ফজর নামাজের পরের আমল (ফজিলতসহ)
ফজরের সুন্নাত নামাজের পরের আমল
(১ বার)
আউজুবিল্লাহিল আজিম ওয়া বিওয়াজহিহীল কারীম, ওয়া সুলতানিহীল কাদীম, মিনাশ শায়তানির রাজীম।
- পাঠকারীর সংগে থাকা শয়তান বলে, "এ ব্যক্তি আমার থেকে নিরাপদ হয়ে গেল।" (বুসতানুল ওয়ায়েজিন)
(১০ বার)
আউজুবিল্লাহি মিনাশ শাইতানির রাজীম
- যে ব্যক্তি আল্লাহ পাকের নিকট ১০ বার শয়তান থেকে আশ্রয় চায়, আল্লাহ পাক তাকে শয়তানের হাত থেকে রক্ষা করার জন্য একজন ফেরেশতা নির্ধারিত করে দেন।
(৪০ বার)
ইয়া হাইয়্যু ইয়া কাইয়্যুম লা-ইলাহা ইল্লা আন্তা।
- কিয়ামতের দিন পাঠকারীর কলব মারা যাবে না।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম। লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহুল জালিলুল জাব্বার। লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহুল ওয়াহিদুল কাহহার। লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহুল আজিজুল গাফফার। লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহুল কারিমুস সাত্তার। লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা-শারিকালাহু ইলাহাও ওয়াহিদাও ওয়া নাহনু লাহু মুসলিমুন লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা-শারিকালাহু ইলাহাও ওয়াহিদাও ওয়া নাহনু লাহু মুখলিসুন, লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহি ওয়া সাল্লাল্লাহু আলা খাইরি খালকিহি সাইয়্যিদিনা মুহাম্মাদিও ওয়া আলিহি ওয়া আসহাবিহী আজমাঈন। ওয়া সাল্লামা তাসলিমান কাছিরান কাছিরান, বিরাহমাতিকা ইয়া আরহামার রাহিমীন।
ছোবহে সাদেকের সময় যে ব্যক্তি এ দোয়া পাঠ করে, সে যেন –
- ১০০০ বার হজ্জ পালন করল
- ১০০০ বার সমস্ত কুরআন শরীফ খতম করল
- ১০০০ গোলাম আল্লাহর ওয়াস্তে আজাদ করে দিল
- ১০০০ শবে কদর এর ছাওয়াব
- ১০০০ দিনার আল্লাহর রাহে খরচ করল
- রাসূলে করীম (সঃ)- এর উপর ১০০০ দুরুদ পাঠের ছওয়াব লাভ করল
- তার জন্য জাহান্নামের ৭ দরজা বন্ধ হয়ে যাবে
- তার জন্য জান্নাতের ৮ টি দরজা খোলা থাকবে
(১০০ বার)
সুবহানাল্লাহি ওয়া বিহামদিহি সুবহানাল্লাহিল আজীম আস্তাগফিরুল্লাহ।
- এ দোয়ার বরকতে ধনসম্পদ বাধ্য হয়ে লুটিয়ে পড়বে।
- এ দোয়ার প্রতিটি শব্দের বিনিময়ে ১ জন করে ফেরেশতা সৃস্টি করা হবে যারা কিয়ামত পর্যন্ত তাসবীহ পাঠ করবে আর ঐ তাসবীহ পাঠের ছাওয়াব পাঠাকারী লাভ করবে। (কানযুল ‘উম্মাল, আল-মাওয়াহিবুল লাদুন্নিয়া, আল-খাছায়িছুল কুবরা)
সূর্যোদয়ের আগে এবং সূর্যাস্তের আগে (বাদ আসর) ১০০ বার করে
সুবহানাল্লাহ, আলহামদুলিল্লাহ, লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ, আল্লাহু আকবার
- মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীন ১০০ নফল হজ্বের ছওয়াব দান করবেন। (মেশকাত শরীফ)
ফজরের ফরজ নামাজের পরের আমল
সালাম ফিরিয়ে
৩৩ বার সুবহানাল্লাহ
৩৩ বার আলহামদুলিল্লাহ্
৩৪ বার আল্লাহু আকবার
(১ বার) লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা-শারীকা লাহু। লাহুল মুলকু ওয়া লাহুল হামদু ওয়া হুয়া আলা কুল্লি শাইয়্যিন কাদীর।
হে আল্লাহ্! তুমি শান্তিময়, তোমার কাছ থেকেই শান্তি অবতীর্ণ হয়। তুমি বরকতময়, হে পরাক্রমশালী ও মর্যাদা প্রদানকারী। (মুসলিম: ১২২১)
- অতীতের সব পাপ ক্ষমা হয়ে যাবে যদিও তা সমূদ্রের ফেনাতুল্য হয়। (হাদীস শরীফ)
- প্রত্যেক সালাতের পর এই আমল করার দ্বারা জিহাদের সমান সওয়াব লাভ করা যায়।
(১ বার) আয়াতুল কুরসি
আল্লাহু লা-ইলাহা ইল্লা হুয়াল হাইয়্যুল কাইয়ুম। লা-তাখুজুহু সিনাতুও ওয়ালা নাউম। লাহুমা ফিস সামাওয়াতি ওয়ামা ফিল আরদ। মান যাল্লাযী ইয়াশফাউ ইন্দাহু ইল্লা বিইযনিহী, ইয়া লামু-মা বাইনা আইদিহিম ওয়ামা খালফাহুম, ওয়ালা ইউহিতুনা বিশাইয়িম মিন ইলমিহি ইল্লা বিমা শা-আ, ওয়াসিয়া কুরসিহুস সামাওয়াতি ওয়াল আরদ, ওয়ালা ইয়াউ দুহু হিফজুহুমা ওয়া হুয়াল আলিয়্যুল আজীম। (সুরা বাকারাঃ ২৫৫)
আল্লাহ ছাড়া অন্য কোনো উপাস্য নেই, তিনি জীবিত, সবকিছুর ধারক। তাঁকে তন্দ্রাও স্পর্শ করতে পারে না এবং নিদ্রাও নয়। আসমান ও জমিনে যা কিছু রয়েছে, সবই তাঁর। কে আছ এমন যে সুপারিশ করবে তাঁর কাছে তাঁর অনুমতি ছাড়া? দৃষ্টির সামনে কিংবা পেছনে যা কিছু রয়েছে, সে সবই তিনি জানেন। তাঁর জ্ঞানসীমা থেকে তারা কোনো কিছুকেই পরিবেষ্টিত করতে পারে না, কিন্তু যতটুকু তিনি ইচ্ছা করেন। তাঁর কুরসি (সিংহাসন) সমস্ত আসমান ও জমিনকে পরিবেষ্টিত করে আছে। আর সেগুলোকে ধারণ করা তাঁর পক্ষে কঠিন নয়। তিনিই সর্বোচ্চ এবং সর্বাপেক্ষা মহান।
- যে ব্যক্তি প্রত্যেক ফরজ নামাজের পর একবার আয়াতুল কুরসী পড়বে, তার জান্নাতে প্রবেশের জন্য শুধু মৃত্যুই বাঁধা থাকবে। (হাদীস শরীফ)
ফজর ও মাগরীবের পর ৩ বার করে। আর অন্য ওয়াক্তসমূহের ফরজ নামাজ শেষে ১ বার করে
সূরা ইখলাস:
(বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম)
কুল হু আল্লাহু আহাদ। আল্লাহুস সামাদ। লাম ইয়ালিদ ওয়ালাম ইউলাদ। ওয়ালাম ইয়া কুল্লাহু কুফুওয়ান আহাদ।
সূরা ফালাক:
(বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম)
কুল আউযু বিরাব্বিল ফালাক। মিন শাররি মা-খালাক। ওয়া মিন শাররি গা-ছিকিন ইযা-ওয়াকাব। ওয়া মিন শাররিন নাফফা-ছা-তি ফিল উকাদ। ওয়া মিন শাররি হা-ছিদিন ইযা-হাছাদ।
