সাম্প্রতিক পোষ্ট

প্রতি ওয়াক্ত ফরজ নামাজের পরের আমল (ফজিলতসহ)

 

প্রতি ওয়াক্ত ফরজ নামাজের পরের আমল

হাতে সময় কম থাকলে -

︎ ফরজ নামাজে সালাম ফিরিয়ে পড়বেনঃ

[১] (১ বার) আল্লাহু আকবার

[২] (৩ বার) আসতাগফিরুল্লাহ্

[৩] (১ বার) আয়াতুল কুরসি

[৪] (৩ বার) সুবহানাল্লাহি ওয়া'বিহামদিহী সুবহানাল্লাহিল আজীম

[৫] (৩ বার) লা হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ্

[৬] (৩ বার) আল্লাহুম্মা আনতাস সালাম ওয়া মিনকাস সালাম তাবারকতা ইয়া যাল-জালালি ওয়াল ইকরম

[৭] (৭ বার) আল্লাহুম্মা আজিরনি মিনান্নার

[৮] (৭ বার) আল্লাহুম্মা ইন্নি আস-আলুকা রিদ্বকা ওয়াল জান্নাহ্

[৯] (৭ বার) আল্লাহুম্মা ইন্নি আস-আলুকাল জান্নাতা ওয়া আ'উযুবিকা মিনান্-নার

[১০] (৩ বার) বিসমিল্লাহিল্লাযী লা-ইয়াদুররু মা'আসমিহী শাইউন ফিল আরদ, ওয়ালা ফিস-সামায়ী, ওয়া হুয়াস সামীউল আলীম

[১১] (৩ বার) বিসমিল্লাহি তায়াক্কালতু আলা'ল্লাহী লা-হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ্

[১২] (৩ বার) রব্বি ইন্নি যলামতু নাফছি ফাগফিরলী

[১৩] (৩ বার) আল্লাহুম্মা আ-ইন্নি আলা জিকরিকা, ওয়া শুকরিকা, ওয়া হুসনি ইবাদাতিকা।

[১৪] (৩ বার) লা-ইলাহা ইল্লা আনতা সুবহানাকা ইন্নি কুনতু মিনাজ যোয়ালিমিন

[১৫] হাসবুনাল্লাহু ওয়া নি'মাল ওয়াকিল, নি'মাল মাওলা ওয়া নি'মান নাছির।

[১৬] ইয়া হাইয়ু ইয়া কইয়ুম, বি-রহমাতিকা ইয়া আস্তাগিস।

[১৭] ইন্নাল্লাহা মা'আস সবিরীন।

[১৮] রব্বি হাবলি মিনাস সলিহিন।

[১৯] আল্লাহুম্মা হাসিবনি হিসাবাই ইয়াসীরা।

[২০] আল্লাহুম্মা ইন্নি আস-আলুকাল আ'ফিয়াহ্।

[২১] আল্লাহুম্মা ইন্নি আসআলুকা হুব্বাকা ওয়া হুব্বা মান ইউহিব্বুকা।

[২২] আল্লাহুম্মা সল্লি ওয়া'সাল্লিম আ'লা নাবিয়্যিনা মুহাম্মদ (ﷺ)

[২৩] আসতাগফিরুল্লা-হাল্লাযী লা-ইলাহা ইল্লা হুওয়াল হাইয়ুল কাইয়ুম ওয়াতুবু ইলাইহি, লা'হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহিল আলিইয়্যিল আজীম

[২৪] সুরা ফাতিহা, ইখলাস ফালাক সূরা নাস পাঠ করে সারা শরীরে ম্যাসাজ করা।

[২৫] (১০০ বার) সুবহানাল্লাহি ওয়া'বিহামদিহী

 

ফজরের নামাজের পর সূরা ইয়াসিন পড়া ও কুরআন পড়া।

জোহরের পর সূরা-আর-রহমান পড়া।

আসরের নামাজের পর সূরা-নাবা পড়া।

মাগরিবের পর সূরা ওয়াকিয়া পড়া।

এশার পর সূরা মুলক পড়া।

 

