ঋণ পরিশোধ ও রিজিক বৃদ্ধির আমল
ঋণ পরিশোধ ও রিজিক বৃদ্ধির আমল
(সুবহে সাদিকের সময় ১০০ বার) যে তাসবীহর বরকতে রুজি প্রদান করা হয়।
সুবহানাল্লাহি ওয়া বিহামদিহি, সুবহানাল্লাহিল আলিয়্যিল আযীম, ওয়া বিহামদিহি আস্তাগফিরুল্লাহ।
মহাপবিত্র আল্লাহ এবং সকল প্রশংসা তাঁর জন্য; মহাপবিত্র আল্লাহ, যিনি সমুচ্চ, মহান; এবং সকল প্রশংসা তাঁর জন্য, আমি আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাই।
- এ তাসবীহ যথাসম্ভব সুবহে সাদিক (শুরু) হওয়ার সাথে সাথে যেন পাঠ করা হয় নতুবা সকালের আগে, জামাআত যদি আরম্ভ হয়ে যায় তবে জামাআতে শরীক হয়ে পরে সংখ্যা পূর্ণ করুন এবং যেদিন নামাযের পূর্বেও পাঠ করতে না পারেন, তবে সূর্য উদিত হওয়ার আগেও পাঠ করতে পারবেন।
অলসতা, অধিক বার্ধক্য, গোনাহ এবং ঋণ থেকে মুক্তির দোয়া
আল্লাহুম্মা ইন্নি আউজুবিকা মিনাল কাসালি ওয়াল হারামি ওয়াল মা-ছামি ওয়াল মাগরাম।
হে আল্লাহ! আমি আপনার কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করছি অলসতা, অধিক বার্ধক্য, গোনাহ এবং ঋণ থেকে। (বুখারি: ৬০০৭)
(দিনে ১ বার)
v কুলিল্লাহুম্মা মালিকাল মুলকি তুতিল মুলকা মানতাশাউ ওয়া আনযিউল মুলকা মিম্মান তাশাউ, ওয়া তুয়িজ্জু মানতাশাউ ওয়া তুজিল্লু মানতাশাউ, বিইয়াদিকাল খাইর, ইন্নাকা আলা কুল্লি শাইয়্যিন কাদীর। তুলিজুল্লাইলা ফিন্নাহারি ওয়া তুলিজুন্নাহারা ফিল্লাইলি, ওয়া তুখরিজুল হাইয়্যা মিনাল মাইয়্যিতি ওয়া তুখরিজুল মাইয়্যিতা মিনাল হাইয়্যি ওয়া তারজুকু মানতাশাউ বিগাইরি হিসাব।
- কারও উপর ঋণের বোঝা চেপে থাকলে এই দোয়া নিয়মিত পাঠে ইনশাআল্লাহ তার সম্পূর্ণ ঋণ পরিশোধ হয়ে যাবে।
v আল্লাহুম্মা ইন্নি আউজু বিকা মিনাল হাম্মি ওয়াল হাযানি, ওয়া আউজু বিকা মিনাল আজযি ওয়াল-কাসালি, ওয়া আউজু বিকা মিনাল বুখলি ওয়াল জুবনি, ওয়া আউজু বিকা মিন দালাইদ-দাইনি ওয়া গালাবাতির রিজাল।
হে আল্লাহ! নিশ্চয় আমি আপনার আশ্রয় নিচ্ছি দুশ্চিন্তা ও দুঃখ থেকে, অপারগতা ও অলসতা থেকে, কৃপণতা ও ভীরুতা থেকে, ঋণের ভার ও মানুষদের দমন-পীড়ন থেকে। (বুখারি, হাদিস: ২৮৯৩)
- দোয়াটি ঋণ পরিশোধের নিয়ত ও প্রচেষ্টার পাশাপাশি নামাজের দুই সেজদার মাঝে বসে আল্লাহর কাছে বেশি বেশি করা। বিশুদ্ধ নিয়তে আল্লাহর কাছে ঋণমুক্তির আশ্রয় কামনা করলে মহান আল্লাহ ঋণগ্রস্ত ব্যক্তিদের তা থেকে মুক্ত করবেন ইনশাআল্লাহ।
v আল্লাহুম্মা ইন্নি আউজুবিকা মিনাল হাম্মি ওয়াল হাজানি, ওয়াল আজযি ওয়াল-কাসালি, ওয়াল বুখলি ওয়াল-জুবনি, ওয়া দ্বালায়িদ্দাইনি ওয়া গালাবাতির রিজাল।