সূরা নাস:
(বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম)
কুল আউযু বিরাব্বিন্না-ছ। মালিকিন্না-ছ। ইলা-হিন্না-ছ। মিন শাররিল ওয়াছ ওয়া-ছিল খান্নাছ। আল্লাযী ইউ ওয়াছবিছু ফী সুদূরিন্নাছ। মিনাল জিন্নাতি ওয়ান্না-ছ।
(ফজর ও মাগরিবের পর কারো সাথে কথা বলার পূর্বে ৭ বার)
আল্লাহুম্মা আজিরনি মিনান্নার।
- যে ব্যক্তি ফজর ও মাগরিবের পর সাতবার নিম্নের দোয়াটি পাঠ করে এবং ওই দিনে বা রাতে তার মৃত্যু হয় তাহলে সে জাহান্নাম থেকে মুক্তি লাভ করবে। (আবু দাউদ: ৫০৭৯, নাসায়ী)
(বসা অবস্থায় ১০ বার)
আস্তাগফিরুল্লাহ
- স্থান ত্যাগ করার পূর্বেই আল্লাহ তা-য়ালা পাঠকারীর গুনাহ্রাশি ক্ষমা করে দিবেন যদিও তা সমূদ্রের ফেনার মত অথবা তিহামার পাহাড়গুলোর মত হয় না কেন। (নুযহাতুল মাজলিস)
(ফজর, আসর ও মাগরিব বাদ সালাতের পর পর পা না গুটিয়েই ১০ বার)
লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা-শারিকা লাহু, লাহুল মুলক ওয়া লাহুল হামদ, ইউহ-য়্যী ওয়া ইয়্যুমীত (বিয়াদিহিল খাইরু) ওয়া হুয়া আলা-কুল্লি শাইয়্যীন কাদীর।
আল্লাহ ছাড়া কোনো মাবুদ নেই, তিনি একক, তাঁর কোনো শরীক নেই। রাজত্ব তাঁরই এবং প্রশংসা তাঁরই। তিনিই জীবন দান করেন এবং তিনিই মৃত্যু দান করেন। তাঁর হাতেই সকল কল্যাণ এবং তিনি সবকিছুর উপর ক্ষমতাবান।
(ফজর ও আসর বাদ পড়লে) আল্লাহ তায়ালা তার জন্য -
- ১০টি নেকি লিখবেন
- ১০টি গুনাহ মিটিয়ে দেবেন
- ১০ ধাপ মর্যাদা বৃদ্ধি করবেন
- সে সারাদিন সকল অকল্যান থেকে নিরাপদ থাকবে
- শয়তান থেকে তাকে রক্ষা করা হবে
- নিশ্চিতভাবে শিরক ব্যতীত তার অন্যান্য পাপ ক্ষমার্হ হয়। (নাসায়ী, তিরমিযী, ইবনু মাজাহ)
- আর সে হয় আমল করার দিক থেকে সবচেয়ে শ্রেষ্ঠ ব্যক্তি, তবে সেই ব্যক্তি তার চেয়ে শ্রেষ্ঠ হতে পারে যে তার থেকেও উত্তম যিকির পাঠ করবে। (সহীহ তারগীব- ৪৭২)
(সালাম ফেরানোর পর ৭০ বার)
আস্তাগফিরুল্লাহা ওয়া আতুবু ইলাইহী
- পাঠকারীর গুনাহসমূহ ক্ষমা করা হবে
- জান্নাতের প্রাসাদ অ হুরগিলমান না দেখে দুনিয়া থেকে বিদায় হবে না। (দায়লামী শরীফ)
(ফজরের পর সূর্য উঠার আগে ১ বার সূরা আন-আমঃ ১-৩)
আলহামদুলিল্লা-হিল্লাযী খালাকাস সামা-ওয়া-তি ওয়াল আরদা ওয়া জা‘আলাজ-জুলুমাতি ওয়ান্নূর; ছুম্মাল্লাযীনা কাফারূ বিরব্বিহিম ইয়া’দিলূন। হুয়াল্লাযী খালাকাকুম মিন তীনিন ছুম্মা কাদা-আজালান; ওয়া আজালুম-মুসাম্মান ইন্দাহূ ছূম্মা আন্তুম তামতারূন। ওয়া হুয়াল্লা-হু ফিস সামা-ওয়া-তি ওয়া ফিল আরদ ইয়া’লামু সির’রাকুম ওয়া জাহরাকুম ওয়া ইয়া’লামু মা-তাকছিবূন।
- যে ব্যক্তি ফজরের সালাত আদায় করে সূরা আন’আমের প্রথম ৩ আয়াত পাঠ করে, তার কাছে ৪০ হাজার ফিরিশতা অবতরণ করে, তার জন্য তাদের আমলের ন্যায় আমল লিখে দেয়া হয়।
- ৭ আসমানের উপর থেকে তার কাছে একজন ফেরেশতা অবতরণ করবে, তার সাথে লম্বা হাতলওয়ালা লোহার ভারী হাতুড়ি থাকবে। শয়তান যদি পাঠকারীর কলবে কোনও খারাপ ওয়াস-ওয়াসা দেয়, তাহলে ফেরেশতা তাকে ভালভাবে এক আঘাত করবে। ফলে তার মাঝে আর শয়তানের মাঝে ৭০টি পর্দা হয়ে যাবে।
- কিয়ামতের দিন আল্লাহ তা’আলা তাকে বলবেন, “আমার বান্দা! আমি তোমার প্রতিপালক। তুমি আমার ছায়ায় হাটো, হাউজে কাউছার থেকে পান করো, সালসাবীল ঝর্ণার পানি দিয়ে গোসল করো এবং হিসাব ও শাস্তি ছাড়া জান্নাতে প্রবেশ করো। (তামহীদুল ফারশ ফিল মূজিবাতি লিজিল্লিল আরশ লিসসুয়ূতী)
- হযরত ইবনু মাসউদ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুলাল্লাহ (সাঃ) বলেছেন – যে ব্যক্তি ফজরের সালাত জামায়াতের সাথে আদায় করে স্বীয় জায়নামাজে বসে সূরা আন’আমের প্রথম ৩ আয়াত পাঠ করে, আল্লাহ তায়ালা তার জন্য ৭০ জন ফেরেশতা নিযুক্ত করেন যারা তার পক্ষে কিয়ামত পর্যন্ত তাসবীহ পাঠ করতে থাকে এবং ক্ষমা প্রার্থনা করতে থাকে। ফেরেশতাদের তাসবীহ তার আমলনামায় লেখা হবে। (দায়লামী শরীফ, ইবনুদ দুরাইস ফী ফাদাইলিল কুরআন)
সাইয়্যেদুল ইস্তিগফার (ফজর ও মাগরীব বাদ ১ বার)
আল্লা-হুম্মা আনতা রাব্বী লা ইলা-হা ইল্লা আনতা খালাক-তানী, ওয়া আনা আবদুকা ওয়া আনা আলা আহদিকা ওয়া ওয়া‘দিকা মাসতাতাতু। আউযুবিকা মিন শাররী মা ছানাতু। আবূউ লাকা বিনিমাতিকা আলাইয়া ওয়া আবূউ বিযাম্বী ফাগফিরলী ফাইন্নাহূ লা-ইয়াগফিরুয যুনূবা ইল্লা আনতা।
হে আল্লাহ! তুমি আমার পালনকর্তা। তুমি ব্যতীত কোন উপাস্য নেই। তুমি আমাকে সৃষ্টি করেছ। আমি তোমার দাস। আমি আমার সাধ্যমত তোমার নিকটে দেওয়া অঙ্গীকারে ও প্রতিশ্রুতিতে দৃঢ় আছি। আমি আমার কৃতকর্মের অনিষ্ট হ’তে তোমার নিকটে আশ্রয় প্রার্থনা করছি। আমি আমার উপরে তোমার দেওয়া অনুগ্রহকে স্বীকার করছি এবং আমি আমার গোনাহের স্বীকৃতি দিচ্ছি। অতএব তুমি আমাকে ক্ষমা কর। কেননা তুমি ব্যতীত পাপসমূহ ক্ষমা করার কেউ নেই।
- রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, ‘যে ব্যক্তি দৃঢ় বিশ্বাসের সাথে এই দো‘আ পাঠ করবে, দিনে পাঠ করে রাতে মারা গেলে কিংবা রাতে পাঠ করে দিনে মারা গেলে, সে জান্নাতী হবে’। (সহীহ বুখারি: ৬৩০৬, মিশকাত হা/২৩৩৫ ‘দো‘আ সমূহ’ অধ্যায়-৯, ‘ইস্তিগফার ও তওবা’ অনুচ্ছেদ-৪)
(৩ বার) আউযুবিল্লাহিস সামিয়িল আলিমি, মিনাশ শাইতানির রাজিম পড়ে সূরা হাশরের
শেষ ৩ আয়াত ১ বার