হাতে যথেষ্ট সময় থাকলে -

সালাম ফিরিয়ে 

৩৩ বার সুবহানাল্লাহ

৩৩ বার আলহামদুলিল্লাহ্

৩৪ বার আল্লাহু আকবার

(১ বার) লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা-শারীকা লাহু। লাহুল মুলকু ওয়া লাহুল হামদু ওয়া হুয়া আলা কুল্লি শাইয়্যিন কাদীর।

হে আল্লাহ্! তুমি শান্তিময়, তোমার কাছ থেকেই শান্তি অবতীর্ণ হয়। তুমি বরকতময়, হে পরাক্রমশালী ও মর্যাদা প্রদানকারী। (মুসলিম: ১২২১)

-       অতীতের সব পাপ ক্ষমা হয়ে যাবে যদিও তা সমূদ্রের ফেনাতুল্য হয়। (হাদীস শরীফ)

-       প্রত্যেক সালাতের পর এই আমল করার দ্বারা জিহাদের সমান সওয়াব লাভ করা যায়।

 

(১ বার) আয়াতুল কুরসি

আল্লাহু লা-ইলাহা ইল্লা হুয়াল হাইয়্যুল কাইয়ুম। লা-তাখুজুহু সিনাতুও ওয়ালা নাউম। লাহুমা ফিস সামাওয়াতি ওয়ামা ফিল আরদ। মান যাল্লাযী ইয়াশফাউ ইন্দাহু ইল্লা বিইযনিহী, ইয়া লামু-মা বাইনা আইদিহিম ওয়ামা খালফাহুম, ওয়ালা ইউহিতুনা বিশাইয়িম মিন ইলমিহি ইল্লা বিমা শা-আ, ওয়াসিয়া কুরসিহুস সামাওয়াতি ওয়াল আরদ, ওয়ালা ইয়াউ দুহু হিফজুহুমা ওয়া হুয়াল আলিয়্যুল আজীম। (সুরা বাকারাঃ ২৫৫)

আল্লাহ ছাড়া অন্য কোনো উপাস্য নেই, তিনি জীবিত, সবকিছুর ধারক। তাঁকে তন্দ্রাও স্পর্শ করতে পারে না এবং নিদ্রাও নয়। আসমান ও জমিনে যা কিছু রয়েছে, সবই তাঁর। কে আছ এমন যে সুপারিশ করবে তাঁর কাছে তাঁর অনুমতি ছাড়া? দৃষ্টির সামনে কিংবা পেছনে যা কিছু রয়েছে, সে সবই তিনি জানেন। তাঁর জ্ঞানসীমা থেকে তারা কোনো কিছুকেই পরিবেষ্টিত করতে পারে না, কিন্তু যতটুকু তিনি ইচ্ছা করেন। তাঁর কুরসি (সিংহাসন) সমস্ত আসমান ও জমিনকে পরিবেষ্টিত করে আছে। আর সেগুলোকে ধারণ করা তাঁর পক্ষে কঠিন নয়। তিনিই সর্বোচ্চ এবং সর্বাপেক্ষা মহান।

-       যে ব্যক্তি প্রত্যেক ফরজ নামাজের পর একবার আয়াতুল কুরসী পড়বে, তার জান্নাতে প্রবেশের জন্য শুধু মৃত্যুই বাঁধা থাকবে। (হাদীস শরীফ)


ফজর ও মাগরীবের পর ৩ বার করে। আর অন্য ওয়াক্তসমূহের ফরজ নামাজ শেষে ১ বার করে

 

সূরা ইখলাস:

(বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম)

কুল হু আল্লাহু আহাদ। আল্লাহুস সামাদ। লাম ইয়ালিদ ওয়ালাম ইউলাদ। ওয়ালাম ইয়া কুল্লাহু কুফুওয়ান আহাদ।

 

সূরা ফালাক:

(বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম)

