনের শুরুতে এই দোয়াটি পড়বে, সন্ধ্যা পর্যন্ত আল্লাহ তাকে সকল মুসিবত থেকে হেফাজত করবেন। আর যে ব্যক্তি দোয়াটি দিনের শেষভাগে পড়বে, আল্লাহ তাকে সকাল পর্যন্ত যাবতীয় বিপদ থেকে হেফাজত করবেন।
  • এই দোয়া করার ফলে এক সাহাবীর ঘর আগুনে পুড়ে যাওয়া থেকে রক্ষা পায়।   

(১ বার) সকাল - সন্ধ্যায় [হযরত আয়েশা (রাঃ) এর দোয়া]

আল্লাহুম্মা ইন্নী আস’আলুকা মিনাল খাইরি কুল্লিহী আজিলিহী ওয়া আজিলিহী মা আলিমতু মিনহু ওয়া মালাম আ’লাম; ওয়া আউজুবিকা মিনাশ শাররি কুল্লিহী আজিলিহী ওয়া আজিলিহী মা আলিমতু মিনহু ওয়া মালাম আ’লাম; ওয়া আসআলুকাল জান্নাতা ওয়ামা কার-রাবা ইলাইহা মিন কওলিন আও আমালিন ওয়া আউজুবিকা মিনান্নার; ওয়ামা কার-রাবা ইলাইহা মিন কওলিন আও আমালিন; ওয়া আস আলুকা খাইরা মাছালাকা আব্দুকা ওয়া রাসুলুকা মুহাম্মাদুন (সাঃ) ওয়া আউজুবিকা মিন শাররি মাছতা আযাবিকা আনহু আব্দুকা ওয়া রাসুলুকা মুহাম্মাদুন (সাঃ) ওয়া আস আলুকা মা কদায়তা লী মিন আমরিন আন তাজ'আলা আকিবাতাহু রুশদান। 

অর্থঃ হে আল্লাহ, আমি আপনার কাছে সম্পূর্ণ কল্যাণ প্রার্থনা করছি বর্তমানের ও ভবিষ্যতের এবং আমি যা জানি ও যা জানি না। আমি আপনার কাছে আশ্রয় চাই সকল অনিষ্ট থেকে বর্তমানের ও ভবিষ্যতের এবং আমি যা জানি ও যা জানি না । আমি আপনার কাছে জান্নাত প্রার্থনা করছি এবং এমন কথা ও কাজ প্রার্থনা করছি, যা আমাকে জান্নাতের নিকটবর্তী করে দেবে । আমি আপনার কাছে জাহান্নাম থেকে আশ্রয় চাই, এবং এমন কথা ও কাজ থেকে আশ্রয় চাই, যা আমাকে জাহান্নামের নিকটবর্তা করে দেবে । আমি আপনার নিকট সেই বিষয় প্রার্থনা করছি, যা আপনার বান্দা ও রাসূল মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম প্রার্থনা করেছেন । আমি আপনার কাছে সেই বিষয় থেকে আশ্রয় চাই যা থেকে আশ্রয় চেয়েছেন আপনার বান্দা ও রাসূল মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম । আমার প্রার্থনা, আমার জন্যে যে বিষয়ের ফয়সালা করেন, তার পরিণাম আমার জন্যে শুভ করে দিন । [এহইয়াউ উলুমিদ্দীন, দোয়াটি মুস্তাদরাকে হাকেমেও বর্ণিত হয়েছে]

(১ বার) সকাল - সন্ধ্যায় [হযরত ফাতেমা (রাঃ) এর দোয়া]

ইয়া হাইয়্যু ইয়া কাইয়্যুম বিরাহমাতিকা আস্তাগীসু, আসলিহ লী শানী কুল্লাহু ওয়ালা তাকিলনী ইলা- নাফসী তারফাতা আইন।

  • আল্লাহর সাহায্য লাভের দোয়া

(১ বার)

আল্লাহুম্মা ইন্নী আউজুবিকা মিন আযাবি জাহান্নাম, ওয়া মিন আযাবিল কাবর, ওয়া মিন ফিতনাতিল মাহ’ইয়া ওয়াল মামাতি ওয়া মিন শাররি ফিতনাতিল মাসীহিদ দাজ্জাল।

(১ বার) কৃপণতা, কাপুরুষতা, অপমানকর বার্ধক্য, ফিতনা থেকে আশ্রয় পাবার দোয়া

আল্লাহুম্মা ইন্নী আউজুবিকা মিনাল জুবনি, ওয়া আউজুবিকা মিনাল বুখলি, ওয়া আউজুবিকা মিন আন আরাদ্দা ইলা আরযালিল উমুরি, ওয়া আউজুবিকা মিন ফিতনাতিদ দুনিয়া, ওয়া আউজুবিকা মিন আযাবিল কাবরি।

(১ বার) কুফুরি, দারিদ্র ও কবরের আযাব থেকে আশ্রয় পাবার দোয়া

আল্লাহুম্মা ইন্নী আউজুবিকা মিনাল কুফরি ওয়াল ফাকরি, ওয়া আউজুবিকা মিন আযাবিল কাবরি।