৫৯.২২।
হুয়াল্লাহুল্লাযি লা-ইলাহা ইল্লা হুয়া আলিমুল গাইবি ওয়াশ শাহাদাতি হুওয়ার
রাহমানুর রাহীম।
৫৯.২৩। হুয়াল্লাহুল্লাযি
লা-ইলাহা ইল্লা হুয়া আল-মালিকুল কুদ্দুসুস সালামুল মুমিনুল মুহাইমিনুল আযীযুল
জাব্বারুল মুতাকাব্বিরু, সুবহানাল্লাহি আম্মা ইউশরিকুন।
৫৯.২৪।
হুয়াল্লাহুল খালিকুল বারিউল মুছাওয়্যিরু লাহুল আসমাউল হুসনা, ইউসাব্বিহু লাহু মা
ফিস-সামাওয়াতি ওয়াল আরদ্ ওয়া হুয়াল আযীযুল হাকীম। (সুরা হাশর, আয়াত:২২- ২৪)
-
পাঠকারীর জন্য আল্লাহ তায়ালা ৭০ হাজার রহমতের ফেরেশতা নিযুক্ত করে
দিবেন। তাঁরা সন্ধ্যা পর্যন্ত পাঠকারীর জন্য রহমতের দু'আ করবে।
-
সেদিন পাঠকারী মারা গেলে শহিদের মৃত্যু হাসিল হবে।
-
যে ব্যক্তি সন্ধ্যায় এভাবে পাঠ করবে, সে-ও সকাল পর্যন্ত এই মর্তবা লাভ
করবে। (তিরমিজি: ২৯২২)
(৭ বার)
হাসবি আল্লাহু – লা
ইলাহা ইল্লাহু – আলাইহি তাওয়াক্কালতু – ওয়া হুয়া রাব্বুল আরশিল আজিম।
আল্লাহই আমার জন্য
যথেষ্ট, তিনি ব্যতীত আর কারো বন্দেগী নেই। আমি তাঁরই ভরসা করি এবং তিনিই মহান আরশের
অধিপতি। (সুরা তাওবা: ১২৯)
অথবা
(ফজর ও মাগরিবের পর ৭ বার, অন্য ওয়াক্তসমূহের পর ১ বার করে) সূরা তাওবার
শেষ ২ আয়াত
লাকাদ জা-আকুম রাসুলুম
মিন আন-ফুসিকুম আজিজুন আলাইহি মা-আনিত্তুম হারিছুন আলাইকুম বিল মুমিনীনা রাউফুর রাহীম।
ফাইন তাওয়াল্লাও ফাকুল হাসবি-আল্লাহু লা-ইলাহা ইল্লাহুয়া আলাইহি তাওয়াক্কালতু ওয়া হুয়া
রাব্বুল আরশিল আজীম। (সুরা
তাওবা: আয়াত ১২৮-১২৯)
১২৮- তোমাদের কাছে এসেছে তোমাদের মধ্য
থেকেই একজন রসূল। তোমাদের দুঃখ-কষ্ট তার পক্ষে দুঃসহ। তিনি তোমাদের মঙ্গলকামী, মুমিনদের
প্রতি স্নেহশীল, দয়াময়।
১২৯- এ সত্ত্বেও যদি তারা বিমুখ হয়ে
থাকে, তবে বলে দাও, আল্লাহই আমার জন্য যথেষ্ট, তিনি ব্যতীত আর কারো বন্দেগী নেই। আমি
তাঁরই ভরসা করি এবং তিনিই মহান আরশের অধিপতি।
- যে
ব্যক্তি সকাল-সন্ধ্যায় সূরা তাওবার শেষ দু-টি আয়াত সাতবার করে পাঠ করবে
আল্লাহতায়ালা তার সব কাজ সহজ করে দিবেন। (কুরতুবী)
- যে
ব্যক্তি প্রত্যেক নামাযের পর সূরা তাওবার শেষ দুটি আয়াত পড়বে আল্লাহর রহমতে সে
হাশরের দিন রসূলুল্লাহ (সাঃ) এর শাফায়াত পাবে।
(ফজর ও মাগরীবের পর ১০ বার দরূদ শরীফ)
আল্লাহুম্মা সাল্লি ওয়া সাল্লিম আলা নাবিয়্যানা মুহাম্মাদ
অথবা
আল্লাহুম্মা সাল্লিআলা মোহাম্মাদিও ওয়া আলা আলি মোহাম্মাদ, কামা সাল্লাইতা আলা ইব্রাহিমা ওয়া আলা আলি ইব্রাহিম, ইন্নাকা হামিদুম্মাজিদ। আল্লাহুম্মা বারিক আলা মোহাম্মাদিও ওয়া আলা আলি মোহাম্মাদ, কামা বারকতা আলা ইব্রাহিমা ওয়া আলা আলি ইব্রাহিম, ইন্নাকা হামিদুম মাজিদ।
- রাসূল (সাঃ) বলেছেন, “যে ব্যক্তি সকালে ১০ বার ও সন্ধায় ১০ বার আমার উপর দরূদ পড়বে, সে কিয়ামতের দিন আমার শাফা’আত লাভ করবে।“
(১০ বার)
সূরা ইখলাস
- পাঠকারীর জন্য আল্লাহ তা-য়ালার সন্তুস্টি ও ক্ষমা ওয়াজিব হয়ে যাবে। (ইবনুন নাজ্জার, জামি-উল আহাদিস)
(১ বার)
হে আল্লাহ, আমি আপনার কাছে চাচ্ছি কল্যাণকর জ্ঞান, কবুলকৃত কর্ম ও পবিত্র রিযিক।
(৩ বার)
রাদিতু বিল্লাহি রাব্বান ওয়াবিল ইসলামী দ্বিনান ওয়াবি মুহাম্মাদিন সাল্লাল্লাহু আলাইহী ওয়া সাল্লাম, রাসূলান ইয়া নাবিয়্যান।
- পাঠকারীকে রাসূল (সাঃ) হাত ধরে জান্নাতে প্রবেশ করাবেন
- কিয়ামতের দিন পাঠকারীকে সন্তুষ্ট করা আল্লাহর দায়িত্ব হয়ে যাবে। (তিরমিযী, আবু দাউদ)
- পাঠকারীর জন্য জান্নাত ওয়াজিব হয়ে যাবে। (আবু দাউদ, নাসায়ী)
(৩ বার)
সুবহানাল্লাহি ওয়া বিহামদিহি আদাদা খালকিহি; ওয়া রিদা-আ নাফসিহি; ওয়া যিনাতা আরশিহি; ওয়া মিদাদা কালিমাতিহি।
- ফজরের পর ৩ বার পড়লে ফজরের নামাজ যেখানে পড়েছে সেখানে বসে চাশতের সময় (অর্ধদিবস) পর্যন্ত ইবাদত - বন্দেগীতে লিপ্ত থাকার চেয়েও বেশি পরিমাণ সওয়াব লাভ করবে। (মুসলিম, হাদিস: ৬৮০৬)
(৩ বার)
আস্তাগফিরুল্লা-হাল্লাযী লা-ইলাহা ইল্লা হুয়্যাল হাইয়্যুল কাইয়্যুমু ওয়া আতুবু ইলাইহী।
- পাঠকারীকে ক্ষমা করা হবে। যদিও তার গুনাহ সমূদ্রের ফেনারাশি ও ‘আলিজ মরুভূমির বালুকণা এবং আকাশের তারকারাজির সমতূল্য হয়। এমনকি যুদ্ধের ময়দান থেকে পলায়ণকারী হলেও। (কানযুল উম্মাল, ইবনুস সুন্নী)
- দাঁড়ানোর পূর্বেই পাঠকারীকে ক্ষমা করা হবে। (নুযহাতুল মাজলিস)
(৩ বার)
আল্লাহুম্মা সাল্লি-আলা মুহাম্মাদিও ওয়া আলা আলিহী ওয়া সাল্লাম।
- দাঁড়ানোর পূর্বেই পাঠকারীকে ক্ষমা করা হবে
- জান্নাতে তার জন্য একটি প্রাসাদ নির্মাণ করা হবে (বাগাভী)
(৩ বার)
বিসমিল্লা-হিল্লাযী লা-ইয়াদুর্রু মা-আসমিহি শাইয়্যুন ফিল আরদি ওয়ালা ফিস-সামায়ি ওয়া হুয়াস-সামিউল আলিম।
- প্রতিদিন সকাল-সন্ধ্যায় যে ব্যক্তি এ দু‘আটি তিনবার পাঠ করবে কোন কিছুই তার কোন অনিষ্ট করতে পারবে না। (তিরমিজি, হাদিস নং ৩৩৮৮; ইবনু মাজাহ, হাদিস: ৩৮৬৯)
(৩ বার)
আল্লাহুম্মা আজিরনি মিনান্নার আদখিলনিল জান্নাতা, ওয়া জাওইযনী মিনাল হুরীল-ইনা (তাবরানী ফিল কাবীর)
(৩ বার) আস্তাগফিরুল্লাহ
(১ বার) আল্লাহুম্মা আন্তাস সালামু ওয়া মিনকাস সালামু তাবারাক্তা ইয়া জাজ-জালজালালি ওয়াল ইকরাম
(৩ বার) আসসালাতু ওয়া সাল্লামু আলাইকা ইয়া রাসুলাল্লাহ
- ১ বার সালাম জানালেই আল্লাহ তায়ালা তার উপর ১০ বার সালাম পাঠান। (নাসায়ী শরীফ)