কুল আউযু বিরাব্বিল ফালাক। মিন শাররি মা-খালাক। ওয়া মিন শাররি গা-ছিকিন ইযা-ওয়াকাব। ওয়া মিন শাররিন নাফফা-ছা-তি ফিল উকাদ। ওয়া মিন শাররি হা-ছিদিন ইযা-হাছাদ।

 

সূরা নাস:

(বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম)

কুল আউযু বিরাব্বিন্না-ছ। মালিকিন্না-ছ। ইলা-হিন্না-ছ। মিন শাররিল ওয়াছ ওয়া-ছিল খান্নাছ। আল্লাযী ইউ ওয়াছবিছু ফী সুদূরিন্নাছ। মিনাল জিন্নাতি ওয়ান্না-ছ।

 

 (১ বার)

আল্লাহুম্মা আ-ইন্নি আলা যিকরিকা ওয়া শুকরিকা ওয়া হুসনি ইবাদাতিকা।

হে আল্লাহ! আমাকে তোমার জিকির করার সুযোগ দাও। তোমার নিয়ামতের কৃতজ্ঞতা আদায়ের সুযোগ দাও। সুন্দরভাবে তোমার ইবাদতের সুযোগ দাও।

-       প্রত্যেক নামাজের পর এ দোয়া কখনো পরিহার করবে না। (আবু দাউদ-১৫২২)

 

(১ বার)

লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু, ওয়াহদাহু লা-শারীকা লাহু, লাহুল মুলক, ওয়া লাহুল হামদ, ওয়া হুয়া আলা কুল্লি শাইয়্যিন কাদীর। আল্লাহুম্মা লা’মানিয়া লিমা আতাইতা ওয়ালা মু’তিয়া লিমা মানা‘তা, ওয়ালা ইয়ানফা’উ জাল জাদ্দি মিনকাল জাদ্দু।

আল্লাহ ছাড়া কোনো মাবুদ নেই। তিনি একক, তাঁর কোনো শরীক নেই। রাজত্ব তাঁরই এবং সমস্ত প্রশংসান তাঁরই। আর তিনি সকল কিছুর ওপর ক্ষমতাবান। হে আল্লাহ, আপনি যা দান করেন তা ঠেকানোর ক্ষমতা কারও নেই।  আর আপনি যা ্না দেন তা দেওয়ার ক্ষমতাও কারো নেই। কোনও পরিশ্রমকারীর পরিশ্রম আপনার ইচ্ছার বাইরে কোনো উপকারে লাগে না।

 

(১ বার)

লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু, ওয়াহদাহু লা-শারীকা লাহু, লাহুল মুলক, ওয়া লাহুল হামদ, ওয়া হুয়া আলা কুল্লি শাইয়্যিন কাদীর। লা-হাওলা ওয়া কুয়্যাতা ইল্লা বিল্লাহ। লা না’বুদু ইল্লা ইয়াহু। লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু, ওয়ালা না’বুদু ইল্লা ইয়াহু, লাহুন নি’মাতু ওয়া লাহুল ফাদলু, ওয়া লাহুস সানা’উল হাসান। লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুখলিসীনা লাহুদ-দীন, ওয়ালাও কারিহাল কাফিরুন।

আল্লাহ ছাড়া কোনো মাবুদ নেই। তিনি একক, তাঁর কোনো শরীক নেই। রাজত্ব তাঁরই এবং সমস্ত প্রশংসান তাঁরই। আর তিনি সকল কিছুর ওপর ক্ষমতাবান। আল্লাহর দ্বারা ও আল্লাহর মাধ্যম ছাড়া কোনও অবলম্বন নেই এবং কোনও ক্ষমতা নেই। আমরা আল্লাহ ছাড়া কারও ইবাদত করিনা। নিয়ামত তাঁরই, দয়া তাঁরই এবং উত্তম প্রশংসা তাঁরই। আল্লাহ ছাড়া কোনো মাবুদ নেই। আমাদের দ্বীন বিশুদ্ধভাবে শুধুমাত্র তাঁরই জন্য, এতে যদিও কাফিরগণ অসন্তুষ্ট হয়।