(১ বার) তাওহীদ, আল্লাহর প্রশংসা ও গুণজ্ঞাপক যিকর

লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা-শারিকা লাহু লাহুল মুলক ওয়া লাহুল হামদ ওয়া হুয়া আলা-কুল্লি শাইয়্যীন কদীর। আল্লাহুম্মা লা-মানিয়া লিমা আতাইতা ওয়ালা মুতিয়া লিমা মানাতা ওয়ালা ইয়ানফা'উ জাল-জাদ্দি মিনকাল জাদ্দু।

(১ বার) তাওহীদ, আল্লাহর প্রশংসা ও গুণজ্ঞাপক যিকর

লা হাওলা ওয়ালা কুওয়্যাতা ইল্লা বিল্লাহ। লা না'বুদু ইল্লা ইয়্যা-হু, লাহুন নি'মাতু, ওয়া লাহুল ফাদলু, ওয়া লাহুস সানাউল হুসনু, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু, মুখলিসীনা লাহুদ্দীন, ওয়ালাও কারিহাল কাফিরুন।

(১ বার) প্রত্যেক নামাজের পর 

আল্লাহুম্মাগ ফিরলি খাতাইয়্যা ওয়া জুনুবি কুল্লাহা; আল্লাহুম্মা ওয়ান আশনি ওয়াজবুরনি ওয়াহ দ্বীনি লি ছালিহীল আ'মালি ওয়াল আখলাক; লা ইয়াহদি লি ছালিহিহা ওয়ালা ইয়াস রিফু সাইয়্যী আহা ইল্লা আন্তা।

হে আল্লাহ, আমার সমস্ত ভুল ভ্রান্তি ও গুনাহ মাফ করে দিন। হে আল্লাহ, আমাকে উন্নতি দান করুন। আমার ত্রুটি-বিচ্যুতি দূর করে দিন, আমাকে উত্তম আমল ও উত্তম আখলাকের তৌফিক নসীব করুন। কারণ, উত্তম আমল ও উত্তম আখলাকের প্রতি হেদায়াত আপনি ব্যতীত আর কেউ দিতে পারে না এবং খারাপ আমল ও খারাপ আখলাক আপনি ব্যতীত আর কেউ দূর করতে পারে না।

(১ বার) ফজর, মাগরীব ও শয়ণের পূর্বে

আল্লাহুম্মা ফাতিরাস সামাওয়াতি ওয়াল আরদি, আলিমাল গাইবি, ওয়াশ শাহাদাতি, রাব্বা কুল্লী শাইয়্যীন ওয়া মালিকাহু, আশহাদু আল্লা ইলাহা ইল্লা আনতা। আউজুবিকা মিন শাররি নাফসি, ওয়া মান শাররিশ শায়তানি ওয়া শিরকীহ।


আরশবহণকারী ফেরেশতাদের দোয়া 



(১ বার) প্রতেক ওয়াক্ত ফরজ নামাজের পর

সূরা ফাতিহা +

আয়াতুল কুরসী + 

 

সূরা আল ইমরান (আয়াতঃ ১৮-১৯) + 

৩.১৮। আল্লাহ সাক্ষ্য দেন যে, তিনি ছাড়া কোনো উপাস্য নেই। ফেরেশতাগণ এবং জ্ঞানীগণও (সাক্ষ্য দেয়) যে, তিনি ন্যায় প্রতিষ্ঠাকারী। তিনি ছাড়া কোনো উপাস্য নেই। তিনি পরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাময়।
৩.১৯। নিশ্চয়ই আল্লাহর নিকট একমাত্র গ্রহণযোগ্য দ্বীন (জীবনব্যবস্থা) হলো ইসলাম। আর যাদেরকে কিতাব দেওয়া হয়েছিল, তারা পরস্পরের মধ্যে বিদ্বেষবশত জ্ঞান আসার পরই মতভেদ সৃষ্টি করেছে। আর যারা আল্লাহর আয়াতসমূহ অস্বীকার করে, নিশ্চয়ই আল্লাহ তাদের হিসাব গ্রহণে দ্রুত।

সূরা আল ইমরান (আয়াতঃ ২৬-২৭)

৩.২৬। বলুন, হে আল্লাহ! আপনি রাজ্যের মালিক। আপনি যাকে ইচ্ছা রাজ্য দান করেন এবং যার কাছ থেকে ইচ্ছা রাজ্য কেড়ে নেন। আপনি যাকে ইচ্ছা সম্মানিত করেন এবং যাকে ইচ্ছা অপমানিত করেন। আপনার হাতেই রয়েছে সকল কল্যাণ। নিশ্চয়ই আপনি সব কিছুর উপর ক্ষমতাবান।
৩.২৭। আপনি রাতকে দিনের মধ্যে প্রবেশ করান এবং দিনকে রাতের মধ্যে প্রবেশ করান। আপনি জীবিতকে মৃত থেকে বের করেন এবং মৃতকে জীবিত থেকে বের করেন। আপনি যাকে ইচ্ছা অগণিত রিযিক দান করেন।