- কেউ সালাম দিলে রাসুলাল্লাহ (সাঃ) তার সালামের জবাব প্রদান করেন। (আবু দাউদ শরীফ)
(৩ বার)
সুবহানাল্লাহিল আজিমি ওয়া বিহামদি ওয়া লা-হাওলা ওয়া ওয়ালা কুউয়্যাতা ইল্লা বিল্লাহিল আলিইয়্যিল আজীম।
- পাঠকারী নিষ্পাপ অবস্থায় দাঁড়াবে (অর্থাৎ - সে চলে যাওয়ার সময় তার আর কোন গুনাহ বাকী থাকবে না)। (ইবনে সুন্নী, জামি-উল আহাদীস)
(৩ বার সূরা তালাক ২-৩) দারিদ্রতা দূর করার জন্য
ওয়া মাই-ইয়াত্তাকিল্লাহা ইয়াজ আল্লাহু মাখরাজা। ওয়া ইয়ার যুকহু মিন হাইসু লা ইয়াহ তাসিব। ওয়া মান ইয়া তাওয়াক্কাল আলাল্লাহি ফাহু ওয়া হাসবুহু ইন্নাল্লাহা বালিগু আমরিহি কাদযায়াল্লাহু লিকুল্লি শাইয়িন কাদীর।
আর যে আল্লাহ তায়ালাকে ভয় করে, আল্লাহ তায়ালা তার জন্য (সমস্যা থেকে উদ্ধার পাওয়ার) কোন না কোন পথ বের করে দিবেন। এবং তাকে ওই স্থান থেকে জীবিকা দেবেন, যেখানে তার কল্পনাও থাকে না এবং যে আল্লাহর উপর ভরসা করে, তবে তিনি তার জন্য যথেষ্ট। নিশ্চয় আল্লাহ তার কাজ পরিপূর্ণকারী। নিশ্চয় আল্লাহ তায়াল প্রত্যেক বস্তুর একটা নির্দিষ্ট পরিমাণ রেখেছেন। (সূরা-ত্বালাকঃ ২-৩)
(৩ বার) (ঋণ মুক্তির দোয়া)
আল্লাহুম্মা ইন্নি আউযুবিকা মিনাল হাম্মি ওয়াল্ হুযনি, ওয়া আউযুবিকা মিনাল আজযি ওয়াল কাসালি ওয়া আউযুবিকা মিনাল জুবনি ওয়াল বুখলি, ওয়া আউযুবিকা মিন গালাবাতিদ-দায়নি ওয়া কাহ্রির রিজাল।
- সকাল-সন্ধায় উপরোক্ত দু'আটি পড়লে আল্লাহ দুশ্চিন্তা দূরীভূত করবেন এবং কর্জ পরিশোধের ব্যবস্থা করবেন।
(৩ বার)
সুবহানাল্লাহিল আজীমি ওয়া বিহামদিহী ওয়ালা হাওলা ওয়ালা কুয়্যাতা ইল্লা বিল্লাহ।
- পাঠকারী ৩ টি বিপদ হতে নাজাত পাবে –
(১) অন্ধ হবে না
(২) কুস্টহগ্রস্ত হবে না
(৩) প্যারালাইসিসগ্রস্ত হবে না।
(৩ বার)
সুবহানা রাব্বীকা রাব্বীল ইজ্জাতি আম্মা ইয়াছিফুন। ওয়া সালামুন আলাল মুরসালীন। ওয়াল হামদুলিল্লাহী রাব্বীল আলামীন।
- পাঠকারী লিয়ামতের দিন পরিপূর্ণ পাত্রে প্রতিদান প্রাপ্ত হবে। (নুযহাতুল মাজলিস)
(১ বার)
লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা-শারিকা লাহুল মুলকু ওয়া লাহুল হামদু ওয়া হুয়া আলা কুল্লি শাইয়্যিন কাদীর। আল্লাহুম্মা লা-মানিয়া লিমা আতাইতা ওয়ালা মুতিয়া লিমা মানাতা ওয়ালা ইয়ানুফাউ জাল-জাদ্দি মিনকাল জাদ্দু। (সুন্নাত – বুখারী ও মুসলিম শরীফ)
(১ বার) (ফজর ও মাগরীবের পর)
সূরা ফাতিহা
+
কুল্লিহী আল্লাহুম্মা ইন্নী উকাদ্দীমু ইলাইকা জালিকা
+
আয়াতুল কুরসী
- কিয়ামত পর্যন্ত পাঠকারীর পক্ষে প্রতি ঘন্টায় ৭ কোটি সৎকাজ উত্তোলন করা হবে
- এবং ফেরেশতারা (সৎকাজ লেখায়) ব্যস্ত থাকবে। (কানযুল ‘উম্মুল)
সূরা মু-মিন এর প্রথম ৩ আয়াত + আয়াতুল কুরসী
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম।
৪০.১ হা-মীম।
৪০.২। তানযীলুল কিতা-বি মিনাল্লা-হিল আযীযিল আলীম।
৪০.৩। গা-ফিরিয যাম্বি ওয়া কাবিলিত তাওবি শাদীদিল ইকা-বি যিত তাওলি লা-ইলাহা ইল্লা হুওয়া ইলাইহিল মাছীর।
+
(আয়াতুল কুরসী)
- পাঠকারীকে এ দুটির মাধ্যমে সন্ধ্যা পর্যন্ত হেফাজত করা হবে। আর যে ব্যক্তি সন্ধ্যায় পাঠ করবে, তাকে সকাল পর্যন্ত হেফাজত করা হবে। (তিরমিযী শরীফ)
সুরা ফাতিহা
+
আয়াতুল কুরসী
+
আশহাদু আল্লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহ্দাহু লা শারীকালাহু, ওয়া আশহাদু আন্না মুহাম্মাদান আবদুহু ওয়া রাসূলুহু
+ ওয়া আনা আশহাদু বিমা শাহিদাল্লাহু বিহী লিনাফসিহী ওয়া আসতাওদি-উল্লাহা হাযিহিশ শাহাদাতা ওয়াহিয়ালী ইন্দাল্লাহি তায়ালা ওয়াদিয়াহ
+ ওয়া ইন্না আলা যালিকা লামিনাশ শাহিদীন
+ তাবা-রাকাল্লাজি বিয়াদিহিল মূলকু ওয়া হুওয়া ‘আলা-কুল্লি শাইয়িন কাদির
+ সূরা ইখলাস
- আল্লাহ তা-য়ালা পাঠকারীকে ক্ষমা করে দেবেন
- জান্নাতুল ফিরদাউসে জায়গা দিবেন
- প্রতিদিন ৭০ বার তার দিকে দৃস্টি দিবেন
- প্রতিদিন তার ৭০টি প্রয়োজন পূরণ করবেন যার মধ্যে সবচেয়ে ছোট প্রয়োজনটি হচ্ছে – ক্ষমা
- তাকে প্রত্যেক শত্রু থেকে আশ্রয় দিবেন এবং তাকে সাহায্য করবেন
- ৭০ হাজার ফেরেশতা তার জন্য কিয়ামত পর্যন্ত ক্ষজমা প্রার্থনা করবে। (নুযহাতুল মাজলিস)
- সাথে সূরা ইখলাস ১ বার পাঠ করলে মৃত্যু ব্যতীত জান্নাতে প্রবেশ করতে কিছুই বাধা দিবে না। (তাবরানী)
[(১ বার) সূরা বনী ইসরাইলঃ ১১১]
ওয়া কুলিল হামদুলিল্লা-হিল্লাযী লাম ইয়াত্তাখিজু ওয়ালাদাও ওয়া লাম ইয়াকুল্লাহু শারিকুন ফিল মুলকি ওয়া লাম ইয়া কুল্লাহু ওয়াল্লিয়্যুম মিনাজ জুল্লি ওয়া কাব্বিরহু তাকবীর।
বলুন সকল প্রশংসা একমাত্র আল্লাহর, যিনি কোন সন্তান গ্রহণ করেন নি, সার্বভৌমত্তে তাঁর কোন শরীক নেই, তাঁর কোন দুর্বলতা নেই, যার কারনে তাঁর কোন অভিভাবক থাকতে পারে, আর তাঁরই মহত্ত ঘোষণা করুন।
- পাঠকারী ৭ আসমান, ৭ জমীন ও এগুলোর মধ্যবর্তী সকলকিছু এবং এগুলোর নীচে যা রয়েছে তার সমান প্রতিদান লাভ করবে। (নুযহাতুল মাজলিস)
(১ বার) সূরা কদর
(বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম)
৯৭.১। ইন্না-আনঝালনাহু ফী লাইলাতিল কাদর। ৯৭.২। ওয়ামা-আদরা-কা-মা-লাইলাতুল কাদর। ৯৭.৩। লাইলাতুল কাদরি খাইরুম মিন আলফি শাহর। ৯৭.৪। তানাঝঝালুল মালাইকাতু-ওয়াররুহু ফীহা-বিইযনি রাব্বিহিম মিন কুল্লি আমর। ৯৭.৫। ছালা-মুন হিয়া হাত্তা-মাতলা‘ইল ফাজর।