 

(১ বার)

আল্লাহুম্মা ইন্নি আউজুবিকা মিনাল জুবনি। ওয়া আউজুবিকা আন উরাদ্দা ইলা আরজালিল উমুরি। ওয়া আউজুবিকা মিন ফিতনাতিদ দুনিয়া। ওয়া আউজুবিকা মিন আযাবিল কবর।

হে আল্লাহ! আমি আপনার কাছে ভীরুতা থেকে আশ্রয় চাই। বার্ধক্যজনিত অক্ষমতা থেকে আশ্রয় চাই। দুনিয়ার ফেতনা থেকে আশ্রয় চাই। কবরের আজাব থেকে আশ্রয় চাই। 

 

(১ বার)

আল্লাহুম্মা ইন্নী আউযু বিকা মিনাল কুফরি ওয়াল ফাকরি, ওয়া আউযু বিকা মিন আযাবিল কাবরি।

হে আল্লাহ! আমি আপনার আশ্রয় প্রার্থনা করছি কুফরি থেকে ও দারিদ্রতা থেকে এবং আপনার আশ্রয় প্রার্থনা করছি কবরের আযাব থেকে।

 

(৭ বার)

হাসবি আল্লাহু – লা ইলাহা ইল্লাহু – আলাইহি তাওয়াক্কালতু – ওয়া হুয়া রাব্বুল আরশিল আজিম।

আল্লাহই আমার জন্য যথেষ্ট, তিনি ব্যতীত আর কারো বন্দেগী নেই। আমি তাঁরই ভরসা করি এবং তিনিই মহান আরশের অধিপতি। (সুরা তাওবা: ১২৯)

 

অথবা

 

(ফজর ও মাগরিবের পর ৭ বার, অন্য ওয়াক্তসমূহের পর ১ বার করে) সূরা তাওবার শেষ ২ আয়াত

লাকাদ জা-আকুম রাসুলুম মিন আন-ফুসিকুম আজিজুন আলাইহি মা-আনিত্তুম হারিছুন আলাইকুম বিল মুমিনীনা রাউফুর রাহীম। ফাইন তাওয়াল্লাও ফাকুল হাসবি-আল্লাহু লা-ইলাহা ইল্লাহুয়া আলাইহি তাওয়াক্কালতু ওয়া হুয়া রাব্বুল আরশিল আজীম। (সুরা তাওবা: আয়াত ১২৮-১২৯)

১২৮- তোমাদের কাছে এসেছে তোমাদের মধ্য থেকেই একজন রসূল। তোমাদের দুঃখ-কষ্ট তার পক্ষে দুঃসহ। তিনি তোমাদের মঙ্গলকামী, মুমিনদের প্রতি স্নেহশীল, দয়াময়।

১২৯- এ সত্ত্বেও যদি তারা বিমুখ হয়ে থাকে, তবে বলে দাও, আল্লাহই আমার জন্য যথেষ্ট, তিনি ব্যতীত আর কারো বন্দেগী নেই। আমি তাঁরই ভরসা করি এবং তিনিই মহান আরশের অধিপতি।

-   যে ব্যক্তি সকাল-সন্ধ্যায় সূরা তাওবার শেষ দু-টি আয়াত সাতবার করে পাঠ করবে আল্লাহতায়ালা তার সব কাজ সহজ করে দিবেন। (কুরতুবী)

-    যে ব্যক্তি প্রত্যেক নামাযের পর সূরা তাওবার শেষ দুটি আয়াত পড়বে আল্লাহর রহমতে সে হাশরের দিন রসূলুল্লাহ (সাঃ) এর শাফায়াত পাবে।

 

(ডান হাত দিয়ে মুখমন্ডল মুছে ১ বার)

আশহাদু আল্লা ইলাহা ইল্লাল্লাহুর রাহমানির রাহীম। আল্লাহুম্মা আজহিব আনিল হাম্মা ওয়াল হাযান।

আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ ছাড়া কোনও মাবুদ নেই। তিনি অতি দয়ালু, পরম করুণাময়। হে আল্লাহ! আমার পেরেশানি ও চিন্তা দূর করে দিন।

 

(১ বার)

রাব্বি কিনী আযা-বাকা ইয়াওমা তাব’আসু ইবা-দাকা।

হে আমার প্রভু, আমাকে রক্ষা করুন আপনার শাস্তি থেকে যেদিন আপনি পুনুরুত্থিত করবেন আপনার বান্দাগণকে।

 

(১ বার)

আল্লাহুম্মা ইন্নী আউযু-বিকা মিনাল বুখলি, ওয়া আউযু-বিকা মিনাল জুবনি, ওয়া আউযু-বিকা আন উরাদ্দা ইলা-আরযালিল উমরি, ওয়া আউযু-বিকা মিন ফিতনাতিদ দুনিয়া, ওয়া আউযু-বিকা মিন আযাবিল কাবরি।

হে আল্লাহ, আমি আপনার আশ্রয় প্রার্থনা করছি কৃপণতা থেকে, আমি আপনার আশ্রয় প্রার্থনা করছি কাপুরুষতা থেকে, আমি আপনার আশ্রয় প্রার্থনা করছি অপমানকর অতি বৃদ্ধ বয়সে পৌছানো থেকে (যে বয়সে মানুষ কান্ডজ্ঞান হারিয়ে ফেলে), আমি আপনার আশ্রয় প্রার্থনা করছি দুনিয়ার ফিতনা থেকে, আমি আপনার আশ্রয় প্রার্থনা করছি কবরের আযাব থেকে।

 

ইয়া হাইয়্যু ইয়া কাইয়্যুম, বিরাহমাতিকা আসতাগীস, আসলিহ লী শা’নী কুল্লাহু, ওয়া লা-তাকিলনী ইলা-নাফসী তারফাতা ‘আইন।

হে চিরঞ্জীব, হে মহারক্ষক ও অমুখাপেক্ষী তত্ত্বাবধায়ক, আপনার রহমতের ওসীলা দিয়ে ত্রাণ প্রার্থনা করছি। আপনি আমার সকল বিষয়কে সুন্দর ও সাফল্যমন্ডিত করুন। আর আমাকে চোখের পলকের জন্যও আমার নিজের দায়িত্বে ছেড়ে দিবেন না (সর্বদা আপনার তত্ত্বাবধানে আমাকে রাখুন)।

 

আল্লাহুম্মাগফিরলি জুনুবি ওয়া খাতায়াইয়া কুল্লাহা, আল্লাহুম্মান আশনি ওয়াজ বুরনি ওয়াহ দিনি লি সালিহিল আমালি ওয়াল আখলাক, ইন্নাহ লা ইয়াহদি লি সালিহিহা ওয়া ইয়াসরিফু সাইয়িইহা ইল্লা আন্তা।

হে আল্লাহ! আমার সকল পাপ ক্ষমা করে দিন। আমাকে তাওফিক দিন, সাহায্য করুন। আমাকে সচ্চরিত্র এবং নেক আমলের প্রতি পথনির্দেশ করুন। আপনি ছাড়া অন্য কেউ নেক আমল করার ও বদ আমল থেকে বেঁচে থাকার হেদায়েত করতে পারে না।

 

আল্লাহুম্মাজ আল খাইরা উমরি আখিরাহ, ওয়া খাইরা আমালি খাওয়াতিমাহ, ওয়াজ আল খাইরা আইয়্যামি ইয়াওমা আলকাকা।

হে আল্লাহ! আমার শেষ জীবনকে ভালো করুন, শেষ আমলকে ভালো করুন। আপনার সংগে সাক্ষাতের দিনটিকে আমার সেরা দিনে পরিণত করুন।

 