আল্লাহ তায়ালা বলেন –

  • আমি তার ঠিকানা জান্নাতে করে দেব।
  • আমার কাছাকাছি স্থান দেব।
  • দৈনিক ৭০ বার তার দিকে দৃস্টি দেব।
  • তার ৭০ টি প্রয়োজন মিটিয়ে দেব।
  • শত্রুর কবল থেকে তাকে আশ্রয় দেব এবং তাকে শত্রুর বিরুদ্ধে জয়ী করব। [মারেফুল কুরআন]

(১ বার) আল্লাহ মুগ্ধ হয়ে যান

লা ইলাহা ইল্লা আনতা, ইন্নী ক্বাদ যলামতু নাফসী, ফাগফিরলী যুনু-বী, ইন্নাহু লা ইয়াগফিরুয যুনু-বা ইল্লা আনতা।

আপনি ছাড়া কোনো সত্য উপাস্য নেই। আমি নিজের নফসের উপর জুলুম করেছি। আপনি আমার সমস্ত গুনাহ ক্ষমা করে দিন, কেননা আপনি ছাড়া কেউ গুনাহ ক্ষমা করতে পারে না।

  • রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, নিশ্চয়ই আল্লাহ বান্দার উপর মুগ্ধ হয়ে যান, যখন সে এই দোয়াটি করে।
  • আল্লাহ বলেন আমার বান্দা জানে, তার একজন রব আছেন, যিনি ক্ষমাও করেন আবার শাস্তিও দেন।

[ইমাম হাকিম, আল-মুসতাদরাক: ২৪৮২; শায়খ আলবানি, সিলসিলা সহিহাহ: ১৬৫৩; হাদিসটি সহিহ]

(১ বার) সূরা নং ১৭: বনী ইসরাইল এর শেষ আয়াত



১৭.১১১। বল, সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর, যিনি কোন সন্তান গ্রহণ করেননি, তাঁর রাজত্বে কোন অংশীদার নেই এবং অক্ষমতা হতে রক্ষার জন্য তাঁর কোন অভিভাবকের প্রয়োজন নেই। তাঁর মহিমা বর্ণনা কর, ঠিক যেভাবে তাঁর মহিমা বর্ণনা করা উচিত।
  • পাঠকারী ৭ আসমান, ৭ জমীন ও এগুলোর মধ্যবর্তী সকলকিছু এবং এগুলোর নীচে যা রয়েছে তার সমান প্রতিদান লাভ করবে। (নুযহাতুল মাজলিস) 

(১ বার) কঠিন অসূখ বা রোগমুক্তির জন্য 

  • এই আয়াতে আল্লাহ তা'আলা বান্দাকে স্মরণ করিয়ে দেন যে, তিনিই একমাত্র কষ্ট দূর করতে পারেন এবং তিনিই একমাত্র কল্যাণ করার মালিক। সুতরাং, তাঁর প্রতি বিশ্বাস রাখা এবং তাঁর কাছেই সাহায্য চাওয়া উচিত।

(১ বার)

লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু আদাদা রিদাহু। লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু জিনাতা আরশিহী। লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু আদাদা মালা-ইকাতিহী। লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু আদাদা খালকিহী। লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু মিল-আ ছামাওয়াতিহী। লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু মিল-আ আরদিহী। লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু মিল-আ মা বাইনাহুমা।

  • সকালে ৭ হাজার তাসবীহ পাঠ করার চেয়ে সহজ এবং মীযানের পাল্লায় ৭ হাজার তাসবীহ পাঠ করার চেয়ে ভারী হবে। ফেরেশতাহগণ এবং জমীনবাসী এর ছওয়াব পরিমাপ করতে পারে না। [দায়লামী, কানযুল উম্মাল]

(১ বার)

আউযুবিল্লাহিস সামিয়িল আলিমি, মিনাশ শয়তানির রাজিম

  • সকালে পড়লে সন্ধ্যা পর্যন্ত শয়তান থেকে রক্ষা করা হবে। [ইবনুস সুন্নী, কানযুল উম্মাল]

(১ বার)

আল্লাহুম্মা রাব্বা মুহাম্মাদিন সাল্লি আলা মুহাম্মাদিও ওয়া আলা আলি মুহাম্মাদিও ওয়া আযজি মুহাম্মাদ্দান সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামা মা হুওয়া আহলাহু।

  • পাঠকারীর জন্য তার আমল লেখক ফেরশতাদ্বয় ১০০০ দিবস পর্যন্ত এর ছওয়াব লিখতে লিখতে ক্লান্ত হয়ে পড়ে। [তাবরানী ফিল কাবীর]

(১ বার)

লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়া সুবহানাল্লাহ

  • পাঠকারীর গুনাহগুলো ক্ষমা করা হবে। [দায়লামী, জামিউল আহাদীস] 

(১ বার) (ফজর ও মাগরীবের পর)

সূরা ফাতিহা + কুল্লিহী আল্লাহুম্মা ইন্নী উকাদ্দীমু ইলাইকা জালিকা + আয়াতুল কুরসী

  • কিয়ামত পর্যন্ত পাঠকারীর পক্ষে প্রতি ঘন্টায় ৭ কোটি সৎকাজ উত্তোলন করা হবে 
  • এবং ফেরেশতারা (সৎকাজ লেখায়) ব্যস্ত থাকবে। (কানযুল ‘উম্মুল)