- পাঠকারীর কবরে, মীযানে এবং পুলসিরাতে মহান আল্লাহ তায়ালা নূর দিবেন। (নুযহাতুল মাজলিস)
(১০০ বার)
হুয়াল হাইয়ুল কাইয়ুম
(১০০ বার)
সুবহানাল্লাহী ওয়া বিহামদিহী
- পাঠকারী বিনা হিসাবে জান্নাতে প্রবেশ করবে, (মুজিবাতুল জান্নাহ; হাদীস নং-২৮১)
- এটি ফেরেশতাদের তাসবীহ। রাসুল সা. বলেন, যে ব্যক্তি দৈনিক ১০০ বার তাসবিহটি পাঠ করবে তাঁর পাপগুলো মুছে ফেলা হবে, যদিও তা সমুদ্রের ফেনারাশির সমান হয়ে থাকে। (বুখারি, হাদিস: ৬৪০৫)
- এ তাসবীহ পাঠে এত অধিক নেকী লাভ হয় যে, হাশর ময়দানে কেউ তারমত নেকী হাজির করতে পারবে না - যে ব্যক্তি তার সমান ও তাসবীহ পড়েছে, সে ছাড়া।
(৭০ বার)
সুবহানাল্লাহী ওয়া বিহামদিহী ওয়া আস্তাগফিরুল্লাহ
- ফজরের ফরজ সালাতের পর ৭০ বার পাঠ করলে ৭০০ বারের সমান হবে এবং ৭০০ গুনাহ ক্ষমা করা হবে। (দৈনিক কেউ ৭০০ গুনাহ করে না)। (কানযুল ‘উম্মাল)
(৭ বার)
আল্লাহুম্মা আন্তা খালাকতানী, ওয়া আন্তা তাহদিনী, ওয়া আন্তা তুত-ইমুনী, ওয়া আন্তা তাসকিনি, ওয়া আন্তা তুমিতুনি, ওয়া আন্তা তুহ-ইনী।
- পাঠকারী যা চাইবে, তাই পাবে। [আত তারগীব ওয়াত তারহীব]
(১ বার)
লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়া সুবহানাল্লাহ
- পাঠকারীর গুনাহগুলো ক্ষমা করা হবে। [দায়লামী, জামিউল আহাদীস]
(১ বার)
লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু আদাদা রিদাহু। লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু জিনাতা আরশিহী। লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু আদাদা মালা-ইকাতিহী। লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু আদাদা খালকিহী। লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু মিল-আ ছামাওয়াতিহী। লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু মিল-আ আরদিহী। লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু মিল-আ মা বাইনাহুমা।
- সকালে ৭ হাজার তাসবীহ পাঠ করার চেয়ে সহজ এবং মীযানের পাল্লায় ৭ হাজার তাসবীহ পাঠ করার চেয়ে ভারী হবে। ফেরেশতাহগণ এবং জমীনবাসী এর ছওয়াব পরিমাপ করতে পারে না। [দায়লামী, কানযুল উম্মাল]
(১ বার)
আউযুবিল্লাহিস সামিয়িল আলিমি, মিনাশ শাইতানির রাজিম
- সকালে পড়লে সন্ধ্যা পর্যন্ত শয়তান থেকে রক্ষা করা হবে। [ইবনুস সুন্নী, কানযুল উম্মাল]
(১ বার)
আল্লাহুম্মা রাব্বা মুহাম্মাদিন সাল্লি আলা মুহাম্মাদিও ওয়া আলা আলি মুহাম্মাদিও ওয়া আযজি মুহাম্মাদ্দান সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামা মা হুওয়া আহলাহু।
- পাঠকারীর জন্য তার আমল লেখক ফেরশতাদ্বয় ১০০০ দিবস পর্যন্ত এর ছওয়াব লিখতে লিখতে ক্লান্ত হয়ে পড়ে। [তাবরানী ফিল কাবীর]
(৩ বার)
আল্লাহুম্মা সাল্লি আলা সাইয়্যিদিনা মুহাম্মাদিন ফি আও-ওয়ালি কালা মিনা ওয়া সাল্লি আলা সাইয়্যিদিনা মুহাম্মাদিন ফি আওছাতি কালা মিনা ওয়া সাল্লি আলা সাইয়্যিদিনা মুহাম্মাদিন ফি আখিরী কালা মিনা।
- পাঠকারী সার্বক্ষণিক দরূদ শরীফ পাঠের ছওয়াব লাভ করবে। [জারিয়াতুল উসুল]
(১ বার)
আল্লাহুম্মা সাল্লি আলা সাইয়্যিদিনা মুহাম্মাদিন ফিল আও-ওয়ালিনা ওয়া সাল্লি আলা সাইয়্যিদিনা মুহাম্মাদিন ফিল আখিরিনা ওয়া সাল্লি আলা সাইয়্যিদিনা মুহাম্মাদিন ফিন-নাবিয়্যিনা ওয়া সাল্লি আলা সাইয়্যিদিনা মুহাম্মাদিন ফিল মুরসালিনা ওয়া সাল্লি আলা সাইয়্যিদিনা মুহাম্মাদিন ফিল মালাইল আ’লা ইলা ইয়াউমিদ্দীন। আল্লাহুম্মা আতি সাইয়্যিদিনা মুহাম্মাদান ওয়াছিলাত ওয়াল ফাজিলাত, ওয়াস সারাফা ওয়াদ্দারাজাতার রাফিয়্যাত ওয়াব আছুহু মাকামাম মাহমুদান আল্লাহুম্মা ইন্নী আমানতু বি-মুহাম্মাদ্দিও ওয়া লাম আরাহু-ফালা তাহরিমনী ফিল জিনানি রুউ-ইয়াতাহু ওয়া রুজুকিনী সুহবাতাহু ওয়া তাওয়াফ-ফানি আ’লা মিল্লাতিহী ওয়াসকিনি মিন হাউদিহী মাশরাবান রাউ-ইয়ান ছাবিগান হানিয়ান লা মাজমাল বাদাহু আবাদান ইন্নাকা আলা কুল্লি শাইয়্যিন কাদীর। আল্লাহুম্মা কামা আমান্তু বি-মুহাম্মাদিও ওয়ালাম আরাহু ফালা তাহরিমনী ফিল জিনানি রু-উ-ইয়াতাহু।
- পাঠকারীর গুনাহ মুছে যাবে।
- সে সর্বদা সন্তুষ্ট থাকবে।
- তার দোয়া কবুল হবে।
- তার আশা-আকাংখা পূর্ণ হবে।
- সে শত্রুর উপর বিজয় লাভ করবে।
- তাকে সৎকাজের তাওফীক দেয়া হবে।
- জান্নাতে সে রাসূল্ললাহ (সাঃ) এর নৈকট্য লাভ করবে। (জজবুল কুলুব)
সূরা আত-তাগাবুন
(বিসমিল্লাহীর রাহমানির রাহিম)
১: ইউছাব্বিহু লিল্লা-হি মা ফিছ ছামাওয়াতি ওয়ামা-ফিল আরদি লাহুল মুলকু ওয়া লাহুল হামদু ওয়া হুওয়া আলা-কুল্লি শাইয়িন কাদীর।
২: হুওয়াল্লাযী খালাকাকুম ফামিনকুম কা-ফিরুও ওয়া মিনকুম মুমিনুন ওয়াল্লাহু বিমাতা মালূনা বাসীর।
৩: খালাকাছ ছামা-ওয়া-তি ওয়াল আরদ বিলহাক্কি ওয়াসাও ওয়ারাকুম ফাআহছানা সুওয়ারাকুম ওয়া ইলাইহিল মাসীর।
৪: ইয়া লামুমা-ফিছ ছামাওয়াতি ওয়াল আরদ ওয়া ইয়া লামুমা-তুছিররূনা ওয়া মাতুলিনূনা ওয়াল্লাহু আলীমুম বিযাতিস সুদূর।
৫: আলাম ইয়াতিকুম নাবাউল্লাযীনা কাফারূমিন কাবলু ফাযাকূ ওয়া বালা আমরিহিম ওয়া লাহুম আযাবুন আলীম।
৬: যালিকা বিআন্নাহূ কানাত তাতীহিম রুছুলুহুম বিলবাইয়িনাতি ফাকালূ আবাশারুই ইয়াহদূ নানা ফাকাফারূ ওয়াতাওল্লাও ওয়াছতাগনাল্লাহু ওয়াল্লাহু গানিইয়ুন হামিদ।