হে আল্লাহ, নিশ্চয় আমি আপনার আশ্রয় নিচ্ছি দুশ্চিন্তা ও দুঃখ থেকে, অপারগতা ও অলসতা থেকে, কৃপণতা ও ভীরুতা থেকে, ঋণের ভার ও মানুষদের দমন–পীড়ন থেকে। (বুখারি, হাদিস: ২৮৯৩)
(৭ বার)
লা হাউলা ওয়ালা কুওয়্যাতা ইল্লাবিল্লাহ- লা মালজায়া মিনাল্লাহি ইল্লা ইলাইহি।
আল্লাহর সাহায্য ছাড়া গুনাহ থেকে বিরত থাকা এবং নেক আমলে মশগুল হওয়া সম্ভব না। আল্লাহতায়ালার কাছ থেকে পালিয়ে যাওয়ার কোনো জায়গা নেই। তার কাছেই আশ্রয় গ্রহণ করতে হবে।
- যে ব্যক্তি এ বাক্যগুলো সাতবার বলবে আল্লাহতায়ালা তার সত্তরটি অভাব দূর করবেন। (তন্মধ্যে) সবচেয়ে হাল্কা বিপদ হলো (মানুষের) অভাব।
৫। মধ্যরাত বা রাতের দ্বিপ্রহরের পর ১০০ বার
আর-রাফিয়ু অর্থ হলো- ‘মুমিনদের মর্যাদা উঁচুকারী।-
- মধ্যরাত বা রাতের দ্বিপ্রহরের পর ১০০ বার পাঠ করলে, মহান আল্লাহ তাকে তার সৃষ্টির মধ্যে মনোনীত ও অর্থশালী করেন এবং অন্যের মুক্ষাপেক্ষীতা থেকে মুক্ত রাখেন।
- প্রতিদিন ঘুমানোর সময় ১০০ বার করলে সকল বিপদাপদ থেকে হিফাজত থাকবে।
-
(প্রতিদিন ১০০ বার) বৃষ্টির ফোটার মত রিজিকের দোয়া।
লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু, আল মালিকুল হাক্কুল মুবিন, মুহাম্মাদুর রাসুলাল্লাহ, আস সাদিকুল ওয়াদিল আমিন।
সর্ব শক্তিমান আল্লাহ ছাড়া ইবাদতের কেউ যোগ্য নয়, শুধুমাত্র তিনিই প্রকৃত মালিক। হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আল্লাহর প্রেরিত রাসূল, যিনি অঙ্গীকার রক্ষা করেন এবং যিনি বিশ্বস্ত।
- দোয়াটি পবিত্র কাবা শরীফের দরজার উপরের গিলাফের উপর লিখা আছে। এছাড়াও বিভিন্ন মসজিদে, বিশেষ করে মানুষ ইন্তেকাল করলে তার খাটিয়ার উপরেও এ গিলাফটি ব্যবহার করা হয়। এই দোয়া প্রতিদিন ১০০ বার পড়লে তা দারিদ্র্যতার বিরুদ্ধে নিরাপত্তা দিবে, সম্পদ অর্জনের মাধ্যম হবে এবং কবরের পরীক্ষা থেকে মুক্ত থাকবে। (উৎস: তারিখে বাগদাদ, খন্ডঃ ১২, পৃষ্ঠাঃ ৩৫৮, আল হিলিয়া, খন্ডঃ ৮, পৃষ্ঠাঃ ৩০৯)
বা-রাকাল্লা-হু লাকা ফী আহলিকা ওয়া মা-লিকা, ইন্নামা জাযা-উস সালাফে আল-হামদু ওয়াল আদা-উ।
জুম্মার নামাজ শেষে ৭০ বার পড়লে আয়-রোজগার বৃদ্ধি পাবেঃ
আল্লাহুম্মাকফিনি বিহালালিকা আন হারামিকা ওয়া আগনিনি বিফাদলিকা আম্মান সিওয়াক।
হে আল্লাহ, আপনি আপনার হালালের মাধ্যমে আমাকে পরিতুষ্ট করে হারাম থেকে বিরত রাখুন এবং আপনার অনুগ্রহের মাধ্যমে আপনি ছাড়া অন্য সবার থেকে আমাকে অমুখাপেক্ষী করুন। (তিরমিজি: ৩৫৬৩)
No comments