সূরা মু-মিন এর প্রথম ৩ আয়াত + আয়াতুল কুরসী 

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম।

৪০.১ হা-মীম।

৪০.২। তানযীলুল কিতা-বি মিনাল্লা-হিল আযীযিল আলীম।

৪০.৩। গা-ফিরিয যাম্বি ওয়া কাবিলিত তাওবি শাদীদিল ইকা-বি যিত তাওলি লা-ইলাহা ইল্লা হুওয়া ইলাইহিল মাছীর।

+

(আয়াতুল কুরসী)

  •  সকাল-সন্ধ্যা পর্যন্ত হেফাজত করা হবে। 

(১ বার) 

সুরা ফাতিহা

+

আয়াতুল কুরসী

+

আশহাদু আল্লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শারীকালাহু, ওয়া আশহাদু আন্না মুহাম্মাদান আবদুহু ওয়া রাসূলুহু

+ ওয়া আনা আশহাদু বিমা শাহিদাল্লাহু বিহী লিনাফসিহী ওয়া আসতাওদি-উল্লাহা হাযিহিশ শাহাদাতা ওয়াহিয়ালী ইন্দাল্লাহি তায়ালা ওয়াদিয়াহ

+ ওয়া ইন্না আলা যালিকা লামিনাশ শাহিদীন

+ তাবা-রাকাল্লাজি বিয়াদিহিল মূলকু ওয়া হুওয়া আলা-কুল্লি শাইয়িন কাদির

+ সূরা ইখলাস

  • আল্লাহ তা-য়ালা পাঠকারীকে ক্ষমা করে দেবেন
  • জান্নাতুল ফিরদাউসে জায়গা দিবেন
  • প্রতিদিন ৭০ বার তার দিকে দৃস্টি দিবেন
  • প্রতিদিন তার ৭০টি প্রয়োজন পূরণ করবেন যার মধ্যে সবচেয়ে ছোট প্রয়োজনটি হচ্ছে – ক্ষমা
  • তাকে প্রত্যেক শত্রু থেকে আশ্রয় দিবেন এবং তাকে সাহায্য করবেন
  • ০ হাজার ফেরেশতা তার জন্য কিয়ামত পর্যন্ত ক্ষমা প্রার্থনা করবে। (নুযহাতুল মাজলিস)
  • সাথে সূরা ইখলাস ১ বার পাঠ করলে মৃত্যু ব্যতীত জান্নাতে প্রবেশ করতে কিছুই বাধা দিবে না। (তাবরানী)

(১ বার) সূরা কদর


  • পাঠকারীর কবরে, মীযানে এবং পুলসিরাতে মহান আল্লাহ তায়ালা নূর দিবেন। (নুযহাতুল মাজলিস)

(১ বার) (দোয়া কবুল হবে)

আল্লাহুম্মা সাল্লি আলা সাইয়্যিদিনা মুহাম্মাদিন ফিল আও-ওয়ালিনা ওয়া সাল্লি আলা সাইয়্যিদিনা মুহাম্মাদিন ফিল আখিরিনা ওয়া সাল্লি আলা সাইয়্যিদিনা মুহাম্মাদিন ফিন-নাবিয়্যিনা ওয়া সাল্লি আলা সাইয়্যিদিনা মুহাম্মাদিন ফিল মুরসালিনা ওয়া সাল্লি আলা সাইয়্যিদিনা মুহাম্মাদিন ফিল মালাইল আ’লা ইলা ইয়াউমিদ্দীন। আল্লাহুম্মা আতি সাইয়্যিদিনা মুহাম্মাদান ওয়াছিলাত ওয়াল ফাজিলাত, ওয়াস সারাফা ওয়াদ্দারাজাতার রাফিয়্যাত ওয়াব আছুহু মাকামাম মাহমুদান আল্লাহুম্মা ইন্নী আমানতু বি-মুহাম্মাদ্দিও ওয়া লাম আরাহু-ফালা তাহরিমনী ফিল জিনানি রুউ-ইয়াতাহু ওয়া রুজুকিনী সুহবাতাহু ওয়া তাওয়াফ-ফানি আ’লা মিল্লাতিহী ওয়াসকিনি মিন হাউদিহী মাশরাবান রাউ-ইয়ান ছাবিগান হানিয়ান লা মাজমাল বাদাহু আবাদান ইন্নাকা আলা কুল্লি শাইয়্যিন কাদীর। আল্লাহুম্মা কামা আমান্তু বি-মুহাম্মাদিও ওয়ালাম আরাহু ফালা তাহরিমনী ফিল জিনানি রু-উ-ইয়াতাহু।

  • পাঠকারীর গুনাহ মুছে যাবে।
  • সে সর্বদা সন্তুষ্ট থাকবে।
  • তার দোয়া কবুল হবে।
  • তার আশা-আকাংখা পূর্ণ হবে।
  • সে শত্রুর উপর বিজয় লাভ করবে।
  • তাকে সৎকাজের তাওফীক দেয়া হবে।
  • জান্নাতে সে রাসূল্ললাহ (সাঃ) এর নৈকট্য লাভ করবে। (জজবুল কুলুব)