৭: ঝা-আমাল্লাযীনা কাফারূ আল্লাই ইউব-আছূ কুল বালা ওয়া রাববী লাতুব আছুন্না ছুম্মা লাতুনাব্বাউন্না বিমা আমিলতুম ওয়া যালিকা আলাল্লাহি ইয়াছীর।
৮: ফা আমিনূবিল্লাহি ওয়া রাছূলিহী ওয়ান্নূরিল্লাযী আনঝালনা ওয়াল্লাহু বিমাতা মালূনা খাবীর।
৯: ইয়াওমা ইয়াজমা উকুম লিইয়াওমিল জাম-ই যালিকা ইয়াও মুত্তাগাবুন ওয়া মাই ইউ-মিম বিল্লাহি ওয়া ইয়া মাল সালিহাই ইউ কাফফির আনহু ছাইয়ি আতিহী ওয়া ইউদখিলহু জান্নাতিন তাজরী মিন তাহতিহাল আনহারু খালিদীনা ফীহা আবাদা যালিকাল ফাওঝুল আজীম।
১০: ওয়াল্লাযীনা কাফারূ ওয়া কাযযাবূ বিআয়াতিনা উলাইকা আসহাবুন্নারি খালিদীনা ফীহা ওয়া বিছাল মাসীর।
১১: মা-আসাবা মিম মুসীবাতিন ইল্লা বিইযনিল্লাহি ওয়া মাই ইউ মিম বিল্লাহি ইয়াহদি কালবাহূ ওয়াল্লাহু বিকুল্লি শাইয়িন আলীম।
১২: ওয়া আতীউল্লাহা ওয়া আতীউর রাছূলা ফাইন তাওয়াল্লাইতুম ফাইন্নামা আলা রাছূলি নাল বালাগুল মুবীন।
১৩: আল্লাহু লা-ইলাহা ইল্লা হুওয়া ওয়া আলাল্লাহি ফাল ইয়াতা ওয়াক্কালিল মুমিনূন।
১৪: ইয়া আইয়ুহাল্লাযীনা আমানূ ইন্না মিন আঝওয়া জিকুম ওয়া আওলাদিকুম আদুও ওয়াল লাকুম ফাহযারূহুম ওয়া ইন তাফূওয়া তাসফাহূওয়া তাগফিরূ ফাইন্নাল্লাহা গাফূরুর রাহীম।
১৫: ইন্নামা আমওয়া লুকুম ওয়া আওলা দুকুম ফিতনাতুও ওয়াল্লাহু ইনদাহূ আজরুন আজীম।
১৬: ফাত্তাকুল্লাহা মাছতাতাতুম ওয়াছমাউ ওয়া আতীঊ ওয়া আনফিকূ খাইরাল লিআনফুছিকুম ওয়া মাই ইঊকা শুহহা নাফছিহী ফাউলাইকা হুমুল মুফলিহূন।
১৭: ইন তুকরিদুল্লাহা কারদান হাছানাই ইউদা-ইফহু লাকুম ওয়া ইয়াগ ফিরলাকুম ওয়াল্লাহু শাকূরুন হালীম।
১৮: আলিমুল গাইবি ওয়াশশাহাদাতিল আঝীঝুল হাকীম।
ফজর নামাযের পরে সূর্যোদয়ের আগে এই সূরা পাঠ করলে
- শত্রুপক্ষ পরাস্ত হয়।
- কঠিন থেকে কঠিনতর রোগের মুক্তি মেলে।
- জীবনের সকল মুশকিল থেকে মুক্তি মেলে।
সূরা ইয়াসীন
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম
৩৬.১. ইয়াসীন।
৩৬.২. ওয়াল কুরআনিল হাকিম।
৩৬.৩. ইন্নাকা লা-মিনাল মুরসালিন।
৩৬.৪. আলা সিরাতিম মুসতাকিম।
৩৬.৫. তানজিলাল আজিজির রাহিম।
৩৬.৬. লিতুনজিরা কাওমাম্মা উনজিরা আবা উহুম ফাহুম গাফিলুন।
৩৬.৭. লাকাদ হাক্কাল কাওলু আলা আকসারিহিম ফাহুম লা-ইউমিনুন।
৩৬.৮. ইন্না যা-আলনা ফি আনা কিহিম আগলালান ফাহিয়া ইলাল আজকানি ফাহুম মুকমাহুন।
৩৬.৯. ওয়া যা-আলনা মিম বাইনি আইদিহিম ছাদ্দাও ওয়া মিন খালফিহিম ছাদ্দান ফাআগশাইনা হুম ফাহুম লা-ইউবসিরুন।
৩৬.১০. ওয়া ছাওয়াউন আলাইহিম আ-আনযারতাহুম আম লাম তুনজিরহুম লা-ইউমিনুন।
৩৬.১১. ইন্নামা তুনজিরু মানিত্তাবা আজজিকরা ওয়া খাশিয়ার রাহমানা বিলগাইবি ফাবাশশিরহু বিমাগফিরাতিও ওয়া আজরিন কারিম।
৩৬.১২. ইন্না নাহনু-নুহয়িল মাওতা ওয়া নাকতুবু মা কাদ্দামু ওয়া আছা-রাহুম ওয়া কুল্লা শাইয়িন আহসাইনাহু ফি ইমামিম মুবিন।
৩৬.১৩. ওয়াদরিব লাহুম মাছালান আসহাবাল কারইয়াহ ইযজা-আহাল মুরছালুন।
৩৬.১৪. ইজ আরছালনা ইলাইলি মুছনাইনি ফাকাজযাবু হুমা ফা-আজঝাজনা বিছালিছিন ফাকালু ইন্না ইলাউকুম মুরছালুন।
৩৬.১৫. কালু মা আনতুম ইল্লা বাশারুম মিছলুনা ওয়ামা আনঝালার রাহমানু মিন শাইয়িন ইন আনতুম ইল্লা তাকজিবুন।
৩৬.১৬. কালু রাব্বুনা ইয়া লামু ইন্না ইলাইকুম লা মুরছালুন।
৩৬.১৭. ওয়ামা আলাইনা ইল্লাল বালাগুল মুবিন।
৩৬.১৮. কালু ইন্না তাতাইয়ারনা বিকুম লাইল্লাম তানতাহু লানার জুমান্নাকুম ওয়ালা ইয়ামাছ ছান্নাকুম মিন্না আজবুন আলিম।
৩৬.১৯. কালু তায়িরুকুম মা-আকুম আইন যুক্কিরতুম বাল আনতুম কাওমুম মুছরিফুন।
৩৬.২০. ওয়াযা আমিন আকসাল মাদিনাতি রাজুলুই ইয়াছ আকালা ইয়া কাওমিত্তাবিউল মুরছালিন।
৩৬.২১. ইত্তাবিঊ মাল্লা-ইয়াছ আলুকুম আজরাও ওয়া হুম মুহতাদুন।
৩৬.২২. ওয়া মা-লিয়া লা-আবুদুল্লাজি ফাতারানি ওয়া ইলাইহি তুরযাউন।
৩৬.২৩. আ-আত্তাখিজু মিন দুনিহী আলিহাতান ইয়্যুরিদনির রাহমানু বিদুররিল লা-তুগনি আন্নি শাফা আতুহুম শাইআও ওয়ালা ইউনকিজুন।
৩৬.২৪. ইন্নি ইযাল্লাফি দালালিম মুবিন।
৩৬.২৫. ইন্নি আ-মানতু বিরাব্বিকুম ফাছমা ঊন।
৩৬.২৬. কিলাদ খুলিল জান্নাতা কা-লা ইয়া-লাইতা কাওমি ইয়া‘লামুন।
৩৬.২৭. বিমা-গাফারালি রাববি ওয়া যা‘আলানি মিনাল মুকরামিন।
৩৬.২৮. ওয়ামা-আনঝালনা আলা-কাওমিহি মিম বা‘দিহি মিন জুনদিম মিনাছ-ছামায়ী-ওয়ামা-কুন্না মুনজিলিন।
৩৬.২৯. ইন কানাত ইল্লা-সাইহাতাও ওয়া-হিদাতান ফাইযাহুম খা-মিদুন।
৩৬.৩০. ইয়া-হাছরাতান আলাল ইবাদি মা-ইয়া-তীহিম মির রাসুলিন ইল্লা-কানু বিহি ইয়াছতাহঝিউন।
৩৬.৩১. আলাম ইয়ারাও কাম আহলাক-না কাবলাহুম মিনাল কুরুনি আন্নাহুম ইলাইহিম লা-ইয়ারজি‘উন।
৩৬.৩২. ওয়া-ইন কুল্লুল-লাম্মা যামি‘উল লাদাইনা মুহদারুন।
৩৬.৩৩. ওয়া আয়াতুল্লাহুমুল আরদুল মাইতাতু আহ ইয়াইনাহা ওয়া আখরাজনা মিনহা হাব্বান ফামিনহু ইয়া কুলুন।
৩৬.৩৪. ওয়া যা-আলনা ফিহা জান্নাতিম মিন নাখিলিও ওয়া আ‘নাবিও ওয়া ফাজ্জারনা ফিহা মিনাল উইয়ুন।
৩৬.৩৫. লিয়াকুলু মিন ছামারিহি ওয়ামা আমিলাত-হু আইদিহিম আফালা ইয়াশকুরুন।
৩৬.৩৬. সুবহানাল্লাজি খালাকাল আঝ-ওয়াযা কুল্লাহা মিম্মা তুমবিতুল আরদু ওয়ামিন আনফুছিহিম ওয়া মিম্মা লা-ইয়া‘লামুন।
৩৬.৩৭. ওয়া আয়াতুল লাাহুমুল লাইলু নাছলাখু মিনহুন নাহারা ফাইযাহুম মুজলিমুন।
৩৬.৩৮. ওয়াশ-শামছু তাজরি লিমুছতাকার-রিল লাহা যালিকা তাকদিরুল আজিজিল আলিম।
৩৬.৩৯. ওয়াল কামারা কাদ্দারনাহু মানা-ঝিলা হাত্তা-আদা-কাল উরজুনিল কাদিম।
