সাম্প্রতিক পোষ্ট

সারাদিনের জিকির-আমল

সারাদিনের জিকির-আমল

রাবী (আবূ হুরাইরা) রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,

লা ইলাহা ইল্লাল্লা-হু অহদাহু লা শারীকা লাহ, লাহুল মুলকু অলাহুল হামদু অহুয়া আলা কুল্লি শাইয়িন ক্বাদীর।

এক অদ্বিতীয় আল্লাহ ব্যতীত আর কোনো সত্য উপাস্য নেই। তাঁর কোনো শরীক নেই। (বিশাল) রাজ্যের তিনিই সার্বভৌম অধিপতি। তাঁরই যাবতীয় স্তুতিমালা এবং সমস্ত বস্তুর উপর তিনি ক্ষমতাবান।

 

যে ব্যক্তি এই দোআটি দিনে ১০ বার পড়বে -

সে ব্যক্তি ইসমাইলের বংশধরের চারজন দাস মুক্ত করার সমান সওয়াব লাভ করবে।

যে ব্যক্তি এই দোআটি দিনে ১০০ বার পড়বে -

তার দশটি গোলাম আজাদ করার সমান নেকী অর্জিত হবে,

একশটি নেকী লিপিবদ্ধ করা হবে,

তার একশটি গুনাহ মোচন করা হবে,

উক্ত দিনের সন্ধ্যা অবধি তা তার জন্য শয়তান থেকে বাঁচার রক্ষামন্ত্র হবে

তার চেয়ে সেদিন কেউ উত্তম কাজ করতে পারবে না। কিন্তু যদি না কেউ তার চেয়ে বেশী আমল করে।

 

তিনি আরও বলেছেন, “যে ব্যক্তি দিনে একশবার সুবহানাল্লাহি ওয়াবিহামদিহী পড়বে তার গুনাহসমূহ মোচন করা হবে; যদিও তা সমুদ্রের ফেনা বরাবর হয়।”(বুখারী-মুসলিম)

১. [সহীহুল বুখারী ৬৪০৪, মুসলিম ২৬৯৩, তিরমিযী ৩৫৫৩, তিরমিযী ৩৫৫৩, আহমাদ ২৩০০৫, ২৩০০৭, ২৩০৩৪, ২৩০৫৬, ২৩০৭১]

২. [সহীহুল বুখারী ৩২৯৩, ৬৪০৫, তিরমিযী ৩৪৬৬, ৩৪৬৮, ৩৪৬৯, আবূ দাউদ ৫০৯১, ইবনু মাজাহ ৩৭৯৮, ৩৮১২, আহমাদ ৭৯৪৮, ৮৫০২, ৮৬১৬, ৮৬৫৬, ৯৮৯৭, ১০৩০৫, মুওয়াত্তা মালিক ৪৮৬, ৪৮৭]

 

সুন্নাহ ভিত্তিক দৈনিক ফযীলতপূর্ণ ওয়াযীফা

(১০০ বার) বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম

প্রতিবার প্রতিটি হরফের বিনিময়ে আল্লাহ তায়ালা -

-        ৪০০০ সৎকাজ লিখে দিবেন

-        ৪০০০ গুনাহ মিটিয়ে দিবেন

-        ৪০০০ ধাপ মর্যাদা বৃদ্ধি করে দিবেন।  [দায়লামী শরীফ]

-        জান্নাতে উদ্দ্যান দান করবেন। অন্য বর্ণনায় – ১টি প্রাসাদ তৈরি করবেন যার প্রতিটি ইট হবে জমাররুদ পাথরের এবং গাঁথুনি হবে মেশক আম্বরের। [তাফসীরে কাশফুল আসরার]

 

(১০০ বার) লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ

-        রাসূল (সাঃ) বলেছেন, এই দোয়া পাঠকারীর জন্য জান্নাত অবধারিত হয়ে যাবে। [নাসায়ী,জামিউল আহাদীস]

-        রাসূল (সাঃ) বলেছেন, কোনও ব্যক্তি ১০০ বার এটি বললেই আল্লাহ তায়ালা তাকে কিয়ামতের দিন এমনভাবে উঠাবেন যে, তার চেহারা পূর্ণিমার চাঁদের মত (উজ্জ্বল) হবে। আর যে ব্যক্তি তার মতো (১০০ বার) বলবে অথবা তার চেয়ে বেশী বলবে সে ব্যতীত অন্য কারও জন্য সেদিন তার চেয়ে উত্তম আমল উঠানো হবে না। [তাবরানী, আত-তারগীব ওয়াত তারহীব]

 

(১০০ বার) আস্তাগফিরুল্লাহা ওয়া আতুবু ইলাইহী

-        যে ব্যক্তি দিনে ৭০ বার ইস্তিগফার পাঠ করে তাকে মিথ্যাবাদীদের অন্তর্ভুক্ত হিসেবে লেখা হবে না। আর যে ব্যক্তি রাতে ৭০ বার ইস্তিগফার পাঠ করে তাকে গাফিলদের অন্তর্ভুক্ত হিসেবে লেখা হবে না। (ইবনুস সুন্নী)

-        ৭০ বার ইস্তিগফার পাঠ করলে ৭০০ বারের সমান হবে এবং ৭০০ গুনাহ ক্ষমা করা হবে। দৈনিক কেউ ৭০০ এর অধিক গুনাহ করে না। [দায়লামী শরীফ]

-        যে ব্যক্তি ইস্থিগফার পাঠ করাকে আবশ্যক করে নিবে, আল্লাহ তায়ালা তাকে বিভিন্ন সংকট, অস্থিরতা থেকে মুক্তি দিবেন ও সকল দুশ্চিন্তা থেকে রেহাই দিবেন এবং এমন উপায়ে রিজিক দিবেন, যা সে কল্পনা করে নাই। [কানযুল উম্মাল]