সূরা ইয়াসীন

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম

৩৬.১. ইয়াসীন।

৩৬.২. ওয়াল কুরআনিল হাকিম।

৩৬.৩. ইন্নাকা লা-মিনাল মুরসালিন।

৩৬.৪. আলা সিরাতিম মুসতাকিম।

৩৬.৫. তানজিলাল আজিজির রাহিম।

৩৬.৬. লিতুনজিরা কাওমাম্মা উনজিরা আবা উহুম ফাহুম গাফিলুন।

৩৬.৭. লাকাদ হাক্কাল কাওলু আলা আকসারিহিম ফাহুম লা-ইউমিনুন।

৩৬.৮. ইন্না যা-আলনা ফি আনা কিহিম আগলালান ফাহিয়া ইলাল আজকানি ফাহুম মুকমাহুন।

৩৬.৯. ওয়া যা-আলনা মিম বাইনি আইদিহিম ছাদ্দাও ওয়া মিন খালফিহিম ছাদ্দান ফা-আগশাইনা হুম ফাহুম লা-ইউবসিরুন।

৩৬.১০. ওয়া ছাওয়াউন আলাইহিম আ-আনযারতাহুম আম লাম তুনজিরহুম লা-ইউমিনুন।

৩৬.১১. ইন্নামা তুনজিরু মানিত্তাবা আজজিকরা ওয়া খাশিয়ার রাহমানা বিলগাইবি ফাবাশশিরহু বিমাগফিরাতিও ওয়া আজরিন কারিম।

৩৬.১২. ইন্না নাহনু-নুহয়িল মাওতা ওয়া নাকতুবু মা কাদ্দামু ওয়া আছা-রাহুম ওয়া কুল্লা শাইয়িন আহসাইনাহু ফি ইমামিম মুবিন।

৩৬.১৩. ওয়াদরিব লাহুম মাছালান আসহাবাল কারইয়াহ ইযজা-আহাল মুরছালুন।

৩৬.১৪. ইজ আরছালনা ইলাইলি মুছনাইনি ফাকাজযাবু হুমা ফা-আজঝাজনা বিছালিছিন ফাকালু ইন্না ইলাউকুম মুরছালুন।

৩৬.১৫. কালু মা আনতুম ইল্লা বাশারুম মিছলুনা ওয়ামা আনঝালার রাহমানু মিন শাইয়িন ইন আনতুম ইল্লা তাকজিবুন।

৩৬.১৬. কালু রাব্বুনা ইয়া লামু ইন্না ইলাইকুম লা মুরছালুন।

৩৬.১৭. ওয়ামা আলাইনা ইল্লাল বালাগুল মুবিন।

৩৬.১৮. কালু ইন্না তাতাইয়ারনা বিকুম লাইল্লাম তানতাহু লানার জুমান্নাকুম ওয়ালা ইয়ামাছ ছান্নাকুম মিন্না আজবুন আলিম।

৩৬.১৯. কালু তায়িরুকুম মা-আকুম আইন যুক্কিরতুম বাল আনতুম কাওমুম মুছরিফুন।

৩৬.২০. ওয়াযা আমিন আকসাল মাদিনাতি রাজুলুই ইয়াছ আকালা ইয়া কাওমিত্তাবিউল মুরছালিন।

৩৬.২১. ইত্তাবিঊ মাল্লা-ইয়াছ আলুকুম আজরাও ওয়া হুম মুহতাদুন।

৩৬.২২. ওয়া মা-লিয়া লা-আবুদুল্লাজি ফাতারানি ওয়া ইলাইহি তুরযাউন।

৩৬.২৩. আ-আত্তাখিজু মিন দুনিহী আলিহাতান ইয়্যুরিদনির রাহমানু বিদুররিল লা-তুগনি আন্নি শাফা আতুহুম শাইআও ওয়ালা ইউনকিজুন।

৩৬.২৪. ইন্নি ইযাল্লাফি দালালিম মুবিন।

৩৬.২৫. ইন্নি আ-মানতু বিরাব্বিকুম ফাছমা ঊন।

৩৬.২৬. কিলাদ খুলিল জান্নাতা কা-লা ইয়া-লাইতা কাওমি ইয়া‘লামুন।

৩৬.২৭. বিমা-গাফারালি রাববি ওয়া যা‘আলানি মিনাল মুকরামিন।

৩৬.২৮. ওয়ামা-আনঝালনা আলা-কাওমিহি মিম বা‘দিহি মিন জুনদিম মিনাছ-ছামায়ী-ওয়ামা-কুন্না মুনজিলিন।

৩৬.২৯. ইন কানাত ইল্লা-সাইহাতাও ওয়া-হিদাতান ফাইযাহুম খা-মিদুন।

৩৬.৩০. ইয়া-হাছরাতান আলাল ইবাদি মা-ইয়া-তীহিম মির রাসুলিন ইল্লা-কানু বিহি ইয়াছতাহঝিউন।