৩৬.৪০. লাশশামছু ইয়ামবাগি লাহা আন তুদরিকাল কামারা ওয়ালাল্লাইলু সাবিকুন্নাহারি ওয়া কুল্লুন ফি ফালাকিই ইয়াছবাহুন।
৩৬.৪১. ওয়া আয়াতুল্লাহুম আন্না হামালনা যুররি-আতাহুম ফিল ফুলকিল মাশহুন।
৩৬.৪২. ওয়া খালাকনা লাহুম মিম মিছলিহি মা ইয়ার-কাবুন।
৩৬.৪৩. ওয়া ইন্না-শা নুগরিকহুম ফালা ছারিখা লাহুম ওয়ালাহুম ইউনকাজুন।
৩৬.৪৪. ইল্লা রাহমাতাম মিন্না ওয়া মাতা-আন ইলাহিন।
৩৬.৪৫. ওয়াইযা কিলা লাহু মুত্তাকু মা-বাইনা আইদীকুম ওয়ামা খালফাকুম লা‘আল্লাকুম তুরহামুন।
৩৬.৪৬. ওয়ামা-তা-তিহিম মিন আয়াতিম মিন আয়াতি রাব্বিহিম ইল্লা-কানু আনহা মু‘রিদিন।
৩৬.৪৭. ওয়া ইযা-কিলা লাহুম আনফিকু মিম্মা-রাঝাকা-কুমুল্লাহু কা-লাল্লাজিনা কাফারু লিল্লাজিনা আমানু আনুত‘ইমু মাল্লাও ইয়াশা উল্লাহু আত‘আমাহু ইন আনতুম ইল্লা-ফি দালা-লিম মুবিন।
৩৬.৪৮. ওয়া ইয়াকুলুনা মাতা হা-যাল ওয়া‘দুইন কনতুম সা-দিকিন।
৩৬.৪৯. মা ইয়ানজুরুনা ইল্লা ছাইহাতাও ওয়া হিদাতান তা-খুজুহুম ইয়াখিস সিমুন।
৩৬.৫০. ফালা ইয়াছতাতি‘ঊনা তাওসিয়াতাও ওয়ালা ইলা আহলিহিম ইয়ারজিঊন।
৩৬.৫১. ওয়া নুফিখা ফিছছুরি ফাইযা-হুম মিনাল আজদা-ছি ইলা রাব্বিহিম ইয়ানসিলুন।
৩৬.৫২. কা-লু ইয়া ওয়াইলানা মাম বা‘আছানা মিম মারকাদিনা হা-যা মা ওয়া‘আদার রাহমানু ওয়া ছাদাকাল মুরছালুন।
৩৬.৫৩. ইন কা-নাত ইল্লা ছাইহাতাও ওয়া-হিদাতান ফাইযা-হুম জামী‘উল লাদাইনা মুহদারুন।
৩৬.৫৪. ফাল ইয়াওমা লা-তুজলামু নাফছুন শাইয়্যাও ওয়ালা তুজঝাওনা ইল্লা মা কুনতুম তা‘মালুন।
৩৬.৫৫. ইন্না আছহা-বাল জান্নাতিল ইয়াওমা ফি শুগুলিন ফা-কিহুন।
৩৬.৫৬. হুম ওয়া আঝওয়া-জুহুম ফি যিলা-লিন আলাল আরাইকি মুত্তাকিঊন।
৩৬.৫৭. লাহুম ফিহা ফাকিহাতুও ওয়ালাহুম মা ইয়াদ্দা‘ঊন।
৩৬.৫৮. সালা-মুন কাওলাম মির রাব্বির রাহিম।
৩৬.৫৯. ওয়াম তা-ঝুল ইয়াওমা আইয়ুহাল মুজরিমুন।
৩৬.৬০. আলাম আ‘হাদ ইলাইকুম ইয়াবানি আ-দামা আল্লা তা‘বুদুশ শাইতানা ইন্নাহু লাকুম আদুওউম মুবিন।
৩৬.৬১. ওয়া আনি‘বুদুনী হাযা-সিরাতুম মুসতাকিম।
৩৬.৬২. ওয়া-লাকাদ আদাল্লা মিনকুম জিবিল্লান কাছিরান আফালাম তাকুনু তা‘কিলুন।
৩৬.৬৩. হাযীহী জাহান্নামুল্লাতি কুনতুম তু‘আদুন।
৩৬.৬৪. ইছলাওহাল ইয়া ওমা বিমা কুনতুম তাকফুরুন।
৩৬.৬৫. আল-ইয়াওমা নাখতিমু আলা আফওয়া-হিহিম ওয়া তুকাল্লিমুনা আইদিহিম ওয়া তাশহাদু আরজুলুহুম বিমা কানু ইয়াকসিবুন।
৩৬.৬৬. ওয়ালাও নাশাউ-লাতামাছনা আলা আ-ইউনিহিম ফাছতাবাকুছ ছিরা-তা ফাআন্না ইউবসিরুন।
৩৬.৬৭. ওয়ালাও নাশাউ লামাছাখনাহুম আলা মাকা-নাতিহিম ফামাছতাতা-ঊ মুদিয়্যাও ওয়ালা ইয়ারজি-ঊন।
৩৬.৬৮. ওয়ামান্নু আম্মির-হু নুনাক্কিছহু ফিল খালকি আফালা ইয়া-কিলুন।
৩৬.৬৯. ওয়ামা আল্লামনা হুশশিরা ওয়ামা ইয়ামবাগী লাহু ইন হুওয়া ইল্লা যিকরুও ওয়া কুরআনুম মুবিন।
৩৬.৭০. লিয়ুনজিরা মান কা-না হাইয়্যাও ওয়া ইয়া-হিক্কাল কাওলু আলাল কাফিরীন।
৩৬.৭১. আওয়া লাম ইয়ারাও আন্না খালাকনা-লাহুম মিম্মা আমিলাত আইদিনা আন-আ-মান ফাহুম লাহা মালিকুন।
৩৬.৭২. ওয়া জাল্লালনা-হা লাহুম ফামিনহা রাকুবুহুম ওয়া মিনহা ইয়া-কুলুন।
৩৬.৭৩. ওয়া লাহুম ফিহা মানা-ফি‘উ ওয়া মাশারিবু আফালা ইয়াশকুরুন।
৩৬.৭৪. ওয়াত্তা-খাজু মিন দুনিল্লাহি আলিহাতাল লা‘আল্লাহুম ইউনসারুন।
৩৬.৭৫. লা-ইয়াছ-তাতী‘ঊনা নাসরাহুম ওয়াহুম লাহুম জুনদুম মুহদারুন।
৩৬.৭৬. ফালা ইয়াহ-ঝুনকা কাওলুহুম; ইন্না না‘লামুমা ইউছিররূনা ওয়ামা ইউ‘লিনুন।
৩৬.৭৭. আওয়ালাম ইয়ারাল ইনছানু আন্না খালাকনা-হু মিন নুতফাতিন ফাইযা হুওয়া খাসিমুম মুবিন।
৩৬.৭৮. ওয়া দারাবা লানা মাছালাও ওয়া নাছিয়া খালকাহু কালা মাই ইউহয়্যিল ইযামা ওয়া হিয়া রামীম।
৩৬.৭৯. কুল ইউহয়্যি হাল্লাজি আনশা-আহা আওয়ালা মাররাতিও ওয়া হুয়া বিকুল্লি খালকিন আলিমু।
৩৬.৮০. আল্লাজি জা‘আলা লাকুম মিনাশ শাজারিল আখদারি না-রান ফাইজা আনতুম মিনহু তুকিদুন।
৩৬.৮১. আওয়া লাইসাল্লাজি খালাকাস-সামাওয়াতি ওয়াল আরদা বিকা-দিরিন আলা আই ইয়াখলুকা মিছলাহুম বালা ওয়া হুওয়াল খাল্লাকুল আলিম।
৩৬.৮২. ইন্নামা আমরুহু ইযা আরাদা শাইআন আই ইয়াকুলা লাহু কুন ফাইয়াকুন।
৩৬.৮৩. ফাসবুহা-নাল্লাজি বিয়াদিহি মালাকুতু কুল্লি শাইয়্যিও ওয়া ইলাইহি তুরজা‘ঊন।
- সূরা ইয়াছিন একবার পাঠ করলে ১০বার কোরআন খতম করার নেকী হয় এবং পাঠকের সব গুনাহ মাফ হয়।
- রাতে সূরা ইয়াছিন পাঠ করলে নিস্পাপ অবস্থায় ঘুম থেকে উঠা যায় এবং পূর্বের গুনাহ মাফ হয়ে যায়।
- যে ব্যক্তি সূরা ইয়াছিন বেশি বেশি পড়ে থাকে কেয়ামতের দিন এই সূরাই তার জন্য আল্লাহর দরবারে সুপারিশ করবে।
- যে ব্যক্তি নিয়মিত সূরা ইয়াছিন পাঠ করবে তার জন্য জান্নাতের আটটি দরজা খোলা থাকবে।
- যে ব্যক্তি দিনের বেলায় সুরা ইয়াসিন তেলাওয়াত করবে, তার সব হাজত (প্রয়োজন) পূর্ণ করা হবে। (দারেমি)
- যে ব্যক্তি প্রতি রাতে ইয়াসিন পাঠ করতে থাকে এবং তারপর মারা যায়, সে শহীদ হিসাবে মৃত্যুবরণ করবে।
- মৃত্যু পথযাত্রী ব্যক্তির কাছে সূরা ইয়াসিন পাঠ করলে তার মৃত্যু যন্ত্রণা সহজ হয়ে যায়। (মাজহারি)।
- যদি কোনো মুসলমানের মৃত্যুর সময় হয়, আর সে সময় তার পাশে কেউ সূরা ইয়াসিন পাঠ করে, তবে বেহেশত থেকে রেদওয়ান ফেরেশতা জান্নাতের সুসংবাদ না দেয়া পর্যন্ত রূহ কবজকারী ফেরেশতা (মালাকুল মাউত) ওই ব্যক্তির রূহ কবজ করেন না। রূহ কবজের সঙ্গে সঙ্গে ওই ব্যক্তি অবস্থান হয় রাইয়্যান নামক জান্নাতে।