 

(৩ বার) আস্তাগফিরুল্লা-হাল্লাযী লা-ইলাহা ইল্লা হুয়্যাল হাইয়্যুল কাইয়্যুমু ওয়া আতুবু ইলাইহী।

-        পাঠকারীকে ক্ষমা করা হবে। যদিও তার গুনাহ সমূদ্রের ফেনারাশি ও ‘আলিজ মরুভূমির বালুকণা এবং আকাশের তারকারাজির সমতূল্য হয়। এমনকি যুদ্ধের ময়দান থেকে পলায়ণকারী হলেও। (কানযুল উম্মাল, ইবনুস সুন্নী)

-        দাঁড়ানোর পূর্বেই পাঠকারীকে ক্ষমা করা হবে। (নুযহাতুল মাজলিস)

 

(১০০ বার) লা-হাওলা ওয়া কুওয়্যাতা ইল্লা বিল্লাহ

-       যে ব্যক্তি প্রতিদিন ১০০ বার এটি পাঠ করে, দারিদ্র কখনও তাকে স্পর্শ করবে না। [আত-তারগীব, ইবনু আবীদ দুনইয়া]

-       এটি ৯৯টি রোগের জন্য ঔষধ স্বরূপ। যার মধ্যে সবচেয়ে হালকা রোগটি হচ্ছে দুশ্চিন্তা। [তাবরানী, হাকিম, ইবনুন নাজ্জার]

-       এটি জান্নাতের ধন-ভান্ডার সমূহের একটি ধনভান্ডার [নাসায়ী শরীফ, মুসান্নাফু ইবনে আবী শায়বা]

 

(৩ বার) আল্লাহুম্মা লাকাল হামদু লা ইলাহা ইল্লা আন্তা ওয়াহদাকা লা-শারিকা লাকা ইন্তা রাব্বী ওয়া আনা আবদুকা আমানতু বিকা মুখলিছ-ছাল্লাকা দিইনী আছবাহ-তু আলা আহদিকা ওয়া ওয়াদিকা মাছতা-তাতু আতুবু ইলাইকা মিন ছুউয়ী আমালি ওয়াছতাগফিরুকা লিজানবি লা-ইয়াগফিরুহ ইল্লা আন্তা।  

-        পাঠকারীর জন্য জাহান্নাম হারাম হয়ে যাবে (তাবরানী ফিল আওসাত্ব)

 

(২৫ বার) আল্লাহুম্মা বারিকলী ফিল মাউতি ওয়া ফিইমা বা’দাল মাউত।

-        পাঠকারী বিছানায় মৃত্যুবরণ করলেও শাহাদাতের ছাওয়াব লাভ করবে । (তাবরানী ফিল আওসাত্ব ও মুয়াত্তা)

 

(২১ বার) আল্লাহুম্মা বারিক ফিল মাউতি ওয়া ফিইমা বা’দাল মাউত।

-        পাঠকারীকে আল্লাহ তা'য়ালা দুনিয়ায় যা নিয়ামত দান করেছেন (কিয়ামতের দিন) তার হিসাব নিবেন না। (নুযহাতুল মাজালিস ওয়া মুনতাখাবুন নাফায়িস)

 

(১ বার) আল্লাহুম্মাগফিরলী ওয়া লিল মুমিনিনা ওয়াল মুমিনাতি।

-        ১ বার পাঠ করলে সকল মুমিন নর নারীর সংখ্যা অনুযায়ী ছাওয়াব লেখা হবে। (কানযুল 'উম্মাল)

 

(২৭ বার) আস্তাগফিরলী ওয়ালিল মুমিনিনা ওয়াল মুমিনাতি।

-        পাঠকারী তাদের অন্তর্ভূক্ত হবে যাদের দু'আ কবুল করা হয় এবং যাদের অসীলায় যমীনবাসীকে রিযিক প্রদান করা হয়। (কানযুল 'উম্মাল)

 

(২১ বার) আস্তাগফিরলী ওয়ালি ওয়ালিদাইয়্যা ওয়া আজিমিল মুমিনিনা ওয়াল মুমিনাতি ওয়াল মুসলিমিনা ওয়াল মুসলিমাতি আল আহ-ইয়াহী মিন-হুম ওয়াল আমু-ওয়াতি।

-        পাঠকারীকে ওলীগণের অন্তভূক্তি করা হবে। আকাশের সব ফিরিশতা তার জন্য ১০,০০,০০০ (দশলক্ষ) বার ইসতিগফার করবেন। (অসিয়াতুন নাবী)  

 

(২৫ বার) আস্তাগফিরুল্লাহাল আজীম লি ওয়ালি ওয়ালিদাইয়্যা ওয়ালিল মুমিনিনা ওয়াল মুমিনাতি ওয়াল মুসলিমিনা ওয়াল মুসলিমাতি আল আহ-ইয়াহী মিন-হুম ওয়াল আমু-ওয়াতি।

-        পাঠকরারীর জন্য ৭০জন ছিদ্দীকের ছাওয়াব লিপিবদ্ধ করা হবে। (নুযুহাতুন মাজালিস)

 

(১ বার) লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াল্লাহু আকবার। লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহ্দাহূ লা-শারীকালাহ। লাহুল মুলকু ওয়া লাহুল হামদু, ওয়া হুয়া আলা কুল্লি শাইয়্যিন কাদীর। লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়া লা-হাওলা ওয়ালা কুওয়্যাতা ইল্লা বিল্লাহ।

-        পাঠকারী আল্লাহর নিকট যা চাইবে তাই পাবে। (আল মুজামুল আওসাত্ব)

 

 

 

No comments