৩৬.৩১. আলাম ইয়ারাও কাম আহলাক-না কাবলাহুম মিনাল কুরুনি আন্নাহুম ইলাইহিম লা-ইয়ারজি‘উন।

৩৬.৩২. ওয়া-ইন কুল্লুল-লাম্মা যামি‘উল লাদাইনা মুহদারুন।

৩৬.৩৩. ওয়া আয়াতুল্লাহুমুল আরদুল মাইতাতু আহ ইয়াইনাহা ওয়া আখরাজনা মিনহা হাব্বান ফামিনহু ইয়া কুলুন।

৩৬.৩৪. ওয়া যা-আলনা ফিহা জান্নাতিম মিন নাখিলিও ওয়া আ‘নাবিও ওয়া ফাজ্জারনা ফিহা মিনাল উইয়ুন।

৩৬.৩৫. লিয়াকুলু মিন ছামারিহি ওয়ামা আমিলাত-হু আইদিহিম আফালা ইয়াশকুরুন।

৩৬.৩৬. সুবহানাল্লাজি খালাকাল আঝ-ওয়াযা কুল্লাহা মিম্মা তুমবিতুল আরদু ওয়ামিন আনফুছিহিম ওয়া মিম্মা লা-ইয়া‘লামুন।

৩৬.৩৭. ওয়া আয়াতুল লাাহুমুল লাইলু নাছলাখু মিনহুন নাহারা ফাইযাহুম মুজলিমুন।

৩৬.৩৮. ওয়াশ-শামছু তাজরি লিমুছতাকার-রিল লাহা যালিকা তাকদিরুল আজিজিল আলিম।

৩৬.৩৯. ওয়াল কামারা কাদ্দারনাহু মানা-ঝিলা হাত্তা-আদা-কাল উরজুনিল কাদিম।

৩৬.৪০. লাশশামছু ইয়ামবাগি লাহা আন তুদরিকাল কামারা ওয়ালাল্লাইলু সাবিকুন্নাহারি ওয়া কুল্লুন ফি ফালাকিই ইয়াছবাহুন।

৩৬.৪১. ওয়া আয়াতুল্লাহুম আন্না হামালনা যুররি-আতাহুম ফিল ফুলকিল মাশহুন।

৩৬.৪২. ওয়া খালাকনা লাহুম মিম মিছলিহি মা ইয়ার-কাবুন।

৩৬.৪৩. ওয়া ইন্না-শা নুগরিকহুম ফালা ছারিখা লাহুম ওয়ালাহুম ইউনকাজুন।

৩৬.৪৪. ইল্লা রাহমাতাম মিন্না ওয়া মাতা-আন ইলাহিন।

৩৬.৪৫. ওয়াইযা কিলা লাহু মুত্তাকু মা-বাইনা আইদীকুম ওয়ামা খালফাকুম লা‘আল্লাকুম তুরহামুন।

৩৬.৪৬. ওয়ামা-তা-তিহিম মিন আয়াতিম মিন আয়াতি রাব্বিহিম ইল্লা-কানু আনহা মু‘রিদিন।

৩৬.৪৭. ওয়া ইযা-কিলা লাহুম আনফিকু মিম্মা-রাঝাকা-কুমুল্লাহু কা-লাল্লাজিনা কাফারু লিল্লাজিনা আমানু আনুত‘ইমু মাল্লাও ইয়াশা উল্লাহু আত‘আমাহু ইন আনতুম ইল্লা-ফি দালা-লিম মুবিন।

৩৬.৪৮. ওয়া ইয়াকুলুনা মাতা হা-যাল ওয়া‘দুইন কনতুম সা-দিকিন।

৩৬.৪৯. মা ইয়ানজুরুনা ইল্লা ছাইহাতাও ওয়া হিদাতান তা-খুজুহুম ইয়াখিস সিমুন।

৩৬.৫০. ফালা ইয়াছতাতি‘ঊনা তাওসিয়াতাও ওয়ালা ইলা আহলিহিম ইয়ারজিঊন।

৩৬.৫১. ওয়া নুফিখা ফিছছুরি ফাইযা-হুম মিনাল আজদা-ছি ইলা রাব্বিহিম ইয়ানসিলুন।

৩৬.৫২. কা-লু ইয়া ওয়াইলানা মাম বা‘আছানা মিম মারকাদিনা হা-যা মা ওয়া‘আদার রাহমানু ওয়া ছাদাকাল মুরছালুন।

৩৬.৫৩. ইন কা-নাত ইল্লা ছাইহাতাও ওয়া-হিদাতান ফাইযা-হুম জামী‘উল লাদাইনা মুহদারুন।

৩৬.৫৪. ফাল ইয়াওমা লা-তুজলামু নাফছুন শাইয়্যাও ওয়ালা তুজঝাওনা ইল্লা মা কুনতুম তা‘মালুন।