- যদি কোনো ব্যক্তি অভাব-অনটনের সময় সূরা ইয়াসিন পাঠ করে তাহলে তার অভাব দূর হয়, সংসারে শান্তি ও রিজিকে বরকত লাভ হয়। (মাজহারি)।
- যে ব্যক্তি সকালে সূরা ইয়াসিন পাঠ করবে সে সন্ধ্যা পর্যন্ত সুখে-শান্তিতে থাকবে। যে সন্ধ্যায় পাঠ করবে সে সকাল পর্যন্ত শান্তিতে থাকবে (মাজহারি)।
- যে ব্যক্তি আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে সুরা ইয়াসিন তেলাওয়াত করবে আল্লাহ তাআলা তার বিগত জীবনের সব গোনাহ ক্ষমা করে দেবেন।- (বায়হাকি,আবু দাউদ)
- এ সুরা কেয়ামতের দিন অধিক সংখ্যক মানুষের জন্য সুপারিশকারী হবে আর আল্লাহ তাআলা তা অবশ্যই কবুল করবেন।
প্রয়োজন মেটানোর জন্য সূরা ইয়াসিনের গোপনীয়তা:
সূরা ইয়াসিনে সাতটি আয়াত রয়েছে, যার শেষটি হল «مبين» শব্দটি। এই সূরায় প্রয়োজন পূরণের জন্য চারটি পদ্ধতি রয়েছে।
প্রথম পদ্ধতি হলো পাঠ করা, পুরো সূরাটি পড়ুন, তারপর এর পরে দোয়া করুন।
দ্বিতীয় পদ্ধতি হলো যে আয়াতে «مبين» শব্দটি রয়েছে সেই সাতটি আয়াত কে পুনরাবৃত্তি করা।
তৃতীয় পদ্ধতি কোরান পাঠ করার সময় কেবলমাত্র «مبين» শব্দটি পুনরাবৃত্তি করা।
চতুর্থ পদ্ধতি হল «مبين» শব্দটি যে আয়াতে উল্লেখ করা হয়েছে সেখানে পৌঁছানোর সময় দুআ করা।
১ লক্ষ বার দরূদ শরীফ পাঠের ছওয়াবঃ (দরূদে লাখী)
(বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম)
আল্লাহুম্মা সাল্লি ওয়া সাল্লিম আলা সাইয়্যিদিনা ওয়া মাওলানা মুহাম্মাদিও ওয়া আলা আলি সাইয়্যিদিনা মুহাম্মাদিন বি-আদাদি রাহমাতিল্লাহ, আল্লাহুম্মা সাল্লি ওয়া সাল্লিম আলা সাইয়্যিদিনা ওয়া মাওলানা মুহাম্মাদিও ওয়া আলা আলি সাইয়্যিদিনা মুহাম্মাদিন বি-আদাদি ফাদলিল্লাহ, আল্লাহুম্মা সাল্লি ওয়া সাল্লিম আলা সাইয়্যিদিনা ওয়া মাওলানা মুহাম্মাদিও ওয়া আলা আলি সাইয়্যিদিনা মুহাম্মাদিন বি-আদাদি খালকিল্লাহ, আল্লাহুম্মা সাল্লি ওয়া সাল্লিম আলা সাইয়্যিদিনা ওয়া মাওলানা মুহাম্মাদিও ওয়া আলা আলি সাইয়্যিদিনা মুহাম্মাদিন বি-আদাদি ইলমিল্লাহ, আল্লাহুম্মা সাল্লি ওয়া সাল্লিম আলা সাইয়্যিদিনা ওয়া মাওলানা মুহাম্মাদিও ওয়া আলা আলি সাইয়্যিদিনা মুহাম্মাদিন বি-আদাদি কালিমাতিল্লাহ, আল্লাহুম্মা সাল্লি ওয়া সাল্লিম আলা সাইয়্যিদিনা ওয়া মাওলানা মুহাম্মাদিও ওয়া আলা আলি সাইয়্যিদিনা মুহাম্মাদিন বি-আদাদি কারামিল্লাহ, আল্লাহুম্মা সাল্লি ওয়া সাল্লিম আলা সাইয়্যিদিনা ওয়া মাওলানা মুহাম্মাদিও ওয়া আলা আলি সাইয়্যিদিনা মুহাম্মাদিন বি-আদাদি হুরূফি কালামিল্লাহ, আল্লাহুম্মা সাল্লি ওয়া সাল্লিম আলা সাইয়্যিদিনা ওয়া মাওলানা মুহাম্মাদিও ওয়া আলা আলি সাইয়্যিদিনা মুহাম্মাদিন বি-আদাদি কাতারাতিল আমতারি, আল্লাহুম্মা সাল্লি ওয়া সাল্লিম আলা সাইয়্যিদিনা ওয়া মাওলানা মুহাম্মাদিও ওয়া আলা আলি সাইয়্যিদিনা মুহাম্মাদিন বি-আদাদি আওরাকিল আশজারি, আল্লাহুম্মা সাল্লি ওয়া সাল্লিম আলা সাইয়্যিদিনা ওয়া মাওলানা মুহাম্মাদিও ওয়া আলা আলি সাইয়্যিদিনা মুহাম্মাদিন বি-আদাদি রমরিল কিফারি, আল্লাহুম্মা সাল্লি ওয়া সাল্লিম আলা সাইয়্যিদিনা ওয়া মাওলানা মুহাম্মাদিও ওয়া আলা আলি সাইয়্যিদিনা মুহাম্মাদিন বি-আদাদি মা খুলিকা ফিল বিহারি, আল্লাহুম্মা সাল্লি ওয়া সাল্লিম আলা সাইয়্যিদিনা ওয়া মাওলানা মুহাম্মাদিও ওয়া আলা আলি সাইয়্যিদিনা মুহাম্মাদিন বি-আদাদিল হুবুবি ওয়াছ ছিমারি, আল্লাহুম্মা সাল্লি ওয়া সাল্লিম আলা সাইয়্যিদিনা ওয়া মাওলানা মুহাম্মাদিও ওয়া আলা আলি সাইয়্যিদিনা মুহাম্মাদিন বি-আদাদিল লাইলি ওয়ান নাহারি, সাইয়্যিদিনা ওয়া মাওলানা মুহাম্মাদিও ওয়া আলা আলিহী ওয়া আসহাবিহী ওয়া আজ-ওয়াজিহী ওয়া জুররিয়্যাতিহী ওয়া আহলি বাইতিহী ওয়া আহলি তা-আতিকা আজমাঈনা মিন আহলিস সামাওয়াতি ওয়াল আরদীনা বিরাহমাতিকা ইয়া আরহামার রাহিমীন, ওয়া ইয়া আকরামাল আকরামীনা ওয়া সাল্লাল্লাহু তা-আলা আলা সায়্যিদিনা মুহাম্মাদিও ওয়া আলিহী ওয়া আসহাবিহী আজমাঈন, ওয়া সাল্লামা তাসলিমান দাইমান আবাদান কাছীরাও ওয়াল হামদুলিল্লাহি রাব্বিল আলামীন।
- দৈনিক ফজর নামাজের পর মাত্র ১ বার পড়লে ১ লক্ষ বার দরূদ শরীফ পাঠ করার ছওয়াব হবে।
- নিয়মিত পাঠাকারী ব্যক্তি কিয়ামতের ময়দানে সকল প্রকার অস্থিরতা থেকে রক্ষা পাবে।
(১১ বার) দুরূদে নারিয়া
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম। আল্লাহুম্মা সাল্লি সালাতান কামিলাতান ওয়া সাল্লিম সালামান তাম্মান আলা সাইয়্যিদিনা মুহাম্মাদি-নিল্লাযী তানহাল্লু বিহীল উকাদু ওয়া তানফারিজু বিহীল কুরাবু। ওয়া তুকদা-বিহীল হাওয়ায়িজু ওয়া তুনালু বিহীর রাগায়িবু। ওয়া হুসনুল খওয়াতিমু ওয়া ইউসতাস-কাল গামামু বিওয়াজ-হিহিল কারীম। ওয়া আলা আলিহী ওয়া আসহাবিহী ফী কুল্লি লাহমাতিও ওয়া নাফসিম বি আ’দাদি কুল্লি মালু মিল্লাকা।
- প্রত্যেহ ফজর ও আসর নামাজের পর ১১ বার পাঠ করলে আল্লাহর মেহেরবাণীতে তার সর্বাধিক মংগল সাধিত হবে।
- বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে তাহাজ্জুদ নামাজের পর দরূদে নারিয়া ২৭ বার পড়ে দোয়া করলে আল্লাহ তায়ালা দোয়া কবুল করেন।
No comments