(৩ বার) সুস্থ্যতা ও নিরাপত্তা চেয়ে দোয়া

আল্লাহুম্মা আফিনী ফী বাদানী, আল্লাহুম্মা আফিনী ফী সাম’য়্যী, আল্লাহুম্মা আফিনী ফী বাসারী, লা-ইলাহা ইল্লা আন্তা। আল্লাহুম্মা ইন্নী আউযুবিকা মিনাল কুফরি ওয়াল ফাকরি, আল্লাহুম্মা ইন্নী আউযুবিকা মিন আযাবিল কাবরি। লা-ইলাহা ইল্লা আন্তা।

 

(১৫ বার)

ইয়া মুসাব্বিবাল আসবা-বি সাব্বিত।

হে সর্ব অভাব পূর্ণকারী (আল্লাহ!), আমার অভাব দূর করে দিন।

-       আল্লাহর দয়ায় কোনো অভাবই থাকবে না।

 

(১ বার)

আল্লাহুম্মাগফিরলি ওয়ালি ওয়ালি-দাইয়্যা ওয়ালি মান তাওয়ালিদা ওয়ালি উস্তা-যি ওয়ালি শাইখী ওয়ালি জামি-ইল মুমিনীনা ওয়াল মুমিনাতি ওয়াল মুসলিমীনা ওয়াল মুসলিমাতি ওয়া সাল্লাল্লাহু আলাইহী ওয়া আলা আলিহী ওয়া আস-হাবিহী আজমাঈন, বিরাহমাতিকা ইয়া আরহামার রাহিমীন।

 

(১ বার)

আল্লাহুম্মা, ইন্নী আস’আলুকাল আফওয়া ওয়াল আফিয়্যাতা ফিদ দুনিয়া ওয়াল আখিরাহ। আল্লাহুম্মা, ইন্নী আস’আলুকাল আফওয়া ওয়াল আফিয়্যাতা ফী দীনি ওয়া দুনিয়াইয়্যা, ওয়া আহলী ওয়া মা-লী। আল্লাহুম্মাস-তুর আউরাতী ওয়া আ-মিন রাউ’আতী। আল্লাহুম্মা ফাযনী মিম বাইনি ইয়াদাইয়্যা ওয়া মিন খালফী, ওয়া আন ইয়ামীনী ওয়া আন শিমালী, ওয়া মিন ফাউকী। ওয়া আউযু বি’আযামাতিকা আন উগতা-লা মিন তাহতী।

-       রাসূল (সাঃ) সকাল ও সন্ধ্যা হলে উপরের দোয়াটি পড়তে ছাড়তেন না। 

 

(৭ বার)

হুয়াল্লাহুর রাহীম

-       শয়তানের ক্ষতি থেকে বাচবে

-       ঈমানের সাথে মৃত্যু নসীব হবে

 

(দৈনিক ৩ বার, জুমার দিন ১০০ বার)

সলাওয়াতুল্লাহি ওয়া মালাইকাতিহী ওয়া আম্বিয়ায়িহী ওয়া রুসুলিহী ওয়া জামি’ই খালকিহী আলা সাইয়্যিদিনা মুহাম্মাদিও ওয়া আলা আলি সাইয়্যিদিনা মুহাম্মাদিও ওয়া আলাইহি ওয়া আলাইহিমুস সালামু ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ।

-       পাঠকারীকে কিয়ামতের দিন রাসুল (সাঃ) এর দলে হাশর করানো হবে এবং রাসূল (সাঃ) তার হাত ধরে থাকবেন এমনকি তাকে জান্নাতে প্রবেশ করিয়ে দিবেন। (মুখতাসারু তারীখে দিমাশক)

 

নামাজ শেষে উঠে যাবার মুহূর্তে

সুবহানা রাব্বীকা রাব্বীল ইজ্জাতি আম্মা ইয়াছিফুন। ওয়া সালাম আলাল মুরসালীন। ওয়াল হামদুলিল্লাহী রাব্বীল আলামীন।

-       পাঠকারী লিয়ামতের দিন পরিপূর্ণ পাত্রে প্রতিদান প্রাপ্ত হবে। (নুযহাতুল মাজলিস)

No comments