৩৬.৫৫. ইন্না আছহা-বাল জান্নাতিল ইয়াওমা ফি শুগুলিন ফা-কিহুন।

৩৬.৫৬. হুম ওয়া আঝওয়া-জুহুম ফি যিলা-লিন আলাল আরাইকি মুত্তাকিঊন।

৩৬.৫৭. লাহুম ফিহা ফাকিহাতুও ওয়ালাহুম মা ইয়াদ্দা‘ঊন।

৩৬.৫৮. সালা-মুন কাওলাম মির রাব্বির রাহিম।

৩৬.৫৯. ওয়াম তা-ঝুল ইয়াওমা আইয়ুহাল মুজরিমুন।

৩৬.৬০. আলাম আ‘হাদ ইলাইকুম ইয়াবানি আ-দামা আল্লা তা‘বুদুশ শাইতানা ইন্নাহু লাকুম আদুওউম মুবিন।

৩৬.৬১. ওয়া আনি‘বুদুনী হাযা-সিরাতুম মুসতাকিম।

৩৬.৬২. ওয়া-লাকাদ আদাল্লা মিনকুম জিবিল্লান কাছিরান আফালাম তাকুনু তা‘কিলুন।

৩৬.৬৩. হাযীহী জাহান্নামুল্লাতি কুনতুম তু‘আদুন।

৩৬.৬৪. ইছলাওহাল ইয়া ওমা বিমা কুনতুম তাকফুরুন।

৩৬.৬৫. আল-ইয়াওমা নাখতিমু আলা আফওয়া-হিহিম ওয়া তুকাল্লিমুনা আইদিহিম ওয়া তাশহাদু আরজুলুহুম বিমা কানু ইয়াকসিবুন।

৩৬.৬৬. ওয়ালাও নাশাউ-লাতামাছনা আলা আ-ইউনিহিম ফাছতাবাকুছ ছিরা-তা ফাআন্না ইউবসিরুন।

৩৬.৬৭. ওয়ালাও নাশাউ লামাছাখনাহুম আলা মাকা-নাতিহিম ফামাছতাতা-ঊ মুদিয়্যাও ওয়ালা ইয়ারজি-ঊন।

৩৬.৬৮. ওয়ামান্নু আম্মির-হু নুনাক্কিছহু ফিল খালকি আফালা ইয়া-কিলুন।

৩৬.৬৯. ওয়ামা আল্লামনা হুশশিরা ওয়ামা ইয়ামবাগী লাহু ইন হুওয়া ইল্লা যিকরুও ওয়া কুরআনুম মুবিন।

৩৬.৭০. লিয়ুনজিরা মান কা-না হাইয়্যাও ওয়া ইয়া-হিক্কাল কাওলু আলাল কাফিরীন।

৩৬.৭১. আওয়া লাম ইয়ারাও আন্না খালাকনা-লাহুম মিম্মা আমিলাত আইদিনা আন-আ-মান ফাহুম লাহা মালিকুন।

৩৬.৭২. ওয়া জাল্লালনা-হা লাহুম ফামিনহা রাকুবুহুম ওয়া মিনহা ইয়া-কুলুন।

৩৬.৭৩. ওয়া লাহুম ফিহা মানা-ফি‘উ ওয়া মাশারিবু আফালা ইয়াশকুরুন।

৩৬.৭৪. ওয়াত্তা-খাজু মিন দুনিল্লাহি আলিহাতাল লা‘আল্লাহুম ইউনসারুন।

৩৬.৭৫. লা-ইয়াছ-তাতী‘ঊনা নাসরাহুম ওয়াহুম লাহুম জুনদুম মুহদারুন।

৩৬.৭৬. ফালা ইয়াহ-ঝুনকা কাওলুহুম; ইন্না না‘লামুমা ইউছিররূনা ওয়ামা ইউ‘লিনুন।

৩৬.৭৭. আওয়ালাম ইয়ারাল ইনছানু আন্না খালাকনা-হু মিন নুতফাতিন ফাইযা হুওয়া খাসিমুম মুবিন।

৩৬.৭৮. ওয়া দারাবা লানা মাছালাও ওয়া নাছিয়া খালকাহু কালা মাই ইউহয়্যিল ইযামা ওয়া হিয়া রামীম।

৩৬.৭৯. কুল ইউহয়্যি হাল্লাজি আনশা-আহা আওয়ালা মাররাতিও ওয়া হুয়া বিকুল্লি খালকিন আলিমু।

৩৬.৮০. আল্লাজি জা‘আলা লাকুম মিনাশ শাজারিল আখদারি না-রান ফাইজা আনতুম মিনহু তুকিদুন।

৩৬.৮১. আওয়া লাইসাল্লাজি খালাকাস-সামাওয়াতি ওয়াল আরদা বিকা-দিরিন আলা আই ইয়াখলুকা মিছলাহুম বালা ওয়া হুওয়াল খাল্লাকুল আলিম।

৩৬.৮২. ইন্নামা আমরুহু ইযা আরাদা শাইআন আই ইয়াকুলা লাহু কুন ফাইয়াকুন।

৩৬.৮৩. ফাসবুহা-নাল্লাজি বিয়াদিহি মালাকুতু কুল্লি শাইয়্যিও ওয়া ইলাইহি তুরজা‘ঊন।

 

সূরা আত-তাগাবুন

(বিসমিল্লাহীর রাহমানির রাহিম)

১: ইউছাব্বিহু লিল্লা-হি মা ফিছ ছামাওয়াতি ওয়ামা-ফিল আরদি লাহুল মুলকু ওয়া লাহুল হামদু ওয়া হুওয়া আলা-কুল্লি শাইয়িন কাদীর।

২: হুওয়াল্লাযী খালাকাকুম ফামিনকুম কা-ফিরুও ওয়া মিনকুম মুমিনুন ওয়াল্লাহু বিমাতা মালূনা বাসীর।

৩: খালাকাছ ছামা-ওয়া-তি ওয়াল আরদ বিলহাক্কি ওয়াসাও ওয়ারাকুম ফাআহছানা সুওয়ারাকুম ওয়া ইলাইহিল মাসীর।

৪: ইয়া লামুমা-ফিছ ছামাওয়াতি ওয়াল আরদ ওয়া ইয়া লামুমা-তুছিররূনা ওয়া মাতুলিনূনা ওয়াল্লাহু আলীমুম বিযাতিস সুদূর।

৫: আলাম ইয়াতিকুম নাবাউল্লাযীনা কাফারূমিন কাবলু ফাযাকূ ওয়া বালা আমরিহিম ওয়া লাহুম আযাবুন আলীম।

৬: যালিকা বিআন্নাহূ কানাত তাতীহিম রুছুলুহুম বিলবাইয়িনাতি ফাকালূ আবাশারুই ইয়াহদূ নানা ফাকাফারূ ওয়াতাওল্লাও ওয়াছতাগনাল্লাহু ওয়াল্লাহু গানিইয়ুন হামিদ।

৭: ঝা-আমাল্লাযীনা কাফারূ আল্লাই ইউব-আছূ কুল বালা ওয়া রাববী লাতুব আছুন্না ছুম্মা লাতুনাব্বাউন্না বিমা আমিলতুম ওয়া যালিকা আলাল্লাহি ইয়াছীর।

৮: ফা আমিনূবিল্লাহি ওয়া রাছূলিহী ওয়ান্নূরিল্লাযী আনঝালনা ওয়াল্লাহু বিমাতা মালূনা খাবীর।

৯: ইয়াওমা ইয়াজমা উকুম লিইয়াওমিল জাম-ই যালিকা ইয়াও মুত্তাগাবুন ওয়া মাই ইউ-মিম বিল্লাহি ওয়া ইয়া মাল সালিহাই ইউ কাফফির আনহু ছাইয়ি আতিহী ওয়া ইউদখিলহু জান্নাতিন তাজরী মিন তাহতিহাল আনহারু খালিদীনা ফীহা আবাদা যালিকাল ফাওঝুল আজীম।

১০: ওয়াল্লাযীনা কাফারূ ওয়া কাযযাবূ বিআয়াতিনা উলাইকা আসহাবুন্নারি খালিদীনা ফীহা ওয়া বিছাল মাসীর।

১১: মা-আসাবা মিম মুসীবাতিন ইল্লা বিইযনিল্লাহি ওয়া মাই ইউ মিম বিল্লাহি ইয়াহদি কালবাহূ ওয়াল্লাহু বিকুল্লি শাইয়িন আলীম।

১২: ওয়া আতীউল্লাহা ওয়া আতীউর রাছূলা ফাইন তাওয়াল্লাইতুম ফাইন্নামা আলা রাছূলি নাল বালাগুল মুবীন।

১৩: আল্লাহু লা-ইলাহা ইল্লা হুওয়া ওয়া আলাল্লাহি ফাল ইয়াতা ওয়াক্কালিল মুমিনূন।

১৪: ইয়া আইয়ুহাল্লাযীনা আমানূ ইন্না মিন আঝওয়া জিকুম ওয়া আওলাদিকুম আদুও ওয়াল লাকুম ফাহযারূহুম ওয়া ইন তাফূওয়া তাসফাহূওয়া তাগফিরূ ফাইন্নাল্লাহা গাফূরুর রাহীম।

১৫: ইন্নামা আমওয়া লুকুম ওয়া আওলা দুকুম ফিতনাতুও ওয়াল্লাহু ইনদাহূ আজরুন আজীম।

১৬: ফাত্তাকুল্লাহা মাছতাতাতুম ওয়াছমাউ ওয়া আতীঊ ওয়া আনফিকূ খাইরাল লিআনফুছিকুম ওয়া মাই ইঊকা শুহহা নাফছিহী ফাউলাইকা হুমুল মুফলিহূন।

১৭: ইন তুকরিদুল্লাহা কারদান হাছানাই ইউদা-ইফহু লাকুম ওয়া ইয়াগ ফিরলাকুম ওয়াল্লাহু শাকূরুন হালীম।

১৮: আলিমুল গাইবি ওয়াশশাহাদাতিল আঝীঝুল হাকীম।  

ফজর নামাযের পরে সূর্যোদয়ের আগে এই সূরা পাঠ করলে

-       শত্রুপক্ষ পরাস্ত হয়।

-       কঠিন থেকে কঠিনতর রোগের মুক্তি মেলে।

-       জীবনের সকল মুশকিল থেকে মুক্তি মেলে। 

 

সকল তাসবীহ তাহলিল এর ফজিলত ও দলিল সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন।

 












No comments